২৩ জনকে সহসভাপতি ও ৮২ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে ৩০২ সদস্যের ঢাউস পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটিরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
রোববার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে সভাপতি ও সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি পদে রাশেদ ইকবাল খান, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহিয়াকে বেছে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংসদ।
পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ৬২ জনকে, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ৩৮ জন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ৭৩ জন এবং সাধারণ সদস্য করা হয়েছে ১৯ জনকে।
সহ-সভাপতি
রাশেদ ইকবাল খান, তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, রিয়াদ মো. ইকবাল হোসেন, শেখ আল ফয়সাল, কামরুজ্জামান আসাদ, মুতাছিম বিল্লাহ, ঝলক মিয়া, রোকনউজ্জামান রোকন, নিজাম উদ্দীন রিপন, মাহাবুব মিয়া, আক্তারুজ্জামান আক্তার, আকতার হোসেন, নাসির উদ্দীন আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম আনিক, করিম প্রধান রনি, ইসামন্তাজ ইজাজ শাহ্, মারুফ এলাহি রনি, সুলতানা জেসমিন জুঁই, সাইফুল ইসলাম সিয়াম, সাজ্জাতুল হানফি সাজ্জাদ, কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
সহ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রাকিব।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক
জহরিুল ইসলাম (জহির রায়হান আহমেদ), ইউনুচ আলী রাহুল, শাহ আলম, ইব্রাহিম খলিল ফিরোজ, মাহতাব উদ্দীন জিমি, সালাউদ্দীন, তৌহিদুর রহমান আউয়াল, আনোয়ার পারভেজ, আকন মামুন, আরিফুর রহমান, অহিদুল ইসলাম অপু, বায়েজিদ প্রধান, আব্দুর সাত্তার পিয়াস, খায়রুল আলম সুজন, মারজুক আহমেদ (আল আমিন), মাকসুদুর রহমান সুমিত, রেজাউল করিম তাহসান, শফিকুল ইসলাম বাবু, রাকিবুল হাসান রকি, জাহিদুল ইসলাম, জুয়েল মৃধা, মিলন হাওলাদার, এইচ এম আবু জাফর, সোহেল রানা, আবু সুফিয়ান, মশিউর রহমান মামুন, সাফি ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, সাকির আহমেদ, শাহজাহান শাওন, ওয়ালিউর রহমান জনি, লিটন এ আর খান, আরিফ হোসেন, সজীব মজুমদার, আশিকুর রহমান, রিয়াদ-উর-রহমান, হাসান আল আরিফ, শিপন বিশ্বাস, মঞ্জুরুল ইসলাম রিয়াদ, হাফিজুর রহমান সোহান, নাদির শাহ পাটওয়ারী, শ্রী মিঠুন কুমার দাস, মুহাম্মদ ওয়াসিফ সরওয়ার, সালেহ মো. আদনান, আমান উল্লাহ আমান, মোহাম্মদ আবুল বাশার, মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, মোস্তাফিজুর রহমান, শাখাওয়াত হোসের সুহান, এস এম মাহমুদুল হাসান রনি, জসিম উদ্দীন, আবুল খায়ের ফরাজী, শরিফুল ইসলাম রাকিব, জহির হাসান (মোহন), মামুন হোসেন, মাহমুদুল হাসান মারজান, আশিক আহমেদ, হাসিবুল ইসলাম সজীব, মাসুদ হোসাইন (মাসুদ রানা), মামুন খান, আনিসুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম সাইফ, নাজমুল হুদা, আমিনুর রহমান শান্ত, তৌহিদুল ইসলাম এরশাদ, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন রফিকুল হাসান পলাশ অয়ন, জকির উদ্দিন আবির, কাজী জিয়া উদ্দনি বাসেত, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুর রহিম সৈকত, সাইফুল হক তাজ, সালাউদ্দিন খালিদ হিমেল ভূইয়া, খোরশেদ আলম লোকমান, সালাউদ্দিন হিমেল, মাসুদ রানা রিয়াজ, সোহরাব হোসেন সুজন, রুপক মিয়া, ত্বন্বী মল্লিক, শ্যামলী আক্তার এবং রেহেনা আক্তার শিরিন।
সহ-সাধারণ সম্পাদক
সীরাতুল সাঈম, বায়েজিদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মওদুদ আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মাইনুল ইসলাম সোহান, কাজী শামসুল হুদা, সাইদ আহমেদ, আব্দুলাহেল কাফী, শাহরিয়ার ইমন, ইমরান আলী সরকার, গাজী হারুনুজ্জামান, সাইদ মাহমুদ তারেক, মাহের হোসেন, আব্দুস সাত্তার রনি, রুবেল হোসেন, জহিরুল ইসলাম দিপু পাটোয়ারী, কাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাজু, রেজোয়ান আহমেদ, এস এম ফয়সাল, নুর নবী পলাশ, কামরুজ্জামান কামরুল, নুরে আলম, আরিফুল ইসলাম রবিন, মীর ইমরান হোসেন মিথুন, খন্দকার রাজ্জাকুর রহমান রাজ, বাছিরুল ইসলাম রানা, হারুনুর রশিদ, আরিফুল রহমান আরমান, রুহুল আমিন, সানজিদা ইয়াসমিন তুলি, নাসরিন আক্তার পপি, মোহাম্মদ হোসাইন মিথুন, আজিজুল হক জয়িন, মোকছেদুল মোমিন মিথুন, আনিছুর রহমান রাসেদ, সোয়েবুর রহমান সোয়েব, ইসলামুল হক চঞ্চল, হায়াত মাহমুদ জুয়েল, সোহেল সরকার, সেলিম রেজা, আল মামুন, নাইম মাহমুদ, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, আরিফুর রহমান আমিন, মেহেদি হাসান, রয়েল হক, আরিবা নিশীথ, জামিল হোসেন মুরসালিন, আক্তারুজ্জামান আকতার, রুহুল আমিন হিমেল, মিজানুর রহমান মিজান, ফেরদৌস হোসনে ফয়সাল, জসিম উদ্দীন সম্রাট, তানজিয়া আফরিন এলিনা, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আব্দুল্লাহ আল মামুন কাওসার, আল-মামুন জাহিদুল ইসলাম বাবু,
সাংগঠনিক সম্পাদক
আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া।
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক
সাইদুর রহমান সাইদ, এস এম দিদারুল ইসলাম দিদার, আল আমিন, ইসতিয়াক কামাল সজীব হাওলাদার, অলিউদ্দিন অলি, আবুল হোসেন হাওলাদার আশিক, হিমেল আল ইমরান, এম এ রহিম শেখ, জাহিদ পারভেজ, আসাদুজ্জামান তরফদার আশা, শহীদুল ইসলাম নয়ন, আরিফুল ইসলাম আরিফ, দেওয়ান সাইদুল ইসলাম পলাশ, শামীম খান, রবিউল ইমরান নওশেদ, সৈয়দ ফয়সাল হোসেন, ইব্রাহিম খলিল বিপ্লব, সোহেল রানা, সিরাজুল ইসলাম শ্রাবন, মাহফুজুর রহমান, শাখওয়াত আলী সুজার, মানিক ভূইয়া, মনির হোসেন, ইরফান আলী, আব্দুল্লাহ আল মুনছুর কমেট, জসিম উদ্দন সরদার, জি এম রাকিবুল হাসান রকি, মামুন মজুমদার, আল-আমীন, আকরাম হোসেন তারেক, সজীব চৌধুরী, সৈয়দ নাজমুল ইসলাম (বাহার), নজরুল ইসলাম রাড়ী, সজীব বিশ্বাস (মঞ্জুরুল ইসলাম), সারোয়ার আলম, মতিউর রহমান, জাকারিয়া হোসেন ইমন, শামীম হোসেন এবং সাইফুল ইসলাম সাগর।
সম্পাদকমণ্ডলী
দপ্তর সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা)
সহ-দপ্তর সম্পাদক: শাহারিয়ার হক মজুমদার শিমুল (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা)
প্রচার সম্পাদক: ওমর সানি (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা)
সহ-প্রচার সম্পাদক: শাহারিয়ার
সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক: শরীফুল প্রধান শরীফ
সহ-সাহত্যি ও প্রকাশনা সম্পাদক:- সাজিদ হাসান
আন্তর্জাতিক সম্পাদক: রিয়াজ আনোয়ার হোসেন
সহআন্তর্জাতিক সম্পাদক: নাহিয়ান
ক্রীড়া সম্পাদক: ওমর ফারুক মামুন
সহ-ক্রীড়া সম্পাদক: রাধে শ্যাম বিশ্বাস রাজেশ
সমাজসেবা সম্পাদক: মওদুদ হোসেন মঈন
সহ-সমাজসেবা সম্পাদক: রনি হাওলাদার
তথ্য ও গবষেণা সম্পাদক: জি এম ফখরুল হাসান
সহ-তথ্য ও গবষেণা সম্পাদক: আলী আহমেদ রকি
সাংস্কৃতকি সম্পাদক: ফারুক হোসেন
সমাজসেবা সম্পাদক: মওদুদ হোসেন মঈন
সহ-সমাজসেবা সম্পাদক: রনি হাওলাদার
তথ্য ও গবষেণা সম্পাদক: জি এম ফখরুল হাসান
সহ-তথ্য ও গবষেণা সম্পাদক: আলী আহমেদ রকি
সাংস্কৃতকি সম্পাদক: ফারুক হোসেন
সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক: জান্নাতুল নওরিন উর্মী
আইন সম্পাদক: সাজ্জাদ হোসেন সবুজ
সহ-আইন সম্পাদক: এইচ এম জাহিদুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন পলাশ, আব্দুল সালাম হিমেল, ওয়ালিউল্লাহ, মিয়া মো. হান্নান
যোগাযোগ সম্পাদক: মিনহাজ আহমেদ প্রিন্স
সহ-যোগাযোগ সম্পাদক: জহিরুল ইসলাম রুবেল
পাঠাগার সম্পাদক: আসাদুজ্জামান রিংকু, আনিসুর রহমান আনিচ।
অর্থ সম্পাদক: রিয়াজ হোসেন
সহ-র্অথ সম্পাদক: রিয়াদ আহমেদ
মানবাধিকার সম্পাদক: নকিবুল ইসলাম নকিব
সহ-মানবাধিকার সম্পাদক: নয়ন বাছার
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক: মশিউর রহমান সরকার
সহ-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক: শাহরিয়ার হোসেন পিয়াস, নওয়াজীস ইসলাম রিয়েল।
আপ্যায়ন বিয়ষক সম্পাদক: মেহেদী হাসান রাজা
সহ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক: ফকির ইব্রাহিম
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: মির্জা ফয়সাল
সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: সোহাগ সর্দার
স্কুল বিষয়ক সম্পাদক: সুফী ওবায়দুর রহমান সামিত
সহ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক: মিজানুর রহমান (দয়াল)
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: হাফেজ মো. শামছুদ্দিন
সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: মৃনাল চন্দ্র সুজন, দীপ্ত মিত্র,
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক: আপেল মাহমুদ
সহ-সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক: শামীম আকন
পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক: গোলাম কিবরিয়া
সহ-পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক: মাসুম বিল্লাহ
গণশক্ষিা বিষয়ক সম্পাদক: শাহিন রেজা শিশির
সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক: জিল্লুর আল-রাজী
প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক: রেজাউল হাসান বাপ্পি
সহপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক: পি কে মেহেদী হাসান
গণসংযোগ সম্পাদক: ফিরোজ আলম
সহ-গণসংযোগ সম্পাদক: শাহ পরান খান
নাট্য বিষয়ক সম্পাদক: এনামুল হক এনাম
সহ-নাট্য সম্পাদক: সোহাগ মোল্লা
স্বাস্থ্য সম্পাদক: সাইফুল আলম বাদশা
সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক: মাহবুব শেখ
সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক: এ এম মেহেদী হাসান
সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক: এরফান হোসেন নিবিড়
সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক: আবু সাইদ মো. মুহিবুল্লাহ্
ত্রাণ ও র্দুযোগ ব্যবস্হাপনা সম্পাদক: তানভীর আহমেদ তানু
সহ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা সম্পাদক: নাছির উদ্দিন মঞ্জু
শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক: মিয়া মো. রাসেল
সহশিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক: হুমায়ন কবির নয়ন
কৃষি ও গবেষণা সম্পাদক: জাহিদ শাকিল
সহ কৃষি ও গবেষণা সম্পাদক: সাকিব সরদার
বৃত্তি ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক: আরিফ আহমেদ রনি
সহ-বৃত্তি ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক: রিয়াজ হাওলাদার
কর্মসূচি প্রণয়ন ও পরিকল্পনা সম্পাদক: রাজিব হাসান
সহ-কর্মসূচি প্রণয়ন ও পরিকল্পা সম্পাদক: তাইফুর রহমান ফুয়াদ
মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সম্পাদক: শাকিল আহমেদ
সহ-মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা সম্পাদক: লাবু বেপারী
ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক: মানসুরা আলম
সহ-ছাত্রী সম্পাদক: জান্নাতুল ফেরদৌস
সদস্য
আরিফুর রহমান আরিফ, ফয়েজ উল্লাহ সরকার, গোলাম রহমান খান, সাহেদ হাসান, রাজিব মৃধা, অলিউজ্জামান সোহেল, মাকসুদা রিমা, খলিলুর রহমান খান সম্রাট, মাকসুদা মনি, মোবারক হোসেন, এইচ এম সাইফুল ইসলাম সজীব, কাজী আজহার হোসেন, মেহেদী হাসান সোহাগ, আজাদ মাহমুদ, হাফিজুর রহমান, আমির হামজা রাজু, আনিচুর রহমান খান, শারমিন সুলতানা রুমা, আফজাল হোসেন এবং সীমান্ত দাস।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমা প্রার্থনা কমপক্ষে তিনবার চেয়েছি। অধ্যাপক গোলাম আজম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং আমিও চেয়েছি। শুধু এখন নয়, ৪৭ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামী দ্বারা কেউ যদি কোনো কষ্ট পেয়ে থাকেন অথবা কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে আমি সব ব্যক্তি এবং সংগঠনের পক্ষে নিঃশর্তে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ক্ষমার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা যাবৎ স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, এ ক্ষমা গোটা জাতি হইলেও চাই, ব্যক্তি হইলেও চাই, কোনো অসুবিধা নাই। আমরা কেউ কখনো বলিনি—আমরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে।
জামায়াত আমির বলেন, আমাদের ১০০টার মধ্যে ৯৯টা সিদ্ধান্ত সঠিক, একটা তো বেঠিক হতে পারে। সেই বেঠিক একটা সিদ্ধান্তের জন্য জাতির ক্ষতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমার কোনো সিদ্ধান্তের জন্য যদি জাতির ক্ষতি হয় তাহলে আমার মাফ চাইতে অসুবিধা কোথায়?
ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী সংখ্যালঘুরা নির্বিঘ্নে থাকবে বলে উল্লেখ করেন ডা. শফিকুর রহমান।
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দিতে কোনো আইনগত বাঁধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন কাউকে খুশি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের দেখাক কোন আইনে শাপলা প্রতীক এনসিপিকে দেওয়া যাবে না। রোববার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রাপ্য মার্কা দেয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারে না, আমরা মনে করি সেই কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এই বাংলাদেশে হতে পারে না। এনসিপি আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রত্যাশা করি, যে আমরা শাপলা প্রতীক পেয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো। এটা যদি তারা আমাদের সাথে অন্যায় করে, তাহলে আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তাঘাটে নেমে হাহাকার করতো। কর্মসূচী দিয়ে হাহাকার করতো। আমরা অনেক অফিস দেখেছি যে, অফিসের সামনে ১০ জন লোক দাড়ানোর মতো ছিল না, বড় বড় রাজনৈতিক দলের অফিস। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনগণ তখনই রাস্তায় নেমেছে, যাদের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছে। এখন যদি জনগণের ওই আস্থার প্রতিদান কেউ কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল না দেয়, জনগণ তাদের মতো করে আগামীতে যখন সুযোগ হবে জনগণ তার সুফল দেখাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলি, আপনারা ইতিহাস থেকে দয়া করে শিক্ষা নেন। জুলাই সনদ আপনারাও চান, আমরাও চাই। আপনারা যদি জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্রের মতো নাম কাওয়াস্তে একটি পেপার চান, ওই সনদ আমরা চাই না।
এর আগে তিনি জেলা এনপিসির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা এনপির প্রধান সমন্বয়কারী ফয়সনাল করিম সোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুল আহাদসহ প্রমুখ নেতারা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য মানিকগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এস.এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে ঘোষিত রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফায় বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ কীভাবে চলবে, শিক্ষিত যুবকদের চাকরি ব্যবস্থা করা হবে, চাকরী যতদিন না হবে তাদের বেকার ভাতা দেওয়া হবে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সরকার ক্রয় করবে। ৩১ দফায় কৃষকদের কৃষি উপকরণ, কৃষক-শ্রমিক গ্রাম-গঞ্জে খেটে খাওয়া দিনমুজুর, মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কথা রয়েছে। শনিবার রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা কলিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বিএনপির উদ্যোগে তালুকনগক ডিগ্রী কলেজ মাঠে তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারণা সভা ও লিফলেট বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে হবে। আমি নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরের উন্নয়ন ও কৃষক শ্রমিক, দু:স্থ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব।
তালুকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে ও কলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক আব্দুস সামাদ এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউজ্জল রবির সঞ্চলানায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপি সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি লোকমান হোসেনসহ নেতারা।
শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশী ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলোচিত নেত্রী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, আমি সংসদে যেতে পারলে শেরপুরের দেড় থেকে দুই লাখ বেকারের চাকরির ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, আমাকে আপনারা জাতীয় সংসদে যাওয়ার ব্যবস্থা করলে নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীরা যাতে শুধু ঘরে বসে না থাকে সে জন্য তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আমি সম্মানিত শিক্ষকদের দাবির প্রতি সমর্থন করি এবং একাত্মতা প্রকাশ করছি। তাদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আমি চেষ্টা করব।
ডা. প্রিয়াঙ্কা গত শনিবার সন্ধায় শহরের ৫নং ওয়ার্ডের খরমপুর মহল্লার ডা. সেকান্দর আলী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজিত এক নারী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুলতানা রাজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ নারী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হযরত আলী, সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জাফর আলী. বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন, প্রভাষক শফিউল আলম চান, রেজাউল করিম রুমি, শ্রমিক দল নেতা মো. শওকত হোসেনসহ আরও অনেকে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়। তারপরেও এ আসনের সকল নারীরা আমার সাথে ছিলেন সে জন্য আমি এই নারীদের ছেড়ে কখনোই চলে যাব না। আমি আপনাদের ঋণের কথা কখনোই ভুলতে পারব না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর হওয়ার পর দেশে নির্বাচন নিয়ে আর কোন সমস্যা নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলে বিএনপি প্রত্যাশা করে।
শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা প্রসঙ্গে দুদু বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। সকলের ভিন্নমত পোষনের সুযোগ আছে। যেসব দল ভিন্নমত পোষণ করে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি আমাদের ধারণা তারা ভবিষ্যতে স্বাক্ষর করবে। কেননা, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, যেসব দল স্বাক্ষর করেনি, তাদের জন্য ভবিষ্যতেও সুযোগ আছে।
বিএনপি সরকার গঠন করলে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে দেশের উন্নয়ন গতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করেন শামসুজ্জামান দুদু।
নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে অভিযোগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, শহীদ পরিবার অনুষ্ঠানে প্রাপ্য সম্মান পাননি বরং প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আখতার হোসেন বলেন, শহীদ পরিবাররাই জুলাই সনদ আয়োজনের মূল আকর্ষণ হলেও, তাদের মঞ্চ থেকে দূরে সরিয়ে বসিয়ে অমর্যাদা করা হয়েছে। আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে এবং অসম্মান করে জুলাই সনদকে ‘পাওয়ার এলিট’-এর সেটেলমেন্ট বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতরা কিছু দাবি নিয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঐক্যবদ্ধ কমিশন জুলাই সনদের অঙ্গীকারের পঞ্চম দফা সংশোধনের ঘোষণা দিলেও, শুরুতে যদি বিষয়টি আমলে নেওয়া হতো তাহলে তাদের রাজপথে নামতে হতো না।
তিনি বলেন, সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান না করে আহত যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করছি।
এনসিপি সদস্য সচিব আরও বলেন, জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও বৈধতা নিশ্চিত না করেই এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জাতিকে পরিষ্কার ধারণা না দিয়েই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে। জুলাই সনদের কোনো আইনভিত্তি না দেওয়া, বাস্তবায়ন আদেশ প্রকাশ না করা এবং পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা জাতির সামনে না আনার কারণে আমরা আনুষ্ঠানিকতার জন্য স্বাক্ষর থেকে বিরত থেকেছি।
তিনি বলেন, এনসিপি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ৭২ সালের বন্দোবস্ত বিলোপ করে নতুন সাংবিধানিক অগ্রযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। বিচার সংস্কারের অংশ হিসেবে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে ‘জুলাই পথযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপি। রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জনগণ এই দাবিতে এনসিপিকে দৃঢ় সমর্থন দিয়েছে। একই সঙ্গে আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কারে জোরালো ভূমিকা রেখেছি।
আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে জাতিকে ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে। সনদের আইনিভিত্তি হিসেবে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’-এর উল্লেখ নেই। আমরা বলেছি, অভ্যুত্থান-পরবর্তী যেকোনো বন্দোবস্তের নৈতিক ও আইনিভিত্তি থাকতে হবে। কিন্তু সনদে জনগণের সার্বভৌম ও গাঠনিক ক্ষমতার প্রকৃত মৌলিক সত্যের কোনো উল্লেখ নেই।
তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের আওতাভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের এমন কিছু অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যা বিদ্যমান সংবিধানের তথাকথিত বেসিক স্ট্রাকচারের আওতাভুক্ত। ফলে ৭২ সালের সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনে থেকে এই পরিবর্তনগুলো ভবিষ্যতে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এতে জুলাই সনদ জনগণের সঙ্গে একটি সাংবিধানিক প্রতারণায় পরিণত হবে।
এ কারণে এনসিপি সরকারপ্রধান ড. ইউনূসকে গণভোটের পূর্বে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির আহ্বান জানিয়েছে—যাতে এর আইনভিত্তি, বৈধতা ও জুলাই অবস্থান স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
শেষে আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিয়ে আগামী কয়েকদিনের আলোচনায় আমরা জনগণের পাশে থাকব। কোনো অবস্থাতেই জুলাই সনদকে জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো আইনিভিত্তিহীন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল বা ‘জেন্টলম্যানস অ্যাগ্রিমেন্টে’ পরিণত করা যাবে না। আমরা আশা করছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের ইচ্ছাকে ধারণ করে জুলাই সনদের আইনিভিত্তি ও বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
যুব ও নারী সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ঢাকসু, জাকসু ও চাকসুতে যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রেখেছে। সব জায়গায় একই চিত্র। মেয়েদের ও তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে। এর প্রতিচ্ছবি জাতি আগামীতে দেখবে ইনশাআল্লাহ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে নারীদের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন বক্তব্যজুড়ে।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা অভিভূত হয়ে লক্ষ্য করছি, দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটি আমাদের যুবসমাজ, আরেকটি আমাদের মায়েদের সমাজ। আজ পর্যন্ত তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেছে। সব জায়গায় একই চিত্র—মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর; তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘৯১ শতাংশ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসূলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইমান, ধর্মবিশ্বাস—এসবের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা এই রাষ্ট্রের মানুষকে সম্মান করব। তারা এ দেশের নাগরিক। আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে থাকে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক—সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে পরিচালনা করব।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো প্রাধান্য আছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আছে। এ দেশের অর্থনীতি ভাঙাচোরা, উল্টে পড়া, ধসে যাওয়া। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে প্রকৃত সেবকদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই লোকটা আমাদের দলের হতে পারে, না-ও হতে পারে। সেই লোকটা মুসলমান হতে পারে, অন্য ধর্মেরও হতে পারে। যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তার হাতে এই দায়িত্বের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ আমরা গড়ে তুলতে চাই।’
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাইছি, যেখানে শাসকেরা জনগণের কাছে তাদের ত্রুটি ও ঘাটতির জন্য মাফ চাইবে। তারা কারও কাছ থেকে প্রশংসা চাইবে না, বাহবা চাইবে না, কোনো স্লোগান চাইবে না, যেমন “অমুক ভাই, তমুক ভাই জিন্দাবাদ”—এটা চাইবে না। তাদের অন্তর ভয়ে কাঁপবে, জনগণের এই বোঝা “আমার কাঁধে যেটা দেওয়া হয়েছে, আমি তা বহন করতে পারছি কি না”—এই ভেবে।
তিনি বলেন, যে সমাজে যুব সমাজ সিদ্ধান্ত নেয় এবং নারীরা এগিয়ে আসে, সেই সমাজ ও জাতি কখনো পরিবর্তন না হয়ে পারে না।
তিনি জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গীকার তুলে ধরে বলেন, আমাদের প্রথম অঙ্গীকার, একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো। শিক্ষা ভালো না হলে জাতি কখনো ভালো হতে পারে না। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।
দ্বিতীয়ত, সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে দুর্নীতি বাসা গেঁড়ে বসে আছে। এই দুর্নীতি থাকবে না। এজন্য যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, করবো ইনশাআল্লাহ। লড়াই করবো, হিমালয়ের মতো পর্বত সমান বাধা আসলেও দুর্নীতির অস্তিত্ব যেন আসমান থেকে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারি।
তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি মানুষ যেন তার প্রাপ্ত হক বা ন্যায়বিচার পান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এজন্য যেন আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা, নারী ও শিশু কাউকে চেষ্টা করতে না হয়।
মন্তব্য