× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Why tea garden owners object to 300 rupees wages
google_news print-icon

৩০০ টাকা মজুরিতে কেন আপত্তি চা বাগান মালিকদের

৩০০-টাকা-মজুরিতে-কেন-আপত্তি-চা-বাগান-মালিকদের
আপাতত আগের ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে যোগ দিতে হচ্ছে চা শ্রমিকদের। ছবি: নিউজবাংলা
বাগান মালিকপক্ষ বলছে, বর্তমান মজুরিতেই লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। মজুরি আরও বাড়লে লোকসান বাড়বে। ফলে এই শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন উদ্যোক্তারা। তাদের দাবি, শ্রমিকরা ১২০ টাকা নয়, বাগান থেকে দেয়া বিভিন্ন সুবিধা মিলিয়ে দৈনিক ন্যূনতম ৪০২ টাকা আয় করে থাকেন।

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন চা শ্রমিকরা। শ্রমিক নেতারা সোমবার থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও বাড়েনি তাদের মজুরি। আপাতত পূর্বের ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে যোগ দিতে হচ্ছে তাদের।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে। এর আগে গত শনিবার দৈনিক ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা মানেননি চা শ্রমিকরা।

দেশের বিভিন্ন শিল্প খাতের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে সরকার গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ড। তাদের তথ্য মতে, দেশের ৩১টি সেক্টরের মধ্যে সবচেয়ে কম মজুরি পান চা শ্রমিকরা। এমনকি প্রস্তাবিত দৈনিক ১৪৫ টাকা বাস্তবায়ন হলেও মজুরির হিসেবে চা শ্রমিকরাই থাকবেন তলানিতে।

বর্তমান বাজার বিবেচনায় চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকার কম মজুরিতে জীবিকা চালানো অসম্ভব বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এদিকে বাগান মালিকপক্ষ বলছে, বর্তমান মজুরিতেই লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। মজুরি আরও বাড়লে লোকসান আরও বাড়বে। ফলে এই শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন উদ্যোক্তারা। তাদের দাবি, শ্রমিকরা ১২০ টাকা নয়, বাগান থেকে দেয়া বিভিন্ন সুবিধা মিলিয়ে দৈনিক ন্যূনতম ৪০২ টাকা আয় করে থাকেন।

৩০০ টাকা মজুরিতে কেন আপত্তি চা বাগান মালিকদের

বর্তমান বাজার বিবেচনায় চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকার কম মজুরিতে জীবিকা চালানো অসম্ভব বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

মালিকদের এমন দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন চা শ্রমিকরা।

প্রতি দুই বছর পর পর বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ ও শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে চা শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণ করা হয়। সবশেষ ২০১৯ সালে চা শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও মজুরি না বাড়ায় চলতি মাস থেকে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন দেশের ১৬৬ বাগানের দেড় লাখ শ্রমিক।

শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবি অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করে চা-শিল্পের উদ্যোক্তা ও সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আফজাল রশীদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এত টাকা মজুরি দিতে গেলে একটা বাগানও টিকবে না।’

তিনি বলেন, ‘নিলামে প্রতি কেজি চা আমরা বিক্রি করি ১৮০ টাকা করে। অথচ এখন প্রতি কেজি চায়ের উৎপাদন খরচ প্রায় ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। ফলে গত তিন বছর ধরে দেশের প্রায় সব বাগানই লোকসানে আছে। করোনাকালীন লোকসান এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাগানগুলো। এখন প্রধানমন্ত্রী যেটি প্রস্তাব করেছেন, মজুরি আরও ২৫ টাকা বাড়ানোর, সেটি করতে গেলে উৎপাদন খরচ কেজিতে ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু বিক্রির সময় আমরা এই দাম পাব না। এই অবস্থায় মজুরি ৩০০ টাকা করা তো একেবারে অসম্ভব। এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এমন দাবিও অযৌক্তিক।’

৩০০ টাকা মজুরিতে কেন আপত্তি চা বাগান মালিকদের
উদ্যোক্তাদের দাবি, শ্রমিকরা ১২০ টাকা নয়, বাগান থেকে দেয়া বিভিন্ন সুবিধা মিলিয়ে দৈনিক ন্যূনতম ৪০২ টাকা আয় করে থাকেন।

চায়ের দাম বাড়িয়ে কেন শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না– এমন প্রশ্নের জবাবে আফজাল রশীদ বলেন, ‘চা যারা প্যাকেটজাত করে, তারা আমাদের কাছ থেকে কিনে এটি গ্রাহক পর্যায়ে নিয়ে যায়। এরা একটা সিন্ডিকেট করে ফেলেছে। তারা কম দামে চা কিনে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে। আমাদের কেজিপ্রতি ২০০ টাকা দিতে চায় না অথচ তারা বাজারে ৪০০ টাকার ওপরে কেজি বিক্রি করে।’

তিনি বলেন, ‘প্যাকেটজাতকরণ কোম্পানিগুলো এখন অনেক বাগান কিনে নিচ্ছে। তারা চায় বাগান মালিকদের লোকসানে ফেলে নিজেরা বাগান কিনে ফেলতে। ফলে এখন দেখা যাচ্ছে, এই শিল্পের বনেদি উদ্যোক্তা, তারা আর এই খাতে টিকে থাকতে পারছেন না। তারা বাগান বিক্রি করে দিচ্ছেন আর বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো এই খাতে বিনিয়োগ করছে।’

তবে বাগান মালিকদের লোকসান গোনার এমন দাবির সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়েছেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন। চা শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করার নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা একবার সিলেটের কালনাগুল চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। তখন বাগান কর্তৃপক্ষ লোকসানের দোহাই দিয়ে মজুরি বৃদ্ধিতে আপত্তি জানায়। অথচ তারাই তখন সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল, এক মাস আন্দোলনের কারণে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এক মাস কাজ বন্ধ থাকলে যে বাগানে কোটি টাকার ক্ষতি হয়, সেটি লোকসানে থাকে কী করে?’

শাহিন বলেন, ‘এবারও বাগান মালিকরা জানিয়েছেন, আন্দোলনের ফলে তাদের প্রতিদিন ২০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে এখন চায়ের কেজি প্রায় ৫০০ টাকা। ফলে তাদের লোকসানের দাবি এক ধরনের ভাঁওতাবাজি।’

চা শ্রমিক সংসদের হিসাবে, ২০২১ সালে দেশে রেকর্ড ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২০১৯ সালে। সে বছর ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল।

বাগান মালিকদের এই সংগঠনের দাবি, নগদ অর্থ ছাড়াও একজন শ্রমিককে বাগান থেকে বিভিন্ন সেবা ও সুবিধা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রতিদিন একজন শ্রমিকের পেছনে ব্যয় হয় ন্যূনতম ৪০২ টাকা।

চা শ্রমিক সংসদ সিলেট ভ্যালির সভাপতি জি এম শিবলী বলেন, ‘একজন শ্রমিক নগদ মজুরি, বার্ষিক ছুটি ভাতা, উৎসব ভাতা, অসুস্থতাজনিত ভাতা মিলিয়ে দৈনিক গড়ে ২২৬ টাকা আয় করেন। এ ছাড়া ভর্তুকি মূল্যে র‌্যাশন, অবসরকালীন ভাতা, পোষ্যদের শিক্ষা ব্যয়, চাষের জন্য জমি, চিকিৎসা, আবাসনসহ বিভিন্ন সুবিধা মিলিয়ে দৈনিক আরও ১৭৬ টাকা আয় করেন। সব মিলিয়ে তার দৈনিক আয় ৪০২ টাকা। দেশের অন্যান্য খাতের শ্রমিকরাও এ রকম মজুরি পেয়ে থাকেন। ফলে চা শ্রমিকরা কম মজুরি পাচ্ছে- এমন দাবি সত্য নয়।’

শিবলী বলেন, ‘চায়ের গুণগত মান কমে যাওয়া, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, রপ্তানি হ্রাস, ভারত থেকে অবৈধভাবে চা আমদানিসহ নানা কারণেই দেশের চা-শিল্প ঝুঁকিতে আছে। লোকসান গুনতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। এই অবস্থায় শ্রমিকদের বর্তমান দাবি পূরণ করতে গেলে আরও সংকটে পড়বে এই শিল্প।’

তবে মালিকপক্ষের দাবি অনুযায়ী শ্রমিকরা সুবিধা পায় না জানিয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘অনেক বাগানে র‌্যাশনের নামে শ্রমিকদের শুধু আটা দেয়া হয়। অথচ আমাদের চুক্তিতে আছে, ছয় মাস চাল এবং ছয় মাস আটা দেয়া হবে। কিন্তু সেটাও তারা মানছেন না। এ ছাড়া চিকিৎসা ও শিক্ষার সুবিধা একেবারেই নামমাত্র। এসব সেবা বাইরে থেকেই আমাদের নিতে হয়।’

র‌্যাশনের সঙ্গে মজুরির কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ‘শ্রম আইনের ২(৪৫) ধারায় বলা আছে- বাসস্থান, আলো, পানি, চিকিৎসা সুবিধা, অবসর ভাতা বা ভবিষ্যৎ তহবিলে মালিক কর্তৃক দেয়া টাকা মজুরির অন্তর্ভুক্ত হবে না।

তবে দৈনিক ৩০০ টাকা দিয়েও বর্তমান বাজারে চলা সম্ভব নয় জানিয়ে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘আমার দাবি তো ছিল দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরি। তার পরও শ্রমিক ইউনিয়ন ৩০০ টাকা দাবি করেছে। ৩০০ টাকায় মোটামুটি গা বাঁচানো যায়। কিন্তু মালিকপক্ষ যে প্রস্তাব দিয়েছে, ১৪৫ টাকা দেয়ার, তা বর্তমান বাজারমূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তিসংগত নয়।’

তিনি বলেন, ‘বাগান মালিকরা দাবি করছেন, তারা শ্রমিকদের র‌্যাশন, মেডিক্যাল, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সুবিধা দেন। কিন্তু বাস্তবে বেশির ভাগ বাগানেই এসব দেয়া হয় না। বেশির ভাগ বাগানে কোনো ডাক্তার নেই, কম্পাউন্ডার দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। আর যাদের চাষের জন্য জমি দেয়া হয়, তাদের র‌্যাশন দেয়া হয় না। বাগানে নামমাত্র কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নেই। তাদের আবাসন ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সব মিলিয়ে চা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে, শোষণ করা হচ্ছে।’

মালিকদের বিলাসবহুল জীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘বাগান মালিকরা কী বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন ও শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করেন। এত পার্থক্য কেন? এটা মানা যায় না।’

আরও পড়ুন:
চা শ্রমিকদের মজুরি ৫০০ টাকা করতে আইনি নোটিশ
বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
ডিসি-ইউএনওতে কাজ হয়নি, প্রধানমন্ত্রীকেই চায় লস্কর ভ্যালি
বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ, চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ঘেরাও
পথে নামতে বাধ্য করবেন না, ভালো হবে না: নির্মলেন্দু গুণ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Government ready to hold National Assembly elections in February Home Affairs Adviser

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে পুনরায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।”

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বডিওর্ন ক্যামেরা কেনা হবে এবং এ বিষয়ে সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এসব ঘটনা তদন্তের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে।

প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো এবং বিমান ও বিমানবন্দরে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলেও তিনি জানান। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League will not be able to participate in the next elections EC Anwarul

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ফাইল ছবি

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’

তিনি আজ রোববার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার জেলা পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রতীক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতীক নির্ধারণ সংবিধান ও নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় করা হয়। শাপলা প্রতীক সেই তালিকায় নেই।

তাই তা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো কর্মকর্তা যাতে নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’ সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Formation of a committee to assess the damage caused by fire in Shahjalal

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন ছবি: বাসস

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে।

অন্য সদস্যরা হলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মুঃ রইচ উদ্দিন খান ও মোঃ তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া।

কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
"National Board of Revenue publishes Authentic English Text of Income Tax Act 2023 in the form of official gazette notification"

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড SRO No-404-Law/2025 এর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় প্রণীত আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করে ২০২৩ সালে বাংলা আয়কর আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করার পর হতেই বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আয়কর আইনের Authentic English Text প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিলেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text না থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের বিষয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকতেন এবং বিভিন্ন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text সরকারী গেজেটে প্রকাশ হবার ফলে দেশী-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ আয়কর আইন সম্পর্কে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাবেন বিধায় করদাতাগণের আস্থা অধিকতর বৃদ্ধি পাবে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থবোধকতা দূর করে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর Authentic English Text সরকারি গেজেটে প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অচিরেই এই দুটি আইনের Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীগনের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the introduction of cashless non stop electronic toll collection ETC at Padma Bridge toll payment has become fast and digital Bridge Secretary

পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু হওয়ায় টোল পরিশোধ দ্রুত ও ডিজিটাল হয়েছে : সেতু সচিব

পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু হওয়ায় টোল পরিশোধ দ্রুত ও ডিজিটাল হয়েছে : সেতু সচিব

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পদ্মা সেতুতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাশলেস, টোল কালেক্টর ব্যতীত ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের টোল পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় এসেছে।


বর্তমানে বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের অ্যাপ এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধ করা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা বিকাশ অ্যাপে গিয়ে “টোল” অপশনের অধীনে “মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করুন” এ প্রবেশ করে গাড়ির নম্বর ও চেসিস নম্বরের শেষ ৪ (চার) ডিজিট প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। সফল রেজিস্ট্রেশনের পর ফিরতি এসএমএসে একটি Ekpass ID প্রেরণ করা হবে।


এই Ekpass ID ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপের “Pay Bill” অপশনের “D-Toll Top-Up” সেবার মাধ্যমে রিচার্জ করতে হবে। এরপর পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার নিকটস্থ রেজিস্ট্রেশন বুথে বিআরটিএ অনুমোদিত RFID ট্যাগ প্রথমবারের মতো যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। একবার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, যানবাহন কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ETC লেন ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবে।

১৮ অক্টোবর সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতুর ইটিসি বুথ পরিদর্শন করেন এবং ইটিসি সেবা ব্যবহার করে পদ্মা সেতু পারাপার করেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ETC সিস্টেমের লাইভ পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এই সেবার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ETC সিস্টেমের মাধ্যমে মোট ১,৮১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট ৩৪,৯১,৭০০ টাকা টোল আদায় সম্পন্ন হয়েছে।


সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মহোদয়ের বিশেষ নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনায় পদ্মা সেতুতে এই ETC সিস্টেম বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি দেশের টোল ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা সময়, জ্বালানি ও মানবসম্পদের অপচয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।


ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ এই সেবার আওতায় যুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর a2i (এটুআই) কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং নতুন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে সংযুক্তির কাজ অব্যাহত রয়েছে।


এই টোল কালেক্টর ব্যতীত নন স্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু ব্যবহারকারীরা দ্রুত, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে টোল পরিশোধ করতে পারবেন—যা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The local government department gave historical recognition by distributing a check of Tk

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।" শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন ইতিহাস থেকে যেনো কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,"শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।" এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
July Charter Milestone in Bangladeshs Political Shift EU

‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক: ইইউ

‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক: ইইউ ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার । ফাইল ছবি

‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও সংস্কারের পথে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

তিনি আরও বলেন, এটি ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে মিলার লেখেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এই দলিল মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা ব্যাপক ঐকমত্যের প্রতিফলন।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ২০২৬ সালের নির্বাচনের পথে দেশটি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তারই প্রমাণ।

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৫টি রাজনৈতিক দল যোগ দেয়।

অনুষ্ঠানে মিলারের উপস্থিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত বহন করে।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে।

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের পক্ষে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

এ লক্ষ্যে ইইউ কারিগরি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে। এসব উদ্যোগ গণতান্ত্রিক চর্চা ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি ইইউর প্রতিশ্রুতির অংশ। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

p
উপরে