× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Not once a day the electricity is going repeatedly in the north
google_news print-icon

দিনে একবার নয়, উত্তরে বিদ্যুৎ যাচ্ছে বারবার

দিনে-একবার-নয়-উত্তরে-বিদ্যুৎ-যাচ্ছে-বারবার
সোমবার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদ সম্মেলন করে জানান, সারা দেশে আপাতত দিনে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে লোডশেডিং হবে দিনে দুই ঘণ্টা। দিনে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধের সিদ্ধান্তে মানুষ খুব একটা অসন্তুষ্ট হয়েছে, এটা বলা যাবে না। কিন্তু কথা রাখতে না পারা উত্তরে তৈরি করছে অসন্তোষ।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দিনে এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার যে ঘোষণা, উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগ রংপুর ও রাজশাহীর ১৬ জেলায় তা মানা হচ্ছে না। বিদ্যুৎ যাচ্ছে বারবার। কখনও আধা ঘণ্টা, কখনও এক ঘণ্টা, কখনও তার চেয়ে বেশি সময় থাকছে লোডশেডিং।

তীব্র গরমে বিদ্যুতের বারবার যাওয়া-আসায় জনজীবন যেমন অতিষ্ঠ, তেমনি কারখানায় উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্যেও দেখা দিচ্ছে অচলাবস্থা।

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলো বলছে, তারা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে না। তাই কথা রাখা যাচ্ছে না। গ্রাহকদের এসএমএস পাঠিয়ে দুঃখও প্রকাশ করা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার তার উৎপাদনক্ষমতার একটি বড় অংশ বসিয়ে রেখে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে চাইছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে হঠাৎ করে বিদ্যুতের যাওয়া-আসা শুরু হলে জানানো হয়, ঈদের পর থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সূচি করে দেয়া হবে।

সোমবার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদ সম্মেলন করে জানান, সারা দেশে আপাতত দিনে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে লোডশেডিং হবে দিনে দুই ঘণ্টা।

এর পর থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো তার আওতাধীন এলাকাগুলোর মধ্যে কোনটিতে কখন বিদ্যুৎ বন্ধ রাখবে সেই সূচি অনলাইনে আপলোড করতে থাকে।

দিনে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধের সিদ্ধান্তে মানুষ খুব একটা অসন্তুষ্ট হয়েছে, এটা বলা যাবে না। কিন্তু কথা রাখতে না পারা উত্তরে তৈরি করছে অসন্তোষ।

বারবার বিদ্যুৎ বন্ধে এসএমএসে দুঃখ প্রকাশ

এ বছর রাজশাহী অঞ্চলে আষাঢ়ে নেই পর্যাপ্ত বৃষ্টি। প্রচণ্ড গরমে মানুষের ত্রাহি অবস্থা। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে জীবন হয়ে পড়েছে দুঃসহ।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতি এলাকাতেই অন্তত চারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। একবার গেলে অন্তত এক ঘণ্টা আর আসছে না।

এই জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি বা নেসকো বলছে, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে কথা রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

ভোরেই যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায় সেসব এলাকার মানুষ ধারণা করেন, এক ঘণ্টা লোডশেডিং যেহেতু হয়েই গেল, সারা দিন বুঝি আর যাবে না।

কুমারপাড়া এলাকার প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলামও ভেবেছিলেন সকাল সকাল আপদ দূর হলো। কিন্তু পরক্ষণেই তাকে হতাশ হতে হলো।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আজ তো বলতে গেলে ছুটিই কাটাচ্ছি সারা দিন। দুই ঘণ্টা কাজ করছি তো এক ঘণ্টা বন্ধ। এতে ক্ষতি হচ্ছে, সঙ্গে বিরক্তিও তৈরি হচ্ছে।’

মালদা কলোনি এলাকার ব্যবসায়ী রাসেদুর রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে খুবই খারাপ অবস্থায় আছি। ব্যবসার তো খারাপ অবস্থা। গরমে টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে গেছে।’

এই অবস্থায় নেসকোর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার গ্রাহকদের কাছে এসএমএস পাঠিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অপ্রতুল। ফলে নেসকোর আওতাধীন এলাকায় অনিচ্ছাকৃত লোডশেডিং হচ্ছে।


রাজশাহীতে ঘাটতি ২৭ শতাংশ

সরকারি হিসাবে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি দেড় থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট। চাহিদা ও উৎপাদনে ফারাক ১৫ শতাংশের বেশি। তবে রাজশাহী অঞ্চলে সরবরাহ কম ২৭ শতাংশের মতো।

নেসকোর রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজশাহী অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৪৩০ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ পাওয়া গেছে ৩১২ মেগাওয়াট। লোডশেডিং করতে হয়েছে ১১৮ মেগাওয়াট।

তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার কথা থাকলেও আমরা সেই কথা রাখতে পারছি না।’

আবহাওয়াও বিরূপ

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, প্রতি বছর আষাঢ় মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, এবার তা হয়নি।

রাজশাহীতে গত বছর আষাঢ়ে বৃষ্টি হয় ২৫ দিন, সব মিলিয়ে ৩৫৪ মিলিমিটার। চলতি বছর আষাঢ়ের এক মাসে বৃষ্টি হয়েছে ৮ দিন, বৃষ্টির পরিমাণ ৩৯ দশমিক ০২ মিলিমিটার।

এই ৮ দিনের মধ্যে গত ১৮ জুন এক দিনেই হয়েছে ২০ দশমিক ৯ মিলিমিটার। ২০ জুন হয় আরও ৯ দশমিক ১ মিলিমিটার। এরপর বাকি দিনগুলোতে খুবই কম বৃষ্টি হয়েছে।

রাজশাহীর তাপমাত্রা থাকছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রেজোয়ানুল হক বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে কোনো বৃষ্টি হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আর ভারি বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা কমবে না।’

রংপুরে সরবরাহ চাহিদার অর্ধেক

রাজশাহীতে তাও চাহিদার তিন-চতুর্থাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। সর্বউত্তরের বিভাগ রংপুরের পরিস্থিতি আরও খারাপ।

নেসকোর রংপুর কার্যালয়ের তথ্য বলছে, জেলায় দিনে চাহিদা ১৫০ থেকে ১৫৫ মেগাওয়াট। পাওয়া যাচ্ছে ৭৫ মেগাওয়াট।

আর বিভাগের আট জেলায় দিন-রাতে বিদ্যুতের চাহিদা ৯০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ মেগাওয়াট।

সরবরাহের এই ঘাটতির কারণে এলাকাভিত্তিক যে লোডশেডিংয়ের সময়সূচি করা হয়েছে তা কাগুজে হয়ে গেছে। দিনে একবার করে লোডশেডিং দেয়ার কথা রাখা যাচ্ছে না।

নেসকোর ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশনের অধীনে রংপুর শহরেই ২৩টি ফিডার রয়েছে। তাতে প্রতিটি ফিডারে দিনে একবার করে লোডশেডিং দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

কিন্তু সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চারবার লোডশেডিং হয়েছে। প্রতিটি লোডশেডিং এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।

নেসকোর রংপুর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে এলাকাভেদে লোডশেডিংয়ের তালিকা মানা যাচ্ছে না।’

রংপুরের বাইরের নীলফামারী, দিনাজপুর, গাইবান্ধা জেলার ফিডারগুলোতেও একই অবস্থা।

বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ নানা ব্যবসায় অচলাবস্থা দেখা গেছে। কাজ শুরু করে অর্ধেক কাজ শেষ না হতেই আবার থামিয়ে দিতে হচ্ছে।

রংপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে হোটেল ব্যবসায়ী সাজু মিয়া বলেন, ‘আমরা ফেসবুকে দেখছি বাজার ফিডারে দিনে একবার লোডশেডিং দেবে। কিন্তু ওরা কথা রাখল না। গরমের কারণে কাস্টমার বেশিক্ষণ থাকে না।

‘৯টার দিকে বিদ্যুৎ এলেও আধা ঘণ্টা পর আবার চলে যায়। এক ঘণ্টা পর ফের চলে যায়, আবার আসে এভাবে চারবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে।’

গুপ্তপাড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চারবার বিদ্যুৎ গেছে। একবার গেলে দেড় ঘণ্টা নাই। এখনও অর্ধেক দিন এবং পুরো রাত বাকি আছে। জানি না কতবার বিদ্যুৎ যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ঘোষণা দিল একটা, হচ্ছে আরেকটা। সকাল থেকে বিদ্যুৎ শুধু আসা-যাওয়া করছে। কোনো নিয়মের বালাই নেই।’

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বালাটারী গ্রামের এরশাদ আলী জানান, সকাল থেকে তিনবার বিদ্যুৎ গেছে। যখন গেছে তখন একবার ৪০/৫০ মিনিট করে ছিল। একবার এক ঘণ্টার বেশি পরে এসেছে।

নীলফামারী জেলা শহরের প্রগতি পাড়া এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান লিটু জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুইবার লোডশেডিং হয়। প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়।

একই জেলার পঞ্চপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাইদুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিন দফায় বিদ্যুৎ ছিল না। প্রতিবারই এক ঘণ্টা স্থায়ী ছিল দুর্ভোগ।

রংপুর চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, ‘লোডশেডিং বেশি হলে জেনারেটর দিয়ে হিমাগার চালানো হয়। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে পণ্যের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ছাগল খুঁজতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ৯টা-৩টা হতে পারে অফিস সময়
বাড়তি দামে হলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চান ব্যবসায়ীরা
বিদ্যুৎ রেশনিং চায় এফবিসিসিআই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Former Coxs Bazar 1 constituency MP Zafar Alam on seven days remand in seven cases

সাত মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ডে কক্সবাজার -১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম

সাত মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ডে কক্সবাজার -১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম

কক্সবাজারের আলোচিত সাবেক এমপি জাফর আলম কে আদালতে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাতে চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়েছে আজ।

জাফর আলম সর্বশেষ কক্সবাজার-১ আসনের এমপি এবং চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।

বুধবার সকাল ৯টার পর পরই জেলা পুলিশের একটু প্রিজন ভ্যানে করে যৌথ বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে আনা হয়।

তাকে আজ আদালতে তোলার খবরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর ও আশপাশের অন্তত অর্ধ কিলোমিটার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে।

আদালত সূত্র জানায়- বিগত ৫ আগষ্ট পরবর্তী চকরিয়া ও পেকুয়া থানায় দায়ের করা একাধিক হত্যাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে শ্যােন অ্যারেস্ট দেখানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। সেসব মামলার শুনানি করা হয় আজ। এ সময় আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল কবির শুনানী শেষে ৭ মামলায় সর্বমোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তন্মধ্যে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব মামলায় সর্বোচ্চ চারদিন ও সর্বনিম্ন ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলাগুলোর মধ্যে চকরিয়া থানার ৫টি ও পেকুয়া থানার ২টি মামলা রয়েছে।

আরও জানান- আদালতের শুনানী চলাকালে জাফর আলমের পক্ষে শুনানী করেন অসংখ্য আইনজীবী। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে তথা জাফর আলমের বিপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মো. মঈন উদ্দিন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এপিপি মঈন উদ্দিন-ই।

আদালতের শুনানী শেষে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা জাফর আলমের মুক্তির দাবিতে সাড়ে দশটার দিকে একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন।

এর আধাঘন্টা পর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জাফর আলমের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে পাল্টা মিছিল করে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে গিয়ে শেষ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gosipur Jalsuka road work has not been completed in 6 months 

গোসাইপুর-জালশুকা সড়কের কাজ ১১ মাসেও শেষ হয়নি! 

গোসাইপুর-জালশুকা সড়কের কাজ ১১ মাসেও শেষ হয়নি! 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোসাইপুর-জালশুকা সড়কের নির্মাণ কাজ ১১ মাসেও শেষ হয়নি। অথচ ঠিকাদারের শর্ত অনুসারে এ কাজ নয় মাসে শেষ করার কথা। অভিযোগ রয়েছে- ঠিকাদার লোকমান হোসেন এ সড়কের বক্সকাটিং করে ১১ মাস ধরে ফেলে রেখেছেন। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও গাফিলতে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। উল্লেখ্য তিতাস নদীর উত্তর পাড়ে বড়াইল ইউনিয়নের একটি গ্রাম গোসাইপুর। গ্রামের পশ্চিম অংশে বাজার। বাজারের পূর্ব দিকে দিয়ে চলে গেছে গোসাইপুর-জালশুকা সড়কটি। এ বাজারের যাতায়াতের জন্য রাধানগর, চরগোসাইপুর, জালশুকা, বড়াইল, মেরাতুলী গ্রামের মানুষেরাও সড়কটি ব্যবহার করে।

গোসাইপুর বাজারের মুদি মালের ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন বলেন-"আমার গ্রামের বাড়ি জালশুকা । প্রতিদিন এ সড়কে বাজারে আসি। সড়কটি বর্ষাকালে বৃষ্টি হলেই পানি ও কাঁদা মিলে চলাচলে অযোগ্য হয়ে যায়"। বড়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাসার বলেন-"পূর্ব অঞ্চলের জনগণের জন্য এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গোসাইপুর বাজার ও রাধানগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজে আসা-যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটির কাজ শেষ না হওয়ার কারণে জনগণের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে"। গোসাইপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার ডা. হুমায়ুন কবীর বলেন-"সড়কটি দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত চলাচলে ভোগান্তির শেষ নেই। নির্মাণ কাজ করতে এসে ঠিকাদার আর কাজ করছেন না। এখন বর্ষার বৃষ্টির কারনে মোড়ে মোড়ে রাস্তা ভেঙে মাটি পড়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা পা পিছলে পড়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরাও"। কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন- "সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে আমি কয়েকবার তাগিদ দিয়েছি"। এ বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন বলেন-"এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে"। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী বলেন-"এই সড়কের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি দ্রুত সময়ে কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করব"।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The bridge is not working in the mustard house

সরিষাবাড়ীতে কাজে আসছে না অর্ধকোটি টাকায় নির্মিত ব্রিজ

ভোগান্তিতে ৭ গ্রামের মানুষ
সরিষাবাড়ীতে কাজে আসছে না অর্ধকোটি টাকায় নির্মিত ব্রিজ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সংযোগ সড়ক ও রাস্তা না থাকায় কাজে আসছে না প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ। ফলে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় ৫ গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের। এমন ব্রিজের দেখা মিলেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর আদ্রা গ্রামের ফসলের মাঠে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই ব্রিজটি। ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও এখন পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্মিত হয়নি সড়ক। ফলে কোনো কাজেই আসছে না সাতপোয়া ইউনিয়নের, চর রৌহা, আকন্দপাড়া, মাজারিয়া ও খামার মাগুরাসহ পার্শ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার আরও ২টি গ্রামের জনসাধারণসহ হাজারও মানুষের।

সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিদিন এসব এলাকার ফসলের মাঠের আল দিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। ব্রিজটি নির্মাণের দীর্ঘদিন পার হলেও এটি এখনো জনগণের চলাচলের জন্য ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠেনি। ব্রিজের দুই পাশে কাঁদা ও অসমতল জমির কারণে শিশু, বৃদ্ধ এমনকি সাধারণ পথচারীদেরও চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া কৃষকদের আবাদি ফসল আনা-নেওয়া বা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতেও হয়েছে চরম দুর্ভোগ।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হাসানুর কবীর স্বপন, মাসুদ রানা, চান মিয়া, ছমিরন বেওয়া বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের খবরে আমরা এলাকাবাসীরা খুবই খুশি হয়েছিলাম। ভেবে ছিলাম আমাদের কয়েক গ্রামের দীর্ঘদিনের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হবে। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণের এতদিন পার হলেও সড়ক না থাকায় এটি আমাদের কোনো কাজে আসছে না। আমরা দাবি জানাই অতি দ্রুত আমাদের চলাচলের সুবিধার্থে ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী শওকত জামিল বলেন, ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই ব্রিজটি ও সড়কের কথা জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। ওই এলাকার মানুষদের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে মাটি কেটে রাস্তা উঁচু করে ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The unemployed people are lost in employment
কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার সংশ্লিষ্টরা

হারিয়ে যাচ্ছে বর-কনের বাহন পালকি

হারিয়ে যাচ্ছে বর-কনের বাহন পালকি গ্রামবাংলার ঐতিহ্য পালকি। ছবি: নিউজবাংলা

পালকি ছিল এক সময় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য, বর-কনের বাহন। এটা ছাড়া বিয়ের কথা ভাবাই যেত না। সারা দেশের মতো রূপগঞ্জেও একই অবস্থা ছিল। কালের বির্বতনে চিরায়ত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারক পালকি রূপগঞ্জে আজ আর চোখে পড়ে না। পালকি এখন মিউজিয়াম পিস হয়ে কালের সাক্ষী হয়ে আছে জাদুঘরে। বেহারাদের সুর করে সেই গ্রাম ঘুরে মাঠ-ঘাট-প্রান্তর পেরিয়ে গন্তব্যের কাছে দূর থেকে সেই ছয় বেহারাদের আর দেখা যাচ্ছে না। তাদের ছন্দিত লয়ে হাঁটার সঙ্গে সঙ্গে এ গাঁ থেকে ওগাঁয়ে নাইয়র, বিয়ের কনে বর কিংবা মান্যগন্য ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়ার এ চক্রবিহীন যান সম্ভবত তার অন্তিম যাত্রা করেছে। ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায়, রবীন্দ্রনাথের কবিতায়, হেমন্তের গানে কিংবা ভুপেন হাজারিকার মাদল তালে চলা পালকি এখন ঐতিহ্যের খাতায় নাম লিখিয়েছে।

সেই ন্যাংটা পুঁটো ছেলেটা আর বলে না পালকি চলে পালকি চলে.....আদুল গাঁয়ে যাচ্ছে কারা হনহনিয়ে। রবি ঠাকুরের ‘বীর পুরুষ’ কবিতার খোকা তার মাকে পালকিতে নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদের সাথে লড়ে যখন ওরা আসে তেড়ে ‘হারে রে রে’ বলে। সেই ভীষণ যুদ্ধের বর্ণনাও দিতে পারে না মাকে। মাও বলতে পারে না, ভাগ্যেস খোকা ছিল তার সঙ্গে। দাদা তার সদ্য বিয়ে হওয়া দিদিকে আর বলে না, আর কটাঁ দিন থাক না দিদি, কেঁদে কেটে কঁকিয়ে, দুদিন বাদে তো নিয়েই যাবে পালকি করে সাজিয়ে। ‘মৈমনসিং গীতিকার’ দেওয়ানা মদিনা ও ছুটবে না পালকিতে আবের পাংখা নিয়ে আর পালকি বহরের সেই পরিচিত দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না।

আধুনিক যোগাযোগের গোগ্রাসে পালকি হারিয়ে যাচ্ছে বিস্মৃতির অতল তলে প্রাচীন বাংলার এ বাহনটি। এক সময় গ্রাম-বাংলার হাটবাজারে পালকি সাজিয়ে রাখা হত। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগেই পালকিওয়ালাদের কাছে ছুটে যেতেন বরের লোকজন। পালকি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হতো। ছয়জন মিলে পালকি বহন করতো। সামনে পেছনে দুজন ও মাঝখানে দুজন করে পালকি কাঁদে নিত। প্রথমে বরকে পালকিতে করে তার নিজ বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হতো। বিয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ হওয়ার পর বর-কনেকে এক সঙ্গে আবার বরের বাড়িতে নিয়ে আসতো।

আসলে পালকি নামটির উৎপত্তি ফারসি ও সংস্কৃত উভয় ইন্দো ভারতীয় ভাষা থেকে আর সেই সঙ্গে ফরাসি থেকেও। পল্লীকবি জসিম উদ্দিন তাঁর স্মৃতি কথায় এ গাঁ থেকে ওগাঁয়ে যাওয়া বেহারাদের পালকি নিয়ে চলার যে বিবরণ দিয়েছেন তা আমাদের আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। বিলুপ্ত এ পালকি এখন বিভিন্ন জাদুঘরে শোভা পাচ্ছে। বিয়ে বাড়িতে নব বর-বধুদের আনা নেয়ায় পালকি ব্যবহার করা হতো। চক্রযানের বিপ্লবে পালকির জায়গা দখল করে নিয়েছে আধুনিকতার এ যুগে প্রাইভেটকার, নোহা, বাস ও মাইক্রোবাস। হালের লাঙ্গল যেমন গ্রামেও অচল তেমনি ধনী গরিব নির্বিশেষে সকলের নানা অনুষ্ঠানে ব্যবহার করছে আধুনিক যান্ত্রিক যানবাহন। এসব যানের রমরমা ব্যবসাও এ কারণেই জমে ওঠেছে।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় ইদানিং বর-কনের বাহনে যোগ হয়েছে হেলিকপ্টারও। রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে বর যাত্রা গিয়েছেন সফিক মিয়া। হেলিকপ্টারে বর-কনে বহনের ঘটনা তখন পুরো এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ছড়ায় বলা হতো বউ সাজবে কালকি, চড়বে সোনার পালকি! সোনার বরনী কন্যা এখন আর পালকিবদ্ধ পরিবেশে যাবে না, উঠবে আসল বা নকল ফুলের সাজানো এয়ারকন্ডিশন গাড়িতে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bus in Pabna Truck driver killed in a collision with truck

পাবনায় বাস- ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত

পাবনায় বাস- ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোর সাড়ে চারটার দিকে পাবনা বাইপাস মহাসড়কের ইয়াকুব ফিলিং স্টেশন এর সামনে দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ট্রাকচালক সেলিম হোসেন (৩৮) মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে।

আহতরা হলেন- বাসের হেলপার তারেক (৩৫) ট্রাকের হেল্পার আলামিন (৩৫)। তাদের রাজশাহী মেডিকেল। কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ট্রাকচালক সেলিম সুনামগঞ্জ থেকে পাথর ভর্তি করে মাওয়া যাচ্ছিলেন।অপরদিক পাবনা এক্সপ্রেস বাসটি ঢাকা থেকে পাবনা বাস টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে হেলপার আলামিন গাড়ি গ্যারেজ করার জন্য দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে ইয়াকুব ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তাৎক্ষিনক ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আহত তিনজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ট্রাক চালক সেলিম কে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে আহত ট্রাকের হেলপার ও বাসের হেলপারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থানান্তর করা হয়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two pirates with weapons in the Sundarbans 

সুন্দরবনে অস্ত্রসহ দুই ‘জলদস্যু’ আটক 

সুন্দরবনে অস্ত্রসহ দুই ‘জলদস্যু’ আটক 

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নজির গাজী (৪৯) ও দিদারুল ইসলাম (৩৮) নামে দুই ’জলদস্যুকে’ আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা ও ১১টার দিকে উপজেলার উপকুলবর্তী যতীন্দ্রনগর ও মীরগাং এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় আটক দুই জলদস্যুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ব্যবহৃত নৌকা থেকে একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা।

এর আগে সোমবার রাত আটটার দিকে সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে উঠে আসার সময় স্থানীয়দের ধাওয়ার মুখে অপর কয়েক সহযোগিসহ এসব জলদস্যুরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আটকরা হলেন— শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের নওশাদ গাজী এবং আশাশুনি উপজেলার চাকলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে দিদারুল ইসলাম।

আবু হামজা, সিদ্দিক হোসেন ও আকবর আলীসহ স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে আটটার দিকে অপরিচিত পাঁচ/সাত জন ব্যক্তি সুন্দরবন তীরবর্তী যতীন্দ্রনগর বাজারে যায়। এসময় নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য তারা মাইক্রো বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের জন্য কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নাম—পরিচয়সহ সুন্দরবন এলাকায় আসার কারণ জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় যতীন্দ্রনগর বাজারে উপস্থিত লোকজন ধাওয়া করে দিদারুলকে ধরে পুলিশকে খবর দেয়। পরবর্তীতে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে পৌঁছে নজীরকে আটকের পাশাপাশি তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই চক্রের ব্যবহৃত মাছ শিকারের নৌকার মধ্যে থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি দা উদ্ধার করে।

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে, জোনাব বাহিনী এখন সুন্দরবনে খুব বেশি তৎপর না। বরং নজীর, তার ভাই নবাব ও ছেলে আব্দুর রহিম এবং মুন্সিগঞ্জ আটিরউপর এলাকার আছাদুলসহ কয়েকজনকে নিয়ে জোনাবের নামে সুন্দরবনে দস্যুতায় লিপ্ত। সোমবার রাতে নজীর আলীকে আটকের পরপরই তার ছেলে আব্দুর রহিম ও ভাই নবাব ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।

আটক নজীর আলীর ভাষ্য, তিনি সুন্দরবনের ত্রাস কুখ্যাত জোনাব বাহিনীর সদ্যদের উপরে তুলে দেওয়া এবং সুন্দরবনে নামিয়ে দেয়ার কাজ করেন। সোমবার ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে জোনাব বাহিনীর দুই সদস্যকে যতীন্দ্রনগর বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন। বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে যেয়ে মাছ শিকারের পাশাপাশি তারা পরিচিত জলদস্যুদের উপরে নিচে উঠানামার কাজ করেন বলেও দাবি তার। উপরে উঠে যাওয়া দুই জলদস্যু উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি তার নৌকার মধ্যে রেখে যায় বলেও তিনি দাবি করেন।

দিদারুল জানান, তিনি নজীর আলীর শ্রমিক হিসেবে সুন্দরবনে যাওয়া জেলেদের জিম্মি করারসহ মুক্তিপণ আদায়ের কাজ করেন। লোকারয়ে পৌঁছে দেওয়া দুই জলদস্যুকে সুন্দরবনের পুটেরদুনে এলাকা থেকে নিয়ে আসার কথাও নিশ্চিত করেন তিনি। তবে তার কাছে মোবাইলের পাওয়ার ব্যাঙ্কসহ নানান সরঞ্জামাদির বিষয়ে জানতে চাইলে নিরুত্তর থাকেন।

এদিকে অস্ত্র উদ্ধারসহ দু’জনকে আটকের বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, নজীরের দেওয়া তথ্যে নৌকায় থাকা ককসিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। আটকের পর উভয়কে শ্যামনগর থানায় নেওয়া হয়েছে। তারা মাছ শিকারির ছদ্মবেশে সুন্দরবনে প্রবেশ করতেন বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাহিনীর নাম—পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

মন্তব্য

কুমিল্লায় ৪ জনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনা শনাক্ত

কুমিল্লায় ৪ জনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনা শনাক্ত

কুমিল্লায় চার জনের শরীরে নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে এক নারী চিকিৎসকসহ তিনজন পুরুষ রয়েছেন।

শনিবার (১৪ জুন) কুমিল্লা সিটি স্ক্যান এমআরআই স্পেশালাইজড অ্যান্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারে করোনা পরীক্ষা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর বশির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

করোনায় আক্রান্তরা হলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আবদুল মোমিন (৭০), কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ডা. সানজিদা (৩০), বুড়িচং উপজেলার মো. হেলাল আহমেদ (৩৮) এবং সদর উপজেলার মো. ইবনে যুবায়ের (৩৯)।

সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর বশির বলেন, গত তিন দিনে কুমিল্লায় ১৩ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা কয়। পরীক্ষা শেষে তাদের মধ্যে চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিদের নগরীর একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

তিনি বলেন, চারজনই বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে একজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দুজন এরই মধ্যে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চলে গেছেন।

তবে আরেকজনের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি সিভিল সার্জন।

করোনার প্রথম ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর এতদিন কুমিল্লায় নতুন করে কেউ শনাক্ত হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি দ্বিতীয় ধাপের শুরু হতে পারে এবং এখনই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

মন্তব্য

p
উপরে