× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Why tea garden owners object to 300 rupees wages
google_news print-icon

৩০০ টাকা মজুরিতে কেন আপত্তি চা বাগান মালিকদের

৩০০-টাকা-মজুরিতে-কেন-আপত্তি-চা-বাগান-মালিকদের
আপাতত আগের ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে যোগ দিতে হচ্ছে চা শ্রমিকদের। ছবি: নিউজবাংলা
বাগান মালিকপক্ষ বলছে, বর্তমান মজুরিতেই লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। মজুরি আরও বাড়লে লোকসান বাড়বে। ফলে এই শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন উদ্যোক্তারা। তাদের দাবি, শ্রমিকরা ১২০ টাকা নয়, বাগান থেকে দেয়া বিভিন্ন সুবিধা মিলিয়ে দৈনিক ন্যূনতম ৪০২ টাকা আয় করে থাকেন।

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন চা শ্রমিকরা। শ্রমিক নেতারা সোমবার থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও বাড়েনি তাদের মজুরি। আপাতত পূর্বের ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে যোগ দিতে হচ্ছে তাদের।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে। এর আগে গত শনিবার দৈনিক ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা মানেননি চা শ্রমিকরা।

দেশের বিভিন্ন শিল্প খাতের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে সরকার গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ড। তাদের তথ্য মতে, দেশের ৩১টি সেক্টরের মধ্যে সবচেয়ে কম মজুরি পান চা শ্রমিকরা। এমনকি প্রস্তাবিত দৈনিক ১৪৫ টাকা বাস্তবায়ন হলেও মজুরির হিসেবে চা শ্রমিকরাই থাকবেন তলানিতে।

বর্তমান বাজার বিবেচনায় চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকার কম মজুরিতে জীবিকা চালানো অসম্ভব বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এদিকে বাগান মালিকপক্ষ বলছে, বর্তমান মজুরিতেই লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। মজুরি আরও বাড়লে লোকসান আরও বাড়বে। ফলে এই শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন উদ্যোক্তারা। তাদের দাবি, শ্রমিকরা ১২০ টাকা নয়, বাগান থেকে দেয়া বিভিন্ন সুবিধা মিলিয়ে দৈনিক ন্যূনতম ৪০২ টাকা আয় করে থাকেন।

৩০০ টাকা মজুরিতে কেন আপত্তি চা বাগান মালিকদের

বর্তমান বাজার বিবেচনায় চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকার কম মজুরিতে জীবিকা চালানো অসম্ভব বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

মালিকদের এমন দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন চা শ্রমিকরা।

প্রতি দুই বছর পর পর বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ ও শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে চা শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণ করা হয়। সবশেষ ২০১৯ সালে চা শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও মজুরি না বাড়ায় চলতি মাস থেকে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন দেশের ১৬৬ বাগানের দেড় লাখ শ্রমিক।

শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবি অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করে চা-শিল্পের উদ্যোক্তা ও সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আফজাল রশীদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এত টাকা মজুরি দিতে গেলে একটা বাগানও টিকবে না।’

তিনি বলেন, ‘নিলামে প্রতি কেজি চা আমরা বিক্রি করি ১৮০ টাকা করে। অথচ এখন প্রতি কেজি চায়ের উৎপাদন খরচ প্রায় ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। ফলে গত তিন বছর ধরে দেশের প্রায় সব বাগানই লোকসানে আছে। করোনাকালীন লোকসান এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাগানগুলো। এখন প্রধানমন্ত্রী যেটি প্রস্তাব করেছেন, মজুরি আরও ২৫ টাকা বাড়ানোর, সেটি করতে গেলে উৎপাদন খরচ কেজিতে ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু বিক্রির সময় আমরা এই দাম পাব না। এই অবস্থায় মজুরি ৩০০ টাকা করা তো একেবারে অসম্ভব। এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এমন দাবিও অযৌক্তিক।’

৩০০ টাকা মজুরিতে কেন আপত্তি চা বাগান মালিকদের
উদ্যোক্তাদের দাবি, শ্রমিকরা ১২০ টাকা নয়, বাগান থেকে দেয়া বিভিন্ন সুবিধা মিলিয়ে দৈনিক ন্যূনতম ৪০২ টাকা আয় করে থাকেন।

চায়ের দাম বাড়িয়ে কেন শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না– এমন প্রশ্নের জবাবে আফজাল রশীদ বলেন, ‘চা যারা প্যাকেটজাত করে, তারা আমাদের কাছ থেকে কিনে এটি গ্রাহক পর্যায়ে নিয়ে যায়। এরা একটা সিন্ডিকেট করে ফেলেছে। তারা কম দামে চা কিনে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে। আমাদের কেজিপ্রতি ২০০ টাকা দিতে চায় না অথচ তারা বাজারে ৪০০ টাকার ওপরে কেজি বিক্রি করে।’

তিনি বলেন, ‘প্যাকেটজাতকরণ কোম্পানিগুলো এখন অনেক বাগান কিনে নিচ্ছে। তারা চায় বাগান মালিকদের লোকসানে ফেলে নিজেরা বাগান কিনে ফেলতে। ফলে এখন দেখা যাচ্ছে, এই শিল্পের বনেদি উদ্যোক্তা, তারা আর এই খাতে টিকে থাকতে পারছেন না। তারা বাগান বিক্রি করে দিচ্ছেন আর বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো এই খাতে বিনিয়োগ করছে।’

তবে বাগান মালিকদের লোকসান গোনার এমন দাবির সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়েছেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন। চা শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করার নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা একবার সিলেটের কালনাগুল চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। তখন বাগান কর্তৃপক্ষ লোকসানের দোহাই দিয়ে মজুরি বৃদ্ধিতে আপত্তি জানায়। অথচ তারাই তখন সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল, এক মাস আন্দোলনের কারণে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এক মাস কাজ বন্ধ থাকলে যে বাগানে কোটি টাকার ক্ষতি হয়, সেটি লোকসানে থাকে কী করে?’

শাহিন বলেন, ‘এবারও বাগান মালিকরা জানিয়েছেন, আন্দোলনের ফলে তাদের প্রতিদিন ২০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে এখন চায়ের কেজি প্রায় ৫০০ টাকা। ফলে তাদের লোকসানের দাবি এক ধরনের ভাঁওতাবাজি।’

চা শ্রমিক সংসদের হিসাবে, ২০২১ সালে দেশে রেকর্ড ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২০১৯ সালে। সে বছর ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল।

বাগান মালিকদের এই সংগঠনের দাবি, নগদ অর্থ ছাড়াও একজন শ্রমিককে বাগান থেকে বিভিন্ন সেবা ও সুবিধা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রতিদিন একজন শ্রমিকের পেছনে ব্যয় হয় ন্যূনতম ৪০২ টাকা।

চা শ্রমিক সংসদ সিলেট ভ্যালির সভাপতি জি এম শিবলী বলেন, ‘একজন শ্রমিক নগদ মজুরি, বার্ষিক ছুটি ভাতা, উৎসব ভাতা, অসুস্থতাজনিত ভাতা মিলিয়ে দৈনিক গড়ে ২২৬ টাকা আয় করেন। এ ছাড়া ভর্তুকি মূল্যে র‌্যাশন, অবসরকালীন ভাতা, পোষ্যদের শিক্ষা ব্যয়, চাষের জন্য জমি, চিকিৎসা, আবাসনসহ বিভিন্ন সুবিধা মিলিয়ে দৈনিক আরও ১৭৬ টাকা আয় করেন। সব মিলিয়ে তার দৈনিক আয় ৪০২ টাকা। দেশের অন্যান্য খাতের শ্রমিকরাও এ রকম মজুরি পেয়ে থাকেন। ফলে চা শ্রমিকরা কম মজুরি পাচ্ছে- এমন দাবি সত্য নয়।’

শিবলী বলেন, ‘চায়ের গুণগত মান কমে যাওয়া, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, রপ্তানি হ্রাস, ভারত থেকে অবৈধভাবে চা আমদানিসহ নানা কারণেই দেশের চা-শিল্প ঝুঁকিতে আছে। লোকসান গুনতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। এই অবস্থায় শ্রমিকদের বর্তমান দাবি পূরণ করতে গেলে আরও সংকটে পড়বে এই শিল্প।’

তবে মালিকপক্ষের দাবি অনুযায়ী শ্রমিকরা সুবিধা পায় না জানিয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘অনেক বাগানে র‌্যাশনের নামে শ্রমিকদের শুধু আটা দেয়া হয়। অথচ আমাদের চুক্তিতে আছে, ছয় মাস চাল এবং ছয় মাস আটা দেয়া হবে। কিন্তু সেটাও তারা মানছেন না। এ ছাড়া চিকিৎসা ও শিক্ষার সুবিধা একেবারেই নামমাত্র। এসব সেবা বাইরে থেকেই আমাদের নিতে হয়।’

র‌্যাশনের সঙ্গে মজুরির কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ‘শ্রম আইনের ২(৪৫) ধারায় বলা আছে- বাসস্থান, আলো, পানি, চিকিৎসা সুবিধা, অবসর ভাতা বা ভবিষ্যৎ তহবিলে মালিক কর্তৃক দেয়া টাকা মজুরির অন্তর্ভুক্ত হবে না।

তবে দৈনিক ৩০০ টাকা দিয়েও বর্তমান বাজারে চলা সম্ভব নয় জানিয়ে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘আমার দাবি তো ছিল দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরি। তার পরও শ্রমিক ইউনিয়ন ৩০০ টাকা দাবি করেছে। ৩০০ টাকায় মোটামুটি গা বাঁচানো যায়। কিন্তু মালিকপক্ষ যে প্রস্তাব দিয়েছে, ১৪৫ টাকা দেয়ার, তা বর্তমান বাজারমূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তিসংগত নয়।’

তিনি বলেন, ‘বাগান মালিকরা দাবি করছেন, তারা শ্রমিকদের র‌্যাশন, মেডিক্যাল, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সুবিধা দেন। কিন্তু বাস্তবে বেশির ভাগ বাগানেই এসব দেয়া হয় না। বেশির ভাগ বাগানে কোনো ডাক্তার নেই, কম্পাউন্ডার দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। আর যাদের চাষের জন্য জমি দেয়া হয়, তাদের র‌্যাশন দেয়া হয় না। বাগানে নামমাত্র কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নেই। তাদের আবাসন ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সব মিলিয়ে চা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে, শোষণ করা হচ্ছে।’

মালিকদের বিলাসবহুল জীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘বাগান মালিকরা কী বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন ও শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করেন। এত পার্থক্য কেন? এটা মানা যায় না।’

আরও পড়ুন:
চা শ্রমিকদের মজুরি ৫০০ টাকা করতে আইনি নোটিশ
বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
ডিসি-ইউএনওতে কাজ হয়নি, প্রধানমন্ত্রীকেই চায় লস্কর ভ্যালি
বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ, চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ঘেরাও
পথে নামতে বাধ্য করবেন না, ভালো হবে না: নির্মলেন্দু গুণ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
International conference on Rohingya crisis will be held Press Secretary

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হবে: প্রেস সচিব

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হবে: প্রেস সচিব
শফিকুল আলম বলেন, চলতি বছরের ৫ আগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্পর্কিত ঘটনায় মোট ৮৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

বাংলাদেশের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত রাখাইনের সঙ্গে শেয়ার করছে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোনো ধরনের কৌশলগত পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা বা প্রস্তুতি রয়েছে কিনা?- এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘পুরো পরিস্থিতি আমরা খুবই গভীরভাবে মনিটর করছি। সার্বিক রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধান উপদেষ্টা উচ্চপদস্থ একজন প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি গভীরভাবে এটা মনিটর করবেন। যারা যারা অংশীজন আছেন তাদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘আগামী বছর আমাদের একটা বড় কাজ হবে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা। এর ভেন্যু ও অন্যান্য বিষয় মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ঠিক করে ফেলব। আশা করছি, এই সম্মেলনটা হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে।’

বিশ্বের সব দেশ এতে অংশ নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীনসহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে যারা খুবই আগ্রহী তারা সবাই থাকবে।’

জাতিসংঘের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে অনেকবার কথা হয়েছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময় এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, চলতি বছরের ৫ আগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্পর্কিত ঘটনায় মোট ৮৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওইসব জায়গায় নতুন কিছু ঘটনা ঘটলে গ্রেপ্তার ও মামলার সংখ্যা বাড়বে। এসব মামলার বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

আরও পড়ুন:
প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে
‘আগরতলায় মিশনে হামলা ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচারের ফল’
জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
গণমাধ্যমে ১৬ বছরে কার কী ভূমিকা ছিল তা ধরে পদক্ষেপ নেয়া হবে: প্রেস সচিব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fazlul Quader is the new MD of PKSF

পিকেএসএফ-এর নতুন এমডি ফজলুল কাদের

পিকেএসএফ-এর নতুন এমডি ফজলুল কাদের মো. ফজলুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
মো. ফজলুল কাদের ১৯৯০ সালের ১ অক্টোবর ম্যানেজমেন্ট এক্সিকিউটিভ হিসেবে পিকেএসএফ-এ কর্মজীবন শুরু করেন। ২০২১ সালের ৮ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। ২২ আগস্ট থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. ফজলুল কাদের।

পিকেএসএফ-এর ১২তম ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মঙ্গলবার তাকে আগামী তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেয় পিকেএসএফ পরিচালনা পর্ষদ।

মো. ফজলুল কাদের ১৯৯০ সালের ১ অক্টোবর ম্যানেজমেন্ট এক্সিকিউটিভ হিসেবে পিকেএসএফ-এ তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ২০২১ সালের ৮ আগস্ট পিকেএসএফ-এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। গত ২২ আগস্ট থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় পরামর্শক হিসেবে তিনি জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, সৌদি আরব, বাহরাইন, জর্ডান ও মরক্কোয় কাজ করেছেন।

মো. ফজলুল কাদের ১৯৭৯ সালে তৎকালীন মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসএসি ও ১৯৮১ সালে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসএসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং ১৯৮৮ সালে আইবিএ-তে এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

ফজলুল কাদের যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, টেমেনস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh is elected Vice President of UNHRC

বাংলাদেশ ইউএনএইচআরসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত

বাংলাদেশ ইউএনএইচআরসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেনেভায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মানবাধিকার কাউন্সিলের ব্যুরোতে কাজ করবেন।

বাংলাদেশ সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছে। জাতিসংঘের এই সংস্থা বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার জোরদার ও সুরক্ষার লক্ষ্যে কাজ করে।

মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়েছে, সোমবার বিকেলে মানবাধিকার কাউন্সিলের সাংগঠনিক অধিবেশনে ২০২৫ সালের কর্মকাণ্ড নির্ধারণী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেনেভায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মানবাধিকার কাউন্সিলের ব্যুরোতে কাজ করবেন।

মানবাধিকার কাউন্সিলের কার্যালয়ে একজন প্রেসিডেন্ট এবং চারজন ভাইস প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করেন।

ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া ২০২৪ সালের অক্টোবরে শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের (এপিজি) প্রতিনিধিত্বকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংস্থায় কাজ করার সময় এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।

এপিজি সর্বসম্মতিক্রমে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বাংলাদেশের প্রার্থিতা সমর্থন করে এবং কাউন্সিলের বৃহত্তর সদস্যপদ বিবেচনার জন্য মনোনয়ন দেয়।

অবশেষে প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সমাপ্ত হয়, যখন বাংলাদেশ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য কাউন্সিল সদস্যদের সর্বসম্মত সমর্থন অর্জন করে।

২০০৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের এই মর্যাদাপূর্ণ মানবাধিকার সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা ও বিশ্বাস এবং বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও ক্রমবর্ধমান প্রভাবের স্বীকৃতির আরেকটি উদাহরণ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Yunus is in the top ten of Nature magazine

নেচার ম্যাগাজিনের শীর্ষ দশে ড. ইউনূস

নেচার ম্যাগাজিনের শীর্ষ দশে ড. ইউনূস
বিজ্ঞান বিষয়ক ব্রিটিশ সাময়িকী নেচার সোমবার ‘দ্য রেভ্যুলিউশনারি ইকোনমিস্ট হু বিকাম দ্য আনলাইকলি লিডারস অফ বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদান রাখা তালিকাভুক্ত ১০ ব্যক্তির তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

জ্ঞানের নানা শাখায় অবদান বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ব্যক্তির তালিকা করেছে প্রভাবশালী বিজ্ঞান বিষয়ক ব্রিটিশ সাময়িকী ‘নেচার’। ২০২৪ সালের এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সাময়িকীটি সোমবার ‘দ্য রেভ্যুলিউশনারি ইকোনমিস্ট হু বিকাম দ্য আনলাইকলি লিডারস অফ বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদান রাখা তালিকাভুক্ত ১০ ব্যক্তির তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ বিক্ষোভের পর ৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ছাত্রনেতারা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশের নেতৃত্ব গ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। নেতৃত্বের কাজটি ড. ইউনূসের জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ছয় দশকের কর্মজীবনে দারিদ্র্য বিমোচনে লড়াই করার জন্য ধারণার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার কাজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমস্যা নির্ধারণ করে তা সমাধানের জন্য গবেষণা করা।

ড. ইউনূসের সঙ্গে ৩০ বছর ধরে কাজ করা অ্যালেক্স কাউন্টস বলেছেন, ‘তার বয়স আশির কোটায়। তবে তার শারীরিক ও মানসিক শক্তি এখনও অটুট। তিনি একজন সহানুভূতিশীল মানুষ এবং তার যোগাযোগ পদ্ধতিও দুর্দান্ত।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ড. ইউনূস। এরপর পড়াশুনার জন্য ১৯৬০-এর দশকে পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি পরিবেশগত অর্থনীতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস জর্জেসকু-রোগেনের অধীনে পড়াশোনা করেন। তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল অর্থনীতি ও পরিবেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝা।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে ফিরে আসেন ইউনূস। দেশ গঠনে নিজের ভূমিকার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। ক্ষুদ্রঋণ বা মাইক্রোক্রেডিটের জন্য পরিচিত পেয়েছেন ড. ইউনূস। ওই ক্ষুদ্রঋণের পরিমাণ ১০০ ডলার বা তার চেয়ে কম। তিনি দেখিয়েছেন ক্ষুদ্রঋণ সমাজের প্রান্তিক মানুষের ভাগ্য বদলে কেমন ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক থাকাকালীন ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ শুরু করেন ড. ইউনূস। তিনি একটি মডেল তৈরি করেন যেখানে ব্যবসার মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে খুব অল্প পরিমাণ ঋণ দেয়া হয়।

এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন গ্রামীণ ব্যাংক। এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে এই ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার প্রসার ঘটে। বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছে তার এই উদ্ভাবন। তবে এর অনেক সমালোচকও রয়েছে।

তবে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশের সংস্কারে নেতৃত্ব দেয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ড. ইউনূস কি ছাত্রদের সংস্কারের দাবি পূরণে সক্ষম হবেন? বিশেষ করে দুর্নীতির অবসান, নাগরিকদের অধিকার, কর্মসংস্থান ও শিক্ষার সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কি সফল হবেন?

কার্যত সবাই এখন এ প্রশ্নটি করছে। এসবের পাশাপাশি ড. ইউনূস গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারবেন কি না সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের তুলনামূলক বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে: জরিপ
ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত প্রধান উপদেষ্টার
গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: শফিকুল
নির্বাচনের তারিখ প্রধান উপদেষ্টাই ঘোষণা দেবেন: প্রেস উইং
মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Against illegal aliens The ministry issued a warning

অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা জারি

অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে 
মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা জারি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বা কর্মরত আছেন, তাদের অবিলম্বে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জনের অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্কতা জারি করেছে।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, অনেক ভিনদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন এবং অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।’

যেসব বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বা কর্মরত আছেন, তাদের অবিলম্বে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জনের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর/প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
অবৈধ বিদেশিদের যোগাযোগের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
বাংলাদেশিদের পাঁচ দেশে যেতে সতর্কতা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Planning Commission Member Soleman Khan on Compulsory Retirement

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সোলেমান খান বাধ্যতামূলক অবসরে

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সোলেমান খান বাধ্যতামূলক অবসরে
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে শিক্ষা সচিব ছিলেন সোলেমান খান। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন সদস্যের পদটি সচিব পদমর্যাদার।

সাবেক শিক্ষা সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সোলেমান খানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে শিক্ষা সচিব ছিলেন সোলেমান খান। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন সদস্যের পদটি সচিব পদমর্যাদার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সোলেমান খানের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেয়া প্রয়োজন বলে বিবেচনা করে। তাই সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারায় দেয়া ক্ষমতাবলে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেয়া হল। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধা পাবেন।

সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী সরকার যে কাউকে কারণ দর্শানো ছাড়াই চাকরি থেকে অবসরে পাঠাতে পারে। তবে তার আগে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হয়।

অন্তর্বর্তী সরকার এর আগে আরও কয়েকজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে।

আরও পড়ুন:
সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসর
অতিরিক্ত আইজিপিসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
কেএমপি কমিশনার ও অতিরিক্ত কমিশনার বাধ্যতামূলক অবসরে
বাধ্যতামূলক অবসরে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাংগীর
বিচারক ইমান আলী অবসরে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh US military dialogue started on Wednesday

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সংলাপ শুরু বুধবার

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সংলাপ শুরু বুধবার
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে শুরু হতে যাওয়া দু’দিনব্যাপী এই সামরিক সংলাপে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, যৌথ অনুশীলন ও মহড়া, কর্মশালা ইত্যাদি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয় আলোচিত হবে।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ১১তম দ্বিপাক্ষিক সামরিক সংলাপ শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার। দু’দিনব্যাপী এর সামরিক সংলাপ যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আইএসপিআর জানায়, এই সামরিক সংলাপে বাংলাদেশ থেকে একটি সামরিক প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশনস ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলীমুল আমীন।

সামরিক সংলাপ দুই দেশের পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এই সংলাপে উভয় দেশের সামরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

উল্লিখিত সংলাপে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, যৌথ অনুশীলন ও মহড়া, কর্মশালা ইত্যাদি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয় আলোচিত হবে।

প্রতিনিধি দলে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিস্তৃত আলোচনা অর্থবহ সম্পর্কের ভিত্তি

মন্তব্য

p
উপরে