তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মামলাজট কমানো ও বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমিয়ে কীভাবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বিচারপতিদের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
এ সময় রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে ‘সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২১’ তুলে দেন প্রধান বিচারপতি।
সে সময় রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাবে বিচার বিভাগ।’
সাক্ষাতে বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক ও বিচার বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন প্রধান বিচারপতি।
এ ছাড়া প্রধান বিচারপতি জানান, এ বছর দেশের সংবিধান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব আদালত প্রাঙ্গণে সাড়ম্বরে উদযাপন করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের যে কোনো তফসিলি ব্যাংকের একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে নির্বাচনি ব্যয় করতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিদিনের ব্যয়ের হিসেব দাখিল করতে হবে প্রার্থীদের। এমন নির্দেশনা দিয়ে কোনো প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার প্রার্থীদের বিষয়গুলো জানাতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক নির্বাচনি এজেন্টকে অথবা এজেন্ট নিয়োগ করা না হলে প্রার্থী কর্তৃক নিজে নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের জন্য (ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত) তফসিলি ব্যাংকে পৃথক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হবে। সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয়ের সমূদয় অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
নির্দেশনায় নির্বাচনি ব্যয় দাখিলের ক্ষেত্রে ছয়টি বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে-
প্রত্যেক দিন ব্যয় হওয়া অর্থের বিবরণীসহ পরিশোধিত অর্থের সব বিল, রসিদ ও ভাউচার। আদেশের অনুচ্ছেদ ৪৪ খখ এর দফাতে (ক) বর্ণিত তফসিলি ব্যাংকে খোলা অ্যাকাউন্টে জমা অর্থ এবং ওই অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলিত অর্থের প্রত্যয়িত বিবরণী।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক ব্যক্তিগত খরচ, যদি থাকে তা। নির্বাচনি এজেন্ট অবহিত আছেন এমন সব বিতর্কিত দাবির বিবরণী।
নির্বাচনি এজেন্ট অবহিত আছেন এমন সব অপরিশোধিত দাবির একটি বিবরণী। নির্বাচনি খরচের জন্য যে কোন উৎস থেকে প্রাপ্ত সব অর্থপ্রাপ্তির প্রমাণসহ ওই অর্থের প্রত্যেক উৎসের নাম উল্লেখ করে বিবরণী।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনি ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত বিধান সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেবেন। তারপরও যদি কেউ ওই বিধান কেউ লঙ্ঘন করেন তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এতে বলা হয়, যে ক্ষেত্রে নির্বাচনের বিরুদ্ধে নির্বাচনি মামলা হবে না, সেক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং যে নির্বাচনে অপরাধ সংঘটিত হবে যদি ওই নির্বাচন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারাধীন থাকে এবং হাইকোর্ট বিভাগ ওই অপরাধ সম্পর্কে কোনো আদেশ দিলে তার তিন মাসের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারকে উপযুক্ত আদালতে মামলা করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, মামলার জন্য নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই। ফলে এ বিষয়ে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্নভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অবহিত করে ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করা আবশ্যক।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। এখন চলছে ইসিতে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ফেরানোর আপিলের শুনানি। সর্বশেষ রোববার শুনানিতে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের গোপনীয়তায় কেউ হস্তক্ষেপ করলে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।
ইসির নির্দেশনায় বলা হয়, নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যাবলি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দুর্নীতিমূলক অপরাধ, বেআইনি আচরণ, উৎকোচ গ্রহণ, মিথ্যা পরিচয়ে ভোটদান, অপহরণ, বল প্রয়োগ কিংবা সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ, অস্ত্র বা শক্তি প্রদর্শন বা প্রয়োগ, ভোট গ্রহণের দিন ভোটকেন্দ্রের চার শ গজের মধ্যে ক্যানভাস, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, অবৈধ হস্তক্ষেপ, ভোটগ্রহণের গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ ইত্যাদি অনিয়মিত কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এতে বলা হয়, কোনো মহল বা ব্যক্তি দ্বারা যাতে উল্লিখিত অপরাধমূলক কার্যকলাপ কোনোক্রমেই সংঘটিত না হয়, সে উদ্দেশে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করতে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অনুরোধ জানাবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ হতে অনুচ্ছেদ ৮৭ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে যে সব শাস্তির বিধান ও করণীয় রয়েছে তাও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করবেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনে প্রথম দিনের আপিল শুনাতিতে ৯৪ জনের মধ্যে ৫৬ জন আপিলকারী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
রোববার শুনানিতে প্রার্থিতা ফেরে তাদের। একই সঙ্গে ৩২ জন প্রার্থীর আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। আর ৬ জনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবমিলিয়ে ১০০ জনের আপিল শুনানিতে এদিন ৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফিরে পাওয়াদের মধ্য উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন নেত্রকোনা-৫ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, মুন্সিগঞ্জ-১ মাহি বি চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-৩ নৌকা প্রতীক নাসিরুল ইসলাম খান, পাবনা-২ ডলি সায়ন্তনী, বগুড়া-৪ হিরো আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম, মাদারীপুর-২ আসনে ইউসুফ আলী সুমন, চট্টগ্রাম-১৫ আব্দুল মোতালেব, যশোর-৩ মো. মহিদুল ইসলাম, যশোর-৫ মো. হাবিবুর রহমান, ঢাকা-৫ মো. কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম-১ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, যশোর-৫ শেখ নুরুজ্জামান, মুন্সিগঞ্জ-২ মো. বাছু শেখ, যশোর-৩ মোহিত কুমার নাথ, খুলনা-৪ এস, এম, মোর্ত্তজা রশিদী দারা, যশোর-৬ হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম, ঢাকা-১২ খোরশেদ আলম খুশু, টাঙ্গাইল-৬ কাজী এটিএম আনিছুর রহমান বুলবুল, রংপুর-২ মো. জিল্লুর রহমান, কুষ্টিয়া-১ মহা. ফিরোজ আল মামুন।
এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে দুই হাজার ৭১২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে বাদ পড়ে ৭৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আপিল শুরু হয়েছে, চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
টাঙ্গাইল-৬ আসনের প্রার্থী কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুলকে ‘গেট আউট’ বলে হাইকোর্টে যেতে বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল জানান, নির্ধারিত সময়ের ৩৮ মিনিট আগেই তিনি অংশগ্রহণ করেন আপিল শুনানিতে, কিন্তু সময়ের আগে শুনানি শেষ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যথাসময়ে এ প্রার্থী শুনানিতে অংশ নিলেও তাকে ডিসকোয়ালিফাইড করে কমিশন।
বিষয়টি জানতে চাইলে প্রার্থীকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গেট আউট’।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রোববার অডিটরিয়াম শুনানিতে অংশ নিতে না পেরে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন টাঙ্গাইল-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বুলবুল।
প্রার্থীর আরও অভিযোগ করেন, তাকে পুলিশ দিয়ে শুনানি না করে বের করে দেয়া হয়েছে।
আনিসুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘আমি শুনানির আধাঘণ্টা আগে এসেছি। আমি ভেতরে যাওয়ার পর আমাকে বলা হলো, আপনার হেয়ারিং হয়ে গেছে। আমার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। প্রথমে জেলাতে আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এখানেও ঠিক একই অবস্থা করা হলো। আমি তাকে বিনীত অনুরোধ করার পরও তারা বলল, না হবে না।’
তিনি বলেন, “আমার শুনানি দুপুর ১২টায় ছিল, কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলল, ‘নো, আপনি হাইকোর্টে যান।”
সময়ের আগে কেন হেয়ারিং করা হলো এ নিয়ে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
সিইসি তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বলেন, ‘পুলিশ দিয়ে আমাকে বের করে দিয়েছেন তারা। এটা ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে। আমি হাইকোর্টে যাব। আমি বলেছি আমার মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে রোববার এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেল, বারের সভাপতি-সম্পাদকসহ সিনিয়র আইনজীবীরা অংশ নেন।
জানাজা শেষে মরহুমের তৃতীয় জানাজার জন্য ইত্তেফাক ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছেন।
এর আগে রোববার সকালে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে তার প্রতি সম্মান জানিয়ে অর্ধবেলা বিচারকাজ থেকে বিরত থেকেছে সর্বোচ্চ আদালত। উভয় বিভাগের পর বিচার কাজ অর্ধবেলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মৃত্যু হয় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের।
আরও পড়ুন:সিলেটের ১০ নম্বর গ্যাস কূপের একটি স্তর থেকে জ্বালানি তেলের সন্ধান মিলেছে।
সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট ১০ নম্বর কূপের ওই অঞ্চলে আমরা দুই মাস আগে খনন কাজ শুরু করি। এ খনন কাজে চারটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রথম স্তরে আমরা তেলের সন্ধান পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘রোববার এক হাজার ৩৯৭ মিটার থেকে এক হাজার ৪৪৫ মিটার গভীরতায় তেলের উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ড্রিলিংয়ে সেখান থেকে ঘণ্টায় প্রায় ৩৫ ব্যারেলের মতো তেল উঠছে। কাজ শেষ হলে চার থেকে পাঁচ মাস পর তেলের মজুত জানা যাবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘দুই হাজার ৫৪০ ও দুই হাজার ৪৬০ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন হলে পুরো জায়গাটা আট থেকে ১০ বছর সাস্টেইন করবে।
‘যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের বেশি সময় সাস্টেইন করবে। এর আগে ১৯৮৬ সালে হরিপুরে যে তেলের মজুত পাওয়া যায়, সেটা ৫ বছর সাস্টেইন করেছিল।’
দুই ঘণ্টায় প্রায় ৭০ ব্যারেলের মতো তেল উঠেছে, তবে এর পর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। এর পর সম্পূর্ণ মজুত জানা যাবে, তবে আমরা আশাবাদী মজুতটা স্থায়ী হবে।’
আরও পড়ুন:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য বরিশাল ও সিলেটের পুলিশ কমিশনার, পাঁচ পুলিশ সুপার (এসপি) ও এক জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বরিশাল ও সিলেটের দুই পুলিশ কমিশনার, হবিগঞ্জ, পিরোজপুর, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরের এসপিকে প্রত্যাহার করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি এবং মানিকগঞ্জ সদর, সিংগাইর ও শ্রীপুর থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের স্থলে উপযুক্ত কর্মকর্তাকে পদায়ন করার জন্য বলেছে ইসি।
মন্তব্য