× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Prime Ministers meeting with tea industry owners on Saturday
google_news print-icon

চা-শিল্প মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শনিবার

চা-শিল্প-মালিকদের-সঙ্গে-প্রধানমন্ত্রীর-বৈঠক-শনিবার
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে ১৭ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন চা-শ্রমিকরা। তারা বলছেন, কেবল প্রধানমন্ত্রীর কথাতেই তারা কাজে ফিরবেন। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হলো, সরকারপ্রধান শনিবার চা-শিল্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি ও তাদের কর্মবিরতির কারণে এ শিল্পে দেখা দেয়া সংকট নিরসনে চা-শিল্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, গণভবনে শনিবার বিকেল ৪টায় মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন কর্মসূচিতেও শনিবার বিকেল ৪টায় চা-বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। তবে সেদিন কারা কারা উপস্থিত থাকবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে ১৭ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন চা-শ্রমিকদের একটি বড় অংশ। তাদের দাবি, দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা।

এই দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের ১৬৬ চা বাগানের দেড় লাখের বেশি শ্রমিক। সেদিন থেকে চার দিন পর্যন্ত ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন।

এরপর গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোদমে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এর মধ্যে কয়েক দফা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি।

সবশেষ বুধবার হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে শ্রমিক নেতারা জানান, তারা অন্য কারও আশ্বাসে কাজে ফিরবেন না। তারা কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রীর বার্তা চান।

চা-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তার দাবি জানানো হয়েছে। বরাবর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আসা এই পেশাজীবীদের এক নেতা সরকারপ্রধানকে মা সম্বোধন করে অবিলম্বে তার বক্তব্য দাবি করেছেন।

সন্ধ্যা রাণী নামে ওই নেতা বুধবার হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে নিউজবাংলা কে বলেন, ‘আমরা সব সময় নৌকায় ভোট দিই। আর আমাদের মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে একটা ভিডিও বার্তা দিতে পারেন না?

‘ডিসি-এসপি চিনি না, আমাদের ৩০০ টাকা মজুরি দাও, আমরা কাজে ফিরে যাব। না হলে আমরা বাগানে কাজে যাব না। প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজে চলে যাব।’

চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি চন্দ্র কর্মকার ওই বৈঠকে বলেন, ‘আমরা বাগানে কাজে যাব মায়ের (প্রধানমন্ত্রী) কথায়, মাসির (অন্য কারও) কথায় কাজে যাব না।’

আরও পড়ুন:
‘মা’ শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তা চান চা-শ্রমিকরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Presidents invitation to Khaleda Zia at the Victory Day function

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে দাওয়াতপত্রটি হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে দাওয়াতপত্র গ্রহণ করেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

জানতে চাইলে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বুধবার রাতে বার্তা সংস্থা বাসস-কে বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ রাত ৮টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এই আমন্ত্রণপত্র আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Japan has promised to continue supporting Bangladesh

বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের

বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক- এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে জাপান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। আমরা এই তিনটি স্তম্ভের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’

চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন দেয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে জাপানি রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক- এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে জাপান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। আমরা এই তিনটি স্তম্ভের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনি ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমে টোকিওর দৃঢ় সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।

অধ্যাপক ইউনূস উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখায় জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই সম্পর্ক সবসময় খুব শক্তিশালী ছিল।’

সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয়।

জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে জাপানি কোনো কোম্পানি চলে যায়নি। তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।’

নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রদূত। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারবেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, টোকিও এই বৈঠককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা তৈরির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে সংঘাত শেষ হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে তাদের বাড়িতে ফেরার আগে সাময়িকভাবে পুনর্বাসিত করা যেতে পারে।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
সংস্কার প্রক্রিয়ায় ইইউ’র পূর্ণ সমর্থন, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি
বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টার ঐক্যের ডাকে ধর্মীয় নেতাদের একাত্মতা
আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবার: প্রধান উপদেষ্টা
নতুন এই স্বাধীনতা অনেকের পছন্দ হচ্ছে না: প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
TIB calls for disclosure of ACC chairman commissioners asset statements

দুদক চেয়ারম্যান-কমিশনারদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশের আহ্বান টিআইবি’র

দুদক চেয়ারম্যান-কমিশনারদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশের আহ্বান টিআইবি’র
দুদকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল চেতনা এবং ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর অভীষ্টের প্রতি অনড় থাকার পাশাপাশি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাবোধের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকারের আহ্বান জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তাদের আয় ও সম্পদ বিবরণীর তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে জনপ্রত্যাশার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান দুদকের শীর্ষ অবস্থানের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের স্বার্থে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো স্বপ্রণোদিতভাবে প্রকাশের আহ্বান জানাই।’

ইফতেখারুজ্জামান দুদকের দুই কমিশনার ও চেয়ারম্যানের নিজের এবং নিকট পরিবারের নামে-বেনামে অর্জিত আয় ও সম্পদের তথ্য, আয়ের বৈধ সূত্রের সঙ্গে অর্জিত আয় ও সম্পদের সামঞ্জস্যতার তথ্য, নিরপেক্ষ নিরীক্ষক কর্তৃক আয় ও সম্পদ বিবরণীর যথার্থতা, পর্যাপ্ততা ও সামঞ্জস্যতা যাচাইয়ের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ, পেশাগত জীবনের কোনো পর্যায়ে কোনো প্রকার ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত তথ্যের বিষয়ে নিজের অবস্থান, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ দলীয় রাজনৈতিক আনুগত্যের তথ্য চেয়েছেন।

পাশাপাশি উল্লিখিত বিষয়ে কোনো প্রকার অসামঞ্জস্যতার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্তসাপেক্ষে জবাবদিহি করতে প্রস্তুত মর্মে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে দুদকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল চেতনা এবং ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর অভীষ্টের প্রতি অনড় থাকার পাশাপাশি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাবোধের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকারের আহ্বান জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সদ্য পদত্যাগ করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে। কমিশনার হিসেবে তার সঙ্গী হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:
দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন
বিদ্যমান আইনেই দুদক পুনর্গঠনের চিন্তা
কোন উদ্যোগ না নিলে সংস্কার ব্যর্থ হবে, জানাল টিআইবি 
১৫ বছরে সেবা খাতে ঘুষ লেনদেন ১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার: টিআইবি 
দুদকের মামলা থেকে জয়নাল আবদীন ফারুককে খালাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Amnesty for fake freedom fighters on voluntary confession

স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সাধারণ ক্ষমা

স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সাধারণ ক্ষমা
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সেই পরিচয়ে সুবিধা নেয়া জাতির সঙ্গে প্রতারণা। যাচাই-বাছাইয়ের পর যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ নিয়ে যারা চাকরি নিয়েছেন তাদেরকে প্রয়োজনে চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তালিকা থেকে স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহার করলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শাস্তি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তিনি বলেছেন, ‘যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, তারা স্বেচ্ছায় এসে স্বীকার করলে তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে। নয়তো প্রতারণার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ঢাকায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

ফারুক ই আজম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সেই পরিচয়ে সুবিধা নেয়া জাতির সঙ্গে প্রতারণা। মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ নিয়ে যারা চাকরি নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। যাচাই-বাছাইয়ের পর যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দেশে রাজাকারের তালিকা তৈরি করা কঠিন- এ কাজের অগ্রগতি শূন্যের কোটায় বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘জামুকা গঠিত হয়েছে, জামুকার সভা হয়েছে। সেখানে অনেক ফাইন্ডিং বেরিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আসতে পারে। সত‍্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের যাতে মূল্যায়ন হয়, যারা মাঠে যুদ্ধ করেছেন এবং যারা নানা আঙ্গিকে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে সমান আঙ্গিকে সম্মান দিতে হবে। এটার বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা ছিল। তার মধ্যে যেটি যৌক্তিক সেটি আমরা চূড়ান্ত করব।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জামুকা গঠিত হয়েছে আইনের ধারায়। কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, কার কাছে কে দায়ী হবে- এটার জন্য বিধি হওয়ার কথা। অথচ এত বছর হলেও এটার কোনো বিধি রচিত হয়নি। ফলে একটা তুঘলকি কারবার হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা হচ্ছে: উপদেষ্টা
শাস্তি পাবেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা: উপদেষ্টা ফারুক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Govt not kneeling with India in foreign policy Asif 

ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে নেই সরকার: আসিফ 

ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে নেই সরকার: আসিফ  বার্ডের লালমাই অডিটোরিয়ামে বুধবার অনুষ্ঠিত ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশনবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলের কর্মশালায় সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। ছবি: নিউজবাংলা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থ কম্প্রোমাইজ (আপস) করে আমরা কোনো পররাষ্ট্র সম্পর্ককে বিশ্বাস করি না। অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে। জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে পরবর্তী সম্পর্কগুলো চলমান থাকবে।’

বিগত সরকারের সময়ে ভারতের সঙ্গে যে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ছিল, তা থেকে অন্তর্বর্তী সরকার সরে এসেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থ কম্প্রোমাইজ (আপস) করে আমরা কোনো পররাষ্ট্র সম্পর্ককে বিশ্বাস করি না। অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে। জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে পরবর্তী সম্পর্কগুলো চলমান থাকবে।’

কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি তথা বার্ডের লালমাই অডিটোরিয়ামে বুধবার অনুষ্ঠিত ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশনবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলের কর্মশালায় সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে এলজিআরডি উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাজ পরিচালনা করা অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যে কারণে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি নির্বাচনের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কি না, সে বিষয়ে স্থানীয় সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের কাজ শেষ হলে উদ্যোগ নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের পদযাত্রা কাল
রপ্তানি বন্ধ করলে ভারতই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন
ভারতীয় ৪৯ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ১৩ মিথ্যা প্রতিবেদন
সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবর মিথ্যা: প্রেস উইং

মন্তব্য

বাংলাদেশ
India will be duly urged to extradite Sheikh Hasina Cadman

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ভারতকে যথাযথভাবে আহ্বান জানানো হবে: ক্যাডম্যান

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ভারতকে যথাযথভাবে আহ্বান জানানো হবে: ক্যাডম্যান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে বুধবার প্রেস ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান। ছবি: বাসস
আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ টবি বলেন, ‘ভারত আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে এবং প্রত্যর্পণের একটি আইনগতভাবে বৈধ এবং যথাযথ অনুরোধের সম্মান করে থাকলে, আমরা অবশ্যই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য আহ্বান জানাব।’

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ভারতকে যথাযথভাবে আইনগত আহ্বান জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে বুধবার প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ টবি আরও বলেন, ‘ভারত আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে এবং প্রত্যর্পণের একটি আইনগতভাবে বৈধ এবং যথাযথ অনুরোধের সম্মান করে থাকলে, আমরা অবশ্যই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য আহ্বান জানাব।’

তিনি বলেন, ‘স্পষ্টতই আমরা জানি যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি বিদ্যমান। এ বিষয়ে এরই মধ্যে যা কিছুই বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা জানি এবং সচেতন রয়েছি। এ বিষয়ে ভারত আগামীতে কী করতে যাচ্ছে, তার কোনো প্রাক-বিচার এখনই আমরা করতে চাই না।

‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যথাযথভাবে অভিযোগ আনা এবং তাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য ভারতকে জানানোর বিষয়গুলো নিশ্চিত করার গুরুদায়িত্ব এখন এই ট্রাইব্যুনালের এবং এর চিফ প্রসিকিউটরের।’

কোনো কারণে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার করা যায় কি না কিংবা এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সহায়তা নেয়া যায় কি না, সেটি নিয়ে আলোচনা করছেন বলে জানান ক্যাডম্যান।

তিনি বলেন, ‘বিচারের বর্তমান প্রক্রিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পূর্ণ সহায়তা ও সমর্থন প্রয়োজন। আমি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইইউ এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এরই মধ্যে আলোচনা করেছি।

‘যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাজকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি, সেহেতু এখানে অনেকের সমর্থন পাওয়ার সুযোগই আমাদের রয়েছে বলে আমরা আশাবাদী।’

আরও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরে বাধ্য হবে ভারত: প্রধান উপদেষ্টা
সরকারি চাকরি: পৌনে ৫ লাখ শূন্য পদ পূরণে চিঠি
গণঅভ্যুত্থানের মনন সৃষ্টিতে সিপিডির গবেষণার ভূমিকা অশেষ: প্রধান উপদেষ্টা
পরিচালন ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা সরকারের
অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের তুলনামূলক বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে: জরিপ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Plains Hills Disparity to be Eliminated Chief Adviser 

সমতল-পাহাড় ভেদাভেদ থাকলে দূর করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা 

সমতল-পাহাড় ভেদাভেদ থাকলে দূর করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা  আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে আয়োজিত আলোচনা সভায় যমুনা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: ইউএনবি
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বনজ ও প্রাকৃতিক যে সম্ভার ও সুযোগ আছে, সেটা বাংলাদেশে আর কোথাও নেই। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নত জায়গা হওয়ার কথা। অথচ হয়েছে বিপরীত। এটা মানা যায় না। আমরা চাই কীভাবে অনিয়ম কমিয়ে আনা যায়। বিশেষভাবে নজর দেয়া দরকার প্রযুক্তি ও শিক্ষার ওপর। সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে।’

সমতলের সঙ্গে পার্বত্য অঞ্চলের ভেদাভেদ থাকলে তা দূর করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে আয়োজিত আলোচনা সভায় যমুনা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বনজ ও প্রাকৃতিক যে সম্ভার ও সুযোগ আছে, সেটা বাংলাদেশে আর কোথাও নেই। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নত জায়গা হওয়ার কথা। অথচ হয়েছে বিপরীত। এটা মানা যায় না।

‘আমরা চাই কীভাবে অনিয়ম কমিয়ে আনা যায়। বিশেষভাবে নজর দেয়া দরকার প্রযুক্তি ও শিক্ষার ওপর। সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী মাসে হবে তারুণ্যের উৎসব। এটা সবার উৎসব হোক। আমি যেন দেখি পার্বত্য জেলাগুলো এখানে ওপরে থাকে এ উৎসবে। এটা বরাবরের মতোই করব।

‘এবার প্রথমবারের মতো হবে। নিজেরাই উৎসাহের সঙ্গে এ উৎসব করবেন। অন্য তরুণদের চেয়ে পার্বত্য এলাকার তরুণরাও পিছিয়ে নেই, এটা প্রমাণ করার সুযোগ।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো অসুবিধা হলে আমাকে জানাবেন, আমি দূর করার চেষ্টা করব। আমরা দেশও বদলাতে চাই, আমরা আমাদের কাজ দিয়ে পৃথিবীও বদলাতে চাই।’

পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক কঠিন সংকটে আছে। আপনাদের অঞ্চলে এটা আরও বেশি কঠিন। শিক্ষকদের কষ্ট হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট হয়। আপনাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে।

‘আমরাও চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় দিক থেকে কীভাবে কী করা যায়। পার্বত্য জেলার তরুণরা দুর্গম অঞ্চলে আছে বলে বড় শহর থেকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকবে, সেটা হতে দেয়া যাবে না। লেখাপড়ায় তাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

আরও পড়ুন:
৫ আগস্টের পরিবর্তন মেনেই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে
বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
‘কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যে বেশি দামে জ্বালানি কিনতে হচ্ছে’
রপ্তানি বন্ধ করলে ভারতই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
চ্যালেঞ্জের মধ্যেই আগামী বছর রাজনৈতিক পালাবদল: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

মন্তব্য

p
উপরে