অনার্স প্রথম বর্ষের ক্লাস চলছে। শ্রেণিকক্ষে বসা এক মেয়ের দিকে হঠাৎ আটকে যায় চোখ। শিশু গড়নের মেয়েটি পাঠগ্রহণে ভীষণ মনোযোগী। অনার্সপড়ুয়া কারও সঙ্গে হয়তো সে ঘুরতে এসেছে- এই ভাবনা জমাট বাঁধার আগেই ভ্রম ভাঙান শিক্ষক। তার এক প্রশ্নে চটপট উত্তর দেয় মেয়েটি।
পাবনার আটঘরিয়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ে সোমবার গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র। কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রজব আলী জানান, ‘মেয়েটির নাম তানিয়া। সে তার ছাত্রী। শারীরিক নানা সমস্যার মধ্যে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে তানিয়া এতদূর এসেছে। তাকে নিয়ে কলেজের সবাই গর্বিত।’
তানিয়া আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের রিকশাচালক তাজুল ইসলামের মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। সাফল্যের সঙ্গে স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে এবারই তিনি ভর্তি হয়েছেন স্নাতক শ্রেণিতে।
বাবা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জন্মের পর ঠিকঠাক বেড়ে উঠছিল তানিয়া। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় সে ঘন ঘন অসুস্থ হতে থাকে। মাঝে মাঝে সে আক্রান্ত হতে থাকে ঠান্ডা-জ্বরসহ ছোটখাটো রোগে। এরপর দেখা গেল তার শারীরিক বৃদ্ধি হচ্ছে না। তখন এলাকাবাসীর পরামর্শে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করাই। তবে এতে কোনো লাভ হয়নি। সামর্থ্য না থাকায় ভালো চিকিৎসাও করাতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তানিয়াকে নিয়ে অনেকে তামাশা করে। বলে, এই মেয়েকে এত লেখাপাড়া করিয়ে কী হবে, বিয়ে দিতে পারব না। তবে এসব নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। আমি ওকে সব সময় লেখাপড়ায় অনুপ্রেরণা দিয়েছি। আশা করি একদিন সে বড় মানুষ হবে।’
বাবার স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তানিয়াও। লেখাপড়া শেষ করে একটা ভালো চাকরি করতে চান তিনি। অভাব ঘোচাতে চান পরিবারের।
তিনি বলেন, ‘আমার শারীরিক গঠন স্বাভাবিক না হওয়ায় পরীক্ষার সময় অনেকেই আমাকে পাশে বসতে দিতে চাইত না। সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করত। তবুও আমি ভেঙে পড়িনি। লেখাপড়া চালিয়ে গেছি। বোঝা নয়, লেখাপড়া করে পরিবারের অবলম্বন হতে চাই।’
৩ ফুট সাত ইঞ্চি উচ্চতার ২৫ বছরের তানিয়াকে নিয়ে ভীষণ আশাবাদী তার শিক্ষকরা। কলেজশিক্ষক পরিষদের সম্পাদক শরীফুল আলম বলেন, ‘কলেজে তার লেখাপড়ার খরচ মওকুফ করা যায় কি না সে বিষয়টি নিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে আলোচনা করব। তার সহপাঠীসহ অন্য শিক্ষার্থীদের বলে দেয়া হয়েছে, কেউ যেন তাকে বিরক্ত না করে বা খারাপ কিছু না বলে। আমরা মেয়েটির পাশে আছি।’
প্রথম বর্ষে তানিয়ার ক্লাস শুরু হয়েছে মাস দুয়েক আগে। এরই মধ্যে অনেক সহপাঠীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। তাদেরই একজন তাবাচ্ছুম বীথি। তিনি বলেন, ‘ভর্তি হওয়ার পর খুব অল্প সময় তাকে দেখছি। খুবই শান্ত স্বভাবের মেয়ে তানিয়া। আমরা তাকে কোনোভাবেই আলাদা চোখে দেখি না। আমরা সহপাঠীরা বন্ধু হয়ে ওর পাশে আছি।’
আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, ‘সরকার শারীরিক প্রতিবন্ধীদের দিকে বিশেষ নজর রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করব। তানিয়ার আজকের অবস্থান অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা।’
তানিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কথা হয় পাবনা ডায়াবেটিস হাসপাতালের মেডিসিন, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ শাহিনুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনজনিত নানা সমস্যার কারণে শারীরিক গঠন অনেক সময় রোধ পায়। উন্নত চিকিৎসা দেয়া হলে এখনও অনেকটা ইমপ্রুভ (উন্নত) হওয়া সম্ভব।’
আরও পড়ুন:জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে একদল শিক্ষার্থী। ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা’ ব্যানারে এই কর্মসূচি চলছে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘তেল ডিজেলের দাম কমাও কৃষক বাঁচাও’, ‘তেলের দাম কমিয়ে দে’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্লাকার্ড বহন করেন।
শিক্ষার্থীদের এই প্লাটফর্মের অন্যতম সমন্বয়ক মহিদুল ইসলাম দাউদ বলেন, ‘শনিবার রাত থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রাতেও আমরা এখানে অবস্থান করেছি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’
অবস্থান কর্মসূচি থেকে পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধিরও প্রতিবাদ জানানো হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম আপন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এভাবে এতো বিশাল অংকে কখনোই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। এর প্রভাবে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ছে। পণ্য পরিবহনের ব্যয়ও বাড়ছে। তেলের এ দাম বাড়ানোকে অযৌক্তিক। এটা প্রত্যাহার করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম এই দফায় প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আমরা দেখেছি, গত বছরও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর এর প্রভাবে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে।
‘আজ প্রতিটি জিনিসের দাম নাগালের বাইরে। এ পরিস্থিতিতে এমন মাত্রায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোটা সাধারণ মানুষকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেয়ার নামান্তর। আমরা চাই রাষ্ট্র অন্তত সেবা খাতগুলোতে ভর্তুকি বহাল রাখুক। আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না।’
শিক্ষার্থীদের এই অংশটি এর আগে শনিবার শাহবাগ মোড়ের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। সন্ধ্যার সময় তারা শাহবাগ মোড় থেকে সরে আসেন।
আরও পড়ুন:বন্ধুত্ব মানুষের জীবনের অন্যতম পবিত্র একটি বন্ধন। প্রকৃত বন্ধু এমন একজন যিনি সমর্থন ও উৎসাহ দেন এবং প্রতিটি যাত্রা ও ভ্রমণকে আনন্দদায়ক করে তোলেন।
এই বন্ধনকে সম্মান জানাতে বাংলাদেশ ও ভারত প্রতি বছর আগস্টের প্রথম রোববারকে বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে উদযাপন করে থাকে। এই বছর এটি ৭ আগস্ট পড়েছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস উদযাপন করা হয় ৩০ জুলাই।
কোনো একটি কাজ একা যতই চ্যালেঞ্জিং মনে হোক না কেন, সময়মতো পাশে একজন বন্ধু থাকলে তিনি এটিকে সহজ করে তুলতে পারেন।
এমন বন্ধুত্ব সব সীমাবদ্ধতা ও শ্রেণিবৈষ্যমের ঊর্ধ্বে। তরুণ থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত যে কেউ এই সম্পর্ককে লালন ও ধারণ করার পাশাপাশি যত্ন নিলে এটি তাকে শৈল্পিক ভালোবাসারও শিক্ষা দেবে।
জাতিসংঘ গুরুত্ব দিয়ে জানায়, সহিংসতা, দারিদ্র্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো সমস্যায় জর্জরিত গোটা বিশ্ববাসী এসব বাধা উতরে যেতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এগুলো মানুষের নিরাপত্তা, উন্নয়ন, শান্তি এবং সামাজিক সম্প্রীতিকে নষ্ট করে।
এসব বাধাবিপত্তি অতিক্রম ও মানবজাতির মধ্যকার সংহতি বাড়াতে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হিসেবে কাজ করে বন্ধুত্ব। এটি দ্বিধাবিভক্ত চেতনাকে সারিয়ে তুলতে সবচেয়ে সহজ কিন্তু কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে।
মানবজাতি এবং বিশ্বসম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাসের দৃঢ় বন্ধন তৈরি করতে সহায়ক হতে পারে এমন বন্ধুত্ব।
যাতে আমরা একযোগে একটি শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অবদান রাখতে পারি। এটি একটি উন্নত ও মানবিক বিশ্বের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ আবেগ তৈরি করে, যেখানে একটি মহান উদ্দেশের জন্য সবাই একত্রিত হয়।
ইতিহাস
বন্ধুত্বের ধরন যেমনই হোক না কেন, প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালন হয় বন্ধু দিবস।
২০১১ সালের ২৭ এপ্রিল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস (ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ ডে) হিসেবে ৩০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়।
তবে ভারত, বাংলাদেশসহ কিছু দেশ আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধুত্ব দিবস উদযাপন করে।
ফ্রেন্ডশিপ ডে ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা ‘জয়েস হল’ ১৯১৯ সালে আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস হিসেবে সবাইকে কার্ড পাঠাতেন।
১৯৩৫ সালে আমেরিকার সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। তার প্রতিবাদে পরদিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চকক্ষ কংগ্রেসে ১৯৩৫ সালে আগস্টের প্রথম রোববারকে বন্ধু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
করোনা মহামারিতে কয়েক বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বন্ধু তৈরিতে পড়ে যায় বাধা। সেই বাধা ফের উতরে নতুন যাত্রার পথ চলল মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা।
আরও পড়ুন:এক পা দিয়ে লিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়ে প্রসংশা কুড়িয়েছিলেন যশোরের অদম্য মেধাবী তামান্না আক্তার। এমন সাফল্যে তাকে ফোন করে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
এবার তামান্না গুচ্ছভুক্ত ২২ সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষায় তামান্না ৪৮ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হলেও ব্যবহার করেননি প্রতিবন্ধী কোটা।
তার এমন সিদ্ধান্তে প্রশংসায় ভাসছেন তামান্না আক্তার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি আপলোড দিয়ে অনেকেই বলছেন, এটি সমাজের সমতার সুন্দর নিদর্শন।
তামান্না আক্তারের ইচ্ছা, তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ভর্তি হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তামান্না যদি প্রতিবন্ধী কোটায় পরীক্ষা দিতেন, তাহলে এই নম্বরেই তিনি যবিপ্রবিতে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেতেন। এই নম্বর নিয়ে তিনি ভর্তি হতে পারবেন কি না এখনও বলা যাচ্ছে না।
তবে আশা হারাচ্ছেন না অদম্য এই তরুণী তামান্না। দু-এক দিনের মধ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চয়েজ দেবেন, নির্বাচন করবেন যবিপ্রবির মাইক্রোবায়োলজি বিষয়টিকেই।
গত ৩০ জুলাই গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন। ‘ক’ ইউনিটে এবার পাসের হার ৫৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
তামান্নার বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুর গ্রামে। তার বাবা রওশন আলী ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট পৌদাউলিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক। মা খাদিজা পারভীন গৃহিণী। তাদের তিন ছেলেমেয়ে। তামান্না সবার বড়। ছোট বোন মুমতাহিনা রশ্মি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ভাই মুহিবুল্লা তাজ প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
অদম্য এই তরুণী শুধু একটি পা দিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সবকটি পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে চমক দেখিয়েছিলেন। তার এই সাফল্যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা খোঁজখবর নেন। একই সঙ্গে তারা দুই বোন তামান্নার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসেন। তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থাও করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা।
মেধাতালিকায় প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হওয়ায় আনন্দিত তামান্না। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তামান্না বলেন, ‘২২ সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় টিকেছি। আমি ৪৮ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় আছি। দুই-এক দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট চয়েজ দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ে পড়তে চাই। আমি এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিসিএস দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা হতে চাই।’
তামান্না আরও বলেন, ‘এর আগে সাধারণ কোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি। অনেক বান্ধবী-শিক্ষক বলেছেন, প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে। কিন্তু আমি নিজের যোগ্যতা আর সবার দোয়ায় এই পর্যন্ত এসেছি। নিজের চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাব বলে প্রত্যাশা করি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
তামান্নার বাবা রওশন আলী জানান, তামান্নার স্বপ্ন গবেষণাধর্মী কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করে বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি নেয়ার। স্বপ্ন পূরণে কয়েক মাস আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেও হয়নি কোটায় পরীক্ষা না দেয়ায়।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেছিলেন তামান্না প্রতিবন্ধী কোটা ব্যবহার করলে যেকোনো বিষয়ে চান্স হয়ে যেত। এবার সে যবিপ্রবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাতালিকায় আছে।’
রওশন আলী বলেন, ‘যবিপ্রবিতে চান্স হলে সেটা তামান্না আর আমাদের পরিবারের জন্য ভালো। কেননা সে পরিবার ছাড়া থাকতে পারবে না। সেই বিবেচনায় যবিপ্রবিতে ভর্তি হলে তার জন্য সুবিধা হবে।’
এ ছাড়া তার স্বল্প বেতনের চাকরি ও টিউশনিতে তামান্নাকে পরিবারের বাইরে রেখে পড়াশোনা করানো তার পক্ষে কঠিন বলেও জানান তিনি।
যবিপ্রবির সহকারী পরিচালক (গণসংযোগ) আব্দুর রশিদ অর্ণব বলেন, ‘তামান্নার প্রতিবন্ধী কোটায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু সেই সুযোগ নেয়নি। নিজের মেধার জোরে সে পড়াশোনা করতে চায়। তার এই অদম্য ছুটে চলা অবশ্যই প্রশংসিত।’
যশোরের শিক্ষাবিদ ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে ও সরকারি চাকরিতে কোটা এখন প্রচলিত ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এটি ব্যবহার করে অনেক অযোগ্য লোক যোগ্য স্থানে যাচ্ছে। তার মধ্যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জন্মগতভাবেই দুই হাত ও এক পা-বিহীন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তামান্না আক্তার। সে ইচ্ছা করলে প্রতিবন্ধী কোটা ব্যবহার করতে পারত। মেধার জোর দিয়ে সে অনেক দূর যেতে চায়। তার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক প্রশসিংত।’
আরও পড়ুন:মেধাবী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের জন্য ট্যালেন্ট হান্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ‘বি-টেকহুইজ’ চালু করেছে মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এর মাধ্যমে দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী টেকনোলজি শিক্ষার্থীদের নিয়োগ এবং কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ দেবে বিকাশ।
বিকাশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- বাংলাদেশ (এআইইউবি) ক্যাম্পাসে ‘রিক্রুটমেন্ট টেস্ট’-এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিকাশের প্রোগ্রামটি।
প্রথম ধাপে অংশ নেবেন সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।
টেস্টের আগে ‘টেকনোলজি অ্যান্ড বিওন্ড’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রেজেন্টেশন দেন বিকাশের হেড অফ সফটওয়্যার রিসার্চ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং মো. মোজাম্মেল হক এবং হেড অফ সল্যুশন আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানিং ইন্তেখাব সাদেকিন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির অফিস অ্যান্ড প্লেসমেন্ট ডিরেক্টর আর তারেক মওদুদ, ফ্যাকাল্টি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডিরেক্টর প্রফেসর ড. দীপ নন্দী, বিকাশের হেড অফ অর্গানাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়ি রিলেশনস্ সাঈদ নাসিরসহ অন্যরা।
পর্যায়ক্রমে ‘বি-টেকহুইজ’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকেও একই প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তি ও প্রকৌশলে গ্র্যাজুয়েটদের সরাসরি কাজ করার সুযোগ দেবে বিকাশ।
প্রোগ্রামে ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট টেস্টে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পরবর্তী আরও কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে কাজ করার সুযোগ পাবেন বিকাশের প্রডাক্ট অ্যান্ড টেকনোলজি টিমে।
বিকাশে যোগ দেয়া প্রত্যেকে একজন নির্দিষ্ট মেন্টরের অধীনে অ্যাসাইনমেন্ট ও বিশেষায়িত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ বিকাশ নিশ্চিত করতে ‘ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি (এমটি) প্রোগ্রাম ‘জেন-নেক্সট’ পরিচালনা করে বিকাশ। পাশাপাশি পেইড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম ‘বি-নেক্সট’ পরিচালনার মাধ্যমে কোম্পানির প্রকল্পগুলোর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সরাসরি কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
বিকাশের এসব উদ্যোগের ফলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিলসনের ক্যাম্পাস ট্র্যাক সার্ভে ২০২১-এ ৫৩টি বহুজাতিক ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেরা পছন্দের নিয়োগদাতা ‘এমপ্লয়ার অফ চয়েস’ নির্বাচিত হয়েছে বিকাশ।
আরও পড়ুন:ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বৈশ্বিক সিনারিও-বেজড ফার্স্ট স্যুট ক্লাউড সল্যুশন নিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে।
সম্প্রতি চীনে অনুষ্ঠিত ‘উইন-উইন ইনোভেশন উইক’ শীর্ষক এক অনলাইন সম্মেলনে হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার আইটি মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের পরিচালক চ্যান শুয়েজুন নতুন এই সল্যুশনের ঘোষণা দেন।
সল্যুশনগুলোতে মনিটাইজিং নেটওয়ার্ক, ইনোভেটিং সার্ভিস (উদ্ভাবনী সেবা) এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমকে সহজ করার ওপর আলোকপাত করা হয়, যাতে করে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউড রূপান্তর ও তাদের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরাণ্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
সামনের দিনগুলোতে টেলিকম খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ফাইভজির অগ্রগতি, ক্লাউড কম্পিউটিং, বিগ ডেটা ও এজ কম্পিউটিং এবং ক্লাউড ট্রান্সফরমেশন (রূপান্তর) ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
গার্টনারের তথ্য মতে, আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বব্যাপী ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউড রূপান্তরে বিনিয়োগ বাড়াবে, যার সম্মিলিত বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার (সিএজিআর) দাঁড়াবে ২৭ শতাংশ। হুয়াওয়ে এর তিন দশকেরও বেশি সময়ের টেলিকম খাতে কাজের অভিজ্ঞতা এবং ক্লাউডের দক্ষতাকে ক্যারিয়ার ক্লাউড রূপান্তরের জন্য নিম্নলিখিত মূল কারণগুলো চিহ্নিত করেছে।
প্রথমত, ক্যারিয়ারের নিজস্ব সুবিধার ওপর ভিত্তি করে একটি রূপান্তর কৌশল নির্বাচন করা; দ্বিতীয়ত, ডেটা সুরক্ষা, সিস্টেম অ্যাবিলিটি (সিস্টেমের স্থিতিশীলতা) এবং পরিষেবার তৎপরতা (সার্ভিস অ্যাজিলিটি) বিবেচনা করে একটি রূপান্তরমূলক প্রক্রিয়ার পথকে সুগম করা; এবং তৃতীয়ত, দুই পক্ষের জন্য লাভজনক সহযোগিতার (উইন-উইন কোলাবোরেশন) ক্ষেত্রে একটি বিশ্বস্ত, অভিজ্ঞ এবং উপযুক্ত সহযোগী নির্বাচন।
প্রথমত, নেটওয়ার্ক+ক্লাউড মনিটাইজেশনের সুযোগ বিস্তৃত করে। হুয়াওয়ের নেটওয়ার্ক ইনসাইট এবং ক্লাউড-নেটওয়ার্ক কোলাবোরেশন সল্যুশনগুলো টেলিকম খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সেবা এবং সর্বোচ্চ নেটওয়ার্ক ভ্যালুর জন্য বাজার বিস্তৃত করতে সক্ষম করে তোলে।
চীনের এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের জন্য হুয়াওয়ে ক্লাউড একটি ক্লাউড+নেটওয়ার্ক+সিকিউরিটি ডেপ্লয়মেন্ট সল্যুশন প্রদান করে, যাতে করে মান বৃদ্ধির জন্য সমন্বিত আইসিটি সহ প্রথাগত সল্যুশনগুলোর কাভারেজ বিস্তৃত করা যায়।
দ্বিতীয়ত, সার্ভিস+ক্লাউড সেবার উদ্ভাবনকে ত্বরাণ্বিত করে। হুয়াওয়ে ক্লাউড টেলিকম খাতে হুয়াওয়ের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে। এর ক্লাউড প্ল্যাটফর্মের সক্ষমতা ক্যারিয়ারের বিকাশকে দ্রুতগতির করবে এবং বাজারে উদ্ভাবন নিয়ে আসতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আফ্রিকা মহাদেশে হুয়াওয়ে ক্লাউডে একজন গ্রাহক মোবাইল ওয়ালেট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন, যা সার্ভিস রোল আউটকে কয়েক মাস থেকে কয়েক সপ্তাহে কমিয়ে এনেছে এবং হুয়াওয়ে ক্লাউড ইকোসিস্টেম এ রোল আউটকে আরও কমিয়ে এক সপ্তাহে নিয়ে এসেছে।
তৃতীয়ত, অপারেশন+ক্লাউড কার্যক্রমের দক্ষতা বাড়াবে। হুয়াওয়ে ক্লাউড প্রি-অপ্টিমাইজড ক্লাউড সল্যুশন সাধারণ টেলিযোগাযোগ সেবাকে ত্বরাণ্বিত করে, ইউজার স্কেল বিস্তৃত করে এবং মূল সেবার প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
এশিয়ার একটি ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠান এর ফাইভজি গ্রাহকদের মাত্র ১০ শতাংশকে প্রকৃত অর্থে ফাইভজি ডিভাইস ব্যবহারকারী হিসেবে বিবেচনা করে। হুয়াওয়ে বিজনেস সাপোর্ট সিস্টেম (বিএস্এস) ডেটার সমন্বিত বিশ্লেষণের জন্য ডিস্ট্রিবিউশন ডেটা লেক সল্যুশন ব্যবহার করে, কার্যক্রমগত দক্ষতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখে এবং ফাইভজি ব্যবহার বৃদ্ধিতে মার্কেটিং কনভার্সনকে ১৮০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
চ্যান শুয়েজুন বলেন, ‘ক্যারিয়ার ক্লাউড ট্রান্সফরমেশনের (রূপান্তরের) মূল চাবিকাঠি হলো নেটওয়ার্ক, সেবা এবং কার্যক্রমের জন্য ক্লাউডের আরও ইতিবাচক ব্যবহার। রূপান্তর ও নতুন প্রবৃদ্ধির বিকাশে হুয়াওয়ে ক্লাউড বৈশ্বিক ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন:রিয়েলমির নাম্বার সিরিজের দুটি স্মার্টফোন রিয়েলমি ৯ প্রো ফাইভজি সিরিজের দুটি ফ্ল্যাগশিপ দেশের আউটলেটগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে রিয়েলমি ফোন দুটি উন্মোচন করেছে।
রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ফাইভজি
রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ফাইভজিতে প্রথম সনি আইএমএক্স৭৬৬ ওআইএস ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা সেন্সর ও প্রোলাইট ইমেজিং দিয়েছে।
ফোনটিতে রয়েছে ৬.৪৩ ইঞ্চি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যাতে থাকছে ৯০ হার্টজের রিফ্রেশ রেট। ফোনটি ৭.৯৯ মিলিমিটার পুরু ও ১৮২ গ্রাম ওজনের। ডিভাইসটিতে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯২০ ফাইভজি প্রসেসর।
ডিভাইসটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে আছে ৬০ ওয়াট সুপার ডার্ট চার্জার, ভেপার চেম্বার কুলিং সিস্টেম, ডলবি অ্যাটমস ডুয়েল স্পিকার, ৩.৫ মিলিমিটারের অডিও জ্যাক, এক্স-এক্সিস লিনিয়ার মোটর, ৫ জিবি ভার্চ্যুয়াল র্যাম, রিয়েলমি ইউআই ৩.০।
৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে অরোরা গ্রিন ও সানরাইজ ব্লু দুটি রঙে ৩৯ হাজার ৯৯০ টাকায়।
রিয়েলমি ৯ প্রো ফাইভজি
রিয়েলমি ৯ প্রো ফাইভজি ডিভাইসটিতে রয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটসহ ফুল এইচডি প্লাস ৬.৬০ ইঞ্চির আলট্রা স্মুথ ডিসপ্লে। অক্টা-কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ ফাইভজি প্রসেসর। ৬৪ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা ও ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। ৫০০০ এমএএইচের ৩৩ ওয়াটের ডার্ট চার্জার।
৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ সুবিধার রিয়েলমি ৯ প্রো ফাইভজি পাওয়া যাচ্ছে ৩১ হাজার ৯৯০ টাকায়।
দারাজে ফ্ল্যাশ সেল
এ ছাড়া দারাজ ফ্ল্যাশ সেলে রিয়েলমি নারজো ৫০এ প্রাইম পাওয়া যাচ্ছে ১৫ হাজার ৪৯৯ টাকায়, সঙ্গে থাকছে অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি ও নির্দিষ্ট ব্যাংক কার্ডে ইএমআই সুবিধা।
আরও পড়ুন:আগামী দুই সিজনের জন্য উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার লিগ, উয়েফা ফুটসাল চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল ও উয়েফা ইয়ুথ লিগ ফাইনালসহ উয়েফার নানা প্রতিযোগিতার জন্য অংশীদার হয়েছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো।
২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ সেশনে মাঠের ভেতরে ও বাইরে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো ফ্যানদের সঙ্গে শেয়ার করতে উয়েফার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে অপো।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের মূলমন্ত্র দ্য বেস্ট অব দ্য বেস্টর সঙ্গে মিলে যায় অপোর ব্র্যান্ড প্রোপোজিশন ‘ইনস্পিরেশন এহেড’, যার মাধ্যমে ব্র্যান্ডটির সেরা হওয়ার প্রতিফলন ঘটে। সারা বিশ্বের ফুটবল ফ্যানদের মধ্যে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের অনুপ্রেরণামূলক কাজ করবে অপো।
অপোর গ্লোবাল মার্কেটিংয়ের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লিউ বলেন, ‘উয়েফার অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, জীবনের সঙ্কটগুলো পেরিয়ে যেতে হলে আমাদের মধ্যে উদ্ভাবনের শক্তি থাকতে হবে। আর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে উয়েফার লড়াই করে যাওয়ার প্রবণতা আমাদের অংশীদারিত্বকে যথার্থ করেছে।’
অংশীদারিত্ব হিসেবে অপোকে দেখা যাবে উয়েফার প্রচারপর্দা, স্টেডিয়াম, বিজ্ঞাপন, ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এ ছাড়া ফুটবল ফ্যানদের জন্য বিশেষ সুযোগের অফার নিয়ে এসেছে অপো। ফ্যানরা এখন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ চলাকালে পিচ-সাইডে গিয়ে অপোর স্মার্টফোনের মাধ্যমে খেলার বিশেষ মুহূর্তের ছবি তুলতে পারবেন।
এই ছবি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ওয়েবসাইট ও অপো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ল্যান্ডিং পেইজের অপো গ্যালারিতে শেয়ার দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য