বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান অবস্থার জন্য সরকারের ‘সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, আত্মঘাতী চুক্তি ও অপরিণামদর্শী পরিকল্পনা’ দায়ী বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরতে শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কোম্পানির চুক্তি বাতিলসহ ১২ দফা পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি আর হরিলুটের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শহরে দুই-তিন ঘণ্টা ও গ্রামাঞ্চলে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তার ওপর বিদ্যুতের লোডশেডিং মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। মানুষ দিশেহারা হয়ে উঠেছে, তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে বিপর্যয়, রিজার্ভে সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক নৈরাজ্য ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাসের দায় নিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে অনতিবিলম্বে সরে যেতে হবে। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণই তাদেরকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।’
‘ক্ষমতায় গেলে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বাতিল’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুতের এই সমস্যার সমাধান করব। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল করব। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কোম্পানির সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করা হবে। স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও অন্যান্য কাজ করা হবে।’
‘চাহিদা অনুযায়ী পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হবে। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন অতি দ্রুত স্থাপন করা হবে। বাপেক্স ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার মাধ্যমে দেশীয় খনিজ ও গ্যাস উত্তোলনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। একইসঙ্গে দেশীয় প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তুলতে উপযুক্ত উদ্যোগ নেয়া হবে।’
এছাড়া বঙ্গোপসাগরে সম্ভাবনাময় গ্যাস/পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ উত্তোলনে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িতদের শাস্তি, জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভরতা কমিয়ে ক্রমান্বয়ে মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর জ্বালানি নীতি গ্রহণ, বেইস লোড পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন, বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর সংস্কার এবং খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০ তে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
‘ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গচ্ছা ৯০ হাজার কোটি টাকা’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯টি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট চালুর ২/৩ বছর পরই বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো প্রয়োজন ছাড়াই এখনো চালু আছে। বেশ কিছু রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন না করেও ক্যাপাসিটি ট্যাক্স বাবদ বিপুল অর্থ নিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়াই সরকারকে এ পর্যন্ত ৯০ হাজার কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব ব্যবসায়ীদের পকেটেই গেছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। গত ১২ বছরে ক্যাপাসিটি ট্যাক্স বাবদ গেছে ৮ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। গত তিন বছরেই গেছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা।
‘সামিট গ্রুপ, এগ্রিকো ইন্টারন্যাশনাল, এরদা পাওয়ার হোল্ডিং, ইউনাইটেড গ্রুপ, কেপিসিএল, বাংলা ক্যাট, ওরিয়ন গ্রুপ, হোসাফ গ্রুপ, মোহাম্মদী গ্রুপ, ম্যাক্স গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ ও এপিআর এনার্জি- এই কোম্পানিগুলো কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যমে অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। এটা হলো- কুইক রেন্টালের নামে কুইক লুটপাট।’
‘অলস কেন্দ্র’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে দেশে মোট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাত্র ৪৩ শতাংশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। বাকি ৫৭ শতাংশ কেন্দ্র অলস বসিয়ে রেখে ভাড়া গুনছে সরকার। এ অর্থ জনগণের অর্থ। এই ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ খাত দেউলিয়া হচ্ছে।
‘বিদ্যুৎ না কিনে গত অর্থবছরে বিল পরিশোধ করা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। তার আগের বছর পরিশোধ করা হয়েছে ১৪ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে এই খাতে ব্যয় হয়েছে ২১ হাজার ৬শ কোটি টাকা। ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ বেড়ে হয়েছে ১৮ শতাংশ। তারপরও ক্যাপাসিটি চার্জ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘অলস কেন্দ্রের খরচ আরও বাড়বে। বর্তমানে ১৩ হাজার ৩৮৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৫টি কেন্দ্র নির্মাণাধীন। ২০২৬ সালের মধ্যে এসব কেন্দ্র উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে ৩ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র উৎপাদনে আসতে পারে। সব মিলে বিদ্যুৎ না কিনেও অতিরিক্ত টাকা পরিশোধের অংক কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।’
‘ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি অযৌক্তিক’
সংবাদ সম্মেলনে ভারতে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে প্রশ্নে তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে বর্তমানে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। এ জন্য গত তিন অর্থবছরে প্রায় ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে।
‘আদানি গ্রুপের ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির কথা রয়েছে। বাংলাদেশে যখন প্রায় ৬০ শতাংশ ওভার ক্যাপাসিটি রয়েছে ঠিক সে সময় ভারত থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’
তিনি বলেন, ‘আদানির গোড্ডা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ বছরে প্রায় ১১ দশমিক ০১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে। এই বিদ্যুৎ আমদানির ৪০ শতাংশ যায় ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধে। বিদ্যুৎ কম এলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়। চুক্তির ২৫ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে আদানি গ্রুপকে এক লাখ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করতে হবে। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে ৩টি পদ্মা সেতু, ৯টি কর্ণফুলী টানেল কিংবা ২টি মেট্রোরেল নির্মাণ করা যায়।’
‘জনগণের ওপর বোঝা চাপানো’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্যাস উত্তোলনের সক্ষমতা বৃদ্ধি না করে আইপিপি-এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেক্যাপাসিটি চার্জের বোঝা অন্যায়ভাবে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দশ বছরে অফ-শোর গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগায়নি। এমনকি বিদ্যমান গ্যাসফিল্ডের রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের মাধ্যমেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০ শতাংশের বেশি গ্যাস সরবরাহ করা যেত। কিন্তু তা করা হয়নি।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘ভোক্তাদের টাকায় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য গঠন করা গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) থেকে এলএনজি আমদানিতে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে সরকার। এই টাকাটা আসলে ঋণের নামে নিয়ে নেয়া হলো। আর্থিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এই অবৈধ কাজটি করেছে সরকার।’
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গে
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অদূরদর্শী পরিকল্পনার বড় দৃষ্টান্ত হচ্ছে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে উৎপাদনে গেলেও সঞ্চালন লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় কেন্দ্রটি সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। কিন্তু কোনো বিদ্যুৎ না দিলেও এ পর্যন্ত ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে চীনা ঋণে বাস্তবায়নাধীন এই কেন্দ্রকে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শাসনামলে স্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সরকারি ক্রয় নীতিমালা প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সরকারের সময়ে আমরা প্রিপেইড মিটার আমদানি করেছিলাম সিমেন্স কোম্পানির কাছ থেকে এবং বুয়েট থেকে বানিয়েছিলাম। সেখানে ১০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা দেয়া হয়েছিল।
‘ওরা (বর্তমান সরকার) এসে ওইসব ফেলে দিয়ে প্রোগ্রামিং করে নতুন মিটার এনেছে। আমার মিটারে ১১৫ টাকা ছিল। আরও ১০০০ টাকা ভরেছি। তাহলে ১১৫০ টাকা থাকার কথা। কিন্তু দেখলাম আমার মিটারে বিদ্যুৎ কিনতে পারব ৯৩০ টাকার। এভাবে ওরা প্রযুক্তি দিয়ে মানুষের অর্থ লুট করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:দুর্গাপূজার ছুটি এক দিন বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
এ বিষয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ছুটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার মতবিনিময়ের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
মাহফুজ বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।’
বৌদ্ধ সম্প্রদায় যেন কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে করতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান মাহফুজ আলম।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন:সুন্দরবনে ২০২৩-২৪ সালের জরিপে ১২৫টি বাঘ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা জানান, ২০২৩-২৪ সালে সুন্দরবনের জাতীয় পশু বাঘ জরিপে ১২৫টি বাঘ পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে বাঘের ঘনত্ব ২.৬৪।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে ১১টি। বৃদ্ধির এ হার ৯.৬৫ শতাংশ। ২০১৫ সালের তুলনায় বৃদ্ধির হার ১৭.৯২ শতাংশ।
রিজওয়ানা জানান, ২০১৫ সালে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘ ছিল। আর ঘনত্ব ছিল ২.১৭। ২০১৮ সালে ১১৪টি বাঘ পাওয়া যায়। আর ঘনত্ব ছিল ২.৫৫। ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা আটটি বেড়েছিল এবং বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৮ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, ২০২৩-২৪ সালের জরিপে ২১টি বাঘ শাবকের ছবি পাওয়া গেছে, তবে শাবকদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ ছোট বয়সে শাবকের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে মাত্র পাঁচটি শাবকের ছবি পাওয়া গিয়েছিল।
পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, জরিপের ছবি ও তথ্য বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এ কাজে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেয়া হয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, জরিপটি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হয়। সুন্দরবনের ৬০৫টি গ্রিডে ১ হাজার ২১০টি ক্যামেরা ৩১৮ দিন রেখে দেয়া হয়, যার মধ্যে ৩৬৮টি গ্রিডে বাঘের ছবি পাওয়া যায়।
ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, ১০ লক্ষাধিক ছবি ও ভিডিও থেকে সাত হাজার ২৯৭টি বাঘের ছবি পাওয়া যায়। এত বেশিসংখ্যক বাঘের ছবি এর আগে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারক এবং পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’ গঠন করেছে সরকার।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেলের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মেহদি হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশেষ টাস্কফোর্সে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালককে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, জেলা মৎস্যসম্পদ কর্মকর্তা বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, ক্যাবের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দু’জন।
টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি
টাস্কফোর্স নিয়মিত বিভিন্ন বাজার/বৃহৎ আড়ত/গোডাউন/কোল্ড স্টোরেজ ও সাপ্লাই চেইনের অন্যান্য স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার বিষয়টি তদারক করবে।
টাস্কফোর্স উৎপাদন, পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ের মধ্য দামের পার্থক্য ন্যূনতম থাকা নিশ্চিত করবে। সব স্টেক হোল্ডাররের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবে।
টাস্কফোর্স প্রতিদিনের মনিটরিং শেষে প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল হোয়াটসঅ্যাপ (০১৯১২৯৩০৫৯২), ই-মেইল [email protected] জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে (০১৭১১৩৭৩৮০২ নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ) ও ই-মেইল [email protected] ঠিকানায় প্রেরণ করবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষণ অধিদপ্তর বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন সংকলন ও পর্যালোচনা করে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাবে।
আরও পড়ুন:সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে গঠিত হবে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংবাদমাধ্যমের সংস্কার: কেন, কীভাবে?’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডসহ বেতনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে দাসসুলভ আচরণের সুযোগ নেই। আর সাংবাদিকরা কেন পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারেন না, সেসব বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
দেশে গণমাধ্যম সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে পেশাদারত্বের সংস্কৃতি অনুপস্থিত। অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান গণমাধ্যমের জন্য বড় কেস স্টাডি। এই অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের কী ভূমিকা ছিল তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।
‘আন্দোলনের সময় মাঠ পর্যায়ে অনেক সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করলেও মিডিয়া হাউজ পলিসির কারণে সেসব সংবাদ প্রকাশ করেনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া আন্দোলনের পক্ষে কোনো তথ্যই প্রচার করেনি। এই অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিরোধও দেখা যায়নি।’
মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য সাংবাদিকদের পেশাদারত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে সাংবাদিকদের পেশাদারত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি তরুণদের এই পেশায় আগ্রহী করে তুলতে হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এ সময় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সংস্কারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
মুক্ত আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক জিমি আমির। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী পাঁচশ’ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি তালিকায় ৫০তম অবস্থানে রয়েছেন।
জর্ডানের রাজধানী আম্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘দ্য রয়্যাল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার (আরআইএসএসসি)’ এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে।
তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ইবনে আল হোসাইন। অষ্টম অবস্থানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নাম রয়েছে। ১২তম অবস্থানে রয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
ধর্মীয় চিন্তা-ভাবনা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে শিল্প ও সংস্কৃতি পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীরভাবে অবদান রাখছেন এবং নিজ দেশে ও দেশের বাইরে মুসলমান সম্প্রদায়কে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে যাচ্ছেন এমন ব্যক্তিরা ‘দ্য মুসলিম ৫০০: দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস’ শিরোনামের এই তালিকায় স্থান পান।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল সেন্টার ফর মুসলিম-ক্রিশ্চিয়ান আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের সহযোগিতায় এ বছরের তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
তালিকায় বছরের সেরা মুসলমান নারী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন জর্ডানের রানি রানিয়া আল আব্দুল্লাহ।
অবশ্য প্রভাবশালী মুসলমানদের পুরুষ তালিকায়ও জর্ডানের রাজা ও নারী তালিকায়ও জর্ডানের রানি থাকায় জর্ডান থেকে প্রকাশিত এ তালিকা পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় প্রভাবমুক্ত নয় বলেই মনে করছেন ইসলামী রাষ্ট্র-চিন্তাবিদরা।
কারণ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইরান, তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য মুসলিম সরকারপ্রধানরা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের ওপর যে প্রভাব বিস্তার করেছেন সে তুলনায় জর্ডানের রাজা-রানির ভূমিকা খুবই গৌণ।
এই তালিকায় বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘে সম্প্রতি যে প্রভাব দেখিয়েছেন পারস্পরিক সম্পর্ক ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা বিবেচনায় নিলে মুসলিম বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ নেতার মধ্যে ৫০তম অবস্থান তার প্রাপ্য নয়, তিনি সেরা ১০-এর প্রথম সারিতেই থাকবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৯৪০ সালের ২৮ জুন জন্মগ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকার জন্য ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান এই কিংবদন্তি। প্রতিষ্ঠানটি জামানত ছাড়াই ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে লাখো সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ক্ষমতায়ন করেছে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণে তার ভূমিকা অভাবনীয়। নারীদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতায় তার ভূমিকা গোটা বিশ্বে সমাদৃত।
আরও পড়ুন:এনজিওগুলো দেশের উন্নয়নে কাজের স্বীকৃতি চায় বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
সোমবার রাজধানীতে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
এনজিও প্রতিনিধিদের বক্তব্য তুলে ধরে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশের উন্নয়নে তাদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে অন্তরায় হিসেবে এনজিওগুলো সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতি, প্রশাসনের অসহযোগিতা, বিদেশে থাকা দূতাবাসগুলোর অসহযোগিতার উল্লেখ করেছে। তাদের মতামত তুলে ধরে সরকারের করণীয় পরামর্শ আকারে শ্বেতপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
দেবপ্রিয় বলেন, নারী ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচারণা হয়। এটাকে উন্নয়নের পথে বাধা বলে মনে করে এনজিওগুলো। এসব বিষয় শ্বেতপত্রে থাকবে। উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দুর্নীতির কবলে পড়ে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান করে নয় সদস্যের সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগে এর মাধ্যমে ছয়টি কমিশন গঠন সম্পন্ন হলো।
সংবিধান সংস্কারে সোমবার এই কমিশন গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পরে প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য দেশের বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে এই কমিশন গঠন করেছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
সংবিধান সংস্কার কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, বার-এট-ল’ ইমরান সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া, বার-এট-ল’ এম মঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. মাহফুজ আলম।
এর আগে ৩ অক্টোবর নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এসব কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানিয়েছিলেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রথমে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তা পরিবর্তন করে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সেই দায়িত্ব দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য