× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The way the tea workers buy bala for Ma Hasina
google_news print-icon

‘মা’ হাসিনার জন্য চা-শ্রমিকরা বালা কেনেন যেভাবে

মা-হাসিনার-জন্য-চা-শ্রমিকরা-বালা-কেনেন-যেভাবে
‘তখন শ্রমিকদের হাতে টাকা নেই। আমরা বালার জন্য চাঁদা তুলতে শুরু করি। কেউ আট আনা, কেউ এক টাকা, কেউ ১০ টাকা আবার কেউ এক শ, দুই শ টাকা দিয়েছিল। সব মিলিয়ে হবিগঞ্জের বাগানগুলো থেকে আমরা আড়াই লাখ টাকা তুলেছিলাম। সেই আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ৫ ভরি ওজনের একজোড়া বালা কিনি। তখন স্বর্ণের দাম ছিল প্রতি ভরি ৪৯ হাজার টাকার কিছু বেশি।’

চা-শ্রমিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনার বিষয় ছাড়িয়ে এক দশক আগের সোনার বালা উপহার পাওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনা।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দুই হাত উঁচু করে বালা দুটি দেখিয়ে বলেছেন, এটি তার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার।

তিনি বলেন, ‘আপনারা গণভবনে আমার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় আমার জন্য সোনার চুড়ি উপহার নিয়ে এসেছিলেন। সেই উপহার এখনও আমি হাতে পরে বসে আছি।

‘আমি কিন্তু ভুলিনি। আমার কাছে এটা হচ্ছে সব থেকে অমূল্য সম্পদ। চা শ্রমিক ভাইবোনেরা চার আনা, আট আনা করে জমিয়ে আমাকে এই উপহার দিয়েছেন। এত বড় সম্মান, এত বড় উপহার আমি আর কখনও পাইনি।’

শেখ হাসিনা সেদিনই জানান, ২০১২ সালে হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরা বালা দুটি উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে।

সেদিন প্রধানমন্ত্রী আবেগতাড়িত হয়ে কেঁদে ফেলে শ্রমিকদের জড়িয়ে ধরেন বলে নিউজবাংলাকে জানান শ্রমিকরা।

এবার শ্রমিকদের আন্দোলনের সময়ই প্রকাশ পেয়েছে শেখ হাসিনাকে সবাই ‘মা’ বলে ডাকেন।

ওই বছরের ৩ জুলাই গণবভনে শেখ হাসিনার কাছে নিজেদের বঞ্চনার কথা জানাতে যান হবিগঞ্জের ১৬ চা শ্রমিক। এর মধ্যে চারজন ছিলেন নারী। নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি কাঞ্চন পাত্র।

‘মা’ হাসিনার জন্য চা-শ্রমিকরা বালা কেনেন যেভাবে

তিনি বলেন, ‘তখন শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ছিল ২৪ থেকে ২৮ টাকা। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটত অধিকাংশ চা শ্রমিকদের। চরমভাবে শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ মৌলিক অধিকার বঞ্চিত ছিল চা শ্রমিকরা। তাই বাধ্য হয়ে নিজের দুঃখ-দুর্দশার কথা জানাতে গণভবনে যাই আমরা ১৬ জন। কিন্তু তখন আমাদের মায়ের জন্য কী উপহার নেব বুঝে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ সিদ্ধান্ত হলো যে করেই হোক ওনার জন্য এক জোড়া স্বর্ণের বালা নেব।’

কাঞ্চন বলেন, ‘তখন শ্রমিকদের হাতে টাকা নেই। আমরা বালার জন্য চাঁদা তুলতে শুরু করি। কেউ আট আনা, কেউ এক টাকা, কেউ ১০ টাকা আবার কেউ এক শ, দুই শ টাকা দিয়েছিল। সব মিলিয়ে হবিগঞ্জের বাগানগুলো থেকে আমরা আড়াই লাখ টাকা তুলেছিলাম। সেই আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ৫ ভরি ওজনের একজোড়া বালা কিনি। তখন স্বর্ণের দাম ছিল প্রতি ভরি ৪৯ হাজার টাকার কিছু বেশি।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তখন দেখা করতে যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ছিলেন চাঁন্দপুর চা বাগানের নারী শ্রমিক গীতা পাত্র। তিনি বলেন, ‘বালা দুটি আমাদের মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আমরা নিজেরাই পরিয়ে দিয়েছিলাম। যখন তিনি শুনেছেন আমরা আট আনা-চার আনা-এক টাকা করে চাঁদা তুলে বালাগুলো কিনেছি, তখন তিনি কেঁদে দিয়েছিলেন এবং আমাদের বুকে টেনে নিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মা তখন আমাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনে দৈনিক মজুরি ২৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৯ টাকা করে দিয়েছিলেন। তখনও তিনি আমাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন, এখন আবারও তিনি মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে আমাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।’

দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলন করছিলেন চা শ্রমিকরা। টানা ১৮ দিন কর্মবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী তাদের মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করেছেন। শ্রমিকরা কাজে ফিরলেও দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য। সে সুযোগ হয়েছে শনিবার বিকেলে।

দেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়ে শ্রমিকরা আবেগে ছিলেন দিশেহারা। তা শতগুণ বাড়িয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতাপূর্ণ নানা বক্তব্য ও স্মৃতিচারণা।

চা শ্রমিকরা নিজেদের দাবি জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নিজেদের অনুরাগ ও আস্থার কথা জানান।

শ্রমিকদের সব কথা মনোযোগ সহকারে শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের চা শ্রমিকরা, যাদের ব্রিটিশরা একসময় নিয়ে এসেছিল, তাদের অমানবিক অত্যাচার করত, খাটাত। জাতির পিতা শেখ মুজিব টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পরে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেন এবং পরবর্তীতে তাদের নাগরিকত্ব দেন, ভোটের অধিকার দেন।

‘ভোটের অধিকার পেয়েছে, নাগরিকত্ব পেয়েছে, কিন্তু তারা ভূমিহীন থাকবে, এটা তো হতে পারে না। সকলের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা ইনশাআল্লাহ আমি করেছি। এ ছাড়া আপনাদের শিক্ষা, চিকিৎসার সুব্যবস্থা ও মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করে দেব।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শনিবার, চা বাগানগুলোতে প্রস্তুতি
চা শ্রমিকদের চাঁদার ২ কোটি টাকা যায় কোথায়?
চা বাগানে চিকিৎসা মানেই ‘তিনবেলা প্যারাসিটামল’
চা শ্রমিকদের সঙ্গে বসবেন প্রধানমন্ত্রী
চা শ্রমিকদের পক্ষে শাহবাগে সংহতি সমাবেশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Former state minister Abdus Sattar is no more

চলে গেলেন উকিল আবদুস সাত্তার

চলে গেলেন উকিল আবদুস সাত্তার উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
আবদুস সাত্তারের একমাত্র ছেলে মাইনুল হাসান জানান, আবদুস সাত্তার সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই সমস্যার কারণে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তার।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য (এমপি) উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

আবদুস সাত্তারের একমাত্র ছেলে মাইনুল হাসান তুষার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আবদুস সাত্তার সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই সমস্যার কারণে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তার।

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের আবদুল হামিদ ভূঁইয়া ও রহিমা খাতুনের সংসারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন দীর্ঘদিন।

আবদুস সাত্তার ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে সারা দেশের চোখ ছিল আবদুস সাত্তারের দিকে। বিএনপি ছেড়ে আসা এ নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে দেখিয়েছেন রাজনীতির ভিন্ন রূপ। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন আবদুস সাত্তার।

আরও পড়ুন:
বালুবাহী ট্রাকের চাপায় দুই শ্রমিক নিহত
রাতের খাবার খেয়ে অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত্যু দুই বোনের
নাটোরে কুপির আগুনে প্রাণ গেল মা-মেয়ের
প্রেমিকার সঙ্গে ‘অভিমানে কীটনাশক পানে’ মৃত্যু
কারাগারে অসুস্থ হাজতির ঢামেকে মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3 passengers of an autorickshaw were killed after being hit by a bus in Feni

ফেনীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ আরোহী নিহত

ফেনীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ আরোহী নিহত প্রতীকী ছবি
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রুহুল মহসিন সুজন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

মহাসড়কে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নিজকুঞ্জরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সেনাবাহিনীর সাবেক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ও সেনা কল্যাণের চট্টগ্রাম শাখার কর্মকর্তা ৫৯ বছরের আবু তাহের, তার স্ত্রী ৪৮ বছলেরর সালমা আক্তার ও অজ্ঞাত আরেকজন।

নিহতের আবু তাহেরের ভাই ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বাংলাবাজারে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তারা নিহত হন।

সাদেক হোসেন আরও বলেন, বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি সিএনজিটিকে চাপা দিলে মারা যান তারা।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রুহুল মহসিন সুজন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Residents fear the collapse of flood control dam in Gaibandha

গাইবান্ধায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস, আতঙ্কে স্থানীয়রা

গাইবান্ধায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস, আতঙ্কে স্থানীয়রা গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নদীতীরে ভাঙন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গেছে। ছবি: নিউজবাংলা
পাউবো গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘গেল ২৪ ঘণ্টায় করতোয়ায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৩ সেস্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধির কারণে স্রোতের সঙ্গে পলাশবাড়ীর হোসেনপুরে বাঁধ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙন শুরুর পর থেকেই আমরা জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ভাঙনের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে গেছে।’

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গেল সপ্তাহের তিন দিনের প্রবল বর্ষণে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

পানির স্রোতে ইতোমধ্যে হোসেনপুর ইউনিয়নের চেরেঙ্গা গ্রামের নদীর বামতীর বাঁকে অন্তত ১৫০ মিটার বাঁধ ধসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর এমন আগ্রাসী রূপে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।

ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তাদের সহযোগিতা করছে স্থানীয়রা।

পাউবো গাইবান্ধার তথ্য অনুযায়ী, জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও করতোয়ার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ির তিস্তামুখ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০১ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো ও স্থানীয়রা জানান, প্রবল বৃষ্টি আর নদীর স্রোতে বুধবার থেকে হোসেনপুর ইউনিয়নের চেরেঙ্গা গ্রামের করতোয়া নদীর বামতীর এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ব্লক ধসে ভাঙন শুরু হয়। এতে অন্তত দেড় শ মিটার বাঁধ ধসে যায়।

বাঁধের চলমান ভাঙন রক্ষা করা না গেলে ২০টির বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান এলাকাবাসী। এ ছাড়া হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে জিও ব্যাগের মাটি-বালি সংকট দেখা দিয়েছে বলেও জানায় পাউবো কর্তৃপক্ষ।

হোসেনপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রতি বছর পানি বৃদ্ধি পেলেই এই এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এখন এখানে অর্ধেক বাঁধ ধসে গেছে। বাঁধ ছিঁড়ে গেলে এখানকার ২০টির বেশি গ্রামের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাড়িঘর তলিয়ে যাবে; নষ্ট হবে ফসলি জমি, মাছের ঘের। মানুষ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে।’

তিনি জানান, এখানে এখন পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলাচ্ছে। এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ এলাকার লোকজন সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছে। এখানকার ভাঙন রোধে পরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ জরুরি।

পাউবো গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘গেল ২৪ ঘণ্টায় করতোয়ায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৩ সেস্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধির কারণে স্রোতের সঙ্গে পলাশবাড়ীর হোসেনপুরে বাঁধ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

‘ভাঙন শুরুর পর থেকেই আমরা জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ভাঙনের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে গেছে।’

আরও পড়ুন:
ঢেউয়ের আঘাতে অস্তিত্ব হারাচ্ছে মেরিন ড্রাইভ সড়ক
গ্রাম রক্ষায় নিকলীতে হচ্ছে ৫২ কোটি টাকার বাঁধ
পদ্মার ভাঙনে ৪ গ্রামের শত একর জমি বিলীন
যমুনার স্পার বাঁধে ধস, ঝুঁকিতে একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান
ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩১ স্থান ঝুঁকিপূর্ণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Brother and sister died in mud house collapse due to heavy rain

ভারি বৃষ্টিতে মাটির ঘর ধসে ভাই-বোনের মৃত্যু

ভারি বৃষ্টিতে মাটির ঘর ধসে ভাই-বোনের মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শুক্রবার ভারি বৃষ্টিতে মাটির ঘর ধসে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ছবি: নিউজবাংলা
ইউএনও এ এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, মাটি চাপা পড়ে এক পরিবারের দুই ভাই-বোনের মৃত্যুর বিষয়টি দুঃখজনক। ডিসি শাহগীর আলমের সঙ্গে কথা বলে আর্থিক সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভারি বৃষ্টিপাতে মাটির ঘর ধসে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো দুইজন হলো ওই গ্রামের কৃষক মন্নাফ মিয়ার সন্তান ১২ বছর বয়সী রাফিন ও ১০ বছর বয়সী মিশু।

এ ঘটনায় শিশু দুটির বাবা মন্নাফ, মা রোকসানা ও তাদের সহোদর ইশু আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিজয়নগর থানার ওসি রাজু আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘মন্নাফ, তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে মাটির ঘরে থাকতেন। শুক্রবার ভোররাতে সবাই একসঙ্গে ওই মাটির ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় ভারি বৃষ্টি শুরু হলে তাদের মাটির ঘরটি ধসে পড়ে। এতে তারা পাঁচজনই মাটির নিচে চাপা পড়েন।

‘পরে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মন্নাফের এক মেয়ে রাফিন ও ছেলে মিশুকে মৃত বলে জানান।’

এ ব্যাপারে পত্তন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাটির ঘর ভেঙে চাপা পড়া পরিবারটি সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতনের আত্মীয় হয়। অতি বৃষ্টিতে মাটিতে নরম হয়ে ভেঙে পড়ে পাঁচজনই মাটি চাপা পড়ে।

‘ওই সময় বিকট শব্দ হলে প্রতিবেশীরা এসে মাটি চাপা থেকে তাদের বের করেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, মাটি চাপা পড়ে এক পরিবারের দুই ভাই-বোনের মৃত্যুর বিষয়টি দুঃখজনক। জেলা প্রশাসক শাহগীর আলমের সঙ্গে কথা বলে আর্থিক সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।

আরও পড়ুন:
বালুবাহী ট্রাকের চাপায় দুই শ্রমিক নিহত
রাতের খাবার খেয়ে অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত্যু দুই বোনের
নাটোরে কুপির আগুনে প্রাণ গেল মা-মেয়ের
প্রেমিকার সঙ্গে ‘অভিমানে কীটনাশক পানে’ মৃত্যু
কারাগারে অসুস্থ হাজতির ঢামেকে মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
UP woman member drowned in Naf river

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে স্পিডবোট ডুবে নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে স্পিডবোট ডুবে নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু নাফ নদীতে ডুবে যাওয়া স্পিডবোটটি উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘নাফ নদীতে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবিতে সাবেক এক নারী ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিদের বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন।

শাহপরীর দ্বীপে নাফ নদীর মোহনায় শুক্রবার দুপুরে এ দুর্ঘটনায় পড়ে স্পিডবোটটি।

নিহত ৫৫ বছর বয়সী ফিরোজা খাতুন সেন্টমার্টিন দ্বীপের ডেইলপাড়ার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং তিনি সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক নারী সদস্য।

টেকনাফ উপজেলার ইউএনও আদনান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘দুপুরে দ্বীপের বাসিন্দা নুরুল আলমের মালিকানাধীন স্পিডবোটটি ২১ জন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে নদীর মাঝামাঝি মোহনায় হঠাৎ তলা ফেটে সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার খবরে কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। অবৈধভাবে এ রুটে চলাচলকারী স্পিডবোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘নাফ নদীতে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবিতে সাবেক এক নারী ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিদের বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Alleged rape of intellectually challenged girl in Natore Youth arrested

নাটোরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

নাটোরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার প্রতীকী ছবি
পুলিশ পরিদর্শক বলেন, ‘ঘটনা শুনে কিশোরির মা শরনখোলা থানায় মামলা করলে আমাদের অভিযানে গভীর রাতে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

বাগেরহাটে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জেলার শরণখোলায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফয়জুল ইসলাম ওরফে মিজানকে গ্রেপ্তার করে।

ওই কিশোরীকে শুক্রবার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শরণখোলা উপজেলার একটি গ্রামে ওই কিশোরীর বাবা গত ২৩ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনে মাছ ধরতে যায়। এ সময় তার মা তাকে পাশের ফুফুর বাড়িতে রেখে ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য খুলনায় যান।

এ সুযোগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী ফয়জুল ইসলাম মিজান ওই কিশোরিকে ধর্ষণ করে। খুলনা থেকে তার মা বাড়িতে আসলে ওই কিশোরী ধর্ষণের কথা খুলে বলে।

পুলিশ পরিদর্শক বলেন, ‘ঘটনা শুনে কিশোরীর মা শরনখোলা থানায় মামলা করলে আমাদের অভিযানে গভীর রাতে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Lakhs of people are suffering due to the closure of more than half a hundred railway crossings in Comilla

রেললাইনে শুয়ে সড়ক চালুর দাবি

রেললাইনে শুয়ে সড়ক চালুর দাবি কুমিল্লায় রেলওয়ে ক্রসিং সংলগ্ন অর্ধশতাধিক সড়ক বন্ধে রেললাইনে শুয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন স্থানীয়রা। ছবি: নিউজবাংলা
রেলওয়ের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মুরসালিন রহমান বলেন, ‘লাকসাম-নোয়াখালী, লাকসাম-চাঁদপুর ও লাকসাম-চট্টগ্রাম রেল রুটের বিভিন্ন অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে সড়ক বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা বন্ধে এই পদক্ষেপ। এ বিষয়ে কারও অভিযোগ থাকলে রেলওয়ে ব্যবস্থাপক পূর্বাঞ্চলের বরাবরে লিখিত দিতে পারেন।’

কুমিল্লা অঞ্চলের রেলওয়ে ক্রসিং সংলগ্ন অর্ধশতাধিক সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ।

এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করছে স্থানীয়রা।

শুক্রবার কুমিল্লা-নোয়াখালী রেল রুটের কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তপইয়ায় কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা রেললাইনে শুয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, লাকসাম-নোয়াখালী, লাকসাম-চাঁদপুর ও লাকসাম-চট্টগ্রাম রেল রুটের বিভিন্ন অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে খুঁটি গেড়ে সড়ক বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।

এ নিয়ে স্থানীয়রা জানান, তিন দিন আগে অর্ধশতাধিক স্থানে সড়ক বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন কয়েক লাখ মানুষ। এতে বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পরিবহন ও রোগীর অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারছে না। বন্ধ রয়েছে মালামাল পরিবহন।

তাদের দাবি, রেল সড়ক থেকেও তপইয়া সড়কের বয়স বেশি।

লাকসাম মনপাল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল মোতালেব, মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন,আলী আকবর ও তপইয়া গ্রামের মাইন উদ্দিন জানান, তপইয়া রেলওয়ে ক্রসিং দিয়ে তপইয়া, কৃষ্ণপুর, মনপাল, রাজাপুর, রামপুর, ষোলদনাসহ অন্তত ১৫টি গ্রামের লাখো মানুষ চলাচল করে। সড়কটি বন্ধ হওয়ায় রেললাইনের পশ্চিমের গ্রামগুলোর শিক্ষার্থী ও রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এ ছাড়াও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও অটোরিকশার চালকরা।

সড়কটি দ্রুত চালুর দাবি জানান তারা। নইলে আরও বড় কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন তারা।

স্থানীয় উত্তরদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন বলেন, ‘তপইয়ায় সড়ক বন্ধ হওয়ায় এলাকার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ বিষয়ে আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’

রেলওয়ের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মুরসালিন রহমান বলেন, ‘লাকসাম-নোয়াখালী, লাকসাম-চাঁদপুর ও লাকসাম-চট্টগ্রাম রেল রুটের বিভিন্ন অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে সড়ক বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা বন্ধে এই পদক্ষেপ। এ বিষয়ে কারও অভিযোগ থাকলে রেলওয়ে ব্যবস্থাপক পূর্বাঞ্চলের বরাবরে লিখিত দিতে পারেন।’

আরও পড়ুন:
লালমনিরহাটে ট্রাকচাপায় সাংবাদিক নেতার মৃত্যু
মেট্রোরেলে জরুরি নিয়োগ, এসএসসি পাসেই আবেদনের সুযোগ
মেট্রোর নর্দার্ন রুটের নির্মাণকাজ উদ্বোধন স্থগিত
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমেরিকান দূতাবাসে আশ্রয়প্রার্থী চাকরি হারানো ডিএজি এমরান
কাউকে খুশি করতে ডিএজি এমরান ব্রিফ করেছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

মন্তব্য

p
উপরে