× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
I will accept the decision given by the Prime Minister
google_news print-icon

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন চা-শ্রমিকরা

প্রধানমন্ত্রীর-সিদ্ধান্ত-মেনে-নেবেন-চা-শ্রমিকরা
চাঁন্দপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান সাধন সাঁওতাল বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে জীবন পরিচালনা করি। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আমরা মা বলে ডাকি। মা আমাদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছেন জেনে আমরা খুবই আনন্দিত।’

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের আশায় বুক বাঁধছেন হবিগঞ্জের চা-শ্রমিকরা। তাদের প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির একটি সুন্দর সমাধান দেবেন এবং এতে শ্রমিকদের কাজে ফেরার পরিবেশ তৈরি হবে।

১৮তম দিনের মতো জেলার ২৪টি চা বাগানে শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে শ্রমিকরা নিজ নিজ বাগানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সময় এ বিষয়ে জানান তারা।

প্রশাসন ও মালিকপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পরও বিষয়টি সমাধান হয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রী ও বাগান মালিকদের শনিবারের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।

শ্রমিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তাদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী একটি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তিনি যে সিদ্ধান্তই নেন না কেন, সেটাই মেনে নিয়ে কাজে ফিরবেন তারা।

চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি ও তাদের কর্মবিরতির কারণে এ শিল্পে দেখা দেয়া সংকট নিরসনে চা-শিল্প মালিকদের সঙ্গে শনিবার আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, গণভবনে শনিবার বিকেল ৪টায় মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন কর্মসূচিতেও শনিবার বিকেল ৪টায় চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। তবে বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত থাকবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

চাঁন্দপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান সাধন সাঁওতাল বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে জীবন পরিচালনা করি। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আমরা মা বলে ডাকি। মা আমাদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছেন জেনে আমরা খুবই আনন্দিত।

শনিবার তিনি মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আমরা আশা করি তিনি আমাদের একটি সুন্দর সমাধান দেবেন। তবে যে সমাধানই দেন না কেন, তিনি বললে আমরা কাজে ফিরে যাব।’

বাংলাদেশ নারী চা-শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার বলেন, ‘আমরা ১৮ দিন ধরে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলনে আছি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিষয়টি নিয়ে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। যেহেতু আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক বিশ্বাস ও সম্মান করি এবং তিনি আমাদেরকে নিজের লোক মনে করেন, তাই তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তাই মেনে নেব। আশা করি, তিনি ৩০০ টাকা না হলেও এর কাছাকাছি আমাদের মজুরি নির্ধারণ করবেন।’

দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের ১৬৬ চা বাগানের দেড় লাখের বেশি শ্রমিক। সেদিন থেকে চার দিন পর্যন্ত ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

এরপর গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোদমে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। গত ১৯ আগস্ট রাতে মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার বিষয়ে একটি চুক্তি হলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।

এর মধ্যে কয়েক দফা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে থাকা চা-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তার দাবি জানান শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন:
চা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে হবিগঞ্জের ডিসি
পুলিশের ধাওয়া, ৬ ঘণ্টা পর সচল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক 
রেললাইন ছাড়লেন শ্রমিকরা, ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন চালু
চা-শ্রমিকদের অবরোধে ঢাকা-সিলেট রেল বন্ধ
চা-শ্রমিকরা অনড়, দাবি না মানলে চলবে ধর্মঘট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Flood Fish worth 71 crore washed away in Sherpur

বন্যা: শেরপুরে ভেসে গেছে ৭১ কোটি টাকার মাছ

বন্যা: শেরপুরে ভেসে গেছে ৭১ কোটি টাকার মাছ শেরপুরের একটি মাছের ঘের। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর শেরপুরে ৩৩ হাজার ১৭৯টি পুকুরে মাছ চাষ করছেন ১৮ হাজার ১৩৫ জন চাষি। আর প্রতি বছর এ জেলায় উৎপাদন হয় গড়ে ৩৫ হাজার ২৪০ টন মাছ। বন্যায় ভেসে যায় সাত হাজার ৩০০ পুকুরের ৭১ কোটি টাকার মাছ।

শেরপুরের এবারের বন্যায় পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন ঘের থেকে ৭১ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।

এমন বাস্তবতায় চাষিরা বলছেন, ঠিক সময়ে বন্যার পূর্বাভাস পেলে ক্ষতি কমানো যেত।

টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সোমবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় এ উন্নতি হয়।

জেলার চারটি পাহাড়ি নদীর পানি আরও কমেছে। এসব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের ৫ উপজেলায় পানিবন্দির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজারে।

জেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দশানী ও মৃগী নদীতে। পানি বৃদ্ধি পেলেও এসব নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

এদিকে গত চার দিনে বন্যার পানিতে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।

ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ বন্যায় বিপর্যস্ত হয় শেরপুর। তলিয়ে যায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি, তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মৎস্য খাত।

মাছচাষি রাকিবুল মিয়া বলেন, ‘বহু মাছ চলে গেছে। দুই-আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সব তলিয়ে গেছে। যত প্রজেক্ট আছে এখানে, সব মাছ ভেসে চলে গেছে।’

আরেক মাছচাষি খাইরুল বলেন, ‘বন্যার পূর্বাভাস না থাকায় কোনো প্রস্তুতি নিতে পারি নাই। এ জন্যই ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। আমাদের প্রজেক্টের মাছ বাইরে চলে গেছে। আর এদিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে মেরে বিক্রি করতাছে।

‘আর মানুষ কম দামে পেয়ে আনন্দ করে কিনতাছে, কিন্তু আমরা তো বুঝতাছি কেমন ক্ষতি হইছে আমাদের।’

মাছচাষি নাইম বলেন, ‘আগে যদি আমরা জানতাম বা কেউ যদি জানাত, তাহলে আমাদের এত ক্ষতি হতো না। আগে জানলে তো আর এই অবস্থায় থাকত না।

‘সব জাল দিয়ে ঘিরে রাখতাম। আমার ৫ লাখ টাকার মাছ ছিল। সব শেষ।’

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর শেরপুরে ৩৩ হাজার ১৭৯টি পুকুরে মাছ চাষ করছেন ১৮ হাজার ১৩৫ জন চাষি। আর প্রতি বছর এ জেলায় উৎপাদন হয় গড়ে ৩৫ হাজার ২৪০ টন মাছ। বন্যায় ভেসে যায় সাত হাজার ৩০০ পুকুরের ৭১ কোটি টাকার মাছ।

এবারই স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে এ অঞ্চলের মাছচাষিরা।

শেরপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে আমরা এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

‘তারা যদি সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে আমাদের কোনো সহযোগিতা দেয়, তাহলে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
বন্যাদুর্গতদের সহায়তা অব্যাহত ইসমাইলি সিভিক বাংলাদেশের
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে ৩৮৪
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে প্রায় ৩০০
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা
বন্যা: মিয়ানমারে প্রাণহানি বেড়ে ২২৬

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The flood situation in Sherpur has improved but the suffering has not reduced

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায়। ছবি: নিউজবাংলা
ডিসি জানান, এরই মধ্যে ১০ হাজারের মতো ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকায়। আরও ২৫ হাজারের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যে পাঁচ হাজার পাওয়া গেছে, তা বিতরণ করা হবে।

টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ।

বৃষ্টি না হওয়ায় রোববার দুপুরের পর থেকে উন্নতির লক্ষণ স্পষ্ট হতে থাকে।

জেলার চারটি পাহাড়ি নদীর পানি আরও কমেছে। এসব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, তবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দশানী ও মৃগী নদীতে।

পানি বৃদ্ধি পেলেও এসব নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

এদিকে গত চার দিনে বন্যার পানিতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সোমবার সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর পানি ১৩৮ সেন্টিমিটার, চেল্লাখালী নদীর পানি ৭৭ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার নিচে ছিল।

কমেনি দুর্ভোগ

জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ। এখনও প্রতিটি এলাকায় খাদ্য সংকট রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

জেলার অনেক দুর্গম এলাকায় এখন পর্যন্ত ত্রাণ পৌঁছায়নি। আর বিশুদ্ধ পানির সংকট ও শৌচাগারের সমস্যা তো রয়েছেই।

ফসলহানি ও মাছের ঘেরের ক্ষতি

কৃষি বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান ঢলের পানিতে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া এক হাজার হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলায় মাছের ঘের তলিয়ে গেছে ছয় হাজারেরও বেশি।

এমন পরিস্থিতিতে সব হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন জেলার কৃষক ও মৎস্যচাষিরা।

বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

বন্যার কারণে অনেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কলেজ বন্ধ রয়েছে।

জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৪১টি। এর মধ্যে বন্যার শিকার হয়েছে ৩০১টি। এর মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।

‘যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে, সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের ভেতরে পানি না উঠলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।’

জেলায় মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, কারিগরি, কলেজসহ ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।

শেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রেজওয়ান বলেন, ‘বন্যার জন্য আমাদের শেরপুর জেলায় প্রায় ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। আমরা প্রতিনিয়ত সেগুলোর তথ্য রাখছি। পানি কমে গেলে সেগুলো খুলে দেয়া হবে।’

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা সব জায়গায় ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছি। আমাদের এ কাজে সেনাবাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যবসায়ীসহ সবাই এগিয়ে এসেছেন। সবাই মিলে আমরা এ দুর্ভোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।’

ডিসি জানান, এরই মধ্যে ১০ হাজারের মতো ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকায়। আরও ২৫ হাজারের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যে পাঁচ হাজার পাওয়া গেছে, তা বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুন:
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে প্রায় ৩০০
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা
বন্যা: মিয়ানমারে প্রাণহানি বেড়ে ২২৬
বন্যা: মিয়ানমারে ৭৪ মৃত্যু, নিখোঁজ ৮৯
তুচ্ছ ঘটনার জেরে শেরপুরে সংঘর্ষে দুজন নিহত, আহত ১০

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Flood Death toll rises in Sherpur 2 lakh people trapped in water

বন্যা: শেরপুরে প্রাণহানি বেড়ে ৭, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ

বন্যা: শেরপুরে প্রাণহানি বেড়ে ৭, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ শেরপুরে বন্যায় প্লাবিত একটি অঞ্চল। ছবি: নিউজবাংলা
নতুন করে শনিবার রাতে নকলা ও সদর উপজেলার সাত ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন দুই লাখ মানুষ।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যার পানির স্রোতে নিখোঁজ হওয়া দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ নিয়ে জেলায় বন্যায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে শনিবার সহোদর দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন।

সর্বশেষ প্রাণ হারানো দুজন হলেন হাতেম আলী (৩০) ও তার ভাই আলমগীর হোসেন (১৮)। তারা অভয়পুর গ্রামের প্রয়াত বাছির উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীতে বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় ইদ্রিস আলী, খলিলুর রহমান ও বাঘবেড় বালুরচর গ্রামের ওমিজা বেগমসহ পাঁচজন।

প্রাণ হারানো লোকজনের স্বজনরা জানান, শুক্রবার চেল্লাখালী নদীর পাহাড়ি ঢলের স্রোতের তোড়ে নিখোঁজ হন সহোদর দুই ভাই। এরপর থেকে তাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। কুতুবাকুড়া গ্রামের দুইজন কৃষক শনিবার বিকেলে ধানক্ষেতে তাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্বজনরা গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি ছানোয়ার হোসেন জানান, পাহাড়ি ঢলের স্রোতের তোড়ে নিখোঁজ হওয়া দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধ ভেঙে এবং বাঁধ উপচে প্লাবিত হয় জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী ১৬টি গ্রাম।

নতুন করে শনিবার রাতে নকলা ও সদর উপজেলার সাত ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন দুই লাখ মানুষ।

আরও পড়ুন:
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা
বন্যা: মিয়ানমারে প্রাণহানি বেড়ে ২২৬
বন্যা: মিয়ানমারে ৭৪ মৃত্যু, নিখোঁজ ৮৯
তুচ্ছ ঘটনার জেরে শেরপুরে সংঘর্ষে দুজন নিহত, আহত ১০
বন্যার্তদের পাশে এশিয়ান গ্রুপ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Wife died after husband in gas fire in Shukrabad

শুক্রাবাদে গ্যাসের আগুনে স্বামীর পর প্রাণ গেল স্ত্রীর

শুক্রাবাদে গ্যাসের আগুনে স্বামীর পর প্রাণ গেল স্ত্রীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ফাইল ছবি
নিপার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে দুজনে দাঁড়িয়েছে।

রাজধানীর শুক্রাবাদের একটি বাসায় জমে থাকা গ্যাসের আগুনে স্বামী মোহাম্মদ টোটনের পর প্রাণ হারিয়েছেন তার স্ত্রী নিপা আক্তার।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) বুধবার রাত একটার দিকে মৃত্যু হয় ৩০ বছর বয়সী এ নারীর।

শুক্রাবাদের বাসাটিতে ২৮ সেপ্টেম্বর ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হন পরিবারটির তিন সদস্য, যাদের ভর্তি করা হয় বার্ন ইনস্টিটিউটে।

নিপার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে দুজনে দাঁড়িয়েছে।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তরিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার জানান, শুক্রাবাদ থেকে একই পরিবারের তিন দগ্ধকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে নিপার মৃত্যু হয়, যার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

তিনি আরও জানান, এর আগে হাসপাতালটিতে নিপার স্বামী টোটনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে তাদের শিশু সন্তান ভর্তি রয়েছে, যার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

হাসপাতালে নিপার ভাই মানিক মিয়া জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থানার কাচারিকান্দি গ্রামে। তার ভগ্নিপতি পরিবার নিয়ে শুক্রবাদের বাসাটিতে ভাড়া থাকতেন।

আরও পড়ুন:
নরসিংদীর যেসব এলাকায় বুধবার থাকবে না গ্যাস
বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখের বেশি মানুষ
গণশুনানি ছাড়া বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম বাড়ানোর নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল
গাজী টায়ার কারখানার আগুন ২২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসাতে মন্দিরে হিন্দু পরিবারের আগুন, গ্রেপ্তার ২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Finally Nabinagar Chandra highway traffic is normal

অবশেষে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

অবশেষে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করায় আশুলিয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: নিউজবাংলা
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘বার্ডস গ্রুপের মালিক ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আনোয়ারকে আটক করা হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পর দুপুর একটার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। পরে সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়।’

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় টানা ৫২ ঘণ্টা পর নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলনরত একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

মহাসড়ক থেকে বুধবার দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সরে গেলে দীর্ঘ সময় পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বার্ডস গার্মেন্টসের কয়েক শত শ্রমিক।

শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে সড়কে অবস্থান করে তারা আন্দোলন করেছেন, কিন্তু কোনো পক্ষই আমাদের সাথে কথা বলেনি।

‘আজ দুপুরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়, বার্ডস গ্রুপের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে শ্রমিকরা।’

গত ৩০ সেপ্টেম্বর লে-অফ করা বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার দিন ধার্য করা ছিল, কিন্তু মালিকপক্ষ কোনো ধরনের পাওনাদি পরিশোধ না করে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি তিন মাস সময় চেয়ে কারখানার গেটে একটি নোটিশও প্রদান করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

সব শ্রমিক পাওনাদি পাওয়ার আশায় সকালে কারখানায় গেলে নোটিশে আরও তিন মাস সময় চাওয়ার বিষয়টি দেখতে পান শ্রমিকরা। ওই সময় উত্তেজিত হয়ে সব শ্রমিক নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বুড়িরবাজার রোড এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

অবরোধের টানা ৫৬ ঘণ্টা পর মালিককে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘বার্ডস গ্রুপের মালিক ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আনোয়ারকে আটক করা হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পর দুপুর একটার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। পরে সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়।’

আরও পড়ুন:
অবরোধে সাজেকে আটকা পড়েছেন ১৪শ’ পর্যটক
সড়ক অবরোধ: খাগড়াছড়ি ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার গাড়ি
আশুলিয়ায় সংঘর্ষে নারী পোশাকশ্রমিক নিহত
শ্রমিক অসন্তোষ: আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানায় শুরু উৎপাদন
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোয় জড়িত আরাফাত গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Planning Minister MA Mannan is in jail

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ফাইল ছবি
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুক আলম বলেন, ‘আমরা তখন আদালতকে বলেছি, এটা দ্রুত বিচার আইনের মামলা। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকও অনুপস্থিত। শুনেছি পুলিশও রিমান্ড চাইবে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে সকল পক্ষের শুনানি হতে পারে। বিচারক ফারহান সাদিক পরে এম এ মান্নানকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে শুনানি হবে বলে জানান।’

হামলা মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহান সাদিকের আদালতে শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে হাজির করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।

আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, সকালে এম এ মান্নানকে আদালতে হাজির করলে আসামিপক্ষের হয়ে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ও নুর আলম তার জামিন প্রার্থনা করেন। অন্যথায় অসুস্থ বিবেচনায় তাকে হাসপাতালে পাঠানোর আবেদন করেন তারা।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুক আলম বলেন, ‘আমরা তখন আদালতকে বলেছি, এটা দ্রুত বিচার আইনের মামলা। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকও অনুপস্থিত। শুনেছি পুলিশও রিমান্ড চাইবে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে সকল পক্ষের শুনানি হতে পারে।

‘বিচারক ফারহান সাদিক পরে এম এ মান্নানকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে শুনানি হবে বলে জানান।’

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের বাসভবন থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খানের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন পুলিশ সদস্যের দল তাকে আটক করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে আসে।

এসপি আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি জানান, শুক্রবার এম এ মান্নানকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। এ ঘটনাসহ ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় তার যুক্ত থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।

গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের জহুর আলীর ভাই হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে ২ সেপ্টেম্বর ৯৯ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

ওই মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট এক নম্বর ও এম এ মান্নানকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার
আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক বিচারক মানিককে
রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজান গ্রেপ্তার
রাজশাহীর সাবেক এমপি এনামুল ঢাকায় গ্রেপ্তার
সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ঢাকায় গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Anti discrimination student movements Long March to Dhaka program today

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‌‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি আজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‌‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি আজ শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মহাসমাবেশ। ফাইল ছবি
এর আগে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল ৬ আগস্ট, মঙ্গলবার। আর সোমবার ছিল ঢাকায় সমাবেশ আর সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করে সোমবার নির্ধারণ করে প্ল্যাটফর্মটি।

আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সংবাদকর্মীদের এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রোববার এ তথ্য জানান।

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে একই তথ্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, রিফাত রশিদসহ আরও কয়েকজন সমন্বয়ক।

এর আগে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল ৬ আগস্ট, মঙ্গলবার। আর সোমবার ছিল ঢাকায় সমাবেশ আর সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি।

গতকাল বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তনের বার্তা দেন আসিফ মাহমুদ।

বার্তায় বলা হয়, ‍‘‘বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এক জরুরি সিদ্ধান্তে আমাদের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ৬ আগস্ট থেকে পরিবর্তন করে ৫ আগস্ট করা হলো। অর্থাৎ আগামীকালই (সোমবার) সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতাকে খুন করা হয়েছে। চূড়ান্ত জবাব দেয়ার সময় এসে গেছে। বিশেষ করে আশপাশের জেলাগুলো থেকে সবাই ঢাকায় আসবেন এবং যারা পারবেন আজই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। ঢাকায় এসে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা রাজপথগুলোতে অবস্থান নিন।’

এতে আরও বলা হয়, ‘এই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের চূড়ান্ত স্বাক্ষর রাখার সময় এসে গেছে। ইতিহাসের অংশ হতে ঢাকায় আসুন সকলে।
‘যে যেভাবে পারেন কালকের মধ্যে ঢাকায় চলে আসুন। ছাত্র-জনতা এক নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটাব।’

আরও পড়ুন:
সব পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা
‘ঢাকায় আসতে না পারলে এলাকায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিন’
কাপাসিয়ায় আ.লীগ কার্যালয় ও ডাকবাংলোয় অগ্নিসংযোগ
শেরপুরে মিছিলের ওপর ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের গাড়ি, নিহত ২
পঞ্চগড়ে এমপিসহ আ.লীগ নেতাদের বাড়ি-গাড়িতে আগুন, ভাংচুর

মন্তব্য

p
উপরে