× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The government is not buying Nabiruls book
google_news print-icon

নবীরুলের বই কিনছে না সরকার

বই
অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বইয়ের তালিকা নিয়ে সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রশাসন সচিব কে এম আলী আজম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। পরবর্তী অর্থবছরে লেখকের নামে না কিনে বিষয়ভিত্তিক প্রকল্পের বই কেনা হবে।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বই কেনা প্রকল্পের ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের তালিকা বাতিল করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বই কেনার তালিকায় অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বই থাকার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল মন্ত্রণালয়।

কে এম আলী আজম বলেন, ‘এই তালিকা বাতিল করে দিয়েছি। নতুন তালিকা করার জন্য আমি কমিটি করব। তালিকা করব নাকি হেডলাইনে করবো, সেটা আমি মিটিং করে নির্ধারণ করব। আপাতত তালিকা বাতিল করে দিয়েছি।

‘পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত কার্যক্রম না নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি জানিয়ে দেব। এক সপ্তাহের মধ্যে হয়তো আমরা হেড দিয়ে দেব, ইতিহাস, সাহিত্য, কবিতা- এ রকম করে দেব। ওরা ওদের মতো করে রুচিশীল বইয়ের নাম ফিলআপ করবে।’

তিনি বলেন, ‘হাজার-হাজার বই। তালিকা করতে গেলে কারটা দেব, কারটা দেব না, কোন প্রকাশকের যাবে, কোন প্রকাশের যাবে না- এটা একটা সেনসেটিভ এরিয়া।

‘একটা কমিটি করে দেব যাতে তারা পর্যালোচনা করে সাজেস্ট করতে পারে, কোন প্রক্রিয়ায় আমরা তাদের বই কেনার জন্য সাজেস্ট করব।’

বিভাগ-জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে চার বছরের জন্য ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আওতায় প্রতি বছর মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বই কেনার জন্য টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। চলতি অর্থবছরের জন্য উপজেলা পর্যায়ের জন্য বরাদ্দ দেড় লাখ, জেলা পর্যায়ে ২ লাখ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ৩ লাখ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বই কেনার জন্য যে প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছিল তাতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি কবিতার বইয়ের নাম ছিল। মন্ত্রণালয়ের যে উইং এই বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করেছে, তার প্রধান ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলাম।

এর আগে রোববার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বই কেনার তালিকায় মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বই কীভাবে ঢুকেছে তা তদন্ত করা হবে।

তিনি বলেন, ‘একজন কর্মকর্তা যিনি এই দায়িত্বের মধ্যে ছিলেন তার ২৯টি বই থাকবে কেন। এটি অশোভনীয়। আমি নিজে বলছি যে এটা ঠিক হয়নি। এটা নিয়ে আমরা বসব। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমরা যতটুকু জেনেছি তার বইগুলো কেনা হয়নি, তবে নামগুলো আছে। কেনা হয়েছে সেরা বইগুলো, যেগুলো জগদ্বিখ্যাত ও আমাদের দেশের ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা এবং সুপাঠ্য উপন্যাস কেনা হয়েছে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি আজ (রোববার) আমার নির্বাচনি এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমি মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছি ওনার বই কেউ কিনেছেন কি না। কেউ তার বই কেনেননি। আমার সচিব বললেন যে, ঢাকায়ও কিন্তু ওনার বই কেনা হয়নি। যে বইগুলো পাঠক সৃষ্টি করবে, সেই বইগুলো কিন্তু কেনা হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৪৭০টি বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু কোথাও বাধ্য করা হয়নি যে এই বইগুলো কিনতে হবে। এটির আলোকে বা বিবেচনায় রেখে কিনতে বলা হয়েছে। যে কর্মকর্তা এটি করেছেন, তিনি ঠিক করেননি।’

বইয়ের তালিকায় অনেক সরকারি কর্মকর্তার বই থাকার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্কিমচন্দ্রও সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তার লেখা বইও আছে। এ রকম আরও অনেক কর্মকর্তা আছে, যাদের বইগুলো খুবই ভালো। যেমন: মোবাইল কোর্ট আইনের ওপর বই আছে, ভূমি আইনের ওপর বই আছে, আয়করের ওপর অনেক ভালো বই আছে। সেটা যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তার হয়, এখানে অসুবিধার কোনো কারণ নেই।’

আরও পড়ুন:
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের বই দেবে সরকার
পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের ভুল তথ্য প্রত্যাহার করলেন এমপি ফখরুল
‘মূর্তির ৬১ মুক্তির ৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বিশ্ব বই দিবস: ‘আমার সন্তান যেন থাকে বই হাতে’
আনন্দ প্রকাশ করল মোস্তফা কামালের ‘বঙ্গবন্ধু’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The target of export of goods and services in the current fiscal year is and 1 billion

চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানির লক্ষ্য ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার

চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানির লক্ষ্য ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রফতানি হবে বাংলাদেশ থেকে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এ ঘোষণা দেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সমাপ্ত অর্থবছর ২০২৪-২৫ এ বাংলাদেশ পণ্য খাতে ৫০.০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৮.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৭% এবং পূর্ববর্তী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৮.৫৮% বেশী।

সেবা খাতের লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫০ বিলিয়নের বিপরীতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৫.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.১৩% বেশী।

অর্থবছরে রপ্তানি খাতে অর্জিত প্রবৃদ্ধির গতিধারা, পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণ ও বহুমুখীকরণ, বিশ্ব বাণিজ্যের সাম্প্রতিক গতিধারা, ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব, দেশীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মধ্যপ্রাচ্য সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, অংশীজনদের মতামত, বিগত অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা এবং লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জনের হার ও পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার ইত্যাদি পর্যালোচনাপূর্বক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government has reduced the price of palm oil by 5 rupees

পামঅয়েলের দাম লিটারে ১৯ টাকা কমালো সরকার

পামঅয়েলের দাম লিটারে ১৯ টাকা কমালো সরকার

পাম অয়েলের দাম প্রতি লিটারে ১৯ টাকা কমালো সরকার। এতে করে এখন থেকে প্রতিলিটার পামঅয়েল বিক্রি হবে ১৫০ ঢাকায়, যা আগে ছিল ১৬৯ টাকা।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় স্থানীয় বাজারেও এই দাম সমন্বয় করা হয়।

আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পামঅয়েলের নতুন দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।

বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট‍্যারিফ কমিশন ভোজ‍্যতেলের আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারের সরবরাহ ও চাহিদা পর্যবেক্ষণ করে থাকে।সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে পামঅয়েলের দাম নিম্নমুখী হওয়ায় কমিশনের সুপারিশে প্রতি লিটার খোলা পামঅয়েলের দাম ১৬৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভোক্তারা লিটারে ১৯ টাকা কমে পামওয়েল কিনতে পারবেন। তবে সয়াবিনতেল পূর্বের মতো লিটার ১৮৯ টাকা (বোতল) অপরিবর্তিত থাকবে।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশের ভোজ্য তেলের বাজারে ৬০ ভাগ দখল হচ্ছে পাম অয়েলের। আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েলের দাম কমায় এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে সয়াবিনের মূল্য অপরিবর্তিত থাকায় স্থানীয় বাজারে দাম আগের মতই রয়েছে।

সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল সয়াবিন ও পামঅয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Japans ambassador with labor and employment and shipping adviser

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে আজ মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. মি. সাইদা শিনিচি সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে শ্রম খাতের সংস্কার, শিশুশ্রম ও জবরদস্তিমূলক শ্রম নিষিদ্ধ, জাহাজ ভাঙা শিল্পের উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

উপদেষ্টা বলেন, শ্রম আইন সংশোধনে আইএলওর পরামর্শ ও ইউরোপীয় অ্যাকশন প্ল্যান অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। শিশুশ্রম বন্ধে ILO কনভেনশন ১৩৮ ও ১৮২ অনুস্বাক্ষর করা হয়েছে। পেশাগত নিরাপত্তার জন্য কনভেনশন ১৫৫, ১৮৭ ও ১৯০ অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। জবরদস্তিমূলক শ্রম নিষিদ্ধ করতে সংশোধিত আইনে কঠোর বিধান রাখা হচ্ছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত বলেন, সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত (এএসপিএজি) দেশগুলোর শ্রমমন্ত্রীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ নতুন করে এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত (এএসপিএজি) দেশগুলোর নতুন সমন্বয়কারী দেশ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে। জাপান থেকে এ দায়িত্ব পাওয়াকে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে উপদেষ্টা এ বছরের মধ্যে এএসপিএজি শ্রমমন্ত্রীদের আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দেন। এছাড়া, রাজশাহীর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে জাপানের সহায়তা কামনা করা হয়।

জাহাজ ভাঙা শিল্প ও আইএমও প্রার্থিতা বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, "হংকং কনভেনশন" মেনে বেশ কিছু শিপইয়ার্ড "গ্রিন সার্টিফিকেট" পেয়েছে। অবশিষ্ট ইয়ার্ডগুলোকেও আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে আসতে সরকার সহায়তা করবে। এছাড়া, ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য IMO কাউন্সিলের ক্যাটাগরি ‘সি’তে বাংলাদেশের প্রার্থিতায় জাপানের সমর্থন কামনা করা হয়।

সাক্ষাৎকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত শ্রম আইন সংশোধনে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্লান, জবরদস্তিমূলক শ্রম নিষিদ্ধে ব্যবস্থা, মাতারবাড়িতে ডকইয়ার্ড নির্মান, চট্টগ্রাম বন্দরে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্রাটেজি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। জাপানের সাবেক শ্রমমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এর নেতৃত্বে একটি দল শীঘ্রই বাংলাদেশ সফর করবে মর্মে জাপানের রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। উক্ত দলটি শ্রমিক অধিকার, শোভন কর্মপরিবেশ ও সরকারি উদ্যোগ পরিদর্শন করবেন। পারস্পরিক আস্থা ও জাপান সরকারের সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।

সাক্ষাৎকালে জাপান দূতাবাসের দুই সচিব এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sea resources can make a big contribution to food security Fisheries and Livestock Advisor

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে সমুদ্রসম্পদ বড় অবদান রাখতে পারে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে সমুদ্রসম্পদ বড় অবদান রাখতে পারে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমুদ্রসম্পদ একটি বড় অবদান রাখতে পারে। দেশের হাওর-বাওড়, খাল-বিল ও নদী থেকে প্রয়োজনীয় মাছের প্রায় ৫০ শতাংশ আহরণ করা হলেও সমুদ্র থেকে আহরণ হয় মাত্র ৩০ শতাংশ, যা সমুদ্রে বিপুল সম্ভাবনার তুলনায় অনেক কম। অথচ সমুদ্রের বিপুল সম্পদ এখনো অনাবিষ্কৃত, যা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি ও পুষ্টি নিরাপত্তায় বড় ধরনের অবদান রাখা সম্ভব।

উপদেষ্টা আজ লেকশোর হোটেলে জাতিসংঘ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের উদ্যোগে “ওশান সেন্টারস, বাংলাদেশ”-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সমুদ্রসম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অগ্রগতি এবং রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমাদের দেশের বিশাল সমুদ্রাঞ্চলে বিপুল পরিমাণ অনাবিষ্কৃত সম্পদ রয়েছে, যা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ ও গতিশীল করা সম্ভব।

তিনি বলেন, পুষ্টি পূরণে সামুদ্রিক মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে প্রচার-প্রচারণার অভাব, সহজলভ্যতার সীমাবদ্ধতা এবং অভ্যাসগত কারণে এর প্রতি মানুষের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে কম। সামুদ্রিক শুঁটকির প্রতি যেমন আগ্রহ দেখা যায়, তাজা সামুদ্রিক মাছের ক্ষেত্রে তা ততটা নয়। ইলিশ মাছের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের ব্যবহার এখনো তেমন জনপ্রিয় হয়নি।

গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শাহামিন এস. জামানের সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন লয়েডস রেজিস্টার ফাউন্ডেশনের হেরিটেজ ও এডুকেশন সেন্টারের পরিচালক অ্যালেক্স স্টিট, ওশান সেন্টারস বাংলাদেশের কান্ট্রি লিড কমোডর (অব.) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এবং জাতিসংঘ গ্লোবাল কমপ্যাক্টের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমির প্রবৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ খুরশেদ আলম। প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ মৎস্যশিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিয়ার অ্যাডমিরাল ড. খন্দকার আখতার হোসেন এবং বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনাম চৌধুরী।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণ, ব্লু ইকোনমি উন্নয়ন, টেকসই মৎস্যশিল্প এবং সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের নতুন দিগন্ত নিয়ে মতবিনিময় করেন। তাদের মতে, সমুদ্রসম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই নয়, বরং পরিবেশ সুরক্ষা ও দীর্ঘমেয়াদি খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
12 successful self workers and 5 youth organizers received the National Youth Award 2021

১২জন সফল আত্মকর্মী ও ৪জন যুব সংগঠক পেল জাতীয় যুব পুরস্কার ২০২৫

১২জন সফল আত্মকর্মী ও ৪জন যুব সংগঠক পেল জাতীয় যুব পুরস্কার ২০২৫

'প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষীক অংশীদারিত্বের অগ্রগতি'-কে প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সফল আত্মকর্মী ক্যাটাগরিতে ১২জন ও যুব সংগঠক ক্যাটাগরিতে ৪জন মোট ১৬ জনকে প্রদান করা হয় জাতীয় যুব পুরস্কার ২০২৫। আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সাম্য, নাগরিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে দেশের তরুণ প্রজন্ম। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রযুক্তি হবে মূল চালিকা শক্তি। তিনি বলেন, প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেমিকন্ডাকটর শিল্পের সম্ভাবনা যাচাই ও উন্নয়ন, ইন্টারনেট খরচ কমানো, আধুনিক আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি সহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি খাতে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি ই-স্পোর্টসকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং দেশের ই-স্পোর্টস খাতের বিকাশে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরির কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৩ শতাংশই ৩৫ বছরের নিচে। এই তরুণ শক্তিই আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও শক্তি। সরকার এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, ঋণ ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। অধিদপ্তর সৃষ্টির পর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ৬৪টি জেলা কার্যালয়, ৭০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৫০১টি উপজেলায় মোট ৮৩টি ট্রেডে প্রায় ৭৪ লক্ষ যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ লাভ করেছে। বিভিন্ন ঋণ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ১১ লক্ষ যুবক ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পেয়েছে।

এছাড়া, যুব সমাজের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ইমপ্যাক্ট প্রকল্প, ভ্রাম্যমাণ আইসিটি প্রশিক্ষণ, ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রকল্প, যানবাহন চালনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি। এছাড়াও, EARN (Economic Acceleration and Resilience for NEET - Non-education, Employment, or Training) প্রকল্পের আওতায় ৯ লক্ষ যুবক ও যুব নারীকে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও অটোমেশন বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণভিত্তিক আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প দ্রুত চালু হতে যাচ্ছে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মহাপরিচালক ডা. গাজী সাইফুজ্জামান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Workers Welfare Foundation provided Tk

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ১১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা প্রদান

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ১১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা প্রদান

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে সোমবার (১১ আগষ্ট)ৎতাঁর কার্যালয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড তাদের বাৎসরিক লভ্যাংশের একটি অংশের ১১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার চেক বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশন এর অনুকুলে প্রদান করেছে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বার্ষিক লভ্যাংশের ০.৫% হারে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশনে অর্থ জমা দেয়। এতে যমুনা অয়েল কোম্পানি ৮ কোটি ১৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ১০০ টাকা, ইউনিলিভার বাংলাদেশ ৪৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ২০০ টাকা এবং ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার ২ কোটি ৬১ লক্ষ ৫০ হাজার ২৬ টাকা প্রদান করে। মোট ১১ কোটি ২৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।

উপদেষ্টা কোম্পানিগুলোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই অর্থ দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে, বিশেষ করে দুস্থ ও মৃত শ্রমিকদের পরিবার, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তায়।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sheikh Hasinas three corruption cases with family began to testify

পরিবারসহ শেখ হাসিনার দুর্নীতির তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

পরিবারসহ শেখ হাসিনার দুর্নীতির তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে করা দুদকের পৃথক তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এসব মামলায় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৪৭ জন চার্জশিটভুক্ত আসামি।

আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে পৃথক তিন মামলার বাদী সাক্ষ্য দেন।এরপর আদালত পৃথক তিন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

সাক্ষীরা হলেন-দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান। এরা তিনজনই পৃথক তিন মামলার বাদী।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। গত ১০ মার্চ মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আরো চারজনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অপর ১১ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য শফিউল হক,খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সজিব ওয়াজেদ জয় ও তার মা শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। গত ১০ মার্চ মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আরো দুইজনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।

শেখ হাসিনা ও জয় ছাড়াও এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১৫ আসামি হলেন-জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন,সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, পরিচালক কামরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

রাজধানীর পূর্বাচলে দশ কাঠার প্লট জালিয়াতির ঘটনায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। গত ১০ মার্চ মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আরো দুই আসামিসহ শেখ হাসিনা ও পুতুলকে নিয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

শেখ হাসিনা ও পুতুল ছাড়াও মামলার অপর ১৬ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, তদন্তে প্রাপ্ত আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মন্তব্য

p
উপরে