খুলনায় বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ রেজওয়ানউল হক রচিত ‘বৃহত্তর খুলনার ইতিহাস’ নামক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
মহানগরীর উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরির মিলনায়তনে শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।
তিনি বলেন, ‘লেখক ৩ বছর ৯ মাস পরিশ্রমের মাধ্যমে বইটি লিখেছেন। ৮৪৮ পৃষ্ঠার একটি বই লিখতে কমপক্ষে ১০ বছর সময় লাগার কথা। এত কম সময়ে বইটি লেখা সম্ভব হয়েছে লেখকের সৃজনশীলতার জন্য। ৮০ বছর বয়সে এসে একজন লেখক একটি বইয়ের জন্য এত শ্রম দিতে পারেন, এতে তার আগ্রহ ও সৃজনশীলতা আমাদের অনুবাধন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বই নতুন একটি ক্যানভাস তৈরি করবে। আগের খুলনা কেমন ছিল, এখন খুলনা কেমন আছে তা আমরা তফাত করতে পারব বইটি পড়ে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে খুলনা খুবই ঐতিহ্যবাহী শহর ছিল। মাঝে এই শহর কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছিল। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে খুলনা আবারও জেগে উঠেছে। নতুন করে খুলনা বিনির্মাণে যারা অবদান রাখবেন, এই বইটি তাদের সহায়তা করবে।’
‘বইটিতে খুলনার সব জেলা প্রশাসকের নাম লেখা আছে। সেখানে আমার নামও আছে। যুগ যুগ ধরে বইটি থাকবে, মানুষ পড়বে। এতে আমি গর্বিত।’
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরির সহসভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান।
তিনি বলেন, ‘এ গ্রন্থটি একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ এবং খুলনাঞ্চলের মৌলিক গ্রন্থ। ইতিহাসকে উপন্যাসে রূপায়িত করা গেলেও উপন্যাসকে ইতিহাসে রূপান্তরিত করা যায় না। ইতিহাস হলো প্রকৃত ঘটনার সত্য বিবরণ। সেদিক থেকে এ গ্রন্থটি খুবই তথ্যভিত্তিক হয়েছে।
‘বলা যায় এটি খুলনাঞ্চলের অতীতের মানুষের জীবনযাত্রা, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ তথা সার্বিক বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র ফুটে উঠছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে আমাকে জানিয়েছেন বইয়ের দাম নাগালের বাইরে, এটা দুঃখজনক। সন্তানদের সামগ্রী কিনতে কেউ অজুহাত করে না। কিন্তু জ্ঞানের বই কিনতে কেন এত আপত্তি?’
অনুষ্ঠানে বইয়ের লেখক মোহাম্মদ রেজওয়ানউল হক বলেন, ‘এ বইটিতে বৃহত্তর খুলনা জেলার ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক ও প্রশাসনিক বর্ণনা করা হয়েছে। আমি যদিও রসায়নের ছাত্র, তবে ছাত্রজীবনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বেশ পড়া হয়েছে। পরে যখন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছি, তখন আরও ইতিহাস জেনেছি।’
লেখক বলেন, ‘বৃহত্তর খুলনার তিনটি জেলায় সুন্দরবন রয়েছে, তাই বইয়ের কভার পেজে সুন্দরবনের ছবি দেয়া হয়েছে। বইয়ে কিছুটা ভুল থাকতে পারে, পরবর্তী সংস্কারে তা সংশোধন করা হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরির সহসভাপতি রজি রহমান, স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শিক্ষাবিদ আনোয়ারুল কাদির, পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সেলিম।
আরও পড়ুন:উদ্বোধনের একদিন পরেই ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা চলাচলে সরকারি সংস্থা বিআরটিসি বাস বন্ধ করে দিয়েছে জেলা বাস মালিক সমিতি। এমনকি মাঝপথ থেকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে যাত্রীদের। তাদের সঙ্গে করা হয়েছে দুর্ব্যবহার, বাসের শ্রমিকদের হাত পা কেটে দেয়ার হুমকিও এসেছে।
পরিবহন মালিকদের কাছে সরকারি সংস্থার এই করুণ ‘আত্মসমর্পণে’ যাত্রীরা একইসঙ্গে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এর কারণ, বিআরটিসির বাসে ভাড়া যেমন তুলনামূলক কম, সেই সঙ্গে আসনও কিছুটা আরামদায়ক।
এই অবস্থায় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিলেও রুখে দাঁড়িয়েছে জনতা। বিআরটিসি বাস চলতে দেয়া না হলে বোয়ালমারীতে ফরিদপুর জেলা বাস মালিক সমিতির কোনো বাস ঢুকতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা।
পদ্মাসেতু চালু হওয়ার আগে থেকেই ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিআরটিসি বাস চলাচলের দাবি উঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ ফরিদপুরের নগরকান্দা থেকে বাস চালু করে।
মঙ্গলবার বোয়ালমারী থেকে বিআরটিসি বাস চালু করে কর্তৃপক্ষ। উদ্বোধনের পরদিন বুধবার সকাল ৭টায় বোয়ালমারী টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার গুলিস্তানের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে একটি বাস।
পথে ভাঙ্গা বাস টার্মিনালে এসে যাত্রী তুলতে গেলে সেটিকে আটকে দেয় সেখানকার বাস মালিক সমিতির লোকজন। নামিয়ে দেয়া হয় যাত্রীদের। ফলে চরম বিপাকে পড়েন তারা।
বাসের সুপারভাইজার তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বাসটি সকাল ৭টায় ভাঙ্গা টার্মিনালের কাছে পৌঁছালে সেটিকে আটকে দেয়া হয়। আমাকে মারধর করে এবং হাত পা কেটে ফেলার হুমকি দেয়।’
যাত্রী ইমরান ফরহাদ বলেন, ‘আমাদের বাসটি ভাঙ্গা বাস টার্মিনালে আসার পর বেশ কয়েক ব্যক্তি চালকের কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নেয়। তারা চালক ও হেলপারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। যাত্রীদের সঙ্গেও তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।’
বাস বন্ধ করে দেবার খবর বোয়ালমারীতে পৌঁছালে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বেশ কয়েকজন ক্ষুব্ধ মানুষ ঘোষণা দেন, বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ করা হলে ফরিদপুর জেলা বাস মালিক সমিতির কোনো গাড়িই বোয়ালমারীর উপর দিয়ে চলাচল করতে দেয়া হবে না।
বিআরটিসির ম্যানেজার (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিআরটিসির বাস বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার নেই জেলা বাস মালিক গ্রুপের। পরিবহন সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। সেই হিসাবে বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ করা ঠিক হয়নি।’
ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান বলেন, ‘বিআরটিসি সারাদেশের ২৩ রুটে যে রুট পারমিট দিয়েছে সেখানে কোন উপজেলার অনুমতি নেই। তাছাড়া জেলা বাস মালিক গ্রুপ থেকেও অনুমতি নেয়নি। ফলে আমরা বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘বাস চলাচলের বিষয়ে একটি ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আশা করছি এ সমস্যাটির সমাধান হয়ে যাবে।
‘বিআরটিসির পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মানব পাচার মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। খালাস দেয়া হয়েছে চারজনকে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল তিন আসামির উপস্থিতিতে বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন মর্জিনা বেগম, জেসমিন বেগম, মো. টিটু ও সাহাবুদ্দিন। এর মধ্যে জেসমিন বেগম পলাতক।
পরিদর্শক জানান, ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর বায়েজিদ নামের ৮ বছরের এক শিশু নিখোঁজ হয়। পরে বায়েজিদের মা নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১-এর কাছে অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে। মুক্তিপণ না পেলে বায়েজিদকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন অপহরণকারীরা। এরপর ১৮ জানুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগং রোড এলাকা থেকে বায়েজিদকে উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সায়েদাবাদ ও সিদ্ধিরগঞ্জ বাগমারা এলাকা থেকে ৮ জনকে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মানব পাচার আইনে মামলা হয়।
ওই বছরের শেষের দিকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। এতে বলা হয়, অপহরণকারীরা বায়েজিদকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন। একই সঙ্গে তারা আরও অন্তত ১৭টি শিশু অপহরণের কথাও জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রকিব উদ্দিন বলেন, ‘১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি একটি ধারায় ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:বরিশালের মেঘনা নদীতে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি বস্তা চিনি নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে।
হিজলা উপজেলার কাইছমা বাজারসংলগ্ন এলাকায় বুধবার সকাল ১০টায় তলা ফেটে ট্রলারটি ডুবে যায়।
হিজলা নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ফারহান-ফাহিম নামের ট্রলারটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে ৩ হাজার ৭২০ বস্তা চিনি নিয়ে ভোলার উদ্দেশে রওনা দেয়। নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় চালক ডুবোচর খেয়াল করেননি। ট্রলারটি একটি ডুবোচরে উঠে গেলে এর তলা ফেটে কাত হয়ে যায়। একপর্যায়ে প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
এ সময় টহলে থাকা নৌপুলিশের একটি দল ট্রলারে থাকা পাঁচজনকে উদ্ধার করে।
পরিদর্শক বলেন, ‘স্থানীয় জেলেরা নৌকা ডেকে এনে ট্রলার থেকে ৩০০ বস্তা চিনি উদ্ধার করতে পেরেছেন। বাকি বস্তাসহ ট্রলারটি ডুবে গেছে। এ চিনি ভোলার হোসেন ট্রেডার্সের। মালিক ঘটনাস্থলে এসেছেন।’
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামে বুধবার বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সরাইল সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, জয়ধরকান্দি গ্রামের আল আমিন প্রবাসে আছেন। প্রবাসে যাওয়ার আগে বোরহান নামের একজনকে বিদেশ নেয়ার জন্য তার কাছ থেকে টাকা নেন আল আমিন। বুধবার সকালে বোরহান তার টাকা ফেরত চান আল আমিনের বাবার কাছে৷ এ নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আহতরা হলেন, বকুল, বিল্লাল, শাসসু, আজগর, শিমুল, তকির, বাহার, নাহিদ, নাদিম, জুবায়েদ, জসিম, ইলিয়াস, হারিস। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ছাড়াও এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা আছে।’
আরও পড়ুন:বরগুনার পাথরঘাটায় বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ সময় দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছেন ১০ জেলে।
উপজেলা থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় বুধবার সকাল ৮টার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই জেলেকে উদ্ধার করে অপর একটি ট্রলারের জেলেরা।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি আবুল কালাম তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে ৪০ বছরের আখতার হোসেন ও ২৪ বছরের সোহেল রয়েছেন। তাদের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সন্দীপ এলাকায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অপর নিখোঁজদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রসদ সামগ্রী নিয়ে এফবি নিশান ফিস ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য যায়। নিম্ন চাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় বুধবার সকাল ৮টার দিকে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় ট্রলারটি ডুবে যায়।
‘সাগরে মাছ শিকারের সময় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা মিজান মল্লিকের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি আবুল কালাম দুই জেলেকে ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। এ ছাড়া চার জেলে ভাসতে ভাসতে পটুয়াখালীর মহিপুরে উঠেছেন।’
এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি উদ্ধার হওয়া ওই দুই জেলেকে বৃহস্পতিবার ঘাটে নিয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।
কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের পেটি অফিসার আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি আপনার কাছেই শুনলাম। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিত ২২ বছরের শ্রী সঞ্জয় চন্দ্র সরকারের বাড়ি বেলকুচি উপজেলার শোলাকুড়া গ্রামে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শোলাকুড়া গ্রামের শ্রী পবিত্র সরকারের মেয়ে পূজা সরকারকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রতিবেশী সঞ্জয় চন্দ্র প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিত। পূজা প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরই মধ্যে পূজাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার জন্য পাত্র খুঁজতে থাকেন বাবা। পাত্রপক্ষ পূজা সরকারকে দেখতেও আসে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পূজাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সঞ্জয়। ২০২১ সালের ৩ মে বাড়িতে ঢুকে পূজাকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান তিনি।
এ ঘটনায় পূজার বাবা বেলকুচি থানায় হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সঞ্জয় চন্দ্র। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার আসামির উপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেয়। রায়ের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন:নেত্রকোণায় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের টাওয়ারে আটকে যাওয়া কিশোরকে চার ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করেন।
কিশোর ১৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের বাবুল বিশ্বাসের ছেলে। শহরের সাতপাই বড়স্টেশন এলাকার মাদ্রাসাতুল আরকান মাদ্রাসায় হাফেজিয়া বিভাগে পড়ে মোহাম্মদ।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, ‘মোহাম্মদ বুধবার সকাল ৮টার দিকে বড়স্টেশন এলাকায় গ্রামীণফোনের ওই উঁচু টাওয়ারে ওঠে। পরে নামতে না পেরে সেখানে আটকা পড়ে। এ ঘটনা দেখতে সেখানে মানুষের ভিড় জমে।
‘খবর পেয়ে ছুটে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম, মডেল থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ অনেকে। ৪ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মোহাম্মদকে রশির সাহায্যে টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনেন।’
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা টাওয়ারে আটকে পড়া কিশোরকে নিরাপদে নামিয়ে এনেছি। পরে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য