রেল খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন হাওলাদার রনির করা অভিযোগে সহজকে দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিতের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. রিয়াজ খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতের এ আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কান্তি বল।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াতে সহজ ডটকম আবেদন করে। তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আরও দুই মাস সময় বাড়িয়েছে। আমরা এর বিরোধিতা করেছি।’
গত ৩১ জুলাই রেল খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে মহিউদ্দিন রনির করা অভিযোগে সহজকে দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছিল হাইকোর্ট।
গত ১৩ জুন রেলওয়ের ওয়েবসাইটে ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার টিকিট কাটার চেষ্টা করেন মহিউদ্দিন রনি। অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমে বিকাশ থেকে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। কিন্তু পিন নম্বর দিয়ে সেটি নিশ্চিত করার আগেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টিকিটের মূল্য কেটে নেয়। ঘটনার পর রনি কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে রেলওয়ের সার্ভার রুমে অভিযোগ করেন। সেখান থেকে কারণ হিসেবে জানানো হয়, সিস্টেমের কারণে এমন হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়া হবে।
রনির অভিযোগ, তখন তার চোখের সামনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তার বুকিং করা ৬৮০ টাকার আসনটিই আরেক যাত্রীর কাছে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন স্টেশনের কম্পিউটার অপারেটর। এরপর ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ১৪ ও ১৫ জুন দুইবার অভিযোগ করেন তিনি।
রনির অভিযোগের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ২০ জুলাই শুনানি হয়। শুনানি শেষে রেলের টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সহজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে বাণিজ্যসচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে গত ২৬ জুলাই সহজ রিট করে।
আরও পড়ুন:র্যাব সদস্যদের হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তির আলোচিত ইউপি সদস্য মো. বজলুর রহমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বজলুরের বাড়ি বরিশালে। তিনি কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরির্দশক বাচ্চু মিয়া জানান, বজুলর মরহেদ মর্গে রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, বজলু আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। হৃদযন্ত্রে সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। এক সপ্তাহ আগে কারাগারে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে বজুলকে পাঠানো হলে তাকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। সেখানে তিনি মারা গেছেন।
র্যাব সদস্যদের হত্যাচেষ্টা মামলায় গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বজলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় র্যাব-১ অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল-মোমেন জানান, চনপাড়া বস্তির শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট ছিলেন বজলু। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বজলুর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং পরিচালনা, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং যৌন ব্যবসা পরিচালনার তথ্য পাওয়া গেছে। এরপর তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে আদালত বজলুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তারপর থেকে বজলু নারায়ণগঞ্জ কারাগারে বন্দি ছিলেন।
বজলুর রহমানের মেঝ মেয়ে রুমা আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা বজলুর রহমান কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি শেখ নাসের নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
‘আমাদের নিজ বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে। আমার দাদার নাম নাদের বক্স সরদার।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লা বরুড়া উপজেলায় ২১ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে বন্দুক ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার চিতড্ডা ইউনিয়নের ভঙ্গুয়া ব্রিজের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৮ বছর বয়সী গ্রেপ্তার মো: মনির হোসেন ওরফে মনির ডাকাত উপজেলার ঝলম মোল্লাবাড়ীর বাসিন্দা। গ্রেপ্তারের সময় মনিরের কাছ থেকে একটি দেশীয় পাইপ গান ও ২টি গুলি জব্দ করা হয়।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন শুক্রবার সকালে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার মনির ডাকাত ২১ মামলার আসামি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হবে। শুক্রবার ডাকাত মনিরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’
ডাকাত মনিরকে গ্রেপ্তারের পর পুরো বরুড়া উপজেলায় স্বস্তি নেমে আসে।
ঝলম এলাকার বাসিন্দা আবদুল হালিম বলেন, ‘এমন কোনো অপরাধ নেই যা মনির করতো না। সকালে ডাকাত মনির গ্রেপ্তারের পর এলাকার মানুষ যেন ঈদের আগে ঈদের আনন্দ পেয়েছে।’
আরও পড়ুন:কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বন্দি প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে।
রমনা থানায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন আবেদন নাকচ করে শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এর এক দিন পর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে কাশিমপুরে নেয়া হলো।
মামলায় বৃহস্পতিবার শামসুজ্জামানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার।
আবেদনে বলা হয়, ‘আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে।’
অন্যদিকে শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।
আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সাংবাদিকের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
রমনা থানায় মামলা
স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের নামে বুধবার মধ্যরাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আবদুল মালেক নামের এক আইনজীবী।
রমনা থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামানের বাইরে সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।
তেজগাঁও থানায় মামলা
সংবাদ প্রকাশের জেরে বুধবার দুপুরে শামসের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোলাম কিবরিয়া একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মামলাটি করেছেন। এই মামলায় তাকে (শামসুজ্জামান) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গ্রেপ্তার করেছে। মামলাটির তদন্তও সিআইডি করছে।’
মামলার বাদী গোলাম কিবরিয়া ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।
মামলা করা প্রসঙ্গে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হইছে, এই সংবাদপত্রটা মিথ্যা এবং আমাদের দেশের বিরুদ্ধে হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা মামলাটা করছি, আর কিছু না।’
যুবলীগের এ নেতা বলেন, ‘মামলা করার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। আমি একজন সাধারণ মানুষ, সাধারণ নাগরিক হিসেবে এটা করছি। আমি দলীয় পরিচয় বা হাইলাইট হওয়ার জন্য এটা করি নাই।’
পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে তাদেরকে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এমনটা উল্লেখ করে চাঁদাবাজি ও নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হকার্স ইউনিয়নের নেতারা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে কিংবা খালি জায়গায় হকারি করে শতাধিক লোক জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টায় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপ এবং সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ পরিচয়ে পর্যায়ক্রমে দু’বার দল বেঁধে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
আরও বলা হয়েছে, কোনো হকার দাবিকৃত অংকের টাকা দিতে অপারগ হলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। চার মাস ধরে চলে আসা এই চাঁদাবাজি ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি বহু জায়গায় জানানোর পরও প্রতিকার মেলেনি।
সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে সদরঘাট এলাকায় আমরা একটি প্রোগ্রাম করতে যাই। সেখানে ওই এলাকার ভুক্তভোগী হকাররা আমাদেরকে বিষয়টি জানান। আমরা বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়কে জানিয়েছি।’
হকার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিরোজ বলেন, ‘আমরা বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি জমা দিয়েছি। পরবর্তীতে আমরা ডিএমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠাব। এরপর তিন চারদিন অপেক্ষা করে দেখবো কী পদক্ষেপ নেয়া হয়। সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করব।’
চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, ‘কেউ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তুললে তার দায়ভার তো আমরা নেব না। ক্যাম্পাসের আশপাশে আমাদের কোনো কর্মী চাঁদাবাজি করে না। আর ছাত্রলীগে চাঁদাবাজের কোনো জায়গা নেই।’
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, ‘একটা অভিযোগ দিয়ে চিঠি দিয়ে দিলেই তো কোনো কিছু প্রমাণ হয়ে যায় না। চাঁদাবাজির কোনো ভিডিও, রেকর্ডিং তো নেই। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শুধু ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করতে চাচ্ছে। আর তারা আমাদের কারও চাঁদাবাজির প্রমাণ দিতে পারলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’
নওগাঁয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে আটক হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় র্যাবের ১১ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বৃহস্পতিবার রাতে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জেসমিন মৃত্যুর ঘটনায় র্যাব সদর দপ্তরের ইনকোয়ারি টিম রাজশাহীতে রয়েছে। জেসমিনকে আটকের অভিযানে সংশ্লিষ্ট ১১ সদস্যকে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে জেসমিনকে আটক ও পরবর্তীতে মৃত্যুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তারা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, ওই ঘটনা তদন্তে কাজ করছে র্যাব সদর দপ্তরের ইন্টারনাল ইন্টারোগেশন টিম। তারা এখন রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। জেসমিনকে আটকে অভিযান চালিয়েছিল র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের যে দলটি সেই দলের প্রত্যেককেই জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে র্যাবের ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি এখন রাজশাহীতেই অবস্থান করছে। মূলত তদন্ত কমিটি এই সদস্যদের কাছ থেকে নানা প্রশ্নের উত্তর জানছেন। তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতার অংশ হিসেবেই তাদের রাজশাহীতে আনা হয়েছে। এটি ‘প্রত্যাহার’ কিংবা ‘ক্লোজড’ পর্যায়ের বিষয় নয়।
জেসমিনের হার্টের নমুনা ল্যাবে
এদিকে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে করা ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেতে আরও খানিকটা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক। এজন্য জেসমিনের হার্টের পরীক্ষা করার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে প্যাথলজি বিভাগে।
পুলিশ বলছে, সুলতানা জেসমিন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার অবস্থায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হকের করা মামলাটি তারা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।
সুলতানা জেসমিন র্যাবের হেফাজতে অসুস্থ হয়ে যখন রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার দিন রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হক। পরদিন মারা যান জেসমিন।
এই মামলায় এনামুল হক দুজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২/৩জনকে আসামি করেন। এক নম্বর আসামি আল আমিন। তার বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায়। ২ নম্বর আসামী মোছা. সুলতানা জেসমিন।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এনামুল হকের মামলার সূত্র ধরে পুলিশ ঘটনাটির সবকিছুই জানার চেষ্টা করবে। ওই নারীর আগের কোনো মামলার রেকর্ড এখন পর্যন্ত নেই। তার অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। সে সঙ্গে আর্থিক লেনদেন, ব্যাংক হিসাব বা মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন আছে কিনা এসবও তদন্ত করা হবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনার মূল তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য যতগুলো দিক অনুসন্ধান করা দরকার পুলিশ সেটা করছে।’
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন জানান, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন কবে নাগাদ দেয়া যাবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে খুব একটা দেরি হবে না বলে আভাস দেন তিনি।
ডা. কফিল বলেন, ‘হার্টের একটি পরীক্ষার জন্য প্যাথলজি বিভাগে নমুনা পাঠানো হয়েছে। এই পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরই ফরেনসিক বিভাগ কাজ করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে পারবেন। প্যাথলজি বিভাগের রিপোর্ট পেতে সাধারণত সপ্তাহখানেকের বেশি সময় লাগে না। আর এই রিপোর্ট না পেলে টু দ্য পয়েন্টে কিছু বলা যাবে না।’
রামেক-এর প্যাথলজি বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই তারা রিপোর্ট দিতে পারেন। আর তা হলে এই সপ্তাহেই ময়না তদন্ত প্রতিবেদনও পাওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, নওগাঁয় ওই নারীকে আটক করেছিলেন র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের। ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছেন মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। র্যাবে এই পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে কোম্পানি কমান্ডারের দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই অভিযানের বিষয়ে কোম্পানি কমান্ডারসহ অভিযানে থাকা গাড়িচালক থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁর নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে স্থানীয় ভূমি অফিসে কর্মরত সুলতানা জেসমিনকে আটক করেন র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। আটকের প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুরে সুলতানাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে ১৫-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কলঙ্কজনক উল্লেখ করে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে এক তলবি সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সমিতির সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে এ তলবি সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বলা হয়, আগামী ১৪-১৫ জুন নতুন করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদকে আহ্বায়ক এবং আইনজীবী শাহ্ আহমেদ বাদলকে সদস্য সচিব করে সুপ্রিম কোর্ট বারে ১৪ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সমিতির সংবিধান অনুযায়ী অফশন ফরম বিতরণ করে ১৫ মে’র মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং ১৪ ও ১৫ জুন সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি বারের সদস্যরা প্রশ্ন তুলছেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের এ অবস্থাটা কী করে হল। অতএব, সেজন্য সুপ্রিমকোর্ট বারের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যে যারা কলঙ্ক লেপন করেছেন, তাদের সম্পর্কে নোটিশ দেয়া দরকার। আর এই কলঙ্ক মোছার কাজটা অতি সত্বর করা প্রয়োজন বলে কি আপনারা সবাই মনে করেন না?
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, আমাদের ডিগনিটি অফ দ্য ল’ইয়ার (আইনজীবীদের মর্যাদা) অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ডিগনিটি সমিতির সবার জন্যই আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে আগামী নির্বাচনে আশা করি সেই সঙ্কট অতিক্রম করে আমরা একটি স্বাধীন বার অ্যাসোসিয়েশন করতে পারব।’
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর হলরুমে সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭(৩)(এ) অনুযায়ী সদস্যদের তলবি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদক, সিনিয়র আইনজীবীসহ বহু আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য দেন তলবী সভা আহ্বানকারী সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ।
সভায় সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকশ’ আইনজীবী অংশ নেন।
সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে বারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ বারের রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি। ১ এপ্রিল থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা বারের অফিস অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা হলেন- সিনিয়র আইনজীবী আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মো. নজরুল ইসলাম, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী, ড. এম খালেদ আহমেদ, তৈমূর আলম খন্দকার, এস এম খালেকুজ্জামান, মির্জা আল মাহমুদ, মো. সাইফুর রহমান, ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেন, ড. শামসুল আলম ও এস এম জুলফিকার আলী জুনু।
এছাড়া কমিটির উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হয়েছে- সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ব্যারিস্টার জমীর উদ্দিন সরকার, এফ এম হাসান আরিফ, জয়নুল আবেদীন, বিচারপতি হাবিবুর রহমান ভূইয়া, এ জে মোহাম্মদ আলী, এম কে রহমান ও আবু সাইদ সাগরকে।
সভায় সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ রেজুলেশন পাঠ করেন এবং এই রেজুলেশন সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়।
রেজুলেশনে বলা হয়েছে- তলবি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট বার অফিস সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সেক্রেটারি আবদুন নুর দুলালের আদেশে কাজ করবে না। ১ এপ্রিল থেকে সমিতির অফিস শুধু অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আদেশে পরিচালিত হবে। অ্যাডহক কমিটি শুধু সমিতির রুটিন কাজগুলো করবে।
প্রসঙ্গ, ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের প্রথম দিনে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অনেক আইনজীবী আহত হন।
এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। যদিও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের দাবি, তারা এই ভোটগ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন। দুই দিনব্যাপি ভোট গ্রহণ শেষে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪টি পদে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা জয়ী হন।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ভেতরে ঢুকে পুলিশি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীসহ সারাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে সমলোচনার ঝড় ওঠে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার নতুন করে তলবি সভা করে আবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলো।
আরও পড়ুন:ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
আগের দিন করা মামলায় শামসুজ্জামানকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এ মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেনি পুলিশ।
মামলায় শামসুজ্জামানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার।
আবেদনে বলা হয়, ‘আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে।’
অন্যদিকে শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।
আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সাংবাদিকের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
রমনা থানায় মামলা
সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের নামে বুধবার মধ্যরাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আবদুল মালেক নামের এক আইনজীবী।
রমনা থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামানের বাইরে সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।
তেজগাঁও থানায় মামলা
স্বাধীনতা দিবসে একটি সংবাদ প্রকাশের জেরে বুধবার দুপুরে শামসের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোলাম কিবরিয়া একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মামলাটি করেছেন। এই মামলায় তাকে (শামসুজ্জামান) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গ্রেপ্তার করেছে। মামলাটির তদন্তও সিআইডি করছে।’
মামলার বাদী গোলাম কিবরিয়া ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।
মামলা করা প্রসঙ্গে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হইছে, এই সংবাদপত্রটা মিথ্যা এবং আমাদের দেশের বিরুদ্ধে হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা মামলাটা করছি, আর কিছু না।’
যুবলীগের এ নেতা বলেন, ‘মামলা করার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। আমি একজন সাধারণ মানুষ, সাধারণ নাগরিক হিসেবে এটা করছি। আমি দলীয় পরিচয় বা হাইলাইট হওয়ার জন্য এটা করি নাই।’
এ মামলায় বৃহস্পতিবার শামসুজ্জামানের বিষয়ে আদালতে কোনো আবেদন করা হয়নি।
মন্তব্য