ভারতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সময়ের হিসাবে সফরের বেশ কয়েক ঘণ্টা বাকি থাকলেও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, এবারের সফরটি অন্য সফরের চেয়ে ভিন্ন। কেননা এবার প্রকাশিত ও প্রকাশিতব্য অনেক অর্জন নিয়েই ঢাকা ফিরছেন শেখ হাসিনা।
এবারের সফর নিয়ে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে ভারত জানিয়েছে, দেশটির সব বন্দর, সড়ক, নৌপথ ব্যবহার করে বিনা মাশুলে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে বাংলাদেশ। বিষয়টি ছিল বাংলাদেশের জন্য বহুল কাঙ্ক্ষিত।
আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক ট্রান্সশিপমেন্ট ও ট্রানজিটের ভারতীয় এ প্রস্তাবকে বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর বাইরে ভারত বাংলাদেশকে তৃতীয় দেশে পোশাক পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির প্রস্তাব দিয়েছে, যা দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে ট্রাকে করে ভারতে প্রবেশ করবে রপ্তানি পণ্য। এরপর ট্রেনে করে তা যাবে সমুদ্র বন্দরে। সেখান থেকে জাহাজে করে পণ্য যাবে ইউরোপ বা আমেরিকার বন্দরে।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কবিষয়ক ধারাভাষ্যকার ও অল ইন্ডিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, বর্ষীয়ান সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী বলেন, ‘এই সফরে তিস্তা চুক্তি না হলেও তার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আছে বাংলাদেশের। তা হলো ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট, যা দীর্ঘদিন বাংলাদেশ দাবি করে আসছিল। নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানিতে এটা খুব কাজে আসবে।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও দিল্লি ইউনিভার্সিটির বঙ্গবন্ধু চেয়ার শহীদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ভারতের বিভিন্ন প্রস্তাব কার্যকর হলে বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তর অর্থনৈতিক অঞ্চলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, ‘এই বিবৃতি (যৌথ বিবৃতি) ধরে দুই পক্ষের মধ্যে অনেক কিছুর আদান-প্রদান হয়ে থাকে। আলোচনা ও দরকষাকষি হবে। যেমন: বছরে কোন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভারত কতটা দেবে, তাতে নিশ্চয়ই মোটামুটি সন্তুষ্ট। এর চেয়ে বেশি জোরালো অঙ্গীকার থাকে না। এটাকে সহযোগিতার রূপরেখা ধরে নেয়া যেতে পারে। ভারত বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া না দিলে তো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিষয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিত না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরটি পর্যালোচনার নিরিখে ফলপ্রসূ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব বর্তমানে খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে ভারত এ সংকট মোকাবিলায় বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। জ্বালানি আমদানি করাসহ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ও দুই দেশের বাণিজ্য প্রসারে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি নিয়ে বোঝাপড়া শুরু হয়েছে।
‘আরেকটি খুবই ইতিবাচক বিষয় সামনে এসেছে। সেটি হচ্ছে, ভারতের ভূমি ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বিনা মূল্যে পণ্য রপ্তানি করা। নেপাল, ভুটান বা অন্য দেশে পণ্য ট্রানজিটে ভারত সম্মতি দিয়েছে। ফলে বলা যায়, এ সময়ে সফরটি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রা নেবে।’
সফরে বড় কোনো চুক্তি না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ সফরে বড় কোনো চুক্তি হওয়ার আভাস ছিল না। এটি মূলত কূটনৈতিক ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার সফর। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ঝালিয়ে নেয়ার বিষয় ছিল সফরের মধ্য দিয়ে। সম্পর্কে আরও আস্থা ও গতি সঞ্চারই ছিল প্রধান বিষয়।
‘সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। দুই দেশ সাতটি সমঝোতা সই করেছে। আর গঙ্গার পর প্রথমবারের মতো কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমঝোতা সই হয়েছে। এটি খুবই ইতিবাচক বিষয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক বলেন, ‘দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী খোলামেলা অনেক বেশি আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছেন, যেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ বৈঠকের ওপর ভিত্তি করে আরও অগ্রগতি দেখব।
‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে ডজনখানেকের বেশি সাক্ষাৎ হয়েছে। ফলে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যে যোগাযোগের মাত্রা, যেকোনো পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য একটি মাইলফলক। এখন বিষয় হচ্ছে, সম্পর্কে যে গতি সঞ্চার হয়েছে, তা এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ কতটুকু অর্জন করতে পারে সেটি একটি বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক যে বিষয়গুলো রয়েছে, রোহিঙ্গাসহ জঙ্গিবাদের সমস্যা, এগুলো একযোগে মোকাবিলা করার বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন বিশ্ব পরিস্থিতিতে নতুনভাবে এগিয়ে চলার গতি সঞ্চার করেছে।
‘দুই দেশের নিরাপত্তার দিক থেকে এক প্রকার সামরিক সহযোগিতা রয়েছে। তা মূলত কৌশলগত দিক থেকে। বাণিজ্যের দিক থেকে বিষয়টি মাত্র শুরু হলো। ভারত নিজেই এখনও এ ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল। ফলে এটি মাত্র শুরু হয়েছে।
‘সামনের দিনে এ খাতে বাণিজ্য সম্পর্ক কতটা বাড়বে তা সময়ই বলে দেবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের একটি বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। দুই পক্ষই আরও পদক্ষেপ নিয়ে বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে যেতে পারে।’
সাবেক কূটনীতিক তৌহিদ হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরটিকে ধারাবাহিক হিসেবে দেখছেন।
তার ভাষ্য, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে আমি একটি ধারাবাহিক সফর হিসেবেই দেখি। এটি বিশেষভাবে আলাদা কোনো সফর নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এর আগেও ভারতে গেছেন। নরেন্দ্র মোদি আমাদের দেশে এসেছেন।
‘এবার আবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী গেলেন। হয়তো ভারতের প্রধানমন্ত্রী আবারও আসবেন। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের এমন সফর হয়েই থাকে।’
তৌহিদ বলেন, ‘প্রতিটি সফরেই যে বড় বড় অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, অনেক কিছুর প্রাপ্তি ঘটবে, এমন নয়, তবে এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের সফরের আগে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে এক ধরনের প্রত্যাশা দেখা দেয়। এবারের এই সফরের আগে প্রত্যাশা কিছুটা কম ছিল।
‘কারণ তিস্তার বিষয়ে কোনো সমাধান যে আসবে না, তা আগেই জানা হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালে সম্মত খসড়ার ভিত্তিতে একটি চুক্তি চেয়েছিলেন। এবারে ভারত কোনো আশার বাণী শোনায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, এবার সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এগুলোর দিকে যদি তাকাই ১. রহিমপুর হয়ে বাংলাদেশের সিলেটে কুশিয়ারা নদী থেকে সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের আওতায় ১৫৩ কিউসেক পানি বণ্টনে সমঝোতা স্মারক; ২. ভারতের কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক; ৩. ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ৪. বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের ভারতীয় রেলওয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের আইটিবিষয়ক সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ৬. প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক এবং ৭. মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার মধ্যে সমঝোতা স্মারক। এর মধ্যে একটিকে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। সেটি হচ্ছে, কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টনবিষয়ক স্মারকটি। ফলে কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলনের যে বিষয়টি রয়েছে, তাতে ভারত সম্মত হয়েছে।
‘এতে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। আমি যতটুকু শুনেছি, ওখানে বাংলাদেশ গত তিন-চার বছর ধরেই সেচ প্রকল্পের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসছে। এতদিন সেটি করা যায়নি। কারণ ভারত সম্মত হচ্ছিল না। এখন ভারত সম্মতি দিয়েছে। তাই পানি পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। ফলে ওই অঞ্চলে শুকনো মৌসুমে চাষাবাদের পানির সমস্যা কমে আসবে বলে ধারণা করা হয়। এটা ছোট হলেও একটি পজিটিভ অর্জন বলা যায়। বাকি যে ছয়টি রয়েছে, তার মধ্যে কিছু পুরোনো, কোনোটি আবার নতুন। তাই এগুলো খুব বেশি যে গুরুত্বপূর্ণ, তা নয়।’
তৌহিদ হোসেন মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে দুই দেশের একমত হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় সীমান্ত হত্যা। বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারত। বন্ধুত্বপূর্ণ দুটি দেশের মাঝে একমাত্র সীমান্ত, যেখানে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়। হত্যার শিকার হয়ে থাকেন বাংলাদেশিরা। এ জন্য অভিযোগের তির থাকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের দিকে।
‘এর আগেও দুই দেশের এমন শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু বিএসএফের চরিত্র খুব একটা বদলাতে দেখা যায়নি। এবারের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যে যৌথ বিবৃতি পাওয়া গেল, সেখানে দেখা গেল সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে দুই দেশের সরকারপ্রধান একমত হয়েছেন। আশা করব এর ফল সীমান্তে দেখা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এ সফর অভিনব কিছু নয়, তবে বাংলাদেশ এবং ভারতের যে সম্পর্ক, দুই দেশের যে ঘনিষ্ঠতা তাতে এমন শীর্ষ পর্যায়ের সফর হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এই সফরের কিছুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে সমালোচনা হয়েছিল। এই সফরে দেখা গেল শেষ মুহূর্তে এসে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর তালিকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেই। পরে মন্ত্রীর দপ্তর অবশ্য জানিয়েছে, অসুস্থতাজনিত কারণে মন্ত্রী শেষ মুহূর্তে ভারত সফর থেকে বিরত থেকেছেন।
‘যদিও জনমনে একটি আলোচনা রয়েছে, মন্ত্রীর আগের বক্তব্যের সূত্র ধরেই তাকে সফর থেকে বিরত রাখা হয়েছে, তবে আমরা যদি ধরেও নিই অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি, এই সফর ঘিরে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনার বাইরে এই সমালোচনা যেন বড় হয়ে না ওঠে, সেটিই প্রত্যাশিত।’
কী আছে যৌথ বিবৃতিতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে বুধবার প্রকাশিত দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দুই সরকারপ্রধান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এতে বলা হয়, ভারত তার ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে বিশেষ স্থল শুল্ক স্টেশন, বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বিনামূল্যে ট্রানজিট সুবিধার প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে তৃতীয় দেশে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য বন্দর অবকাঠামো ব্যবহার করার জন্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।
নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে ভারত বিনা মূল্যে ট্রানজিট দিয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সদ্য উদ্বোধন হওয়া চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটের মাধ্যমে ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগের অনুরোধ করেছে। ভারত সে অনুরোধ কার্যকারিতা ও সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দুই নেতা বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল) মোটরযান চুক্তি দ্রুত কার্যকর করার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ও উপ-আঞ্চলিক সংযোগ উন্নত করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন।
ভারত পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত একটি মহাসড়কসহ নতুন উপআঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প শুরু করতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে। এ বিষয়ে একটি বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তাব করেছে। একই চেতনায় ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ে প্রকল্পের চলমান উদ্যোগে অংশীদার হওয়ার জন্য বাংলাদেশ তার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী একটি যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সাম্প্রতিক চূড়ান্তকরণকে স্বাগত জানিয়েছেন। এ সমীক্ষায় সুপারিশ করা হয়েছে, ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। তারা উভয় দেশের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের ২০২২ সালের মধ্যে আলোচনা শুরু করতে এবং এলডিসি মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের জন্য যথাসময়ে এগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা এবং মৌলবাদের বিস্তার রোধে তাদের সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যৌথ বিবৃতিতে সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করে উভয় পক্ষ এই সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও জাল মুদ্রার চোরাচালানের বিরুদ্ধে এবং বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পাচার রোধে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা প্রশংসার সঙ্গে উল্লেখ করেছে।
মঙ্গলবার উভয় প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠক করার পর প্রতিনিধিদল পর্যায়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
দুই নেতা গভীর ঐতিহাসিক ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বন্ধন এবং গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় ‘চমৎকার সম্পর্ক’ বিরাজ করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এতে সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা ও সমঝোতার ব্যাপকভিত্তিক দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্ব, বিশেষ করে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব প্রতিফলিত হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী উভয়েই রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, পানিসম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এতে আরও বলা হয়, তারা পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা, আইসিটি, মহাকাশ প্রযুক্তি, পরিবেশসম্মত জ্বালানি এবং সুনীল অর্থনীতির মতো সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছেন।
তারা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধার কথা মাথায় রেখে নেতারা এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বন্ধুত্ব ও অংশীদারত্বের চেতনায় বৃহত্তর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি দ্বিপক্ষীয় এবং উপআঞ্চলিক রেল, সড়ক এবং অন্যান্য সংযোগ উদ্যোগ বাস্তবায়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
উভয় পক্ষই চলমান দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে। যেমন: টঙ্গী-আখাউড়া লাইনের ডুয়েল-গেজে রূপান্তর, রেলওয়ে রোলিং স্টক সরবরাহ, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নত পরিষেবার জন্য আইটি সমাধান বিনিময় করা ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ও ভারত বেশ কিছু নতুন উদ্যোগকেও স্বাগত জানিয়েছে। যেমন: কাউনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলঘাট-নতুন গীতালদহ সংযোগ, হিলি ও বিরামপুরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন, বেনাপোল-যশোর লাইন বরাবর ট্র্যাক ও সিগন্যালিং সিস্টেম এবং রেলস্টেশনের আপগ্রেডেশন, বুড়িমারী ও চেংরাবান্ধার মধ্যে সংযোগ পুনঃস্থাপন এবং সিরাজগঞ্জে কনটেইনার ডিপো নির্মাণ।
দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগিতার অধীনে বিভিন্ন অর্থায়ন ব্যবস্থার মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন অন্বেষণ করতে সম্মত হয়েছে।
দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রশংসা করেন, যেখানে ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ ভারত থেকে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা এবং রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের অনুমানযোগ্য সরবরাহের জন্য ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়ে, ভারতের বিদ্যমান সরবরাহের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের অনুরোধগুলো অনুকূলভাবে বিবেচনা করা হবে এবং এই বিষয়ে সব ধরনের প্রয়াস চালানো হবে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা একটি অভিন্ন অগ্রাধিকার। তা স্বীকার করে শান্ত ও অপরাধমুক্ত সীমান্ত বজায় রাখার লক্ষ্যে দুই নেতা কর্মকর্তাদের ত্রিপুরায় বেড়া নির্মাণসহ জিরো লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে মুলতবি থাকা সব উন্নয়নমূলক কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেন।
পূর্বের আলোচনার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদীর পানিবণ্টন সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী চুক্তি করার জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেন, যার খসড়া ২০১১ সালে চূড়ান্ত করা হয়েছিল। উভয় নেতা নদীগুলোর দূষণ এবং অভিন্ন নদ-নদীর ক্ষেত্রে নদীর পরিবেশ এবং নদীর নাব্যতা উন্নত করার মতো সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
উপআঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর চেতনায় দুই নেতা কাটিহার (বিহার) থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর হয়ে বোরনগর (আসাম) পর্যন্ত প্রস্তাবিত উচ্চ ক্ষমতার ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনসহ দুই দেশের পাওয়ার গ্রিডগুলোকে একযোগে সংযুক্ত করার প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে সম্মত হন।
উভয় দেশ বিদ্যুৎ খাতে উপআঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের মাধ্যমে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির অনুরোধ জানানো হয়। ভারতীয় পক্ষ জানিয়েছে, এর জন্য নির্দেশিকা ভারতে বিবেচনাধীন রয়েছে।
দুই নেতা ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন, যা বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে। তারা দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ তরল জ্বালানি পণ্যের জন্য তার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে সহায়তা করার জন্য ভারতকেও অনুরোধ করেছে। ভারত উভয় পক্ষের অনুমোদিত সংস্থাগুলোর মধ্যে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে।
উভয় নেতা উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে জোরদার সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহজতর করার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে দুই নেতা স্থল শুল্ক স্টেশন/স্থল বন্দরগুলোতে অবকাঠামো এবং স্থাপনাগুলোর উন্নয়ন এবং বিশেষ স্থল শুল্ক স্টেশনগুলোতে বন্দর বিধিনিষেধ এবং অন্যান্য অশুল্ক বাধা অপসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নিবিড়করণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং প্রতিরক্ষার জন্য ক্রেডিট লাইনের অধীনে প্রকল্পগুলো দ্রুত চূড়ান্ত করতে সম্মত হন।
উভয় নেতাই ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন, যা বাংলাদেশের জ্বালানি শক্তির চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে। দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষর হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।
এগুলো হলো বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো চীন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।
ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফর। এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় সফলতা।’
প্রেসিডেন্ট শির বক্তব্যের বরাতে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে চীন তার দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। সে কথাও উল্লেখ করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান।
প্রেসিডেন্ট শির উদ্বৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশি আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন। এগুলো সুস্বাদু। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামী মৌসুমে এ দুটি ফল চীনে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিপলস গ্রেট হলে করা বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করা ও ঢাকা-বেইজিংয়ের পারস্পরিক ও কৌশলগত স্বার্থকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক এনেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। অত্যাধুনিক ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত এই ইলেকট্রিক বাইকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।
ফিচার
সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
অন্যদিকে স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
সি৩২ ইলেকট্রিক বাইকে উন্নত ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সাপোর্ট করে এবং প্রতিটি পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।
ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে ১০.৬ ঘণ্টা সময় নেয়, যা রাতে চার্জ দিয়ে দিনব্যাপী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
নিরাপত্তা এবং আরামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে রিভো সি৩২। এতে রয়েছে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা সর্বোচ্চ স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে।
ফ্রন্ট ও রিয়ার হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে রাইডাররা মসৃণ ও আরামদায়ক রাইড উপভোগ করতে পারেন। এমনকি অপ্রশস্ত বা অসমান রাস্তাতেও।
রাতে নিরাপদ যাত্রার জন্য সি৩২-এ রয়েছে পূর্ণ এলইডি লাইটিং সিস্টেম, যার মধ্যে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল অন্তর্ভুক্ত।
রিভো সি৩২ শুধু শক্তিশালী পারফরম্যান্সই দেয় না, এটি ডিজাইনেও বেশ কার্যকর। ১৪০ কেজি ওজনের মজবুত অথচ হালকা ফ্রেম এবং সামনে ও পিছনে ৯০/৮০-১২'' ভ্যাকুয়াম টায়ার যুক্ত বাইকটি দুর্দান্ত গ্রিপ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
২০৫ এমএম পর্যন্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় এটি যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বহনের জন্য আদর্শ।
ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন এবং আরামের সমন্বয়ে এটি শহরের যাতায়াতকারী এবং দূরপাল্লার রাইডারদের জন্য একটি পারফেক্ট পছন্দ।
এখন থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যে বাংলাদেশের সব শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।
সি৩২ যাতায়াতকে সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করতে উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন রাইডারদের জন্য আদর্শ হতে পারে।
আরও পড়ুন:আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আরও ১০৫ টন আলু গিয়েছে নেপালে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৫৫৪ টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হলো।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।
তিনি জানান, আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্ট ডেলিভারি নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ টন রপ্তানি করে। এ ছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং লোয়েড বন্ড লজিস্টিক নামের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রপ্তানি করছে।
উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় নথিসহ অনলাইনে আবেদন করলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। রপ্তানিকৃত আলুগুলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা জাতের।
বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’ রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স করেছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো।
কোম্পানিটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগের জেনারেশনের ডিভাইসের তুলনায় নতুন স্মার্টফোনটি ৪৫০ শতাংশ বেশি বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে অপোর ধারাবাহিক সফলতার নির্দেশক। তাৎপর্যপূর্ণ এ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বাজারে অপোর ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এবং ব্রান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের গভীর আস্থা ও আনুগত্যের প্রতিফলন।
অপো প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটির ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ফোনটি নিত্যদিনের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে ভোক্তাদের আধুনিক ও উন্নত সব ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে।
কোম্পানির কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া
বিজ্ঞপ্তিতে অপো এ৫ প্রোর বিক্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ও একাধিক গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে অপো।
ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
একটি বেসরকারি প্রকৌশল কোম্পানিতে চাকরিরত তারেক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ অপোর নতুন ডিভাইস নিয়ে তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘অপো এ৫ প্রোর ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ এবং শকপ্রুফ ফিচার আমার সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
‘আমি এ রকম একটি টেকসই ও সহনশীল স্মার্টফোনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম এবং আমার অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। স্মার্টফোনটি কিনতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
আরেক গ্রাহক শারমিন আক্তার বলেন, “ঈদের আগে আমি একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবছিলাম। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের দারুণ ডিজাইন ও উন্নত ফিচারগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল।
“আমার মতে, বাজারের একই ঘরনার ফোনগুলোর মধ্যে এ বিষয়গুলোতে ‘অপো এ৫ প্রো’ই সেরা। ফোনটি পছন্দ করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি সঠিক মোবাইলটিই বেছে নিয়েছি।”
নতুন ডিভাইসের ফিচার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেটি আইপি৬৬, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৯ রেটিং অর্জন করেছে। ডিভাইসটি পানি, ধুলা ও যেকোনো ধরনের শক থেকে সুরক্ষিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইলটির অনন্য স্থায়িত্ব।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোবাইলটিতে সংযুক্ত আছে মিলিটারি গ্রেডের ইমপ্যাক্ট রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি। পাশাপাশি ডিভাইসের মাদারবোর্ড থার্মাল কনডাকটিভিটি বৃদ্ধি করে এবং আগের জেনারেশনের স্মার্টফোনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সক্ষমতা প্রদান করে। মোবাইলটি এক হাজার বেন্ডিং টেস্টও উতরে গেছে। অর্থাৎ প্রতিদিনের যেকোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহার উপযোগী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মার্টফোনটি নান্দনিক ফটোগ্রাফির জন্য অনন্য। এতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই সংবলিত উন্নত ফিচার। ডিভাইসটিতে এআই ইরেজার ২.০ ব্যবহার করে সহজেই ছবিতে থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু মুছে ফেলা যায়। এআই রিফ্লেকশন রিমুভার ব্যবহার করে অযাচিত রিফ্লেকশন সরিয়ে দেওয়া যায়।
এ ছাড়া এআই আনব্লার ফিচার ব্লারি বা অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে।
দাম
অপো জানায়, দেশজুড়ে রিটেইল স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্মার্টফোনটি ২৩ হাজার ৯৯০ টাকায় ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে অপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান থেকে চালবোঝাই আরও দুটি জাহাজ।
এক দিনের ব্যবধানে দুটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছায়।
এবার এসেছে ৪৮ হাজার ৭৫০ টন আতপ ও সিদ্ধ চাল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।
চট্টগ্রাম বন্দরের সাইলো জেটি ও কাফকো-সংলগ্ন জেটিতে এই দুই জাহাজ নোঙর করে বলে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা।
পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম সাইলো জেটিতে বার্থিং করেছে জানিয়ে তিনি জানান, জাহাজ এমভি মারিয়ম গত ১১ মার্চ ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে ১২ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম। জাহাজটি শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে।
এ জাহাজ থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের জাহাজ এমভি মারিয়মে আসা চালের নমুনা সংগ্রহ শেষে ভৌত বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, এ চালের খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আসা জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিমের চালগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সিদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ পবিত্র রমজান মাসে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা করেছে।
১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে অপোর আউটলেটগুলোতে বিশেষ এ ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।
এ বছর অপো ভোক্তাদের জন্য ‘মেগা’ লটারি অফার ঘোষণা করেছে। এতে অংশ নিয়ে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা সমমূল্যের গৃহস্থালি উপকরণ (হোম অ্যাপ্লায়েন্স), অপো প্যাড, অপো ওয়াচ অথবা ‘বাই ১, গেট ওয়ান ১’, ডিল উপভোগ করতে পারবেন।
এ ছাড়াও অপো সব ক্রেতার জন্যই বিশেষ ও নিশ্চিত উপহারের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে করে সবাই এ আনন্দের ভাগিদার হতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টেফোন কিনেও গ্রাহকরা উপহারের ভাগিদার হতে পারবেন। যেমন- ‘রেনো১২এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ হুডি, ‘রেনো১৩এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ ব্যাগ এবং নতুন বাজারে আসা ‘এ৫ প্রো’র সঙ্গে ‘অপো সুপার শিল্ড কার্ড’ পাবেন তারা।
অপো বাংলাদেশ, অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা দিতে অর্থাৎ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে অপো প্রতিনিয়ত অভিনবভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন উপভোগের মাধ্যমে এই ঈদে তারা অসাধারণ সব পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। ‘এ৫ প্রো’র উন্মোচন এবং মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের এই ঘোষণা ভোক্তাদের রমজান উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অপোভক্তদের সঙ্গে এই বিশেষ উপলক্ষ যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
একটি অনলাইন লটারির মাধ্যমে মেগা গিফট লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তা অপো এ৩এক্স, এ৬০, রেনো সিরিজ এবং নতুন লঞ্চ হওয়া অপো এ৫ প্রোসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অপো আউটলেট পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আকর্ষণীয় ঈদ অফার ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং ওয়েবসাইটে website https://www.oppo.com/bd/।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য