বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
আকবর আলি খানের ভাই কবির উদ্দিন খান নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আকবর আলি খান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই তিনি মারা যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।’
আকবর আলি খান হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন কবির উদ্দিন খান।
আকবর আলি খানের জন্ম ১৯৪৪ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন ইতিহাসে; কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতিতে। তার পিএইচডি গবেষণাও অর্থনীতিতে।
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পেশাজীবনের প্রধান ধারার পাশাপাশি করেছেন শিক্ষকতাও। অবসর নিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে। এরপর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
সাবেক অর্থ সচিব আকবর আলি খান ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হন। দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।
অবসরের পর তার আবির্ভাব ঘটে পূর্ণকালীন লেখক হিসেবে। অর্থনীতি, ইতিহাস, সমাজবিদ্যা, সাহিত্য- বিচিত্র বিষয়ে তার গবেষণামূলক বই পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।
আকবর আলি খান একাধারে ছিলেন সরকারি আমলা, অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি হবিগঞ্জের মহুকুমা প্রশাসক বা এসডিও ছিলেন। যুদ্ধকালীন তিনি সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে কাজ করেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তান সরকার তার অনুপস্থিতিতেই বিচার করে এবং তাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি সরকারি চাকরি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
২০০৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তীতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়ার আশঙ্কায় তিনি তিনজন উপদেষ্টার সঙ্গে একযোগে পদত্যাগ করেন।
তিনি রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন।
আকবর আলি খান ১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ধানমন্ডি গভ. বয়েজ হাই স্কুলে তার পুরো বিদ্যালয় জীবন পার করেন। তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬১ সালে আইএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে অধ্যয়ন করেন এবং সেখান থেকে ১৯৬৪ সালে সম্মান ও ১৯৬৫ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন দুটিতেই প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে। সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে তিনি কিছু সময়ের জন্য শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৭-৬৮ সময়কালে তিনি লাহোরের সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৭০ সালে হবিগঞ্জ মহুকুমার এসডিও হন।
মুক্তিযুদ্ধ ও আকবর আলি খান
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগের অসহযোগ আন্দোলনে সমর্থন দেন আকবর আলি খান। পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমণ শুরু হলে হবিগঞ্জ পুলিশের অস্ত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেন।
মুজিবনগর সরকার তখনও প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় অনেক সরকারি কর্মচারীই লিখিত অনুমতি ছাড়া অস্ত্র যোগান দিতে অস্বীকৃতি জানান। তবে আকবর আলি খান নিজ হাতে লিখিত আদেশ তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র, খাদ্য ও অর্থ যোগান দেয়ার আদেশ দেন।
তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য তহবিল তৈরি করতে ব্যাংকের ভল্ট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা উঠিয়ে ট্রাকে করে আগরতলায় পৌঁছে দেন। মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য যোগান দেয়ার জন্য গুদামঘর খুলে দেন এবং পরবর্তীতে আগরতলায় চলে যান। আগরতলায় যাওয়ার পর সহযোগীদের নিয়ে তিনি একটি পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন গড়ে তোলার চেষ্টা করেন, যার লক্ষ্য ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করা এবং একইসঙ্গে উদ্বাস্তু শিবিরে যারা আশ্রয় নিয়েছিল সেই শরণার্থীদের সহায়তা করা।
এপ্রিলে মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর মে মাসে যোগাযোগ শুরু করেন আকবর আলি খান। জুলাই মাসে তাকে সরকারে যোগ দেয়ার জন্য কলকাতায় যেতে বলা হয় এবং সেখানে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ডেপুটি সেক্রেটারি বা উপসচিব হিসাবে পদস্থ হন। আগস্ট মাসে তাকে উপসচিব হিসাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ অবধি তিনি ওই পদেই চাকরি করেন।
১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর দেশে ফিরে আসেন আকবর আলি খান। যোগ দেন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে। তিনি সেখানে ছয় মাস চাকরি করেন এবং মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তান থেকে ফেরত ব্যক্তিদের চাকরি পেতে সহায়তা করেন। পরে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৩ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতায় যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। তাকে অবসর না দিয়ে শিক্ষকতা করার জন্য ছুটি দেয়া হয়।
কমনওয়েলথ বৃত্তির জন্য মনোনীত হওয়ার আগে আকবর আলি খান অল্প সময়ের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বৃত্তির জন্য তিনি কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং সেখানে অর্থনীতিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৯ সালে দেশে ফেরার পর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তাকে আবারও প্রশাসনের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগ দেবার আহ্বান জানানো হয়। ১৯৮৪ সালে তিনি সাভারের বিপিএটিসিতে মেম্বার ডাইরেক্টিং স্টাফ (এমডিএস) হিসেবে যোগ দেন। এরপর ১৯৮৭ সালের আগ পর্যন্ত তিনি পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ে কাজ করেন।
কর্মজীবনের এই পর্যায়ে এসে আকবর আলি খান ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার (ইকনোমিক) পদে যোগ দেন। ঢাকায় ফিরে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগে অতিরিক্ত সচিব পদে যোগ দেন। তার সময়ে তিনি বিসিসিএল ব্যাংকের পুনর্গঠন এবং বেসিক ব্যাংক অধিগ্রহণের কাজ করেন। অল্প সময়ের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়েও কাজ করেন তিনি।
১৯৯৩ সালে সরকারের সচিব হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন তিনি। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি অর্থ সচিব হন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
২০০১ সালে তিনি বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে বিকল্প কার্যনির্বাহী পরিচালক পদে যোগদান করেন। বিশ্বব্যাংকে তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন।
অবসরের পর আকবর আলি খানের আবির্ভাব ঘটে পূর্ণকালীন লেখক হিসেবে। অর্থনীতি, ইতিহাস, সমাজবিদ্যা, সাহিত্য—বিচিত্র বিষয়ে তার গবেষণামূলক বই পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।
তার প্রকাশিত মোট গ্রন্থের সংখ্যা ১৭। জনপ্রিয় প্রকাশনার মধ্যে রয়েছে- ডিসকভারি অব বাংলাদেশ, ফ্রেন্ডলি ফায়ারস, হাম্পটি ডাম্পটি ডিসঅর্ডার অ্যান্ড আদার এসেস, গ্রেশাম'স ল সিন্ড্রম অ্যান্ড বিঅন্ড, দারিদ্র্যের অর্থনীতি: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ, পরার্থপরতার অর্থনীতি, আজব ও জবর আজব অর্থনীতি, অবাক বাংলাদেশ: বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি, চাবিকাঠির খোঁজে: নতুন আলোকে জীবনানন্দের বনলতা সেন, দুর্ভাবনা ও ভাবনা: রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এবং বাংলায় ইসলাম প্রচারে সাফল্য: একটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ।
আকবর আলি খানের সর্বশেষ আত্মজীবনী গ্রন্থ 'পুরানো সেই দিনের কথা'।
সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ অডিটোরিয়ামে আবুল মনসুর আহমদের 'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর: পাঠ ও পর্যালোচনা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন আকবর আলি খান।
বরগুনার আমতলী উপজেলার চুনাখালী বাজার স্লুইজগেট সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই পাশের মেহগনি, রেইন্ট্রি ও চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির লাখ টাকা গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. রুবেল আহমেদের বিরুদ্ধে।
প্রভাবখাটিয়ে তিনি এ গাছ বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ রক্ষা করতে হলে দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের।
জানাগেছে, ১৯৬৮ সালে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড আমতলী উপজেলার চুনাখালী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেছেন। ওই বাঁধের দুই পাশে তারা মেহগনি, রেইন্ট্রি ও চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেন । পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোঃ রুবেল আহমেদ তার গ্রামের বাড়ী চুনাখালী বাজার স্লুইজগেট সংলগ্ন এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকশত গাছ জলিল বেপারীর কাছে এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। শনিবার জলিল বেপারী গাছ কাটা শুরু করেন। সোমবার রাতে তিনি ট্রাকে করে ওই গাছ নিয়ে গেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ গাছ কাটা ও বিক্রির বিষয়টি বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। গাছ কাটা ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত রুবেল আহমেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, গত দুইদিন ধরে রুবেল আহমেদ ও জলিল বেপারী তারা ৫-৬ জন লোক দিয়ে বাঁধের দুই পাশের অনেক গাছ কেটে স্তুপ করছে। সোমবার রাতে বড় ট্রাকে করে ওই গাছ তিনি (জলিল) নিয়ে গেছেন। তারা আরো বলেন, বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত রুবেল আহমেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের।
জলিল বেপারী বলেন, রুবেল আহমেদ আমার কাছে এক লাখ টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। ওই গাছের কিছু কলাপাড়া বিক্রি করেছি। তিনি আরো বলেন, রুবেল আমার কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। অবশিষ্ট টাকা গাছ বিক্রি করে দেয়া হবে।
পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোঃ রুবেল আহমেদ বলেন, সরকারী জমির গাছ কেটে বিক্রি করা আমার ভুল হয়েছে। ১৬ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করেছি। আর গাছ কাটা হবে না।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তারাই ব্যবস্থা নিবেন।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হান্নান প্রধান বলেন, লোক পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশে ইউনাইটেড নেশনস ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউনিস্যাব), রাজশাহী ডিভিশনের উদ্যোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলো “ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট ২০২৫”।
ইতোপূর্বে রাজশাহী ডিভিশনের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের, UNYSAB MUN এবং ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ সামিটের আয়োজন করা ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশন আরো একবার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরী করতে চলেছে এই ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট এর মাধ্যমে।
দুই মাসব্যাপী এ প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এবারের আয়োজনে মোট ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার পুরস্কার থাকছে।
উৎসবে শিক্ষার্থীরা তিনটি ভিন্নধর্মী সেগমেন্টে অংশ নিতে পারবেন। এর মধ্যে বিজনেস কেস কম্পিটিশনে বিজয়ীদের জন্য থাকছে ১,১৫,০০০ টাকার পুরস্কার, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান উপস্থাপন করবেন।
লেখালেখিতে দক্ষ তরুণদের জন্য থাকছে “ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট রাইটিং” প্রতিযোগিতা, যার পুরস্কার ৫০,০০০ টাকা। এছাড়া বিজ্ঞাপন নির্মাণে আগ্রহীদের জন্য “প্রোমো অ্যাড মেকিং” সেগমেন্টে থাকছে আরও ৫০,০০০ টাকার পুরস্কার। প্রতিটি প্রতিযোগিতার জন্য নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি রয়েছে এবং ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর, ক্লাব পার্টনার ও কলেজ শিক্ষার্থীরা বিজনেস কেস কম্পিটিশনে বিশেষ ছাড় পাবেন।
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং অফলাইন রেজিস্ট্রেশন ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি সেগমেন্টে অভিজ্ঞ বিচারক প্যানেল মূল্যায়ন করবেন। সকল অংশগ্রহণকারী পাবেন অনলাইন সার্টিফিকেট, আর ফাইনালিস্টদের জন্য থাকছে বিশেষ সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও অন্যান্য সুবিধা।
টাইটেল পার্টনার হিসেবে রয়েছে বায়ো-জিন (Bio-xin), সাসটেইনেবিলিটি পার্টনার চন্দ্রকলি ফাউন্ডেশন। এছাড়া Berlo Communication, SME Foundation, NIT Global Academy ও Bombay Sweets পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশনের রিজিওনাল সেক্রেটারি মোঃ শিহাব মিয়া বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য দেশের প্রতিটি তরুণকে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া, যেখানে তারা জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের দক্ষতা ও মেধা প্রদর্শন করতে পারবে।”
এছাড়াও এই প্রেস ব্রিফিং এ আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির ডেপুটি রিজিওনাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ বাঁধন এবং জারিন তাসনিম কেয়া।
বায়ো-জিন এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এর এক্সিকিউটিভ প্যানেল থেকে উপস্থিত ছিলেন সাজ্জাদ হোসাইন সাগর এবং আবদুল্লাহ আল-মামুন
সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুনামগঞ্জে যেন কেউ বালু ও পাথর উত্তোলনের চেষ্টা না করে সে জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক থেকে এই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়।
সতর্ক বার্তায় বলা হয়, সম্প্রতি সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের চেষ্টা করছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী, অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দেশপ্রেমিক সাহসী জনতাকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কোন ঘটনা ঘটলে তার বিরুদ্ধে সর্তক থাকতে এবং এ ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প লক্ষ্য করে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনায় কয়েক দিনের মধ্যেই যৌথ বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খাল পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ' মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকাল চারটার দিকে র্যাব-১১ ও পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি মেঘনা নদীর চৌদ্দকাউনিয়া ঘাটে এসে থামে। তারপর তাদের ট্রলার ও স্পিডবোটে করে গুয়াগাছিয়ার দিকে রওনা হতে দেখলাম'
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান শুরু করি আমরা। পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড মিলিয়ে মোট দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অভিযানে অংশ নিয়েছে। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আপনাদের জানানো হবে'।
বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন,' ওই এলাকায় পুলিশের তদারকি কম থাকার সুযোগে কয়েকটি নৌ ডাকাত বাহিনী মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন হওয়ায় তারা খুশি নয়। গতকালের ঘটনায় সাথে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর লোকজন জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি আমরা। তাদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ'।
স্থানীয়দের বক্তব্যঃ স্থানীয় বাসিন্দা সিয়াম হোসেন বলেন, ' সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন নদী থেকে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শুনতে পাই আমরা। এসময় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে যে যার ঘরে আশ্রয় নেয়। ঘটনার একদিন পরেও ভয়ে স্থানীয়রা ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না'।
থানা থেকে লুট করা অস্ত্রের ব্যবহারঃ এদিকে গতকাল গোলাগুলির সময় নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর সদস্যরা গত বছরের পাঁচ আগস্ট থানা থেকে লুট করা অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সম্প্রতি এই নৌ ডাকাত বাহিনীর হাতে খুন হয় প্রতিপক্ষ দলের তিন সদস্য। তারা হলোঃ ডাকাত সর্দার বাবলা, স্যুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ। এসব হত্যাকাণ্ডে থানা থেকে লুট করা চাইনিজ রাইফেল ব্যবহার করার প্রমাণ পায় পুলিশ। এছাড়াও চলতি বছরের ১৩মে ভোরে গুয়াগাছিয়ায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর এক সদস্যের বাড়ি থেকে ৫১ রাউন্ড তাঁজা গুলি উদ্ধার করা হয় যার অধিকাংশ ছিল চাইনিজ রাইফেলের গুলি।
মামলা দায়েরঃ পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ' গতকালের ঘটনায় একটি মামলা হবে, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন'।
প্রসঙ্গতঃ সোমবার (২৫ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ৪/৫ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এই ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা এলাকায়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ৪ শতাধিক আবাসিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৬ শে আগষ্ট) সকাল ১১ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মাহনা ও আধুরিয়া এলাকার প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মাহনা ও আধুরিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪ শতাধিক আবাসিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। এ সময় অবৈধভাবে সংযোগ দেওয়া বিভিন্ন পাইপ জব্দ করা হয়।
এলাকায় তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন থেকে এসব অবৈধ সংযোগ দেয় স্থানীয় লোকজন। সরকার এতে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছিল। এ সময় তিনি আরো বলেন আমাদের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বেলাল হোসেন নামে এক টিস্যু ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই মামলায় আরও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময়ে আসামি মোহন উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের বাঘমারা এলাকার মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. নাদির ওরফে নাছির (৩৫)। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের মোচাক এলাকার মৃত ইব্রাহীম খলিলের ছেলে মো. মানিক মিয়া (৪১) ও সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে মোহন (২৫)। এদের দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হত্যা মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময়ে আসামি মোহন উপস্থিত ছিল, বাকিরা পলাতক ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে বেলাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন হোটেলে টিস্যু বিক্রি করতেন। ২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে পাওনা টাকা সংগ্রহকালে সানারপাড় এলাকায় দুষ্কৃতিকারীরা বেলাল হোসেনকে ৬০০ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করার চেষ্টা করে। এসময় বেলাল হোসেনের সঙ্গে দুষ্কৃতিকারীদের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বেলালকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হাসপাতালের নেওয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তার ভগ্নিপতি মো. কাজী জাহিদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বিচারকার্য শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধনের লক্ষ্যে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি)-এর ৮৯তম সভায় শ্রমিক, মালিক ও সরকারের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত এক বছরের পর্যালোচনা ও সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার এক হোটেলে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, "শ্রমিক ও মালিক পক্ষের পরামর্শের ভিত্তিতে শ্রম আইন যুগোপযোগী করা হবে। এটি বাংলাদেশের শ্রমখাতের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে এবং আন্তর্জাতিক মানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।’
সভায় শ্রমিক ও মালিক পক্ষের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। একটি সুসমন্বিত ও আন্তর্জাতিক মানের শ্রম আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা উপস্থিত সকলেই করেন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ সভায় সংশোধিত শ্রম আইন দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়।
সভায় বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাস, কানাডা হাই কমিশন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর প্রতিনিধিরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত জনাব লুৎফে সিদ্দিকী।
এছাড়াও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) এর নির্বাহী পরিচালক এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ)-এর সভাপতি, টিসিসি সদস্যবৃন্দের মধ্যে তাসলিমা আক্তার, কোহিনুর মাহমুদ, বাবুল আকতার , নাজমা আক্তার, রাজেকুজ্জামান রতন, এডভোকেট আতিকুর রহমান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংশোধনী বাংলাদেশের শ্রমবাজারকে আরও গতিশীল ও আন্তর্জাতিক মানসম্মত করবে এবং শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য