দিনাজপুরের ফুলবাড়ী রেলস্টেশনে একটি কনফেকশনারি থেকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করার অভিযোগে দোকানদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ফুলবাড়ী রেলস্টেশনের ভেতরে অবস্থিত মিল স্টোরে বুধবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি টিমসহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফুলবাড়ী রেলস্টেশনের বেশ কয়েকটি দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় প্লাটফর্মের সামনে মিলন ফাস্টফুড দোকানে বিভিন্ন আন্তনগর ট্রেনের ৮টি টিকিট পাওয়া যায়।
এ সময় দোকানদার মিলন শেখকে র্যাব সদস্যারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে টিকিট কালোবাজারির কথা স্বীকার করেন। এই দায়ে তাকে ২০ হাজার জরিমানা করা হয় বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘চিহ্নিত টিকিট কালোবাজারিরা ভাড়া করা লোকদের ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য ভোরেই কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড় করিয়ে দেন। তাই কালোবাজারিদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। নতুন নতুন মহিলা-পুরুষ লাইনে দাঁড় করিয়ে রেলের টিকেট কেটে নিয়ে যায় তারা। স্টেশন এলাকার বাইরে এই টিকিট দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে। আমাদেরকে সহযোগিতা করলে আমরা অবশ্যই কালোবাজারিদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারব।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পেছনে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ কমিশন চূড়ান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শনিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ আশার কথা জানান।
কমিশনের অগ্রগতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজার বিষয়ে কমিশনের রূপরেখা তৈরি করেছি। এখন কমিশন গঠন ও এর কার্যপ্রণালি নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, কোভিড যায় যায় করেও যাচ্ছে না। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থাও অনুধাবন করছেন। এখানে অর্থনৈতিক বিষয়েও কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
‘সে জন্য কমিশনের রূপরেখার বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়ে উঠছে না। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে আলোচনায় বসতে পারব। এই বছর নাগাদ আমরা হয়তো কমিশন চালু করতে পারব।’
এখন রূপরেখাটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী একদল সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসায় আক্রমণ করে। বঙ্গবন্ধু ছাড়াও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরকে।
এ ছাড়া বেইলি রোডে সরকারি বাসায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবি সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত ও আবদুল নঈম খান রিন্টুকে। আরেক বাসায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণিকে।
সে সময় দেশে না থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
আরও পড়ুন:সাংবাদিক সোহানা পারভীন তুলির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের এক মাসেও তদন্তে তেমন অগ্রগতি হয়নি। মৃত্যুর আগের দিন তুলি তার বন্ধু রফিকুল ইসলাম রঞ্জুর ফোনে একটি মেসেজ পাঠান। সেখানে আত্মহত্যার হুমকির কথা থাকলেও রঞ্জুকে একবারের পর আর জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিশ।
সাংবাদিক রঞ্জুর বিরুদ্ধে তুলিকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ তুলছেন তার পরিবার ও সাবেক সহকর্মীরা। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, রঞ্জুর সঙ্গে তুলির কী সম্পর্ক ছিল, মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময়ে তাদের কী কথোপকথন হয়েছে তা জানতে তুলির মোবাইল ফোন সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ কাজ শেষ করতে সময় লাগবে।
রাজধানীর রায়েরবাজারের মিতালী রোডের বাসা থেকে গত ১৩ জুলাই দুপুরে সোহানা পারভীন তুলির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাজারীবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন তুলির ভাই মোহাইমেনুল ইসলাম।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখনও ময়নাতদন্ত ও মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া যাবে।’
রিপোর্ট পেতে কত সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে নিশ্চিত নন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়োরটি দিয়ে রিপোর্টগুলো আনার চেষ্টা করছি। তবে সিআইডিতে সারা দেশের বিষয়গুলো আসে। এ কারণে রিপোর্ট পেতে সময় লাগে। মেডিক্যাল রিপোর্ট পেতেও সময় লাগবে।’
ঘটনার পর তুলির বাসার দারোয়ান একটি মোটরসাইকেলের নম্বর পুলিশকে দেন। তার সূত্র ধরেই পুলিশ রফিকুল ইসলাম রঞ্জুকে শনাক্ত করে। তুলির সঙ্গে সম্পর্ক ও নিয়মিত যোগাযোগ থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন রঞ্জু। তবে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ তিনি স্বীকার করেননি।
আরও পড়ুন: প্রাণোচ্ছল, পরোপকারী তুলির মনে কী দুঃখ ছিল
হাজারীবাগ থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রঞ্জুকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য ঢাকার বাইরে কোথাও গেলে আমাদের অবহিত করতে বলেছি। তদন্তের প্রয়োজনে আবার ডাকলে তাকে আসতে হবে।’
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিএমপি রমনা বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, তুলির সঙ্গে সাংবাদিক রঞ্জুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মোবাইল ফোনে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ হতো এবং তুলির বাসায়ও রঞ্জু প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার আগের দিন বিকেল ৩টা ৯ মিনিটে রঞ্জুকে তুলি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। এক লাইনের মেসেজে লেখা ছিল, ‘আজকে তুই মরার খবর পাবি’।
তিনি বলেন, ‘রঞ্জুকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তুলির পাঠানো মেসেজটি তিনি না দেখেই ডিলিট করে দেন বলে দাবি করেছেন।’
তুলির ভাই মোহাইমেনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, আপুকে আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা তথ্য-প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করছি। আপুর ফোন সিআইডির কাছে আছে। তাদের রিপোর্ট পেলে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে। আমরা চাই, পুলিশ তদন্ত করে সত্য বের করে আনুক। আমরা ঘটনার বিচার চাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুলির সাবেক এক সহকর্মী বলেন, ‘রঞ্জু মোবাইলে মেসেজ পেয়ে তুলিকে ফেরানোর চেষ্টা করলে আজ হয়তো সে বেঁচে থাকত। নিশ্চয়ই ওদের মধ্যে এমন কিছু হয়েছে, যাতে তুলি এমন কথা লিখে মেসেজ করেছে। তাদের মধ্যে কী হয়েছিল, কেন তুলি আত্মহত্যার পথ বেছে নিল, তা তদন্তে বেরিয়ে আসা উচিত।‘
তুলির ফোনে পাঠানো মেসেজ ও সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে রফিক রঞ্জু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না কী কারণে সে এ ধরনের মেসেজ দিয়ে থাকতে পারে। একটা ভালো সম্পর্ক ছিল, কোনো ধরনের ঝগড়া বা এ ধরনের কোনো কিছু আমার সঙ্গে ওর হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘মেসেজটি আমি দেখিনি। এরপর আর কোনো কথাও হয়নি। পরদিনই তো খবরটা পাইছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানা তুলি এক দশকের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলেন। সবশেষ ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত তিনি অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। এরপর কয়েক মাস সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছিলেন।
বাংলা ট্রিবিউনের আগে তিনি কাজ করেছেন দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক আমাদের সময়ে।
সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রঞ্জু সবশেষ কর্মরত ছিলেন দৈনিক সমকালে। তুলির ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন:ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেছে পুলিশ। ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজ মিয়া শুক্রবার রাতে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন।
একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় ফেনী জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদ, ফেনী পৌর সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন ইভুসহ যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি। বিকেলের দিকে শহরের ইসলাম রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি ট্রাংক রোডের জিরো পয়েন্টের দিকে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা মিছিলকারীদের ধাওয়া দেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে পথচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন:গরু পাচার মামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে পারলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। অসুস্থতার অজুহাত তুলে ১০ বার সিবিআই নোটিশ এড়ালেও শেষরক্ষা হয়নি। এবার গ্রেপ্তারের পর সিবিআই তাকে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে।
শুক্রবার সকালে কলকাতার আলিপুর কমান্ডো হাসপাতালে প্রায় ঘণ্টাখানেক তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। এরপর ৪ সদস্যের বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়ে দেয়, কেষ্ট মণ্ডলের বড় কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলেও ‘টেনশন’ কমাতে ওষুধ দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের ছাড়পত্র মিলতেই দুপুর ১২টা থেকে গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। বীরভূমের প্রভাবশালী এ নেতাকে সিবিআই কর্মকর্তারা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করলেও স্বীকারোক্তি মেলেনি। কেষ্ট জবাব দিচ্ছেন দায় এড়িয়ে।
কলকাতার নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় সিবিআই গেস্ট রুমে রাখা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল কেষ্টকে। তার শোবার চৌকির পাশে রাখা আছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, শ্বাসকষ্টের পুরনো সমস্যার কারণে। একজন সাহায্যকারী আছেন তার পাশে। তিনি নিয়মিত যেসব ওষুধ সেবন করেন, তা দেয়া হচ্ছে। ১০ দিনের হেফাজতে ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দিতে বলেছে আদালত।
সিবিআই তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন গরু পাচারে তৃণমূল নেতার যোগসূত্র ও আর্থিক লেনদেন বিষয়ে। চক্রের সদস্যদের নাম জানতে চাইছেন তারা। কেষ্ট মণ্ডল প্রথম দিনের জেরায় এসব প্রশ্ন এড়িয়ে যান কৌশলে।
এদিকে কেষ্ট মণ্ডলের দুর্দিনে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নেতার নাম উল্লেখ না করলেও দলের তরফে এক সংবাদ সম্মেলনে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ‘দল কারো পাপের দায় নেবে না।’
তবে কেষ্টর সমর্থকরা শুক্রবার মেদিনীপুরে মিছিল করেছে। সিবিআই তদন্তের প্রতিবাদে শনিবার রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের কর্মসূচি আছে।
এ পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উইকেট আরও পড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে হবে জেলে গিয়ে।’
তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডলকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। পরে আসানসোলের বিশেষ আদালতে তুললে বিচারক ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:নরসিংদী কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার পথে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকা থেকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়িসহ পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নরসিংদীর বেলাব থেকে শুক্রবার সকালে ৩২ বছর বয়সী ওই হাজতি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার।
তিনি জানান, শাহ আলমকে বাসে করে গত বুধবার দুপুরে নরসিংদী থেকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হচ্ছিল। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী বাজার এলাকায় বাসটি যানজটে পড়ে। এ সময় সুযোগ বুঝে পুলিশের হাত ফসকে পালিয়ে যান শাহ আলম। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে নরসিংদী পুলিশ লাইনের নায়েক মো. মামুন শেখ বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা করেন।
ওসি আজিজুল হক হাওলাদার জানান, পালানোর পরপরই আসামি শাহ আলম তার আত্মীয়দের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিকেলে গ্রেপ্তার শাহ আলমকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবনের সামনে শুক্রবার দুপুর একটার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এ সময় সমাবেশস্থলে মঞ্চ ও চেয়ার ভাংচুর করে হামলাকারীরা।
বিএনপির সমাবেশে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
সাহাবুদ্দি সাবু অভিযোগ করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল চারটার দিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। আমার বাসার সামনে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর আগেই জেলা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সেখানে হামলা চালিয়েছে।
‘একই সঙ্গে তারা আমার বাড়িতেও ইটপাটকেল ছুড়েছে। এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। দ্রুত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছিলেন। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে তাদের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় ও ভাংচুর করে।’
পুলিশের সামনে হামলা চালানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন ওই যুবদল নেতা।
তবে বিএনপির সমাবেশে হামলায় ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি। তিনি বলেন, ‘বিএনপির অন্তর্কোন্দলে নিজেরাই হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এই হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়।
‘বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হওয়ার কথা। সমাবেশ পালন করতে ছাত্রলীগের নেতাকমীরা শহরে অবস্থান নেয়।’
ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘হামলার বিষয়টি শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখন পযর্ন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।’
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে সাদমান সাকিব নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে গৃহবধূ সামিয়া আক্তারের বাবা মিজানুর রহমান তিনজনের নামে মামলা করেন।
২৫ বছর বয়সী সামিয়ার বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গায়ের থানা এলাকায়। ৫ বছর আগে সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকার সাকিবের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম।
নিহত সামিয়ার ছোট মামা আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিয়ের সময় সামিয়ার বাবা ও মামারা মিলে ২৫ ভরি সোনার গয়না, মোটরসাইকেল ও তিন লাখ টাকা মূল্যের ফার্নিচার দিয়েছিলেন। বিয়ের পরপরই কৌশলে সেগুলো হাতিয়ে নেয় সামিয়ার শাশুড়ি জায়েদা পারভিন।
‘সেই গয়না নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর সঙ্গে মাঝে মাঝেই কথা-কাটাকাটি হতো সামিয়ার। এর জেরে তাকে মারধরও করা হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে সামিয়া ফোন করে আমাদের জানায়, ওকে মারধর করছে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। এর আধাঘণ্টা পরই সামিয়ার স্বামী আমাদের ফোন করে মৃত্যুর সংবাদ জানায়। পরে হাসপাতালে গিয়ে আমরা সামিয়ার মরদেহ দেখতে পাই।
‘গয়না নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই ওরা সামিয়াকে হত্যা করেছে। আমরা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি চাই।’
ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘সামিয়াকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী সাদনাম সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার শ্বশুর জাকারিয়া হোসেন ও শাশুড়িকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য