এখন পর্যন্ত এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার দুপুরে নিউমার্কেট-গাউসিয়া ফুটওভার ব্রিজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ কথা জানান তিনি।
গতবারের তুলনায় এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অর্ধেকের চাইতেও কম উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, ‘আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, গত বছরের এই সময় যতসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গিয়েছিল, এবার তার অর্ধেকেরও নিচে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে।
‘সুতরাং এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে আমাদের দিনব্যাপী যে কার্যক্রম আমরা সে কার্যক্রমের সুফল পাওয়া আরম্ভ করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে এবং ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে পরিচালিত কার্যক্রম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সরেজমিন সরাসরি তদারকি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
এর আগে মেয়র শেখ তাপস শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটসংলগ্ন রাস্তা পরিদর্শন, বকশীবাজার জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার আড়ত পরিদর্শন করেন।
যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার আড়ত পরিদর্শনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিনসহ স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
চোরাচালান প্রতিরোধে জব্দ সোনার ২৫ শতাংশ পুরস্কার হিসেবে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যদের দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)।
সমিতির পক্ষ থেকে অসাধু জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতিও দেয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি বার্তা।
বাজুসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হলমার্ক ছাড়া কোনো অলংকার বিক্রি করা যাবে না। কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের হলমার্ককৃত অলংকার নিম্নমানের পাওয়া গেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অবহিত করা হবে।
শনিবার বাজুস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান পাচার প্রতিরোধ ও আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন সমিতির প্রস্তাব ও অবস্থান ব্যক্ত করেন।
সারা দেশে জুয়েলারি শিল্পের বাজারে অস্থিরতা, চলমান সংকট ও সমস্যা, দেশি-বিদেশি চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, অর্থ পাচার ও চোরাচালান বন্ধ এবং কাস্টমস আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জোরালো অভিযানের দাবিতে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং মলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সময় সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবের যৌক্তিকতা তুলে ধরে এনামুল হক খান বলেন, ‘বাজুসের প্রাথমিক ধারণা, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত, ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে, যা ৩৬৫ দিন বা এক বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
দেশের চলমান ডলার সংকটে এই ৭৩ হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচার ও চোরাচালান বন্ধে তিনি সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
এনামুলের ভাষ্য, দেশে অবৈধভাবে আসা সোনার সিকিভাগও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নজরে আসছে না। ফলে নিরাপদে দেশে আসছে চোরাচালান হওয়া বিপুল পরিমাণ সোনার চালান। আবার একইভাবে পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ যে সোনা চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, এটা এখন আর কথার কথা নয়। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।
তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতি উত্তরণে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিয়মিত কড়া নজরদারি জরুরি। পাশাপাশি বাজুসকে সম্পৃক্ত করে আইন প্রয়োগকারী সব দপ্তরের সমন্বয়ে সোনা চোরাচালানবিরোধী সেল গঠন এবং চোরাচালান আইন সংশোধনও সময়ের দাবি।
এনামুল হক খান প্রস্তাব করেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অভিযানে উদ্ধার হওয়া সোনার মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশ সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে দিলে প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও জোরদার হবে।
ব্যাগেজ রুলের সুবিধার আওতায় সোনা ও সোনার ভার আনতে গিয়ে দেশের ডলারের ওপর কেমন প্রভাব পড়ছে, তার সমীক্ষা করার তাগিদ দেন তিনি। তার মতে, সমীক্ষায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় কমবে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর শ্যামলীতে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, যিনি এই দুই ট্রাকের একটিতে চালকের সহকারী হিসেবে ছিলেন।
শনিবার ভোর ৫টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে ট্রাক দুটি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ৩৫ বছর বয়সী মো. রনির গ্রামের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার মানিক নগর। তার বাবার নাম আবুল কাশেম।
রনিকে হাসপাতালে নেয়া মো. উজ্জ্বল বলেন, শ্যামলী এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে এক ট্রাকের হেলপার রনি অন্য ট্রাকের চাপায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাই।
তিনি বলেন, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সেখানকার চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যালে রেফার করেন। আহতকে এখানে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরার তুরাগ কামারপাড়া এলাকায় রিকশার গ্যারেজে বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনের মধ্যে একমাত্র বেঁচে থাকা যুবকেরও মৃত্যু হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
২৫ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম শাহিন মিয়া। তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন জানান, উত্তরার তুরাগ কামারপাড়া এলাকায় রিকশার গ্যারেজে বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়েছিল। গত রাতে মৃত্যু হয়েছে দগ্ধদের মধ্যে বেঁচে থাকা সর্বশেষ জনের।
গত ৬ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কামারপাড়ায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানান দগ্ধদের স্বজনরা। তাদের উদ্ধার করে প্রায় ২ ঘণ্টা পর হাসপাতালে নেয়া হয়।
দগ্ধদের সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়া মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘রিকশা গ্যারেজের ভেতর পুরোনো ভাঙ্গারি মালামালের ব্যবসা আছে। সেখানে স্ক্র্যাপ মেশিনে চাপ দিয়ে মালামাল এক করা হয়।
‘মালামালের ভেতরে বিভিন্ন স্প্রে বোতল ছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণে সেখানে আগুন ধরে যায়। তাতে গ্যারেজে অবস্থান করা সবাই দগ্ধ হন।’
ঘটনার দিন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন আইউব হোসেন বলেছিলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রত্যেকের শরীর ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সহকর্মীকে মারধরে জড়িতদের শনাক্ত করতে না পারায় কর্মবিরতিতে গেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রায় ২০০ ইন্টার্ন চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ঢাকা মেডিক্যালের কোনো চিকিৎসা কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছেন না তারা। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে যোগ না দেয়ায় চাপ পড়েছে হাসপাতালটির পুরো চিকিৎসাব্যবস্থায়।
সাজ্জাদ হোসেন নামের ওই ইন্টার্ন চিকিৎসককে গত সোমবার রাতে কয়েকজন শহীদ মিনারে মারধর করেন। মারধরকারীরা নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি করেছিলেন।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচার চেয়ে এই কর্মসূচি পালন করছে হাসপাতালটির ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগসহ অন্তত চারটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক নেই। তারা না থাকায় কাজের চাপ পড়ছে স্থায়ী চিকিৎসকসহ ওয়ার্ডগুলোতে দায়িত্বে থাকা অন্যদের।
মেডিক্যালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সরা জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মূলত সকালবেলা সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে রাউন্ডে থাকেন। হাতে-কলমে শিক্ষা নেন। এর বাইরে জরুরি বিভাগ এবং অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করেন।
জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জরুরি বিভাগে প্রতি শিফটেই ইন্টার্নরা থাকে। গতকাল থেকে নেই। তারা না থাকায় আমাদের কাজে চাপ পড়ছে।’
শুক্রবার হওয়ায় রোগীর চাপ কম থাকায় সামলে নেয়া যাচ্ছে বলে জানান ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের একজন নার্স।
তিনি বলেন, ‘আজকে রোগী কম। ইন্টার্ন না থাকলেও খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। তবে রোগী বাড়লে চাপ বাড়বে।’
তারা না থাকলেও চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে না বলে দাবি হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের। তবে প্রায় ২০০ ইন্টার্ন চিকিৎসক একসঙ্গে কাজ না করায় চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় চাপ পড়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
সহকর্মীকে মারধরের বিচার চেয়ে আল্টিমেটাম দেয় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের পর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় তারা।
অবশ্য এমন কর্মবিরতি দিয়ে কিছুটা সমালোচনার মুখেও পড়েছেন ইন্টার্নরা।
কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে তারাও পড়েছেন উভয় সংকটে। একদিকে সহকর্মীর বিচার না পাওয়া, অন্যদিকে চিকিৎসা প্রদান থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখা। দুটো বিষয়ই তাদের প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
তাই তারা চান, দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এই কর্মসূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা।
পরিষদের সভাপতি ডা. মহিউদ্দিন জিলানী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চিকিৎসা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে চাই না। আমরা বিচার চাই। কিন্তু এই কদিনেও জড়িতদের শনাক্ত করতে না পারাকে প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছি আমরা। জড়িতদের আইনের আওতায় না আসা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
কর্মবিরতি থেকে সরে আসার আভাস দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মারুফ উল আহসান। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের মেডিক্যাল কলেজ প্রশাসনসহ অন্যদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। বৈঠক থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘আমরা পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ চেষ্টা করছে।’
ইন্টার্নদের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রায় ২০০ ইন্টার্ন আমাদের এখানে রয়েছে। তারা না থাকায় অন্যদের ওপর চাপ পড়ছে। তবে আমাদের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ নেই।’
মারধরের ওই ঘটনায় সাজ্জাদ মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
মারধরে জড়িতে শনাক্তের বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার বলেন, ‘ভুক্তভোগী জিডি করেছেন। ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় আমরা সরাসরি কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি। আমরা কয়েকজন সন্দেহভাজনকে দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে শনাক্তের চেষ্টা করেছিলাম।
‘সেটাও সম্ভব হয়নি। কারণ অন্ধকারে কয়েকজন মিলে মারধর করায় ভুক্তভোগী কাউকে দেখলে চিনতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। আমরা তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি, একটু সময় লাগলেও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারব।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা ওঠানোর সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ রোডের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৪৪ বছর বয়সী মো. শরিফ উল্লাহর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের মধুপুর গ্রামে। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে টাইলসের ব্যবসা করতেন তিনি। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন টঙ্গীর দেওড়া এলাকায়।
শরিফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আব্দুস সামাদ নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীর মরদেহ রয়েছে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শরিফের ভাতিজা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘স্যানিটারি দোকান বন্ধ করে রাতে বাসায় ফেরার পথে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসে তাকে মৃত অবস্থায় পাই।’
পুলিশ জানিয়েছে, বুথের ভেতরে হামলার শিকার শরিফের ডান পাশের কানের নিচে ও গলায় ধারালো অস্ত্রের বড় জখম এবং বাম পাশের কানের নিচে দুটি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম আব্দুস সামাদ। তিনি একজন ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেম, এরপর রেজাউল করিমের সঙ্গে গোপনে বিয়ে হয়েছিল চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীকের। তবে স্বামীর একাধিক সম্পর্কের প্রতিবাদ করাতেই হত্যার শিকার হতে হয়েছে তাকে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সংবাদ সম্মেলন করে শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
পান্থপথের ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট নামের আবাসিক হোটেল থেকে বুধবার রাতে জান্নাতুলের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। এরপর খোঁজ শুরু হয় রেজাউলের। চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ব্যাংকের এই সাবেক কর্মকর্তাকে।
র্যাব বলছে, অভিযুক্ত রেজাউলের ফোনকল বিশ্লেষণ করে একাধিক প্রেমের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। পুরো ঘটনার দায়ও স্বীকার করেছেন তিনি।
ঘটনার দিন সকালে ওই নারী চিকিৎসককে নিয়ে হোটেলে ওঠেন রেজাউল। দুপুরের দিকে তিনি ঘরে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান। রাতে হোটেলের কক্ষ থেকে উদ্ধার হয় ২৭ বছর বয়সী জান্নাতুলের মরদেহ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখমের চিহ্ন দেখা যায়।
মগবাজারের কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে গাইনি বিষয়ে একটি কোর্স করছিলেন চিকিৎসক জান্নাতুল। মেয়ে হত্যার অভিযোগে রেজাউলকে আসামি করে মামলা করেছে তার পরিবার।
খন্দকার আল মঈন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল জানান, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালের অক্টোবর তারা বিয়ে করেন। পরিবারের অগোচরে বিয়ে হওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকতেন।
র্যাবের মুখপাত্র জানান, ভুক্তভোগীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন রেজাউল একাধিক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক রাখেন। বিষয়টি ভুক্তভোগী জানতে পারলে বিভিন্ন সময়ে আলাপচারিতার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এই নিয়ে তাদের মাঝে বিভিন্ন সময় বাগবিতণ্ডাও সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে রেজাউল তার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ভুক্তভোগীকে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
খন্দকার আল মঈন জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী রেজাউল ভুক্তভোগীকে হত্যার জন্য তার ব্যাগে ধারালো ছুরি নিয়ে যান। রেজাউল গত বুধবার তার জন্মদিন উদযাপনের কথা বলে পান্থপথের ‘ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্টে’নামে একটি আবাসিক হোটেল নিয়ে যান। ওই অ্যাপার্টমেন্টে অবস্থানকালে ভুক্তভোগীর সঙ্গে রেজাউলের বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা-কাটাকাটি, বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়।
তিনি জানান, এ সময় রেজাউল তার ব্যাগ থেকে ধারালো ছুরি বের করে স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করেন। পরে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যার পর তিনি গোসল করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হন যাতে হত্যার কোনো আলামত তার শরীরে দেখা না যায়। তিনি ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনও সঙ্গে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় দরজার বাইরে থেকে তিনি রুমের তালা বন্ধ করে দেন।
আরও পড়ুন:সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রতি কিলোমিটারের বাসভাড়া আড়াই টাকা হিসাব করে ন্যূনতম ১০ টাকা করলেও বাস্তবতা ভিন্ন।
ওয়েবিলের নামে কালশী থেকে জোয়ারসাহারা পর্যন্ত ভাড়া ২৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এই পথের দূরত্ব ৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার। সরকারি হিসাবে ভাড়া আসে ১০ টাকা ৭৫ পয়সা। আইন অনুযায়ী ১১ টাকা নেয়া সম্ভব নয় বিধায় নিতে হতো ১০ টাকা। ফলে এই গন্তব্যেও যাত্রী ঠকছে ১৫ টাকা।
কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে উত্তরার কামারপাড়া রুটে চলাচল করে প্রজাপতি ও পরিস্থান পরিবহন। তাদের ভাড়ায় এমন চিত্র দেখা গেছে। এই বাসগুলোতে একটি চেকে সর্বনিম্ন ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ২৫ টাকা।
নির্ধারিত চেকের আগে উঠলে যাত্রী যেখানেই নামুক, তাকে এই পরিমাণ ভাড়া দিতেই হবে। তবে এমন নয় যে, সেই চেকের পর পরবর্তী চেক পর্যন্ত পুরো ভাড়াই আদায় করা হয়। আবার এমনও না যে, দুই চেকের মধ্যে দূরত্ব ১০ কিলোমিটার, যার ভাড়া বর্তমান হারে ২৫ টাকা হয়। দূরত্ব প্রায় অর্ধেক।
মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর বাংলা কলেজ পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার দূরত্বে যাত্রী যেখানেই নামুক না কেন ভাড়া দিতে হবে ২৫ টাকা। অথচ সরকারি হিসাবে এই পথের ভাড়া আসে ১৩ টাকা ২৫ পয়সা। ভাড়ায় এখন আর পয়সার ব্যবহার নেই বলে সেটা সর্বোচ্চ নেয়া সম্ভব ১৩ টাকা। কারণ আইন অনুযায়ী ভোক্তার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সেবামূল্যের কম নেয়া গেলেও বেশি নেয়া সম্ভব নয়।
এই হিসাবে এই গন্তব্যে একজন যাত্রীর কাছ থেকে বেশি নেয়া হচ্ছে ১২ টাকা। আর কিলোমিটারপ্রতি আড়াই টাকার বদলে ভাড়া পড়ছে ৪ টাকা ৭১ বয়সা। এই ২৫ টাকায় অবশ্য মিরপুর ১ ও ১০ নম্বরেও যাওয়া যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ভাড়ার হার কিছুটা কম পড়লেও তা সরকার নির্ধারিত হারের দেড়গুণেরও বেশি।
মিরপুর-১ বা ১০ বা ১১ থেকে বাসে উঠে কেউ বিমানবন্দর সড়কে যেতে চাইলে আবার এভাবে ঠকতে হয়। কালশীতে একটি চেক বসিয়েছে। সেটি পার হলেই ভাড়া দিতে হচ্ছে ৩৫ টাকা। আর কালশী চেক থেকে খিলক্ষেত গেলে ভাড়া দিতে হচ্ছে উত্তরা পর্যন্ত পুরো গন্তব্যের, যদিও খিলক্ষেত থেকে দূরত্ব কমসে কম সাত কিলোমিটার।
খিলক্ষেতের যাত্রীরা পুরো পথের ভাড়া দিতে না চাইলে তাদের নামতে হবে জোয়ারসাহারা পর্যন্ত। তবে সেখানে যাত্রী নামে কমই। ইচ্ছা করেই এমন একটি জায়গায় চেক বসানো হয়েছে, যেখানে যাত্রীর উঠানামা কম। কেবল এক কিলোমিটারের জন্য বাড়তি ১৫ টাকা আদায় করা হয়।
আবার পুরো পথের ভাড়া নিলেও মাঝে যাত্রী উঠানামা করা হয় না, এমন নয়। কালশীর পর পুরো পথে যেখানেই যাত্রী হাত তোলে, বাস ফাঁকা থাকলে সব জায়গায় থামে বাস, আর ইসিবি চত্বরে পুরো একটি স্টপেজ আছে। কিন্তু যাত্রী সেখানে নামলেও তাকে ভাড়া দিতে হবে কমসে কম জোয়ারসাহারা পর্যন্ত। অথচ এর পরে আরও একটি স্টপেজ আছে এমইএইচে।
এটি অবশ্য কেবল এই দুটি পরিবহন কোম্পানির চিত্র নয়, রাজধানীতে বছরের পর বছর ধরে প্রায় প্রতিটি পরিবহন কোম্পানি এই প্রতারণা করে আসছে। এমনকি এ থেকে বাদ নয় সরকারি সংস্থা রাজউক পরিচালিত চক্রাবাস বাস, যেটি বলে হাতিরঝিলে। বরং ইজারাদারের স্বার্থ দেখতে গিয়ে রাজউক জনসাধারণের স্বার্থ উপেক্ষা করছে। আর থেকেই দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা এই বাসে এবার আরও বেশি আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু নগরবাসীর স্বার্থ দেখার দায়িত্ব যাদের, তারা পুরোপুরি চুপ।
গত নভেম্বরে ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর নগরীকে বাসভাড়া কিলোমিটারে ২ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করার পর ভাড়ার এই প্রতারণার প্রমাণ পেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ ২৫টি বাস কোম্পানির রুট পারমিট বাতিলের সুপারিশ করলেও তা কার্যকর হয়নি।
কোম্পানিগুলো সে সময় মুচলেকা দেয় যে, তারা বাড়তি ভাড়া আদায় করবে না। কিন্তু বাড়তি ভাড়াই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এবং তেলের দাম এবার লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানোর পর সেই বাড়তির ওপর আরও বাড়তি আদায় করা হচ্ছে। বিভিন্ন গন্তব্যে দেখা গেছে, বর্তমান হারের চেয়ে বেশি আদায় করা হচ্ছিল আগে থেকেই, এবার নেয়া হচ্ছে আরও বেশি।
বাস ভাড়ার এই প্রতারণার প্রমাণ হাতেনাতে দেখে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ কথা বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে। এরপর মন্ত্রী তার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইন মেনে চলার জন্য বাস কোম্পানির সুমতির ওপর ভরসা করার কথা বলেছেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নইলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন তারা।
তবে এমন হুঁশিয়ারি গত নভেম্বরেও এসেছিল। ব্যবস্থা আসলে নেয়া হয়নি। আর বিআরটিএ কর্মকর্তারা এবার গণমাধ্যমকে এড়াচ্ছেন। সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার থেকে অন্য কর্মকর্তাদের বারবার ফোন করলেও কেউ সাড়া দিচ্ছেন না।
গতবারের মতোই সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বলেছে, বৃহস্পতিবার থেকে বাস ওয়েবিলে চলবে না। যাত্রীরা ভাড়া দেবেন কিলোমিটার হিসেবে।
এই ঘোষণা বাস্তবায়নের দিন প্রজাপতি ও পরিস্থান পরিবহন দুটিকে দেখা যায় অবৈধ ওয়েবিলে ভাড়া নিতে।
পরিস্থানের বাসের যাত্রী মো. সুমন বলেন, ‘মোহাম্মদপুর থেকে আমি বাংলা কলেজ যাব। স্টুডেন্ট ভাড়া দিয়েছি ১০ টাকা। বাসে যিনি টাকা উঠাচ্ছেন তিনি আমার কাছে আরও পাঁচ টাকা দাবি করেন। আমি দিতে না চাইলে জোর করেন।’
বাসে ভাড়া কাটার দায়িত্বে থাকা আল-আমিন বলেন, ‘সব বাসে ওয়েবিল বন্ধ হলেও প্রজাপতি, পরিস্থান ও বসুমতিতে ওয়েবিল চলে।’
বাংলা কলেজের ভাড়া ২৫ টাকা কেন নিচ্ছেন জানতে চাইলে আল-আমিন বলেন, ‘এই পথে একটা ১৩ টাকা ও একটা ১২ টাকার চেক আছে।’
প্রজাপতি বাসে আসাদ গেট থেকে বাংলা কলেজের ভাড়া নিচ্ছে ২০ টাকা। চার কিলোমিটারের এই পথে ভাড়া আসে ১০ টাকা। বেশি নিচ্ছে ১০ টাকা। অর্থাৎ দিগুণ হারে দিতে হচ্ছে যাত্রীদের।
প্রজাপতি বাসের যাত্রী আল নাহিয়ান বলেন, ‘প্রজাপতি বাস মিরপুর-১ নম্বর থেকে টোলারবাগ পার হলেই দেড় কিলোমিটার পথে ১৫ টাকা ভাড়া রাখে। এই ভাড়ায় আসা যায় কলেজগেট পর্যন্ত। ভাড়া আগে ছিল ১০ টাকা। এখনও ওয়েবিলে চলতেসে। মিরপুর রোডের ম্যাক্সিমাম গাড়ির এখনও ওয়েবিল চালু।’
দিগুণ ভাড়া কেন নিচ্ছেন জানতে চাইলে ভাড়া কাটার দায়িত্বে থাকা মো. হাফিজ বলেন, ‘আমি জানি না, চেকারকে জিজ্ঞাসা করেন।’
দারুসসালাম পয়েন্টের প্রজাপতি বাসের চেকার মো. জালাল বলেন, ‘আমাদেরকে মালিক পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয় নাই। তারা আগে যেভাবে বলছে সেই ভাবে ভাড়া নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য