এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত দেশের প্রথম বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে বাস চলাচল করতে সময় লাগবে আরও এক বছরের বেশি। যার ফলে এই রুটে চলাচলকারী জনগণের ভোগান্তি লাঘব হচ্ছে না শিগগিরই।
প্রকল্পটি চার বছরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন এটি শেষ হতে সময় লেগে যেতে পারে প্রায় এক যুগ। বর্তমানে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় থাকলেও সে সময়ে কাজ শেষ হবে না। পুরো কাজ শেষ হতে আগামী বছরের মার্চ লেগে যেতে পারে। এরপর বাস চলাচলের জন্য আরও ছয় মাস সময় লাগতে পারে বলে জানান বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
মাত্র ৩৫-৪০ মিনিটে এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ২০১২ সালে দেশের প্রথম বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প বিআরটি হাতে নেয় সরকার, যা ২০১৬ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেয়াদ বাড়াতে বাড়াতে সর্বশেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বর। তবে চলতি বছরেও এ কাজ শেষ হবে না।
এদিকে সম্প্রতি উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হওয়ায় বর্তমানে এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
বিআরটি প্রকল্প কবে অপারেশনে যাবে– এমন প্রশ্নের উত্তরে বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প হাতে পাওয়ার পর (বাস চালাতে) ছয় মাস লাগবে। আগে এটা বুঝে নিতে হবে তারপর। আমাদের প্ল্যান অনুযায়ী ডিসেম্বর ২০২২ সালের মধ্যে প্রধান কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত যেতে পারে। তারপর বাস চলাচলের জন্য ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘বাসের কাজ ছয় মাসের জায়গায় তিন মাসে করতে পারব।’
সে হিসেবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ বিআরটি রুটে বাস চলাচলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরত্বের এই সড়কের ১৬ কিলোমিটারের কাজ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এটির অগ্রগতি ৮২ শতাংশ। বাকি সাড়ে চার কিলোমিটার বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ করছে, যার অগ্রগতি ৭২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দুটো মিলিয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ।
কবে নাগাদ প্রকল্পটি শেষ হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমাদের যে পরিমাণ কাজ বাকি আছে, আমাদের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের যে সক্ষমতা, তাতে যদি আমরা তাদের শতভাগ ব্যবহার করতে পারি, তাতে এ সময় যথেষ্ট। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই দুর্ঘটনার আগেও ঠিকাদারদের আর্থিক অসংগতি ছিল, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমস্যা ছিল। এর ফলে কখনই আমরা তাদের শতভাগ কাজ পাইনি।
‘এ ঘটনার পর আমরা তাদের চেপে ধরেছি। তারাও কাজকর্মে উন্নতি ঘটাচ্ছে। আমরা আশা করি এই চাপ অব্যাহত রাখতে পারব। আগে যেমন কোনো কিছু বলার আগেই তারা একটা কমিটমেন্ট দিয়ে বসত, বাস্তবে সেটা পালন করত না।’
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘ঠিকাদারদের অথোরিটির দুটি দল চায়না থেকে এসেছে। তাদের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি, তারা আশ্বস্ত করেছে। তাদের কাছে আমাদের মূল তিনটা চাওয়া। ফান্ডের যে ঘাটতি এটা পূরণ করতে হবে। লোকবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তারা সব বিষয়ে একমত হয়েছে।’
বিআরটি প্রকল্পের কাজ এখন বন্ধ আছে বলতে নারাজ এমডি। তিনি বলেন, ‘আমরা অফিশিয়ালি বলি সাসপেন্ডেট আছে। যে যে পয়েন্টে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়ে যাবে, সেটা যদি আমাদের পরামর্শকরা সন্তুষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সেখানে কাজ শুরু হয়ে যাবে।’
কাজের নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম আপস করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরামর্শকরা যখন বলবে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, তখনই কাজ শুরু হয়ে যাবে, সেটা আজকে নাগাদ হতে পারে, কালকেও হতে পারে। সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই কাজ শুরু করব।’
নিরাপত্তা নিশ্চিত ছাড়াই এত বড় প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ কীভাবে শেষ হলো– জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ভাবা যাক আর না যাক, ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এত ঘাটতির পরও ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। যদি এই ঘাটতি না থাকত, কোথাও কোথাও শতভাগ কাজ শেষ হয়ে যেত। তাদের ঘাটতির জন্যই আমরা পিছিয়ে আছি।’
তদারকি প্রতিষ্ঠানের গাফলতি আছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘গাফলতির বিষয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তাদের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে পারছি না। বাস্তব ব্যাপারটা হলো ঠিকাদারদের ওপরে দোষ চাপালেই হয়। পরামর্শদাতাদের যারা তদারক করছে, তাদের দায় কিছুটা থাকে। তবে মূল দায় ঠিকাদারের।’
নতুন করে সময় বাড়লে খরচ বাড়বে কি না– এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,‘সময় বাড়লেই যে খরচ বাড়বে, বিষয়টা এমন না। কোনো ক্ষেত্রে খরচ বাড়তে পারে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ধরা আগুন প্রায় এক ঘণ্টা পর নিভিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীর মিডিয়া সেল জানায়, শুক্রবার বেলা দুইটা ৩৯ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা লিমা খানম নিউজবাংলাকে জানান, বেলা একটা ৪৭ মিনিটে হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ কেন্দ্রে আগুন ধরার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে।
আগুনে হতাহতের কোনো কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, আগুন ধরার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগে শুক্রবার আগুন ধরেছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম দুপুরে নিউজবাংলাকে জানান, বেলা একটা ৪৭ মিনিটে আগুন ধরার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে।
আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, আগুন ধরার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে।
আসন্ন জুলাইয়ের আগেই পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার সকালে নগরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা জানান।
মেয়র তাপস বলেন, পান্থকুঞ্জ উদ্যান এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।
মেয়র আরও বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।
নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধ থাকবে না। নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি।
তিনি বলেন, এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানা ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহ প্রবাহের নর্দমা ছিল সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোন জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। কারণ যাতে করে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।
পরে মেয়র সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংলগ্ন সায়েদাবাদ সুপার মার্কেট, গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পাঠাগার ও ওয়ারীর তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামালপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে এ দুর্ঘটনায় পড়ে ট্রেনটি।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার পরিদর্শক ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনার পর ঢাকাগামী ট্রেন আটকে যায়। এ ছাড়া কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং এবং মগবাজারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ফেরদৌস আহমেদ জানান, দ্রুতই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে লাইনচ্যুত বগি ছাড়াই ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকালে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। খবর ইউএনবির
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরবর্তীতে স্থানটির নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর রাখা হয়। প্রথম সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়। মূল মন্ত্রিসভার সফল নেতৃত্ব সেই বছরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যায়।
বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউ এয়ারের তালিকায় গতকাল চতুর্থ অবস্থানে থাকা ঢাকার বায়ুর মানের উন্নতি হয়েছে, তবে ‘অস্বাস্থ্যকরই’ রয়ে গেছে বাংলাদেশের রাজধানীর বাতাস।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৫৪ স্কোর নিয়ে বাতাসের নিম্ন মানে ১২০টি শহরের মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে ছিল ঢাকা।
একই সময়ে যথাক্রমে ১৭১ ও ১৬৮ স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৪ গুণ বেশি।
এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আইকিউএয়ার চারটি পরামর্শ দিয়েছে। এক, বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করা; দুই, বাসা-বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা যেন দূষিত বায়ু ঘরে প্রবেশ না করতে পারে; তিন, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা এবং চার, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
আজ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৫৪। এর মানে হলো ওই সময়টাতে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।
মানে সামান্য হেরফের হলেও অস্বাস্থ্যকর বাতাসের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকা।
একই সময় ১২০টি দেশের এ তালিকায় ৮ স্কোর নিয়ে সর্বশেষ অবস্থানে থাকা কানাডার মন্ট্রিলের বাতাস ছিল ‘ভালো’।
আরও পড়ুন:গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। দিনে অস্বস্তি নিয়ে কাজকর্ম করার পর রাতে স্বস্তির ঘুমও কেড়ে নিয়েছে উত্তাপ। এমন পরিস্থিতি থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই অপেক্ষা করছিলেন বৃষ্টি। তাদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজধানীতে নেমে এলো বৃষ্টি।
ঈদের ছুটির পর দ্বিতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে নামে বৃষ্টি, যা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন অনেকে।
রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়াতে খুব ভালো লাগল। যে গরম শুরু হয়েছিল!
‘আমি প্রেশারের রোগী। অতিরিক্ত গরম হলে সমস্যা হয়ে যায়।’
পূর্বাভাসে যা বলেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, তারা ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির খবর পেয়েছেন। কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো যাবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য