শরীয়তপুরের ডামুড্যার একটি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে, তদন্তে গঠন করা হয়েছে কমিটি।
এ ঘটনায় তোপের মুখে পড়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারও।
অভিযুক্ত রথি কান্ত ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পাশাপাশি ছাত্রী স্কাউটেরও ইন্সট্রাক্টর।
বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রী ও দুজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কিছুদিন আগে এক ছাত্রী স্কাউটে ভর্তি হতে আগ্রহ দেখায়। ছুটির পর তাকে স্কুলের একটি কক্ষে দেখা করতে বলেন শিক্ষক রথি কান্ত। মেয়েটি সেখানে গেলে তাকে যৌন হয়রানি করা হয়। মেয়েটি পালিয়ে বের হয়ে ঘটনা জানায় স্কাউটের বন্ধুদের।
আরেক ছাত্রী নিউজবাংলাকে জানায়, এ ঘটনা নিয়ে স্কাউটে বন্ধুদের সঙ্গে মেয়েটির কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পরে ফেসবুকে। এরপর ডামুড্যা উপজেলা শহরে বিষয়টি জানাজানি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কাউট টিমের আরেক ছাত্রী বলে, ‘আমাদের অনেককেই এই নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তবে মান-সম্মানের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে চায় না। শিক্ষকদের এমন অনিয়ম প্রশয় দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক দায়ী। তিনি নিজেও ছাত্রীদের বিভিন্ন সময়ে বাজে কথা লিখে ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ পাঠান।’
আরেক অভিভাবক বলেন, ‘আমার নাম প্রকাশ করতে পারবেন না। যেখানে শিক্ষক ছাত্রীকে হেনস্তা করে সেখানে লেখাপড়ার কি পরিবেশ থাকতে পারে? মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবেই বালিকা বিদ্যালয়ে দিয়েছি। এখন তো আতঙ্কে আছি।’
এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের জন্য প্রধান শিক্ষক সুজিতকে কল করা হলে তিনি সাংবাদিকদের গালমন্দ করেন বলে অভিযোগ করেছেন দৈনিক আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন।
শাহাদাত জানান, তাকে ও আরেক সাংবাদিক আশিকুর রহমানকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন প্রধান শিক্ষক। সেসব কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিংও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
শাহাদাত বলেন, ‘একটি তথ্য জানতে চাওয়া কি অপরাধ? তিনি যেভাবে আমাকে হুমকি ও গালাগালি করেছেন আমি নিজে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একজন শিক্ষকের এমন আচরণের নিন্দা জানাই এবং তার শাস্তি দাবি করছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষক রথি কান্তকে একাধিকবার কল করা হয়। তবে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
প্রধান শিক্ষক সুজিত বলেন, ‘ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণের বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন সুজিত।
এ বিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, ঘটনাটি তার নজরে এসেছে। তদন্তের পর অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দিয়ে হেফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীর দুই নিতম্ব এবং পায়ের তলা পুড়িয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার হোমনায় মাদ্রাসার মুহতামিমের (প্রধান) বিরুদ্ধে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে মঙ্গলবার রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার নয়াকান্দি মমতাজিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোর উপজেলার চান্দেরচর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় মা হাফেজা বেগম মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মো. সাইফুল ইসলাম হাবিব, সহযোগী শিক্ষক আতিকুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা করেন। মূল অভিযুক্ত মুহতামিম ও আসামি তিন শিক্ষার্থী পালিয়ে গেছেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৮ বছর বয়সী ওই মুহতামিম একই উপজেলার নয়াকন্দি গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তার শিক্ষক আতিকুল ইসলাম মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার শ্রীকাইল গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক বিশেষ সভায় মঙ্গলবার মুহতামিমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, ‘দেখে মনে হয়েছে, ১০-১২ দিন আগেই পুড়েছে। দুই নিতম্বেই পুড়ে গিয়ে গভীর ঘাঁ হয়ে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
নির্যাতিত শিশু আবদুল কাইয়ুম জানায়, ওইদিন সে তার অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাচ্ছলে দুষ্টুমি করছিল। এক ফাঁকে তার পরণের লুঙ্গি খুলে যায়। এর শাস্তি হিসেবে ওইদিন (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মুতামিম তাকে অফিসে নিয়ে শিক্ষক আতিকুল এবং তিন শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় তার নিতম্ব এবং পায়ের তলায় গরম ইস্ত্রি লাগিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে ঝলসে দেন।
ভুক্তভোগীর মা হাফেজা বেগম বলেন, ‘খাবার নিয়ে মাদ্রাসায় গেলে সে আমাকে দেখে কাঁদতে থাকে। ছেলের মানসিক অবস্থা বুঝে তাক বাড়ি নিয়ে আসি। বাড়িতে এসে সে তার জখমের জায়গা দেখিয়ে পুরো ঘটনা বলে। তারা আমার ছেলের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করেছে।’
এ বিষয়ে ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ‘সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। ছেলেটিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’
হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আবদুল কাইয়ুমকে গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দিয়ে পোড়ার ঘটনায় মুহতামিম হাফেজ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক আতিকুল ইসলামহ আরও তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মা হাফেজা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’
আরও পড়ুন:অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন টাঙ্গাইলের গোপালপুরের সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পাল। অবিবাহিত থাকায় প্রধান শিক্ষকের চাপে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল রনি প্রতাপের।
কালিহাতী উপজেলার মগড়া গ্রামের সত্য পালের মেয়ে স্বর্ণা পালের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন রনি প্রতাপ। স্বর্ণা অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
শুক্রবার তাদের আশীর্বাদ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হবে বলে জানান রনি।
এর আগে বিদ্যালয়টিতে সহশিক্ষা কার্যক্রম, অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে পড়ালেখা করায় তার বিয়ের জন্য চাপাচাপির খবর প্রকাশ করে নিউজবাংলা। সে সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাকে বারবার বিয়ের তাগিদ দিতে থাকেন। সেসময় তার অভিমত ছিল, বিদ্যালয়ে একমাত্র অবিবাহিত শিক্ষক রনি প্রতাপ। বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা এড়াতেই তিনি রনিকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছেন।
কিন্তু তার কথা মেনে দ্রুত বিয়ে না করায় পরে লিখিত নোটিশও দেয়া হয় ওই সহকারী শিক্ষককে।
নোটিশে বলা হয়, ‘বিদ্যালয়ে যোগদানের পর আপনাকে বারবার মৌখিকভাবে তাগিদ দিয়েছি বিবাহ করার জন্য। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, কয়েক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও আপনি বিবাহ করেননি। বিদ্যালয়টিতে সহশিক্ষা চালু রয়েছে। অভিভাবকরা অবিবাহিত শিক্ষক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। সুতরাং বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিবাহের কার্য সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে পাক্কা নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
নোটিশটি পাওয়ার দুদিন পর প্রধান শিক্ষককে লিখিত জবাবও দেন সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ। জবাবে তিনি লেখেন, ‘আমার অভিভাবকরা আমার বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুদের বিয়ের পাত্র-পাত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গোত্র বা বর্ণের বিষয় রয়েছে। এছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শ্রাবণ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত বিয়ে করাটা শুভ মনে করেন না। সুতরাং পারিবারিক ও ধর্মীয় রীতির কারণে আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আমার অভিভাবকরা আমাকে বিবাহ করাবেন বলে জানিয়েছেন।’
এ নিয়ে সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
অবশ্য বিয়ের ব্যাপারটি কোনো চাপে নয়, বরং নিজের ও পরিবারের পছন্দেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রনি প্রতাপ। তিনি বলেন, ‘আপাতত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছোটখাটো অনুষ্ঠান করছি। তাই এখনও কাউকে বলা হয়নি। তবে বিয়েতে হেড স্যারকে অবশ্যই নিমন্ত্রণ করা হবে।’
তবে রনির বিয়ের বিষয়টি এখনও প্রধান শিক্ষকের কানে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০১৬ সালে সহকারী শিক্ষক পদে ওই বিদ্যালয়ে যোগ দেন রনি প্রতাপ পাল। গত ২৬ জুলাই তাকে নোটিশ দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
নিয়মবহির্ভূত বিয়ের নোটিশ দেয়ায় ও আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক সরকারি তদন্ত চলমান রয়েছে। তাছাড়া, প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কার চেয়ে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, সাবেক শিক্ষকরা, এমনকি স্থানীয়রাও এর আগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
আরও পড়ুন:আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে মৌখিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার পরিচালক (উপসচিব) আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে মৌখিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাবেন প্রার্থীরা। ওইদিন বিকেলে এসএমএস পাঠিয়ে প্রার্থীদের মৌখিক তারিখ, সময় ও স্থান জানিয়ে দেয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.ntrca.gov.bd এবং http://ntrca.teletalk.com.bd) ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পরবেন।
মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও মার্কশিট, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও প্রবেশপত্রের মূলকপি ও এক সেট ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর ২০২২ সালের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এক লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।
চলতি বছরের ৫ ও ৬ মে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে অংশ নেন মোট এক লাখ চার হাজারের বেশি প্রার্থী। গত ৩০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে উত্তীর্ণ হন ২৬ হাজার ২৪২ জন।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় শিক্ষকের ভুল সিদ্ধান্তে এইচএসসির পৌরবিজ্ঞান ও সুশাসন বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারেননি এক পরীক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার সকালে সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের প্রভাষক ফিরোজ ইসলামকে কেন্দ্রে থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থী মুন্নী আক্তার দরগ্রাম সরকারী ভিকু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী। নাগরপুর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের রাথুরা এলাকার রমজান আলীর স্ত্রী তিনি।
স্থানীয়দের বরাতে সূত্র জানায়, সকালে স্বামী রমজান আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নাগরপুর উপজেলার রাথুরা থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে পৌরবিজ্ঞান ও সুশাসন পরীক্ষা দিতে সাটুরিয়ার সৈয়দ কালুশাহ কলেজে আসছিলেন মুন্নী আক্তার। পথিমধ্যে মোটরসাইকেলের চাকার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি রাস্তা পড়ে যান এবং মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন তিনি। ওই অবস্থায় সকাল পৌনে ১০টার দিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হন তিনি।
এসময় চিকিৎসার জন্য মুন্নী আক্তারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে বলেন সৈয়দ কালুশাহ কলেজের প্রভাষক ফিরোজ ইসলাম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নিয়ে পৌনে ১১টার দিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেন তিনি। ততক্ষণে পৌরবিজ্ঞান ও সুশাসন প্রশ্নপত্রের এমসিকিউ পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে যায় এবং এমসিকিউ পরীক্ষা দিতে না পারায় বাকি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি মুন্নী।
স্বামী রমজান আলী বলেন, ‘অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার পরও আমার স্ত্রী পরীক্ষা দিতে এসেছিল, কিন্তু ফিরোজ স্যারের জন্য আমার স্ত্রী পরীক্ষা দিতে পারল না। আমরা তো স্যারের কোনো ক্ষতি করি নাই। তাহলে স্যার আমাদের এত বড় ক্ষতি করল কেন! কারণ স্যারে হাসপাতালে যেতে না বললে তো আমরা হাসপাতালে যেতাম না।’
পরীক্ষার্থী মুন্নী আক্তার বলেন, ‘প্রত্যেকের জন্য এমসিকিউ বাধ্যতামূলক এবং ৩০ মিনিটে ৩০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে পরীক্ষার বাকি অংশ দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
‘তাছাড়া আমি তো পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্রে এসেছিলাম। আর কেন্দ্রে তো ডাক্তার থাকেন। স্যার চাইলে আমাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে চিকিৎসা দিয়ে বিশেষ কোনো উপায়ে পরীক্ষা নিতে পারতেন। কারণ কেউ অসুস্থ হলে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে। স্যারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল। স্বামীর সংসার করে, খুব কষ্ট করে পড়ালেখা করেছিলাম। আমার সব শেষ হয়ে গেল।’
অব্যাহতি পাওয়া প্রভাষক ফিরোজ ইসলাম জানান, পরীক্ষার্থীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে উপজেলা হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছিল। কারণ তার মাথা ফেটে ও হাত কেটে যাওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষণ হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসা নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে আসতে এমসিকিউ পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। তাই সে আর বাকি আড়াই ঘণ্টার পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব গণেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘পরীক্ষার প্রায় একঘণ্টা পর বিষয়টি জানতে পারি এবং তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানাই। একইসঙ্গে বিষয়টি শিক্ষাবোর্ডকেও অবহিত করেছি আমি। তবে ইউএনও এবং শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে বিশেষ ব্যবস্থায় তার পরীক্ষা নেয়া উচিত ছিল।’
সাটুরিয়ার ইউএনও শান্তা রহমান বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব আমাকে অবহিত করলে বিশেষ ব্যবস্থায় তার পরীক্ষা নেয়া যেত। কিন্তু পরীক্ষার্থী বা শিক্ষক কেউ আমাকে বিষয়টি জানাননি। ঘটনা শোনার পর প্রভাষক ফিরোজ ইসলামকে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। কারণ পরীক্ষার্থীদের জন্য সকল ব্যবস্থা কেন্দ্রের ভেতরে রাখা হয়েছে। যা ঘটেছে বিষয়টি দুঃখজনক।’
আরও পড়ুন:শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর পর সিনেট গঠনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কবির হোসেন।
সাংবাদিক ও গবেষক মুস্তফা মনওয়ার সুজনের বিজ্ঞানভিত্তিক উপন্যাস ‘খলিশাপুরের কুকুরগুলো এবং রকিবের থিসিস’-এর প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
রাজধানীর বনানীতে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাস্ট ক্লাব কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আলোচ্য উপন্যাস এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শাবির সাবেক অধ্যাপক ড. জয়নাল আবেদিন, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শফিউল আলম ও টরন্টো প্রবাসী শিক্ষক রাফিয়া মকবুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভিসি প্রফেসর কবির হোসেন বলেন, শিগগিরই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ বছর এগিয়ে যাবে। এছাড়া গবেষণায় আরও উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
শাবি উপ-উপাচার্য বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর পার হলেও সিনেট গঠন হয়নি। শিগগিরই সিনেট নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এক্ষেত্রে অ্যালামনাইদের নির্বাচনে সিলেট ও ঢাকায় ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা হতে পারে। এ বিষয়ে তিনি শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলে জানান।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের প্রতিষ্ঠান সাস্ট ক্লাব সভাপতি জাকির হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। গ্লোবাল টিভির বার্তা সম্পাদক মুস্তফা মনওয়ার সুজন নিজের লেখা উপন্যাসটির বিষয়ে বলেন, ‘এটি একটি জাদু বাস্তবতা। এতে বিকৃত ও বিচিত্র রুচির অনেক মানুষের চরিত্র উঠে এসেছে।
‘খলিশাপুরের কুকুরগুলো এবং রকিবের থিসিস’ উপন্যাসটির প্রকাশক বেহুলাবাংলা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন আপন অপু।
আরও পড়ুন:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই বিভাগের ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামালউদ্দীন আহমদ জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকারকে। অপর তিন সদস্য হলেন- অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. নীলোৎপল সরকার, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিগার সুলতানা ও সহকারী প্রক্টর ড. মোহাম্মদ রেজাউল হোসাইন।
এর আগে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসী তার নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে এক বছর প্রেমের সম্পর্কে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে জানিয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন তিনি। গত বুধবার শিক্ষকের নিজ কক্ষে ওই নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় দরজা বন্ধ অবস্থায় লক্ষ্য করা হয়।
বিষয়টি বিভাগের অন্য শিক্ষকদের নজরে আসলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরপর ওই নারী শিক্ষার্থী শিক্ষককে বিয়ে করতে বললে তিনি আপত্তি জানান। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে গণিত বিভাগের অ্যাকাডেমিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গত সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষকের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সঙ্গে বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট লিখিত আবেদন দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শরিফুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি বিভাগের অ্যাকাডেমিক সভায় প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে বিভাগের সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:একটা সময় ছিল যখন দোয়াতের কালি আর তালপাতায় শিক্ষা জীবন শুরু করত শিশুরা। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে সেই ব্যবস্থা। তবে নতুন করে সেই শিক্ষা ব্যবস্থার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বাগেরহাটের চিতলমারীর ‘শিশু শিক্ষা নিকেতন’ নামের একটি পাঠশালা।
দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে চলতে থাকা এ পাঠশালা থেকেই শিক্ষা জীবন শুরু করছে অসংখ্য কোমলমতি শিশু।
সরোজমিনে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার প্রতন্ত গ্রাম দক্ষিণ ডুমুরিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, এই গ্রামে ১৮ বছর ধরে ‘শিশু শিক্ষা নিকেতন’ নামের একটি পাঠশালা চালাচ্ছেন ৭৫ বছর বয়েসী পণ্ডিত কালীপদ বাছাড় নামের এক বৃদ্ধ। স্থানীয়দের সহায়তায় চলা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা মিলল দোয়াত-কালি আর তালপাতার। এখানকার শিশুরা দোয়াতের কালি আর বাঁশের কঞ্চির কলম দিয়ে তালপাতায় লিখে শুরু করছে তাদের শিক্ষা জীবন। বর্তমান প্রজন্মের কাছে রূপকথার গল্প মনে হলেও পাঠশালায় অন্তত অর্ধশত শিশু তালপাতায় অক্ষর জ্ঞান চর্চার দেখা মিলে।
পাঠশালার শিক্ষক পণ্ডিত কালীপদ বাছাড় বলেন, ‘তালপাতায় অক্ষর চর্চায় হাতের লেখা ভালো হয়। এই পাঠশালা থেকে শিশুরা প্রথম অক্ষর জ্ঞান লাভ করে। তারা স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ, বানান, যুক্তাক্ষর, শতকিয়া, নামতা, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করে এখান থেকে। এই পাঠশালা থেকে শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়।’
তবে পাঠশালাটিতে সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ ও জলাবদ্ধতাসহ রয়েছে নানা সমস্যা। সমস্যাগুলো সমাধানে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয় অভিভাবক লক্ষ্মী রানী বলেন, ‘আমাদের পাঠশালার শিক্ষক কালীপদ বাছাড় শিশুদের খুব ভালো পড়ান। তিনি হাতে ধরে শিশুদের তালপাতার লেখা শেখান। এ কারণে আশপাশের প্রায় ৫টি গ্রামের ৫০টি শিশু এই পাঠশালায় পড়াশোনা করে। ভালো পড়াশোনার কারণে আমারাও আগ্রহ নিয়ে শিশুদের এই পাঠশালায় ভর্তি করি।’
তিনি জানান, প্রতি শিক্ষার্থীদের জন্য মাসে মাত্র ১৫০ টাকা নেন শিক্ষক কালীপদ বাছাড়। যা দিয়ে তালপাতা ও দোয়াত কালি পাঠশালাটির বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় করা হয়।
আরেক অভিভাবক শীল্পা রানী মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের এই পাঠশালাটি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে প্রচণ্ড গরমে খুব কষ্ট হয় শিশুদের। এছাড়া কোনো খাবার পানির ব্যবস্থা নেই। দুপুরে নদীতে জোয়ার এলে পাঠশালার মাঠটি পানিতে তলিয়ে যায়, তখন কাদাপানি পার হয়ে ছেলে-মেয়ে নিয়ে আমাদের বাড়িতে যেতে হয়। আমরা অভিভাবকরা জলাবদ্ধতাসহ পাঠশালাটির সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা ভজন মণ্ডল ও নিলয় ঢালী বলেন, ‘স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া দক্ষিণপাড়া শিশু শিক্ষা নিকেতন নামের এই পাঠশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালে। বর্তমানে পাঠশালাটিতে বিদ্যুৎ না থাকা ও জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে আমরা পাঠশালাটি দেখাশোনার পাশাপাশি সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ঐতিহ্যবাহী এই পাঠশালাটির সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
এ বিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন বলেন, ‘চিতলমারী উপজেলার ডুমুরিয়া দক্ষিণপাড়া নামের একটি পাঠশালা রয়েছে। পাঠশালাটিতে এখনও সেই পুরাতন আমলের তালপাতার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। যেটা আমাদের পুরাতন শিক্ষা ব্যবস্থা ইতিহাস-ঐতিহ্য কথা মনে করিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি পাঠশালাটিতে বিদ্যুৎ ও জলাবদ্ধতা বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সমাধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুতই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
মন্তব্য