আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- দুই দলই দেশের জন্য কিছু করে না বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর। তিনি মনে করেন, দুই দলের চরিত্রই এক। এ কারণে তৃতীয় কোনো শক্তিকে ক্ষমতায় নিতে হবে।
অবশ্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে এক চরিত্রের মনে করলেও বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গড়ার আগ্রহের কথাও বলেন ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ডাকসুর সাবেক ভিপি। এও বলেছেন যে, এই সরকারের পতন ঘটিয়ে বিএনপির হাতে ক্ষমতা দেয়া যাবে না।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনার বিষয় ছিল ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক প্রস্তাব।’
নুর বলেন, ‘আমরা গত ৩৪ বছরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলকেই ক্ষমতায় দেখেছি। আমরা দুই দলেরই চরিত্র দেখেছি। তাদের চরিত্র একই। এই দুই দল ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কিছুই হবে না। এ জন্য তৃতীয় কোনো শক্তিকে আমাদের ক্ষমতায় নিতে হবে।’
বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে আমাদের ঐক্য গড়তে হবে। এই ঐক্যে একটা নির্যাতিত দল হিসেবে বিএনপিকে সঙ্গে রাখতে পারি। কিন্তু তাদের হাতে ক্ষমতা ছাড়া যাবে না।’
আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আছে বলে মনে করেন নুর। বলেন, ১৯৯৬ সালে বিএনপিও তাই করেছিল। তবে পরে তারা জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন তা করছে না।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে নুর বলেন, ‘আমরা চাই না আপনাদের পালানোর রাস্তা না থাকুক। আমরা চাই ভালো করেই নিরাপদে ক্ষমতা ছাড়ুন।
‘আপনারা এখনই সিদ্ধান্ত নিন। সময় আছে। যদি সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেন, তবে আপনারা খেসারত দেবেন, যে খেসারত জনগণ গত ১৩ বছর ধরে দিচ্ছে। আপনারা এই যে ঋণগুলো নিচ্ছেন, এগুলো পরিশোধ কে করবে?’
গণঅধিকার পরিষদের নেতা বলেন, ‘বিএনপিও '৯৬ সালে এককভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা জনগণের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। তাদের খারাপ মতলব ছিল, তা বলা যায় না। তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমান সরকার যিনি ক্ষমতায় আছেন, যিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, যাকে মানুষ সম্মান দেয়। কিন্তু তিনি যেভাবে জনগণ ও বিরোধী দলের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছে, এতে আমরা লজ্জিত।’
ভোলায় সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী নিহতের ঘটনায় সরকারকে দায়ী করেন নুর। বলেন, ‘বিএনপির ভুল আছে মানলাম, তাই বলে তাদের গুলি করে হত্যা করতে হবে- এটা তো সমর্থন করা যাবে না।
‘যদি দেশে সংবিধান থাকত, তাহলে ভোলায় একটি দলের নিরস্ত্র নেতা-কর্মীদের সমাবেশে এভাবে গুলি করে হত্যা করতে পারে না।
‘মুস্তাককে জেলখানায় হত্যা করা হয়েছে, পিন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। আগস্টের পোস্টারে সারা দেশ ছেয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। তারা বলছে কাঁদো বাঙালি কাঁদো। আমরা তাতে সমবেদনা জানাই। কিন্তু এই আগস্ট মাসের শুরুতেই যে তারা নিজেরাই অন্য একটা দলের কর্মীকে হত্যা করলেন!’
আরও পড়ুন:নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কিংবা গণতন্ত্রকে সংহত করা কোনো একক রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নয়।
রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার সকালে ইউএসএইড ও বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত দায়িত্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা।
‘সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং সবকিছুতে না বলার সংস্কৃতি আমাদের রাজনীতিতে তিক্ততা বাড়িয়েছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ হবে। আমি আশা করব, আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে আগামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের গত ৫০-৫১ বছরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তখনই হুমকির মুখে পড়েছে যখন অস্ত্র উঁচিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা হয়েছে। আর সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে।
‘দেশের কল্যাণে রাজনীতিসহ সব অঙ্গনে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। দেশ ও সমাজের উন্নয়নে দেশাত্মবোধ, মানবিকতা এবং মমত্ববোধ জাগ্রত করতে রাজনৈতিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। রাজনৈতিক কর্মীরা অনেকেই জানেন না যে রাজনীতি একটা ব্রত।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর কচুক্ষেতে রজনীগন্ধা মার্কেটে স্বর্ণের দোকানে চুরির মামলায় আসামি আলাউদ্দিন ও শাহজালালকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দুই দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার আসামিদের আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রোববার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
স্বর্ণের দোকানে চুরির মামলায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার স্বর্ণারটেক গ্রাম থেকে ৫ আগস্ট রাতে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় কুমিল্লার সদর দক্ষিণ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহজালালকে। এ সময় তার হেফাজত থেকে বাদীর শনাক্তমতে উদ্ধার করা হয় ১৬ ভরি ৪ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার।
মামলা থেকে জানা যায়, রজনীগন্ধা মার্কেটের নিউ বিসমিল্লাহ্ জুয়েলার্সের মালিক ২৯ জুলাই দুপুরে পার্শ্ববর্তী রূপনগর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যান। নামাজ শেষে ফেরার পথে তিনি জানতে পারেন যে তার দোকানের শাটার খোলা। তিনি দ্রুত দোকানে গিয়ে দেখেন স্বর্ণের বিভিন্ন ধরনের ৪০ ভরি ও রুপার ৫০ ভরি গয়না চুরি হয়ে গেছে। এ ঘটনার পরদিন রূপনগর থানায় একটি মামলা করেন তিনি।
সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ির জ্বালানি তেল চুরি করে- এমন একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বাহিনীটি সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, এই চক্রটি প্রতিদিন ৫০টি সরকারি গাড়ির প্রতিটি থেকে তেল সংগ্রহ করত।
তাদের কাছ থেকে একটি দোকান প্রায় ২০০ লিটার তেল কিনত। এই হিসাবে মাসে কিনত ছয় হাজার লিটার। এভাবে মোট তিনটি দোকানে মাসে প্রায় ১৮ হাজার লিটার চোরাই তেল কেনাবেচা হয়ে আসছিল।
বুধবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
তিনি জানান, এই অভিযোগে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা হলেন আবু কালাম, মো. সুমন, মো. বাবু ও মো. শাহিন। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ লিটার অকটেন ও পেট্রল উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিসি আজিমুল বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান প্রযুক্তি জাদুঘরের সামনের কয়েকটি দোকান সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অফিশিয়াল গাড়ির জ্বালানি তেল চুরি করে বিক্রি হচ্ছে।
‘এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ দুপুরে তেজগাঁও জোনের এসি মাহমুদ খানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তিনটি দোকান থেকে প্রায় ৬০০ লিটার অকটেন ও পেট্রল উদ্ধার করে। এ সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চক্রের সদস্যদের বরাত দিয়ে ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, প্রতি লিটার অকটেন ১০০ টাকায় কিনত তারা। এরপর খোলাবাজারে ১২৮ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করত। প্রতি লিটার পেট্রল ১১০ টাকায় কিনে খোলাবাজারে ১৩০ টাকায় এবং প্রতি লিটার ডিজেল ১০০ টাকায় কিনে খোলাবাজারে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করে আসছিল।
আগারগাঁও এলাকায় সরকারি অফিসের আধিক্যের কারণে এই চক্রটি এই এলাকাকে টার্গেট করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলে তদন্তে তথ্য পাওয়ার কথা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
উপকমিশনার আজিমুল বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেয়েছি যা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি যে সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়িচালক এই তেল চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত, তাদেরকেও বিষয়টি অবহিত করা হবে।’
আরও পড়ুন:গণপরিবহনকে শৃঙ্খলায় আনতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বুধবার সায়েদাবাদে অবস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
তাপস বলেন, আপনারা অবগত আছেন, আমরা বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম সফলতার সাথে শুরু করেছি। একটি যাত্রাপথ শুরু হয়েছে। আরও তিনটি যাত্রাপথ আগামী ১ সেপ্টেম্বর আমরা উদ্বোধন করব। সেসব কার্যক্রমকে বেগবান করতে নিজ অর্থায়নে আমরা আমাদের সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও সিটি বাস টার্মিনালের আধুনিকায়নের কাজ আরম্ভ করেছি। প্রায় ৩০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে আমরা এ কার্যক্রম নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালটি অনেকদিন আগে নির্মাণ হলেও কোনও সংস্কার হয়নি। এখানে জলাবদ্ধতাসহ অবকাঠামোগুলো ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। এই কার্যক্রমের আওতায় ঢাকার গণপরিবহনকে যাতে শৃঙ্খলার আওতায় আনা যায়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজটি হাতে নিয়েছি।’
মেয়র আরও বলেন, ‘এখানে আলাদাভাবে বাস রাখার জায়গা, শ্রমিকদের বিশ্রামের জায়গা, শৌচাগার করা হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীরা যাতে ভেতরে প্রবেশ করে সেবা নিতে পারেন, সেভাবেই সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’
‘আমরা ২টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটি কাঁচপুরে, অন্যটি কেরানীগঞ্জের কাছাকাছি। এর মধ্যে একটি জমির অধিগ্রহণ হলে আমরা হস্তান্তর চেয়েছি। আরেকটি জমির অধিগ্রহণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এগুলো নির্মাণ হতে আরও ৩-৪ বছর লেগে যাবে। এর মধ্যে বাসগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে, তাই বাস টার্মিনাল সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছি।
‘কিছু পথ টার্মিনালের কাছে এসে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তাই আমরা নিচের রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্ত করার কাজ হাতে নিয়েছি। টার্মিনালের ভেতর দিয়ে উড়াল সেতুতে প্রবেশের পথ রয়েছে। তবে সেগুলো কার্যকর নয়। তাই আমরা নতুন করে কার্যকর করতে পরিকল্পনা করেছি।’
এ সময় মেয়র বলেন, ‘পোস্টার ও রঙ দিয়ে লিখে অবকাঠামোগুলোকে আচ্ছাদন করা হয়। এখানে জনগণের সচেতনতাই মুখ্য। আশা করব, তারা এগুলো থেকে বিরত থাকবেন। এক্ষেত্রে আমাদের আইন রয়েছে। তবে আমরা প্রয়োগ করি না। অবকাঠামো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সবার দায়িত্ব।’
পরে মেয়র জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি লেকে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউস প্রজাতির ৩০০ কেজি পোনা অবমুক্ত করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক, করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলীসহ অন্যন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের বাসা থেকে অতিরিক্ত সময় নিয়ে যাত্রা শুরু করার অনুরোধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তরা বিভাগ।
বুধবার ডিএমপির মুখপাত্র ফারুক হোসেন জানান, বিমানবন্দর এলাকায় বিআরটি প্রকল্পের কাজের জন্য বর্তমানে তিনটি লেনে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সড়কে প্রায়ই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এক্ষেত্রে খিলক্ষেত হয়ে উত্তরা ও গাজীপুরগামী যাত্রীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে ওই সড়কে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের নির্দিষ্ট সময়েরও অতিরিক্ত সময় হাতে নিয়ে যাত্রা শুরু করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের লা মেরিডিয়ান হোটেল ও কাওলা পার হওয়ার পর অবশ্যই বাম লেন ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।’
ডিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা) মো. সাইফুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মূল সড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এছাড়া থার্ড টার্মিনালের কাজও চলছে। এসব কারণে মূল সড়ক থেকে বিমানবন্দরে প্রবেশের রাস্তাগুলো কমে গেছে। আবার বিআরটি প্রকল্পের কাজের জন্য মূল সড়কও সংকুচিত হয়েছে। যে কারণে রাজধানী থেকে আউটগোয়িংয়ে গতি কমে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘কাজগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট থাকবে। সেজন্য বিদেশগামী যাত্রীসহ অন্যান্য যাত্রীদের সময় নিয়ে বের হওয়ার জন্য বলেছি আমরা।’
আরও পড়ুন:ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী, মতিঝিল ও গুলশান বিভাগের উপকমিশনারদের (ডিসি) বদলি করা হয়েছে।
বুধবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়।
আদেশে জানানো হয়েছে, ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ডিসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ জিয়াউল আহসান তালুকদারকে। তিনি ক্রাইম বিভাগে ছিলেন।
মতিঝিল বিভাগের ডিসির দায়িত্ব পেয়েছেন হাইয়াতুল ইসলাম খান। তিনি ডিএমপি সদর দপ্তরের ডিসি (অপারেশন) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আর মতিঝিল বিভাগের ডিসি মো. আ. আহাদকে বদলি করা হয়েছে গুলশান বিভাগে।
রাজধানীর লালবাগ কেল্লার সামনে থেকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, যেসব মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত লক দেয়া থাকে না এবং দুর্বল লক, সেগুলো টার্গেট করত চক্রটি। এরপর চক্রটি তাদের কাছে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেত। পরে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় এসব মোটরসাইকেল বিক্রি করা হতো।
লালবাগ থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূলহোতা সোহেল ও তার সহযোগী সুনীল, হুমায়ুন, হৃদয়, আওয়াল ও স্বাধীন।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করা ১০টি মোটরসাইকেল ও চুরিতে ব্যবহৃত বেশ কিছু নকল চাবি উদ্ধার করা হয়।
উপকমিশনার জাফর হোসেন জানান, গত ২৪ জুলাই লালবাগ কেল্লার সামনে থেকে এক এনএসআই কর্মকর্তার মোটরসসাইকেল চুরি হয়। লালবাগ থানায় চুরির অভিযোগ করলে শুরু হয় তদন্ত কার্যক্রম।
তিনি জানান, প্রথমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকা থেকে চোর চক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যে শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ থেকে চক্রের বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কে এন রায় নিয়তির নেতৃত্বে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, চোর চক্রের অন্যতম হোতা সোহেল গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিলেন। চক্রের সদস্যরা নকল চাবি ব্যবহার করে মুহূর্তেই মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেতেন। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য