কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী-কিশোরসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে ৯ জনকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। বাকিরা অন্য হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী এবং সুখিয়া ইউনিয়নের সুখিয়া এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ৩০ বছর বয়সী রহিমা খাতুন, ২৮ বছরের নুরুন্নাহার, ৭০ বছরের কল্পনা, ৪০ বছর বয়সী মিনা আক্তার, ৩৫ বছরের মনোয়ারা বেগম।
তারা সবাই চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামের বাসিন্দা।
এ ছাড়া ৭০ বছর বয়সী মিরছিমা বেগম, ৪০ বছর বয়সী হুমায়ুন কবির, ২৫ বছর বয়সী ইব্রাহিম, ১৫ বছরের ইয়াছিন মিয়াও আহত হন। তারা সবাই সুখিয়া ইউনিয়নের সুখিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের চরকোর্শা গ্রামের ৪০ বছর বয়সী সাহেরা খাতুনও কুকুরটির কামড়ে আহত হয়েছেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল কর্মকর্তা প্রবাল সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ হাসপাতালে উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামের ও সুখিয়া ইউনিয়নের সুখিয়ায় ৯ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিয়েছেন।
অন্যরা হাসপাতালে আসেননি, তবে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন।
১৫ জনকে কামড়ানোর পর স্থানীয় লোকজন পাগলা কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
আহত ব্যক্তিদের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটায় ও মুন্সীগঞ্জ সদরে নির্বাচনের আগেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন চারজন।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের আগেই এমনকি প্রতীক বরাদ্দের আগেই চেয়ারম্যান নিশ্চিত হয়েছেন আইনজীবী এস এম সামশীল আরেফিন টিটু।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের তিনজন প্রার্থীর মধ্যে অপর দুজন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালিব।
তিনি জানান, এর আগে সোমবার বিকেলে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকতার কাছে লিখিতভাবে স্বেচ্ছায় নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারপত্র দেন ওই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা দুই প্রার্থী হলেন, হাসান মেহেদী বিদ্যুৎ এবং অপরজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আজাদ শীতল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, ‘আজ প্রতীক বরাদ্দ শেষে দুপুরের পর তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করা হবে।’
নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী এবং সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জনসহ ১১ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলায় পুরুষ ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৩ জন এবং নারী এক লাখ ২১ হাজার ৫৮ জনসহ মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ১২ জন। এ ছাড়া ১০৩ টি ভোট কেন্দ্র এবং বুথ রয়েছে ৬৬১টি। উপজেলায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৮। এ উপজেলায় ব্যালটে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।
মুন্সীগঞ্জে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তিনজন
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বিষয়টি সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ছিলেন আনিস উজ্জামান। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন করে প্রার্থী থাকলেও ওই পদগুলোতে একজন করে প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’
তিনি জানান, এতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী নির্বাচিত হয়েছেন।
এ কারণে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না এবং যথাসময়ে তাদের গেজেট প্রকাশিত হবে বলে জানান তিনি।
ষষ্ঠ ধাপের এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে।
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর সোমবার আমিরাতের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৭টার দিকে জাহাজটি সমুদ্রবন্দরের জেটিতে নোঙর করে।
জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রাতে জাহাজ পরিদর্শনে যান মালিকপক্ষের লোকজন, আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবু জাফর ও বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামালসহ কর্মকর্তারা।
এ সময় বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় তাদের। জাহাজের ২৩ নাবিক সুস্থ রয়েছেন।
এদিকে কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে একটি টিম দুবাই গেছে। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কেএসআরএম গ্রুপের টিমটি নাবিকদের বরণ করে নেয়।
কেএসআরএম গ্রুপের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। নাবিকরা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে বলে তিনি জানান।
কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে নাবিকরা চাইলে বাইরে আসতে পারবেন না। কারণ, আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনও তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে।
জাহাজের মালিকপক্ষ জানায়, এখন জাহাজের কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর নতুন করে কার্গো ভর্তি করার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেয়া হবে।
এদিকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।
জাহাজটি ২১ এপ্রিল বিকেলে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। ২২ এপ্রিল এটি নোঙর ফেলে জেটিতে।
আগে জাহাজটি ২২ এপ্রিল নোঙর করবে বলে জানিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ। তারা আরও জানিয়েছেন, পণ্য খালাসের কার্যক্রম শেষ করার পর শুরু হবে নাবিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া।
১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টার দিকে জলদস্যু মুক্ত হয় জাহাজটি। এরপর আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে নাবিকরা।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজে উঠে নাবিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে সুবিধাজনক স্থানে জাহাজটি নোঙর করায় দস্যুরা। এরপর মুক্তিপণের বিষয়ে দেনদরবার শুরু হয়।
২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলী খেলা। বলীখেলা উপলক্ষে ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন থাকছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সোমবার এ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। খবর বাসসের
সিএমপি জানিয়েছে, বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা চলাকালে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ আগত লোকজনের সমাগমের কারণে মেলা সংলগ্ন নির্ধারিত স্থানগুলোতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লালদিঘি অভিমুখী সব প্রকার যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এনএম নাসিরুদ্দিন জানিয়েছেন, লালদিঘির পাড় মাঠে মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য বিক্রেতারা তাদের পণ্য-দ্রব্যাদি নিয়ে আসবেন এবং ক্রেতা সাধারণসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোকজনের সমাগম ঘটবে। বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা চলাকালে নগরীর আন্দরকিল্লা মোড় (জামে মসজিদের সামনে), পুরাতন টেলিগ্রাফ রোড, বোস ব্রাদার্স মোড় (পুলিশ প্লাজার সামনে), রাইফেল ক্লাব, কোতোয়ালী মোড় (সিডিএ গেট), আমানত শাহ মাজার রোডের মুখ ও টেরিবাজার ফুলের দোকানের (তিন রাস্তা মুখ) সামনে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ডাইভারশন প্রদান করা হবে। ফলে উক্ত সময়ে লালদিঘি অভিমুখে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহনসমূহ কোতোয়ালী মোড় হয়ে ফিরিঙ্গীবাজার মেরিন ড্রাইভ রোড ব্যবহার করে চাকতাই ও রাজখালী হয়ে চাকতাই-খাতুনগঞ্জে যাতায়াত করবে।
ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলী খেলা উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য বৈশাখী মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নিমিত্তে উল্লিখিত নির্দেশনাগুলো সব প্রকার যানবাহনের চালক ও যাত্রী সাধারণসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এ ৩ দিন ওই এলাকার সড়কগুলো এড়িয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার দুজনকে ফিরে পাওয়া গেছে।
উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর-হোয়াইক্যং ঢালার সড়কে সোমবার রাতে তাদের পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে রোববার রাতে ফার্মেসি থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয়েছিলেন ওই দুজন।
তারা হলেন উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের পশ্চিম থাইংখালী এলাকার জাকের হোসাইনের ছেলে মো. জহির উদ্দিন (৫১), বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর নয়াপাড়া এলাকার মৃত মো. শফিকের ছেলে মোহাম্মদ রফিক (৩২)।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও স্থানীয় জনতার তৎপরতায় অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির ও অন্যজনকে অক্ষত অবস্থায় বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালীতে পাওয়া গেছে।
এদিন সকাল থেকে উখিয়া সার্কেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল, টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মছিউর রহমান, হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শাহাদাত হোসেনসহ একদল পুলিশ এবং বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকনসহ স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ চালিয়েছিল। অভিযানে উদ্ধার করতে না পারলেও রাতে অপহৃত দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি জানান, সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুর্গম পাহাড়ে পুলিশের অভিযানের ফলে অপহরণকারীরা অবশেষে দুই অপহৃতকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
নাটোরের সিংড়ায় ট্রাকচাপায় সুকাশ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য সচিব নিহত হয়েছেন।
নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জোলারবাতা এলাকায় সোমবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ইলিয়াস আহমেদ রনি (৩২) উপজেলার কাকিয়ান গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
সিংড়া থানার ওসি আবুল কালাম জানান, সোমবার বিকেলে নাটোর থেকে বগুড়াগামী একটি মিনি ট্রাক জোলারবাতা এলাকায় রনির বাইককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাইক চালক রনি মারা যান। এ সময় রনির চাচাত ভাই মান্নাফ হোসেন আহত হন।
পরে আহত মান্নাফকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এবং রনির মরদেহ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওসি জানান, এ ঘটনার পর ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক কেজি স্বর্ণসহ তিন যাত্রীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার সকালে এনএসআই ও কাস্টমস ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজারের মোবারক আলী, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মো. নাজমুল হক ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের আনোয়ার মোহাম্মদ শাহ।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ জানান, ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি দুবাই থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আটক তিনজন কাপড় ও কম্বলে করে এক কেজির বেশি ওজনের সোনা নিয়ে আসেন। তাদের সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে এনএসআই ও সিআইআইডির সদস্যরা তাদের আটক করেন।
আটক তিনজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় বলেও তিনি জানান।
নাটোরের সিংড়ায় নিজ ভাতিজিকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহাদত একই উপজেলার দেওগাছা উত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট ১৬ বছরের এক কিশোরী ও ছোট তার দুই ভাই-বোনকে বাড়িতে রেখে তাদের পরিবারের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী পাকুয়া গ্রামে যায়। কিশোরীর ছোট দুই ভাই-বোন স্কুলে যাওয়ায় পর বাড়িতে কেউ না থাকায় তার আপন চাচা শাহাদত বাড়িতে প্রবেশ করেন। পরে অভিযুক্ত শাহাদত তার ভাতিজিকে ধর্ষণ করেন।
এ সময় কিশোরী সেই ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দেয়ার কথা বললে শাহাদত তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
তিনি জানান, নিহতের দুই ভাই-বোন স্কুল থেকে বাসায় ফিরে তার বোনকে মৃত দেখলে শাহাদত দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে শাহাদতকে ধরে সংঘবদ্ধ পিটুনি দিলে তিনি তার ভাতিজিকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় নিহত কিশোরীর মা শাহাদতের নামে সিংড়া থানায় মামলা করেন। রায় ঘোষণার সময় সোমবার অভিযুক্ত শাহাদত আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য