× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The case against Dr Yunus will continue in the labor court
google_news print-icon

শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে

ইউনূস
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়। 

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা চলবে। মামলাটি বাতিল প্রশ্নে দেয়া রুল খারিজ করে এ আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের বেঞ্চ বুধবার দীর্ঘ শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়।

ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত রুল ডিসচার্জ করেছেন। তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে যাব।’

এর আগে আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে বিষয়টিতে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন করা হয়। পাশাপাশি দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশও উপস্থাপন করা হয়।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।

মামলায় বলা হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গিয়ে শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘনের প্রমাণ পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি।

মামলায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে মামলা বাতিল চেয়ে ইউনূসের পক্ষে আবেদন করা হয় হাইকোর্টে।

আরও পড়ুন:
সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন বৈধ
শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
পিএইচডিতে জালিয়াতি রোধে নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি
সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি: হাইকোর্ট
সুইস ব্যাংকে অর্থের বিষয়ে ‘তথ্য চেয়েছিল বিএফআইইউ’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Clash between Jubo League leader and councilor group in Natore kills 1

নাটোরে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১

নাটোরে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১ নাটোর পৌর কার্যালয় চত্বরে মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সিহাব হোসেন শিশির (ডানে)। ছবি: নিউজবাংলা
ঠিকাদারির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষের এই ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান হিরু এবং একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসুকে আটক করা হয়েছে।

ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নাটোর পৌরসভা চত্বরে যুবলীগ নেতা হাসানুর রহমান হাসু ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরু গ্রুপের সংঘর্ষে সিহাব হোসেন শিশির নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় হাসানুর রহমান হাসু আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার এই ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান হিরু এবং একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসুকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত সিহাব হোসেন শিশির শহরের মল্লিকহাটি মহল্লার মোজাহার আলীর ছেলে ও কাউন্সিলর হিরুর সমর্থক।

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, দুপুরে পৌরসভার দ্বিতীয় তলায় ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কাউন্সিলর হিরু ও হাসুসহ দুই গ্রুপের কয়েকজনকে নিয়ে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী আলোচনা করছিলেন। এ সময় পৌরসভা চত্বরে দুই গ্রুপের সমর্থকদের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। হাসু গ্রুপের সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশিরের গলায় আঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরু ও ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রহমান হাসুকে আটক করেছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
8 arrested with weapons in special army operation in Bilaichhari

বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৮

বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৮ ছবি: আইএসপিআর
আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২টি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

রাঙামাটির বিলাইছড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপানিছড়া পাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এদিন সকালে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ বেঙ্গল কর্তৃক ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে। কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবরের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। পরে সেনা সদস্যদের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২টি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটককৃতদের বিলাইছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ পাউডার দিয়ে সফট ড্রিংকস বানানো কারখানা সিলগালা
ময়মনসিংহে তিন হাসপাতাল এক ক্লিনিক সিলগালা
অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় পুরান ঢাকার ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
পেশাগত দক্ষতা দিয়ে সেনাবাহিনী বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে: সেনাপ্রধান
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই কোরের সদস্যদের প্রস্তুত হতে বললেন সেনাপ্রধান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The causes of the Faridpur accident were known

ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল

ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল অতিরিক্ত গতি থাকায় সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় যানবাহন দুটির সামনের অংশ। ছবি: নিউজবাংলা
সরেজমিনে ঘুরে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে উল্টো লেনে গাড়ি চালানো ও এবড়ো খেবড়ো সড়কের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ফরিদপুরের কানাইপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। দুর্ঘটনায় এক পরিবারের চার সদস্যসহ মোট ১৪ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আরও দুজন।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের দিগনগর তেঁতুলতলায় ঢাকা থেকে মাগুরা অভিমুখী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে সড়কেই ঝরে পড়ে ১১ প্রাণ। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।

তবে সরেজমিনে ঘুরে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে উল্টো লেনে গাড়ি চালানো ও এবড়ো খেবড়ো সড়কের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ফরিদপুর পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার ও স্থানীয়দের দাবি অন্তত তা-ই।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও পিকআপ দুটিরই অতিরিক্ত গতি ছিল। আর পিকআপচালক তার নির্দিষ্ট লেন ছেড়ে বিপরীত লেনে চলে আসেন। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাসের চালক ফিট ছিলেন কি না, পিকআপটির চালকের লাইসেন্স ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সুবাস বাড়ৈ বলেন, ‘গাড়িটি (বাস) ওভার স্পিডে (অতিরিক্ত গতি) চলছিল। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।’

দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই শেখ লিমনের বাড়ি। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এখানে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কিছু বিট ও তার পাশে গর্ত আছে, রাস্তাও এবড়ো থেবড়ো। ঈদের আগেও এখানে বিশ-বাইশটি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সকালে ওই বিটের কাছেই দুর্ঘটনা ঘটে।’

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, নিহতদের দাফনের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের পরবর্তীতে ৫ লাখ এবং গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন:
ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Yunus bail was extended till May 23
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা

ড. ইউনূসের জামিন বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত

ড. ইউনূসের জামিন বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডিত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত জামিন বৃদ্ধি করে আদেশ দিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। খবর বাসসের

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলমখান।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিন চান। ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ আবেদন দাখিল করেন।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে গত ১ জানুয়ারি ছয়মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার পরপরই আপিল শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয় আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত বিলে জমা দেয়া হয়নি।

শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

আরও পড়ুন:
ড. ইউনূসের দণ্ড স্থগিতে ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাতিল করেছে হাইকোর্ট
স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় নভোএয়ারের গাড়িচালক রিমান্ডে
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
দেশের বাইরে যেতে আদালতে ড. ইউনূসের আবেদন
আপিলের জন্য ৫৪ কোটি টাকা জমা দিলেন ড. ইউনূস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
6 fugitive accused in Jhenaidah murder case arrested

ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার শৈলকুপায় হত্যা মামলার ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয়রা জানায়, রোববার বিকেলে কাদা খেলা নিয়ে ওই গ্রামের মাতব্বর সুনিল বিশ্বাসের সঙ্গে অধির বিশ্বাস নামের এক চৈত্র সন্ন্যাসীর কথা কাটাকাটি হয়। দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে সন্ন্যাসীকে থাপ্পড় দেন সুনিল বিশ্বাস। এরই জের ধরে রাতে বাড়ির পেছনে গেলে সুনিল বিশ্বাস ও তার ছেলে স্বাধীনকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন সন্ন্যাসীরা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বাধীন বিশ্বাস হত্যা মামলার ছয়জন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৬।

উপজেলার ভাটই বাজার এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানায় র‍্যাব।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন ভগবাননগর গ্রামের সজীব বিশ্বাস (২০), বিজয় বিশ্বাস (১৮), সুশান্ত বিশ্বাস (৩৫), সুভাষ বিশ্বাস (৪০), প্রশনজিৎ বিশ্বাস (২৬) ও পলাশ বিশ্বাস (১৬)।

এর আগে রোববার রাতে উপজেলার ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ার সুনিল বিশ্বাসের ছেলে স্বাধীন বিশ্বাসকে (২২) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও একজন।

স্থানীয়রা জানায়, ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নীলপূজার অংশ হিসেবে কাদা খেলার আয়োজন করে স্থানীয় বাগদি সম্প্রদায়। রোববার বিকেলে এ নিয়ে ওই গ্রামের মাতব্বর সুনিল বিশ্বাসের সঙ্গে অধির বিশ্বাস নামের এক চৈত্র সন্ন্যাসীর কথা কাটাকাটি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে সন্ন্যাসীকে থাপ্পড় দেন সুনিল বিশ্বাস। এরই জের ধরে রাতে বাড়ির পেছনে গেলে সুনিল বিশ্বাস ও তার ছেলে স্বাধীনকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন সন্ন্যাসীরা। রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওই দিন রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাধীনের মৃত্যু হয় স্বাধীনের।

এ ঘটনায় স্বাধীন বিশ্বাসের বাবা বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, সোমবার বিকেলে র‌্যাব-৬ (ঝিনাইদহ ক্যাম্প)-এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ছয়জন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের মঙ্গলবার সকালে শৈলকুপা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন:
রূপপুরে পড়ে গিয়ে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে দুই বাসের সংঘর্ষে নারীসহ ২ জন নিহত
কাদা খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ‘সন্ন্যাসীদের’ পিটুনিতে যুবক নিহত
ঝরে গেল হাসনাহেনা, মা শুধুই কাঁদছেন
গাছে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ যুবক নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The sound of mortar shells is coming intermittently in Teknaf

টেকনাফে থেমে থেমে আসছে মর্টার শেলের শব্দ

টেকনাফে থেমে থেমে আসছে মর্টার শেলের শব্দ কক্সবাজারের টেকনাফের একটি এলাকা। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, ‘মনে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছে। এ কারণে সীমান্তে আগের তুলনায় এখন বিস্ফোরণের শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে।’

মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের চলমান লড়াইয়ের মধ্যে থেমে থেমে মর্টার শেলের শব্দ ভেসে আসছে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফে।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলাটিতে মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তাদের ভাষ্য, সীমান্তে বসবাসকারীদের জন্য নাফ নদী দিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া এবং টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। তখন মিয়ানমারের ওপার থেকে ভারি বিস্ফোরণের শব্দ এপারে ভেসে আসে। এতে সীমান্তের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে।

‘সারা দিন থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও রাতে তা তীব্র হয়ে উঠে আরও। এখনও এ রকম চলতেছে। এপারের ভূখণ্ডে গোলা না পড়লেও ভূখণ্ড কাঁপছে ঠিকই।’

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, ‘মনে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছে। এ কারণে সীমান্তে আগের তুলনায় এখন বিস্ফোরণের শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে।

‘ঈদের দিন ও মধ্যরাতসহ এখনও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ওপার থেকে টেকনাফ সীমান্তে ভেসে আসছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের কোনো নাগরিক যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তবর্তী রাখাইনে তাদের অভ্যন্তরের অনেক দূরে গোলাগুলি চলছে। এ কারণে এপারে বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের সীমান্তবর্তী লোকজনের ভয়ের কোনো কারণ নেই। সীমান্তে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের ১৮০ সেনা ফিরে যাবে, তবে এখনই নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিন সপ্তাহ পর উদ্ধার টেকনাফে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ
৮০০ টাকার জন্য যুবককে গুলি করে হত্যা, দাবি পরিবারের
নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
টেকনাফের অপহৃত চারজন ফিরেছেন ‘মুক্তিপণ দিয়ে’, এক কৃষকের খোঁজ নেই

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Naogaon city the contractor was hacked and injured

নওগাঁ শহরে ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম

নওগাঁ শহরে ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রোববার রাতে প্রকাশ্যে কোপানো হয় ঠিকাদারকে। ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, ‘সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।’

নওগাঁয় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার মধ্য দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন (৩৫) নামের পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রোববার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মোশাররফ হোসেন শান্ত নামের এক যুবক ১০ থেকে ১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে ঠিকাদার সাজ্জাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। একপর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে সাজ্জাদের মাথায় কোপ দেন শান্ত। ওই মুহূর্তে গুরুতর জখম বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যান সাজ্জাদের ছেলে হৃদয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কেও মারপিট করেন শান্তর অনুসারীরা।

ওই সড়কে চলাচলকারী শত শত মানুষের উপস্থিতিতেই ঘটনাটি ঘটে।

শহরজুড়ে আতঙ্ক

প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে মোশাররফ হোসেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। কীভাবে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়, তা জানতে ঘটনাস্থলে গেলে কথা হয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বাসস্ট্যান্ডে সোহরাওয়ার্দী নামের একটি মুদিখানার দোকানিকে রাতে আকস্মিক কল দিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন শান্ত। এর কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে গিয়ে সোহরাওয়ার্দীকে মারপিট শুরু করেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। পুরো ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঠিকাদার সাজ্জাদ। ওই মুহূর্তে বাধা দিতে গেলে সাজ্জাদের ওপর চড়াও হন শান্ত ও তার অনুসারীরা। এরপর সেখান থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তারা শুরু করেন অস্ত্রের মহড়া। মহড়ার পর হামলা করা হয় সাজ্জাদ ও তার ছেলের ওপর।

ঘটনার বিষয়ে ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নববর্ষের দিন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরাঘুরি শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম। ফেরার পথে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে নেমে যাই। পথে সাজ্জাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে সে আমার পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

‘শান্তর সাথে থাকা ১০ থেকে ১২ জনের প্রত্যেকের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে।’

সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, ‘আমাকে বাঁচাতে এলে আমার ছেলেকেও তারা বেদম মারপিট করেছে। অনেক আকুতি-মিনতি করেও লাভ হয়নি। শান্ত বাহিনীর অত্যাচারে আমাদের পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমরা অতিষ্ঠ।

‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় শান্ত কাউকেই তোয়াক্কা করে না। এমপি-মন্ত্রীদের সাথেও শান্তর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাই পুলিশও শান্তর বেপরোয়া চলাফেরা দেখে নীরব ভূমিকায় থাকে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে আমাকে হত্যা করবে বলে এখনও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে শান্ত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।’

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, ‘সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।’

ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাজ্জাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যা: স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর ঢাকায় গ্রেপ্তার
নওগাঁয় কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, আওয়ামী লীগ নেতা আটক
নওগাঁয় এনজিও কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 

মন্তব্য

p
উপরে