× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Tea workers are sitting with the Prime Minister in the afternoon
google_news print-icon

বিকেলে চা-বাগানের মালিকদের সঙ্গে বসছেন প্রধানমন্ত্রী

বিকেলে-চা-বাগানের-মালিকদের-সঙ্গে-বসছেন-প্রধানমন্ত্রী
সংকট নিরসনে চা-শিল্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: নিউজবাংলা
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, গণভবনে শনিবার বিকেল ৪টায় মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের আশায় বুক বাঁধছেন চা-শ্রমিকরা।

চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি ও তাদের কর্মবিরতির কারণে এ শিল্পে দেখা দেয়া সংকট নিরসনে চা-শিল্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, গণভবনে শনিবার বিকেল ৪টায় মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন কর্মসূচিতেও শনিবার বিকেল ৪টায় চা-বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। তবে সেদিন কারা কারা উপস্থিত থাকবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর আজকের সিদ্ধান্তের আশায় বুক বাঁধছেন চা-শ্রমিকরা। তাদের প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির একটি সুন্দর সমাধান দেবেন এবং এতে শ্রমিকদের কাজে ফেরার পরিবেশ তৈরি হবে।

জেলার ২৪টি চা বাগানে ১৮ দিনের শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে শুক্রবার এ বিষয়ে জানান তারা।

প্রশাসন ও মালিকপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পরও বিষয়টি সমাধান হয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রী ও বাগান মালিকদের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।

শ্রমিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তাদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী একটি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তিনি যে সিদ্ধান্তই নেন না কেন, সেটাই মেনে নিয়ে কাজে ফিরবেন তারা।

চান্দপুর চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান সাধন সাঁওতাল বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে জীবন পরিচালনা করি। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আমরা মা বলে ডাকি। মা আমাদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছেন জেনে আমরা খুবই আনন্দিত।

শনিবার তিনি মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আমরা আশা করি তিনি আমাদের একটি সুন্দর সমাধান দেবেন। তবে যে সমাধানই দেন না কেন, তিনি বললে আমরা কাজে ফিরে যাব।’

বাংলাদেশ নারী চা-শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার বলেন, ‘আমরা ১৮ দিন ধরে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলনে আছি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিষয়টি নিয়ে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। যেহেতু আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক বিশ্বাস ও সম্মান করি এবং তিনি আমাদের নিজেদের লোক মনে করেন, তাই তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তা-ই মেনে নেব। আশা করি, তিনি ৩০০ টাকা না হলেও এর কাছাকাছি আমাদের মজুরি নির্ধারণ করবেন।’

দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের ১৬৬ চা-বাগানের দেড় লাখের বেশি শ্রমিক। সেদিন থেকে চার দিন পর্যন্ত ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

এরপর গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোদমে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। গত ১৯ আগস্ট রাতে মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার বিষয়ে একটি চুক্তি হলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।

এর মধ্যে কয়েক দফা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে থাকা চা-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তার দাবি জানান শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন:
৪০২ টাকা মজুরি নিয়ে চা-বাগান মালিকদের দাবি বাগাড়ম্বর
‘মা’ শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তা চান চা-শ্রমিকরা
শুধু দাম কমেছে ‘মানুষ বিক্রির হাটে’
চা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে হবিগঞ্জের ডিসি
পুলিশের ধাওয়া, ৬ ঘণ্টা পর সচল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক 

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Blast at filling station in Sylhet One more killed

সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: আরও একজনের মৃত্যু

সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: আরও একজনের মৃত্যু শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ফাইল ছবি
রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

প্রাণ হারানো ৪৭ বছর বয়সী নজরুল ইসলাম মুহিন সিলেট নগরের পশ্চিম পীরমহল্লা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ওই সিএনজি ফিলিং স্টেশনের শিফট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মুহিনের আত্মীয় আব্দুল মুকিত অপি বলেন, ‘আজ মুহিনের মরদেহ সিলেট আনা হবে।’

এ নিয়ে সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর আলাদা সময়ে সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল গ্রামের ৩২ বছর বয়সী তারেক আহমদ ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাঁও গ্রামের ৪০ বছর বয়সী বাদল দাস রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

প্রাণ হারানো সবারই শরীরের ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কম্প্রেসর কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই কক্ষে আগুন লেগে নয়জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ৭ জন ওই ফিলিং স্টেশনে কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দুইজন পথচারী ছিলেন।

পরে হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ নয়জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে, তবে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে পর পর ৫ জন মারা গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি।

আরও পড়ুন:
সিলেটমুখী রোডমার্চ সফলে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি
সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের মৃত্যু
সিলেটে দগ্ধ একজনের বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যু
ওয়াকওয়ে নাকি ওয়াকবাজার?
কক্সবাজারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮

মন্তব্য

বাংলাদেশ
TBS journalists mothers throat cut body recovered Arrest 2

টিবিএস সাংবাদিকের মায়ের গলা কাটা মরদেহ: দুজন গ্রেপ্তার

টিবিএস সাংবাদিকের মায়ের গলা কাটা মরদেহ: দুজন গ্রেপ্তার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সাংবাদিক আবু সায়েম আকন্দের মাকে হত্যার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
পিবিআইয়ের জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন বলেন, ‘১৫ তারিখে মরদেহ উদ্ধারের পর পিবিআই তদন্তকাজ শুরু করে। এরপর পিবিআইয়ের একটি চৌকস দল তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।’

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাংবাদিক আবু সায়েম আকন্দের মা সুলতানা সুরাইয়া হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সিরাজগঞ্জ থেকে মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

চুরি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় সুলতানাকে গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন আসামিরা।

গ্রেপ্তার দুইজন হলেন সিরাজগঞ্জের লাবু ও টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরের আল আমিন।

ঘটনার পাঁচ দিন পর বুধবার বেলা ১১টার দিকে পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘১৫ তারিখে মরদেহ উদ্ধারের পর পিবিআই তদন্তকাজ শুরু করে। এরপর পিবিআইয়ের একটি চৌকস দল তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

‘জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, চুরি করার উদ্দেশ্যে ওই বাসায় গেলে সুলতানা তাদের দেখে ফেললে তারা লাইলনের সুতা ও চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তাকে। ওই সময় নগদ ১২ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।’

আসামিদের ভুঞাপুর থানায় হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এর আগে ১৫ তারিখ পশ্চিম ভূঞাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে সুলতানা সুরাইয়ার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রাণ হারানো সুলতানা ইং‌রে‌জি দৈ‌নিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের (টিবিএস) নিউজ এডিটর আবু সায়েম আকন্দের মা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম আকন্দের স্ত্রী।

আরও পড়ুন:
‘তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ’: জঙ্গি সংগঠনটির জন্ম যেভাবে
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
আর্থিক সহায়তার কথা বলে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই, অবশেষে আটক ৪
লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী-শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা, শাশুড়ি আহত  

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Blast at filling station in Sylhet Two more killed

সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের মৃত্যু

সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের মৃত্যু ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফাইল ছবি
গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেটের বিরতি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটে। তৎক্ষণাৎ আহত ব্যক্তিদের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়।

সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও দুই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে মারা যান অগ্নিদগ্ধ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৪১ বছর বয়সী বাদল দাস। এর আগে রোববার রাতে সিলেট সদর উপজেলার ৩২ বছর বয়সী তারেক আহামেদের মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো। বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে পাঁচজন এখনও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

আরও দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে ফিলিং স্টেশনের মালিক আফতাব আহমদ লিটন জানান, সবশেষ মারা যাওয়া দুজনের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনিস্টিউটে অবস্থায় মারা যান।

গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর ওই ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটে। এতে ৯ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ৭ জন ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী ও ২ জন পথচারী। তৎক্ষণাৎ আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ ৯ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। অগ্নিদগ্ধদের শরীর ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে যায়।

ফিলিং স্টেশনের মালিক আফতাব আহমদ লিটন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওই সময় কমপ্রেসর কক্ষের একটি বাল্ব চেক করার সময় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।’

আরও পড়ুন:
ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আরও ৩ জেলের মৃত্যু
কক্সবাজারে ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, ১২ জেলে দগ্ধ
মৃত্যুর মিছিল থামছে না সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে
গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে বৃদ্ধের মৃত্যু, গুরুতর আহত স্ত্রী
সিলেটে বিএনপির মিছিলে বিস্ফোরণ, যুবককে পুলিশে দিল নেতাকর্মীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Agriculture market fire Coal of burnt shop finds gold inside

মোহাম্মদপুরে মার্কেটে আগুন: পুড়ে যাওয়া দোকানের কয়লার ভেতরে স্বর্ণ

মোহাম্মদপুরে মার্কেটে আগুন: পুড়ে যাওয়া দোকানের কয়লার ভেতরে স্বর্ণ মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে লাগা আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো থেকে কয়েকটি বোল্ট বের করতে দেখা যায়। ছবি: নিউজবাংলা
রিয়াদ জুয়েলার্সের কর্মচারী মো. বেল্লাল বলেন, ‘কিছু স্বর্ণালংকার বের করতে পারছিলাম। পুরাটা বের করতে পারি নাই। বাকিগুলো আগুনে পুড়ে গেছে। এখন কয়লার ভেতরে স্বর্ণ খুঁজতেছি। ইতোমধ্যে অনেক পোড়া স্বর্ণ পেয়েছি।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে লাগা আগুন প্রায় ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।

এ মার্কেটের স্বর্ণের দোকানগুলো থেকে সব স্বর্ণ বের করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা দোকান থেকে কয়লা বের করে পুড়ে যাওয়া স্বর্ণের সন্ধান চালাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এসব স্বর্ণের দোকানে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, কয়েকজন আনসার সদস্য বেলচা দিয়ে দোকানের ভেতরে থাকা পুড়া যাওয়া কয়লা বের করছেন। এ কয়লায় এখনও আগুন রয়েছে। আর কয়লা সরিয়ে ভেতরে স্বর্ণ খুঁজছেন দোকানের লোকজন। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো থেকে কয়েকটি বোল্ট বের করতে দেখা যায়।

দোকানিরা দাবি করছেন, এ কয়লার ভেতরে খুঁজে তারা অনেক স্বর্ণ পেয়েছেন। কারণ সব স্বর্ণ তারা বের করতে পারেননি।

রিয়াদ জুয়েলার্সের কর্মচারী মো. বেল্লালকে দেখা যায় কয়লা সরিয়ে স্বর্ণ খুঁজতে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছু স্বর্ণালংকার বের করতে পারছিলাম। পুরাটা বের করতে পারি নাই। বাকিগুলো আগুনে পুড়ে গেছে। এখন কয়লার ভেতরে স্বর্ণ খুঁজতেছি। ইতোমধ্যে অনেক পোড়া স্বর্ণ পেয়েছি।’

মোহাম্মদপুরে মার্কেটে আগুন: পুড়ে যাওয়া দোকানের কয়লার ভেতরে স্বর্ণ
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে লাগা আগুনে কয়লার ভেতর থেকে পুড়ে যাওয়া স্বর্ণের সন্ধান চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ছবি: নিউজবাংলা

পাশেই আলিফ জুয়েলার্সের মো. শান্তও কয়লার ভেতর থেকে পুড়ে যাওয়া স্বর্ণের সন্ধান চালাচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আগুন লেগেছে শুনে এসে কিছু স্বর্ণ বের করতে পেরেছিলাম। বাকি স্বর্ণ পুড়ে গেছে। এখন দোকানের পুড়ে যাওয়া কয়লা থেকে অল্প অল্প কয়লা বের করে স্বর্ণের সন্ধান চালাচ্ছি। কিছু স্বর্ণ পেয়েছি। বাকিগুলো খুঁজতেছি।’

এর আগে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, এ মার্কেটে ১৮টি স্বর্ণের দোকান পুড়ে যায়। এর মধ্যে ৯টি স্বর্ণের দোকান মার্কেটের বাইরের অংশে। বাকি ৯টা দোকান মার্কেটের ভেতরে।

আরও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে সিলিন্ডার গ্যাস থেকে আগুন
নওগাঁয় বেকারিতে আগুন, কয়েক লাখ টাকার ক্ষতির দাবি
নাজিরাবাজারে হানিফ বিরিয়ানির পাশের দুই দোকানে আগুন
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভবনে আগুন, মৃত্যু বেড়ে ৭৩
ঢাকা মেডিক্যালের মসজিদ ভবনে আগুন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There was no fire safety in Mohammadpur Krishi Market Fire Service

অগ্নিনিরাপত্তা ছিল না মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে: ফায়ার সার্ভিস

অগ্নিনিরাপত্তা ছিল না মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে: ফায়ার সার্ভিস রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে বুধবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিফিং করেন ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকা ও মানুষের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে। এখানে পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না।

ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিনিরাপত্তা ছিল না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, বুধবার ৩টা ৪৩ মিনিটে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে প্রথমে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে আরও ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানায় বাহিনীটি।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক তাজুল বলেন, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকা ও মানুষের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে। এখানে পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না।

তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুর নতুন বাজারে (কৃষি মার্কেট) আগুন ধরার খবর পেয়ে ৯ মিনিটের মাথায় আমরা এখানে চলে আসি। ৩টা ৫২ থেকে আমরা এখানে আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করি। আমরা ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। ১৭টি ইউনিটে ১৫০ জন ফায়ার ফাইটার কাজ করেছে। আমাদের সাথে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী সহযোগিতা করেছে।’

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আগুন লাগা এই মার্কেটটিতে কোনো সেফটি প্ল্যান নাই। এই মার্কেটটিতে বারংবার নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে গণসংযোগ করা হয়েছে। সচেতনতার প্রোগ্রাম যেভাবে আমরা করেছি, সেভাবে তারা সাড়া দেয় নাই। এই মার্কেটটা কিছুটা বঙ্গবাজার টাইপের।

‘এখানে ভেতরে অনেক সাবওয়ে ছিল। ভেতরে যতগুলো রাস্তা এবং বাইরের যে ছোট ছোট রাস্তা, পুরোটাই বিভিন্ন মালামালে দিয়ে গাদাগাদি করে রাস্তাটা বন্ধ করা ছিল এবং পুরো মার্কেট টাইট কলাপসিবল গেট দিয়ে আটকানো ছিল।’

তিনি বলেন, ‘এখানকার নাইট গার্ড যারা ছিলেন, তারা বাহিরে ছিলেন। তাদের খুঁজেই পাওয়া যায়নি তেমন একটা। আমাদের বেগ পেতে হয়েছে ভেতরে ফায়ার ফাইটারদের প্রবেশ করতে। তালা ভেঙে এবং কলাপসিবল গেট ভেঙে আমাদের ভিতরে যেয়ে তারপর আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করি। এ মার্কেটের বাইরেও বিভিন্নভাবে রাস্তাগুলো দখল করা ছিল। দোকানের সামনে ছোটখাটো দোকান আমাদের একটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর জন্য আমাদেরকে বেগ পেতে হয়।

‘আমরা আসার পরই আগুনের মাত্রা অনেক বেশি দেখেছি। একটা পর্যায়ে মার্কেটের প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ সম্পূর্ণ আগুন ধরে যায় এবং আমরা চেষ্টা করি এই মার্কেটের ভেতরে যেন আগুনটা আবদ্ধ থাকে। আমাদের ফায়ার ফাইটাররা সর্বাত্মক চেষ্টা করে আগুনটাকে একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখতে পেরেছে।’

ফায়ার সার্ভিসের এ পরিচালক বলেন, ‘আমরা এখন যেটা করছি আগুনটা নির্বাপণের চেষ্টা চলছে। আগুনটা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, তবে নির্বাপণে কিছুটা সময় লাগবে।’

এর আগে মার্কেটে আগুন লেগেছে। তখন ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তাজুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রতি সপ্তাহে শনিবারে গণসংযোগ করি। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় মার্কেটের প্রতিনিধিদের ডেকে আমরা অনেকবার আলোচনা করেছি; অনেক ওয়ার্কশপ করেছি। মার্কেটের যারা মালিকপক্ষ, তাদের ডেকে আমরা বুঝিয়েছি সচেতনতার প্রোগ্রাম আমরা কীভাবে করব। প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিং উনাদেরকেই করতে হবে।

‘এই মার্কেটে প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ইকুইপমেন্টই ছিল না। কোনো ধরনের পানির সোর্স ছিল না। আমরা সব থেকে বেশি বেগ পেয়েছি পানির সোর্স। এখানে বিভিন্ন ভবনে পানির সোর্স রয়েছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। খুব দ্রুত আমাদের পানি শেষ হয়ে যায়। আমরা বিশেষ পানিবাহিত গাড়ি এনে এবং অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় এই কার্যক্রমগুলো করি।’

তিনি বলেন, ‘আগুন নেভাতে দেরির আরেকটি বড় কারণ ছিল মানুষের ভিড়। মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের পুলিশ, বিজিবি তারা খুবই হিমশিম খেয়েছে। এই ভিড়ের কারণে আমাদের এত সময় লেগেছে।

‘যদিও মানুষ চেষ্টা করতে চায় আমাদের সহযোগিতা করার জন্য, কিন্তু আদৌ এটা আমাদের অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।’

আগুনের সূত্রপাত নিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত আমরা তদন্ত করে দেখার চেষ্টা করব জানার জন্য, তবে যতটুকু বুঝেছি মুদির দোকানের যেই অংশটি ছিল, ওই অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যারা ছিল, তাদের দুই-একজন কিছুটা আহত হয়েছে। এর বাইরে কোনো বড় ধরনের হতাহতের তথ্য নেই।’

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় বেকারিতে আগুন, কয়েক লাখ টাকার ক্ষতির দাবি
নাজিরাবাজারে হানিফ বিরিয়ানির পাশের দুই দোকানে আগুন
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভবনে আগুন, মৃত্যু বেড়ে ৭৩
ঢাকা মেডিক্যালের মসজিদ ভবনে আগুন
গ্যাস সিলিন্ডার লাইন মেরামতের সময় আগুন ধরে দগ্ধ ৪   

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The number of injured in the shuttle accident has increased to 16

শাটল দুর্ঘটনায় আহত বেড়ে ১৬, চবিতে বিক্ষোভ-ব্যাপক ভাঙচুর

শাটল দুর্ঘটনায় আহত বেড়ে ১৬, চবিতে বিক্ষোভ-ব্যাপক ভাঙচুর শাটল ট্রেনে দুর্ঘটনার পর চবির বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। কোলাজ: নিউজবাংলা
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিভিন্ন সময় ট্রেনে বগি বৃদ্ধি ও সূচি বাড়ানোর দাবি জানালেও প্রশাসন আমলে নেয়নি। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না থাকায় শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে ছাদে যাতায়াত করতে হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ ঘটনার পর থেকেই উত্তাল চবি ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। ওই সময় তারা পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান। পাশাপাশি বক্সের ভেতরের চেয়ারগুলো রাস্তায় এনে জ্বালিয়ে দেন।

রাত ১১টার দিকে উপাচার্য বাসভবনের ভেতরে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরে গিয়ে ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা।

পরিবহন দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নূরুল আবছার বলেন, ‘ভেতরে থাকা সব গাড়িতেই ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৫০টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। অধিকাংশেরই কাচ, ফ্লাডলাইট ও বডিতে আঘাত করা হয়েছে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, ভেতরে থাকা ২২টি বাস ও ১৬টি মাইক্রোবাস, একটি মোটরবাইক ও প্রক্টরিয়াল টিমের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ট্রেন ক্যান্টেনমেন্ট স্টেশন অতিক্রম করার কিছু পর রেললাইনের ওপর হেলে পড়া একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অন্তত ১৬ জন আহত হন।

আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মৃত্যুর গুজব শুনে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা

দুর্ঘটনার পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা কথা ছড়াতে থাকে। বিক্ষোভ চলাকালে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর ছড়ানো হয় ফেসবুকে। এতে আরও ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্ঘটনায় কেউ মারা যায়নি। যে বিষয়টি ছাড়ানো হয়েছে সেটি গুজব।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, ‘শাটল ট্রেনে আহত হয়ে চমেকে ১৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ৮ জন, নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে ৮ জন। মৃত্যুর খবরটি গুজব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই গুজব ছড়ানো হয়েছে।’

জায়গায় জায়গা ভাঙচুর

চবির ফটকে তালা দেয়ার পর পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একে একে উপাচার্যের বাসভবন, পরিবহন দপ্তর ও শিক্ষক ক্লাবে ভাঙচুর চালান। ভাঙচুরে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাসভবনসহ বিভিন্ন জায়গা।

উপাচার্যের বাসভবনের প্রায় প্রত্যেকটি কক্ষে ঢুকে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। ওই সময় ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব, ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, কক্ষ, লকার, জানালা ভেঙে ফেলেন শিক্ষার্থীরা। পরে আসবাব বের করে বাসভবনের উঠানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এরপর পরিবহন দপ্তরে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সবগুলো গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। শেষে শিক্ষক ক্লাবে গিয়েও ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় প্রক্টরের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষক ক্লাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরের ঘটনায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরুপণ করা যায়নি। এ ঘটনার তদন্তে আমরা কমিটি গঠন করব। এই ন্যক্কারজনক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হবে।’

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, বিভিন্ন সময় ট্রেনে বগি বৃদ্ধি ও সূচি বাড়ানোর দাবি জানালেও প্রশাসন আমলে নেয়নি। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে ছাদে যাতায়াত করতে হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের 'ধীরগতি'

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভাঙচুর শুরু হয় জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পুলিশ বক্স থেকে। পরে উপাচার্যের বাসভবন হয়ে শেষে শিক্ষক ক্লাবে গিয়ে ভাঙচুর শেষ হয়।

এ সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। রাত সোয়া একটার দিকে পুলিশ ও র‍্যাব ক্যাম্পাসে আসে। এর আগেই শিক্ষার্থীরা বিভক্ত হয়ে আন্দোলন থেকে সরে যান।

প্রশাসনের অসতর্কতা ও প্রস্তুতির অভাবে এত ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক।

তিনি বলেন, ‘কোনো একটা ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া দেখায়, কিন্তু প্রশাসনকে এসব মোকাবিলা করার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে হয়।’

প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘মেইন গেটে তালা দেয়া ছিল, তাই পুলিশ ঢুকতে পারেনি। পুলিশ শহর থেকে আসতে দেরি করেছে।’

আরও পড়ুন:
চবির শাটলের ছাদ থেকে পড়ে আহত ৭, উত্তাল ক্যাম্পাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested in the case of shaving the head of the housewife and pouring mud 3

গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে ঘোল ঢালার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে ঘোল ঢালার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে ঘোল ঢালার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ৩। ছবি: নিউজবাংলা
বদলগাছী থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, থানায় ওই গৃহবধূর করা মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নওগাঁর বদলগাছীতে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে মাথায় ঘোল ঢেলে দেয়ার ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে বদলগাছী উপজেলার জাবারিপুর বাজার ও গয়েশপুর গ্রাম থেকে এবং আরেকজনকে ধামইরহাট উপজেলার ইসুবপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বদলগাছী থানার ওসি আতিয়ার রহমান মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের শ্রী বিমল পাহান, একই গ্রামের শ্রী সুবাস পাহান এবং বামইরহাট উপজেলার ইনসিরা গ্রামের শ্রী ভবেস।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার আরও দুই আসামি শ্রীমতি রঞ্জনা রাণী ও শ্রীমতি শংকরি পলাতক রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, এক যুবকের সঙ্গে ওই গৃহবধূর অনৈতিক সর্ম্পকের অভিযোগ তুলে সোমবার দুপুরে গ্রামের লোকজনের উপস্থিতিতে গৃহবধূর বাড়ির আঙিনায় এক পুরহিতকে ডেকে এনে তার মাথা ন্যাড়া করার পর মাথায় ঘোল ঢেলে দেয়া হয়। গ্রামের মাতব্বরদের রায়ে ওই গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে ঘোল ঢেলে শুদ্ধ করা হয়।

ওই সময় ওই গৃহবধূ আত্মরক্ষা করতে চাইলে তার পরনের শাড়ি খুলে বিবস্ত্র করে আসামিরা। মিথ্যা অপবাদ ও সমাজ থেকে আলাদা করার জন্যই এমন ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

ওই গৃহবধূ বলেন, ‘কারও সঙ্গে আমার অনৈতিক সর্ম্পক নেই। সমাজ থেকে আলাদা করা এবং সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই তারা আমার সঙ্গে এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে। আমার স্বামী-সন্তান আছে, তাদের নিয়েই আমি সুখে দিন কাটাচ্ছিলাম। অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক করার প্রশ্নই ওঠে না। সবার কাছে আমাকে অপমান ও ছোট করা হয়েছে। আমি অপরাধীদের কঠিন শাস্তি চাই।’

বদলগাছী থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, থানায় ওই গৃহবধূর করা মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
ইরাকে বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতন করে মুক্তিপণ, গ্রেপ্তার ৮
চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট
নিরাপত্তাকর্মীহীন ফাঁকা বাসা টার্গেট, দুই বছরে শতাধিক চুরি
২০ বছর আত্মগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না ওমর আলীর
ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ, বিটিআরসি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

মন্তব্য

p
উপরে