সাবেক উপমন্ত্রী বিএনপির সাবেক নেতা মো. আসাদুল হাবিব দুলুর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। রায়ের জন্য আগামী রোববার দিন ঠিক করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুর রেজ্জাক খান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুর রউফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এক কোটি ৬১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৩ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের মো. কামরুল আহসান ২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি লালমনিরহাটে এ মামলা করেন।
একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়। পরে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন দুলু। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট রুল জারি করে মামলার উপর স্থগিতাদেশ দেয়।
পণ্যবাহী ট্রাককে টার্গেট করে পিছু নেয় যাত্রীবাহী বাস। সুবিধাজনক নির্জন স্থানে বাস দিয়ে ট্রাকের গতিরোধ করা হয়। ট্রাকে থাকা চালক-সহকারীকে বেধড়ক মারধর করে ছিনিয়ে নেয়া হয় ট্রাকের নিয়ন্ত্রণ। ট্রাকের চালক ও সহকারীকে হাত-মুখ বেঁধে উঠিয়ে নেয়া হয় বাসে। তারপর পণ্যবাহী ট্রাক একদিকে, বাস অন্যদিকে।
গত দেড় বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, ভুলতা, ঢাকা-সিলেট ও আড়াইহাজার-নরসিংদী মহাসড়কে বাস দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও কাভার্ডভ্যানে ডাকাতি করে আসছিল একটি চক্র।
এই ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। উদ্ধার করা হয়েছে একটি ডিমবোঝাই পিকআপ ভ্যানের চালক ও সহকারীকে।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১১ এর একটি দল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও বন্দর থানা এলাকা থেকে মহাসড়ক ডাকাতির সময় ছয় ডাকাতকে আটক করে শুক্রবার রাতে। আটক ব্যক্তিরা হলেন মুসা আলী, নাঈম মিয়া, শামিম, রনি, আবু সুফিয়ান ও মামুন।
তাদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি ছোরা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি বাস জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া পিকআপ ভ্যানে ডাকাতির পর বাসে উঠিয়ে নেয়া পিকআপ ভ্যানের চালক ও সহকারীকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
শনিবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন ফোর্সের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, নরসিংদী-সায়দাবাদ সড়কে চলাচল করা যাত্রীবাহী একটি বাস দিয়ে রাতের বেলা ডাকাতি করে আসছিল চক্রটি। ‘যুব কল্যাণ এক্সপ্রেস লিমিটেড’ নামে কোম্পানির একটি বাস ব্যবহার করে তারা ডাকাতি করত। মালিক ডাকাতির বিষয়ে না জানলেও এর চালক এবং সহকারী এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আটক ছয় জনের মধ্যে বাকিরা বিভিন্ন পেশার আড়ালে এই ডাকাতিতে জড়িত।
র্যাব জানিয়েছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় র্যাব তাদের টহল জোরদার করেছে। এরই অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতা গোলাকান্দাইল এশিয়ান হাইওয়েতে র্যাব-১১ এর টহল চলাকালে একটি ডিম বোঝাই পিকআপের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় এর গতিরোধ করা হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পিকআপ থেকে দুই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথাবার্তা ও আচরণে অসংলগ্নতা প্রকাশ পাওয়ায় তাদেরকে তল্লাশি করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি চাপাতি ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে একটি বাসে করে ভুলতা থেকে রূপসা যাওয়ার পথে এশিয়ান হাইওয়েতে ওই ডিমবোঝাই পিকআপের পিছু নেয়। একপর্যায়ে ভুলতা-রূপসী সড়কে পিকআপটির সামনে বাস দিয়ে রাস্তা আটকে পিকআপের গতিরোধ করে তারা।
‘এরপর পিকআপের ড্রাইভার ও তার সহকারীকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পিকআপটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং ড্রাইভার ও তার সহকারীকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে মারপিট করে ও বাসে উঠিয়ে নেয়। এরপর ডাকাত দলের সরদার মুসা ও তার প্রধান সহকারী নাঈম পিকআপটি নিয়ে গাউছিয়া-মদনপুরমুখী রাস্তায় নিয়ে যায়। বাকি সদস্যরা পিকআপের চালক ও হেলপারকে বাসে করে নিয়ে যায় মদনপুরের দিকে।’
খন্দকার আল মঈন জানান, আটক দুজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পিকআপের ড্রাইভার ও হেলপারকে উদ্ধারের উদ্দেশ্যে র্যাবের একটি দল মদনপুর পৌঁছায়। নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে যুব কল্যাণ এক্সপ্রেস লিমিটেডের বাসটি আটক করা হয়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা চার জনকে আটক করে। আরও ৪-৫ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাসের ভিতর থেকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় পিকআপের ড্রাইভার ও তার সহকারীকে উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ১০-১২ জনের এই ডাকাত দলটি বেশ কয়েক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার এলাকায় বিভিন্ন মহাসড়কে নিয়মিত ডাকাতি করে যাচ্ছিল। তারা পেশায় কেউ পোশাককর্মী, চালক, হেলপার আবার কেউ রাজমিস্ত্রী ও কাপড়ের দোকানের কাটিং মাস্টার। দিনে নিজ নিজ পেশায় নিয়োজিত থাকলেও বিভিন্ন সময় তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করে থাকে।
খন্দকার মঈন জানান, চক্রটি তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ডাকাতি করে এবং ডাকাতির কাজে একটি বাস ব্যবহার করে।
দলনেতা মুসার নির্দেশে প্রথম দলটি ডাকাতির জন্য বিভিন্ন পোশাক কারখানার পণ্যবাহী ট্রাক ও মহাসড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী যানবাহন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে এবং ডাকাতির জন্য সম্ভ্যাব্য স্থান নির্ধারণ করে।
দ্বিতীয় দলটি বাস নিয়ে মহাসড়কে সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান নিয়ে ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করে। তারা টার্গেটকৃত পণ্যবাহী যানবাহনের পিছু নেয়। বাহনের গতিরোধ করে সেটির চালক ও হেলপারকে বাসে তুলে নেয়া হয়। তারপর হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় মহাসড়কের নির্জন স্থানে ফেলে দেয়া হয়।
তৃতীয় দলটির নেতৃত্ব দেন দলনেতা মুসা নিজে। তিনি ছিনতাইকৃত পণ্যবাহী গাড়িটি চালিয়ে ডাকাতি করা পণ্য পূর্ব নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যায় এবং তা আনলোড করেন।
র্যাব জানায়, আটক ছয়জনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন:ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক সালমান রুশদির ওপর হামলায় জড়িত অভিযোগে আটক হাদি মাতার স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ছিলেন প্রচণ্ড ধর্মপ্রাণ। তার বন্ধুরা বলছেন, হাদির এমন সহিংস রূপ তাদের অচেনা।
নিউ ইয়র্কে শুক্রবার সকালে সালমান রুশদিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ২৪ বছর বয়সী হাদিকে।
গুরুতর আহত রুশদির সার্জারির পর তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তার বইয়ের এজেন্ট এন্ড্রু ওয়াইলি জানিয়েছেন, সম্ভবত তিনি এক চোখ হারিয়েছেন। তার যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশদির অবস্থা ভালো নয়।
পুলিশের হাতে আটক হাদি মাতারের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় হলেও তিনি নিউ জার্সির ফেয়ারভিউ এলাকায় বসবাস করছিলেন। তার বিরুদ্ধে এখনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ বলছে, রুশদির অবস্থা দেখে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হবে হাদির বিরুদ্ধে।
হাদি মাতার ২০১৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নিউ জার্সিতে আসেন। ক্যালিফোর্নিয়ার এলিজাবেথ লার্নিং সেন্টারে তার সহপাঠীরা জানান, তারা হাদিকে প্রচণ্ড ধার্মিক হিসেবে জানতেন।
হাদি মাতারের সাবেক সহপাঠী গ্যাব্রিয়েল সানচেজ বলেন, ‘হাদি এমন একটি জঘন্য অপরাধ করেছে শুনে আমি হতবাক হয়ে গেছি। ক্যালিফোর্নিয়ার এলিজাবেথ লার্নিং সেন্টারে সে আমার সহপাঠী ছিল। হাদি ছিল খুবই ধর্মপ্রাণ এক মুসলমান। সে বিতর্কে অংশ নিত এবং তার বেশ কয়েকজন বন্ধু ছিল।’
গ্যাব্রিয়েল বলেন, ‘হাদি আমাদের স্কুলের রেস্টরুমে অজু করত। একবারই ওকে প্রচণ্ড রেগে যেতে দিখেছি। বছরের শেষের দিকে আমাদের জীববিজ্ঞান শিক্ষকের ক্লাসের মূল্যায়নে সে লিখেছিল, তিনি (শিক্ষক) ধর্ম সম্পর্কে যেভাবে কথা বলেন, তাতে মনে হয় ধর্মকে তিনি ঘৃণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাদি আমার সঙ্গে যে কয়েকটি বিষয়ে কথা বলেছে, তার একটি ছিল দয়া। সালমান রুশদির ওপর যে হাদি এই আক্রমণ করেছে, সে আমার অতীতের চেনা হাদি নয়। কারণ আমি যাকে চিনতাম, সে দয়ার কথা বলত।’
হাদি মাতারের আগের রেকর্ড জানতে এবং হামলার উদ্দেশ্য বের করতে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সহায়তা চেয়েছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।
নিউ ইয়র্ক পুলিশের মেজর ইউজিন স্ট্যানিসজেউস্কি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ছুরিকাঘাতের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাদির অ্যাকাউন্টগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি শিয়া চরমপন্থা এবং ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) প্রতি সহানুভূতিশীল।
হাদির ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়েও তথ্য পেয়েছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। এ ড্রাইভিং লাইসেন্সে তিনি ব্যবহার করেছেন লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গ্রুপ হিজবুল্লাহ নেতা মুগনিয়ার নাম। জিহাদ মুগনিয়া ২০১৫ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন।
নিউ জার্সিতে আসার পর গত কয়েক বছরে হাদি মাতারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে গত এপ্রিলে তিনি বক্সিং শিখতে শুরু করেন।
স্টেট অফ ফিটনেস বক্সিং ক্লাবের এক মুখপাত্র জানান, মাতার এপ্রিলে বক্সিং গ্রুপ ক্লাস করতে ভর্তি হন। গত ৯ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ক্লাবে সদস্যপদ বহাল রাখেন।
নিউ জার্সিতে হাদির প্রতিবেশীরা তার সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য দিতে পারেনি। আশপাশের সবাইকে অনেকটা এড়িয়ে চলতেন হাদি।
এক প্রতিবেশী জানান, তারা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে হাদি মাতারকে শনাক্ত করেন।
একটি হাসপাতালের সাবেক কর্মী আন্তোনিও লোপা বলেন, ‘আমি হাদি মাতারের বাড়ির সামনের রাস্তার উল্টো দিকে থাকি। প্রায়ই ওকে বাড়ি ফিরতে দেখেছি, তবে কখনও কথা হয়নি।’
৭০ বছর বয়সী লোপার ধারণা, হাদির বাসায় আরও ছয়-সাতজন থাকতেন। সম্ভবত তারা সবাই আত্মীয়। তিন থেকে চার বছর আগে তারা দ্বিতল ভবনটিতে আসেন।
নিউ ইয়র্কের শাটোকোয়া ইনস্টিটিউশনে শুক্রবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার সময় সালমান রুশদির ওপর হামলা চালান হাদি মাতার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুশদিকে ২০ সেকেন্ডে ১০ থেকে ১৫ বার ছুরিকাঘাত করা হয়। হামলার পর রুশদি তৎক্ষণাৎ মেঝেতে পড়ে যান।
আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লেখককে ঘিরে ফেলেন। অনুষ্ঠানে আনুমানিক আড়াই হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘রুশদিকে মুহূর্তের মধ্যে বেশ কয়েকবার আঘাত করা হয় এবং তিনি তার রক্তের ওপরই লুটিয়ে পড়েন।’
হামলায় সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী হেনরি রিসও মাথায় সামান্য আঘাত পান। রিস একটি অলাভজনক সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা, যা নিপীড়নের হুমকির মধ্যে থাকা নির্বাসিত লেখকদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ উপন্যাস দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। শুধু যুক্তরাজ্যেই বইটির ১০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল।
১৯৮৮ সালে দ্য স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাস লেখার পর থেকে বছরের পর বছর প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে আসছেন এ লেখক।
স্যাটানিক ভার্সেস রুশদির চতুর্থ উপন্যাস। এ বই লেখার জন্য রুশদিকে ৯ বছর আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল।
ওই বই প্রকাশের পর সহিংসতায় অন্তত ৩০ জন নিহত হন। এর মধ্যে ছিলেন উপন্যাসটির জাপানি ভাষার অনুবাদকও।
আরও পড়ুন:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পেছনে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ কমিশন চূড়ান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শনিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ আশার কথা জানান।
কমিশনের অগ্রগতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজার বিষয়ে কমিশনের রূপরেখা তৈরি করেছি। এখন কমিশন গঠন ও এর কার্যপ্রণালি নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, কোভিড যায় যায় করেও যাচ্ছে না। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থাও অনুধাবন করছেন। এখানে অর্থনৈতিক বিষয়েও কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
‘সে জন্য কমিশনের রূপরেখার বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়ে উঠছে না। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে আলোচনায় বসতে পারব। এই বছর নাগাদ আমরা হয়তো কমিশন চালু করতে পারব।’
এখন রূপরেখাটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পলাতক আসামিদের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৭ জন সদস্যদের যারা খুন করেছে, এ মামলার যে আসামিরা দেশের বাইরে আছে, তাদের দেশে না আনা পর্যন্ত আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলব না। আনার প্রক্রিয়া সম্বন্ধেও বিস্তারিত বলব না।’
তিনি বলেন, ‘যে দুইজনের অবস্থান চিহ্নিত করা গেছে, তাদেরকে আনার জন্য আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আসামিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি সহযোগিতা না পেতাম, তাহলে কিন্তু এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তার মানে বোঝায় আমরা কিছুটা সহযোগিতা পাচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্য যারা দেশ চালিয়েছিল, তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আমাদের বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সব সমস্যা একটা একটা করে শেষ করা হচ্ছে।
‘সেই জন্য আমাদেরও ইচ্ছা যদি তাড়াতাড়ি তাদেরকে ফিরিয়ে আনা যায়। এর মধ্যে মাজেদকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা গেছে। আমরা এনেছি। রায় কার্যকরও হয়ে গেছে।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী একদল সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসায় আক্রমণ করে। বঙ্গবন্ধু ছাড়াও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরকে।
এ ছাড়া বেইলি রোডে সরকারি বাসায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবি সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত ও আবদুল নঈম খান রিন্টুকে। আরেক বাসায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণিকে।
সে সময় দেশে না থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
আরও পড়ুন:সাংবাদিক সোহানা পারভীন তুলির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের এক মাসেও তদন্তে তেমন অগ্রগতি হয়নি। মৃত্যুর আগের দিন তুলি তার বন্ধু রফিকুল ইসলাম রঞ্জুর ফোনে একটি মেসেজ পাঠান। সেখানে আত্মহত্যার হুমকির কথা থাকলেও রঞ্জুকে একবারের পর আর জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিশ।
সাংবাদিক রঞ্জুর বিরুদ্ধে তুলিকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ তুলছেন তার পরিবার ও সাবেক সহকর্মীরা। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, রঞ্জুর সঙ্গে তুলির কী সম্পর্ক ছিল, মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময়ে তাদের কী কথোপকথন হয়েছে তা জানতে তুলির মোবাইল ফোন সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ কাজ শেষ করতে সময় লাগবে।
রাজধানীর রায়েরবাজারের মিতালী রোডের বাসা থেকে গত ১৩ জুলাই দুপুরে সোহানা পারভীন তুলির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাজারীবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন তুলির ভাই মোহাইমেনুল ইসলাম।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখনও ময়নাতদন্ত ও মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া যাবে।’
রিপোর্ট পেতে কত সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে নিশ্চিত নন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়োরটি দিয়ে রিপোর্টগুলো আনার চেষ্টা করছি। তবে সিআইডিতে সারা দেশের বিষয়গুলো আসে। এ কারণে রিপোর্ট পেতে সময় লাগে। মেডিক্যাল রিপোর্ট পেতেও সময় লাগবে।’
ঘটনার পর তুলির বাসার দারোয়ান একটি মোটরসাইকেলের নম্বর পুলিশকে দেন। তার সূত্র ধরেই পুলিশ রফিকুল ইসলাম রঞ্জুকে শনাক্ত করে। তুলির সঙ্গে সম্পর্ক ও নিয়মিত যোগাযোগ থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন রঞ্জু। তবে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ তিনি স্বীকার করেননি।
আরও পড়ুন: প্রাণোচ্ছল, পরোপকারী তুলির মনে কী দুঃখ ছিল
হাজারীবাগ থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রঞ্জুকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য ঢাকার বাইরে কোথাও গেলে আমাদের অবহিত করতে বলেছি। তদন্তের প্রয়োজনে আবার ডাকলে তাকে আসতে হবে।’
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিএমপি রমনা বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, তুলির সঙ্গে সাংবাদিক রঞ্জুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মোবাইল ফোনে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ হতো এবং তুলির বাসায়ও রঞ্জু প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার আগের দিন বিকেল ৩টা ৯ মিনিটে রঞ্জুকে তুলি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। এক লাইনের মেসেজে লেখা ছিল, ‘আজকে তুই মরার খবর পাবি’।
তিনি বলেন, ‘রঞ্জুকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তুলির পাঠানো মেসেজটি তিনি না দেখেই ডিলিট করে দেন বলে দাবি করেছেন।’
তুলির ভাই মোহাইমেনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, আপুকে আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা তথ্য-প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করছি। আপুর ফোন সিআইডির কাছে আছে। তাদের রিপোর্ট পেলে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে। আমরা চাই, পুলিশ তদন্ত করে সত্য বের করে আনুক। আমরা ঘটনার বিচার চাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুলির সাবেক এক সহকর্মী বলেন, ‘রঞ্জু মোবাইলে মেসেজ পেয়ে তুলিকে ফেরানোর চেষ্টা করলে আজ হয়তো সে বেঁচে থাকত। নিশ্চয়ই ওদের মধ্যে এমন কিছু হয়েছে, যাতে তুলি এমন কথা লিখে মেসেজ করেছে। তাদের মধ্যে কী হয়েছিল, কেন তুলি আত্মহত্যার পথ বেছে নিল, তা তদন্তে বেরিয়ে আসা উচিত।‘
তুলির ফোনে পাঠানো মেসেজ ও সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে রফিক রঞ্জু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না কী কারণে সে এ ধরনের মেসেজ দিয়ে থাকতে পারে। একটা ভালো সম্পর্ক ছিল, কোনো ধরনের ঝগড়া বা এ ধরনের কোনো কিছু আমার সঙ্গে ওর হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘মেসেজটি আমি দেখিনি। এরপর আর কোনো কথাও হয়নি। পরদিনই তো খবরটা পাইছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানা তুলি এক দশকের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলেন। সবশেষ ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত তিনি অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। এরপর কয়েক মাস সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছিলেন।
বাংলা ট্রিবিউনের আগে তিনি কাজ করেছেন দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক আমাদের সময়ে।
সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রঞ্জু সবশেষ কর্মরত ছিলেন দৈনিক সমকালে। তুলির ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন:ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেছে পুলিশ। ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজ মিয়া শুক্রবার রাতে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন।
একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় ফেনী জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদ, ফেনী পৌর সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন ইভুসহ যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি। বিকেলের দিকে শহরের ইসলাম রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি ট্রাংক রোডের জিরো পয়েন্টের দিকে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা মিছিলকারীদের ধাওয়া দেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে পথচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন:গরু পাচার মামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে পারলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। অসুস্থতার অজুহাত তুলে ১০ বার সিবিআই নোটিশ এড়ালেও শেষরক্ষা হয়নি। এবার গ্রেপ্তারের পর সিবিআই তাকে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে।
শুক্রবার সকালে কলকাতার আলিপুর কমান্ডো হাসপাতালে প্রায় ঘণ্টাখানেক তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। এরপর ৪ সদস্যের বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়ে দেয়, কেষ্ট মণ্ডলের বড় কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলেও ‘টেনশন’ কমাতে ওষুধ দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের ছাড়পত্র মিলতেই দুপুর ১২টা থেকে গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। বীরভূমের প্রভাবশালী এ নেতাকে সিবিআই কর্মকর্তারা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করলেও স্বীকারোক্তি মেলেনি। কেষ্ট জবাব দিচ্ছেন দায় এড়িয়ে।
কলকাতার নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় সিবিআই গেস্ট রুমে রাখা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল কেষ্টকে। তার শোবার চৌকির পাশে রাখা আছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, শ্বাসকষ্টের পুরনো সমস্যার কারণে। একজন সাহায্যকারী আছেন তার পাশে। তিনি নিয়মিত যেসব ওষুধ সেবন করেন, তা দেয়া হচ্ছে। ১০ দিনের হেফাজতে ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দিতে বলেছে আদালত।
সিবিআই তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন গরু পাচারে তৃণমূল নেতার যোগসূত্র ও আর্থিক লেনদেন বিষয়ে। চক্রের সদস্যদের নাম জানতে চাইছেন তারা। কেষ্ট মণ্ডল প্রথম দিনের জেরায় এসব প্রশ্ন এড়িয়ে যান কৌশলে।
এদিকে কেষ্ট মণ্ডলের দুর্দিনে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নেতার নাম উল্লেখ না করলেও দলের তরফে এক সংবাদ সম্মেলনে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ‘দল কারো পাপের দায় নেবে না।’
তবে কেষ্টর সমর্থকরা শুক্রবার মেদিনীপুরে মিছিল করেছে। সিবিআই তদন্তের প্রতিবাদে শনিবার রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের কর্মসূচি আছে।
এ পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উইকেট আরও পড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে হবে জেলে গিয়ে।’
তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডলকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। পরে আসানসোলের বিশেষ আদালতে তুললে বিচারক ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:নরসিংদী কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার পথে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকা থেকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়িসহ পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নরসিংদীর বেলাব থেকে শুক্রবার সকালে ৩২ বছর বয়সী ওই হাজতি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার।
তিনি জানান, শাহ আলমকে বাসে করে গত বুধবার দুপুরে নরসিংদী থেকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হচ্ছিল। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী বাজার এলাকায় বাসটি যানজটে পড়ে। এ সময় সুযোগ বুঝে পুলিশের হাত ফসকে পালিয়ে যান শাহ আলম। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে নরসিংদী পুলিশ লাইনের নায়েক মো. মামুন শেখ বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা করেন।
ওসি আজিজুল হক হাওলাদার জানান, পালানোর পরপরই আসামি শাহ আলম তার আত্মীয়দের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিকেলে গ্রেপ্তার শাহ আলমকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য