× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
I condemn the killing of Sheikh Moni on August 15 but… Rizvi
google_news print-icon

১৫ আগস্ট শেখ মনি হত্যার নিন্দা করি, তবে…: রিজভী

১৫-আগস্ট-শেখ-মনি-হত্যার-নিন্দা-করি-তবে…-রিজভী
জাতীয় শোক দিবসের আলোচনার এক অনুষ্ঠানে দুই ভাই যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ পরশ ও ডিএসসিসির মেয়র শেখ তাপসকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
‘দুই-তিন দিন আগে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী পরশ এবং তাপসকে ধরে কান্না করেছেন তাদের বাবাকে হত্যা করা হয়েছে তার জন্য। আমরাও এটার নিন্দা করি যারা তাদের বাবাকে হত্যা করেছে তার জন্য। কিন্তু ইলিয়াস আলী গুম, তার ছেলে যে কান্না করছে, চৌধুরী আলমের স্ত্রী কান্না করছে, সুমনের মা কান্না করছে। এইটা আপনি প্রধানমন্ত্রীর অনুধাবন হয় না? পরশ আর তাপসের জন্য কান্না আসে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম-এদের জন্য কান্না আসে না?’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার রাতে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনিকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

অবশ্য সেই হত্যাযজ্ঞের খুনিদের আইনি সুরক্ষা দিতে জারি করা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে সংবিধানের অংশ করার বিষয়ে কিছু বলেননি বিএনপি নেতা।

তবে সম্প্রতি শেখ মনির দুই ছেলে শেখ ফজলে নূর তাপস ও শেখ ফজলে শামস পরশকে সমাবেশের মঞ্চে ডেকে নিয়ে শেখ হাসিনার স্নেহ করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতা। বলেছেন, পরশ-তাপসের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কান্না এলেও গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের জন্য কেন আসে না।

শ‌নিবার নয়াপল্টনে বিএন‌পির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দ‌ক্ষিণ বিএন‌পির উদ্যোগে এক সমাবেশে তি‌নি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এ সময় রিজভী সম্প্রতি জাতীয় শোক দিবস স্মরণে আওয়ামী লীগের আলোচনায় শেখ তাপস ও পরশকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে তাদের ধরে প্রধানমন্ত্রীর কান্না নিয়ে কথা বলেন।

গত ৩০ আগস্ট এই আলোচনায় শেখ হাসিনা যখন মঞ্চে ছিলেন, তখন পরশ ও তাপসকে ডেকে নেন তিনি। ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘আজকে ওরা বড় হয়ে গেছে। পাঁচ বছরের পরশ, তিন বছরের তাপস। বাবা-মায়ের লাশ পড়ে আছে। দুটি বাচ্চা বাবা-মায়ের লাশের কাছে গিয়ে চিৎকার করছে। বাবা ওঠো, বাবা ওঠো। মা ওঠো, মা ওঠো। সেদিন কেউ সাড়া দেয়নি।’

রিজভী বলেন, ‘দুই-তিন দিন আগে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী পরশ এবং তাপসকে ধরে কান্না করেছেন তাদের বাবাকে হত্যা করা হয়েছে তার জন্য। আমরাও এটার নিন্দা করি যারা তাদের বাবাকে হত্যা করেছে তার জন্য।

‘কিন্তু ইলিয়াস আলী গুম, তার ছেলে যে কান্না করছে, চৌধুরী আলমের স্ত্রী কান্না করছে, সুমনের মা কান্না করছে। এইটা আপনি প্রধানমন্ত্রীর অনুধাবন হয় না? পরশ আর তাপসের জন্য কান্না আসে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম- এদের জন্য কান্না আসে না? নুর আলম, রহিম, শাওনের জীবন চলে গেছে। আর আপনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না।’

’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার রাতে হামলা হয় শেখ মনি এবং বঙ্গবন্ধুর ভাই আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়িতেও। সেখানেও চলে হত্যাযজ্ঞ।

এই হত্যার পরই নানা ঘটনাপ্রবাহে ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সে সময়ের সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। এই হত্যাযজ্ঞের পর খুনিদের আইনি সুরক্ষা দিয়ে রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদ যে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সেটিকে করা হয় সংবিধানের অংশ।

এ কারণে বঙ্গবন্ধু, শেখ মনি বা সেরনিয়াবাত হত্যার বিচারের দাবিতে মামলাও করা যায়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল বিল উত্থাপনের দিন বিএনপি সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে। আর ওই বছর সেই নির্বাচনের আগে ১৫ আগস্ট যে একতরফা ভোট হয়েছিল, সেই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর দুই খুনিকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে আনে বিএনপি।

আবার ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্টের খুনিদের আপিল শুনানি আটকে থাকে পাঁচ বছর। আওয়ামী লীগের অভিযোগ, এই শুনানি যেন না হতে পারে, সে জন্য বিএনপি সরকার আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ আটকে রাখে। এ কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব সময় অভিযোগ করা হয়, ১৫ আগস্টের খুনিদের সব সময় বিএনপি রক্ষার চেষ্টা করেছে।

রিজভী অবশ্য শেখ মনি হত্যার নিন্দা করার কথা বললেও ইতিহাসের এই বিষয়গুলো নিয়ে আর কিছুই বলেননি।

‘হামলা, গুম, খুনের নির্দেশদাতা প্রধানমন্ত্রী’

বিএনপি নেতার অভিযোগ, বিরোধী দলের ওপর যত আঘাত, নেতাকর্মীদের যত গুম, যত বিচারবহির্ভূত হত্যা সবকিছুর নির্দেশদাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রিজভী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেছে, তাদের নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবে। সে রাজপথে থাকার পরিণতি আমরা দেখছি শাওনের লাশ। তারা মাঠ দখলে রাখবে। সেই দখলে রাখার নমুনা হচ্ছে শাওনের রক্তাক্ত, রক্ত ভেজা শার্ট।

‘এই নমুনা তারা যে আরও কত দেখাবে! এই নমুনা তারা যে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবে তা বলা মুশকিল। কারণ যে দেশের প্রধানমন্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বলে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেবে, আন্তর্জাতিক সম্মান নিয়ে আসা ব্যক্তি ড. ইউনূসকে বলে দুইবার চুবানি দেয়া দরকার, দেশের অর্থনীতিবিদদের বলেন, তারা কিছুই জানে না, সেই প্রধানমন্ত্রী যদি মহিলা না হয়ে পুরুষ হতেন, তাহলে শামীম ওসমানের চেয়ে বড় গুন্ডা হতেন, এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

রিজভী বলেন, ‘এইটা প্রধানমন্ত্রীর কোনো ভাষা হতে পারে? এই ভাষাতেই তারা চলছে।’

বিএনপিকে নির্বিঘ্নে আন্দোলন করে দেয়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে বলেও মনে করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘১৪ আগস্ট আপনি বলেছেন, বিএনপি গণভবন ঘেরাও করবে, তাদের করতে দিন। তাদের মিটিং-মিছিল করতে বাধা দেবেন না। আপনি নির্দেশ দেয়ার কে? বিএনপি মিটিং-মিছিল করবে, কথা বলবে এটা তো স্বাধীনতা। আপনি আলাদাভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন কেন? আপনি গণতন্ত্র হরণকারী, ১৪ আগস্টের বক্তব্যে আপনি তা প্রমাণ করেছেন।

‘আর আপনি বলেছেন, আপনি করুণা করে খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকতে দিয়েছেন। তাহলে আপনি করুণা করে তাকে জেলে ভরেছিলেন? আমরা বলেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলা আপনার নির্দেশে হয়েছে। আপনার কথার মাধ্যমে তা প্রমাণ হয়েছে।’

নেতাকর্মীদের আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আর কোনো সময় নেই। মিটিংয়ে মিছিলে কণ্ঠের উচ্চারণে এ সরকারকে পদত্যাগ করাতে হবে। আর এই পদত্যাগের মাধ্যমেই দেশে শান্তি আসবে, গণতন্ত্র আসবে, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি হবে, গণতন্ত্রের নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।

‘রাজপথের প্রত্যেকটা জায়গায় আন্দোলনের ঝড়ো হাওয়া বয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।

আরও পড়ুন:
উত্তাল জনস্রোত দেখে মাথা খারাপ হয়ে গেছে: রিজভী
অচিরেই লোডশেডিং থেকে উত্তরণ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
‘ঝরনা ছেড়ে গোসল নয়’
ছাত্রলীগের বদনামের পেছনে আলতুফালতু লোক: প্রধানমন্ত্রী
নাটক সাজাচ্ছে, তবে খালেদাকে আর দয়ার সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Awami League people are provoking Hindus Jamaat Secretary

আওয়ামী লীগের লোকেরা হিন্দুদের উস্কানি দিচ্ছে: জামায়াত সেক্রেটারি

আওয়ামী লীগের লোকেরা হিন্দুদের উস্কানি দিচ্ছে: জামায়াত সেক্রেটারি সোমবার মুন্সীগঞ্জে জামায়াতের ইউনিয়ন সম্মেলন এবং গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: নিউজবাংলা
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে জামায়াত যৌক্তিক সময় দিতে রাজি। একটা নির্বাচন দিতে ন্যূনতম যতটুকু সংস্কার দরকার তা করতে হবে।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘জুডিশিয়াল ক্যু করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সরানোর ষড়যন্ত্র থেকে ছাত্র-জনতা রক্ষা করেছে। ফ্যাসিবাদের বিদেশি বন্ধুরা প্রতি-বিপ্লবের ইন্ধন দিচ্ছে।’

সোমবার মুন্সীগঞ্জ শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন সম্মেলন এবং গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর নানা দাবি তোলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, ১৫ বছর আপনারা কোথায় ছিলেন? দেশের মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও তাদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে। হিন্দু ভাইদের আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকেরা।’

নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে জামায়াত যৌক্তিক সময় দিতে রাজি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংস্কার করে অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তা না খুব শর্ট না খুব লং। ফ্যাসিবাদের পেতাত্মারা অনেক ক্ষেত্রে এখনও রয়েছে। তাই একটা নির্বাচন দিতে ন্যূনতম যতটুকু সংস্কার দরকার তা করতে হবে। রাতের ভোট দিনে আর হতে দেবে না বাংলাদেশের মানুষ।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের উল্লেখ করে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘তাদের কথা ইতিহাসে লেখা থাকবে। স্বৈরশাসক থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ ঈদের আনন্দ করেছে। কিন্তু শহীদদের পরিবারগুলো ঘরের কোণায় কান্নায় জর্জরিত ছিলো।

‘অনেকে আহত হয়েছে। কে হাত-কেউ কেউ চোখ হারিয়েছে। প্রয়োজনে বিদেশে নিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের ঘোষণা যেন মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ না থাকে। শহীদের কাছে আমরা ঋণী। সেই ঋণ আমাদেরকে শোধ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সাতজনের পরিবারকে জামায়াতের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।

মুন্সীগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আ. জ. ম রুহুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মো. সাইফুল আলম খান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল জব্বার ও ইসলামী ছাত্রশিবির মুন্সীগঞ্জ জেলার সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে ঘৃণা-বিভাজনের রাজনীতি কবর দিন: জামায়াত আমির
জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল
দাবি-দাওয়া নিয়ে এতদিন কেন কথা বলেননি: জামায়াতের আমির
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে মঙ্গলবার
জনগণ আর কোনো জালিম সরকার দেখতে চায় না: শফিকুর রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hasina ran away leaving the leaders to avenge her fathers death Mamunul Haque

বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই নেতাদের রেখে পালিয়েছেন হাসিনা: মামুনুল হক

বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই নেতাদের রেখে পালিয়েছেন হাসিনা: মামুনুল হক রোববার ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন মামুনুল হক। ছবি: নিউজবাংলা
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিশোধ নেয়া যায় সেই চিন্তা শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিলেন।’

শেখ হাসিনা তার বাবার মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিশোধ নিয়ে দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, প্রতিশোধের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের নেতাদের রেখে তিনি ভারতে পালিয়েছেন।

রোববার ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে মামুনুল হক একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কীভাবে তার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়া যায় সেই চিন্তা শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিলেন।’

মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা তার পরিবারের কাউকে রাজনীতিতে আনেননি। কারণ দেশের মানুষের ওপর তার কোনো আস্থা ছিলো না। তার চিন্তায়ই ছিলো বাংলাদেশের রাজনীতির বারোটা বাজিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন।

‘প্রতিশোধের রাজনীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য ছিলোনা। তিনি দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আরেক দেশকে ট্রানজিট দিয়ে দেন। কারণ তিনি এ দেশের উন্নতি চাননি। দেশটাকে অঙ্গরাজ্যে পরিণত করাই ছিলো হাসিনার রাজনীতি।’

বাংলাদেশ খেলাফল মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাঈদ আহমদ সাঈফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসা।

বক্তব্য শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।

আরও পড়ুন:
হাজার বছরে শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়েছে কি না, সন্দেহ মামুনুলের
আওয়ামী লীগ নাটকবাজ দল: মামুনুল হক
দুই মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুলের জামিন বহাল
দুই মামলায় হেফাজতের মামুনুলের জামিন স্থগিত
আরও ৩ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
422 people of BNP were killed in the student uprising Fakhrul

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন নিহত: ফখরুল

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন নিহত: ফখরুল আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: বিএনপি
ফখরুল বলেন, “...১৬ বছরের স্বৈরাচারী দুঃশাসনকে চূর্ণ করে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আবারও মুক্তির স্বাদ পায়, গণতন্ত্রের পথ সুগম করে। অসংখ্য ব্যক্তি ও পরিবার রয়েছে, যাদের বছরের পর বছর ধরে ত্যাগের মহিমায় আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘জুলাই গণহত্যায়’ ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে শহীদ হন ৮৭৫ জন মানুষ, যার মাঝে কমপক্ষে ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।”

চলতি বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ৪২২ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

ফখরুল বলেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জনগণকে বারবার ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে। এ দেশের স্বাধীনতাকে যখনই গ্রাস করেছে স্বৈরতন্ত্র, প্রতিবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।

‘বাকশালের পর বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বৈরশাসনের পর সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, দেশের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।’

তিনি বলেন, “সেই ধারাবাহিকতায়, ১৬ বছরের স্বৈরাচারী দুঃশাসনকে চূর্ণ করে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আবারও মুক্তির স্বাদ পায়, গণতন্ত্রের পথ সুগম করে। অসংখ্য ব্যক্তি ও পরিবার রয়েছে, যাদের বছরের পর বছর ধরে ত্যাগের মহিমায় আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘জুলাই গণহত্যায়’ ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে শহীদ হন ৮৭৫ জন মানুষ, যার মাঝে কমপক্ষে ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।

“দেশজুড়ে শহীদ হওয়া সকল শ্রেণি-পেশা-রাজনীতির মানুষগুলোর এ বিশাল অংশ যে বিএনপিরই নেতা-কর্মী, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং আমাদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল।”

অভ্যুত্থানে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘বস্তুত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ৪২২ জন, ২০২৩ সাল পর্যন্ত শহীদ ১ হাজার ৫৫১ জন। গুম ৪২৩ জন (সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জন)। আসামি ৬০ লক্ষ এবং মামলা দেড় লক্ষ। এসব কেবল বিএনপির ত্যাগের পরিসংখ্যানই নয়; বরং বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথে দলটির অবিচল সংগ্রাম ও অবদানের প্রতিফলন।

‘আমরা বিশ্বাস করি, যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে যুক্ত ছিল—গণতান্ত্রিক প্রতিটি ব্যক্তি, দল, সংগঠন ও গোষ্ঠী—তাদের সকলের আত্মত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতি না দিলে তা হবে ইতিহাসের প্রতি অবিচার। সকল শ্রেণি-পেশা-মতের মানুষের অংশগ্রহণকে সম্মান জানিয়ে, জনগণের লুণ্ঠিত ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সেই পথযাত্রায় ও রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে গড়ে তুলতে হবে একটি নিরাপদ ও মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ, যেখানে প্রতিফলন ঘটবে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশার।’

আরও পড়ুন:
জনদুর্ভোগ বিবেচনায় নেতাদের গাড়িবহর পরিহারের নির্দেশ বিএনপির
ভারত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আধিপত্যের রাজনীতি করে যাচ্ছে: ফখরুল
চাঁদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫০
নেত্রকোণায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
হাসিনার প্রেতাত্মারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A long way to go to build a strong democracy Tariq Rahman

শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়তে অনেকদূর এগুতে হবে: তারেক রহমান

শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়তে অনেকদূর এগুতে হবে: তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সবল ও শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে এখনও অনেক দূর এগুতে হবে। কারণ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এখনও গণতন্ত্রের দুর্বলতা বিদ্যমান।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে সর্বজনীন মূল্যবোধ, যা জনগণের স্বাধীন ভাব প্রকাশ ও বাধাহীন চিন্তা প্রকাশের স্বীকৃতি প্রদান করে। ব্যক্তিগতভাবে আমি ও আমার দল বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রের নীতিগুলো প্রচার ও সমুন্নত রাখার বিকল্প নেই।

‘আমরা এ ধরণের একটি নিরাপদ, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ- যা রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম করে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে।’

গণতন্ত্র সম্পর্কে এবং এর অন্তর্নিহিত শক্তি উপলব্ধি করতে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রচলিত একটি বিশেষ দিন হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি আত্মদানকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি জানান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মর্মমূলে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। এর ভিত্তি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। এই চিন্তা ও দর্শনকে আপোষহীন সংগ্রামের নিরবচ্ছিন্ন পথচলায় অগ্রগামী করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

তারেক রহমান বলেন, ‘গণআকাঙ্ক্ষায় প্রতিষ্ঠিত সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও বহুমাত্রিক গণতন্ত্রকে বার বার হিংস্র আক্রমণে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকরা ধ্বংসের অপচেষ্টা চালিয়েছে। দেড় দশক ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবিরাম সংগ্রামের পটভূমির ওপর দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থী-জনতার দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।’

‘সুশাসন ও নাগরিক অংশগ্রহণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা’- এ বছরের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের এই প্রতিপাদ্যকে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। বলেন, ‘আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিগত ১৬/১৭ বছরে কোটি কোটি ভোটারকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হয়নি। জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা হয়েছে ভুয়া ভোটার দিয়ে। দেশের কোটি কোটি ভোটার অর্থবহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

‘দেশের কয়েক প্রজন্ম গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা ও প্রয়োগ ছাড়াই একটি ভীতিকর ও কতৃর্ত্ববাদী পরিবেশে বেড়ে উঠেছে। অপশাসনে সংকুচিত স্বাধীনতা ও সৃজনশীলতা তথা মানবিক, মানসিক বিকাশ ও প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিনযাপন করতে হয়েছে। তরুণদের উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎকে নস্যাৎ করা হয়েছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।

‘ইনশাআল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।’

আরও পড়ুন:
আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে: তারেক রহমান
বিএনপি সবসময়ই জনসমর্থনের ওপর নির্ভরশীল: তারেক রহমান
গুম মানবতাবিরোধী অপরাধ: তারেক
গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আইনগত বাধা দূর
নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Reforms will continue in future under interim government Moin Khan

অন্তর্বর্তী সরকারের অনুসরণে ভবিষ্যতেও সংস্কার চলবে: মঈন খান

অন্তর্বর্তী সরকারের অনুসরণে ভবিষ্যতেও সংস্কার চলবে: মঈন খান শনিবার নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও হতাহতদের জন্য দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন ড. আবদুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু কিছু সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তবে ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজকে যে সংস্কার এ সরকার করবে, আগামী দিনে সেটাকে আবার সংস্কার করা হবে। সেসব সংস্কারই করা হবে, যেগুলো অত্যাবশ্যক।’

সংস্কারকে একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান সরকার যে সংস্কার করবে, আগামী দিনে সেগুলো আবার সংস্কার করা হবে।

শনিবার নরসিংদীর ভগিরথপুর ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চার শহীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও হতাহতদের জন্য দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মঈন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে নিশ্চয় তারা কিছু সংস্কার করবে এবং তারা কিছু কিছু সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।

‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজকে যে সংস্কার এ সরকার করবে, আগামী দিনে সেটাকে আবার সংস্কার করা হবে। সেসব সংস্কারই করা হবে, যেগুলো অত্যাবশ্যক।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠিয়ে তারা একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। তারা এদেশে হিংসা, প্রতিহিংসা, লুটপাট, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতনের রামরাজত্ব কায়েম করেছিল।’

মঈন খান বলেন, ‘মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছে তারা। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। ভোটের অধিকার ব্যতিরেকে কোনো দেশে গণতন্ত্র হতে পারে না। তারা মনে করেছিল এ দেশ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এটা হতে পারে না। বাংলাদেশের মালিক হচ্ছে দেশের ১৮ কোটি মানুষ। এই মানুষগুলো তাদের কথা বলার ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে।’

মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলী, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মনির, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহেন শাহ শানুসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের জন্য দোয়া করা হয়। পাশাপাশি নিহত আরিফুল ইসলাম রাব্বী, আব্দুর রহমান, আরমান মোল্লা ও নাহিদের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতার অর্থ তুলে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ আজ ডামি সোনার বাংলা: মঈন খান
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে আ.লীগ সরকার: মঈন খান
নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পড়বে কি না, সন্দেহ আছে: মঈন খান
প্রহসনের নির্বাচন করে আ.লীগ ক্ষমতায় টিকতে পারবে না: মঈন খান
দেশে অলিখিত বাকশাল কায়েম করা হয়েছে: মঈন খান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP wants to show the strength of the field in Sylhet
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রথম সমাবেশ কাল

সিলেটে এবার মাঠের শক্তি দেখাতে নামছে বিএনপি

সিলেটে এবার মাঠের শক্তি দেখাতে নামছে বিএনপি
আগামীকাল রোববার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বড় ধরনের জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট মহানগর বিএনপি। ইতোমধ্যে কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট জেলা, মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এই সমাবেশে নেতা-কর্মীদের বড় জমায়েত ঘটাতে চায় দলটি।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে সিলেটে একেবারেই কোণঠাসা ছিলো বিএনপি। হামলা-মামলায় জর্জরিত ছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। রাজপথে কর্মসূচিতেও আসত বাধা। মামলা-গ্রেপ্তারের ভয়ে দলীয় কর্মসূচিগুলোতে পদধারী নেতারাও থাকতেন অনুপস্থিত।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এসব প্রতিবন্ধকতা কেটেছে। দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা নেতাকর্মী-সমর্থকরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন কারাবন্দি নেতারা। ফলে দীর্ঘদিন পর সিলেটে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বিএনপি।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বড় ধরনের জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট মহানগর বিএনপি। বিকেলে নগরে শোভাযাত্রা ও সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে কয়েক লাখ লোক অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।

ইতোমধ্যে কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট জেলা, মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এই সমাবেশে নেতা-কর্মীদের বড় জমায়েত ঘটাতে চায় দলটি।

শেখ হাসিনার পতনের সিলেটে বিএনপির এটিই প্রথম সমাবেশ।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এই সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিতে চায় দলটি। এছাড়া মাঠ নিজেদের দখলে রাখাও লক্ষ্য। সমাবেশ থেকে দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের দাবি জানানো হতে পারে।

জানা যায়, রোববার বেলা ২টায় শুরু হবে শোভাযাত্রা। সেটি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও কেন্দ্রীয় নেতা বক্তব্য দেবেন।

দলীয় সূত্র জানা গেছে, সমাবেশ সফল করতে সিলেট শহরজুড়ে ছয়টি টিম প্রচার চালাচ্ছে। এছাড়াও বিভাগের প্রতিটি উপজেলা, মহানগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করেছেন দলটির নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি সিলেট জেলা ও মহানগরের দায়িত্বশীলরা কাজ করছেন।

প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে জেলা ও মহানগর বিএনপি প্রস্তুতি সভা করেছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় সভায় আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা-সমাবেশ সফল করতে নানা পরিকল্পনা নেয়া হয়।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতন্ত্রকামী দল। দীর্ঘদিন ধরে আমরা অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। এই ধারাবাহিক লড়াই ও ছাত্র-জনতার বিস্ফোরণের মুখে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা। দ্রততম সময়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন৷ গণতন্ত্র দিবসে আমরা এসব দাবিই জানাব।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়ন সত্ত্বেও আমরা সিলেটের রাজপথে সবসময়ই সক্রিয় ছিলাম। তবে এখন ফ্যাসিস্টরা পালিয়েছে, পুলইশ নির্যাতনের ভয়ও নেই। তাই রোববারের সমাবেশে বিপুল জমায়েতের আশা করছি আমরা।’

এর আগে সবশেষ গত বছরের নভেম্বরে সিলেটে বড় জমায়েত করে বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে নভেম্বরে নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বড় সমাবেশ করে দলটি। তাতে প্রধান অতিথি হিসেবে দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এটি ছিলো প্রায় নয় বছর পর সিলেটে বিএনপির বড় সমাবেশ। এর আগে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর নির্বাচনের আগে সিলেটে মহাসমাবেশ করে দলটি। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

আরও পড়ুন:
জনদুর্ভোগ বিবেচনায় নেতাদের গাড়িবহর পরিহারের নির্দেশ বিএনপির
হাসিনার প্রেতাত্মারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ
নির্বাচন কমিশন ও দুদক পুনর্গঠনের দাবি বিএনপির
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছে বিএনপি: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
EC formation should be based on political consensus Badiul Alam

রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইসি গঠন হওয়া উচিত: বদিউল আলম

রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইসি গঠন হওয়া উচিত: বদিউল আলম নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। ফাইল ছবি
নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আরপিও আইন ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে। কেননা নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত যে আইন করা হয়েছে তা ত্রুটিপূর্ণ।’

রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।

শনিবার পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ছায়া সংসদে তিনি এই মতামত তুলে ধরেন।

বদিউল আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আরপিও আইন ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে। কেননা নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত যে আইন করা হয়েছে তা ত্রুটিপূর্ণ।’

নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সবাই কলঙ্কিত ও পলাতক। তারা বিশেষ সময়ের মধ্যে পুনর্গঠিত হতে না পারলে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের বিচার সম্পন্ন না হলে এবং তারা পুনর্গঠিত হতে না পারলে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে না। যারা ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে তারা সুস্পষ্টভাবে সংবিধান লঙ্ঘনকারী।

‘সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচার হওয়া দরকার। নইলে আগামীতে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে না।

বদিউল আলম বলেন, বিগত তিন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ মানুষ সবাই নির্বাচনি অপরাধী, তাদের শাস্তি হওয়া যৌক্তিক।

আরও পড়ুন:
অল্প সময়ে সংবিধান সংস্কার সম্ভব নয়: হাসান আরিফ
সিইসিসহ ৫ কমিশনারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ রাষ্ট্রপতির
সিইসি হাবিবুল আউয়ালসহ কমিশনারদের পদত্যাগ

মন্তব্য

p
উপরে