× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bus robbery is plannedRape in Hota Ratans words
google_news print-icon

চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণ ‘রতনের নির্দেশে’

চলন্ত-বাসে-ডাকাতির-সময়-ধর্ষণ-রতনের-নির্দেশে
টাঙ্গাইলে চলন্ত নৈশ কোচে ডাকাতি ও ধর্ষণের হোতা রতন হোসেনসহ ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে রোববার গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: নিউজবাংলা
র‍্যাব জানায়, রতন হোসেন পেশায় গাড়ির হেলপার। তার বিরুদ্ধে আগেও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০১৮ সালে নূরনবী, জীবন ও অন্য কয়েকজনকে নিয়ে সড়ক অবরোধ করে সাভার পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি করেন। ওই ঘটনায় রতন গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দেড় বছর কারাগারে ছিলেন। এরপর জামিনে বের হয়ে ২০২০ সালে আবার নূরনবী, জীবন ও আউয়ালকে নিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি অটোরিকশা ছিনতাই করেন।

টাঙ্গাইলে চলন্ত নৈশ কোচে ডাকাতির সময় এর মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেনের কথায় এক নারী যাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটেলিয়নের (র‍্যাব) মিডিয়া সেন্টারে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশেষ বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

রতন হোসেনসহ ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে রোববার গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত হলেও ধর্ষণের ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে রতনের পরিকল্পনায় ঘটে।’

চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণ ‘রতনের নির্দেশে’
টাঙ্গাইলে ডাকাতের কবলে পরা ঈগল এক্সপ্রেসের নৈশ কোচ। ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলে গত ২ আগস্ট রাতে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক যাত্রী মধুপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব-১৪ এর দল রোববার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারীসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে।

তারা হলেন মো. রতন হোসেন, মো. আলাউদ্দিন, মো. সোহাগ মন্ডল, খন্দকার মো. হাসমত আলী ওরফে দীপু, মো. বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস, মো. জীবন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. নাঈম সরকার, রাসেল তালুকদার ও মো. আসলাম তালুকদার ওরফে রায়হান।

তাদের কাছ থেকে ২০টি মোবাইল ফোন, দুটি রুপার চুড়ি, ১৪টি সিমকার্ড ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি ক্ষুর উদ্ধার করা হয়।

রতন হোসেন এই ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী বলে জানান খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ‘রতন ঘটনার ৩ দিন আগে তার সহযোগী রাজাকে বাস ডাকাতির প্রস্তাব দিলে রাজা দলের অন্য সদস্যদের সংঘটিত করার কথা বলেন। পরে রতন তার অন্য সহযোগী মান্নান, জীবন, দীপু, আউয়াল ও নুরনবীকে এবং মান্নান তার সহযোগী সোহাগ, আসলাম, রাসেল, নাঈম ও আলাউদ্দিনকে এই ডাকাতির পরিকল্পনায় যুক্ত করে ১৩ জনের বড় একটি দল গঠন করেন।

‘ঘটনার দিন দুপুরে তারা ঠিক করে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী কোনো বাসে ডাকাতি করবেন। চক্রের সদস্যদের ছোট ছোট দলে বিভক্ত করে প্রত্যেকের কাজ বুঝিয়ে দেয়া হয়। যাবতীয় খরচ রতন বহন করেন এবং টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মোড়ের একটি দোকান থেকে ডাকাতিতে ব্যবহারের জন্য ৪টি চাকু, ২টি ধারালো কাঁচি ও একটি ক্ষুর কেনেন তিনি।’

এরপর রাতে রাজাসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা সিরাজগঞ্জ মোড় এলাকায় তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। রাত ১টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেসের বাসটি সিরাজগঞ্জ মোড়ে পৌঁছালে যাত্রীবেশে প্রথমে রতন, রাজা, মান্নান ও নুরনবী তাতে ওঠেন। এরপর কিছু দুরে আরও দুই দফায় ডাকাতচক্রের অন্য সদস্যরা বাসটিতে যাত্রীবেশে ওঠেন।

র‌্যাব জানায়, বাসটিতে ২৪ জন সাধারণ যাত্রী থাকায় ডাকাত চক্রের অধিকাংশ সদস্য পিছনের দিকে বসেন। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা অতিক্রম করলে রতন তার দলের সদস্যদেরকে চাকু ও ধারালো কাঁচি দেন। আউয়াল ধূমপানের কথা বলে বাসের গেটের কাছে যান এবং রাজা, রতন, মান্নান ও নূরনবী ড্রাইভিং সিটের কাছে গিয়ে চালককে মারধর করেন। এরপর রতন বাসের ড্রাইভিং সিটে বসে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন।

অন্যরা বাসের চালক ও সুপারভাইজার, হেলপারসহ অন্যান্য সাধারণ যাত্রীদেরকে হাত-মুখ বেঁধে ফেলেন। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেন এবং এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করেন।

র‌্যাব জানায়, টাঙ্গাইলের হাটুভাঙ্গা মোড় হয়ে মধুপুরে যাওয়ার পথে মধুপুরের রক্তিপড়া এলাকায় রতন গাড়ি চালনার সময় লুটের মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে অন্যদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ওই বাক বিতণ্ডার ফলে অসতর্কতায় রতন নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বালুর ঢিবির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এরপর ডাকাতদলের সবাই লুট করা মালামালসহ বাস থেকে নেমে পালিয়ে যান।

সেখান থেকে অন্য বাসে করে ডাকাত চক্রের সদস্যরা টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকায় যান। সেখান থেকে অটোরিকশায় মধুপুরের কুড়ালিয়া এলাকায় রতনের নিকটাত্মীয়ের ফাঁকা বাড়িতে গিয়ে লুণ্ঠিত মালামাল নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেন।

র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘এরপর ডাকাত রতন গাজীপুরের বোর্ড বাজারে, মান্নান, আলাউদ্দিন ও বাবু আলাদাভাবে আশুলিয়ার জিরানী বাজার এলাকায় যান। ডাকাত আসলাম, নাঈম, রাসেল প্রথমে নিজের এলাকায় ও পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ এলাকায়, জীবন কোনাবাড়ীতে, দীপু প্রথমে টাঙ্গাইলের পিরোজপুর গ্রামে ও পরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় যান। এছাড়া ডাকাত সোহাগ প্রথমে জিরানী বাজার ও পরে জামালপুর জেলায় এবং পুনরায় জিরানী বাজারে আত্মগোপন করেন।

র‍্যাব জানায়, রতন হোসেন পেশায় গাড়ির হেলপার। তার বিরুদ্ধে আগেও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০১৮ সালে নূরনবী, জীবন ও অন্য কয়েকজনকে নিয়ে সড়ক অবরোধ করে সাভার পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি করেন। ওই ঘটনায় রতন গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দেড় বছর কারাগারে ছিলেন। এরপর জামিনে বের হয়ে ২০২০ সালে আবার নূরনবী, জীবন ও আউয়ালকে নিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি অটোরিকশা ছিনতাই করেন।

ওই ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে রতন ও জীবন এক বছর জেল খাটেন। এরপর আবার জামিনে বের হয়ে রতন তার সিন্ডিকেট নিয়ে সাভার, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ এলাকায় মহাসড়কে আরও কয়েকটি ডাকাতি করেন।

জীবন পেশায় গাড়ির হেলপার। এই পেশার আড়ালে তিনি বেশ কয়েকটি পরিবহনে ডাকাতিতে অংশ নেন। সবশেষ ঈগল এক্সপ্রেসে ডাকাতিতে তিনি যাত্রীদের মালামাল লুটের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে ২০১৮ ও ২০২০ সালে দুটি ডাকাতির মামলায় কারাভোগ করেন জীবন।

মান্নান গাজীপুরের একটি পোশাক তৈরির কারখানায় চাকরি করতেন। তিনি ২০১৯ সালে আশুলিয়া থানায় একটি চুরির মামলায় কারাভোগ করেছেন। তার পরিকল্পনায় ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন গার্মেন্টসের কর্মী আলাউদ্দিন, সোহাগ, বাবু, দীপু, রাসেল, রায়হান, নাঈম ওই ডাকাতিতে অংশ নিতেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘বাসে ধর্ষণ করার বিষয়টি তাদের পূর্বপরিকল্পনায় ছিল না। এটা রতন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে হয়েছে। তবে কী কারণে ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন সে বিষয়ে রতন ও তার সহযোগীরা এখনও কোনো তথ্য দেননি।’

পুরো ঘটনায় ঈগল এক্সপ্রেসের চালক-হেলপার-সুপারভাইজার কেউ জড়িত নন বলে জানান তিনি।

তবে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পরিবহন মালিক-চালক ও যাত্রীদের আরও সতর্ক হতে হবে বলেও জানান র‍্যাব মুখপাত্র।

আরও পড়ুন:
চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার আরও ১০
চলন্ত বাসে ধর্ষণ: পাঁচ আসামির স্বীকারোক্তি
কার কাছে বিচার দেবেন বাসযাত্রীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
8 people including women were injured in a fight over sharing of coconuts

‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত

‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে নারকেল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। কোলাজ: নিউজবাংলা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নিজেদের পারিবারিক গাছ থেকে নারকেল পাড়েন সেলিম। সেই নারকেল অপর তিন ভাই মজনু মিয়া, ফজলুর রহমান ও আজিজুল হকের বাসায় ভাগ করে দেন, তবে ভাগ কম বেশি হওয়ায় কারণে ভাতিজারা সেলিমের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে সেলিমকে তারা মারধর করে সামান্য আহত করেন।

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে পারিবারিক গাছ থেকে পাড়া নারকেল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে সেলিম মিয়া নামে গুরুতর আহত একজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সেলিম মিয়ার ভাই মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পৌর শহরের টেংগাপাড়া এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ও বৃহস্পতিবার সকালে দুই দফা সংঘর্ষে আটজন আহত হন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নিজেদের পারিবারিক গাছ থেকে নারকেল পাড়েন সেলিম। সেই নারকেল অপর তিন ভাই মজনু মিয়া, ফজলুর রহমান ও আজিজুল হকের বাসায় ভাগ করে দেন, তবে ভাগ কম বেশি হওয়ায় কারণে ভাতিজারা সেলিমের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে সেলিমকে তারা মারধর করে সামান্য আহত করেন।

এ ঘটনায় ওই রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরদিন সকালে সেলিম দোকানে গেলে তার হাতে ও পিঠে ক্ষুরের আঘাতে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

আহত সেলিমের পক্ষের লোকজন জানায়, অপর তিন ভাই ও ভাতিজারা মিলে সেলিম ও তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ির ও শ্যালিকার ওপর হামলা চালান।

এদিকে সেলিমের বড় ভাই ফজলুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে নারকেল নিয়ে ভাতিজারা সেলিমকে কিছুটা হেনস্তা করে। আমরা রাতে বিষয়টা সমাধান করব ভেবেছি, কিন্তু রাতে বড়কাশিয়া থেকে সেলিমের আত্মীয়রা এসে বাড়িতে ঢুকে নারী-পুরুষ সবাইকে ক্ষুর ও রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করে। এতে আমাদের পক্ষের চারজন গুরুতর আহত হয়। ক্ষুরের আঘাতে রাজিমুলের পেট বের হয়ে গেছে। হাত কেটেছে একজনের।

‘নিজেদের লোকজনের এমন রক্তাক্ত অবস্থা দেখে আমাদের ঘরের ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে মারধর করতে গেলে তারা ঘরের দরজা লাগিয়ে ফেলে। সেলিম ছাড়া অন্যদের মারধরের ঘটনা সাজানো। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকেও মামলার আবেদন করা হচ্ছে।’

এদিকে রাতের ঘটনায় সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মজনু মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে সকালে মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলায় মজনু মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় শপিং মলে ছুরি হামলা, হামলাকারীসহ নিহত ৭
জিম্মি মুক্তিতে হামাসকে চাপ দিতে মিসর ও কাতারকে বাইডেনের চিঠি
দুর্বৃত্তের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবকের মৃত্যু
বান্দরবানে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফেসবুকে ‘হা হা’ দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫

মন্তব্য

বাংলাদেশ
CID officer caught while taking bribe

সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা

সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা ছবি: নিউজবাংলা
ভুক্তভোগী ম্যানুয়েল তপন বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে আসছে এই প্রতারক।’

নওগাঁর ধামইরহাটে রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল নামে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয় দিলেও তিনি আসলে তা নন, প্রতারণার স্বার্থে ভুয়া পরিচয় ধারণ করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রুপনারায়নপুর গ্রাম থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।

২৫ বছর বয়সী রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী ম্যানুয়েল তপন জানান, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তিনি (পিয়াল) তার কাছ থেকে ২৯ হাজার ৫৩৮ টাকা গ্রহণ করেন এবং আরও টাকা দাবি করলে স্থানীয় জনতা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেয়া হয়। পরে থানা পুলিশ গিয়ে প্রতারক পিয়ালকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

তপন বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে আসছে এই প্রতারক।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামইরহাট থানার ওসি মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। ইতোমধ্যে একজনের কাছে থেকে ২৯ হাজার টাকা নিয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাও নিতেন তিনি।

‘এদিনও প্রতারণা করতে গেলে জনগণ তাকে আটক করে রাখে। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ মামলা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’

আরও পড়ুন:
হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আহত সেই বাবা মারা গেছেন
মাদারীপুরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rohingyas throat slit in Bhasanchar

ভাসানচরে রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ

ভাসানচরে রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ছবি
ওসি কাওসার আহমেদ জানান, পেছনের দিক থেকে গলা কেটে রোহিঙ্গা নাগরিক সুলতানকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. সুলতান নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিক এই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১১৬ নম্বর ক্লাস্টার থেকে পুলিশ সুলতানের মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা ছিলেন।

ভাসানচর থানার ওসি কাওসার আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাস করতেন। ১১৬ নম্বর ক্লাস্টারের খালি জায়গায় তিনি সবজি চাষ করতেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলে তার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তার ছেলে ওই ক্লাস্টারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তার বাবার গলা কাটা মরতেজ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। এ সময় অন্য ক্লাস্টারের লোকজন এগিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি কাওসার আহমেদ জানান, পেছনের দিক থেকে গলা কেটে এই রোহিঙ্গা নাগরিককে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
বিস্ফোরণ নয়, সিলিন্ডারের ছেড়ে দেয়া গ্যাসে ভাসানচরে অগ্নিকাণ্ড
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: দগ্ধ পাঁচ শিশুরই মৃত্যু
ভাসানচরে আগুন: আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
ভাসানচরে আগুন: দগ্ধ আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, ছয় শিশুসহ দগ্ধ ৯

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Application for arrest warrant against Parimoni

পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন

পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন চিত্রনায়িকা পরীমনি। ফাইল ছবি
বোট ক্লাবের পরিচালক নাছির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলার তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আদালতে পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী।

চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে বৃহস্পতিবার এই আবেদন করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন।

একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বাদী ও আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথা ও বুকে আঘাত পান। এ সময় পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন ও ভাঙচুর করেন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন।

২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি সাভার থানায় মামলা করেন।

ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০২২ সালের ১৮ মে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন নাসিরসহ তিন আসামি। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

আরও পড়ুন:
দোয়া চেয়েছেন পরীমনি
ফেসবুকে এক কোটি ৬০ লাখ ফলোয়ার পরীমনির
পরীমনির দ্বিতীয় ইনিংস, নতুন করে শুরু
পরীমনি অভিনীত ‘পাফ ড্যাডি’ বন্ধে আইনি নোটিশ 
ডিভোর্সের প্রতিক্রিয়ায় রাজ বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
They used to open and sell railway tracks

রেললাইনের পাত খুলে বিক্রি করতেন তারা

রেললাইনের পাত খুলে বিক্রি করতেন তারা ছবি: নিউজবাংলা
রেলপাতগুলো বালাসিঘাটের পরিত্যক্ত রেলপথ থেকে খুলে আনা হয়েছে বলে জানান বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম তালুকদার।

গাইবান্ধায় ভাঙারির দোকানে চুরি করা রেলপাত (রেললাইন) বিক্রির সময় এক অটোচালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় দোকান মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ব্রিজ রোড এলাকার আশা ভাঙারি দোকানে সরকারি এসব রেলপাত বিক্রির সময় তাদের হাতেনাতে আটক করে গাইবান্ধার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)।

এ সময় চুরি করে বিক্রি করতে নিয়ে আসা রেলপাত এবং সেসব পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার পশ্চিম দুর্গাপুর এলাকার ৩০ বছর বয়সী সাগর মিয়া, ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর কঞ্চিপাড়া এলাকার ৪০ বছর বয়সী ওয়াহেদ মিয়া ও আশা ভাঙারি দোকানের শ্রমিক সদর উপজেলার বালুয়া বাজারের পাকারখুটি এলাকার ৩৩ বছর বয়সী মোকলেছুর রহমান। এদের মধ্যে ওয়াহেদ মিয়ার অটোরিকশায় এসব মালামাল পরিবহন করা হয়েছিল।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম তালুকদার।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ব্রিজ রোডের একটি ভাঙারির দোকানে সরকারি রেলপাত অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয়কালে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় দোকান মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় তাদের কাছ থেকে খণ্ড খণ্ড তিন ফুট দৈর্ঘ্যের ৯ টুকরা রেললাইনের পাত উদ্ধার করা হয়, যা সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেয়া হবে।’

রেলপাতগুলো বালাসিঘাটের পরিত্যক্ত রেলপথ থেকে খুলে আনা হয়েছে বলে জানান রেলওয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kidnapped child from Chuadanga rescued in Sirajganj

চুয়াডাঙ্গা থেকে অপহৃত শিশু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা থেকে অপহৃত শিশু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার ছবি: নিউজবাংলা
র‍্যাব ১২-এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মারুফ হোসেন জানান, তামিমের বাবার সঙ্গে আল আমিনের দুই মাস আগে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়েই সুকৌশলে তামিমকে অপহরণ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণের জন্যই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল।

অপহরণের ৬ ঘণ্টার মধ্যে সিরাজগঞ্জ থেকে তামিম হোসেন নামের ৭ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় এ মামলার আসামি আল-আমিন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে র‌্যাব ১২-এর একটি দল। বুধবার দুপুর তিনটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার হানুরবাড়াদি গ্রাম থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃত তামিম হোসেন চুয়াডাঙ্গার হানুরবাড়াদি গ্রামের মো. সুন্নত আলীর ছেলে। অপরদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ২৯ বছর বয়সী আল-আমিন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় মেষতলী বাজারের বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে র‍্যাব ১২-এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মারুফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অপহরণের পর শিশুটির বাবা সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামির অবস্থান নির্ণয় করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, তামিমের বাবার সঙ্গে আল আমিনের দুই মাস আগে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়েই সুকৌশলে তামিমকে অপহরণ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণের জন্যই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করার আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ
লিবিয়ায় অপহরণের খবরে দিশাহারা ৪ শ্রমিকের পরিবার
মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত কলেজ ছাত্রী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
৪৮ ঘণ্টা পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অটোরিকশার চালক উদ্ধার
অবশেষে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের নামে মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Remand of 53 persons granted in two cases in Bandarban

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর বৃহস্পতিবার বান্দরবানে আদালতে নেয়ার পথে কেএনএফ সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার দুই মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আর‌ও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত
স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় নভোএয়ারের গাড়িচালক রিমান্ডে
সিনেমায় অনুপ্রাণিত হয়ে কেনা অস্ত্র দিয়ে ছাত্রকে গুলি করেন রায়হান
যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ রিমান্ডে

মন্তব্য

p
উপরে