ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় একটি জুয়েলারিতে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় স্বপন মণ্ডল নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি স্থানীয় নিউ আল আমিন জুয়েলার্সের মালিক।
বুধবার বেলা ২টার দিকে রসুলপুর বাজারে নাসির উদ্দিন সুপার মার্কেটের নিচতলায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ স্বপন মণ্ডলকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু) ভর্তি করা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, ‘একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তাৎক্ষণিক কাউকে গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি।’
স্বপনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পাশের মার্কেটের জুয়েলারি ব্যবসায়ী মো. মোক্তার হোসেন। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, বেলা ২টার দিকে একদল ডাকাত ঢুকে পড়ে আব্দুল্লাহপুর রসুলপুর বাজারের নাসির উদ্দিন সুপার মার্কেটে। সেখানে নিচতলায় থাকা নিউ আল আমিন জুয়েলার্সে চারজন ঢুকে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার লুট করে। দোকানে থাকা নগদ টাকাও তারা নিয়ে নেয়। ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা বাইরে অবস্থান করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংবাদ পেয়ে মার্কেটের অন্য ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে ডাকাতরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
স্বর্ণালংকার লুটের সময় দোকান মালিক স্বপন মণ্ডল বাধা দেন বলে জানান মোক্তার। তখন ডাকাতরা তাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। একটি গুলি স্বপনের ডান পায়ের হাঁটুতে বিদ্ধ হয়।
স্বপনকে উদ্ধারের পর বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জুয়েলারি দোকানটি থেকে কী পরিমাণ র্স্বণ ও টাকা লুট হয়েছে তা জানাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। অন্য কোনো দোকানে লুট হয়নি, সে ক্ষেত্রে ডাকাতরা টার্গেট করেই স্বপনের দোকানে ঢুকেছে বলে তারা মনে করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা মুখোশ ব্যবহার করেনি। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল, মুখ ছিল খোলা। ডাকাতির সময় বৃষ্টি হচ্ছিল বলে মার্কেটে লোকজনের উপস্থিতি ছিল কম।
৪৬ বছর বয়সী স্বপন মণ্ডল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বাগুইর গ্রামের মৃত গোপিন চন্দ্রের ছেলে। তিনি নাসির উদ্দিন সুপার মার্কেটের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘কেরানীগঞ্জ থেকে আনা গুলিবিদ্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পঙ্গুতে রেফার্ড করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ওই নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।’
এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতি না কমাতে পারলে এ সরকারের সাফল্য আসবে না।
তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
যেসব অভিযান পরিচালনার সময় হামলার আশঙ্কা রযেছে, সেখানে পুলিশসহ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মশিউর রহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ইমরান হাসান নামের এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
সুজনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহ আলম মিয়া।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে সুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে সোমবার সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে ইমরান হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর নিহতের মা কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন:সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, তবে অন্য মামলা থাকায় কারাগারেই থাকতে হচ্ছে তাকে।
মানিককে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আদালতে তুলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে মানিকের আইনজীবী আদালতে এ মামলায় জামিন আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর করে আদালত, তবে তার নামে অন্য মামলা থাকায় সিলেট কারাগারেই রাখা হচ্ছে তাকে। পরবর্তী সময়ে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে।
সিলেট সদর কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. জমশেদ আলী জানান, সকাল ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় সাবেক বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালতে আনা হয়।
গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় একটি জঙ্গল থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরের দিন সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন। পরে পাসপোর্ট আইনে মানিকের নামে কানাইঘাট থানায় মামলা করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর কানাইঘাটের মামলায় মানিকের আদালতে হাজিরার দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।
গত ২৪ আগস্ট আদালতে নেয়ার সময় বিচারক মানিককে মারধর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।
দীর্ঘ সময় ধরে হার্টের সমস্যার পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিলেন শামসুদ্দিন মানিক। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করিয়েছিলেন তিনি।
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর মানিককে হাসপাতাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, সোমবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক মো. জয়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইমাম হাসান তাইমকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান। টেকনাফে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের হেফাজতে আনা হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, বিষয়টি ঢাকায় সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহত করা হয়েছে। সেখান থেকে পুলিশের একটি দল কক্সবাজারে আসছে। তারাই আবুল হাসানকে ঢাকা নিয়ে যাবে।
নিহত তাইম নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম. ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত ২০ আগস্ট নিহত তাইমের মা পারভীন আক্তার ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ৫ জনের নামে এ মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন পুলিশের এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম ও এসি তানজিল আহমেদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সরকার কারফিউ জারি করে। ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সাথে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা পান করতে যান। সে সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিলেন।
বিক্ষোভের সময় ডিসি ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়েন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রাণ ভয়ে আন্দোলনকারীরা এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি করতে থাকেন। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের শাটার টেনে দেন, কিন্তু শাটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিল। সেখানে অবস্থানকারীদের পুলিশ টেনে বের করেন।
গুলি থেকে বাঁচতে চাইলে দৌড় দিতে বলেন জাকির হোসেন। তখন তাইম সবার আগে দৌড় দেন। জাকির গুলি করেন। বিনা চিকিৎসায় সেখানেই মৃত্যু হয় তাইমের।
আরও পড়ুন:যুবক ফজলুকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর ভাষানটেক থানায় হওয়া মামলায় দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তকে মঙ্গলবার সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালতে এ আদেশ দেন।
এর আগে শ্যামল দত্তকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. সাহিদুল বিশ্বাস ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ওই সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে রিমান্ডের আদেশ দেয়।
এর আগে সোমবার ভোর ছয়টার দিকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকা থেকে স্থানীয়রা শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল হক বাবুকে আটক করেন। এরপর তাদের ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর নিহত ফজলুর ভাই সবুজ বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলায় শ্যামল দত্তকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভাষানটেক থানাধীন এলাকায় বিজয় মিছিল করতে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফজলু মারা যান।
আরও পড়ুন:বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে গৃহকর্মী লিজা আক্তার হত্যার অভিযোগে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় করা মামলায় একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোজাম্মেল হক বাবু ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহর আদালত শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. পায়েল হোসেন। ওই সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর লিজা আক্তারের বাবা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই রমনা থানাধীন এলাকায় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এতে লিজাসহ অনেক সাধারণ মানুষ আহত হন। গুলিবিদ্ধ লিজা আক্তার ২২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় মঙ্গলবার সকালে দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ হয়েছে।
এ ঘটনায় এক নারী পোশাকশ্রমিক নিহত ও অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় মাসকট গার্মেন্টস লিমিটেড নামের তৈরি পোশাক কারখানার সামনে ওই ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো রোকেয়া বেগম মাসকট গার্মেন্টস লিমিটেড নামের কারখানার সহকারী সেলাই মেশিন অপারেটর ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, আজ সকালে মাসকট গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কাজ না করে কারখানার বাইরে চলে আসেন। ওই সময় তাদের কারখানার সামনে রেডিয়্যান্ট গার্মেন্টসের কাজ বন্ধ করতে মাসকট কারখানার শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই গার্মেন্টসের শ্রমিকরাই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। ইটপাটকেলের আঘাতে মাসকট কারখানার রোকেয়া বেগমের মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আরও অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হন। তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, সকালে মাসকট কারখানার শ্রমিকরা তাদের সামনের সম্ভবত রেডিয়্যান্ট নামের একটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ওই সময় ইটপাটকেলের আঘাতে এক নারী শ্রমিক নিহত হন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশসহ জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য