রাজধানীর ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই অডিওতে রিভাকে বলতে শোনা যায়, হলে তার কক্ষ থেকে কোনো ছাত্রীকে বের করার ক্ষমতা ইডেন কলেজ অধ্যক্ষেরও নেই।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতির ওপরে কেউ নেই বলতেও শোনা যায় তাকে।
ফাঁস হওয়া অডিওটির জন্য সংগঠনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রিভা।
কী আছে অডিওতে
রিভার অডিওটি ছড়িয়ে পড়ে শুক্রবার রাতে। ইডেন কলেজের রাজিয়া হলের ২০২ নম্বর কক্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলা কথাগুলোর অডিও সেটি।
অডিওতে যে কথাগুলো শোনা যাচ্ছে, তা নিজের বলে স্বীকার করে নিয়েছেন রিভা। এতে তাকে ২০২ নম্বর কক্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘তোরা লিগ্যাল তাতে আমার…গেছে। কোন হ্যাডাম দেখাইতে আসিস তোরা। আমার পলিটিক্যাল রুমে তোরা লিগ্যাল থাকবি কি না, সেটা তোদের বিষয়। কে কে টাকা জমা দিছিস? আমারে দিছিস? আর কে লিগ্যাল?’
ওই সময় পাশ থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ও তো অসুস্থ; বাসায় গেছে?’ জবাবে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘২০২-এ আর লিগ্যাল কে? তোরা লিগ্যাল তাতে আমার কী…ছিঁড়া গেছে? বল? আমি কি…তোদের?’
রিভা বলতে থাকেন, ‘চ্যাটাং চ্যাটাং করতেছোস। এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁড়া ফেলমু। চার মাস হয়ে গেছে। ফাইজলামি শুরু করছিস।’
ওই সময় সুমনা মীর নামের এক ছাত্রীকে গালমন্দ করতে শোনা যায়। ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘বুঝিস না, পলিটিক্যাল রুমে থাকিস। তোদের লিগ্যাল করাইছে, তাতে আমার…কী? আমি যদি একটা সিট না দিই, ২০২ থেকে তোদের কোন বাপ সিট দেবে? ম্যাডামরা দেবে? ক্ষমতা আছে ম্যাডামদের?
‘ম্যাডামদের ক্ষমতা আছে আমাদের রুম থেকে একটা মেয়েকে বের করার? ইডেন কলেজের প্রিন্সিপালেরও ক্ষমতা নেই এ রুম থেকে একটা মেয়েকে বের করার।
‘একদম গলায় পাড়া দিয়ে ধরতে ইচ্ছা করতেছে। আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে যে রুমে বলব, সে রুমে যাবি। আমার সঙ্গে হ্যাডাম দেখাইতে আসে!’
ইডেন কলেজ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে ছাত্রলীগ নেত্রী রিভাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘একটা সিঙ্গেল মেয়ে যদি ওই রুমে এসে কন্ট্রোল করতে চায়, সে হোক নেত্রী, ইডেন কলেজের প্রিন্সিপাল ম্যামও কোনো মেয়ে দিতে পারবে না।
‘এটুকু সেন্স থাকা উচিত ছিল। রুমটা যেহেতু ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্ট নিয়ে নিছে, ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্টের ওপরে আর কেউ নাই।’
ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় অডিওর বিষয়ে রিভার বক্তব্য জানা যায়নি, তবে একটি সংবাদমাধ্যমে রিভাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘মেয়েরা প্রোগ্রামে যায়নি। তাই তাদের একটু বলতে আসছিলাম। তারা প্রোগ্রাম না করায় তাদের রুম থেকে শিফট করার কথা বলছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হল প্রশাসন তো আর সবাইকে রুম চেঞ্জ করাতে পারবে না। এটা আমার দেখভাল করা রুম।
‘আমি এখানে যেভাবে ভালো হবে, সেভাবে শিফট করাব। এটা আমার এখতিয়ার।’
কী বলছেন শিক্ষকরা
অডিওতে রিভার বক্তব্য নিয়ে জানতে চাইলে ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বিষয়টি এডিয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘ইডেন কলেজের হোস্টেল সুপার আছেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার আছেন। উনারাই হোস্টেলের সব কিছু দেখাশোনা করেন। ফলে বিষয়টি উনারাই দেখবেন।’
ছড়িয়ে পড়া অডিও সম্পর্কে রাজিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ নারগিস রুমা বলেন, ‘অডিওটা আমি শুনেছি।’
সিটের জন্য রিভাকে টাকা দিতে হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেই রুমে থাকা মেয়েগুলো ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছে। এটা ঠিক যে টাকাগুলো তারা রিভাদের দেয়নি। তাদের দেয়ার কথাও না। সে কী চাচ্ছে, সেটি আমার বলাটা ঠিক হবে না।’
প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমরা বসব, কথা বলব। উত্তেজনাবশত অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে। ওরা আমাদের সন্তানের মতো, তারা ভুল করতে পারে। ভুলটা আমরা সংশোধনের চেষ্টা করছি।’
ভুল করে শিক্ষার্থীদের এভাবে শাসাতে পারেন কি না জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা যদি কোনো প্রেশার ক্রিয়েট করে বা টাকা-পয়সা দাবি করে, এটা নৈতিক না।’
ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য জোর করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই ছাত্র আন্দোলন অনেক আগে থেকেই চলছে। ছাত্ররাই সবকিছু প্রতিষ্ঠা করে।’
ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া আর ছাত্র আন্দোলন এক জিনিস কি না জানতে চাইলে নারগিস রুমা বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলি, কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে গেলে যাবে, নয়তো যাবে না। জোর করাটা ঠিক না। আমি তাদের নিয়ে বসব।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘হয়তো আমাদেরই ভুল। আমরা আমাদের সন্তানদের ঠিকভাবে শিক্ষা দিতে পারছি না। আমরা সেটা চেষ্টা করছি।’
রিভা চাইলে সবকিছু পারেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘রিভা যে বলছে সে চাইলে কাউকে নামাতে পারবে বা ওঠাতে পারবে, এই জিনিসটা ভুল। এটা ঠিক না। আমরাই কাউকে প্রয়োজন অনুযায়ী এক সিট থেকে আরেক সিটে নিয়ে যাব।’
কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা নিজের কানে কিছু শুনিনি। অডিওতে অনেক কিছু অ্যাড করা যায়।’
অডিওটা নিজের বলে রিভা স্বীকার করে নিয়েছেন। তা অধ্যক্ষকে জানালে তিনি বলেন, ‘আমাদের সব ছাত্রী আমাদের সন্তান। পরিবারে আমাদের ছেলেমেয়েরাও নানান সময়ে নানান কিছু করে থাকে। তাদের যেমন আমরা মাতৃস্নেহে রাখি, তেমনি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারেও আমাদের মানসিকতা সেটাই।’
কলেজ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হোস্টেল সুপাররাই বিষয়টি দেখবেন।’
রিভার ক্ষমা প্রার্থনা
এদিকে শুক্রবার মধ্যরাতে রিভা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া পোস্টে ছড়িয়ে পড়া অডিওটির জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীর সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। এরা আমার পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কিছু নয়। একান্ত ব্যক্তিগত পরিবেশে হলেও দায়িত্বশীল জায়গা থেকে অসংযত ভাষার প্রয়োগ আমার অপরাধ হয়েছে বলে আমি স্বীকার করছি।
‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমাকে এমন শিক্ষা দেয় না। তাই সংগঠনের প্রতি আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে “জুলাই ২০২৪: বিপ্লব ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান” শীর্ষক এক সেমিনার আজ ২১ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার সভাপতিত্বে সেমিনারে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, জুলাই শুধু একটি গণ-অভ্যুত্থান নয়, বরং এটি বৃহৎ পরিবর্তনের একটি সম্ভাবনার প্রতীক। এর মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, একারণে কাজে-কর্মে, চলনে-বলনে সর্বত্র তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য