গুলিস্তান ‘রেড জোন’ নামে পরিচিত ব্যস্ততম এলাকার ফুটপাত থেকে সহস্রাধিক হকার উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট (নুর হোসেন চত্বর) থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হয়ে আহাদ পুলিশ বক্স পর্যন্ত রাস্তা এবং ফুটপাতের ওপর অবৈধভাবে স্থাপিত দোকানপাট ও হকার উচ্ছেদ করা হয়।
বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে ৩টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করেন করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান।
এ সময় রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় ৯ ব্যক্তিকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উচ্ছেদ কর্যক্রম বিষয়ে ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরুর পর থেকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে যান চলাচলের পরিমাণ বেড়েছে। তাই মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল ও এই এলাকায় জনসাধারণের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে গুলিস্তান জিরোপয়েন্ট থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হয়ে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স পর্যন্ত এ উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া বঙ্গভবন থেকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারগামী ও ফ্লাইওভার থেকে গুলিস্তান চত্বর এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই রেড জোন থেকে সব ধরনের হকার এবং রাস্তা ও ফুটপাতের অবৈধ দখল উচ্ছেদের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সম্পত্তি কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘গত তিন দিন এখানে টানা মাইকিং করা হয়েছে। আমরা এখানে কোনো হকার বসতে এবং কাউকে অবৈধভাবে দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ করতে দেব না। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ অভিযানকালে করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. এনামুল হক ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন উপস্থিত ছিলেন।
রাস্তা ও পায়ে হাঁটা ফুটপাতকে লাল, হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে চিহ্নিত করতে রোববার সকালে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক দপ্তর আদেশে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি রাস্তা ও হাঁটার পথে যানবাহন ও জনচলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনা করবে।
বিএনপির নির্বাচন বন্ধের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পরও বিএনপি ক্ষান্ত হয়নি। এখন তারা সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যত বাধা আসুক, যত ষড়যন্ত্রই হোক নির্বাচন সম্পন্ন করার বিষয়ে পাহাড়ের মতো অনড় আওয়ামী লীগ। ভোটের পরেও চাপ আসতে পারে, এসব মোকবিলা করার মনোবল ও রাজনৈতিক শক্তি দলের রয়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, আমাদের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
‘সুতরাং নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো যৌক্তিক কারণ আমরা দেখছি না। বরং যারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পথ বেছে নিয়েছেন, তাদের ওপরই নিষেধাজ্ঞা আসার কথা। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের যৌক্তিক কারণ নেই।’
কাদের বলেন, ‘যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, তারা ১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং জোট সরকারের নিপীড়নের কথা বলেন না।
‘মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচির নামে নাশকতার ছক কষছে বিএনপি। কর্মসূচির নামে যাতে তারা নাশকতা করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, জেলের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সারির চারজন সংগঠককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
‘মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন অনেকেই, কিন্তু ২১ আগস্টের সমাবেশে শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। আইভি রহমানসহ ২৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তারা এ নিয়ে কথা বলেন না।’
আরও পড়ুন:মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার জন্ম এবং মৃত্যু দিনে পাঁচ গুনি নারীকে তার নামে প্রবর্তিত পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় জীবনে বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ দেয়া হয়।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পদক দেন প্রধানমন্ত্রী। পদক প্রাপ্তরা হলেন নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, (মরণোত্তর), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় চিকিৎসক হালিদা হানুম আখতার, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে নেত্রকোনার কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর), পল্লি উন্নয়নে ঠাকুরগাঁওয়ের রনিতা বালা এবং নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে শুক্রবার ৯৩ জনসহ চারদিনে মোট ৪৩১ জন আপিল করেছেন।
ইসি একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে প্রথম দিন আপিল আবেদন ছিল ৪২ জনের। দ্বিতীয় দিন ছিল ১৪১, তৃতীয় দিনে ১৫৫ ও আজ চতুর্থ দিন আপিল করেছেন ৯৩ জন। সব মিলিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে এবং প্রার্থিতা ফিরে পেতে চার দিনে মোট ৪৩১ জন আবেদন করেছেন।
শুক্রবার ঢাকা অঞ্চলে ১৭ জন, কুমিল্লার ১১ জন, চট্টগ্রামের ৯ জন, ফরিদপুরের ৫ জন, সিলেটের ৪ জন, ময়মনসিংহের ১৪ জন, বরিশালের ৪ জন, খুলনা ১১ জন, রাজশাহীর ১৩ জন ও রংপুর অঞ্চলের ৫ জন প্রার্থী আপিল আবেদন করেছেন বলে ইসি সূত্রে জানা যায়।
আগামীকাল শনিবার আপিলের পঞ্চম তথা শেষ দিন। রোববার থেকে আপিলগুলোর পর্যায়ক্রমে শুনানি হবে। ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। পরে ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। তখন থেকে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে যা চলবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে ২ হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ে ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। সেই ৭৩১ জনই পর্যায়ক্রমে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলগুলো করছেন যা শেষ হবে আগামীকাল শনিবার। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী বৈধ প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৫ জন।
আরও পড়ুন:আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। কারণ অধিকাংশ আসনে নৌকার বিপরীতে এবার রয়েছেন শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা মূলত আওয়ামী লীগেরই। দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ইতিবাচক ঘোষণা আসায় মাঠে আছেন এই প্রার্থীরা।
দেশের অধিকাংশ এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন নৌকার মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা। তবে চট্টগ্রামে ১৬ আসনের মধ্যে চারটি আসনে এর ব্যতিক্রম। এ চার আসনে নৌকার প্রার্থীরা আছেন খানিকটা দুশ্চিন্তামুক্ত। এসব আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে শক্তিশালী কোনো দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী নেই; নেই অন্য কেনো দলের শক্তিশালী প্রার্থীও। তাই অনেকটা নির্ভার রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির এই চার আসনের প্রার্থীর।
আসনগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা)।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার দাবি, এসব আসনে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তারা এলাকায় জনপ্রিয়। তারা এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তৃণমূলের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান)
চট্টগ্রাম-৬ আসনে টানা তিনবারের আওয়ামী লীগের এমপি এবিএম ফজলে করিম। জনগণের সঙ্গে তার সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুমন দে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের নেতা ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানের আনাচকানাচে উন্নয়ন করেছেন। কোথাও কাঁচা রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
আসন্ন নির্বাচনে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিভিন্ন দলের তিন প্রার্থী। তারা হলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের স ম জাফর উল্লাহ, তৃণমূল বিএনপির মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী এবং মো. সফিক-উল আলম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম- ৭ (রাঙ্গুনিয়া)
আসনটিতে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী টানা তিনবারের এমপি ও বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তার আসনেও উন্নয়ন হয়েছে অনেক।
তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিভিন্ন দলের পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আহমদ রেজা, জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ জরিপ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ ইকবাল হাছান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. মোরশেদ আলম এবং তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া)
এই আসনেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন বর্তমান এমপি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিভিন্ন দলের সাত প্রার্থী।
তারা হলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মিটল দাশ গুপ্ত, তৃণমূল বিএনপির সুজিত সরকার ও মো. ফেরদাউস বশির, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. নুরুল হুসাইন, জাতীয় পার্টির সানজিদ রশীদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা)
এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন টানা তিনবারের এমপি ও বর্তমান ভূমিমন্ত্রী সাইফুদ্দিন চৌধুরী জাবেদ। তার সঙ্গে লড়ছেন ৬ জন।
তারা হলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ হামেদ হোসাইন, জাতীয় পার্টির আবদুর রব চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহম্মদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আরিফ মঈন উদ্দীন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. আবুল হোসেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এই চার আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা অন্য আসনগুলোর তুলনায় স্বস্তিতে আছেন। দলের মধ্যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী না হওয়ায় সার্বিক বিবেচনায় তারাই এগিয়ে আছেন। অন্য দলগুলোর শক্ত প্রার্থী না থাকায় তারা এগিয়ে আছেন নিশ্চিতভাবেই।
বিএনপি ও বিরোধীদের ডাকা ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের দিন থেকে কয়েক দফায় ঘোষণা করা হরতাল-অবরোধে কয়েকটি স্থাপনাসহ মোট ২৬৭টি গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের শুক্রবারের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর থেকে ৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত দুর্বৃত্ত কর্তৃক কয়েকটি স্থাপনাসহ মোট ২৬৭টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এতে ২৬৩টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১টি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগুন দেয়া যানবাহনের মধ্যে ১৬২টি বাস, ৪৪টি ট্রাক, ২৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল ও ২৬টি অন্য গাড়ি রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দুর্বৃত্ত কর্তৃক রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দুপুর দেড়টার দিকে ‘তরঙ্গ প্লাস’ নামের ১টি বাসে আগুন লাগানোর সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ২টি ইউনিট ও ১০ জন জন কর্মী মিলে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজধানীর মহাখালীর রয়েল সিএনজি পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গতকাল মহাখালী একটি পাম্পে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আটজন দগ্ধ পেশেন্ট আমার এখানে এসেছিল। আজ সন্ধ্যার দিকে আবুল খায়ের নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল তার।’
এ বি পাম্পের ম্যানেজার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ৪০ বছর বয়সী আবুল খায়ের একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরে। বর্তমানে রাজধানীর মিরপুরের কল্যাণপুর এলাকায় বসবাস করতেন তিনি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটজন দগ্ধ হন। এদের মধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা হলেন- ২৮ বছর বয়সী মামুন শেখ, ৩০ বছর বয়সী মো. রানা, ২৬ বছর বয়সী জীবন, ৪৫ বছর বয়সী সালাউদ্দিন, ৩২ বছর বয়সী আমির হোসেন, ৫০ বছর বয়সী কামাল হোসেন এবং ২৪ বছর বয়সী মাসুম।
রাজধানীর শান্তিনগর, শাহজাহানপুর ও আরামবাগের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার এসব এলাকায় গিয়ে তিনি স্থানীয় নির্বাচনি কার্যালয় পরিদর্শন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
ওই সময় নাছিম বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে, আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। যারা আমাদের ক্ষতি করতে চাইবে আমরা তাদের প্রতিহত করব।
‘৭ জানুয়ারির নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। এই সন্ত্রাসীদের আমাদের রুখতে হবে।’
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রবিন্দু হলো ঢাকা-৮ আসন। নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনের মেয়রের সাথে সমন্বয় করে আপনাদের জন্য কাজ করব। সব সমস্যা দূর করে ঢাকা-৮কে স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল তৈরি করব।’
নিজের সম্পর্কে নাছিম বলেন, ‘আমি রাজনীতির মানুষ। আমি ছোট থেকেই মাঠে-ময়দানে রাজনীতির মাধ্যমে বেড়ে উঠেছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে চলেছি। আমার কাছে মানুষের মূল্য অনেক বেশি। আমি কখনও কোনো মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করিনি ও বিভেদ সৃষ্টি পছন্দ করি না।
‘যে মানুষ যে পেশারই হোক, আমার কাছে সকলেই সমান এবং আমি সবাইকে শ্রদ্ধা করি, তবে যারা অসৎ লোক, মিথ্যা কথা বলে ও মানুষের ক্ষতি করে, আমি তাদের পছন্দ করি না।’
মতবিনিময় সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওলাদ হোসেন, ডা. দিলীপ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক সাঈদ, কেন্দ্রীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিজান, শাহজাহানপুর থানা সভাপতি দিপন আলী খান, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মনিরসহ শান্তিনগর, শাহজাহানপুর ও আরামবাগের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য