অনার্স প্রথম বর্ষের ক্লাস চলছে। শ্রেণিকক্ষে বসা এক মেয়ের দিকে হঠাৎ আটকে যায় চোখ। শিশু গড়নের মেয়েটি পাঠগ্রহণে ভীষণ মনোযোগী। অনার্সপড়ুয়া কারও সঙ্গে হয়তো সে ঘুরতে এসেছে- এই ভাবনা জমাট বাঁধার আগেই ভ্রম ভাঙান শিক্ষক। তার এক প্রশ্নে চটপট উত্তর দেয় মেয়েটি।
পাবনার আটঘরিয়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ে সোমবার গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র। কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রজব আলী জানান, ‘মেয়েটির নাম তানিয়া। সে তার ছাত্রী। শারীরিক নানা সমস্যার মধ্যে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে তানিয়া এতদূর এসেছে। তাকে নিয়ে কলেজের সবাই গর্বিত।’
তানিয়া আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের রিকশাচালক তাজুল ইসলামের মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। সাফল্যের সঙ্গে স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে এবারই তিনি ভর্তি হয়েছেন স্নাতক শ্রেণিতে।
বাবা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জন্মের পর ঠিকঠাক বেড়ে উঠছিল তানিয়া। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় সে ঘন ঘন অসুস্থ হতে থাকে। মাঝে মাঝে সে আক্রান্ত হতে থাকে ঠান্ডা-জ্বরসহ ছোটখাটো রোগে। এরপর দেখা গেল তার শারীরিক বৃদ্ধি হচ্ছে না। তখন এলাকাবাসীর পরামর্শে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করাই। তবে এতে কোনো লাভ হয়নি। সামর্থ্য না থাকায় ভালো চিকিৎসাও করাতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তানিয়াকে নিয়ে অনেকে তামাশা করে। বলে, এই মেয়েকে এত লেখাপাড়া করিয়ে কী হবে, বিয়ে দিতে পারব না। তবে এসব নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। আমি ওকে সব সময় লেখাপড়ায় অনুপ্রেরণা দিয়েছি। আশা করি একদিন সে বড় মানুষ হবে।’
বাবার স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তানিয়াও। লেখাপড়া শেষ করে একটা ভালো চাকরি করতে চান তিনি। অভাব ঘোচাতে চান পরিবারের।
তিনি বলেন, ‘আমার শারীরিক গঠন স্বাভাবিক না হওয়ায় পরীক্ষার সময় অনেকেই আমাকে পাশে বসতে দিতে চাইত না। সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করত। তবুও আমি ভেঙে পড়িনি। লেখাপড়া চালিয়ে গেছি। বোঝা নয়, লেখাপড়া করে পরিবারের অবলম্বন হতে চাই।’
৩ ফুট সাত ইঞ্চি উচ্চতার ২৫ বছরের তানিয়াকে নিয়ে ভীষণ আশাবাদী তার শিক্ষকরা। কলেজশিক্ষক পরিষদের সম্পাদক শরীফুল আলম বলেন, ‘কলেজে তার লেখাপড়ার খরচ মওকুফ করা যায় কি না সে বিষয়টি নিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে আলোচনা করব। তার সহপাঠীসহ অন্য শিক্ষার্থীদের বলে দেয়া হয়েছে, কেউ যেন তাকে বিরক্ত না করে বা খারাপ কিছু না বলে। আমরা মেয়েটির পাশে আছি।’
প্রথম বর্ষে তানিয়ার ক্লাস শুরু হয়েছে মাস দুয়েক আগে। এরই মধ্যে অনেক সহপাঠীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। তাদেরই একজন তাবাচ্ছুম বীথি। তিনি বলেন, ‘ভর্তি হওয়ার পর খুব অল্প সময় তাকে দেখছি। খুবই শান্ত স্বভাবের মেয়ে তানিয়া। আমরা তাকে কোনোভাবেই আলাদা চোখে দেখি না। আমরা সহপাঠীরা বন্ধু হয়ে ওর পাশে আছি।’
আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, ‘সরকার শারীরিক প্রতিবন্ধীদের দিকে বিশেষ নজর রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করব। তানিয়ার আজকের অবস্থান অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা।’
তানিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কথা হয় পাবনা ডায়াবেটিস হাসপাতালের মেডিসিন, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ শাহিনুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনজনিত নানা সমস্যার কারণে শারীরিক গঠন অনেক সময় রোধ পায়। উন্নত চিকিৎসা দেয়া হলে এখনও অনেকটা ইমপ্রুভ (উন্নত) হওয়া সম্ভব।’
আরও পড়ুন:সাংবাদিকতায় ‘মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেয়েছেন গ্লোবাল টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শাহরিয়ার বাঁধন। ভারত-বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি এই সম্মাননা প্রদান করে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচা মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি উৎসবে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফট্যান্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ বীরপ্রতীক।
শাহরিয়ার হাসান সাংবাদিকতার পাশাপাশি পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেইসঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বেকারত্ব দূরীকরণে উদ্যোক্তাদের নিয়ে ‘উদ্যোক্তা-এন্টারপ্রেনার’ নামে একটি সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।
শাহরিয়ার ছাড়াও এ সম্মাননা পেয়েছেন একুশে টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ফারজানা শোভা, এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক বাতেন বিপ্লব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাহমুদুল হক সুজন এবং বাংলাদেশ পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন।
চট্টগ্রামে ছেলেবন্ধুর হয়ে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক তরুণী। তৎক্ষণাৎ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডিত ওই ছাত্রীর নাম প্রিয়তি জান্নাত। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর পর স্বাক্ষরপত্রে গরমিল দেখে দায়িত্বরত হল পরিদর্শকের সন্দেহ হয়। পরে ওই ছাত্রীকে আটক করে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি ও পরিদর্শকের সাক্ষ্য নেন। পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২৩-এর (১০) ধারা অনুযায়ী তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই ছাত্রী তার এক ছেলেবন্ধুর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তিনি যেহেতু মেয়ে, তাই নিজের ছবি দিয়ে ভুয়া প্রবেশপত্রও তৈরি করেছিলেন। তবে হল পরিদর্শক স্বাক্ষর নেয়ার সময় দেখেন মেয়েটি ছেলের নামে স্বাক্ষর করেছেন। এতেই ধরা পড়েন তিনি।’
জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী সব স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা।
বৃহস্পতিবার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রয়ক আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হল, আসন ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি যার আবেদন চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে ১০ ডিসেম্বর থেকে ৪৬তম বিসিএসের আবেদন শুরু হয়।
পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে।
সাজিদ হক। ৪৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের বোনের ছেলে। ক্যাম্পাস ক্যারিয়ারে সাফল্যের গল্পে মা ডালিয়া চৌধুরী ডনি এবং বাবা এ. এস. এম সিরাজুল হকের সঙ্গে ছিলেন সাজিদ হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এমি জান্নাত।
নিউজবাংলা: আপনি তো বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। সেখান থেকে প্রশাসন ক্যাডারে আসার জার্নিটা কেমন ছিল?
সাজিদ হক: বিসিএস জার্নিটাই অনেক লম্বা। আমি যখন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জয়েন করি, তার ঠিক দুই মাস পরই বিসিএস পরীক্ষা শুরু হয়। এরমধ্যেই পড়াশোনা চালিয়ে যাই। প্রিলিমিনারি পাস করার পরই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে কঠিন সময় যাচ্ছিল। নদী ভাঙন হয় সে সময়। তার পাশাপাশি পড়াশোনা করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই।
নিউজবাংলা: চাকরির পাশাপাশি আরেকটি সরকারি চাকরির জন্য আবার পড়াশোনা কতটা সংগ্রামের ছিল?
সাজিদ হক: যে সময়টা আমার পরীক্ষা হয়েছে সে সময় কাজের চাপ অনেক বেশি ছিল। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হতো। এর মাঝে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া আসলেই অনেক কঠিন ছিল। তবে সে সময় আমার সহকর্মীরা এবং সিনিয়র ভাইয়েরা অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। তারা সবসময় পাশে থেকেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। ঢাকার বাইরে পোস্টিং হওয়ায় মা-বাবা দূরে থাকলেও তাদের সাপোর্ট সবসময় ছিল বলেই কঠিন হলেও সম্ভব হয়েছে।
নিউজবাংলা: ফলাফলের দিন অনুভূতি কেমন ছিল?
সাজিদ হক: পরীক্ষা ভালো হওয়ায় আশাবাদী ছিলাম যে ভালো কিছুই হবে। মা-বাবা তো অপেক্ষায় ছিলেন রেজাল্ট কবে দেবে। রেজাল্ট দেয়ার দিন অফিসের কাজে বেশি ব্যস্ত ছিলাম যেন টেনশন কম হয়। অপেক্ষার পালা শেষ হলো প্রশাসন ক্যাডারে নিজের রোল দেখার পর। সেই অনুভূতিটা আসলে অন্যরকম!
নিউজবাংলা: ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পরও প্রশাসনের প্রতি আগ্রহ কেন?
সাজিদ হক: বুয়েট থেকে পাস করার পর অনেকের ড্রিম জব থাকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জব করার। সেখানে থাকার পরও আমি দেখলাম, প্রশাসনে যারা আছেন তারা প্রতিটা চাকরির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কো-অর্ডিনেশন থেকে শুরু করে মনিটরিং- প্রতিটা কাজে তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। এই বৈচিত্র্যময় ক্যারিয়ারটাই আমাকে আকর্ষণ করত।
নিউজবাংলা: আপনার এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশি?
সাজিদ হক: সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। এরপর আমার মা-বাবা তো সবসময় পাশে ছিলেন। এরকম একটা সংগ্রামে সবার সাপোর্ট দরকার হয়। সেক্ষেত্রে আমার মামা, চাচা, সহকর্মী, বন্ধু এবং সিনিয়র ভাইরা সব সময় আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
নিউজবাংলা: প্রশাসনের ব্যক্তি হিসেবে দেশের জন্য কী অবদান রাখতে চান?
সাজিদ হক: বুয়েট থেকে পাস করার পর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরকারি চাকরি পেলেও আমার সবকিছু ঘিরে থাকত প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার স্বপ্ন। আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ফিল করেছি যে, এখানে গেলে আমি দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে পারব। যেহেতু এখানে ডাইনামিক কাজ করার সুযোগ বেশি এবং আমি চাই দেশের জন্য, মানুষের জন্য নিজের কাজের মাধ্যমে অবদান রাখতে।
নিউজবাংলা: যারা ক্যারিয়ারে সফল হতে চায়, তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
সাজিদ হক: প্রথমত, লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। কনফিউজড হওয়া যাবে না। অনেকেই দেখা যায়, সকালে সরকারি চাকরির জন্য পড়ছেন। আবার বিকেলে বিদেশে যাওয়ার জন্য জিআরই পড়ছেন। আবার এর মাঝে প্রাইভেট জব করছেন। একেকটা তো একেক রকম ক্যারিয়ার। যার যেটা লক্ষ্য থাকবে, সেটাকেই ঠিক রেখে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম কখনও বৃথা যায় না। তাই লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ করে যেতে হবে।
ছেলের সাফল্যে মা ডালিয়া হক এবং বাবা এ.এস.এম সিরাজুল হকের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো।
নিউজবাংলা: ছেলেকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন?
ডালিয়া হক: ছেলের ওপর যেন আল্লাহর রহমত থাকে। সে যেন একজন ভালো মানুষ হিসেবে সমাজের জন্য যা যা করণীয়, সবটা সততার সঙ্গে করে।
নিউজবাংলা: সন্তানের সাফল্যে অনুভূতিটা কেমন?
সিরাজুল হক: আমার ছেলে শুধু পড়াশোনা করতে হবে বলে পড়েনি, সে সেটা উপভোগ করে করেছে। ওর বিনোদন ছিল পড়াশোনা। এ পর্যন্ত তার যেটা লক্ষ্য ছিল, সেটাতে সে পৌঁছেছে বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি। আমরা তৃপ্ত। আশা করি, বাকি দিনগুলোতে ওর প্রতি অর্পিত দায়িত্ব ও পালন করতে পারবে।
আরও পড়ুন:বাংলার শীত সংস্কৃতিকে উদযাপনের মাধ্যমে শীতের কুয়াশাকে বরণ করে নিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বরাবরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ উৎসব অনুরাগী বিভিন্ন পেশার মানুষের সার্বিক অংশগ্রহণে আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব-১৪৩০।
উৎসব-বন্ধু নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবারও উৎসব-বন্ধুদের অর্থায়নে আয়োজন করা হচ্ছে ভিন্নধর্মী এই উৎসব।
মৈমনসিংহ গীতিকার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এবারের কুয়াশা উৎসব-১৪৩০ উৎসর্গ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনুষ্ঠানের আয়োজনে সংশ্লিষ্টরা।
এ আয়োজনের প্রথমদিন থেকেই থাকছে চিত্রকলা, চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী; রাগ সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, আবৃত্তি, সাহিত্য আলোচনা, রম্য বিতর্ক, নাট্য ও নৃত্য পরিবেশনা, রস উৎসব, পিঠা পার্বণ, পালাসহ আরও নানা আয়োজন।
উৎসবের দুই দিন গান পরিবেশন করতে আসছে ব্যান্ড দল সহজিয়া, মাদল, গঞ্জে ফেরেশতা। এছাড়াও গান পরিবেশন করবে মুয়ীয মাহফুজ ও কফিল আহমেদ।
কুয়াশা উৎসব আয়োজকরা যেমন বাংলার লোক সংস্কৃতিতে শীতের প্রভাবকে উদযাপন করে, তেমনি সংস্কৃতির বিবর্তন আর ভিন্নতার সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চান। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংস্কৃতির প্রাণশক্তিকে আহ্বান জানিয়ে এবারের কুয়াশা উৎসবের স্লোগান- হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৬তম বিসিএস নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
পিএসসির ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) যুগ্মসচিব আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আগের কয়েকটি বিসিএসের ধারাবাহিকতায় এবারও ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পিএসসি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করা যাবে আবেদন আর এতে ফি নির্ধারিত হয়েছে ৭০০টাকা। তবে বয়সে কোনো ধরণের ছাড় দেয়া হয়নি।
আগামী বছরের মার্চে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৬তম বিসিএসে ক্যাডার হিসেবে ৩ হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা জানানো হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তিতে। আগের ১০টি বিসিএসের তুলনায় এবার পদ সংখ্যার বিচারে এটি রেকর্ড।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এক হাজার ৬৯৮ জন চিকিৎসক নিয়োগ পাবেন এ বিসিএসে। এরপরই আছে শিক্ষা ক্যাডার। সরকারি কলেজে ৯২০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে এ বিসিএসের মাধ্যমে।
এছাড়া সাধারণ ক্যাডারের মধ্যে বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্ত ৬৫টি পদে নিয়োগ দেয়ার কথা উল্লেখ আছে ৪৬তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তিতে।
রাজধানীর ডেমরার আমিনবাগ গেট বাঁশেরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ। ২৫ বছর বয়সী এ যুবক একজন স্বেচ্ছাসেবী এবং সংগঠক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফোরাম এসডিএ, উইন্টার প্রোজেক্ট, হিমু পরিবহন, আশার আলো সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।
যে বয়সে হোসাইনের পরিবারের হাল ধরার কথা, সেই বয়সে তিনি আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অন্তত ১২ লাখ টাকা, কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
হোসাইন গত ১২ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় তার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিউরোসায়েন্স থেকে ফিরে বর্তমানে বাসায় রয়েছেন হোসাইন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যায় নিউজবাংলা। গিয়ে দেখা যায়, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। এ সময় বাঁতে আকূল হোসাইনের চোখের দুধার বেড়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রু। চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
হোসাইনকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন নিচের মাধ্যমগুলোতে
প্রাইম ব্যাংক শেরপুর, বগুড়া শাখা
ইসলামী ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা
বিকাশ/নগদ (মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট)
বিকাশ/নগদ (হোসাইনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট)
যেকোনো প্রয়োজনে রায়হান (০১৯৫৩৬১৯৪১৯), আশিক (০১৬১০২১৭০৬৪) ও তপুর (০১৫৬৮১০৯৯৫৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য