× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
275 million people in the world will need humanitarian assistance
google_news print-icon

বিশ্বে সাড়ে ২৭ কোটি মানুষের মানবিক সহায়তা লাগবে

বিশ্বে-সাড়ে-২৭-কোটি-মানুষের-মানবিক-সহায়তা-লাগবে
সহিংসতা ও সংঘাতের কারণে চলতি বছর আফগানিস্তানের কান্দাহারে এই তিনবোনসহ তাদের পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়। ছবি: ওসিএইচএ
২০২১ সালে বিশ্বে সাড়ে ২৩ কোটি মানুষের এমন সুরক্ষার প্রয়োজন ছিল। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই মূলত এই বছর আরও সাড়ে চার কোটি মানুষের এমন সহায়তা নিতে হতে পারে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই।

চলতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৭ কোটি ৪০ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তা এবং সুরক্ষার প্রয়োজন হবে। বিশ্ব মানবতা দিবসের এক দিন আগে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ এ তথ্য দিয়েছে।

গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান ওভারভিউ-২০২২ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে বিশ্বসংস্থাটির মানবিকবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ‘২০২২ সালে ২৭ কোটি ৪০ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তা এবং সুরক্ষা প্রয়োজন হতে পারে।’

ওসিএইচএ জানিয়েছে, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোর (ডিআরসি) সবচেয়ে বেশি ২ কোটি ৭০ লাখ বাসিন্দার এমন সহায়তা লাগবে। কঙ্গো থেকে ১০ লাখ কম এমন সহায়তাপ্রত্যাশী নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার আরেকটি দেশ ইথিওপিয়া।

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা নেয়া এক বছর পর অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকটে পড়ে যায় দেশটির বাসিন্দারা। এতে করে চলতি বছর প্রায় আড়াই কোটি মানুষের এমন জরুরি সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে।

চতুর্থ অবস্থানে থাকা ইয়েমেনের দুই কোটির বেশি মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

মিয়ানমারের প্রায় দেড় কোটি মানুষ মানবিক বিপর্যয়ে পড়ে যেতে পারে।

সুদান ও সিরিয়ার প্রায় তিন কোটি মানুষের এমন সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে।

এই তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। তবে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হামলা, নিপীড়ন ও হত্যার শিকার হয়ে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী জরুরি মানবিক সহায়তার এ তালিকায় রয়েছে।

২০২১ সালে বিশ্বে সাড়ে ২৩ কোটি মানুষের এমন সুরক্ষার প্রয়োজন ছিল। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই মূলত এই বছর আরও সাড়ে চার কোটি মানুষের এমন সহায়তা নিতে হতে পারে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

গত বছরের সংখ্যাটিই কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।

জাতিসংঘের সংস্থাটি গত বছরের প্রতিবেদনেও উল্লেখ করেছে, সারা বিশ্বে প্রতি ৩৩ জনের মধ্যে একজনের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হয়েছে।

২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ২০ লাখ। কেবল তিন বছরের ব্যবধানে এই বছর প্রায় সাড়ে ২৭ কোটি হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছে সংস্থাটি।

২০০৩ সালের ১৯ আগস্ট ইরাকের রাজধানী বাগদাদে দেশটিতে জাতিসংঘের কার্যালয়ে চালানো বোমা হামলায় ২২ আন্তর্জাতিক সহায়তা কর্মী নিহতের পঞ্চম বছরে ২০০৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর পর প্রতি বছর ওই সহায়তা কর্মীদের আত্মদানের স্মরণে ওই দিনটিতে বিশ্ব মানবতা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

ওসিএইচএর আরেকটি প্রতিবেদনে গেল বছর হামলার শিকার হওয়া জরুরি সহায়তা ও ত্রাণকর্মীর সংখ্যা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে ২০২১ সালে কমপক্ষে ৪৬০ জনেরও বেশি মানবিক সহায়তা কর্মী হামলার শিকার হন। এদের মধ্যে ১৪০ জন নিহত হন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
31 dead after bus falls into river in Mali

মালিতে বাস নদীতে পড়ে ৩১ জনের মৃত্যু

মালিতে বাস নদীতে পড়ে ৩১ জনের মৃত্যু মালিতে একটি যাত্রীবাহী বাস সেতু থেকে নদীতে পড়ে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: জিনহুয়া
পশ্চিম আফ্রিকায় বেশির ভাগ গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া ও বেপরোয়াভাবে চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি যাত্রীবাহী বাস সেতু থেকে নদীতে পড়ে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে মালিয়ান শহর কেনিয়েবা থেকে বুরকিনা ফাসো যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাসটিতে মালিসহ পশ্চিম আফ্রিকার অন্য দেশের নাগরিকও ছিলেন।

পশ্চিম আফ্রিকায় বেশির ভাগ গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া ও বেপরোয়াভাবে চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

২০২৩ সালে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আফ্রিকাতে বিশ্বের যানবাহন সুবিধার মাত্র দুই শতাংশ থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের প্রায় এক চতুর্থাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে মহাদেশটিতে।

আরও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
মালিতে স্বর্ণের খনিতে টানেল ধসে নিহত ৭০
মালিতে বন্ধ হলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন
দক্ষিণ আফ্রিকায় চাঁদা না পেয়ে বাংলাদেশির প্রাণ নিল সন্ত্রাসীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Many casualties are feared in the attack on the mosque church in Burkina Faso

বুরকিনা ফাসোতে মসজিদ গির্জায় হামলা, অনেক হতাহতের শঙ্কা

বুরকিনা ফাসোতে মসজিদ গির্জায় হামলা, অনেক হতাহতের শঙ্কা বুরকিনা ফাসোর বানি শহরের একটি মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত
বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বর্তমানে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির কর্তৃপক্ষ মালি থেকে আসা আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এসব গোষ্ঠী সাহেল অঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর একটি মসজিদে হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে একই দিনে একটি ক্যাথলিক গির্জায় হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

একটি নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানায়, স্থানীয় সময় রোববার ভোর ৫টার দিকে ফজরের নামাজের সময় কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি নাটিয়াবোনি শহরের একটি মসজিদে ঢুকে হামলা চালায়। এতে নামাজে থাকা অনেক মুসলিম নিহত হন, যাদের বেশির ভাগই পুরুষ। নিহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

বেনিন এবং টোগোর সীমান্তের কাছাকাছি বুরকিনার এ অঞ্চলটি ২০১৮ সাল থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্বারা নিয়মিত আক্রমণের শিকার হচ্ছে।

এদিকে মসজিদে হামলার একই দিনে বুরকিনা ফাসোর সাহেল অঞ্চলের ডোরি শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এসসাকানে গ্রামে সমাবেশের সময় একটি ক্যাথলিক গির্জায় হামলা করা হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ জন বেসামরিক নিহত এবং দুজন আহত হয়েছে বলে জানান গির্জার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

সম্প্রতি বুরকিনা ফাসোর উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি সামরিক দলও হামলার শিকার হয়।

আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট (এসিএলইডি) অনুসারে, ২০১২ সালে মালি থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় বুরকিনা ফাসোতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে। জাতিসংঘ বলছে, দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বর্তমানে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির কর্তৃপক্ষ মালি থেকে আসা আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এসব গোষ্ঠী সাহেল অঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

এ ছাড়া গত তিন বছরে দেশটির মসজিদ ও গির্জাগুলোকে বারবারই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের প্রার্থনায় বাধা নেই
মেক্সিকোতে গির্জার ছাদ ধসে প্রাণ গেল সাতজনের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gas explosion in Kenya killed 2 injured more than 200

কেনিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ২, আহত দুই শতাধিক

কেনিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ২, আহত দুই শতাধিক নাইরোবির বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৭১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
দেশটির সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, আগুনের ঘটনায় গ্যাস রিফিলিং কোম্পানির ভবনটি পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও ২২২ জনের মতো দগ্ধ হয়েছে।

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগে দুইজন নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

নাইরোবির এমবাকাসি পাড়ায় স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতে একটি গ্যাস রিফিলিং কোম্পানিতে বিস্ফোরণটি ঘটে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

কেনিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ২, আহত দুই শতাধিক
ছবি: রয়টার্স

দেশটির সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, আগুনের ঘটনায় গ্যাস রিফিলিং কোম্পানির ভবনটি পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও ২২২ জনের মতো আহত হয়েছে।

রয়টার্সকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এ আগুন নিকটবর্তী একটি টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। এতে ওই স্থানের বেশ কয়েকটি যানবাহন এবং বাণিজ্যিক ও আবাসিক সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

কেনিয়ার রেড ক্রস জানিয়েছে, নাইরোবির বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৭১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
৪৫ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণে চকবাজারে দোকানের আগুন
দোহারে বাইরে থেকে তালা দিয়ে ঘরে আগুন, স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ঝুট গুদাম
ঠাকুরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ে ছাই স্কুল
কারওয়ান বাজারে বস্তিতে আগুন, নিহত ২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The end of the UN peacekeeping mission in Mali

মালিতে বন্ধ হলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন

মালিতে বন্ধ হলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন মালিতে ২০১৩ সালে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করে জাতিসংঘ। ছবি: রয়টার্স
দেশটিতে ২০১৩ সালে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেছিল জাতিসংঘ। ২০২০ সালে সামরিক সরকার মালির শাসনক্ষমতা নেয়ার পর গত জুনে তারা এ শান্তিরক্ষা মিশনটি বন্ধ করার দাবি জানায়।

আফ্রিকার দেশ মালিতে এক দশক পর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সামরিক সরকার।

মিশনটির মুখপাত্র ফাতৌমাতা কাবার বরাত দিয়ে সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, মালিতে জাতিসংঘের ইউএন মাল্টিডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্টাবিলাইজেশন মিশন ইন মালি (এমআইএনইউএসএমএ) নামে পরিচিত মিশনটির রাজধানী বামাকোর সদর দপ্তরে জাতিসংঘের পতাকা নামিয়ে ফেলেছে।

মুখপাত্র কাবা জানান, পতাকা নামিয়ে ফেলার বিষয়টি প্রতীকী, যা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি বোঝায়।

তবে মিশনের কিছু কাজকর্ম এখনও চলছে, যেগুলো জানুয়ারির পর সমাপ্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

দেশটিতে ২০১৩ সালে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেছিল জাতিসংঘ। ২০২০ সালে সামরিক সরকার মালির শাসনক্ষমতা নেয়ার পর গত জুনে তারা এ শান্তিরক্ষা মিশনটি বন্ধ করার দাবি জানায়।

তারা আর মালিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতি দেখতে চায় না বলে জানান।

আরও পড়ুন:
গেইলের পর টি-টোয়েন্টিতে শোয়েব মালিকের ১২ হাজার
সোমালিয়ায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০০
কঙ্গনার নির্বাচনে দাঁড়ানোর গুঞ্জন শুনে চটলেন হেমা মালিনী
সোমালিয়ার হোটেলে জিম্মিদশা কাটল ৩০ ঘণ্টার অভিযানে
আমেরিকার বিমান হামলা: সোমালিয়ায় নিহত ১৩

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Military drone strike accidentally kills 85 civilians in Nigeria

নাইজেরিয়ায় সামরিক ড্রোন হামলায় ‘ভুলবশত’ ৮৫ বেসামরিক নিহত

নাইজেরিয়ায় সামরিক ড্রোন হামলায় ‘ভুলবশত’ ৮৫ বেসামরিক নিহত প্রতীকী ছবি
এর আগে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়ার একটি সামরিক বিমান বোর্নো রাজ্যের দাগলুনে বোমা ফেলে ২০ জন বেসামরিককে হত্যা করে।

নাইজেরিয়ায় বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে চালানো সামরিক ড্রোন হামলায় ভুলবশত ৮৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

আল জাজিরার মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাদুনা রাজ্যের তুদুন বিরি গ্রামে রোববার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মুসলমানরা সেখানে ধর্মীয় উৎসবে জড়ো হয়েছিলেন।

কাদুনা গভর্নর উবা সানি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে চালানো ড্রোন হামলায় ভুলে বেসামরিকদের হত্যা করা হয়েছে। এ হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন।’

ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, ৮৫টি মরদেহ এখন পর্যন্ত কবর দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অনুসন্ধান কাজ চলছে।

এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নাইজেরিয়া দপ্তর ওই এলাকায় তাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের বরাত দিয়ে বলছে, হামলায় অন্তত ১২০ জন নিহত হয়েছেন।

অ্যামনেস্টির নাইজেরিয়ার পরিচালক ইসা সানুসি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।

নাইজেরিয়ার উপদ্রুত অঞ্চলে বাসিন্দাদের ওপর ‘ভুল’ বোমা হামলার সবশেষ ঘটনা ছিল এটি। এর আগে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়ার একটি সামরিক বিমান বোর্নো রাজ্যের দাগলুনে বোমা ফেলে ২০ জন বেসামরিককে হত্যা করে ও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আবাসিক এলাকায় এই ধরনের বোমা হামলার অন্তত ১৪টি ঘটনার রেকর্ড রয়েছে।

এ হামলায় নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী বাসে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ৮
আইফেল টাওয়ারের কাছে হামলায় একজন নিহত
যুদ্ধবিরতির পরপরই ইসরায়েলি হামলায় নিহত শতাধিক ফিলিস্তিনি
আতঙ্কে আল-শিফা ছেড়েছে শতাধিক গাজাবাসী
হামলায় বিধ্বস্ত গাজার ৬০ মসজিদ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
France withdraws diplomatic troops from Niger

নাইজার থেকে দূত, সেনা প্রত্যাহার করছে ফ্রান্স

নাইজার থেকে দূত, সেনা প্রত্যাহার করছে ফ্রান্স নাইজার থেকে দূত ও সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ছবি: এপি
নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ‘শেষ’ জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে থাকা দেড় হাজার সেনাকে আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সবাইকে দেশে নিয়ে আসা হবে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে চলতি বছরের জুলাইয়ে হওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।

এক টেলিভিশনে রোববার দেয়া সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, ‘ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।’

নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ‘শেষ’ জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে থাকা দেড় হাজার সেনাকে আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সবাইকে দেশে নিয়ে আসা হবে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারে কয়েক সপ্তাহ ধরে ‍ক্ষমতার দখল নেয়া সামরিক বাহিনীর চাপ ও জনতার বিক্ষোভের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট উল্লিখিত ঘোষণা দিলেন।

নাইজারে গত ২৬ জুলাই হওয়া অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি না দেয়া মাখোঁর কাছে ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সামরিক নেতারা। সেনা প্রত্যাহারের কাঙ্ক্ষিত সেই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।

জাতীয় টেলিভিশনে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠ করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই রোববার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বের পথে নতুন ধাপকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যাতে নাইজারের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-ফ্রান্স সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর
সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
নাইজারে অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিচ্ছে ওয়াগনার: যুক্তরাষ্ট্র
ইকোওয়াসের আলটিমেটাম শেষ, আকাশসীমা বন্ধ করল নাইজার
নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death toll in Libya floods may rise to 20000

লিবিয়ায় বন্যায় মৃত বেড়ে হতে পারে ২০ হাজার

লিবিয়ায় বন্যায় মৃত বেড়ে হতে পারে ২০ হাজার লিবিয়ার দারনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। ছবি: রয়টার্স
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর স্বজনদের মরিয়া হয়ে খুঁজছেন দারনার প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকজন। উদ্ধারকারীরা মরদেহ রাখার জন্য আরও বডি ব্যাগ চাইছেন।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দারনায় প্রলয়ংকরী ঝড় দানিয়েলের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র আবদুলমেনাম আল-গাইতি।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশন আল অ্যারাবিয়াকে তিনি জানান, বন্যা উপদ্রুত জেলা বিবেচনায় মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজার হতে পারে।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর স্বজনদের মরিয়া হয়ে খুঁজছেন দারনার প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকজন। উদ্ধারকারীরা মরদেহ রাখার জন্য আরও বডি ব্যাগ চাইছেন।

দারনার বাসিন্দা মাহমুদ আবদুলকরিম ত্রিপোলিতে সাংবাদিক মৌতাজ আলিকে জানান, বাঁধ ভাঙার পর দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে যথাসময়ে উদ্ধার করতে না পারায় তিনি মা ও ভাইকে হারিয়েছেন।

ত্রিপোলির দেরওয়ানি সম্প্রদায়ের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থল থেকে মৌতাজ আলি বলেন, ‘তিনি (আবদুলকরিম মা) স্থান ছাড়তে চাননি…বুঝতে পারেননি পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে।’

আবদুলকরিম জানান, তার মা ও ভাই যতক্ষণে ফ্ল্যাট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। তারা রাস্তায় আসার পর বানের জলে ভেসে যান।

গত মঙ্গলবার দারনা ছাড়তে পারা সাংবাদিক মাবরুকা এলমেসমারি আল জাজিরাকে জানান, দারনা শহরে নেই পানি, বিদ্যুৎ কিংবা পেট্রল।

তার ভাষ্য, পুরো শহর ধসে সমতল হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দি হাজারো পরিবার
যমুনায় পানি বাড়ছেই, দুই জেলায় তলিয়েছে কয়েক শ’ গ্রাম
ইসরায়েলের সঙ্গে বৈঠকে পদ গেল লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিদর্শনে সাতকানিয়ায় এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী
বন্যা-ভূমিধস: হিমাচল ও উত্তরাখন্ডে প্রাণহানি বেড়ে ৮১, নিখোঁজ ১৩

মন্তব্য

p
উপরে