× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Withdrawal from Kanak DB fired at BNP rally
google_news print-icon

বিএনপির মিছিলে গুলি করা কনক ডিবি থেকে প্রত্যাহার

বিএনপির-মিছিলে-গুলি-করা-কনক-ডিবি-থেকে-প্রত্যাহার
গত ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গোয়েন্দা বাহিনীর উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান কনক অন্য পুলিশ সদস্যের রাইফেল তুলে নিয়ে গুলি করেন। ছবি: নিউজবাংলা
সেদিনের ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্রে দেখা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ছিলেন, তখন কনক দাঁড়িয়ে, নিচের দিকে খানিকটা ঝুঁকে এবং হাঁটু গেড়ে সরাসরি নেতাকর্মীদের দিকে গুলি করছেন। তবে সেই রাইফেল তার ছিল না। তিনি অন্যের রাইফেল হাতে তুলে নিয়ে গুলি করেন। অন্য একজনের নামে বরাদ্দ করা রাইফেল তুলে নিয়ে গুলি করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় রাইফেল দিয়ে গুলি করা গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান কনকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে গোয়েন্দা শাখা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার গুলি করার বিষয়টি নিয়েও তদন্ত হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ফখরুদ্দিন ভূইয়া।

গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নারায়ণগঞ্জে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় কনক তাদের দিকে সরাসরি অস্ত্র তাক করে গুলি করেছিলেন।

সংঘর্ষের সময় মারা যান শাওন প্রধান নামে এক যুবক, যাকে যুবদল কর্মী উল্লেখ করে দেশজুড়ে ধারাবাহিক বিক্ষোভ করছে বিএনপি। তারা অভিযোগ করছে, কনকের গুলিতেই এই প্রাণহানি হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক হিসেবে কাজ করা কনক ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় তার হাতে ছিল একটি লাঠি। অন্য একজন পুলিশ সদস্যের হাতে থাকা রাইফেল তুলে নিয়ে তিনি গুলি করেন।

বিএনপির মিছিলে গুলি করা কনক ডিবি থেকে প্রত্যাহার
গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় কনকের অবস্থান

অন্যের অস্ত্র তুলে নিয়ে গুলি করার সুযোগ নেই। পাশাপাশি সেদিন গুলি করার মতো পরিস্থিতি আদৌ ছিল কি না, এ নিয়েও আছে বিতর্ক। তবে এসব বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় সমালোচনাও হচ্ছিল।

নারায়ণগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ফখরুদ্দিন ভূইয়া এটাও নিশ্চিত করেন যে, কনকের বিরুদ্ধে তদন্তও তো হবে।

তবে পুলিশ কক্ষ থেকে কোনো তদন্ত কমিটি হয়েছে কি না তা জানেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আর জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে কিছুই বলছেন না।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেলসহ একাধিক কর্মকর্তা ‘কিছুই জানেন না’ বলে ফোন কেটে দেন।

ভীষণ আক্রমণাত্মক ছিলেন কনক, অস্ত্র তুলে নেন অন্যের হাত থেকে

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সংঘর্ষের আগে মাহফুজ কনক অন্য ডিবি পুলিশদের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন। কনকের ডান হাতে একটি লাঠি আর বাম হাতে ওয়্যারলেস। আরেক অংশে দেখা যায় কনকের হাতে চাইনিজ রাইফেল। তিনি গুলি করছেন বিএনপির নেতাকর্মীদের দিকে।

সেদিনের ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্রে দেখা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ছিলেন, তখন কনক দাঁড়িয়ে, নিচের দিকে খানিকটা ঝুঁকে এবং হাঁটু গেড়ে সরাসরি নেতাকর্মীদের দিকে গুলি করছেন।

বিএনপির মিছিলে গুলি করা কনক ডিবি থেকে প্রত্যাহার
গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় কনক ছিলেন আক্রমণাত্মক

কনক সেই ঘটনার চার বা পাঁচ দিন আগে ভোলা থেকে নারায়ণগঞ্জে বদলি হয়ে আসেন। তিনি ভোলায় থাকাকালেও পুলিশের গুলিতে বিএনপির মিছিলে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই গুলি কে বা কারা ছুড়েছিল, সেটি প্রকাশ পায়নি।

একজনের অস্ত্র আরেকজন ব্যবহার করতে পারেন না বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তবে তিনি নাম প্রকাশে রাজি হননি।

নারায়ণগঞ্জ জজকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, ‘আইনে বলা হয়েছে যে পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অস্ত্র থাকবে, তিনি আত্মরক্ষার্থে তা ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু একজনের অস্ত্র আরেকজন ব্যবহার করতে পারেন না।’

গুলি করার মতো পরিস্থিতি ছিল কি?

নারায়ণগঞ্জ পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, সেদিন কনক গুলি করেছিলেন চায়নিজ এসএমজি সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু রাইফেল দিয়ে। বড় ধরনের কোনো সংঘাত হলে ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কিন্তু নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে যে ইটপাটকেল ছুড়ছিলেন, তাকে বড় সংঘাত বলা যায় কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে।

বিএনপি এমনও দাবি করেছে, সেখানে সরাসরি বুলেট ব্যবহারের মতো কোনো পরিস্থিতিই ছিল না। তার পরও কার নির্দেশে এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে, সেটি জানতে চান নেতারা।

বিএনপির মিছিলে গুলি করা কনক ডিবি থেকে প্রত্যাহার
কনক সেদিন রাইফেল নিয়ে ঘটনাস্থলে যাননি। অন্যের রাইফেল হাতে তুলে নিয়ে গুলি করেন তিনি

সম্প্রতি নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপকালে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু সেদিন গুলি করার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে প্রথমে কী পরিস্থিতি ছিল তা সকলে দেখেছে। বরগুনা ও নারায়ণগঞ্জের দুটি দুই রকম প্রেক্ষাপট। আমরা প্রায় ১ ঘণ্টা পর সেখানে গিয়েছি। তখনও দেখেছি পুলিশ বক্সের ভেতরে ইটপাটকেল, বিএনপি নেতাকর্মীরা সড়কে। তাদের হামলায় আমাদের ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়তে পারে।’

তাহলে রাইফেল দিয়ে গুলি করার বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা হবে না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একটি তদন্ত তো হবেই। তবে কখন এ তদন্ত শুরু হবে, তার সিদ্ধান্ত জানাবেন পুলিশ সুপার।’

তবে পুলিশ সুপার এখন পর্যন্ত কিছু জানাননি।

আরও পড়ুন:
অতিরিক্ত বল প্রয়োগ: বরগুনায় দ্রুত ব্যবস্থা, নারায়ণগঞ্জে চুপ
পুলিশ ধরে নেয়ার পর বিএনপি থেকে নেতার পদত্যাগ
খালি মাঠে গোল না, আ.লীগ চায় ভালো নির্বাচন: কাদের
একই স্থানে বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভায় প্রশাসনের মানা
আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পাথরঘাটা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
90 of the work will be completed before the soft opening
শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ

সফট ওপেনিংয়ের আগেই শেষ হবে ৯০ ভাগ কাজ

সফট ওপেনিংয়ের আগেই শেষ হবে ৯০ ভাগ কাজ শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ ৮৯ ভাগ শেষ। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সফট ওপেনিংয়ের আগে টার্মিনালের কাজ শেষ হয়েছে। যদিও বলছি যে আগামী বছরের শেষ নাগাদ এটা ফাংশনাল করব, তবে তার আগেই এটি যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করার চেষ্টা থাকবে।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ প্রায় ৮৯ শতাংশ শেষ। ৭ অক্টোবর শনিবার সফট ওপেনিংয়ের আগেই ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এমন জানান।

রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সফট ওপেনিংয়ের আগে আমাদের টার্মিনালের কাজ শেষ হয়েছে। লিফট, ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, বোর্ডিং ব্রিজও বসে গেছে। আমাদের ফিজিক্যাল কাজ শেষ। বাকি ১০ শতাংশ কাজ সফট ওপেনিংয়ের পর শুরু হবে।

‘ইন্টেরিয়রের কিছু কিছু কাজ বাকি আছে। ইন্টেরিয়রের পার্ট, ক্যালিব্রেশনের পার্ট, ফাংশনাল পার্ট- এই কাজগুলো আমরা সফট ওপেনিংয়ের পর শুরু করব।’

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই বিমানবন্দরের দায়িত্ব আপাতত আমরা ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেব। এরপর টার্মিনাল ১ ও ২ থেকে কীভাবে এই টার্মিনালটা অপারেট শুরু করা যায় সে প্রক্রিয়া শুরু হবে।

অপারেশনাল রেডিনেস অ্যাক্টিভেশন অ্যান্ড ট্রানজিশন নামের এই প্রক্রিয়া সফট ওপেনিংয়ের পর চালু করা হবে। যদিও বলছি যে আগামী বছরের শেষ নাগাদ এটা ফাংশনাল করব, তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে তার আগেই এই টার্মিনাল যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করার।’

মফিদুর রহমান জানান, ‘আমাদের এখানে আমদানি-রপ্তানি কার্গো টার্মিনাল হয়েছে। পাশাপাশি থাকবে বিশাল অ্যাপ্রোন, যেখানে বিমান থাকবে। পরশু থেকেই এখানে বিমান রাখা হবে।

‘এখানকার রানওয়ের ব্যবহার শুরু হয়েছে। সফট ওপেনিংয়ের পর আমরা এগুলোকে অপারেশনাল করার জন্য অফিসিয়ালি কাজ শুরু করব।’

নির্মাণ কাজ শুরুর এক হাজার ২৪১তম দিনের ব্যবধানে এই সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে- এমনটা জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগে আমরা সফট ওপেনিং করতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কারণে সব কিছু সম্ভব হয়েছে। আমরা সব মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তদারকি করা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম ও বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The price of LPG 12 kg cylinder increased by Tk 79

এলপিজি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ৭৯ টাকা

এলপিজি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ৭৯ টাকা দোকানে সাজিয়ে রাখা এলপিজি সিলিন্ডার। ফাইল ছবি
৭৯ টাকা বাড়িয়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩৬৩ টাকা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে নতুন এ দাম।

দেশে ভোক্তা পর্যায়ে আবারও বাড়ানো হয়েছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। ৭৯ টাকা বাড়িয়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩৬৩ টাকা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে নতুন এ দাম।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম এক হাজার ১৪০ টাকা থেকে ১৪৪ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ২৮৪ টাকা করা হয়েছিল। একই সঙ্গে সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দাম বাড়ানো হয়েছে।

এর মধ্যে ৫.৫ কেজির দাম বাড়িয়ে ৬২৫ টাকা, ১২.৫ কেজি ১৪২০ টাকা, ১৫ কেজি ১৭০৪ টাকা, ১৬ কেজি ১৮১৮ টাকা, ১৮ কেজি ২০৪৫ টাকা, ২০ কেজি ২২৭২ টাকা, ২২ কেজি ২৫০০ টাকা, ২৫ কেজি ২৮৪০ টাকা, ৩০ কেজি ৩৪০৮ টাকা, ৩৩ কেজি ৩৭৪৯ টাকা, ৩৫ কেজি ৩৯৭৬ টাকা এবং ৪৫ কেজির দাম ৫১১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঘোষণায় বলা হয়েছে, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ৬১ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। এ ছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১০৯ টাকা ৭৯ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম মূসকসহ প্রতি লিটারের মূল্য ৬২ টাকা ৫৪ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
এলপি গ্যাসের দাম কমল ৭৬ টাকা
গোপালগঞ্জে সিলিন্ডারবাহী ট্রাক ছিনতাই
এলপিজি: ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ২৬৬ টাকা
১২ কেজির এলপিজির দাম কমল ৬৫ টাকা
ফের বাড়ল এলপিজির দাম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Day and night temperatures may decrease across the country

দেশজুড়ে কমতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

দেশজুড়ে কমতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা গরমে পানিতে দাপাদাপি শিশুর। ফাইল ছবি
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

দেশের সব বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, দেশজুড়ে কমতে পারে তাপমাত্রা।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গা এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও পড়ুন:
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দেশজুড়ে
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দেশজুড়ে
তিন বিভাগের অধিকাংশ, পাঁচ বিভাগের অনেক জায়গায় হতে পারে বৃষ্টি
আট বিভাগের অনেক জায়গায় হতে পারে বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে কক্সবাজারের ৮ উপজেলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The visa policy issue did not come up in the meeting with the US Assistant Secretary of State

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় আরও গতি আনার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় আরও গতি আনার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক করেছেন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনা বিটার ও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। ছবি: বাসস
নতুন ভিসা নীতি যুক্তরাষ্ট্রের বিষয় হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার তা জানার কোনো আগ্রহ দেখায়নি উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে আপনাদের বলতে পারি যে, তারা ভিসা নীতি নিয়ে কোনো আলোচনার সূচনা করেনি।’

সফররত যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনা বিটার বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কনস্যুলার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোববার হওয়া এ বৈঠকে আলম বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করে এমন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের ভিসা পেতে বিলম্বের বিষয়টি উত্থাপন করেন। খবর বাসসের

বৈঠকের পর ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ প্রক্রিয়াটি আরও ত্বরান্বিত করার বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

আলম বলেন, সম্প্রতি ঘোষিত যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।

নতুন ভিসা নীতি যুক্তরাষ্ট্রের বিষয় হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার তা জানার কোনো আগ্রহ দেখায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে আপনাদের বলতে পারি যে, তারা ভিসা নীতি নিয়ে কোনো আলোচনার সূচনা করেনি।’

আলম বলেন, সফরটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনার জন্য আসেননি।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের আলোচনার কয়েকটি বিষয় ছিল স্টুডেন্ট ভিসা, আমেরিকান নাগরিকদের কনস্যুলার সহায়তা এবং ভিসা ইন্টারভিউ-এর জন্য অপেক্ষার সময় কমানো।

বৈঠকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার রাতে ঢাকায় আসার আগে এই মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইসলামাবাদ ও করাচি সফর করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, ‘তার সফর বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সুরক্ষা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ ভ্রমণ ও অভিবাসনের সুবিধার প্রতি আমাদের গভীর এবং টেকসই প্রতিশ্রুতির গুরুত্বকে তুলে ধরে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
US Assistant Secretary of State Rena Bitter in Dhaka

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনা বিটার ঢাকায়

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনা বিটার ঢাকায়
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তিনি দূতাবাস ও কনস্যুলেটের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং কনস্যুলার কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনা বিটার দুদিনের সরকারি সফরে ঢাকায় এসেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তিনি দূতাবাস ও কনস্যুলেটের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং কনস্যুলার কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। খবর বাসসের

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, ‘তার সফর বিদেশি আমেরিকান নাগরিকদের সুরক্ষা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ ভ্রমণ ও অভিবাসনের সুবিধার প্রতি আমাদের গভীর এবং টেকসই প্রতিশ্রুতির গুরুত্বকে তুলে ধরে।’

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার কনস্যুলার বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে।

ঢাকায় আসার আগে তিনি পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও করাচি সফর করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sheikh Hasina has shown maximum generosity regarding Khaleda Zia Obaidul Quader

খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের রাজধানীতে রোববার আওয়ামী লীগের যৌথসভায় কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার বিষয়ে সংবেদনশীল। তিনি (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন। তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা ও বিভিন্ন অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের যৌথসভা শেষে রোববার তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার বিষয়ে সংবেদনশীল। তিনি (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন। তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’

ভয়েস অফ আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। বিএনপি প্রধানের চিকিৎসার বিষয়ে প্রচলিত আইনে সরকারের কিছু করার নেই। আইন অনুযায়ী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নির্দেশ মেনে তাকে চিকিৎসা করাতে হবে।’

এ সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চলতি অক্টোবর মাসে রাজধানী ঢাকায় তিনটি এবং ঢাকার বাইরে দুটিসহ মোট পাঁচটি সমাবেশ করবে বলে জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের জানান, পাঁচটির মধ্যে একটি জনসমাবেশ এবং বাকি চারটি হবে সুধী সমাবেশ। ৩ অক্টোবর সাভারের আমিনবাজারের মহাসমাবেশটি হবে এ মাসের একমাত্র জনসমাবেশ ।

আর বাকি ৪টি সুধী সমাবেশ হবে- ৭ অক্টোবর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন, ১০ অক্টোবর পদ্মাসেতুর রেলসেতুর উদ্বোধন, মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশ উদ্বোধন এবং ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে।

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অবৈধ দল হলে কেন খালেদা জিয়ার মুক্তি কিংবা বিদেশে পাঠানোর জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে কথার সীমারেখা মানা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আ স ম আব্দুর রবও একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে আ স ম আব্দুর রব উদাহরণ হতে পারে না। হাজী সেলিমও কিন্তু আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। আওয়ামী লীগ শূন্যে ভেসে হাওয়ায় উড়ে কিংবা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় বসেনি।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনীতিতে কঠিন এক চ্যালেঞ্জে আছি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই যৌথ সভার আয়োজন। বিএনপিকে প্রতিপক্ষ নয়, শত্রুপক্ষ মনে করতে হবে।’

রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে মোকাবিলায় নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আলটিমেটামেও বিএনপি ব্যর্থ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ১৫ বছরে অনেকবার বিএনপির হাঁকডাক শোনা হয়েছে। বিএনপি বিভিন্ন সময় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন নিয়ে তিরস্কার করে সমালোচনা করেছিল, যা ছিল বিএনপির অহংকার, দম্ভ। যারা আওয়ামী লীগের পতন দেখছে তাদের নিজেদের পতন হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।’

রাজনীতিবিদদের বেফাঁস কথা বলা থেকে দূরে থাকা উচিত বলেও পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড কিংবা পোস্টার ফেস্টুন করে প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘এক এগারোর মতো অস্বাভাবিক সরকার তৈরি করার সুগভীর ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি, তাদের একমাত্র টার্গেট হচ্ছে শেখ হাসিনাকে হটানো।

আগামী ৪ অক্টোবর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাদের জন্য অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা নিয়ে এসেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে আওয়ামী লীগের দেয়া সংবর্ধনার প্রস্তাব এ সময় তিনি ফিরিয়ে দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Concerns of 190 prominent citizens over visa policy news on media

গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতির খবরে ১৯০ বিশিষ্ট নাগরিকের উদ্বেগ

গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতির খবরে ১৯০ বিশিষ্ট নাগরিকের উদ্বেগ
এতে বলা হয়, গণমাধ্যমে ভিসা নীতি প্রয়োগের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নীতির পরিপন্থী। বাংলাদেশের গণমাধ্যম উগ্রবাদী শক্তি, জঙ্গি, জামায়াত ইসলামীর মতো যুদ্ধাপরাধীর দল, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যারা প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলোকে নির্মূল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে সোচ্চার ভূমিকা রাখছে। এর ফলে বাংলাদেশ তালেবানের মতো একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়নি।

গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্যে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ১৯০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

শনিবার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। খবর বাসসের

এতে বলা হয়, গণমাধ্যমে ভিসা নীতি প্রয়োগের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নীতির পরিপন্থী। বাংলাদেশের গণমাধ্যম উগ্রবাদী শক্তি, জঙ্গি, জামায়াত ইসলামীর মতো যুদ্ধাপরাধীর দল, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যারা প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলোকে নির্মূল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে সোচ্চার ভূমিকা রাখছে। এর ফলে বাংলাদেশ তালেবানের মতো একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়নি।

বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি নিয়ে হাসের বক্তব্যটিকে কট্টরপন্থী ও স্বাধীনতাবিরোধীরা স্বাগত জানিয়েছে। এই পক্ষটি অন্যান্য নীতিতে পশ্চিমাদের নিন্দা করে, মুক্তচিন্তকদের শত্রু মনে করে এবং তারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধীদের দায়মুক্তির পক্ষে। হাসের বক্তব্যকে জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র হিসেবে পরিচিত ‘বাঁশের কেল্লা’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে স্বাগত জানিয়ে পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে হাসকে ‘একজন সত্যিকারের বন্ধু’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অতীতে এই পেজে ব্লগার ও মুক্তচিন্তকদের হত্যার পক্ষে নানা বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। ফলে, এই পেজে হাসের বিবৃতি নিয়ে উল্লাস আসলে ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিকদের জন্য নিগূঢ় বার্তা দেয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা দেখেছি, জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধ, ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিকদের কণ্ঠরোধ ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য নিয়ে “বাঁশের কেল্লা” পেজে আস্ফালন চলছে।’

এতে বলা হয়, ‘আমরা দেখেছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভিসা নীতিতে গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করা থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু হাস তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করায় ধারণা করা যায়, গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়তো চূড়ান্ত। এরই মধ্যে সম্পাদক ও সাংবাদিকেরা এটির নিন্দা করেছেন। হাসের এই বক্তব্যের কারণে সংবাদমাধ্যমগুলো সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশে বাধাপ্রাপ্ত হবে বলে অনেকেই মত দিয়েছেন।’

হাসের দ্বৈতনীতির বিষয়টি তার বক্তব্যে উঠে এসেছে উল্লেখ করে বিশিষ্ট নাগরিকরা বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশে আসার পর থেকে তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু তার এখনকার অবস্থান গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মৌলিক অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা ছিল, গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিলে তারাও ভিসা নীতির আওতায় আসবেন। কিন্তু হাসের বিবৃতিতে দেখা যায়, বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি, আর সেখানে গণমাধ্যমের ভূমিকার যে সুযোগ ছিল, সেটিকে মারাত্মক বাধাগ্রস্ত করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক প্রচেষ্টা দেখেছি, যা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিপন্ন করার সম্ভাবনা রাখে। র‌্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি উত্থাপনে বড় ভূমিকা রেখেছেন দেশটির বিতর্কিত মার্কিন সিনেটর বব মেনেন্ডেজ। এ ছাড়া ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষরে একটি বিবৃতি প্রদান করা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, বর্তমান সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে, যা একেবারে বাস্তবতাবিবর্জিত এবং ন্যায়সংগত নয়। ফলে, এই বিষয়গুলো আমাদের চিন্তা করতে বাধ্য করে যে এ ধরনের কার্যক্রমের পেছনে ভিন্ন কোনো ইচ্ছা রয়েছে কি না।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অতীতে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে জামায়াত এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা থেকে শুরু করে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হামলা আমরা দেখেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা ব্যতীত এসব সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা অসম্ভব। বিএনপি-জামায়াত সর্বশেষ যেই জোট সরকার গঠন করেছিল, সে সময়ও ২৮ হাজারের বেশি হামলা চালানো হয় সংখ্যালঘুদের ওপর, যেখানে তাদের সম্পত্তি, বাড়িঘর দখলসহ মন্দিরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়, জীবন্ত মানুষকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এ বিষয়ে তৎকালীন সরকারকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। কিন্তু বর্তমান সরকার নির্বাচিত হয়ে আসার পর রাষ্ট্রের সহায়তায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়েছে। আর সাম্প্রদায়িক এই সম্প্রতি বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা দেখতে পেলাম, ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখার প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটেনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দণ্ডপ্রাপ্ত এবং আত্মস্বীকৃত খুনিদের ক্ষেত্রে, যাদের যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় প্রদান করছে। এটি বাংলাদেশের জন্য এমন এক জঘন্য হত্যাকান্ড, যা মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটায়। সুতরাং আমরা মনে করি যে ভিসা নীতিটি কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা যৌক্তিক। কারা এর অনুমোদন দেবে এবং এই ধরনের পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে কারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা বোঝাটাও জরুরি। কারণ, আমরা রাষ্ট্রদূতের কার্যকলাপ দেখেছি এবং অন্যান্য কার্যাবলিও দেখেছি, যা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়া মৌলবাদী শক্তিগুলোর জন্য বারুদ হিসেবে কাজে এসেছে।’

বিবৃতিতে লেখক, অধিকারকর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাপরাধবিরোধী প্রচারক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ মোট ১৯০ জন বিশিষ্ট নাগরিক স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, শহীদজায়া সালমা হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আইনজীবী ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত, চলচ্চিত্রনির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার বীর প্রতীক, চিকিৎসক আমজাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক নূরন নবী, অধ্যাপক শিল্পী আবুল বারক আলভী, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, চিকিৎসক শেখ বাহারুল আলম, চিকিৎসক ইকবাল কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাজকর্মী সুব্রত চক্রবর্ত্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূতত্ত্ববিদ মকবুল-ই এলাহী চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল গাফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, সমাজকর্মী কাজী লুৎফর রহমান, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, আইনজীবী আজাহার উল্লাহ্ ভূঁইয়া, নির্মল রোজারিও, সভাপতি বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, সাধারণ সম্পাদক বুড্ডিস্ট ফেডারেশন।

মন্তব্য

p
উপরে