× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
President inspects under construction cantonment at Mithamain
google_news print-icon

মিঠামইনে নির্মাণাধীন সেনানিবাস পরিদর্শনে রাষ্ট্রপতি

মিঠামইনে-নির্মাণাধীন-সেনানিবাস-পরিদর্শনে-রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিঠামইনে নির্মাণাধীন সেনানিবাস পরিদর্শন ও ইটনায় উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন ও হলরুমের উদ্বোধন করেন।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে নির্মাণাধীন সেনানিবাসসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বুধবার মিঠামইনে নির্মাণাধীন সেনানিবাস এলাকা পরিদর্শনে যান রাষ্ট্রপতি। সেনানিবাস এলাকায় পৌঁছলে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল মো. জুবায়ের সালেহীন। এ সময় সেনানিবাসের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়।

স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, মো. আফজাল হোসেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খানসহ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি সেনানিবাস এলাকায় একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ফাউন্ডেশন ভবনের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপ্রধান।

ইটনায় উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন ও হলরুমের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। পরে ইটনায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র এবং ফার্স্ট লেডি রাশিদা হামিদ ছাত্রী নিবাসেরও উদ্বোধন করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
হাওরের উন্নয়ন নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার হচ্ছে: রাষ্ট্রপতি
৪ দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি
চার দিনের সফরে কিশোরগঞ্জ যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন বিনষ্ট না হয়: রাষ্ট্রপতি
তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়ায় মামলাজট কমান, সুপ্রিম কোর্টকে রাষ্ট্রপতি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The price of onion is increasing hour by hour in Chittagong

চট্টগ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম!

চট্টগ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম! ছবি: সংগৃহীত
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। তারা একেক সময় একেক অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করেন। এখন বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে বলে দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে যেসব পেঁয়াজ আছে, সেগুলো তো দুই সপ্তাহ আগে আমদানি করা। প্রশাসনের উচিত অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য যাচাই করা।’

চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বাজারে আগুন। চলছে চরম নৈরাজ্য। বেপরোয়া সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় কেজিতে বেড়েছে ১৩০ টাকা। দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই বেড়েছে।

শনিবার পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা। আগের দিন ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। তারপরও বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে পেঁয়াজ।

জানা গেছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত। এ ঘটনার জেরে দেশের বাজারে একদিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পেঁয়াজের এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোক্তারা। তারা বলছেন, ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ বাজার ঠিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা এটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে রীতিমতো নৈরাজ্য শুরু করেছে। তারা এক কেজি পেঁয়াজে ১৩০ টাকা পর্যন্ত মুনাফা করছেন।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা অজুহাত দিচ্ছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করার কারণে বাজারে ব্যবসায়ীদের হাতে তেমন পেঁয়াজ নেই। যেহেতু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম, তাই বাজার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছে না। রিয়াজুদ্দিন বাজারেও ভোরে যে দাম ছিল, সকাল ৯টায় তা কেজিতে ৭০/৮০ টাকা বেড়ে গেছে।

কাজির দেউরি বাজারের ব্যবসায়ী হাবিব মিয়া বলেন, ‘ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে এমন খবরের কারণে পাইকারদের কাছ থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় কিনছি।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ তেমন একটা নেই। ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই তাদের দেশেও পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রন দেশটি রপ্তানিও বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারে দাম বাড়ছে।

ভোক্তারা বলছেন, ভারত মাত্র রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে এখনই দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।

চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ আড়ত বন্ধ। তারা বলছে যে আড়তে পেঁয়াজ নেই। অথচ প্রতিটি আড়তে পেঁয়াজ আছে। তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।

যে গুটিকয় আড়ত বিক্রি করছে তা-ও চড়া দামে।

বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। অথচ দুদিন আগেও তা বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। অপরদিকে খুচরা বাজারে একদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়। সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। অর্থাৎ একদিনেই কেজিতে দাম বেড়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের এক আড়তদার বলেন, বর্তমানে খাতুনগঞ্জে যেসব পেঁয়াজ রয়েছে সেগুলো বাজার পর্যন্ত আসতে খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। কিন্তু ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরপরই প্রতি কেজিতে ৮০-৯০ টাকা মুনাফা করছেন আমদানিকারকরা।

নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার, কাজির দেউরি বাজার, বহদ্দারহাট, চকবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাজারেই পেঁয়াজ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। শনিবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। কোনো দোকানেই এর কমে পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি। অনেক দোকানে পেঁয়াজই নেই।

বহদ্দারহাটে বাজার করতে আসা মামুন মিয়া বলেন, ‘বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা কেজির নিচে নেই। আর ভারতের পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি। দুদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ১২০ টাকা করে। রাতের মধ্যেই বেড়ে গেল ১২০ টাকা। এটা কেমন কথা! দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এভাবে হলে আমরা কীভাবে চলবো?’

চাক্তাই আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ভারতের বাজারেও পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। সেখানেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়ায় এখানে দাম বাড়ছে।’

তিনি দাবি করেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ানো বা কমানোর ব্যাপারে আড়তদারদের কোনো হাত নেই। আমদানিকারকরা যে দামে বিক্রি করতে বলেন সেই দামেই আড়তদাররা বিক্রি করেন।’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। তারা একেক সময় একেক অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করেন। এখন বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে বলে দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে যেসব পেঁয়াজ আছে, সেগুলো তো দুই সপ্তাহ আগে আমদানি করা। প্রশাসনের উচিত অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য যাচাই করা এবং সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া।’

গত কিছুদিন ধরেই দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের খুচরা দর সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু এ দরে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। পরে সরকার পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করে দিলেও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আরও পড়ুন:
বেনাপোলে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
সাংবাদিক দেখে পালালেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে আজ ভোক্তা-অধিকারের অভিযান
অসময়ের বৃষ্টিতে ফরিদপুরে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি
দামে লাগাম টানতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Jahangir is the new syndicate member of EB

ইবির নতুন সিন্ডিকেট সদস্য ড. জাহাঙ্গীর

ইবির নতুন সিন্ডিকেট সদস্য ড. জাহাঙ্গীর ইবির নতুন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৮০ (সংশোধিত আইন- ২০১০)-এর ১৯ (১) (চ) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নতুন সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক সমিতির সভাপতি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে।

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আগামী দুই বছরের জন্য তাকে মনোনীত করেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত শনিবারের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৮০ (সংশোধিত আইন- ২০১০)-এর ১৯ (১) (চ) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও ১৯ (১) (ঙ) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক কামরুন্নাহার এবং ১৯ (২) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হাবিবুর রহমানকে মনোনীত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নতুন সিন্ডিকেট সদস্য ও ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে যে দায়িত্ব প্রদান করেছেন, সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

আরও পড়ুন:
রোহিঙ্গা সংকট: বিশ্বব্যাংক এডিবির প্রতি সহায়তার আহ্বান টিআইবির
নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ: টিআইবি
ইবিতে খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, তদন্তে কমিটি
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আগের দিন ইবিতে দফায় দফায় সংঘর্ষ
ইবির রিপোর্টার্স ইউনিটির ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two time MP Maqbul Hossain has no source of income
হলফনামা

আয়ের উৎস নেই দুইবারের এমপি মকবুল হোসেনের

আয়ের উৎস নেই দুইবারের এমপি মকবুল হোসেনের মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
হলফনামা অনুযায়ী, বর্তমানে মকবুল হোসেনের বার্ষিক কোনো আয় নেই। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ও তার স্ত্রীর জমাকৃত কোনো টাকা কিংবা বন্ড ও সঞ্চয়পত্র নেই।

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি মকবুল, তবে সেবার তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।

২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মকবুল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হন বিজয়ী।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মকবুল, তবে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে তার ডাকে সাড়া না দেয়ায় এবারও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়েও পেয়েছেন মনোনয়নপত্রের বৈধতা।

আগামী নির্বাচন উপলক্ষে দেয়া হলফনামা অনুযায়ী, এ প্রার্থীর আয়ের কোনো উৎস নেই। তার মালিকানাধীন কোনো বাড়ি, গাড়ি, এমনকি কৃষিজমিও নেই। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি আছে নামমাত্র।

নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে, তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্যই মিলেছে।

হলফনামা অনুযায়ী, যৌথ মালিকানার তিন কাঠা জমি ছাড়া মকবুল হোসেনের আর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই।

২০১৩ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেয়া হলফনামায় মকবুল এবং তার স্ত্রীর কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ২১ হাজার টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে শূন্যের কোঠায়।

হলফনামা অনুযায়ী, বর্তমানে মকবুল হোসেনের বার্ষিক কোনো আয় নেই। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ও তার স্ত্রীর জমাকৃত কোনো টাকা কিংবা বন্ড ও সঞ্চয়পত্র নেই।

বতর্মানে মকবুল ও স্ত্রীর নগদ টাকা রয়েছে যথাক্রমে তিন লাখ ও ৫০ হাজার। তার গৃহস্থালি সামগ্রীর মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

মকবুলের স্বর্ণ রয়েছে ৪০ ভরি। তার স্ত্রীর স্বর্ণ রয়েছে ১০ ভরি।

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে মকবুলের বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ২১ হাজার টাকা। আয়ের খাত ছিল ব্যবসা। নগদ ছিল ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। সে সময় তার ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিল এবং গৃহস্থালি সামগ্রী ছিল ৫০ হাজার টাকার।

ওই বছর তার স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ছিল না কোনো স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা।

হলফনামা অনুযায়ী, মকবুল হোসেনের বর্তমান স্থাবর সম্পদ বলতে যৌথ মালিকানার তিন কাঠা জমি এবং যৌথ মালিকানার পাকা দোতলা বাড়ি ছাড়া আর কিছু নেই। অবশ্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

দুইবারের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের এমন হলফনামা দেয়ার কথা শুনে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীই বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী সালাউদ্দিন বলেন, ‘এখন গণমাধ্যমের মাধ্যমে হলফনামা সমন্ধে জানতে পারছি। আগে এগুলো নিয়ে কারোর মাথাব‍্যথা ছিল না। এখন বুঝতে পারছি সংসদ সদস‍্য নির্বাচনে হলফনামায় তথ‍্য দেয়ার ক্ষেত্রে নেতারা যত মিথ‍্যা তথ‍্য দিয়ে থাকেন।

‘এটা আসলে ঠিক না। যারা তথ‍্য চুরি করে হলফনামা দিতে পারে, তারা জনগণকে আর কীইবা দিতে পারে?’

আওয়ামী লীগের কর্মী বিপুল হোসেন বলেন, ‘সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের আয়ের উৎস নেই, এটা কেমন কথা! তাহলে উনি চলেন কীভাবে?

‘আর তার কোনো ব‍্যাংকে টাকা নেই, এটা ঠিক। টাকা যদি ছেলেদের অ্যাকাউন্টে থাকে, তাহলে তার অ্যাকাউন্টে থাকবে কীভাবে?’

আরও পড়ুন:
জেলার ভেতরে ওসিদের বদলি: বিরোধী প্রার্থী-সমর্থকদের শঙ্কা
চট্টগ্রামে এক আসনে তিন দলের প্রধান এমপি প্রার্থী
প্রার্থিতা ফেরাতে চার দিনে ইসিতে ৪৩১ জনের আপিল
স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই, চট্টগ্রামের চার আসনে স্বস্তিতে নৌকা
সিলেট-৫: আওয়ামী লীগের বিভক্তির সুবিধা পেতে পারেন হুছামুদ্দীন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Unsettled onion market in Benapole

বেনাপোলে অস্থির পেঁয়াজের বাজার

বেনাপোলে অস্থির পেঁয়াজের বাজার দোকানে স্তূপ করে রাখা পেঁয়াজের বস্তা। ফাইল ছবি
বেনাপোল বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজ যেভাবে কিনে থাকি, সেভাবেই বিক্রি করে থাকি। গত সপ্তাহেও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল। ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় সে পেঁয়াজ আজ বিক্রি করছি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে।’

ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বাংলাদেশে পণ্যটির বাজার আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শনিবার সকালে ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগে যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মাত্র এক দিনের ব্যবধানে আজ সে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে।

বেনাপোল বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজ যেভাবে কিনে থাকি, সেভাবেই বিক্রি করে থাকি। গত সপ্তাহেও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল। ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় সে পেঁয়াজ আজ বিক্রি করছি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে।’

দেশে যথেষ্ট পেঁয়াজ থাকলেও কিছু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দেশের বাজার অস্থিতিশীল করে রেখেছে বলে জানান তিনি।

বেনাপোল কাস্টমস জানায়, গত সপ্তাহে প্রতি টন পেঁয়াজের এলসি মূল্য ছিল ৮০০ ডলার। সর্বশেষ ৫৯ টনসহ গত মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভারত সরকার সে দেশে সংকট দেখিয়ে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়, যা শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়।

আরও পড়ুন:
লেনদেন ও সূচকে হতাশার মাঝে শেষ দিনে আশা
কক্সবাজার রুট চালুর পরদিনই রেললাইনের নাট-বল্টু উধাও
হিমেল হাওয়ায় কমলগঞ্জে জমেনি শীতপোশাকের ব্যবসা
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনযাত্রা শুরু কাল
পাঁচ টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Onion traders ran away after seeing the journalist

সাংবাদিক দেখে পালালেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা

সাংবাদিক দেখে পালালেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের দেখে দোকান বন্ধ করে চলে যান পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। ছবি: নিউজবাংলা
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পর পরই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেছে। আমরা সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে অভিযান চালাচ্ছি।’

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর আকস্মিকভাবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

উত্তরের জেলা দিনাজপুরে এক দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে এক দিনের ব্যবধানে দেশি জাতের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা।

এ দিকে বাজারে সাংবাদিকদের দেখে দোকান বন্ধ করে চলে যাচ্ছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।

শনিবার সকাল ১১টায় দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় বাজার বাহাদুর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। কয়েকজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর কাছে পেঁয়াজের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা একে একে দোকান বন্ধ করে চলে যান।

এমনকি কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। দোকান বন্ধ করার সময় কয়েকজন বলেন, ‘দোকান বন্ধ করে রাখব, তারপরও পেঁয়াজ বিক্রি করব না।’

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার সকালে ওই বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি এবং দেশি জাতের পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছি, কিন্তু ভারত থেকে আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর পরই এই বাজারে ভারতীয় ও দেশি জাতের পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে।

এই বাজারে শনিবার সকালে ভারতীয় পেঁয়াজ ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশি জাতের পেঁয়াজ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ দিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয় দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর পরই স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে আকস্মিকভাবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

স্থলবন্দরে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০ টাকা কেজি দরে, কিন্তু আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর শনিবার সকালে এই বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।

পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হাট-বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পর পরই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেছে। আমরা সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে অভিযান চালাচ্ছি। যে সকল অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
টাঙ্গাইলের বাজারে বেড়েই চলেছে আলু-পেঁয়াজের দাম
খাতুনগঞ্জে অস্থিরতা, পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা
৩৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কেনা যাবে টিসিবির কার্ডে
ভারতীয় পেঁয়াজের দাম এক দিনে বাড়ল ১০ টাকা
আরও ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chittagong cotton factory fire under control

চট্টগ্রামে তুলার কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

চট্টগ্রামে তুলার কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে তুলার কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। ছবি: নিউজবাংলা
ফায়ার সার্ভিসের কাপ্তাই অঞ্চলের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, ‘আগুনে কারখানাটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। সকালে তুলার মেশিন থেকে ওই আগুন লেগেছিল।’

চট্টগ্রামের কালুরঘাটে বিসিক শিল্প নগরী এলাকার তুলার কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

ফায়ার সার্ভিসের কাপ্তাই অঞ্চলের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা জানান, আটটি ইউনিট সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করে।

তিনি বলেন, ‘শনিবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে আগুন লেগেছিল ওই কারখানায়। আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। একে একে আমাদের তিনটা স্টেশন থেকে আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগুনে কারখানাটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। সকালে তুলার মেশিন থেকে ওই আগুন লেগেছিল।’

এর আগে শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিসিকের কাদের ট্রেডিং নামের কারখানায় আগুন লাগে।

খবর পেয়ে কালুরঘাট স্টেশনের তিনটি, বায়েজিদের দুটি এবং চন্দনপুরার দুটি মিলিয়ে মোট সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে চন্দনপুরা স্টেশন থেকে যোগ দেয় আরও এক ইউনিট।

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় বাসে আগুন
দিনাজপুরে চালবোঝাই চলন্ত ট্রাকে আগুন
সিরাজগঞ্জে মুরগির বাচ্চাবোঝাই কাভার্ড ভ্যানে আগুন 
নওগাঁয় ট্রাকে আগুন
প্রগতি সরণিতে বৈশাখীর বাসে আগুন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transfer of OCs within districts Fear of opposition candidates supporters

জেলার ভেতরে ওসিদের বদলি: বিরোধী প্রার্থী-সমর্থকদের শঙ্কা

জেলার ভেতরে ওসিদের বদলি: বিরোধী প্রার্থী-সমর্থকদের শঙ্কা মানিকগঞ্জ জেলার ভেতরেই বদলি হওয়া সাত ওসি। কোলাজ: নিউজবাংলা
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, ‘ওসি ও ইউএনওদের বদলি নির্বাচনে কোনো সুফল আনবেনা। কারণ ওসিরা দীর্ঘদিন একই জেলায় থাকায় বিভিন্ন কারণে আগে থেকেই এমপিদের সঙ্গে একটা সুসর্ম্পক তৈরি হয়েছে। সুতরাং থানা বদলি হলেও প্রার্থীদের কোনো সমস্যা হবেনা। তাছাড়া জেলার মূল এসপি-ডিসির তো বদলি হয় নাই।’

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জের সাতটি থানার ওসি ও তিনটি উপজেলার ইউএনও-কে বদলি করা হয়েছে। ইউএনওদের বদলি নিয়ে তেমন আলোচনা না হলেও ওসিদের জেলায় ভেতরেই বিভিন্ন থানায় বদলি হওয়ায় প্রার্থী, সমর্থক ও সচেতনমহলে চলছে নানান সমালোচনা।

পুলিশ সদর দপ্তরের পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট শাখা-২ এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বৃহস্পতিবার তাদেরকে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠ করার লক্ষ্যে সারাদেশের ৩৩৮টি থানার ওসিকে বদলির চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে প্রস্তাব করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির অনুমোদন হওয়ার পর এসব থানার ওসিদের বদলি করা করা হয়।

জননিরাপত্তা বিভাগের বদলি আদেশপত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার ওসি শাহ নূর-এ আলমকে হরিরামপুর থানায়, ঘিওর থানার ওসি মো. আমিনুর রহমানকে সিংগাইর থানায়, দৌলতপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম ইসলাম মোল্যাকে সাটুরিয়া থানায়, সিংগাইর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর রহমানকে মানিকগঞ্জ সদর থানায়, হরিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার আদিত্যকে দৌলতপুর থানায়, মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি মো,আব্দুর রউফ সরকারকে শিবালয় থানায় এবং সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাসকে ঘিওর থানায় বদলি করা হয়েছে।

এ ছাড়াও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পালকে ফরিদপুরের আলফাঙ্গা উপজেলায়, শিবালয় উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো.জাহিদুর রহমানকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় এবং সিংগাইর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথকে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বদলি করা হয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের তিনটি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে মানিকগঞ্জ-১ আসনে আব্দুস সালাম, মানিকগঞ্জ-২ আসনে মমতাজ বেগম ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জাহিদ মালেকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

জেলার ভেতরেই ওসি বদলের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমর্থকদের অধিকাংশ খুশি হলেও স্বতন্ত্রসহ অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও সমর্থকরা বলছেন ভিন্ন কথা।

এ বিষয়ে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম খান কামাল বলেন, ‘ওসিদের যেহেতু বদলিই করা হয়েছে তাহলে জেলার ভেতরে বদলি না করে অন্য জেলায় বদলি করা উচিত ছিল। আমার দৃষ্টিতে একটা বদলি না, এটা শুধুমাত্র লোক দেখানো বদলি।’

মানিকগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ বলেন, ‘ওসিদের বদলি করেছে, এটা ভালো সিদ্ধান্ত। তবে জেলার ভেতরে বদলি না হলে ভালো হতো। কারণ মানিকগঞ্জের সাতটি থানার ওসিরা দীর্ঘদিন ধরে এক থানায় থেকে আরেক থানায় আছে। সুতরাং মানিকগঞ্জ জেলার তিনটি আসনের বর্তমান এমপি ও প্রার্থীদের সঙ্গে তাদের পূর্ব পরিচয় রয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিমও তাদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে ওসি বা ইউএনওদের বদলি না করেই সুষ্ঠ নির্বাবচন করতে পারবেন। যেহেতু বদলি করা হয়েছে, সুতরাং এটাকে খারাপ নজরে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু যেসকল ওসিদের একই জেলার বিভিন্ন থানায় বদলি করা হয়েছে। সেকল ওসিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রার্থীদের অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচন প্রভাবিত করা সম্ভব।’

তবে ওসিদের এমন বদলিতে খুশি মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী মমতাজ বেগম। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যা করেছেন, সেটা ভালোই করেছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের আদেশ মেনে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা করে আসছি। আশা করি ওসিদের বদলিতে আমার কোনো সমস্যা হবে না। কারণ ভোট তো দিবেন ভোটাররা।’

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, ‘ওসি ও ইউএনওদের বদলি নির্বাচনে কোনো সুফল আনবেনা। কারণ ওসিরা দীর্ঘদিন একই জেলায় থাকায় বিভিন্ন কারণে আগে থেকেই এমপিদের সঙ্গে একটা সুসর্ম্পক তৈরি হয়েছে। সুতরাং থানা বদলি হলেও প্রার্থীদের কোনো সমস্যা হবেনা। তাছাড়া জেলার মূল এসপি-ডিসির তো বদলি হয় নাই।’

নাম প্রকাশে একাধিক দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা জানান, মানিকগঞ্জের সাতটি থানার ওসিরা দীর্ঘদিন ধরে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন থানায় আছেন। অনেক থানার ওসি আছেন, যারা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছে। যেসকল ওসিদের বদলি করা হয়েছে, এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।

তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওসিরা যে প্রভাবিত হবেন না বা অতিউৎসাহিত হয়ে কারো পক্ষে কাজ করবেন না, সেটা বিশ্বাস করার সুযোগ নাই।

তবে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার রেহেনা আকতার এবং জেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান মিঞার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।

জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠ করার লক্ষ্যে বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি চাকরির মেয়াদ হয়েছে, সেসকল থানার ওসি এবং ইউএনওদের বদলি চেয়ে গত ৩০ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে প্রস্তাব পাঠায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর প্রস্তাবটি পাশ হওয়ায় ওসি এবং ইউএনওদের বদলি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ডিএমপির ৩৩টিসহ সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসি বদলি
প্রার্থিতা ফেরাতে তৃতীয় দিনে ১৫৫ জনের আপিল
শোকজের জবাব দিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
নন-ক্যাডার থেকে ৮৩ জনকে নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাশিয়া সবকিছু করবে: রাষ্ট্রদূত

মন্তব্য

p
উপরে