× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Cockroaches in beef curry
google_news print-icon

তরকারিতে তেলাপোকাকাণ্ড

তরকারিতে-তেলাপোকাকাণ্ড
রেস্টুরেন্টের মালিকের অভিযোগ, অভিযোগকারী ক্রেতা আগের অসন্তুষ্টির কারণে নিজেই তরকারিতে তেলাপোকা ছেড়েছেন। তবে ক্রেতার দাবি, তরকারিতে তেলাপোকা আগে থেকেই ছিল।

ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি রেস্টুরেন্টে খাসির মাংসের তরকারিতে তেলাপোকা পাওয়া গেছে বলে মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

স্থানীয় সাংবাদিকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। তবে মালিক মো. সায়েমের অভিযোগ, পুরোনো অসন্তুষ্টি থেকে ওই সাংবাদিক তরকারিতে তেলাপোকা ছেড়ে দিয়েছেন।

অভিযোগকারী সাংবাদিক শফিউল্লাহ আনসারীর দাবি, জমির বিরোধসংক্রান্ত দ্বন্দ্বের কারণে রেস্টুরেন্ট মালিক তেলাপোকার বিষয়টি ঘোলাটে করেছেন।

ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকার সেভেন স্টার চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা খাতুন অভিযান ও জরিমানার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিকেলে ওই রেস্টুরেন্ট থেকে এক ক্রেতা আমাদের জানান যে খাসির মাংসের তরকারি নিতে গিয়ে তাতে তেলাপোকা দেখেছেন। আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পাই। পরে রেস্টুরেন্টের মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

তেলাপোকা কীভাবে তরকারিতে গেল জানতে চাইলে রেস্টুরেন্টের মালিক মো. সায়েম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্থানীয় সাংবাদিক শফিউল্লাহ আনসারী কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে খাবার খেতে আসেন। এ সময় ওয়েটার সাংবাদিককে ভাতের সঙ্গে খাসির গোশত দেয়।

‘তখন মাংসের মধ্যে তেলাপোকা পেয়ে ছবি তুলে ইউএনওকে ফোন দিয়ে জরিমানা করিয়েছেন সাংবাদিক ভাই। কিন্তু ওয়েটার বলেছে, সে খাবার দেয়ার সময় তেলাপোকা দেখতে পায়নি।’

তরকারিতে তেলাপোকাকাণ্ড

সায়েম অভিযোগ করেন, ‘এর আগেও আমার রেস্টুরেন্টে কয়েকবার খাবার খেয়েছেন তিনি (শফিউল্লাহ)। খাবার খেয়ে মাঝেমধ্যে টাকা কম রাখতে বললেও কম রাখা হয়নি।

‘আমার ধারণা, এ জন্য আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে তেলাপোকা নিজেও ছাড়তে পারেন। কারণ খাবারে তেলাপোকা পাওয়ার সময় অর্ধেক ভাত সাংবাদিক খেয়ে ফেলেছিলেন। আর তেলাপোকাটিও তাজা ছিল।’

এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সাংবাদিক শফিউল্লাহকে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘রেস্টুরেন্টের মালিকের সঙ্গে রেস্টুরেন্টের পাশের একটি জায়গা নিয়ে আরেকজনের বিরোধ চলছে। রেস্টুরেন্টের মালিক ভেবেছিলেন আমি কোনোভাবে ওই ব্যক্তিকে সাপোর্ট দিচ্ছি। এ জন্য আমি তেলাপোকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা বলে ওঠে খাবারে তেলাপোকা ছিল না। তারা বোঝাতে চেয়েছিল আমি তেলাপোকা এনে ছেড়ে দিয়েছি।

‘আমি সাংবাদিকতার পাশাপাশি শিক্ষকতা করি। যতবার এ রেস্টুরেন্টে খেয়েছি, ততবারই সব বিল ক্লিয়ার করেছি। শুধু জমিসংক্রান্ত ওই বিরোধের কারণে তেলাপোকা ছিল না- এমন মিথ্যা কথা বলে আমাকে ফাঁসাতে চেয়েছেন তিনি।’

তবে জমির বিরোধ নিয়ে শফিউল্লার সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই বলে দাবি করেছেন সায়েম।

তরকারিতে তেলাপোকাকাণ্ড

তিনি বলেন, ‘আমি রেস্টুরেন্টটি একজনের কাছ থেকে ভাড়ায় চালাচ্ছি। এ রেস্টুরেন্টের পেছনে ওই মালিকের প্রায় দুই ফুট জায়গা আছে। আর এ জায়গাটি নিজের বলে দাবি করেন জাহাঙ্গীর নামে আরেকজন হোটেল ব্যবসায়ী। এ জন্য তিনি ওই জায়গায় নিয়মিত হোটেলের ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখেন।

‘গত জুন মাসে ওই জায়গায় আমি সামান্য বালু ফেলেছিলাম। তখন জাহাঙ্গীর বাধা দিতে গেলে আমার রেস্টুরেন্ট ভবনের মালিকের ছেলের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। মূলত এ নিয়ে ওই দুই পক্ষের বিরোধ।’

এই বিরোধে তিনি নেই জানিয়ে সায়েম বলেন, ‘সাংবাদিকের সঙ্গেও জমির কারণে আমার কোনো বিরোধ নেই। মূলত রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পর টাকা কম না রাখার জন্যই খাবারে তেলাপোকা ফেলে ইউএনওর মাধ্যমে আমাকে জরিমানা করে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।’

অভিযানে গিয়ে তেলাপোকা তরকারিতে দেখেছেন কি না জানতে চেয়ে ইউএনও সালমাকে আবার কল করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অভিযানের সময় তেলাপোকা পাওয়াসহ দেখেছি দইয়ের কাপ ও মাংস একই ফ্রিজে রাখা। এ ছাড়া কিচেনেও সমস্যা রয়েছে। এসব দিক বিবেচনা করে জরিমানা করেছি।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৪৩ ধারা অনুযায়ী জরিমানা করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
নষ্ট মিষ্টি খেয়ে দুই শিশু অসুস্থ, জরিমানা ১৫ হাজার
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়: পাঁচ চালককে ৭ হাজার টাকা জরিমানা
বাড়তি ভাড়া আদায় সাড়ে ১১ হাজার, জরিমানা ৫০০
বেশি দামে সার বিক্রি, ১ লাখ টাকা জরিমানা
নকল প্রসাধনী কারখানায় র‌্যাবের অভিযান, জরিমানা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Former Chhatra Dal leader died in hospital after arrest

গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু আবদুর রহমান সোনাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক। ছবি: পারিবারিক অ্যালবাম
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রাজিব আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‌‌‘গতকাল (সোমবার) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ আবদুর রহমান ও হাবিবুর রহমান নামের দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রহমান মারা যান।’

নোয়াখালীতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সাবেক এক ছাত্রদল নেতার।

ছাত্রদলের ওই নেতার নাম আবদুর রহমান (৩৩), যিনি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মাওলানা সাইদুল হকের ছেলে।

আবদুর রহমান সোনাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।

আবদুর রহমানের চাচা মো. হানিফ অভিযোগ করেন, ‌‌‌‘গতকাল (সোমবার) ভোররাতের দিকে যৌথবাহিনী হাওলাদার বাড়িতে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে আমার ভাতিজা আবদুর রহমান ও একই বাড়ির আরেক ভাতিজা হাবিবুর রহমানকে তাদের ঘর থেকে আটক করে যৌথবাহিনী।

‘আটকের পর তাদের পরিবারের সদস্যদের সামনে মারধর করা হয়। এরপর সকালে স্থানীয় পশ্চিমপাড়ার বাবুলের দোকানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তাদের কাছ থেকে কার্তুজ ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর সকাল আট-নয়টার দিকে তাদের সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়।’

হানিফ জানান, থানায় সোপর্দ করার পর তারা সেখানে গিয়ে তার ভাতিজাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। তখন তারা পুলিশকে অনুরোধ করেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। পুলিশ জানায়, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানোর পর আদালতে আবেদন করলে সেখান থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

হানিফ অভিযোগ করেন, সারা দিন থানা থেকে তার ভাই ও ভাতিজাকে আদালতে না পাঠিয়ে পাঠানো হয় বিকেল পাঁচটায়। আদালতে তাদের উপস্থাপনের পর গ্রহণ না করে আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ তাদের বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তার ভাই আবদুর রহমান মারা যান। আর ভাতিজা হাবিবুর রহমান একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, ‘সকালে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। তখন তাদের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। যখন তাদের পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়, তখন তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তখন তাদের স্থানীয় বজরা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

‘আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া পূর্বের তিনটি মামলা রয়েছে। আর হাবিবের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নাই। তাদের কাছ থেকে রাইফেলের লম্বা দুইটি গুলি ও তিনটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে।’

ওসি মোরশেদ আলম জানান, যুবকের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মঙ্গলবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রাজিব আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‌‌‘গতকাল (সোমবার) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ আবদুর রহমান ও হাবিবুর রহমান নামের দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

‘ভর্তির পর সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রহমান মারা যান। তাদের দুইজনেরই শরীরে নীলা-ফোলা জখম ছিল।’

আরও পড়ুন:
রাজশাহীতে মদ্যপানে অসুস্থ চারজনের মৃত্যু
কামরুন নাহারের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নোয়াখালীর বয়ারচরে ডাকাতদলের তাণ্ডব, আটজনকে কুপিয়ে জখম
চলে গেলেন বিশিষ্ট অভিনেতা প্রবীর মিত্র
চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Legal notice to add data and minutes to the next package at the end of the period

মেয়াদ শেষে ডাটা ও মিনিট পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ


মেয়াদ শেষে ডাটা ও মিনিট পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ প্রতীকী ছবি
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বরাবর মঙ্গলবার এ নোটিশ পাঠান।

মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট ইন্টারনেট ডাটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বরাবর মঙ্গলবার এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।

আরও পড়ুন:
আয়মানের টেন মিনিট স্কুলে বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল স্টার্টআপ বাংলাদেশের
ডাটা সুরক্ষায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকলে আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকবে না
দুই শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ স‌্যালাইন, দুই নার্সকে শোকজ
ফেসবুকে পাঠ্যবই জনপ্রিয় করেছে টেন মিনিট স্কুল: পলক
অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleda Zias appeal verdict in Orphanage Trust case on Wednesday

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: বাসস
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীনসহ শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবীরা মামলায় খালেদা জিয়া খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।

আদালত বুধবার রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেছে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ আজ আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করে আদেশ দেন।

আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এ ছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে বিপুলসংখ্যক আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অনিক আর হক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসিফ হাসান।

আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতকে জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠনের ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া সই-স্বাক্ষর করেছেন, এমন কোনো নথি প্রসিকিউশন দেখাতে পারেনি। আর টাকা কোথা থেকে এসেছে, তাও দেখাতে পারেনি। আর যে অর্থ আত্মসাৎ বলা হয়েছে, তা ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত আছে এবং সেই টাকা সেখানে অনেক বেড়েছে।

তারা জানান, এ মামলার বিচারে সংবিধান ও আইন অনুসরণ করা হয়নি। মামলাটি আইনগত, মৌখিক, এমনকি শোনা সাক্ষ্য-প্রমাণহীন। সর্বোপরি অনুমাননির্ভর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্যদের সাজা দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীনসহ শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবীরা মামলায় খালেদা জিয়া খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার জবানবন্দি সর্বোচ্চ আদালতের শুনানিতে পড়ে শোনাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

ওই সময় আদালতে পিনপতন নীরবতায় উপস্থিত অনেক আইনজীবীকেও আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।

এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) গত ১১ নভেম্বর মঞ্জুর করে ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিতের আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ।

শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মো. আসিফ হাসান আদালতকে বলেছিলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা কিন্তু আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা মুভ হয়েছে। তবে সুদে আসলে অ্যাকাউন্টেই টাকাটা জমা আছে। কোনো টাকাটা ব্যয় হয়নি।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ মামলায় খালেদা জিয়ার দেওয়া ৩৪২ ধারায় বক্তব্য তুলে ধরে সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, ‘কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই রাজবন্দির জবানবন্দির প্রতিফলন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে উঠে এসেছে। আর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল সংক্রান্ত কোনো অনুদান গ্রহণ বা বিতরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলা হয়েছে।’

বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

একই বছরে ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির এ ক্ষমার পরেও মামলা দুটি আইনগতভাবে লড়ার কথা জানিয়ে বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি তার সাজা মওকুফ করেছেন। তবে সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি; তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন।

আরও পড়ুন:
আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আলোচনা জাতীয় ভোটের সময়ক্ষেপণ, মত বিএনপি নেতাদের
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
ট্রাইব্যুনালে ক্রসফায়ার ও গুমের অভিযোগ বিএনপির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The skeleton of a woman buried in a potato field was recovered

আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা নারীর কঙ্কাল উদ্ধার

আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা নারীর কঙ্কাল উদ্ধার আলুক্ষেতের পাশে পড়ে থাকা জামাকাপড় দেখে সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই নারীকে শনাক্ত করে পরিবার। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে মরদেহ উদ্ধারে আসে তারা। ছবি: নিউজবাংলা
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মর্গে পাঠানো হয়। অপহরণ মামলার প্রধান আসামিকে কারাগার থেকে ফের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মুন্সীগঞ্জ সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা হালিমা বেগমের (৩৪) কঙ্কালের সন্ধান পাওয়া গেছে।

আলুক্ষেতের পাশে পড়ে থাকা জামাকাপড় দেখে সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই নারীকে শনাক্ত করে পরিবার। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে মরদেহ উদ্ধারে আসে তারা।

এক মাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন হালিমা।

পরিবারের ভাষ্য, ৯ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই নারী। পরে এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অপহরণ মামলা করেন তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন। থানা পুলিশ মামলার প্রধান আসামি সামিউল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন না হওয়ায় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মর্গে পাঠানো হয়। অপহরণ মামলার প্রধান আসামিকে কারাগার থেকে ফের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আরও পড়ুন:
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রাতভর অভিযানে ৫০ মামলা, ৪ বাস জব্দ
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আলাদা দুর্ঘটনায় চারজন নিহত
ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে পুলিশে দিলেন ছাত্ররা
মেঘনায় কার্গো জাহাজে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
চাঁদপুরে মেঘনায় থেমে থাকা কার্গো জাহাজে ৫ মরদেহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Body of young man with severed nose and ears found in Borough land

বোরো জমিতে যুবকের নাক-কান কাটা মরদেহ

বোরো জমিতে যুবকের নাক-কান কাটা মরদেহ প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বোরো ধানের জমি থেকে নাক ও কান কাটা এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের উকারগাঁও গ্রামের বোরো জমি থেকে রোববার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ওই যুবকের নাম মনির হোসেন (৩০), যিনি শান্তিগঞ্জের উকারগাঁও গ্রামের প্রয়াত মোকসেদ আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুজন পরিচিত মানুষ ওই যুবককে ডেকে নিয়ে যায়। সারা রাত বাড়িতে না ফেরায় সকালে পরিবার ও গ্রামের লোকজন খোঁজাখুঁজি করলে উকারগাঁও গ্রামের বোরো জমিতে নাক-কান কাটা অবস্থায় যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ বোরো জমি থেকে লাশ উদ্ধার করে।

কী কারণে যুবককে এভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘নাক-কান কাটা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

আরও পড়ুন:
৩ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিকল্পিত হত্যা দাবি স্বজনদের
মেঘনায় কার্গো জাহাজে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
চাঁদপুরে মেঘনায় থেমে থাকা কার্গো জাহাজে ৫ মরদেহ
শার্শা সীমান্তে নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
শহীদ মিনার সংলগ্ন ফুটপাতে নবজাতকের মরদেহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladeshi injured in BSF firing at Lalmonirhat border

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের টহল। ছবি: ইউএনবি
বিজিবির কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আহত গরু ব্যবসায়ী (ডাঙ্গোয়াল) ছিলেন। এ ঘটনায় রোববার সকালে ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে মীররাপা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে শহিদুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তি গোপনে রংপুরে চিকিৎসাধীন বলে খবর পাওয়া যায়।

আহত শহিদুল ইসলামের (৪০) বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের কাশিরডাঙ্গা গ্রামে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৫৯ নম্বরের ৪ নম্বর উপপিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি গরু পারাপারকারীদের চার থেকে পাঁচজনের একটি দল ভারতের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা থানার ময়নাতলী গ্রামে গরু আনতে যান। ওই সময় ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় শহিদুল গরু নিয়ে ফেরার পথে ১৬৯ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বুড়াবুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচটি গুলি ছোড়েন। এতে তার পায়ে গুলি লাগে।

পরে সঙ্গীরা তাকে রাতেই রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানে গোপনে চিকিৎসাধীন তিনি।

বিজিবির কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আহত গরু ব্যবসায়ী (ডাঙ্গোয়াল) ছিলেন। এ ঘটনায় রোববার সকালে ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে।

‌‘বৈঠকে মীররাপা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক সম্মেলন বাতিল নয়, স্থগিত হয়েছে
সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
পঞ্চগড় সীমান্তে কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএসএফ
শার্শা সীমান্তে নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও শতাধিক প্রবাসী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attempted murder of hospital caretaker in Jhalkathi Ambulance driver arrested

ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার

ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চাকরি হারানো অ্যাম্বুলেন্সচালক শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন এইচএম জহিরুল ইসলাম হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আমার বিরুদ্ধে লাগিয়ে রেখেছে। তার উদ্দেশ্য মহৎ নয়। শাহাদাতকে দিয়ে গ্যাঞ্জাম করানোর পেছনেও তার হাত আছে।’

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহম্মেদকে রোববার একটি কক্ষে আটকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চাকরি হারানো অ্যাম্বুলেন্সচালক শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ডা. শামীম।

অভিযোগে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক লিখেন, ‘১০০ শয্যাবিশিষ্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার শাহাদাত হোসেন ১২ জানুয়ারি দুপুর দেড়টায় আমার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা চালায়। বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমাকে উদ্ধার করেছে।’

লিখিত অভিযোগে সদর হাসপাতালের শাহাদাত হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে গাড়িচালক শাহাদাত হোসেনের চাকুরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। চালক শাহাদাতের কাছে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন বাবদ সরকারি ইউজার ফি জমা প্রদানের জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে।

‘সে হাসপাতালের অফিসার্স কোয়ার্টারে অবৈধভাবে রুম দখল করে মাদক সেবন ও মাদকের কর্মকাণ্ড করে। তাহার কর্মকাণ্ডে ও চলাফেরায় সন্দেহ হয়েছে।’

তিনি আরও লিখেন, ‘ইতিপূর্বে শাহাদাতের অ্যাম্বুলেন্স থেকে ৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১১ জানুয়ারি গাড়িচালক শাহাদাত আমাকে হুমকি প্রদান করে। সে আমার সরকারি বাসভবনের সিসি ক্যামেরাটি নষ্ট করেছে, যা তার আচরণে প্রমাণিত হয়।’

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক শাহাদাত হোসেনের এমন কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনি ও হত্যাচেষ্টার শামিল। তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানা পুলিশকে লিখিত অবগত করেন তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদ।

ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহম্মেদের দেওয়া লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগে উল্লেখিত আসামি গাড়িচালক শাহাদাতকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

‘এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান। মামলা রুজুর পরে আসামি শাহাদাতকে আদালতে পঠানো হবে।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন এইচএম জহিরুল ইসলাম হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আমার বিরুদ্ধে লাগিয়ে রেখেছে। তার উদ্দেশ্য মহৎ নয়। শাহাদাতকে দিয়ে গ্যাঞ্জাম করানোর পেছনেও তার হাত আছে।’

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ী হত্যা: জড়িতরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ
ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ধারণা পুলিশের
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ
স্কুলের পাশে ইটভাটা, ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পরিবেশ কর্মকর্তার

মন্তব্য

p
উপরে