জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পৃথক শোকবার্তায় তারা এই শোক প্রকাশ করেন।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, সংসদ পরিচালনায় মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
রাষ্ট্রপতি মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই ফজলে রাব্বী মিয়া আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ৬২-এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
শুক্রবার রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে মারা যান ডেপুটি স্পিকার।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি প্রায় ৯ মাস ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফজলে রাব্বী মিয়ার ভাতিজা মো. ফাহাদ রাব্বী সৈকত।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সময় রাত ২টার (স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা) দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ফজলে রাব্বী মিয়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের টানা সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন:দেশের জনগণ নয় বরং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এখন বেহেশতে আছেন বলে মনে করছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের এক বক্তব্যের সমালোচনায় শনিবার নয়াপল্টনে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নয়, সরকারের বশংবদরা বেহেশতে আছে। কিন্তু জনগণ আপনাদের দুঃশাসনের নরকে আছে।’
বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ সুখে আছেন বলে শুক্রবার সকালে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে।’
ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগের উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডের নেতারা এখন কোটিপতি। লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে, যারা বিদেশে অট্টালিকা তৈরি করেছে সেই টাকা পাচারকারীরা বেহেশতে আছেন। তবে সে বেহেশত সাদ্দাতের বেহেশত। অচিরেই সেই বেহেশত ভেঙে খান খান হয়ে যাবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মোমেন সাহেব আপনি তো বাজারে যান না, রিকশাওয়ালার কথা শোনেন না, গরিব মানুষের কথা শোনেন না। একটা ডিমের দাম এখন সাড়ে ১২ টাকা, এক হালি ডিমের দাম পঞ্চাশ টাকা, এক কেজি ইলিশ কিনতে দুই হাজার টাকা লাগে।
‘সবজি বাজারে এখন আগুন, মানুষ চাল-ডাল-সবজি কিনতে পারছে না। অভাবের তাড়নায় মানুষ সন্তান বিক্রি করছে। জনগণ আপনাদের তৈরি করা আগুনে জ্বলে পুড়ে মরছে। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তরা এখন হাহাকার করছে, এগুলো গণমাধ্যমে উঠছে, যদিও গণমাধ্যম চাপে আছে। তারপরেও অনেক কিছু গণমাধ্যমে উঠে আসছে।’
রিজভী বলেন, ‘গোটা দেশে এখন দুর্ভিক্ষের ছায়া বিস্তারলাভ করেছে। আপনারা বেহেস্তের কথা বলে অহংকার করেন, জনগণের টাকা হরিলুট করে আপনাদের অনেক টাকা, আপনারা বেহেশতে থাকতে পারেন, মোমেন সাহেব আপনার এই বক্তব্য ক্ষুধার্ত জনগণের সাথে চরম রসিকতা।’
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে রাজপথ দখলের হমকি দেন, যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকে তাহলে আপনারা রাজপথ থেকে ভীত শৃগালের মতো পালিয়ে যাবেন।
‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের গুম করে, খুন করে, বিচারবহির্ভূত হত্যা করে, সম্পদ হরিলুট করে, চুরি করে আপনারা অহংকার দেখাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া মাঠে নামলে আপনারা তুলার মতো উড়ে যাবেন।’
রিজভী বলেন, ‘এত বড় কথা বলেন, আপনার নেত্রীকে এক এগারোতে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কই তখন তো রাজপথে একটি মিছিল করতে পারেননি। ১৫ আগস্টের ঘটনার সময় তো রাস্তায় নামেননি। আপনাদের পতন কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে জিয়া মঞ্চ আয়োজিত এ সভায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক ও নিরহংকার মানুষ ছিলেন। রাজনৈতিক কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন আন্দোলন করছিলেন, তখন শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়াকে বালুর ট্রাক দিয়ে বন্দি করে রেখেছিলেন
‘মায়ের সে দুর্দিন তার ছোট সন্তান মেনে নিতে পারেননি। সেদিন মানসিকভাবে চাপে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছিল।’
আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ফয়েজ উল্লাহ ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:গরু পাচার মামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে পারলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। অসুস্থতার অজুহাত তুলে ১০ বার সিবিআই নোটিশ এড়ালেও শেষরক্ষা হয়নি। এবার গ্রেপ্তারের পর সিবিআই তাকে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে।
শুক্রবার সকালে কলকাতার আলিপুর কমান্ডো হাসপাতালে প্রায় ঘণ্টাখানেক তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। এরপর ৪ সদস্যের বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়ে দেয়, কেষ্ট মণ্ডলের বড় কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলেও ‘টেনশন’ কমাতে ওষুধ দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের ছাড়পত্র মিলতেই দুপুর ১২টা থেকে গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। বীরভূমের প্রভাবশালী এ নেতাকে সিবিআই কর্মকর্তারা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করলেও স্বীকারোক্তি মেলেনি। কেষ্ট জবাব দিচ্ছেন দায় এড়িয়ে।
কলকাতার নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় সিবিআই গেস্ট রুমে রাখা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল কেষ্টকে। তার শোবার চৌকির পাশে রাখা আছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, শ্বাসকষ্টের পুরনো সমস্যার কারণে। একজন সাহায্যকারী আছেন তার পাশে। তিনি নিয়মিত যেসব ওষুধ সেবন করেন, তা দেয়া হচ্ছে। ১০ দিনের হেফাজতে ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দিতে বলেছে আদালত।
সিবিআই তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন গরু পাচারে তৃণমূল নেতার যোগসূত্র ও আর্থিক লেনদেন বিষয়ে। চক্রের সদস্যদের নাম জানতে চাইছেন তারা। কেষ্ট মণ্ডল প্রথম দিনের জেরায় এসব প্রশ্ন এড়িয়ে যান কৌশলে।
এদিকে কেষ্ট মণ্ডলের দুর্দিনে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নেতার নাম উল্লেখ না করলেও দলের তরফে এক সংবাদ সম্মেলনে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ‘দল কারো পাপের দায় নেবে না।’
তবে কেষ্টর সমর্থকরা শুক্রবার মেদিনীপুরে মিছিল করেছে। সিবিআই তদন্তের প্রতিবাদে শনিবার রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের কর্মসূচি আছে।
এ পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উইকেট আরও পড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে হবে জেলে গিয়ে।’
তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডলকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। পরে আসানসোলের বিশেষ আদালতে তুললে বিচারক ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় আন্দোলনকারী দেশে আর নেই, ভবিষ্যতেও হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান।
ঢাকার সাভারে আশুলিয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রমিক সংগঠন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে এই নেতা বলেন, ‘মহানবী (সা.) বলেছিলেন, আগুনের স্রষ্টা ছাড়া আর কেউ প্রাণী হত্যা করতে পারে না। কিন্তু ওনারা (বিএনপি) মানুষ হত্যা করেছিলেন পেট্রলবোমা দিয়ে। তারপরে আজকে বড় বড় কথা বলেন।
‘রাজনীতি করা, রাজনীতির শিক্ষা আমাদের দেন? আন্দোলনের কথা আমাদের বোঝান? আওয়ামী লীগের চাইতে বড় আন্দোলনকারী আর কেউ নাই, ভবিষ্যতেও হবে না।’
আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারাই একসময় বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমরা মানি না। আপনারাই আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্টকে নষ্ট করেছিলেন। এখন সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আর কোনো সুযোগ নাই।
‘নির্বাচন হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। নির্বাচন শেখ হাসিনা পরিচালনা করবে না। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। শেখ হাসিনা শুধু ওই তিন মাসের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।’
ইউরোপ, আমেরিকা আর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে দেয়া উন্নয়নের নৌকা এখন শ্রীলঙ্কার পথে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি জ্বালানি খাতে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছেন।
রাজধানীর মিরপুরে এক কর্মী সম্মেলনে শুক্রবার বিকেলে তিনি এ কথা বলেন।
মিরপুর ও শাহ্আলী থানা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জি এম কাদের।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপ, আমেরিকা আর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে দেয়া উন্নয়নের নৌকা এখন শ্রীলঙ্কার পথে। দেশে লোডশেডিং বাড়ছে, ডলারের দাম বাড়ছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। কিন্তু কেন এসব বাড়ছে সে ব্যাপারে জবাব নেই সরকারের। তারা বিশ্বব্যাংক আর আইএমএফকে গালাগাল দিয়ে এখন ঋণের জন্য তাদের পেছনেই ঘুরছে।
‘আমরা দেশের স্বার্থে কথা বললেই সরকারের কিছু নেতা ষড়যন্ত্র খোঁজেন। দেশ শ্রীলঙ্কার মতো ব্যর্থ হতে চলেছে বলায় আমাদের তারা মূর্খ বলেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই তারা গালাগাল দিতে শুরু করেন। তারা বুঝতে চান না, মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়।’
জ্বালানি খাতে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মানুষ জানতে চায়, জ্বালানি খাতে প্রতি বছর কত হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। কারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত, তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অথচ সরকার দুর্নীতিবাজ ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অপরাধীদের পক্ষ নিচ্ছে।’
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের সভাপতিত্বে পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বুদ্ধি প্রতিমন্ত্রী আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু।
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, সার-গ্যাস, গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে ওই মন্তব্য করেন দুলু।
শুক্রবার লালমনিরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত ওই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তিনি ল্যাপটপের সামনে চেয়ারে বসে নিজের ছবি দেখেন আর বলেন- খেলা হবে আন্দোলনের মাঠে। খালি বুলি মারে আর নিজের চেহারা দেখে। পুলিশকে ছাড়া লালমনিরহাটের মাটিতে এসে এক সেকেন্ড টিকতে পারলে বাপের বেটা মনে করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা নাকি তাহাজ্জতি। যদি তাহাজ্জতিই হন, তাহলে নামাজ পড়ার সময় কি ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়? এসব ঢং ছাড়া আর কিছুই না। বাংলাদেশের মানুষের আজ নাভিশ্বাস উঠে গেছে।’
তারেক রহমান যেদিন আসবেন সেদিন দেশে ভূমিকম্প শুরু হবে বলে মন্তব্য করেন দুলু।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ওই বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মমিনুল হক।
সমাবেশ শেষে তাদের একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করতে কার্যালয় থেকে কিছুদূর এগোতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে পণ্ড হয়ে যায়। সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বিএনপি মুসলিম লীগের মতো হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে, হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘মুসলিম লীগের প্রথমে মার্কা বাইসাইকেল ছিল, বাইসাইকেলের পর মুসলিম লীগ মার্কা পরিবর্তন করে যখন হারিকেন ধরল, তখন হারিকেন দিয়েও আর মুসলিম লীগকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
‘এখন বিএনপি ধানের শীষ বাদ দিয়ে যখন হারিকেন ধরেছে, আমার সন্দেহ হচ্ছে কদিন পরে হারিকেন দিয়েও হয়তো বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। মুসলিম লীগের মতো হাওয়া হয়ে যাবে।’
রাজশাহীর মোহনপুরে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তেলের দাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কিছু নেই। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং বাংলাদেশে দাম কম থাকার সুযোগে ট্রাকে ট্রাকে ভারতে তেল পাচার করা হতো। সে কারণে মূল্য সমন্বয় করে তেলের দাম পশ্চিমবাংলার সমান করেছে সরকার।
‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। অন্যদিকে চীন ও তাইওয়ান মুখোমুখি। বিশ্বের সব জায়গায় অস্থিরভাব। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছিল। এমনকি সারা বিশ্বে তেলের দাম শতভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে আমরা কিন্তু তা করিনি। মূল্য সমন্বয় করে তেলের দাম পশ্চিমবঙ্গের সমান করা হয়েছে। আগামীতে যখন বিশ্বে জ্বালানি তেলের মূল্য কমবে তখন আমরাও কমাব।’
আরও পড়ুন:লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবনের সামনে শুক্রবার দুপুর একটার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এ সময় সমাবেশস্থলে মঞ্চ ও চেয়ার ভাংচুর করে হামলাকারীরা।
বিএনপির সমাবেশে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
সাহাবুদ্দি সাবু অভিযোগ করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল চারটার দিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। আমার বাসার সামনে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর আগেই জেলা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সেখানে হামলা চালিয়েছে।
‘একই সঙ্গে তারা আমার বাড়িতেও ইটপাটকেল ছুড়েছে। এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। দ্রুত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছিলেন। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে তাদের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় ও ভাংচুর করে।’
পুলিশের সামনে হামলা চালানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন ওই যুবদল নেতা।
তবে বিএনপির সমাবেশে হামলায় ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি। তিনি বলেন, ‘বিএনপির অন্তর্কোন্দলে নিজেরাই হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এই হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়।
‘বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হওয়ার কথা। সমাবেশ পালন করতে ছাত্রলীগের নেতাকমীরা শহরে অবস্থান নেয়।’
ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘হামলার বিষয়টি শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখন পযর্ন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য