× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
How Sheikh Hasina survived various attacks
google_news print-icon

বিভিন্ন হামলায় যেভাবে বেঁচে যান শেখ হাসিনা

বিভিন্ন-হামলায়-যেভাবে-বেঁচে-যান-শেখ-হাসিনা
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর শঙ্কিত চেহারায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রথম গ্রেনেডটি বিস্ফোরণের পর দিগ্বিদিক ছুটতে থাকা মানুষের ধাক্কায় পড়ে যান জঙ্গি বুলবুল। ফলে তিনি আর শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়তে পারেননি। এ রকম একের পর এক হামলায় প্রায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যান তিনি।  

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ অন্তত ১৯ বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। অনেকে বলেন, সংখ্যাটি ২১। এগুলোর বেশির ভাগেই নিতান্ত ভাগ্যচক্রে বেঁচে যান তিনি। অনেক ক্ষেত্রে নেতাকর্মীরা জীবন বিলিয়ে দিয়ে তাকে রক্ষা করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যেখানে একাধিক দৈবক্রম তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।

গ্রেনেড হামলা

২১ আগস্ট ২০০৪ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে খোলা ট্রাকের অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। বক্তব্য যখন শেষের পথে, তখন তাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায় ১২ জন জঙ্গি।

বিভিন্ন হামলায় যেভাবে বেঁচে যান শেখ হাসিনা

এ-সংক্রান্ত মামলায় সিআইডির তদন্ত এবং রিমান্ডে ও আদালতে আসামি মুফতি হান্নান, বুলবুল, জাহাঙ্গীর, বিপুলসহ বিভিন্ন জঙ্গির দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলনেতা জান্দাল মঞ্চের সামনে প্রথম গ্রেনেডটি ছোড়েন। পরিকল্পনা ছিল, বিস্ফোরণের পর মঞ্চের সামনের জায়গা ফাঁকা হলে মঞ্চের কাছে অবস্থান নেয়া জঙ্গি বুলবুল গিয়ে সরাসরি মঞ্চে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড ছুড়বেন।

প্রথম গ্রেনেডটি বিস্ফোরণের পর দিগ্বিদিক ছুটতে থাকা মানুষের ধাক্কায় পড়ে যান বুলবুল। ফলে তিনি আর গ্রেনেড ছুড়তে পারেননি। প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

এ সময় আরও একটি গ্রেনেড শেখ হাসিনাকে আঘাত করতে পারত। তিনি যখন বক্তব্য শেষ করে ট্রাক থেকে নামতে যাবেন, এক ফটো সাংবাদিক তাকে অনুরোধ করেন একটু দাঁড়াতে, যাতে তিনি ভালো ছবি নিতে পারেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা নামতে গিয়েও ডায়াসের কাছে ফিরে যান। ঠিক সেই সময় ট্রাক থেকে নামার পথে গ্রেনেড পড়ে। বেঁচে যান জাতির পিতার উত্তরসূরি।

এর পরপরই আরও বেশ কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং দলের নেতারা শেখ হাসিনাকে ঘিরে মানবঢাল তৈরি করেন। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তাকে গাড়িতে তুলে সুধাসদনে নিয়ে যান। গাড়িতে তোলার সময় এবং ওঠার পরও গুলি চালানো হয় শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে। সেগুলো গায়ে না লাগায় জীবিত অবস্থায় সুধাসদনে ফিরতে পারেন তিনি।

সেদিন যারা মানবঢাল তৈরি করেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ, সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য) মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজীব উদ্দিন আহমেদ, নিরাপত্তা কর্মকর্তা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, মেজর শোয়েব, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান। এর মধ্যে মাহবুবকে গ্রেনেড সরাসরি আঘাত করায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর মাথায় আঘাত পাওয়া মেয়র মোহাম্মদ হানিফ পরে মারা যান।

সেদিন ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমান, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুনশী, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মোহাম্মদ হানিফ, আবুল কাশেম, জাহেদ আলী, মোমেন আলী, এম শামসুদ্দিন এবং ইসাহাক মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম নিউজবাংলাকে জানান, বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়ামাত্র তারা শেখ হাসিনাকে ঘিরে দাঁড়ান। মানবঢাল বানিয়ে তাকে গাড়িতে তোলা হয়।

লালদীঘির ময়দানে গুলি

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সরকারবিরোধী একটি সমাবেশের ডাক দেয়া হয় চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ট্রাকবহর নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল লালদীঘি মাঠে যাচ্ছিল। মিছিলটি পুরোনো বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে পৌঁছালে তখনকার পুলিশ কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে শুরু করে পুলিশ। এতে শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ পথচারীসহ ২৪ জন মারা যান। আহত হন অন্তত ২০০ জন।

ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, তিনিসহ উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতারা ট্রাক থেকে শেখ হাসিনাকে নামিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন। ফলে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারির ওই ঘটনায় যে ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন তারা হলেন- হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম. স্বপন কুমার বিশ্বাস, এলবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আবদুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, মসর দত্ত, হাশেম মিয়া, মো. কাশেম, পলাশ দত্ত, আবদুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও মো. শাহাদাত।

কোটালীপাড়ায় বোমা

২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে সন্ত্রাসীরা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য দুটি শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখে।

স্থানীয় এক চায়ের দোকানদারের দেয়া তথ্যে মাটির নিচে পোঁতা তারের সূত্র ধরে সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা ২০০০ সালের ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ও ২৩ জুলাই হেলিপ্যাডের কাছ থেকে ৪০ কেজি ওজনের দুটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে।

বিভিন্ন হামলায় যেভাবে বেঁচে যান শেখ হাসিনা

যে বোমাটি মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল, সেটির তার মাটির নিচ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও সেটির একটি অংশ চায়ের দোকানের পাশে মাটির ওপরে ভেসে থাকতে দেখেন ওই দোকানি।

সাবজেলে স্লো পয়জনিং

২০০৭ সালে ‘ওয়ান-ইলাভেন’ পরবর্তী সময় সাবজেলে বন্দি থাকা অবস্থায় খাবারে বিষ প্রয়োগ করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই খাবার খেয়ে তার চোখমুখ ফুলে গিয়েছিল এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন।

২০০৯ সালের ২৭ জুন রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, কারাগারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নারী কারারক্ষীদের কাছ থেকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টার বিষয়টি তিনি অবগত হন এবং বিষয়টি শেখ হাসিনাকে জানান। এরপর শেখ হাসিনা কারাগারে চিড়া, মুড়ি ও কলা খেয়ে থাকতেন।

ধানমন্ডি ৩২

১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড ছোড়া হয়। শেখ হাসিনা তখন ওই বাড়িতে প্রবেশ করছিলেন। সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষী এবং নেতাকর্মীদের প্রতিরোধে শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মামলায় ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।

অন্যান্য হত্যাচেষ্টা

১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চতুর্থ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সময় ধানমন্ডির গ্রিন রোডে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তার গাড়িতে গুলি লাগলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ‘ট্রেনমার্চ’ করার সময় পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে বেশ কিছু গুলি করা হয়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অক্ষত থাকেন শেখ হাসিনা।

১৯৯৫ সালের ৭ মার্চ শেখ রাসেল স্কয়ারে সমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালানো হয়। সশস্ত্র ওই হামলা থেকে বাঁচাতে নেতাকর্মীরা তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন।

১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে একটি মাইক্রোবাস থেকে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

এর পাশাপাশি নওগাঁ এবং সাতক্ষীরায় গুলিবর্ষণ করে এবং সিলেটে বোমা পুঁতে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

আরও পড়ুন:
দণ্ডিত তারেককে ফিরিয়ে আনা এখনও ‘প্রক্রিয়াধীন’
মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে তারেক, বাবর, মুজাহিদ
১৮ বছর আগের সেই কলঙ্কময় দিন
২১ আগস্ট ডাইভারশন থাকবে রাজধানীর যেসব এলাকায়
১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চান জজ মিয়া

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
A 400 person boating competition was held in Jhalkathi on Independence Day

স্বাধীনতা দিবসে ঝালকাঠিতে নৌকাবাইচ

স্বাধীনতা দিবসে ঝালকাঠিতে নৌকাবাইচ বিজয়ী সদর উপজেলা পরিষদের হাতে দ্বিতীয় পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক ফারাহ্‌ গুল নিঝুম ও পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল। ছবি: নিউজবাংলা
এক আয়োজক বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ বিকেলে অনুষ্ঠিত নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি সুগন্ধা নদীর ইকোপার্ক প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে কলেজ খেয়াঘাট সংলগ্ন মিনি পার্কে এসে শেষ হয়। এতে আলাদা সাতটি দলের ৪ শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।’

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঝালকাঠিতে সাতটি দলের চার শতাধিক প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সুগন্ধা নদীতে প্রতিযোগিতাটি মঙ্গলবার বিকেলে আয়োজন করে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন।

এক আয়োজক বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ বিকেলে অনুষ্ঠিত নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি সুগন্ধা নদীর ইকোপার্ক প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে কলেজ খেয়াঘাট সংলগ্ন মিনি পার্কে এসে শেষ হয়। এতে আলাদা সাতটি দলের ৪ শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার জিতেছে শেখেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ। দ্বিতীয় হয় সদর উপজেলা পরিষদ এবং তৃতীয় হয় ঝালকাঠি বণিক সমিতি।’

নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক ফারাহ্‌ গুল নিঝুম।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান সাইফুল্লাহ পনির এবং সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tribute to Islami Bank on Independence Day

স্বাধীনতা দিবসে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা স্বাধীনতা দিবসে ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যাংকের ডিরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এফসিএমএ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।

ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যাংকের ডিরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এফসিএমএ।

ওই সময় অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sweet fair in art

শিল্পকলায় মিষ্টির মেলা

শিল্পকলায় মিষ্টির মেলা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি নিয়ে শুরু হয়েছে প্রথমবারের মতো জাতীয় মিষ্টি মেলা। ছবি: ইউএনবি
প্রথম জাতীয় মিষ্টি মেলা ১০ মার্চ পর্যন্ত চলবে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৫টায় থাকবে লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল নানান ধরনের মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। এর মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইলের চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, নেত্রকোণার বালিশ মিষ্টি বা নাটোরের কাঁচাগোল্লাসহ আরও অনেক ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি।

এসব মিষ্টি নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হয়েছে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় মিষ্টি মেলা’।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য সংস্কৃতি হিসেবে দেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিগুলোকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গত বুধবার শুরু করে এ মেলার আয়োজন। পাঁচ দিনব্যাপী মেলা চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। এতে অংশ নিয়েছেন দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা ৬৪ এর অধিক মিষ্টি শিল্পীরা।

জাতীয় মিষ্টিমেলার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মূল অনুষ্ঠানের আগে পরিবেশিত হয় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সংগীত পরিবেশন করে সরকারি সংগীত কলেজ। সমবেত শাস্ত্রীয় সংগীত ‘রাগ বৈরাগী ভৈরব’ এবং সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন তারা।

এরপর পর্যায়ক্রমে পরিবেশিত হয় একক সংগীত। একক সংগীত পরিবেশন করেন ড. ফকির শহীদুল ইসলাম, শেখ খালিদ হাসান, মাইনুল আহসান, ছন্দা চক্রবর্তী, উত্তম কুমার সাহা, মফিজুর রহমান, এম এ মমিন, উর্বী সোম, সৌমিতা বোম, পূর্ণ চন্দ্র মণ্ডল, সাইফুল ইসলাম, এম এম ইউনুসুর রহমান ও গোলাম মোস্তফা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মনসুর।

প্রথম জাতীয় মিষ্টি মেলা ১০ মার্চ পর্যন্ত চলবে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৫টায় থাকবে লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

আরও পড়ুন:
শিল্পকলা একাডেমি দিচ্ছে ২০ চাকরি
শিল্পকলা পদক পেলেন ১৮ গুণী ও দুই সংগঠন
শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ২০ গুণী ও সংগঠন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Ekushe Book Fair ends today

একুশে বইমেলা শেষ হচ্ছে আজ

একুশে বইমেলা শেষ হচ্ছে আজ অমর একুশে বইমেলায় শুক্রবার ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় ছিল তুলনামূলক কম। ছবি: নিউজবাংলা
প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা জানিয়েছেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে মেলার সময় বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল সে অনুযায়ী বই বিক্রি হয়নি। তাদের ভাষ্য, বেইলি রোডের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনা পাঠক-মনকে আলোড়িত করেছে। এ অবস্থায় মেলা শেষ হওয়ার আগের দিন শুক্রবার হওয়া সত্ত্বেও ভিড় ও বিক্রি কম।

অমর একুশে বইমেলা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল দুদিন আগে বৃহস্পতিবারই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুমোদনক্রমে মেলার সময় বাড়ানো হয়েছে দুদিন। বর্ধিত সেই সময় শেষ হচ্ছে আজ।

তবে যে প্রত্যাশা নিয়ে মেলার সময় বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল সে অনুযায়ী বই বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা। তাদের ভাষ্য, বেইলি রোডের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনা পাঠকদের আলোড়িত করেছে। এ অবস্থায় মেলা শেষ হওয়ার আগের দিন শুক্রবার হওয়া সত্ত্বেও ভিড় ও বিক্রি ছিল কম।

আবার অনেকে বলছেন, মেলার সময় বাড়ানোর তথ্যটা যে পরিমাণে প্রচার হওয়া দরকার ছিল সেই পরিমাণে হয়নি। তাই অনেকে জানেনই না যে মেলার সময় বেড়েছে।

একুশে বইমেলা শেষ হচ্ছে আজ

সাধারণত প্রাণের অমর একুশে বইমেলা হয় ২৮ দিনে। তবে এ বছর অধিবর্ষ হওয়ায় মেলা একদিন বেশি পেয়ে দাঁড়ায় ২৯ দিনে। তার ওপর ২৯তম দিনটি বৃহস্পতিবার হওয়ায় প্রকাশকদের দাবি ছিল মেলার সময় বাড়িয়ে শনিবার পর্যন্ত নেয়ার। তাদের দাবি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুমোদনক্রমে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দিয়ে বইমেলার সময় দুদিন বাড়ানো হয়।

এবারের বইমেলা শুরু থেকেই ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। প্রথম সপ্তাহের পর থেকে মেলা পুরোদমে জমে ওঠে। এর মধ্যে আবার মেট্রো ট্রেন বইমেলায় যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। দূরত্ব ও যানজট বিবেচনায় আগে যারা বইমেলায় আসতে নিরুৎসাহ বোধ করতেন এবার মেট্রো ট্রেন তাদেরকেও নিয়ে এসেছে বইমেলায়। ফলে বিগত বছরগুলোর তুলনায় দর্শনার্থীর ভিড় এবং ভালো বেচাবিক্রি হওয়ায় প্রকাশকদের মুখেও ছিল সন্তুষ্টির ছাপ।

এ ছাড়া আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবও পড়েনি মেলায়। ২২ ফেব্রুয়ারি অল্প সময়ের বৃষ্টি মেলার বেচা-বিক্রিতে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি করলেও তা প্রকাশক ও পাঠকদের বড় ভোগান্তির কারণ হয়নি। তবে পাঠকের অত্যধিক সমাগমের দিন মেলার ধুলোবালি কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছে দর্শনার্থীদের।

এদিকে বেশি ভালো বিক্রির প্রত্যাশায় মেলা দুদিন বাড়ানোর দাবি তোলা হলেও বইয়ের বিক্রি আশানুরূপ হয়নি। পাঠক সমাগমও ততোটা বাড়েনি। প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা এজন্য ভিন্ন ভিন্ন কারণ তুলে ধরেছেন।

শুক্রবার মেলায় কথা হয় তাম্রলিপি প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি কাউসার হোসেনের সঙ্গে। বেচাবিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেচাবিক্রি শুক্র-শনিবারের মতো তো হচ্ছেই না, নরমাল দিনের মতোও বলা যাচ্ছে না। অনেকে হয়তো জানেনই না যে মেলা দুদিন বেড়েছে। আবার এটাও হতে পারে- যারা বই কেনার তারা ২৯ তারিখের মধ্যেই কিনে ফেলেছেন।’

মাওলা ব্রাদার্সের বিক্রয়কর্মী তামিম হোসেন বলেন, ‘বিক্রি বা ভিড় অনেক কম। নগণ্যই বলা যায়। হতে পারে মেলার সময় বাড়ার খবরটা মানুষের মাঝে পৌঁছাতে যত প্রচার করা দরকার ছিল ততোটা প্রচার হয়নি। ফেসবুক থেকে মানুষ আর কতটাই বা নিউজ জানতে পারে।’

ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি হাসেম আলী বলেন, ‘বেচা বিক্রি নেই বললেই চলে। মালিক পক্ষ যে প্রত্যাশা নিয়ে মেলা দুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল তার ধারেকাছেও নেই বেচাবিক্রি। অর্ধেকেরও কম হবে বলে মনে হচ্ছে।’

তবে অন্বেষা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার হিসেবে আজ পাঠক ও ক্রেতা সমাগম বেশি হওয়ার কথা ছিল। আমরাও সেরকম প্রত্যাশা করে মেলা দুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। কিন্তু বেইলি রোডের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড অনেকের মনে প্রভাব বিস্তার করেছে। মেলায় হয়তো তার প্রভাবটা পড়েছে। আশা করি আজ ভালো বিক্রি হবে।’

একুশে বইমেলা শেষ হচ্ছে আজ

মেলা শেষের আগের দিনে ২১৯ নতুন বই

এদিকে মেলার শেষ সময়েও নতুন বই নিয়ে আসছেন প্রকাশকরা। শুক্রবার বইমেলার ৩০তম দিনেও নতুন বই এসেছে ২১৯টি।

শুক্রবার হওয়ায় এদিন মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায় আর শেষ হয় রাত ৯টায়। তবে এদিন ছিল না কোনো শিশুপ্রহর। শনিবারও থাকবে না কোনো শিশুপ্রহর।

মেলার শুরু থেকে মূল মঞ্চে প্রতিদিনই থেকেছে আলোচনা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। লেখক বলছি মঞ্চে থাকতো বই নিয়ে কথোপকথন। বর্ধিত দুই দিনে তা-ও থাকছে না। এই সময়টাতে মূলত বই বিক্রিই মুখ্য বিষয় থাকবে প্রকাশকদের।

সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান

শনিবার সমাপনী দিনে মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৫টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর সদস্য সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

অনুষ্ঠানে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
ক্যাটালগ দেখে ‘পছন্দের’ বই সংগ্রহে বইপ্রেমীরা
প্রাণের বইমেলায় বিদায়ের সুর
বই নিয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত তরুণ দর্শনার্থীরা, কিনছেন কম
ছাত্রলীগ পুলিশের বিরুদ্ধে ফ্রিতে দোকান নিয়ে বিক্রির অভিযোগ
প্রাণের বইমেলায় পূর্ণতা এনে দিল শেষ শুক্রবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The tone of farewell to the book fair of life

প্রাণের বইমেলায় বিদায়ের সুর

প্রাণের বইমেলায় বিদায়ের সুর অমর একুশে বইমেলার ২৫তম দিনে রোববার নতুন বই এসেছে ৯৬টি। ছবি: নিউজবাংলা
এ বছর মেলা দুদিন বাড়ানোর জন্য বাংলা একাডেমির কাছে প্রকাশকরা আবেদন করলেও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

বাঙালির প্রাণের অমর একুশে বইমেলায় বিদায়ের সুর বেজে উঠছে। মেলার বাকি আর মাত্র চার দিন।

এ কয়েকদিন রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এ বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এর মধ্য দিয়ে পাঠক, দর্শক ও প্রকাশকের আনাগোনায় মুখরিত থাকা বইমেলার ইতি টানা হবে, তবে বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট নন প্রকাশকরা।

এদিকে এ বছর মেলা দুদিন বাড়ানোর জন্য বাংলা একাডেমির কাছে প্রকাশকরা আবেদন করলেও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমির সামনের বিভিন্ন স্টল ঘুরে পছন্দের বই খুঁজছেন পাঠকরা। বেশির ভাগ দর্শনার্থীই বই কিনতে মেলায় ভিড় করেছেন। মেলায় বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি।

পাশাপাশি নানা বয়সি মানুষ বইমেলায় এসেছেন। তাদের কেউবা মনের আনন্দে ঘুরে বেরিয়েছেন। কেউ বই দেখেছেন আবার কেউ কেউ প্রিয় লেখকের বই সংগ্রহ করেছেন। এভাবেই কেটেছে বইমেলার প্রতিটি দিন।

ব্যস্ততার কারণে সাধারণ দিনগুলোতে যারা মেলায় আসতে পারেননি, বন্ধের দিনে তারা ঠিকই হাজির হয়েছেন প্রাণের মেলায়। ফলে ছুটির দিনগুলোতে সবচেয়ে মুখরিত থাকত বইমেলা। এ দুদিন বইয়ের বিক্রিও অন্য দিনের তুলনায় বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এদিকে নতুন লেখকদের বইও বিক্রি হচ্ছে বেশ। তবুও প্রকাশকদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ।

প্রকাশকরা বলছেন, মেলায় আগের তুলনায় বিক্রি অনেক কম হয়েছে। যদিও শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা ও নতুন বই প্রকাশে ব্যস্ত পাঠক, লেখক ও প্রকাশকরা, তবে শেষ কয়েকদিন পাঠকের ঢল নামার প্রত্যাশা করেছেন তারা।

বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রেতারা জানান, মেলার শেষ দিকে প্রতিদিন বিক্রি ভালো হয়। এখনও প্রতিদিন নতুন নতুন বই মেলায় আসছে।

মেলায় ঘুরতে আসা লিমন ইসলাম বলেন, ‘প্রথম দিকে কিছু বই সংগ্রহ করেছি। আবার এসেছি নতুন বই কিনেছি। বান্ধবীকে বই উপহার দিলাম। শেষের দিকে আবার আসব। আর অবশ্যই আমাদের সকলের বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে।’

নারায়ণগঞ্জ থেকে বইমেলায় এসেছেন লাইজু লিজা। তিনি বলেন, ‘বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এ মেলা এক মাস কেন, সারা বছর থাকা উচিত।’

মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক বলেন, ‘প্রথম দিকের চেয়ে এবার শেষের দিকে এসে মেলায় বিক্রি বেড়েছে। মেট্রোরেলের নতুন মাত্রা এবারের বইমেলায় বই বিক্রি বাড়ার প্রধান কারণ। আমরা তরুণ লেখকদের বইগুলো তরুণদের হাতে দিতে পারছি, তবে এ বছর এখনও ব্যাগভর্তি বই ক্রেতা দেখছি না।’

এদিকে রোববার অমর একুশে বইমেলার ২৫তম দিনে মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত ৮টা ৩০ পর্যন্ত। এদিন নতুন বই এসেছে ৯৬টি।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের স্বরণে আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪টার দিকে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাজী নূরুল করিম দিলু। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তানভীর নেওয়াজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেবুন নাসরীন আহমেদ।

প্রাবন্ধিক বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের কর্মপরিধি ছিল বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম গেরিলা সদস্য হিসেবে একের পর এক দুঃসাহসিক অপারেশনে অংশ নিয়েছেন তিনি। তার পরিকল্পিত নকশায় নির্মিত হয়েছে দেশের অনেক দৃষ্টিনন্দন ভবন ও স্থাপনা।

‘গণমানুষের অধিকারের বিষয়ে মোবাশ্বের হোসেন ছিলেন আপসহীন। দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ভবন সুরক্ষা, পরিবেশ রক্ষা, শিক্ষা, ক্রীড়া এমনকি ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা থেকে শুরু করে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তিনি রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা।’

আলোচক বলেন, বাংলাদেশের বহুবিধ স্থাপত্য প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের নাম। ব্যক্তিমানুষ হিসেবে অত্যন্ত আন্তরিক মোবাশ্বের হোসেন দেশ ও মানুষের কল্যাণের জন্য সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক জেবুন নাসরীন আহমেদ বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যই ছিল দৃঢ়তা, সততা, সাহসিকতা এবং দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা। তার কর্মমুখর জীবন ও আদর্শ সবার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

বই-সংলাপ ও রিকশাচিত্র প্রদর্শন মঞ্চের আয়োজন

এ মঞ্চে বিকেল ৫টার দিকে কবি ও চলচ্চিত্রকার মাসুদ পথিকের কবিতা ও চলচ্চিত্র বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি এজাজ ইউসুফী, জান্নাতুল ফেরদৌসী, উৎপলকান্তি বড়ুয়া, প্রসপারিনা সরকার, অংকিতা আহমেদ রুবি, রিশাদ হুদা, সৌমিত্র দেব, অরবিন্দ চক্রবর্তী, আহসান মালেক, রওশন ঝুনু, সমর চক্রবর্তী, গিরিশ গৈরিক এবং আহমেদ জসিম।

ছড়া পাঠ করেন ছড়াকার আখতার হুসেন, আমীরুল ইসলাম, লুৎফর রহমান রিটন, ফারুক হোসেন, আনজীর লিটন, মাহমুদউল্লাহ, সারওয়ার উল আলম, রিফাত নিগার শাপলা এবং তপংকর চক্রবর্তী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহমুদা আখতার, চিং হ্লা মং চৌধুরী এবং চৌধুরী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

এবারের বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমির মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছর ৬০১টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

আজকের বইমেলা

২৬শে ফেব্রুয়ারি সোমবার অমর একুশে বইমেলার ২৬তম দিন মেলা শুরু হবে বেলা ১২টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: আবুবকর সিদ্দিক এবং স্মরণ: আজিজুর রহমান আজিজ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন যথাক্রমে ফরিদ আহমদ দুলাল এবং কামরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মামুন মুস্তাফা, তৌহিদুল ইসলাম, মো. মনজুরুর রহমান এবং আনিস মুহম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবি আসাদ মান্নান।

আরও পড়ুন:
একুশের চেতনায় উজ্জীবিত বইমেলায় জনস্রোত
ফটোগ্রাফি নিয়ে ভিন্নধর্মী বই ‘বিখ্যাত ছবির পেছনের গল্প’
প্রাণের মেলায় অপ্রতুল ভাষা আন্দোলনের ওপর বই
বইমেলায় মীরাক্কেল খ্যাত রাশেদের ‘ফিলিং চিলিং’
একুশের প্রহর গুনছে বইমেলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Commemoration of language martyrs with great respect and love in Vienna

ভিয়েনায় পরম শ্রদ্ধা-ভালবাসায় ভাষাশহিদদের স্মরণ

ভিয়েনায় পরম শ্রদ্ধা-ভালবাসায় ভাষাশহিদদের স্মরণ শহিদদের স্মরণে ভিয়েনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
অনুষ্ঠানে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একুশে আমাদেরকে ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় থাকতে এবং মাথা নত না করতে শিখিয়েছে। একুশ আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক। একুশের চেতনায়ই আজ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আবারও নিজেদের শাণিত করে পরম শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ভাষাশহিদদের স্মরণ করলেন অস্ট্রিয়ার প্রবাসী বাঙালিরা।

দেশটির রাজধানী ভিয়েনার হেলবেগটাসে অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয়ে বুধবার বিকেলে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর শহিদদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম। সঞ্চালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শ্যামল।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শ্রী রুহী দাস সাহা, শফিকুর রহমান বাবুল, মনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব খান শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম কাঞ্চন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জহির তুহিন।

অনুষ্ঠানে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একুশে আমাদেরকে ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় থাকতে এবং মাথা নত না করতে শিখিয়েছে। একুশ আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক। একুশের চেতনায়ই আজ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’

খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, ‘এই একুশে বরকত, সালাম, জব্বার, রফিকরা ভাষার দাবিতে রক্ত দিয়েছিল। একুশ আমাদেরকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছে।’

বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাঙালির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে অমর একুশের গান, মুক্তিযুদ্ধের গান ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা।

আরও পড়ুন:
মাতৃভাষা দিবসে ইংরেজি ব‌্যানারে শোভাযাত্রা, বরিশালে তোলপাড়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rasheds beautiful book is feeling chilling at the book fair

বইমেলায় মীরাক্কেল খ্যাত রাশেদের ‘ফিলিং চিলিং’

বইমেলায় মীরাক্কেল খ্যাত রাশেদের ‘ফিলিং চিলিং’ বইমেলায় মীরাক্কেল খ্যাত রাশেদের ‘ফিলিং চিলিং’। ছবি: সংগৃহীত
লেখক রাশেদ বলেন, রম্য কিংবা জোকসের বই মানেই অন্যরকম ভালোলাগা, আনন্দ কিংবা প্রাণবন্ত অনূভুতির চমৎকার বহিঃপ্রকাশ ফিলিং-চিলিং বই ।

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এ প্রকাশিত হয়েছে জনপ্রিয় স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান জি বাংলা'র মীরাক্কেল দশের অন্যতম ফাইনালিস্ট আফনান আহমেদ রাশেদের রম্য বই ‘ফিলিং চিলিং’।

অমর একুশে বইমেলার মাঠে শিখা প্রকাশনী মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

শিখা প্রকাশনীর ৩০০, ৩০১, ৩০২, ৩০৩ নম্বর স্টলে ফিলিং চিলিং বইটি পাওয়া যাচ্ছে। ঘরে বসেও পাঠকরা অনলাইন বইয়ের শপ রকমারি, প্রথমা, বইফেরী সহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

বইটির লেখক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী আফনান আহমেদ রাশেদ ছিলেন মীরাক্কেল সিজন টেনের অন্যতম ফাইনালিস্ট। পড়াশোনা করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকায়। পেশাগত জীবনে স্ট্যান্ড-আপ-কমেডিয়ান, স্ক্রিপ্ট রাইটার।

তরুণ এই লেখক এবং স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ানের ভাষ্যমতে, দর্শকদের ভালোবাসা তাকে বিমোহিত করে তাই তিনি নিজেকে রেডিও, টেলিভিশন কিংবা মঞ্চে এখন সরব রেখেছেন।

লেখক রাশেদ বলেন, রম্য কিংবা জোকসের বই মানেই অন্যরকম ভালোলাগা, আনন্দ কিংবা প্রাণবন্ত অনূভুতির চমৎকার বহিঃপ্রকাশ ফিলিং-চিলিং বই ।

রাশেদ বলেন, মীরাক্কেলের ভেতর বাইরে নানান গল্প নিয়ে লিখেছেন ২০২২ সালে মীরাক্কেল এক্সপ্রেস বইটি। সেই সময়ে মানুষের ভালোবাসায় বইটি প্রচুর পাঠক সমাগম ও জনপ্রিয়তা পায়। এই জন্য এবার তিনি চেষ্টা করেন মানুষকে আনন্দ দেয়ার। এইজন্য তার লেখা এই ভিন্নধর্মী বই ফিলিং-চিলিং। বইটিতে রয়েছে দুর্দান্ত সব স্যাটায়ার, সেন্স অব হিউমার, কমিক পাঞ্চলাইন, ক্রিঞ্চ কমেডি সহ বিভিন্ন জোক।

জি বাংলার রিয়্যালিটি শো মীরাক্কেলের সিজন টেনের অন্যতম ফাইনালিস্ট ছিলেন রাশেদ। মীরাক্কেল খ্যাত রাশেদ এর জনপ্রিয় বই "মীরাক্কেল এক্সপ্রেস"। যা ২০২২ সালে অমর একুশে বইমেলায় পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান, স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করার পর লেখক হিসেবে তার আবির্ভাব হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে