বাংলাদেশ সচিবালয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ইন্টারকম মেরামতের কাজ করার সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক টেকনিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ৪৫ বছর বয়সী ব্যক্তির নাম মুজাহিদ উদ্দিন।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার বিকেলে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া।
তার সহকর্মী মনিরুজ্জামান রনি বলেন, ‘আমরা সেগুনবাগিচায় টয়েনবি সার্কুলার রোডে আলী কম্পিউটারের কাজ করি। সেখান থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ইন্টারকমের ত্রুটি ঠিক করতে যাই। সেখানে ৬ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় মইয়ের ওপর দাঁড়িয়ে মুজাহিদ কাজ করছিল। সে সময় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মই থেকে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।’
ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘সচিবালয়ের সমাজকল্যাণ দপ্তর থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন টেকনিশিয়ানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত মুজাহিদ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মোগরাকুল গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তৃণমূল বিএনপির সাবেক সভাপতি শমসের মবিন চৌধুরীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত সোমবার শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অংশ নেন পারভেজ মিয়া। বিকালে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২৯ অক্টোবর মামলা করেন নিহতের মা কানিছ ফাতেমা।
গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট, যা ধারণ করেছে তীব্র আকার। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আবদুল্লাহপুর, কুড়িল, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, কাকরাইল এবং পল্টন এলাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে শত শত যাত্রীকে, অথচ তারা দেখা পাননি বাসের। যে দুই-চারটি বাস যাচ্ছে তারও গেট লাগানো এবং যাত্রীতে ঠাসা। ওঠার নেই কোনো উপায়।
সরেজমিনে সোমবার দেখা যায়, সড়কে বাস না চললেও রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও রামপুরা ব্রিজের শেষ প্রান্তে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে আছে।
কেন তারা রাস্তায় নামেনি জানতে চাইলে ভিক্টর বাসের হেলপার সুমন বলেন, ‘নতুন নিয়মানুযায়ী বাস গোলাপি রং করতে অনেক বাসই নামেনি রাস্তায়। আর ই-টিকেটিং চালু হলে ড্রাইভার-হেলপার ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই বাকিরাও বাস নিয়ে রাস্তায় নামেনি।’
গত সপ্তাহে ঢাকার আবদুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুর রুটে রাজধানীতে চলাচল করা বাস গোলাপি রং করে ই-টিকেটিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
প্রাথমিকভাবে ২১ কোম্পানির ২ হাজার ৬১০ বাস গোলাপি রঙের ই-টিকেটিংয়ের আওতাভুক্ত করা হলেও আগামীতে এ সংখ্যা এবং রুটের পরিধি আরও বাড়বে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
রং করার এ কার্যক্রমে দুই দিন ধরে আবদুল্লাহপুরের এ রুটে রীতিমতো বাস সংকট দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি ট্রাফিক কার্যক্রম জোরদার করায় অনেকেই মামলার ভয়ে বাস নিয়ে বের হচ্ছেন না।
অনেক চালক ও হেলপারের দাবি, ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।
অনাবিল বাসের চালক আলমগীর বলেন, ‘জায়গায় জায়গায় সার্জেন্ট আর চেকপোস্ট। রাস্তায় নামলেই শিওর মামলা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাস নিয়ে নামা যাবে তখন।’
এদিকে বাসের সংখ্যা কম থাকায় রাস্তায় বেড়েছে রিকশা আর বাইকের চলাচল। একদিকে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে বেপরোয়া বাইক- সব মিলিয়ে এ রুটে একটু পর পর সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট।
মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে বের হয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় আধা ঘণ্টার ওপর দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাইনি। রিকশাভাড়া আকাশচুম্বী। সব মিলিয়ে হঠাৎ করেই রাস্তায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’
রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে পুরানা পল্টন যাবেন ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান। রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত হেঁটে এসে ভিড় ঠেলে কোনো রকমে রমজান বসে উঠেছেন। ভেবেছেন, কাকরাইল নেমে সেখান থেকে আবার হেঁটে পুরানা পল্টন যাবেন।
ভয়াবহ যানজটের কারণে বাসটিকে চলতে হচ্ছিল ঢিমেতালে। পরে মালিবাগ-মৌচাক নেমে আবার হাঁটা শুরু করেন তিনি।
সড়কে দুর্দশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় নেমে জানতে পারি ভিক্টর পরিবহনসহ কয়েকটি বাস চলছে না, যে কারণে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন।
‘কেউ হেঁটে যাচ্ছেন। কিন্তু গাড়িতে উঠেও দেখা যাচ্ছে সেটা চলছে না। এতে উভয় সংকটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।’
এদিকে বাস সংকটের মধ্যেই রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুনর্বাসন এবং আর্থিক সাহায্যের দাবিতে অবস্থান নেন দুবাইফেরত প্রবাসীরা। এতে করে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, বাংলামোটর, কাকরাইল ও কাওরানবাজার এলাকাতেও বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়।
সড়কে যানজট ও বাসের সংখ্যা কেন কম সে ব্যাপারে স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেনি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
ট্রাফিক বিভাগের উত্তরা জোনের সহকারী ডেপুটি কমিশনার (এডিসি) ফজলুল করিম বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আমরাও বাসের সংখ্যা কম পেয়েছি, কিন্তু কী কারণে রাস্তায় বাস কম, সে ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার জানা যায়নি।
‘ধারণা করা হচ্ছে, অনেক বাস গোলাপি রঙের ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আসতে চাওয়ায় রং করতে দেওয়া হয়েছে। এতে করে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বাস নেমেছে রাস্তায়।’
বাড্ডা ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার শারমিন আক্তার বলেন, ‘গোলাপি রঙের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে অনেক বাসের হেলপার এবং ড্রাইভার ধর্মঘট করেছে। তাই তারা বাস নিয়ে রাস্তায় নামেনি। এতে করেও গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে শুরু কাউন্টার থেকে যাত্রী তোলার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং যেখানে সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার দাবিতে সায়েদাবাদ এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন বাসচালক ও হেলপাররা। এতে করে এসব এলাকার যান চলাচল এক রকমের বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, ‘আমরা সাফ জানিয়ে দিয়েছি রাজধানীর সড়কে কোনো ভাঙাচোরা আনফিট গাড়ি চলবে না। ধীরে ধীরে সব গাড়ি ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আনা হবে।
‘এর প্রতিবাদে তুরাগ এবং বলাকা বাসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ই-টিকেটিংযের ডিভাইস সংক্রান্ত কাজের কারণে অনেক বাস সড়কে নামেনি। এ ছাড়া অনেকে বুঝে না বুঝে এ ব্যবস্থার বিরোধিতা করছে।
‘যারা সড়কে বাস না নামিয়ে উল্টা রাস্তা অবরোধ করছে, তাদেরকে কেউ খারাপ উদ্দেশ্য হাসিলে ইন্ধন দিচ্ছে।’
ক্ষোভ জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘এটা নতুন কিছু না। কোনো সিদ্ধান্ত বাস মালিকদের মনমতো না হলে তারা যাত্রী জিম্মির হাতিয়ার ব্যবহার করে।
‘অন্যদিকে সরকার সিদ্ধান্ত দেয় ঠিকই, কিন্তু মনিটরিং করে না। এতে করে সড়কে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। সরকারের উচিত মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা।’
দ্রুত সমস্যার সমাধান করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আনফিট গাড়ি, যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানামা, বাড়তি ভাড়া রাখা বন্ধ করতে সরকারের শক্তিশালী মনিটরিং প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে খালাস পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন। তার উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ২৩ জানুয়ারি আপিল শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।
মাহমুদুর রহমানের পক্ষে অন্যতম আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়।
‘প্রশ্নবিদ্ধ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ত্বরিত গতিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছিল। রায় ঘোষণা করা বিচারকের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম। আজ আপিলের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো।’
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে।
একই আইনের ১২০ (খ) ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
ওই ঘটনায় ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মাহমুদুর রহমান একসময় বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিএনপি সরকারে দায়িত্ব পালন করেন। এসব দায়িত্ব পালন শেষে তিনি সাংবাদিকতায় নিজেকে যুক্ত করেন।
দেশের জনপ্রিয় দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে আমার দেশ পত্রিকায় লেখনীর কারণে মাহমুদুর রহমানকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্মম নির্যাতন করা হয়।
তিনি বিগত সরকারের সব অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ও আপসহীন ছিলেন।
আরও পড়ুন:ডেভিল যতদিন শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত অপারেশন চলবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের নতুন মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রবিবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাকিদেরও আনা হবে।’
যারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে, তাদের টার্গেট করে ডেভিল হান্ট অপারেশন চলবে বলেও জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের।
পরে শনিবার রাত থেকেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল জোরদার করা হয়।
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অপরাধ দেশবাসীর জানা রয়েছে।’
আরও পড়ুন:সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আবদুর রউফ ইন্তেকাল করেছেন, যার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
রাজধানীর মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিউ) রবিবার সকাল ১০টার দিকে ইন্তেকাল করেন তিনি।
সাবেক এ বিচারপতি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সিইসি নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
আবদুর রউফ ১৯৯৫ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যান।
এ ছাড়া তিনি দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজধানীর মহাখালীর টিবি হাসপাতাল গেট সংলগ্ন গাউছুল আজম জামে মসজিদে আজ বাদ আছর মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার বাদ জোহর জাতীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাজা এবং ময়মনসিংহের দাপুনিয়া হাই স্কুল মাঠে বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন:গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শনিবার আহত লোকজনকে দেখতে গিয়ে এ কথা জানান।
এর আগে আহত ছাত্রদের খোঁজখবর নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হয়, সে ব্যবস্থা করা হবে।’
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শুক্রবার রাতে হামলার শিকার হন শিক্ষার্থীরা।
আহত শিক্ষার্থীদের দাবি, মোজাম্মেল হকের বাড়িতে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নেতিবাচকভাবে বিশ্বে তুলে ধরতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর এতে জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ‘দ্রোহের গ্রাফিতি: চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান প্রকাশনা’ শীর্ষক উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই সময় দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান শফিকুল আলম।
তিনি বলেন,‘যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকার যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, গ্রাফিতির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।’
মন্তব্য