× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Another example of negligence A 50 ton crane was lifting a 70 ton girder
google_news print-icon

অবহেলার আরেক নমুনা: ‘৫০ টনের’ ক্রেন তুলছিল ৭০ টনের গার্ডার

অবহেলার-আরেক-নমুনা-৫০-টনের-ক্রেন-তুলছিল-৭০-টনের-গার্ডার
রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেট কারের ওপর বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে বক্স গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহত হন। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ হারানো ক্রেনটির সর্বোচ্চ ৪৫ থেকে ৫০ টন ওজনের গার্ডার সরানোর সক্ষমতা ছিল। কিন্তু সোমবার ১৫ আগস্ট দুর্ঘটনার দিন এই সক্ষমতার ক্রেনটি দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ টন ওজনের গার্ডার সরানো হচ্ছিল। এত ভারী গার্ডার ওঠানোর সময় ক্রেনে কাউন্টার ওয়েট রাখা দরকার ছিল। তাও রাখেনি দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। যার ফলে ক্রেনের বাড়তি ওজন বহন করা সম্ভব হয়নি।’

রাজধানীর উত্তরায় বক্স গার্ডার দুর্ঘটনার পেছনে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অবহেলার আরেক নমুনার কথা জানিয়েছে ক্রেন পরিচালনাকারীকে গ্রেপ্তার করা র‍্যাব।

বাহিনীটি জানিয়েছে, যে গার্ডারটি গাড়িতে তোলা হচ্ছিল, সেটির ওজন ৭০ টন। কিন্তু যে ক্রেন দিয়ে সেটি তোলা হচ্ছিল, সেটি বড়জোর ৫০ টন তোলার ক্ষমতা রাখে।

এই ক্রেনটির কাগজে-কলমে উত্তোলন ক্ষমতা ৮০ টন হলেও পুরোনো হওয়ার কারণে শক্তি ক্ষয়ে সেই ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

গত সোমবার বিকেলে উত্তরার জসিম উদ্দীন মোড়ে রাখা গার্ডারটি একটি গাড়িতে তোলার সময় সেটি পিছলে পাশ দিয়ে চলা একটি প্রাইভেট কারকে পিষ্ট করে। এতে এর পাঁচ আরোহী মারা যান। বেঁচে ফেরেন কেবল দুজন, যাদের বিয়ে হয়েছে দুর্ঘটনার কেবল দুই দিন আগে।

অবহেলার আরেক নমুনা: ‘৫০ টনের’ ক্রেন তুলছিল ৭০ টনের গার্ডার
ক্রেনটির কাগজে-কলমে উত্তোলন ক্ষমতা ৮০ টন হলেও পুরোনো হওয়ার কারণে শক্তি ক্ষয়ে সেই ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/ নিউজবাংলা

এই দুর্ঘটনার পরপরই জানা যায়, নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি না করেই এই গার্ডারটি তোলা হচ্ছিল। সেদিনই প্রশ্ন ওঠে, ক্রেনটির এই সক্ষমতা ছিল কি না, আর আসলে সেই ক্রেনটি কে পরিচালনা করছিলেন।

তবে ক্রেনের চালক এবং ঠিকাদারি কোম্পানির কর্মীরা সবাই পালিয়ে যাওয়ায় সেদিন এসব প্রশ্নের জবাব মেলেনি।

দুর্ঘটনার দুই দিন পর ক্রেনচালকসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। আর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কী পাওয়া গেছে, সেটি বাহিনীটি প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার।

দুপুরে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ হারানো ক্রেনটির সর্বোচ্চ ৪৫ থেকে ৫০ টন ওজনের গার্ডার সরানোর সক্ষমতা ছিল। কিন্তু সোমবার ১৫ আগস্ট দুর্ঘটনার দিন এই সক্ষমতার ক্রেনটি দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ টন ওজনের গার্ডার সরানো হচ্ছিল।

‘এত ভারী গার্ডার উঠানোর সময় ক্রেনে কাউন্টার ওয়েট রাখার দরকার ছিল। তাও রাখেনি দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। ফলে ক্রেনের বাড়তি ওজন বহন করা সম্ভব হয়নি।’

এই দুর্ঘটনায় ঠিকাদারি কোম্পানির অবহেলার আরেক নমুনার কথা জানান এই র‍্যাব কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া ক্রেনটি চালাচ্ছিলেন চালকের সহকারী। চালক নিজেরও এ ধরনের কোনো ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না।’

অবহেলার আরেক নমুনা: ‘৫০ টনের’ ক্রেন তুলছিল ৭০ টনের গার্ডার
প্রাইভেট কারকে চাপা দেয়ার সময় ক্রেনটি চালাচ্ছিলেন চালকের সহকারী (হেলপার) রাকিব হোসেন (ডানে)। আর বাইরে থেকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন মূল অপারেটর বা ক্রেনচালক আল আমিন। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

এই দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক হাদিউজ্জামান ঠিকাদারি কোম্পানি, বাস্তবায়নকারী সংস্থা আর তদারকি সংস্থা তিন সংস্থার অবহেলাকেই দায়ী করেছিলেন।

সেদিন তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্রেন ঠিক আছে কি না। তার আগে দেখতে হবে ক্রেন যে অপারেট করছিল, তার লাইসেন্স আছে কি না। সে অভিজ্ঞ কি না, এটাও তদন্তের মাধ্যমে দেখতে হবে।

‘আমার গার্ডারের যে ওজন এবং ক্রেনের যে সক্ষমতা, সেটা ঠিক আছে কি না। এই জিনিসটাও গুরুত্বপূর্ণ।’

অবহেলার আরেক নমুনা: ‘৫০ টনের’ ক্রেন তুলছিল ৭০ টনের গার্ডার
বক্স গার্ডারে পিষ্ট প্রাইভেট কার। ছবি: নিউজবাংলা/পিয়াস বিশ্বাস

এখানে প্রশাসনিক অবহেলা আছে বলেও মনে করেন এই দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটা করছে, ভালো কথা। কিন্তু তারা ঠিকমতো প্র্যাকটিস করছে কি না, এটার নজরদারি বা তদারকির দায়িত্ব তো বাস্তবায়নকারী সংস্থার। এই ধরনের প্রকল্পের সুপারভিশনের দায়িত্ব আরেক সংস্থার থাকে।

‘তার মানে কাজটা ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেটার জন্য সুপারভিশন সংস্থা আছে, আমাদের বাস্তবায়নকারী সংস্থা আছে, এটার একটা সমন্বয় দরকার। আমি যেটা মনে করি, এই ধরনের কাজ একটা বড় কাজ।

‘পাশাপাশি এটা অনেক বিজি একটা করিডর। এই করিডরে কাজ করতে গেলে অবশ্যই যারা বাস্তবায়ন করছে, তাদের ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি এবং তদারকি করতে হবে। কোথাও যদি কনস্ট্রাকশন প্র্যাকটিসের ব্যত্যয় হয়, তাকে কিন্তু জবাব দিতে হবে। এই জবাব দিতে হয় না বলেই আমরা দেখছি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যেভাবে কাজ করার কথা, সেভাবে হয় না। তাদের মধ্যে অবহেলার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে।’

এই দুর্ঘটনার পর যে প্রাথমিক তদন্ত করেছে সরকার, তাতে ঠিকাদারি কোম্পানির অবহেলার প্রমাণ উঠে এসেছে বলে জানানো হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘটনায় বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলামকেও তদন্তের আওতায় আনতে বলেছেন।

এই নির্মাণকাজ নিয়ে সফিকুলের যে অবহেলা রয়েছে, সেটি দুর্ঘটনার দিন তার বক্তব্য ও র‍্যাবের বক্তব্যের পার্থক্যে উঠে এসেছে। সফিকুল ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেছিলেন, যে ক্রেন দিয়ে বক্স গার্ডারটি তোলা হচ্ছিল সেটির সক্ষমতা ছিল।

র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পের থার্ড পার্টি হিসেবে বিল্ড ট্রেড ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড থেকে মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে ক্রেনটি আনা হয়। ক্রেনটি ১৯৯৬-৯৭ সাল থেকে চলছে। প্রথমে ক্রেনটির সক্ষমতা ৮০ টন ছিল। পরে আস্তে আস্তে ক্রেনটির সক্ষমতা কমে যায়। সর্বশেষ ক্রেনটি দিয়ে ৪৫ থেকে ৫০ টন ভর শিফট করা সহজ ছিল। কিন্তু এই ক্রেন দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ টন ওজনের গার্ডারটি শিফট করা হচ্ছিল।’

তিনি জানান, ২০২১ সালে সর্বশেষ ফিটনেস যাচাই করা হয়, এরপর ক্রেনটির আর কোনো ফিটনেস যাচাই করা হয়নি।

খন্দকার মঈন বলেন, ‘আমরা গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি, অতিরিক্ত ভার বহন করায় ক্রেনটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। এ ধরনের গার্ডার শিফট করতে কাউন্টার লোড ব্যবহার করা উচিত ছিল। আরেকটি ক্রেন পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই রাখা উচিত ছিল। নিরাপত্তাব্যবস্থার অনেক ঘাটতি ছিল।’

আরও পড়ুন:
গার্ডার তোলার ক্রেনটি চালাচ্ছিলেন হেলপার রাকিব
উত্তরায় ৫ প্রাণহানির ঘটনায় ক্রেনের চালকসহ গ্রেপ্তার ৯
গার্ডার দুর্ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
গার্ডার দুর্ঘটনা: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Two dead bodies recovered in separate incidents in Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে আলাদা ঘটনায় দুই মরদেহ উদ্ধার 

মুন্সীগঞ্জে আলাদা ঘটনায় দুই মরদেহ উদ্ধার  প্রতীকী ছবি
সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম ও লৌহজং থানার ওসি খোন্দকার ইমাম জানান, পুলিশ ধারণা করছে দুই ব্যক্তিকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

মুন্সীগঞ্জে আলাদা ঘটনায় একদিনে দুই অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সিরাজদিখান ও লৌহজং উপজেলা থেকে সোমবার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি এলাকার এনআরবি নামক একটি ইট ভাটার পাশে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা।

প্রাণ হারানো মোহাম্মদ নেকবর হোসেন উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

বালুচর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওয়াসিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন নেকবর। স্বজনরা রাতে বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি।

এদিকে সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ হলুদিয়া এলাকায় একটি পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা।

প্রাণ হারানো মো. মোস্তফাও রোববার রাতে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরেননি বলে জানায় পুলিশ।

সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম ও লৌহজং থানার ওসি খোন্দকার ইমাম জানান, পুলিশ ধারণা করছে দুই ব্যক্তিকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In ADC Harunkand the punishment is as much as the crime
সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার

এডিসি হারুনকাণ্ডে যার যতটুকু অপরাধ ততটুকু শাস্তি

এডিসি হারুনকাণ্ডে যার যতটুকু অপরাধ ততটুকু শাস্তি সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এডিসি হারুন অর রশীদ। ফাইল ছবি
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। বাহিনীর যে নিয়মকানুন আছে, সেই নিয়মকানুনের মধ্যে চলে এবং চলবে। ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’

পুলিশের সাময়িক বরখাস্তকৃত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকেন্দ্রিক ঘটনায় যার যতটুকু অপরাধ ঠিক ততটুকু শাস্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রাজধানীর মিন্টো রোডে সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মিট দ্য প্রেস আয়োজন করে ডিএমপি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। বাহিনীর যে নিয়মকানুন আছে, সেই নিয়মকানুনের মধ্যে চলে এবং চলবে। ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’

তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটির রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে পুলিশের পক্ষ থেকে অপরাধ থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন, ‘যতটুকু অপরাধ করবে ঠিক ততটুকু শাস্তি দেয়া হবে।’ তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে আমিও একই কথা বলতে চাই, যতটুকু অপরাধ করবে ঠিক ততটুকু শাস্তি দেয়া হবে।”

রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তার যে ডিপার্টমেন্ট আছে সেটিও সরকারি বিধি-বিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে। আমি মনে করি জড়িত দুজন সরকারি ডিপার্টমেন্ট ও দুজনই ক্যাডার কর্মকর্তা। সেখানে দুজনের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ রয়েছে। যার যার দায়িত্ব সেই সেই পালন করবে আমি মনে করি।’

সাধারণ মানুষকে তল্লাশির নামে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়া, মামলা ছাড়া ধরে এনে টাকা-পয়সা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ডিএমপির কোনো সদস্য অপরাধে জড়ালে কী উদ্যোগ নেবেন জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অপরাধী পুলিশ হোক আর পুলিশের বাবা হোক, সে অপরাধী। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রেক্ষাপট

এডিসি হারুন গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে নারী পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদার সঙ্গে শাহবাগ মোড়ের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে যান। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান।

ওই সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সেখানে যোগ দেন এ দুই ছাত্রলীগ নেতাও। একপর্যায়ে এডিসি হারুন পুলিশ এনে তাদের শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। পরে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এডিসি হারুনের নেতৃত্বে মারধর করা হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদকে।

ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি। এডিসি হারুনকে করা হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত,তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদা পুরো ঘটনার দায় দিয়েছেন তার স্বামী মামুনকে। তিনি বলেছেন, তার স্বামীই প্রথমে হামলা চালান।

আরও পড়ুন:
তৃতীয়বারের মতো ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি ডিআইজি হারুন
এপিএস মামুনের দায় আছে কি না, তদন্ত হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপককে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ
হাসপাতালের সিকিউরিটি সুপারভাইজারের বর্ণনায় ‘এডিসি হারুনকাণ্ড’
সিনিয়রদের উৎপাতের ভিডিও করায় জাবি শিক্ষার্থীকে মারধর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of the child Azaan was killed and buried in the sink

হত্যা করে ডোবায় পুঁতে রাখা হয়েছিল শিশু আযানের মরদেহ

হত্যা করে ডোবায় পুঁতে রাখা হয়েছিল শিশু আযানের মরদেহ শিশু আযানের মরদেহ উদ্ধারের খবরে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনার জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।   

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে বাড়ি থেকে চুরি হওয়ার পাঁচ দিন পর দুই মাসের শিশু আযানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রতিবেশীর বাড়ির পেছন থেকে সোমবার সকাল ৬টার দিকে ডোবার মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শিশু আযান মুন্সীগঞ্জ মিরকাদিম পৌরসভার গোপালনগর এলাকায় মো. শরীফ মিয়ার ছেলে।

আযানের মামা মো. মোক্তার জানান, সোমবার সকাল ৬টার দিকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশুটির কিছু অংশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে শিশুটির মরদেহ টেনে তোলেন তারা এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মরদেহটি হেফাজতে নেয়।

এদিকে শিশু আযানের মামা ও স্বজনরা অভিযোগ করেন, পাশের বাড়ির ফারুক এবং তার পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। সকাল থেকে ঘরে তালা দিয়ে পলাতক রয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনার জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে দুই মাসের শিশু আযানকে ঘরে রেখে টয়লেটে যান তার মা শ্রাবণী বেগম। সে সুযোগে কে বা কারা ঘর থেকে চুরি করে আযানকে। পরে অনেক খোঁজখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে শিশু আযানের মামা মোক্তার হোসেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন:
বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার, ঢামেকে মৃত ঘোষণা যুবককে
বাবার কোপে প্রাণ গেল মেয়ের
গুলশানে বাসের ধাক্কায় নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে
বসতঘর থেকে ২ মাসের শিশু চুরি
মাছ ধরা নিয়ে ঝগড়া, মরদেহ মিলল কচুরিপানার ভেতরে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Housewives stay in madrasa premises demanding recognition of wife

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গৃহবধূর অবস্থান

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গৃহবধূর অবস্থান স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে রোববার ওই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করা নারী। ছবি: নিউজবাংলা
একাধিক বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওর যা মন চায় করুক। আমি কাউকে ভয় পাই না।’

মাদারীপুরের কালকিনিতে স্ত্রীর স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিতে স্বামীর কর্মস্থল মাদ্রায় অবস্থান নিয়েছেন এক গৃহবধু।

রোববার দুপুরে উপজেলার ডিক্রিরচর ফাজিল মাদ্রাসায় অবস্থান নেন ওই গৃহবধু। মাদ্রাসা অধ্যক্ষের ছত্রছায়ায় ওই প্রভাষক এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে।

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই গৃহবধু। বিচারের দাবিতে এখন বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।

ভূক্তভোগী দাবি করা ওই নারীর অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডিক্রিরচর ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে অনার্স পড়াকালিন ওই নারীর পরিচয় হয়। পরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুবাদে প্রায় সাত বছর আগে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে কাবিননামা তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে ওই শিক্ষক তার (ভুক্তভোগী) খোঁজখবর নেয়া বন্ধ করে দেন। পরে তার (শিক্ষক) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানান প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন ওই গৃহবধু। অভিযোগ পেয়ে প্রভাষকের বেতন বন্ধ করে তাকে পুনরায় ভুক্তভোগী নারীকে কাবিন করে বিয়ে করার জন্য নির্দেশনা দেয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেননি ওই প্রভাষক। এখন বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী।

তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ছত্রছায়ায় থেকে ওই প্রভাষক অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভূক্তভোগী দাবি করা ওই নারী বলেন, ‘সরলতার সুযোগ নিয়ে মোস্তাফিজ আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। আমি তার স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চাই। এর আগেও বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছে মোস্তাফিজ।’

একাধিক বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওর যা মন চায় করুক। আমি কাউকে ভয় পাই না।’

এ বিষয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ফজুলর রহমান বলেন, ‘আমরা ওই শিক্ষককের বেতন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তবে বিষয়টি উভয় পক্ষের লোকজন নিয়ে বসে সমাধানের জন্য সভাপতি নির্দেশনা প্রদান করেছেন।’

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এনামুল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কয়েকবার বসেছিলাম। কিন্তু এখনও কোনো সমাধানে পৌঁছতে পারিনি।’

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম বলেন, ‘এতবড় অপরাধ করে শিক্ষক কী করে পার পাওয়ার চিন্তা করেন? এটা সত্যিই দুঃখজনক ঘটনা।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পিংকি সাহা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ওই মাদ্রাসার সভাপতির সঙ্গে আমি কথা বলব।’

আরও পড়ুন:
মাদ্রাসা শিক্ষকের ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, শিক্ষার্থীকে ঢাকায় প্রেরণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Armed bandits arrested by fishermen

ডাকাতি করতে গিয়ে জেলেদের কাছে আটক

ডাকাতি করতে গিয়ে জেলেদের কাছে আটক মুন্সীগঞ্জে রোববার স্থানীয়রা জেলেরা আটক করে অস্ত্রধারী ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে। ছবি: নিউজবাংলা
গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রাশেদুল হক বলেন, ‘ডাকাত দল মালভর্তি একটি বাল্কহেডে নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জেলেরা তাদের আটক করে। খবর পাওয়ার পর আমরা সেখানে ছুটে যাই। বাল্কহেড বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছে।’

মুন্সীগঞ্জে দেড় কোটি টাকার মালামালসহ একটি বাল্কহেড ডাকাতি করে পালানোর সময় ছয় ডাকাতকে আটক করেছে স্থানীয় জেলেরা। আটকদের কাছ থেকে তিনটি রামদা এবং লুট করা নগদ তিন হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশের বঘুরচর এলাকায় রোববার ওই ডাকাতদের আটক করা হয়। এসময় আরও তিন ডাকাত কৌশলে পালিয়ে গেছে।

আটক ছয়জন হলেন- আব্দুল কাদির, সুজন, সাদ্দাম হোসেন ওরফে সবুজ, নান্নু মিয়া, শাহীন হাওলাদার ও রুবেল মোল্লা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলে আলী মিয়া জানান, ভোরে মাছ ধরার সময় তাদের জালের ওপর দিয়ে একটি বাল্কহেড দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছিল। এসময় কয়েকজন জেলে তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তারা না থেমে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জাল ছেড়ার ক্ষতিপূরণ আদায় করার জন্য কয়েকজন জেলে তাদের ট্রলার নিয়ে বাল্কহেডটিকে পেছন থেকে ধাওয়া করে। জেলেদের ধাওয়া খেয়ে দিক পরিবর্তন করে চালক বাল্কহেডটি হোসেন্দী বড় ব্রিজ এলাকার দিকে নিয়ে যেতে থাকে। সেখানে পানির গভীরতা কম থাকায় বাল্কহেডটি মাটিতে আটকে গেলে কয়েকজন জেলে বাল্কহেডের উপরে উঠে দেখতে পান ভেতরের কেবিন চেম্বারে তিনজন লোককে হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।

এ সময় তারা আশপাশের লোকজনকে খবর দিলে তারা ছয় ডাকাতকে আটক করে তিন বাল্কহেড শ্রমিককে উদ্ধার করেন। পরে খবর পেয়ে নৌ পুলিশ সদস্যরা এসে ৬ ডাকাত ও বাল্কহেড তাদের হেফাজতে নেয়।

বাল্কহেড মালিক হযরত আলী ফকির বলেন, ‘মালগুলো বরগুনার জেলার কয়েকজন ব্যবসায়ীর। তার দায়িত্ব মালগুলো নির্ধারিত স্থান থেকে সংগ্রহ করে তার বাল্কহেডের মাধ্যমে বরগুনাতে মালিকদের কাছে পৌঁছে দেয়া। নারায়ণগঞ্জ থেকে দেড় কোটি টাকার (তেল, আটা ও চিনি) মালামাল বাল্কহেডে লোড করা হয়েছিল আরও প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মালামাল নেয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে টাকা না দেয়ায় তারা মাল নিতে পারছিলেন না। সেজন্য গত দুইদিন যাবত মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশের তেতৈতলা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় বাল্কহেড নোঙ্গর করে তারা টাকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।’

তিনি জানান, রোববার সকালে তারা খবর পান বাল্কহেডের স্টাফদের জিম্মি করে ডাকাত চক্র সেটি ছিনতাই করে নেয়ার পথে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে। মালামাল অক্ষত রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি গজারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রাশেদুল হক বলেন, ‘ডাকাত দল মালভর্তি একটি বাল্কহেডে নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জেলেরা তাদের আটক করে। খবর পাওয়ার পর আমরা সেখানে ছুটে যাই। বাল্কহেড বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছে।’

বিষয়টি সম্পর্কে নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি, তবে গজারিয়া নৌ পুলিশ থেকে একটি ডাকাতির তথ্য পেয়েছি। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শুনেছি সেখানে দেড় কোটি টাকার মতো মালামাল ছিল তবে তারা কোন চালানের কপি দেখাতে পারেননি।’

আরও পড়ুন:
মাদারীপুরে ডাকাতির অভিযোগে দুজনের চোখ তুলে নিল গ্রামবাসী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
93 thousand check became 5 lakh 93 thousand

৯৩ হাজারের চেক হয়ে গেল ৫ লাখ ৯৩ হাজার!

৯৩ হাজারের চেক হয়ে গেল ৫ লাখ ৯৩ হাজার! চেকটি নিয়ে একে অপরকে দুষছেন বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। ছবি: নিউজবাংলা
স্কুল কমিটির সভাপতির দাবি, ৯৩ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য তিনি চেকে সাক্ষর করেছিলেন। পরে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম আরও ৫ লাখ টাকা যোগ করে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন।

রাজশাহীতে ৯৩ হাজার টাকার ইস্যু করা একটি চেক জালিয়াতি করে ৫ লাখ ৯৩ হাজার উত্তোলন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রোববার দুপুরে অগ্রণী ব্যাংকের কেশরহাট বাজার শাখায় টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে এই ঘটনা সামনে আসে।

অভিযুক্ত কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম।

এ বিষয়ে স্কুল কমিটির সভাপতির দাবি, ৯৩ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য তিনি চেকে সাক্ষর করেছিলেন। পরে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম আরও ৫ লাখ টাকা যোগ করে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন।

তবে স্কুল কমিটির সভাপতির এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন, টাকা উত্তোলনের সকল জায়গাতেই ৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা লেখা রয়েছে। সভাপতি সাহেব সবখানে সাক্ষরও করেছেন। এখন তিনি অস্বীকার করছেন।

স্কুলটির সভাপতি রুস্তম আলী প্রামানিক বলেন, “কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তার দোকানের এক কর্মচারী দেবাশীষকে টাকা উত্তোলনের জন্য রোববার দুপুরে ব্যাংকে পাঠান। ছেলেটি ব্যাংকে যাওয়ার পর ব্যাংক থেকে আমাকে ফোন করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য। ব্যাংক থেকে আমাকে জানানো হয়, প্রধান শিক্ষক ও আমার স্বাক্ষর করা একটি ৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার একটি চেক ব্যাংকে দেয়া হয়েছে। তখন আমি ‘শুধু ৯৩ হাজার টাকার চেকে সাক্ষর করেছি’ বলে তাদের জানাই। এর পরই ব্যাংক ওই চেক আটকে দেয়।

“ঘটনা শুনে দ্রুত আমি ব্যাংকে যাই। আমি তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষকেও ব্যাংকে আসতে বলি।’

তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম ব্যাংকে মোট ৯৪ হাজার টাকা আছে। তবে ছুটির মধ্যে ব্যাংকে অনুদান হিসেবে আরও ৫ লাখ টাকা জমা হয়েছে। এই টাকা সরাতেই প্রধান শিক্ষক এভাবে চেক জালিয়াতি করতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আপাতত চেকটি ব্যাংকেই ম্যানেজারের কাছে আছে।’

এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ক্ষমা চেয়েছেন বলেও জানান রুস্তম আলী প্রামানিক।

তবে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটি অনুদান এসেছে। এক চেকেই উত্তলনের জন্য আমি পাঠিয়েছিলাম। সভাপতি সাহেব সব জায়গাতেই কাগজে-কলমে ৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা লিখেছেন এবং সাক্ষরও করেছেন। এখন তিনি অস্বীকার করছেন। এখানে আমার কোনো দোষ নেই। আমি কোনো চেক জালিয়াতি করিনি।’

এদিকে প্রধান শিক্ষক ব্যাংকে উপস্থিত হলে সভাপতির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষককে ঘুষিও মারেন সভাপতি। পরে উপস্থিত লোকজন তাদের শান্ত করেন।

অগ্রণী ব্যাংক কেশরহাট শাখার ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান খান বলেন, ‘চেকটির মুড়িতে ৯৩ হাজার টাকা লেখা ছিল। তবে মেইন চেকে ৫ লাখ ৯৩ হাজার লেখা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে আমরা স্কুলের সভাপতিকে ফোন দেই।

‘দুই পক্ষ আসার পর থেকেই আমরা এটি নিয়ে সমাধানের জন্য বলেছি। এ বিষয়ে আমরা একটি চিঠিও দিয়েছি। তবে সমাধান না হাওয়া পর্যন্ত সবাই চেকটি আমাদের হেফাজতেই রাখতে বলেছেন। এজন্য চেকটি আমাদের হেফাজতেই রাখা হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The shot youth wanted to know the identity of the terrorists

সন্ত্রাসীদের পরিচয় জানতে চেয়ে গুলিবিদ্ধ যুবক

সন্ত্রাসীদের পরিচয় জানতে চেয়ে গুলিবিদ্ধ যুবক প্রতীকী ছবি
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা জানান, ‘ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা হাসপাতালে থাকায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি তারা। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রুজু হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’

ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারে গভীর রাতে নিজ বাড়িতে বাইসাইকেল চালিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আজিজুল খান।

শনিবার রাত একটার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল পূর্ব পাড়া রূপায়ন মাঠ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার বিকেলে ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই এসব তথ্য জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘শনিবার গভীর রাতে সাইকেল চালিয়ে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন আজিজুল। এ সময় বাড়ি থেকে কিছু দূরে সামনে অন্ধকারে চারজনকে বসে থাকতে দেখে আজিজুল সেখানে সাইকেল থামিয়ে দাড়ায়ে পরেন। এতো রাতে তারা কারা এবং সেখানে কী করছেন এটা জিজ্ঞেস করেন আজিজুল। তখন তারা আজিজুলকে বলেন- তুই বাসায় যা।

‘এর জবাবে আজিজুল জিজ্ঞাসা তাদের পাল্টা প্রশ্ন করেন তার বাড়ির ওখানে তারা কারা? এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী বাপ্পী আজিজুলের বাম পায়ে গুলি করে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আমার ভাইকে প্রথমে আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন।’

রোববার আজিজুলের পায়ে অস্ত্রপচার শেষে হাসপাতালে তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আজিজুল বাপ্পীকে চিনতে পেরেছে। বাপ্পী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এর আগেও অস্ত্র ও মাদকসহ সে গ্রেপ্তার হয়েছিল। আমরা পরিবারের সবাই আতঙ্কিত। কারণ বাড়ির পাশে গভীর রাতে কারা আড্ডা দিচ্ছে সামান্য এই প্রশ্ন করে আমার ভাইকে গুলি খেতে হয়েছে। আল্লাহর রহমতে সে প্রাণে বেঁচে গেছে। তবে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমাদের পক্ষে স্বস্তিতে বসবাস করা সম্ভব হবে না।’

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই সোহেল মোল্লা বলেন, ‘শনিবার অনেক রাতে ভাদাইল এলাকায় গুলির ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সামান্য বিষয়েই ওই যুবককে গুলি করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা হাসপাতালে থাকায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি তারা। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রুজু হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’

মন্তব্য

p
উপরে