× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Caregiver wants to forget One Eleven?
google_news print-icon

‘তত্ত্বাবধায়ক চান, ওয়ান-ইলেভেন ভুলে গেছেন?’

তত্ত্বাবধায়ক-চান-ওয়ান-ইলেভেন-ভুলে-গেছেন?
ভারত সফর নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
বিএনপি শাসনামলে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানো নিয়ে তৈরি হয় রাজনৈতিক বিরোধ। এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের। তিনি এককালে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ফলে তাকে মেনে নিতে রাজি ছিল না আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে বিরোধে নানা ঘটনাপ্রবাহের পর ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জারি হয় জরুরি অবস্থা। সেটি ওয়ান-ইলেভেন নামে পরিচিতি পেয়েছে। এই সরকার দুই বছর দেশ চালায়। গ্রেপ্তার হন শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির যে দাবি, তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সরকার ব্যবস্থা বিরোধের জেরে ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি তারা ভুলে গেছে কি না, সেই প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।

চার দিনের ভারত সফরের বিষয়ে বুধবার ডাকা সংবাদ সম্মেলনে রাজনীতি নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

২০১৪ সালে দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে না আসা বিএনপি ২০১৮ সালের নির্বাচনে এলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করছে। নইলে ভোটে না এসে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা আছে তাদের।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন যারা তত্ত্বাবধায়ক বলে চিৎকার করছে, তারা ওয়ান-ইলেভেনের কথা ভুলে গেছে? ২০০৭-এর কথা ভুলে গেছে? যে কী অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছিল?’

বিএনপির ভোট বর্জনের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ ভোটে আসতে না চাইলে তার কিছু করার নেই।

১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরের বছরের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। ১৯৯৪ সালে ঢাকার মিরপুর ও মাগুরায় দুটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওঠার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামে আওয়ামী লীগসহ সে সময়ের বিরোধী দলগুলো।

আন্দোলনের মুখে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন হয়। তাতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতে এসেও বিএনপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। একপর্যায়ে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করে আবার জাতীয় নির্বাচন দেয়।

তখন সিদ্ধান্ত হয়, সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। তিনি রাজি না হলে সব দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে একজন হবেন এই সরকারের প্রধান। আর আলোচনায় কাউকে পাওয়া না গেলে হবেন রাষ্ট্রপতি।

১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সেই ভোটে জিতে ২১ বছর পর ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ২০০১ সালে।

ওই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জিতে বিএনপি-জামায়াত জোট আসে ক্ষমতায়। তবে সেই সরকারের আমলে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানো নিয়ে তৈরি হয় রাজনৈতিক বিরোধ।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের। তিনি এককালে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ফলে তাকে মেনে নিতে রাজি ছিল না আওয়ামী লীগ।

আন্দোলনের একপর্যায়ে কে এম হাসান জানান, তিনি এই পদের জন্য আগ্রহী নন। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের পদে কে আসবেন, এ নিয়ে বিরোধের মীমাংসা না হওয়ার পর বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনের ওপর বর্তায় সেই দায়িত্ব।

ইয়াজউদ্দিনের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট যায় আন্দোলনে। কিন্তু একবার পিছিয়ে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়।

একতরফা নির্বাচনের দিকে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন ভোটের ১১ দিন আগে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী। ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জরুরি অবস্থা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদ ছেড়ে দেন। দায়িত্ব নেন ফখরুদ্দীন আহমেদ।

‘তত্ত্বাবধায়ক চান, ওয়ান-ইলেভেন ভুলে গেছেন?’
২০০৭ সালে রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জরুরি অবস্থা জারি করলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ফখরুদ্দীন আহমেদ। এই সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন হলেও তারা থাকে প্রায় দুই বছর।

এই সরকারের আমলে প্রথমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং পরে গ্রেপ্তার হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গ্রেপ্তার হন খালেদাপুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানও। তারেককে আটক করে নির্যাতনের অভিযোগ এখনও করে থাকে বিএনপি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুর্নীতির দুটি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে, অর্থ পাচার মামলায় সাত বছরের সাজা ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে তারেক রহমানের।

সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ছিল ৯০ দিন। তবে ফখরুদ্দীনের সরকার দায়িত্ব পালন করে দুই বছর। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে ভোট হয়, তাতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে বলতে গেলে উড়িয়ে দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত রাখতে চাই। এই ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশে গত ১২ বছরে এত উন্নয়ন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে তো গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত আছে। ভুলে গেছেন, ’৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর যে বারবার ক্যু হচ্ছিল, একটা মিলিটারি ডিক্টেটরের পর আরেকটা মিলিটারি ডিক্টেটর বা ডিক্টেটরের স্ত্রী ক্ষমতা নিয়ে গেল ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে। জনগণের কী ছিল তখন? সারা রাত কারফিউ, কথা বলার অধিকার নেই। সাদা মাইক্রোবাসে কে কখন গায়েব হয়ে যাচ্ছে তার কোনো ঠিক নেই। এই তো ছিল বাংলাদেশের অবস্থাটা।’

কেউ ভোটে না এলে কিছু করার নেই

বিএনপিকে ভোটে আনতে বিশেষ কোনো উদ্যোগ বা চেষ্টা করা হবে না বলে আবার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটাই আমরা চাই। আর যদি কেউ না করে, সেটা যার যার দলের সিদ্ধান্ত। এর জন্য আমাদের সংবিধান তো আমরা বন্ধ করে রাখতে পারি না। সংবিধানের যে ধারা, সে অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকবে।’

সরকার সমালোচনা সহ্য করে না বলে বিএনপির অভিযোগের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা এখন টক শো করেন, যে যার মতো কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার আগে কে এত কথা বলার সুযোগ পেয়েছে বলেন তো? পায়নি। একটা টেলিভিশন, একটা রেডিও। কোথায় টক শো আর কোথায় মিষ্টি কথা।

‘এখন শুনি, সব কথা বলার পর বলে কথা বলার অধিকার নেই। আজকে রাস্তায় আন্দোলন, এখন জনগণ সাড়া না দিলে সেটা তো আমাদের দায়িত্ব না। আওয়ামী লীগ যে বিএনপির হাতে নির্যাতিত, সে কথাটা ভুলে গেছেন?’

‘তত্ত্বাবধায়ক চান, ওয়ান-ইলেভেন ভুলে গেছেন?’
ভারত সফর নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমার পার্টির কেউ যদি অন্যায় করে আমরা কিন্তু ছেড়ে দিই না। আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে কিছু বলব না, তা না। যে অন্যায় করবে তার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব এবং নিচ্ছি। সেটা আমি কখনও সহ্য করব না।’

‘মানুষ আ.লীগকে বেছে নেবে, তবে না নিলে কিছু করার নেই’

গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মতো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত বলেছেন, তারা যে উন্নয়ন করেছেন, তাতে জনগণ অবশ্যই তাদের ভোট দেবে।

তিনি বলেন, ‘এত কাজ করার পরে জনগণের যে ভোট, অবশ্যই তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যদি এই চলমান উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখতে চান। আর না চাইলে তো কিছু করার নেই। সেটা জনগণের ইচ্ছা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর বাংলাদেশের যে উন্নয়ন আমরা করতে পেরেছি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেয়া, দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা।

‘এই দেশে আগে আপনারা শীতকাল এলে শিম খেতেন, লাউ খেতেন, টমেটো খেতেন। এখন কিন্তু ১২ মাস খান। এটা আকাশ থেকে পড়েনি। গবেষণা করে আমরা এগুলো উৎপাদন করছি, সে সুযোগ করে দিচ্ছি বলেই কিন্তু এটা হয়েছে।

‘আগে কিন্তু এটা কেউ করেনি। এভাবে সার্বিক দিক থেকে, আপনি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য কর্মসংস্থান… এই যে মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য এতগুলো টেলিভিশন আমি কেন দিয়েছিলাম? আমার লক্ষ্য একটাই ছিল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া। সেটা হচ্ছে।

‘এই কর্মসংস্থান বহুমুখী, কত ধরনের মানুষ কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। সেইভাবে ব্যাংক, বিমা, শিল্প-কলকারখানা সবই তো আমি ওপেন করে দিয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় কথাটা হচ্ছে একদম গ্রাম পর্যায়ে, তৃণমূল পর্যায় থেকেই কিন্তু আমরা উন্নয়নটা করে যাচ্ছি। এই করোনার সময়েও আমরা অর্থের সরবরাহটা গ্রামে করেছি, মানুষ যাতে কোনো রকম কষ্ট না পায়। বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি।’

জাতীয় পার্টির ভূমিকা নিয়ে ভাবান্তর নেই

জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা করে গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন করা আওয়ামী লীগ কি আগামীতেও এই জোট করবে?- এমন প্রশ্ন ছিল একজনের।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন যখন হবে… আমরা ১৪ দল করেছি, তখন জোটবদ্ধ নির্বাচন করেছি। জাতীয় পার্টি আমাদের সঙ্গে ছিল কিন্তু তারা আলাদা নির্বাচন করেছে, আমাদের সঙ্গে একটি সমঝোতা ছিল।

‘আর ভবিষ্যৎ নির্বাচনে কে কোথায় থাকবে, তা সময়ই বলে দেবে। আওয়ামী লীগ উদারভাবে কাজ করে, আওয়ামী লীগের দরজা খোলা। নির্বাচনে যারা আমাদের সঙ্গে সব সময় ছিল, তারা থাকবে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

তিনি বলেন, ‘এখনও তো নির্বাচনের এক বছরের বেশি সময় বাকি আছে। সময় যতই যাবে, বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে। আমাদের সঙ্গে কে থাকবে না থাকবে, নতুন জোট হবে বা কী হবে হোক, অসুবিধা নেই তো।’

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নীতির বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনে নোমিনেশনের ব্যাপারে পরিবর্তন এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ক্ষেত্রমতে আমরা অবশ্যই যাচাই করে দেখব কার জেতার সম্ভাবনা আছে, কার নেই। অথবা আমাদের বেশ কিছু নিবেদিতপ্রাণ কর্মী আছে। হয়তো বেশিদিন বাঁচবে না, বয়ঃবৃদ্ধ হয়ে গেছে, তাদের আর কষ্ট দিতে চাইনি নোমিনেশন দিয়েছি, পরিবর্তন আনিনি।

‘এটা তো এমন একটা ব্যাপার, নির্বাচন সামনে রেখে আপনি কোনটা কতটুকু করবেন, কে ভোট পাবে-না পাবে, ভোট পেলেও জিতবে কি না সবকিছু বিবেচনা করেই নির্বাচনে দেয়া হয়।’

আরও পড়ুন:
‘কঠিন সময়ে দেশ, বিশ্বে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা’
ইউক্রেন যুদ্ধের নিষেধাজ্ঞায় সারা বিশ্বে ভোগান্তি: যুক্তরাষ্ট্রের দূতকে প্রধানমন্ত্রী
ব্রিটিশ হাইকমিশনে রানির প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ভারতের ৭ রাজ্যে নজর বাংলাদেশের
খালেদার ভারত সফর নিয়ে ভুল তথ্য আব্বাসের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
12000 crore loss in Cargo Village fire EAB

কার্গো ভিলেজের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি

কার্গো ভিলেজের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। এই পরিস্থিতিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিমার বাইরে করা পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক, বস্ত্রকল, ওষুধ, চামড়াসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডে স্পষ্ট যে কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর নয়। নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে কেবল ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানিকারকরা কার্গো ভিলেজে নিরাপত্তাহীনতা, গুদাম ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনা ও মালামাল চুরির অভিযোগ জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ইএবি বলেছে, ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য, ফলমূল, হিমায়িত খাদ্য ও অন্যান্য রপ্তানিকারক খাত এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হতে পারেন, যা ভবিষ্যতে রপ্তানি চুক্তি ও অর্ডারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইএবি সভাপতি বলেন, আগুনের ঘটনাটি যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে এবং দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অঘটন আর না ঘটে।
এ সময় কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ওষুধ শিল্পের জন্য আলাদা শীততাপনিয়ন্ত্রিত গুদাম স্থাপন, নিরাপদ দূরত্বে রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ ও সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গুদাম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ, গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় আকস্মিকভাবে আগুন লাগে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government ready to hold National Assembly elections in February Home Affairs Adviser

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে পুনরায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।”

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বডিওর্ন ক্যামেরা কেনা হবে এবং এ বিষয়ে সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এসব ঘটনা তদন্তের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে।

প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো এবং বিমান ও বিমানবন্দরে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলেও তিনি জানান। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League will not be able to participate in the next elections EC Anwarul

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ফাইল ছবি

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’

তিনি আজ রোববার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার জেলা পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রতীক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতীক নির্ধারণ সংবিধান ও নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় করা হয়। শাপলা প্রতীক সেই তালিকায় নেই।

তাই তা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো কর্মকর্তা যাতে নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’ সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Formation of a committee to assess the damage caused by fire in Shahjalal

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন ছবি: বাসস

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে।

অন্য সদস্যরা হলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মুঃ রইচ উদ্দিন খান ও মোঃ তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া।

কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
"National Board of Revenue publishes Authentic English Text of Income Tax Act 2023 in the form of official gazette notification"

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড SRO No-404-Law/2025 এর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় প্রণীত আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করে ২০২৩ সালে বাংলা আয়কর আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করার পর হতেই বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আয়কর আইনের Authentic English Text প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিলেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text না থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের বিষয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকতেন এবং বিভিন্ন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text সরকারী গেজেটে প্রকাশ হবার ফলে দেশী-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ আয়কর আইন সম্পর্কে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাবেন বিধায় করদাতাগণের আস্থা অধিকতর বৃদ্ধি পাবে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থবোধকতা দূর করে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর Authentic English Text সরকারি গেজেটে প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অচিরেই এই দুটি আইনের Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীগনের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the introduction of cashless non stop electronic toll collection ETC at Padma Bridge toll payment has become fast and digital Bridge Secretary

পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু হওয়ায় টোল পরিশোধ দ্রুত ও ডিজিটাল হয়েছে : সেতু সচিব

পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু হওয়ায় টোল পরিশোধ দ্রুত ও ডিজিটাল হয়েছে : সেতু সচিব

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পদ্মা সেতুতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাশলেস, টোল কালেক্টর ব্যতীত ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের টোল পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় এসেছে।


বর্তমানে বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের অ্যাপ এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধ করা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা বিকাশ অ্যাপে গিয়ে “টোল” অপশনের অধীনে “মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করুন” এ প্রবেশ করে গাড়ির নম্বর ও চেসিস নম্বরের শেষ ৪ (চার) ডিজিট প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। সফল রেজিস্ট্রেশনের পর ফিরতি এসএমএসে একটি Ekpass ID প্রেরণ করা হবে।


এই Ekpass ID ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপের “Pay Bill” অপশনের “D-Toll Top-Up” সেবার মাধ্যমে রিচার্জ করতে হবে। এরপর পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার নিকটস্থ রেজিস্ট্রেশন বুথে বিআরটিএ অনুমোদিত RFID ট্যাগ প্রথমবারের মতো যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। একবার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, যানবাহন কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ETC লেন ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবে।

১৮ অক্টোবর সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতুর ইটিসি বুথ পরিদর্শন করেন এবং ইটিসি সেবা ব্যবহার করে পদ্মা সেতু পারাপার করেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ETC সিস্টেমের লাইভ পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এই সেবার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ETC সিস্টেমের মাধ্যমে মোট ১,৮১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট ৩৪,৯১,৭০০ টাকা টোল আদায় সম্পন্ন হয়েছে।


সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মহোদয়ের বিশেষ নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনায় পদ্মা সেতুতে এই ETC সিস্টেম বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি দেশের টোল ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা সময়, জ্বালানি ও মানবসম্পদের অপচয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।


ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ এই সেবার আওতায় যুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর a2i (এটুআই) কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং নতুন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে সংযুক্তির কাজ অব্যাহত রয়েছে।


এই টোল কালেক্টর ব্যতীত নন স্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু ব্যবহারকারীরা দ্রুত, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে টোল পরিশোধ করতে পারবেন—যা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The local government department gave historical recognition by distributing a check of Tk

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।" শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন ইতিহাস থেকে যেনো কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,"শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।" এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া।

মন্তব্য

p
উপরে