× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
This time there was a safety net in the BRT project
google_news print-icon

এবার বিআরটি প্রকল্পে যেনতেন নিরাপত্তা-বেষ্টনী

এবার-বিআরটি-প্রকল্পে-যেনতেন-নিরাপত্তা-বেষ্টনী
টিন ও পেরেক দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করছেন কর্মীরা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
নিরাপত্তা-বেষ্টনী ছাড়া কাজ করতে গিয়ে পাঁচজন মানুষকে মেরে ফেলার পর বিআরটি প্রকল্পে নিরাপত্তার নামে যে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পথচারীরা বলছেন, যেনতেন একটা বেষ্টনী দেয়া হচ্ছে। বুয়েটের একজন দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞও সব শুনে বলেছেন, যেভাবে বেষ্টনী বসানো হচ্ছে তা আন্তর্জাতিক মানের নয়।

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের বক্স গার্ডার দুর্ঘটনায় রাজধানীর উত্তরায় পাঁচজনের মৃত্যুর চার দিন পর নিরাপত্তা-বেষ্টনী বসিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। তবে যে বেষ্টনী বসানো হচ্ছে সেটি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা।

কেবল পথচারীরা নন, বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হাদিউজ্জামানও সব শুনে বলেছেন, এভাবে নিরাপত্তা-বেষ্টনী দেয়া হলে সেটি আন্তর্জাতিক মানের হবে না।

বাদল হোসেন নামে এক পথচারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিরাপত্তা-বেষ্টনী তৈরি হচ্ছে ঠিকই, তবে এটি যেখানে কাজ চলছে তার খুব কাছাকাছি। এতে নিরাপত্তা কতটুকু নিশ্চিত হবে তা স্পষ্ট নয়। বেষ্টনী আরেকটু দূরে দেয়া যেত। তবে সে ক্ষেত্রে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাবে। চলাচলে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। সে ক্ষেত্রে এখানে ট্রাফিক পুলিশ থাকতে হবে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। অথচ এখানে কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই।’

সমস্যা হলেও নিরাপত্তায় আরও জোর দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছুটা ভোগান্তি সহ্য করা যায়। কিন্তু দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষা জরুরি।’

আরেক পথচারী মালেক মিয়া বলেন, ‘এই বেষ্টনী যেভাবে করা হচ্ছে তাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে কি না তা প্রশ্নসাপেক্ষ। কারণ, এটা মজবুত নয়। ক্রেন থেকে আবার কিছু পড়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে না। তাই আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না।’

গত ১৫ আগস্ট নিরাপত্তা-বেষ্টনী তৈরি না করে ক্রেন দিয়ে বক্স গার্ডার তুলে একটি গাড়িতে রাখার সময় সেটি পড়ে যায় একটি চলন্ত গাড়ির ওপর। এতে ওই গাড়ির পাঁচ আরোহী নিহত হন। গুরুতর আহত হন দুজন।

এই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পর গোটা প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এরপর করপোরেশনের সঙ্গে বিআরটি প্রকল্পের আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেই কাজ চলবে।

সোমবার কাজ শুরুর পর দুর্ঘটনাস্থল জসিম উদ্দীন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, জনা চারেক কর্মী কাজ করছেন। তারা চার মিলিমিটার পেরেক, টিন আর অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি করছিলেন নিরাপত্তা-বেষ্টনী।

এবার বিআরটি প্রকল্পে যেনতেন নিরাপত্তা-বেষ্টনী

নিরাপত্তা কর্মী বিদ্যুৎ কুমার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। নিরাপত্তা-বেষ্টনীর কাজ শেষ করার পরই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।’

সেখানকার কর্মীদের বক্তব্য এবং নিরাপত্তা-বেষ্টনী নিয়ে পথচারীদের সংশয়ের বিষয়ে কথা বলতে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর পাওয়া গেল একজন প্রকৌশলীকে। কর্মচারীদের মাধ্যমে জানা গেল তার নাম জহির। তবে প্রশ্ন শুনে সেই কর্মকর্তা নিজের পরিচয় লুকিয়ে বলেন, ‘আমি এখানকার কেউ না। আমি দেখতে এসেছি।’

এরপর হনহন করে হেঁটে চলে যান তিনি।

আরেক প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেনের কাছ থেকেও প্রশ্নের কাঙ্ক্ষিত জবাব পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা-বেষ্টনীর কাজ শুরু করেছি। দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে আশা করছি। বেষ্টনীর কাজ শেষ না হলে আমরা ফ্লাইওভারের কাজ শুরু করব না।’

নিরাপত্তা-বেষ্টনী সম্পর্কে এসব তথ্য জানানোর পর বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হাদিউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মনে হয় না টিন দিয়ে ঘেরাও দেয়া কোনো বেষ্টনী নিরাপত্তার স্ট্যান্ডার্ডের মধ্যে পড়ে। সেটাকে অবশ্যই মজবুত হতে হয়, যেন যানবাহনের ক্ষতি এবং জনসাধারণের জীবন হুমকির মধ্যে না পড়ে।'

তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। মেট্রোরেলের ব্যারিকেড ব্যবস্থাপনা ও থার্ড টার্মিনালের ব্যবস্থাপনা এক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারে। তারা একটা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রেও তাদেরকে (বিআরটি) অবশ্যই ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলতে হবে। এর বিকল্প নেই।’

এবার বিআরটি প্রকল্পে যেনতেন নিরাপত্তা-বেষ্টনী

পর্যাপ্ত লোকবল ছাড়া চলছে প্রকল্পের কাজ

সেখানে কাজ করা একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে জানান, যতসংখ্যক লোক দিয়ে কাজ করানো উচিত, তাদেরকে কর্মী দেয়া হয়েছে তার চেয়ে অনেক কম। এ কারণেই তিন বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১০ বছরেও শেষ হয়নি প্রকল্প।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন ‘যেখানে এই কাজের জন্য ২ হাজারের বেশি শ্রমিক প্রয়োজন, সেখানে কাজ করছে ৩০০ জন। এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার ফ্লাইওভারের প্রজেক্টে প্রতি কিলোমিটারে ১৯টি সেন্টারে ভাগ করে কাজ চলছে।এখানে প্রতিটি সেন্টারে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১০০ জন দরকার। অথচ কাজ করছে ১০ জন। প্রয়োজনীয়সংখ্যক লোক থাকলে কাজ শেষ করতে এত সময় লাগত না। জনগণের ভোগান্তিও বাড়ত না।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীনা যে কোম্পানির (সিজিজিসি) আওতায় কাজ চলছে, তাদের ঢাকায় কর্মরত কর্মকর্তা ১৫ আগস্ট ওই দুর্ঘটনার সময় এখানে উপস্থিত ছিলেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে দুর্ঘটনার আগে তিনি সরাসরি স্পটে এসে আমাদেরকে নির্দেশনা দিতেন।’

এভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুরুতে নিরাপত্তা-বেষ্টনী ছিল। পরে সেটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আর করা হয়নি। প্রায় এক বছর ধরে এভাবে বেষ্টনী ছাড়াই কাজ চলেছে।’

গাজীপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বিরতিহীন বাস সার্ভিস চালু করতে এই বিআরটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।

২০১২ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। শেষ করার কথা ছিল ২০১৭ সালে। তবে নানা জটিলতায় বার বার পিছিয়েছে কাজ। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে ৬৮ শতাংশ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

বিআরটি প্রকল্পটি চীনের জিয়াংশু প্রভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড ও গেজুবা গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড বাস্তবায়ন করছে।

আরও পড়ুন:
গার্ডার দুর্ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Number 3 signals in four ports

চার বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

চার বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত নির্দেশক পতাকা। ফাইল ছবি
সতর্কবার্তায় চার বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলেদের উদ্দেশে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’

দেশের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে জানিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে চারটি সমুদ্র বন্দরকে।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র শুক্রবার আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানায়।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বার্তায় আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে বলা হয়, ‘সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।

‘এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’

সতর্কবার্তায় চার বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলেদের উদ্দেশে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সারা দেশে বৃষ্টি ঝরবে আরও ৭ দিন
চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে আট বিভাগে
ভারি বৃষ্টি হতে পারে দুই বিভাগের কোথাও কোথাও
দেশের কোথাও কোথাও অতি ভারি বৃষ্টির আভাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Waiting for Malaysian Prime Minister Anwar Ibrahim to come to Dhaka

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ঢাকায় আসার অপেক্ষা

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ঢাকায় আসার অপেক্ষা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। ফাইল ছবি
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরে আসছেন শুক্রবার।

বিমানবন্দরে গার্ড অফ অনার দেয়া হবে তাকে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বেলা আড়াইটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।

প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৫৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল থাকবে।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন।

পরবর্তী সময়ে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে আলোচনা করবেন, যেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠক বাংলাদেশ চলমান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মালয়েশিয়ার সহায়তা কামনা করবে। পাশাপাশি আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে একটি ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সফরসূচি অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে যৌথ বিবৃতি দেয়া হবে।

ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আনোয়ার ইব্রাহিমই প্রথম সরকারপ্রধান যিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি হবে বিদেশি কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর।

আরও পড়ুন:
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আসছেন শুক্রবার
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমন করতে চায়নি সেনাবাহিনী: প্রতিবেদন
কোথায় কখন অবতরণ করল শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান
পদত্যাগের জন্য ৪৫ মিনিট সময় পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: সেনাপ্রধান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Notification establishing five commissions on state reforms

রাষ্ট্র সংস্কারে পাঁচটি কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন

রাষ্ট্র সংস্কারে পাঁচটি কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্থার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্থার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রের সংস্কারে পাঁচটি কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্থার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্থার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পরে প্রজ্ঞাপনগুলো গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আট সদস্যের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্থার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক এবং নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদারকে।

নয় সদস্যের পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনকে।

আট সদস্যের বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবুল নাঈম মমিনুর রহমান।

দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।‌ এই কমিশনটিও আট সদস্যবিশিষ্ট।

এছাড়া আট সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল মূয়ীদ চৌধুরী।

আরও পড়ুন:
‘আয়নাঘরের’ প্রমাণ পেয়েছে গুম অনুসন্ধান কমিশন
সংস্কারের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের আগেই দলগুলোর সঙ্গে বসবে সরকার
নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারের রোডম্যাপ কীভাবে, জানালেন বদিউল আলম
সংস্কার কমিশনের কাজ শুরু অক্টোবরে, রিপোর্ট ডিসেম্বরে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Efforts to bring back convicts from Maldives and Qatar
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক

মালদ্বীপ ও কাতার থেকে সাজাপ্রাপ্তদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ

মালদ্বীপ ও কাতার থেকে সাজাপ্রাপ্তদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ সরকারের মধ্যে ‘বন্দি হস্তান্তর’ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দণ্ডিতদের স্থানান্তর চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাবও নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ সরকারের মধ্যে ‘বন্দি হস্তান্তর’ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন দেয়া হয়।

উপদেষ্টা পরিষদ বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দণ্ডিত ব্যক্তিদের স্থানান্তর চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাবও নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এগুলো হয়ে গেলে আমরা মালদ্বীপ বা কাতারে সাজাপ্রাপ্ত আমাদের বাংলাদেশি ভাই-বোনদের ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হব।’

সংবাদ সম্মেলনে উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের সঙ্গে ‘সাজাপ্রাপ্তদের স্থানান্তর’ সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের।

২০১৫ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মালদ্বীপ থেকে ‘বন্দি স্থানান্তর’ সংক্রান্ত একটি খসড়া চুক্তির প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ।

প্রস্তাবিত চুক্তি সই হলে বাংলাদেশ মালদ্বীপ থেকে সাজাপ্রাপ্ত ও কারাবন্দি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে।

চুক্তিটি ১০ বছরের জন্য কার্যকর থাকবে এবং দুই দেশ সম্মত হলে এটি আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করা যেতে পারে।

উপদেষ্টা পরিষদ বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দণ্ডিত ব্যক্তিদের স্থানান্তর চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাবও নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে।

চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরের সময় দু’দেশের সরকারের মধ্যে এই চুক্তি সই হয়।

চুক্তিটি এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে এবং যদি কোনো অংশ এটি শেষ করার ইচ্ছা প্রকাশ না করে তবে এটি আরও এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dhaka Delhi Kathmandu agreement signed to import electricity from Nepal

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ঢাকা-দিল্লি-কাঠমাণ্ডু চুক্তি সই

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ঢাকা-দিল্লি-কাঠমাণ্ডু চুক্তি সই কাঠমাণ্ডুতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত
ভারত ও নেপালের সঙ্গে সম্পাদিত এই ঐতিহাসিক ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারত হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ।

নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারত ও নেপালের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বৃহস্পতিবার ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি সই হয়েছে।

চুক্তির আওতায় জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারত হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ) এবং ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটেডের (এনভিভিএন) প্রতিনিধিরা চুক্তিতে সই করেন।

অনুষ্ঠানে নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী দীপক খাড়কা, বাংলাদেশের পানিসম্পদ সচিব নজমুল আহসান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এই চুক্তি আঞ্চলিক জ্বালানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি শুধু তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের বিষয় নয়; বরং আমাদের দেশগুলোর দীর্ঘমেয়াদি এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াও।’

এর আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সঙ্গে সিংহ দরবারে সাক্ষাৎ করেন পরিবেশ উপদেষ্টা। এ সময় দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

এই ঐতিহাসিক বিদ্যুৎ চুক্তি সইয়ের সাক্ষী হতে পরিবেশ উপদেষ্টা দু’দিনের সফরে নেপালে অবস্থান করছেন। এটি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি সম্পর্ক জোরদারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

আরও পড়ুন:
বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে দুর্নীতি তদন্তে অভিযোগ জানানোর আহ্বান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nahid Islam in Times 100 most influential list

টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম

টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
প্রখ্যাত সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন প্রতি বছর বিশ্বের প্রভাবশালী একশ’ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে থাকে। এবারের তালিকায় উদীয়মান নেতা ক্যাটাগরিতে রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম।

টাইম ম্যাগাজিনের ‘টাইম-১০০ নেক্সট’ ২০২৪-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের নাম। প্রতি বছর বিশ্বের প্রভাবশালী একশ’ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে থাকে প্রখ্যাত এই সাময়িকী।

তালিকাটি বুধবার (২ অক্টোবর) প্রকাশ করা হয়। এতে উদীয়মান নেতা ক্যাটাগরিতে নাম রয়েছে নাহিদ ইসলামের। সূত্র: বাসস

টাইম ম্যাগাজিনে নাহিদ ইসলাম সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘২৬ বছর না পেরুতেই বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। যেসব ছাত্রনেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করা নাহিদ ইসলাম তাদের অন্যতম।

‘অনেক প্রতিবাদী নেতার অন্যতম, তিনি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে নির্যাতিত হওয়ার পর আরও ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এর কিছুদিন পরই তিনি শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি পৌঁছে দেন- হাসিনাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।’

টাইম লিখেছে, ‘নাহিদ ইসলাম বলেন- কেউ ভাবেনি তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।’

ম্যাগাজিনটি আরও লিখেছে, “তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়তো সামনে অপেক্ষা করছে। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ‘জেন-জেড উপদেষ্টা’র মধ্যে নাহিদ ইসলাম একজন।

“তাদের কাজ- ক্রমে অধিকতর কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠা সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে ক্ষয়িত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মেরামত করা।”

ম্যাগাজিনটি নাহিদ ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মহামারীর মতো ছড়ানো রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

আরও পড়ুন:
টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় জাহিদ মালেক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BGB is not solely responsible for A League leaders fleeing the country
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক

আ.লীগ নেতাদের দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য বিজিবি এককভাবে দায়ী নয়

আ.লীগ নেতাদের দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য বিজিবি এককভাবে দায়ী নয় ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ডিজি মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত ২২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তারপরও আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতাকর্মী সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য বিজিবি দায়বদ্ধ হলেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত কিনা তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।’

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেশ ছেড়ে পালানো ঠেকাতে ব্যর্থতায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আংশিক দায় রয়েছে। তবে পরিস্থিতির জন্য সংস্থাটিকে এককভাবে দায়ী করা উচিত নয়।

বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন। সূত্র: ইউএনবি

ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে এই সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক বলেন, ‘বিজিবি এখন পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত ২২ জনকে আটক করেছে। এসব গ্রেপ্তারের পরও আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতাকর্মী সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।’

‘পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার জন্য বিজিবি দায়বদ্ধ হলেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত কিনা তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।’

মেজর জেনারেল সিদ্দিকী জোর দিয়ে বলেন, ‘কারা কোন সীমান্ত অতিক্রম করেছে তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত হওয়া দরকার। এ বিষয়ে কোনো আপস করা যাবে না।’

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে গত ৬ আগস্ট বিজিবিকে সহায়তা করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এটি একটি উদ্যোগ যা স্বাধীনভাবে এবং বাইরের কোনো নির্দেশনা ছাড়াই নেয়া হয়েছিল।

‘আমরা এটা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকারী সব প্রতিষ্ঠান যদি তাদের তথ্য শেয়ার করে, তাহলে আমাদের এই প্রচেষ্টা অনেক বেশি কার্যকর হবে।’

আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে যে গুঞ্জন চলছে সে কথাও উল্লেখ করেন বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘সবাই কি পালিয়ে গেছে? আমার এরকম মনে হয় না। কেউ কেউ এখনও দেশের এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন।’

মেজর জেনারেল সিদ্দিকী সাংবাদিকদের কাছে থাকা যেকোনো প্রাসঙ্গিক তথ্য শেয়ার করে বিজিবিকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। বলেন, ‘আপনাদের কাছেও তথ্য আছে। দয়া করে বিজিবিকে জানান, আমরা ব্যবস্থা নেব। এসব পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

বিজিবি মহাপরিচালক পুনর্ব্যক্ত করেন, বিজিবি সীমান্ত রক্ষায় তাদের ভূমিকা পালনে নিবেদিত এবং চলমান সমস্যা কার্যকরভাবে সমাধানের জন্য সব স্টেকহোল্ডারকে অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা ভারতে পালানোর সময় নওগাঁয় আটক
ভারতে পালানোর সময় আটক সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী
বিজিবি স্থানীয়দের বাধায় ফেনীতে বাঁধ কাটতে পারেনি বিএসএফ

মন্তব্য

p
উপরে