× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
League will not take any initiative to bring BNP to the polls
google_news print-icon

বিএনপিকে ভোটে আনতে এবার কোনো উদ্যোগ নেবে না আ.লীগ

বিএনপিকে-ভোটে-আনতে-এবার-কোনো-উদ্যোগ-নেবে-না-আলীগ
২০১৮ সালে গণভবনে সংলাপে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ফাইল ছবি
ক্ষমতাসীন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী মহলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান মনে করেন, বিএনপি গতবারের মতোই ভোটে আসবে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কৌশল থাকে। বিএনপি ও তাদের মিত্ররা নিশ্চয় সে রকম কোনো কৌশল আঁটছে। কেননা নির্বাচনে আসা ছাড়া বিএনপির কোনো বিকল্প নেই।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন না করলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে এবার সরকার বা আওয়ামী লীগের বিশেষ কোনো উদ্যোগ থাকবে না।

একই দাবি জানাতে থাকা বিএনপিকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আসতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বারবার সংলাপের আহ্বান জানানো হয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির করা জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনাও হয়েছিল।

তবে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, এমন অভিযোগ তুলে বিএনপি তার পুরোনো দাবিতে ফিরে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরাসরি বলছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আর ফেরানোর সুযোগ নেই।

মাস কয়েক আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একবার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বানের কথা বলেছিলেন বটে, তবে এরপর এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আর কিছুই বলছে না।

বিএনপিকে ভোটে আনতে এবার কোনো উদ্যোগ নেবে না আ.লীগ
তত্ত্বাবধায়কসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা। ফাইল ছবি

এর মধ্যে দুবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবির প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। দুবারই বলেছেন, কেউ ভোটে আসতে না চাইলে তার কিছু করার নেই।

সর্বশেষ ভারত সফর নিয়ে বিস্তারিত ডাকা সংবাদ সম্মেলনে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা ইঙ্গিত দেন বিএনপিকে ভোটে আনতে বিশেষ কোনো উদ্যোগ বা চেষ্টা করা হবে না। তিনি বলেন, ‘সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটাই আমরা চাই। আর যদি কেউ না করে, সেটা যার যার দলের সিদ্ধান্ত। এর জন্য আমাদের সংবিধান তো আমরা বন্ধ করে রাখতে পারি না। সংবিধানের যে ধারা, সে অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকবে।’

শেখ হাসিনা সেদিন ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে জটিলতার পর দুই বছরের ছদ্ম সেনা শাসনের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। জরুরি অবস্থা জারির পর দুই বছর যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছিল, সেটি যে সেনা সমর্থিত, সেটি শুরু থেকেই বলা হচ্ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল এমন: ‘এখন যারা তত্ত্বাবধায়ক বলে চিৎকার করছে, তারা ওয়ান-ইলেভেনের কথা ভুলে গেছে? ২০০৭-এর কথা ভুলে গেছে? যে কী অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছিল?’

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। সংবিধানের বাইরে গিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে কোনা ছাড় দেয়া হবে না।

নেতারা জানান, বিএনপি যে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে, তাকে কথার কথা হিসেবেই দেখছেন তারা। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে আর সেই নির্বাচনের এক বছর পূর্তির পর ২০১৫ সালে সরকার পতন আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি আন্দোলনে তৃতীয় দফায় এসে সফল হতে পারবে বলে মনে করেন না ক্ষমতাসীনরা।

আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা হয়েছে উচ্চ আদালতে। এরপর সংসদও সেই সরকার রাখতে একমত হয়নি। ফলে আইনতও এর সুযোগ নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এই অবস্থায় তাদের দৃষ্টিতে ‘দুর্বল’ বিএনপিকে ছাড় দেয়ার কিছু নেই।

ক্ষমতাসীন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী মহল সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান মনে করেন, বিএনপি গতবারের মতোই ভোটে আসবে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কৌশল থাকে। বিএনপি ও তাদের মিত্ররা নিশ্চয় সে রকম কোনো কৌশল আঁটছে। কেননা নির্বাচনে আসা ছাড়া বিএনপির কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি দাবি করেন, বিএনপির বড় বড় নেতা মনে করেন, তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত।

বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত ভোটে নাও আসে, তাহলেও কোনো সাংবিধানিক সংকটের আশঙ্কা করছে না আওয়ামী লীগ। তারা বলছে, ২০১৪ সালের নির্বাচন হয়েছে বিরোধীদের বর্জনের মুখে। সেই সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদও শেষ করেছে। এরপর আরও একটি নির্বাচন হয়েছে, সেই সরকার এখন চলমান এবং মেয়াদ শেষ করার অপেক্ষায়। কাজেই বিএনপির না আসার ঘোষণাকে পাত্তা দেয়ার কিছু নেই।

ভোটে আনতে আগের উদ্যোগ

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশ নেয়ার জন্য ক্ষমতাসীনরা বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে একাধিক প্রস্তাব দেয়। এমনকি ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে ফোন করে তার বাসভবন গণভবনে এসে আলোচনার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। এরপরও প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নানাভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

বিএনপিকে ভোটে আনতে এবার কোনো উদ্যোগ নেবে না আ.লীগ
২০১৪ সালের নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় অংশ নেয় বিএনপি। ফাইল ছবি

সেই নির্বাচনের আগে যে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছিল, সেই সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বিএনপিকে দেয়ার প্রস্তাবও এসেছিল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

২০১৮ সালে বিএনপি তার ২০ দলীয় জোটের পাশাপাশি নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে যখন আগাচ্ছিল, সে সময় তারা প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বান আর প্রত্যাখ্যান করেনি। অন্য সব দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে গণভবনে যায় ঐক্যফ্রন্ট নেতারাও।

এবার কোনো প্রস্তাব নয়

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ মনে করছেন, এবার আর বিএনপিকে প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচনে আনতে হবে না। দলটি নিজের প্রয়োজনেই নির্বাচনে আসবে।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেয়া যেমন আওয়ামী লীগের অধিকার, তেমনি বিএনপিরও। সেখানে আওয়ামী লীগকে কেন বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে উদ্যোগ নিতে হবে?

ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকা থাকবে কি না জানতে চাইলেও ‘না’ বোধক জবাব দেন তিনি। বলেন, ‘সরকার আর দল আলাদা বিষয়। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। আর সরকার সে সময় রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, কে নির্বাচনে আসল না আসল, সেটা আওয়ামী লীগের বিষয় না।’

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে জটিলতা বিএনপির আমলে

১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরের বছরের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। ১৯৯৪ সালে ঢাকার মিরপুর ও মাগুরায় দুটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওঠার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামে আওয়ামী লীগসহ সে সময়ের বিরোধী দলগুলো।

আন্দোলনের মুখে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন হয়। তাতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতে এসেও বিএনপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। একপর্যায়ে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করে আবার জাতীয় নির্বাচন দেয়।

তখন সিদ্ধান্ত হয়, সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। তিনি রাজি না হলে সব দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে একজন হবেন এই সরকারের প্রধান। আর আলোচনায় কাউকে পাওয়া না গেলে হবেন রাষ্ট্রপতি।

১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সেই ভোটে জিতে ২১ বছর পর ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ২০০১ সালে।

ওই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জিতে বিএনপি-জামায়াত জোট আসে ক্ষমতায়। তবে সেই সরকারের আমলে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানো নিয়ে তৈরি হয় রাজনৈতিক বিরোধ।

বিএনপিকে ভোটে আনতে এবার কোনো উদ্যোগ নেবে না আ.লীগ
২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের। তিনি এককালে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ফলে তাকে মেনে নিতে রাজি ছিল না আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ অভিযোগ করতে থাকে, বিএনপি তার সাবেক নেতাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে গিয়ে বিচারপতিদের অবসরের বয়স বাড়িয়েছিল।

আন্দোলনের একপর্যায়ে কে এম হাসান জানান, তিনি এই পদের জন্য আগ্রহী নন। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের পদে কে আসবেন, এ নিয়ে বিরোধের মীমাংসা না হওয়ার পর বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনের ওপর বর্তায় সেই দায়িত্ব।

ইয়াজউদ্দিনের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট যায় আন্দোলনে। কিন্তু একবার পিছিয়ে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়।

একতরফা নির্বাচনের দিকে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন ভোটের ১১ দিন আগে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী। ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জরুরি অবস্থা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদ ছেড়ে দেন। দায়িত্ব নেন ফখরুদ্দীন আহমেদ।

বিএনপিকে ভোটে আনতে এবার কোনো উদ্যোগ নেবে না আ.লীগ
২০০৭ সালে রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জরুরি অবস্থা জারি করলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ফখরুদ্দীন আহমেদ। এই সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন হলেও তারা থাকে প্রায় দুই বছর। ফাইল ছবি

২০০৭ সালে রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জরুরি অবস্থা জারি করলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ফখরুদ্দীন আহমেদ। এই সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন হলেও তারা থাকে প্রায় দুই বছর।

এই সরকারের আমলে প্রথমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং পরে গ্রেপ্তার হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গ্রেপ্তার হন খালেদাপুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানও। তারেককে আটক করে নির্যাতনের অভিযোগ এখনও করে থাকে বিএনপি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুর্নীতির দুটি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে, অর্থ পাচার মামলায় সাত বছরের সাজা ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে তারেক রহমানের।

সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ছিল ৯০ দিন। তবে ফখরুদ্দীনের সরকার দায়িত্ব পালন করে দুই বছর। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে ভোট হয়, তাতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে বলতে গেলে উড়িয়ে দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।

এরপর থেকে রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান নড়বড়ে হয়।

আরও পড়ুন:
জীবন গেলে যাবে, খালি হাতে ফিরব না: আমির খসরু
বিএনপি এখনও ‘মাঠে নামেনি, কেবল নামছে’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
173 Bangladeshis are returning from Myanmar prisons

মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি ছবি: সংগৃহীত
এসব বাংলাদেশিকে বহনকারী জাহাজটি বুধবার দেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছবে। তাদের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে বাসিন্দা রয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতোয়ে কারাগার থেকে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরছেন। মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

একই দিন সকালে এসব বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে মিয়ানমারের নৌ-জাহাজ চিন ডুইন সিতোয়ে বন্দর ত্যাগ করেছে। জাহাজটি রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজারে আসছে।

বুধবার জাহাজটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছবে এবং পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশের নাগরিকদের হস্তান্তর করা হবে।

দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশি ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে বাসিন্দা রয়েছেন।

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারের জাহাজটির বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে। সর্বোচ্চসংখ্যক যাচাই করে বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত ও সহজে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনায় দূতাবাস মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থানরত ১৪৪ জন ‘যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের কারাভোগের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বা ক্ষমা পেয়েছেন’ তাদেরকে সিতোয়ে কারাগারে আনার উদ্যোগ নেয়।

পাশাপাশি আরও ২৯ জন যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যারা এখনও কারাভোগ করছেন কিংবা বিচারাধীন, একইসঙ্গে তাদেরও মুক্তি দেয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরা হয়। এর ভিত্তিতে সাজা মওকুফ করে তাদেরকেও দেশে পাঠানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সবশেষ গত বছরের ৩ অক্টোবর দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ করা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে আহত বাংলাদেশি দুই জেলে
রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা: জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর জি-৭ দেশগুলোর
বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ঢুকল বিজিপির আরও ১৩ সদস্য
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মোট ২৬১ বিজিপি সদস্য
গোপনে ঢুকছে রোহিঙ্গারা, সীমান্তে অপেক্ষায় আরও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Emir of Qatar leaves Dhaka

কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ সফর শেষে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা ত্যাগ করেন। ছবি: পিআইডি
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাষ্ট্রপতির মো. সাহাবুদ্দিনের আমন্ত্রণে ২২-২৩ এপ্রিল দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশে তার দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে মঙ্গলবা বিকেলে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাতার আমিরের সফর দু’দেশের মধ্যে অসাধারণ সদিচ্ছা ও বোঝাপড়া তৈরি করেছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুসংহত এবং পরবর্তী স্তরে উন্নীত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।

কাতারের আমির বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে ২২-২৩ এপ্রিল দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আমির-ই দেওয়ান প্রধান, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী, কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, কাতার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান, কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির (কিউআইএ) এশিয়া ও আফ্রিকা ইনভেস্টমেন্টের প্রধান, এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং কাতারি আমিরের নেতৃত্বে কাতারি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।

দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রশংসা করে এবং বর্ধিত পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা, দু’দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং রাষ্ট্রীয়, ব্যবসা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সকল স্তরে সফর বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্ককে আরও বাড়ানো ও এগিয়ে নেয়ার পন্থা ও উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় যেসব বিষয় উঠে এসেছে- সেগুলো ছিল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, জনশক্তি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি।

উভয়পক্ষ গাজা যুদ্ধ এবং মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতেও মতবিনিময় করেছে। উভয় নেতা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও সহিংসতা বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ফিলিস্তিনের সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য বিশ্ব নেতাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী তার উদ্বোধনী বক্তব্যে একটি উন্নত জ্ঞানভিত্তিক বহু-সাংস্কৃতিক সমাজ হিসাবে কাতারের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও রূপান্তর এবং আমিরের নেতৃত্বে মধ্যস্থতা ও বহুপক্ষীয় কূটনীতিতে কাতারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া কয়েকটি উপসাগরীয় দেশের অন্যতম হওয়ার জন্য কাতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে প্রশংসা করেন এবং কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিয়োগ প্রসার ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য উভয় পক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশে সম্ভাবনার ক্ষেত্রে ব্যবসা অনুসন্ধানে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী, পেশাদার, নার্স, টেকনিশিয়ান, কেয়ারগিভার ইত্যাদি নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য কাতারের আমিরকে অনুরোধ করেন। আমির এতে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেন।

মতবিনিময়কালে কাতারের আমির ইইজেড ও কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলোতে বিনিয়োগের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। তিনি কাতারের ফ্রি ইকোনমিক জোন সম্পর্কেও বৈঠকে অবহিত করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল পাঠানোর অনুরোধ জানান।

দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে প্রতিনিধি দলের নেতারা বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে মোট ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।

উভয় নেতা কাতারের আমিরের নামে ইসিবি সার্কেল থেকে কালশী পয়েন্ট পর্যন্ত একটি বিশেষ এভিনিউ এবং রাজধানীর মিরপুরে একটি পার্কের নামকরণ ও উদ্বোধন প্রত্যক্ষ করেন।

আমির ও তার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

পরে আমির বঙ্গভবনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর তার সম্মানে রাষ্ট্রপতির দেয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।

মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
কাতারের আমিরকে ঢাকায় লালগালিচা অভ্যর্থনা
কাতারের আমির আসছেন সোমবার, সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ এমওইউ
কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No significant change in human rights situation in Bangladesh US

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই: যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই: যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস মঙ্গলবার বলেছে, ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে (এইচআরআর) থাকা দেশভিত্তিক প্রতিবেদনগুলো আইনি সিদ্ধান্ত, দেশগুলোর ক্রমবিন্যাস বা তুলনা করে না।

বাংলাদেশে বিগত ২০২৩ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে নতুন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: ইউএনবি

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস মঙ্গলবার বলেছে, ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে (এইচআরআর) থাকা দেশভিত্তিক প্রতিবেদনগুলো আইনি সিদ্ধান্ত, দেশগুলোর ক্রমবিন্যাস বা তুলনা করে না।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট প্রকাশিত ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতির একটি বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠ দলিল। প্রায় পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

হিউম্যান রাইটস রিপোর্ট (এইচআরআর) সদ্য গত ২০২৩ সালে ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলকে নিয়ে কাজ করেছে। মানবাধিকার প্রতিবেদনে পৃথকভাবে মানবাধিকার অবমাননা ও লঙ্ঘনের ওপর বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের বিস্তৃত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এটা সরকার, মানবাধিকারের সমর্থনে কাজ করা ব্যক্তি, সাংবাদিক এবং নির্দিষ্ট দেশ ও অঞ্চলগুলোতে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের ব্যবহারযোগ্য একটি হাতিয়ার সরবরাহ করে।

মানবাধিকার প্রতিবেদনটি ওয়াশিংটন ও বিভিন্ন দেশের মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটে তাদের সহকর্মীদের বেশ কিছু মাসের কাজের প্রতিনিধিত্ব করে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করে এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে সঠিক তথ্যের প্রয়োজন হলে কংগ্রেস, এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ ও অভিবাসন আদালতকে সহায়তা করে।

মানবাধিকার প্রতিবেদন সুশীল সমাজের কাজ সম্পর্কেও জানায়, যার মাঝে অন্তর্ভুক্ত আছে মানবাধিকার রক্ষাকারীসহ বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতা, স্কলার, অভিবাসন বিচারক, আশ্রয় কর্মকর্তা, বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সরকার।

অন্যান্য দেশের প্রতিবেদনের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিবেদনটি state.gov এ পাওয়া যাবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Thanchi Rowanchari and Ruma upazila polls suspended

থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার ভোট স্থগিত

থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার ভোট স্থগিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ছবি: নিউজবাংলা
মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

পাহাড়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ বিরোধী যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য তিনটি উপজেলাতে বিশেষ করে বান্দরবানের থানচি, রুমা এবং রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অপারেশন চলমান রয়েছে। আপাতত এই তিনটি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে আয়োজনের চেষ্টা করব।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। থানচি, রোয়াংছড়িতে আগামী ৮ মে ও রুমায় ২১ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল।

গত ২ এপ্রিল রুমার সোনালি ব্যাংকে ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট করা হয়। এছাড়া ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হলেও পরে ছাড়া পান তিনি। পর দিন রুমায় সোনালি ও কৃষি ব্যাংকে দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এ সব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। এরপর যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেএনএফ-এর সদস্য অভিযানে নিহতও হয়েছেন।

নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সভায় নির্বাচন কমিশন সদস্য, সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh Qatar signed 10 agreements and memorandum of understanding

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ছবি: সংগৃহীত
সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মঙ্গলবার এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়।

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মঙ্গলবার এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়।

পাঁচ চুক্তির মধ্যে রয়েছে- উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

চুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে কাতারের পক্ষে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি ও বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, দ্বিতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, তৃতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চতুর্থটিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পঞ্চমটিতে কাতার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি ও বাংলাদেশের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম সই করেন।

সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে সব কটিতে কাতারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সই করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় শেখ হাসিনা ও শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে মঙ্গলবার সকালে কাতারের আমিরকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Life is burning in flames it will burn more

দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও

দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও তীব্র গরমে পুড়ছে জীবন। রাজধানীর একটি এলাকা থেকে সোমবার তোলা ছবি। নিউজবাংলা
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ যেভাবে বয়ে যাচ্ছে, আরও কটা দিন এভাবেই তা চলবে। কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এতে গরম তেমন একটা কমবে না।

কদিন ধরেই দাবদাহে পুড়ছে জনজীবন। গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। দিনভর তীব্র তাপপ্রবাহ, তবে রাতে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। এই অবস্থা থেকে আপাতত মুক্তি মিলছে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ যেভাবে বয়ে যাচ্ছে, আরও কটা দিন এভাবেই তা চলবে। কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এতে গরম তেমন একটা কমবে না।

মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এতে বলা হয়, সিলেট বিভাগে দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংম পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

এর আগে সোমবার চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে ৭২ ঘণ্টার জন্য দেশজুড়ের রেড অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তার আগেও গত ১৯ এপ্রিল তিন দিনের হিট অ্যালার্ট দেয়া হয়। অ্যালার্ট থাকবে ২৫ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত।

টানা কদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, বরিশালেও প্রচণ্ড গরম। সোমবার খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
16 thousand 233 megawatt electricity production record

১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড

১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ফাইল ছবি
মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে সোমবার।

এদিন রাত ৯টায় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে পোস্টে এ কথা জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে সোমবার রাত ৯টায়। এ সময় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর আগে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল রোববার ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট।

মন্তব্য

p
উপরে