× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Sabrina Arif judgment at noon
google_news print-icon

সাবরিনা-আরিফের রায় দুপুরে

সাবরিনা-আরিফের-রায়-দুপুরে-
ফাইল ছবি
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন দুপুরে এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন। এরই মধ্যে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে এনে হাজতখানায় রাখা হয়েছে। নেয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি।

জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা আরিফ ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও জাল সনদ দেয়ার অভিযোগের মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন দুপুরে এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন। এরই মধ্যে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে এনে হাজতখানায় রাখা হয়েছে। নেয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি।

অভিযোগপত্রের অন্তর্ভুক্ত সাবরিনা ও আরিফ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, শফিকুল ইসলাম, জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস। বর্তমানে সবাই কারাগারে রয়েছেন।

আসামিপক্ষের দাবি, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছে।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই জাল সনদ দেয়ার মামলায় ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ এরপর ওই বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার দুই মাসের মাথায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৭০/২৬৯/৪০৬/৪২০/৪৬৫/৪৬৬/৪৭১/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় বিচারিক আদালত। এ ধারাগুলোর মধ্যে দণ্ডবিধি ৪২০ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড।

আরও পড়ুন:
করোনা রিপোর্টে জালিয়াতি মামলার রায় ১৯ জুলাই
সাবরিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন পেছাল
সাবরিনা দম্পতির মামলা: পিছিয়েছে সাক্ষ্য গ্রহণ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The administration is silent on the expulsion of 2 women by arbitration

সালিশ বসিয়ে ২ নারীকে সমাজচ্যুত, প্রশাসন নীরব

সালিশ বসিয়ে ২ নারীকে সমাজচ্যুত, প্রশাসন নীরব প্রতীকী ছবি।
সরেজমিনে জানা গেছে, গ্রাম্য মোড়লের ভাইয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনায় এবং এক ইউপি সদস্যের মূর্তির ব্যবসা করার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সালিশ বসিয়ে ওই দুই নারীকে পরিবারের সদস্যসহ একঘরে করে রাখা হয়েছে। হতদরিদ্র পরিবার দুটি দিনের পর দিন মানবেতর জীবনযাপন করলেও প্রশাসনের উদ্যোগ দায়সারা।

গৃহবধূ বেলী খাতুনের স্বামী অন্যের বাড়িতে দিনহাজিরা চুক্তিতে কৃষাণের কাজ করেন। কর্মস্থলের মালিক তার পরিবারের সঙ্গে কৃষাণের পরিবারকেও গত কুরবানির ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় বেড়াতে নিয়ে যান। আর গরিবের এই বেড়াতে যাওয়াটাই কাল হয়েছে।

চল্লিশোর্ধ্ব বেলী খাতুন কুয়াকাটায় গিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন- এমন অপবাদ দিয়ে গ্রামে রীতিমতো সালিশ বসিয়ে এই ‘অপরাধের’ জন্য জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা।

জরিমানার টাকা দিতে না পারায় দরিদ্র পরিবারটিকে এক সপ্তাহ ধরে সমাজচ্যুত করে রাখা হয়েছে। গ্রামের পক্ষ থেকে পালা করে পাহারা বসিয়ে পরিবারটির ওপর নজরদারিও করা হচ্ছে। এ অবস্থায় অসহায় দরিদ্র পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছে।

অপর গৃহবধূ বিউটি খাতুনের ক্ষেত্রেই প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে। তাকেও ওই সালিশ ডেকে ‘চরিত্রহীন’ ও ‘মূর্তি ব্যবসায়ী’ আখ্যা দিয়ে করা হয়েছে একঘরে। তাকেও একই অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবশ্য তিন দিন পর ১০ হাজার টাকা সমাজপতিদের হাতে তুলে দেয়ায় তার ‘শাস্তি’ শিথিল করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের গাবরগাড়ি গ্রামে ঘটেছে এমন বর্বর ঘটনা। তবে ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।

সমাজচ্যুত হওয়ার পর থেকে আমি ও পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে বের হয়ে কোনো কাজে যেতে পারছি না। এমনকি স্বজনের বাড়িতেও যেতে দেয়া হচ্ছে না। মাতব্বরদের ভয়ে গ্রামবাসী কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেন না। এমনকি আমার নিজের মায়ের সঙ্গেও কথা বলতে পারছি না। এই কষ্ট কইবার মতো কোনো মানুষও নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, চরিত্রের ত্রুটি আছে- এমন অভিযোগ এনে গাবরগাড়ি গ্রামে দুই নারীকে এক সপ্তাহ ধরে সমাজচ্যুত করে রেখেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে কতিপয় গ্রাম্য মাতব্বর। আর ওই নারীরা সমাজচ্যুত হওয়ার পর থেকে গ্রামের কারও কথা বলতে পারছেন না। পারছেন না কএনা বাড়িতে বা বাজারে যেতে। লোকলজ্জায় ঘরের কোণে বসে চোখের জল ফেলছেন শুধু।

ভুক্তভোগী পরিবার ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার আদ্যোপান্ত জানা যায়।

‘গাবরগাড়ি গ্রামে পরস্পর স্বজন দুই নারী রাত করে বাড়ি ফেরেন। আবার মাঝেমধ্যেই বেড়াতে যান এখানে-সেখানে। এটা চারিত্রিক ক্রটির অংশ।’- মাস দুয়েক আগে গাবরগাড়ি গ্রামের মোড়লদের কাছে এমন অভিযোগ করেন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা।

তৎপর হয়ে ওঠেন গ্রাম্য মোড়লরাও। তারপর এ নিয়ে ওই গ্রামের মো. জয়নাল মণ্ডলের বাড়ির উঠোনে সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা, গ্রামপ্রধান আলতাব হোসেন, মোজাম্মেল হক মন্টু, জুয়েল রানা, শফিকুল, বুলু ও আজিজুল হকসহ শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। সেই সালিশে নানামুখী আলোচনা শেষে দুই নারীর চরিত্রের ত্রুটি আছে এমন অভিযোগ এনে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পাশাপাশি তাদের দু’জনকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানার ঘোষণা দেয়া হয়।

গ্রাম্য মোড়লদের এমন সালিশি সিদ্ধান্তে দিশেহারা হয়ে পড়েন দরিদ্র ওই নারীরা। তারা এই জরিমানার টাকা দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।

জরিমানা না দিয়ে গ্রামপ্রধানদের অপমান করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে ১৬ সেপ্টেম্বর পুনরায় একই স্থানে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় অভিযুক্ত দুই নারীর পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেয়া হয়।

একইসঙ্গে গ্রামবাসী কারও সঙ্গে তাদের কথা বলা, মেলামেশা এবং কারও বাড়ি দিয়ে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমনকি সমাজচ্যুত দুই নারীর একজন যাতে নিজের মায়ের সঙ্গেও কথা বলতে না পারেন সে জন্য সালিশের দিন থেকেই পাহারাদার নিয়োগ করেছেন গ্রাম্যপ্রধানরা। এরপর থেকে ওই দুই নারী পরিবারসহ সমাজচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

অভিযুক্তদের একজন ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, গ্রামের কিছু নিয়মকানুন থাকে। সেটা না মানায় তাদেরকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। তাদের একজন ক্ষমা চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমাজচ্যুতির নির্দেশ শিথিল করা হয়েছে। অপর নারী গ্রামপ্রধানদের কাছে এসে ক্ষমা চাইলে তার বিরুদ্ধে সমাজচ্যুতির নির্দেশও শিথিল করা হবে।

এদিকে দ্বিতীয় দফা সালিশের পর অভিযুক্ত নারীদের একজন জরিমানার ২০ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা গ্রামপ্রধানদের হাতে তুলে দিয়ে তাকে মাফ করে দিতে বলেন। এতে ‘সন্তুষ্ট’ হয়ে গ্রামপ্রধানরা ওই নারীর বিরুদ্ধে সমাজচ্যুতির ‘আদেশ’ কিছুটা শিথিল করেছেন।

আর অপর নারী জরিমানার টাকা দিতে না পারায় তার ওপর সমাজচ্যুতি নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে।

বেলী খাতুন বলেন, ‘সমাজচ্যুত হওয়ার পর থেকে আমি ও পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে বের হয়ে কোনো কাজে যেতে পারছি না। এমনকি স্বজনের বাড়িতেও যেতে দেয়া হচ্ছে না। মাতব্বরদের ভয়ে গ্রামবাসী কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেন না। এমনকি আমার নিজের মায়ের সঙ্গেও কথা বলতে পারছি না। এই কষ্ট কইবার মতো কোনো মানুষও নেই।’

এ বিষয়ে গ্রামপ্রধান ও ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গ্রামের কিছু নিয়মকানুন থাকে। সেটা না মানায় তাদেরকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। তাদের একজন ক্ষমা চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমাজচ্যুতির নির্দেশ শিথিল করা হয়েছে। অপর নারী গ্রামপ্রধানদের কাছে এসে ক্ষমা চাইলে তার বিরুদ্ধে সমাজচ্যুতির নির্দেশও শিথিল করা হবে।’

তাড়াশের ইউএনও মো. সোহেল রানা বলেন, ঘটনাটি জানার পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে দ্রুত বিষয়টি সমাধান করতে বলে দিয়েছি।

তবে ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা ও গ্রামপ্রধান বুলুর সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ‌ই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই দুই নারী। তাদের একজন দুই বছর আগে গ্রামপ্রধান বুলুর ভাইয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন। আর অপরজন ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফার কথামতো মূর্তির ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় ষড়যন্ত্র করে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘ঘটনাটি নিন্দ্যনীয়। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তাড়াশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলমকে পাঠানো হয়েছে। আর সমাজচ্যুতির বিষয়টি মিমাংসার জন্য গ্রামপ্রধানদের বলা হয়েছে। তারা সতর্ক না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে দ্রুত বিষয়টি সমাধান করতে বলে দিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
সালিশেই কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা
সালিশে মারধরের পর যুবকের মৃত্যুতে পরিবারের মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
ADC Haroon case 3 more days extension of investigation time

এডিসি হারুনকাণ্ড: তদন্তের সময় আরও ৩ দিন বৃদ্ধি

এডিসি হারুনকাণ্ড: তদন্তের সময় আরও ৩ দিন বৃদ্ধি সাময়িক বরখাস্ত এডিসি হারুন অর রশিদ। ফাইল ছবি
ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুকের কাছে রোববার তদন্তের সময়সীমা আরও তিন দিন বাড়ানোর জন্য আবেদন করে তদন্ত কমিটি। এদিন কমিশনারের কাছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল।

রাজধানীর শাহবাগ থানা হেফাজতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে এডিসি হারুন অর রশিদের নির্যাতনের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গঠন করা তদন্ত কমিটির তদন্তের সময়সীমা আরও তিন কার্যদিবস বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কে এন রায় নিয়তি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুকের কাছে রোববার তদন্তের সময়সীমা তিন দিন বাড়ানোর জন্য আবেদন করে তদন্ত কমিটি। এদিন কমিশনারের কাছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল।

সাময়িক বরখাস্ত এডিসি হারুন অর রশিদের ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর নির্যাতন চালানোর ঘটনা তদন্তে ডিএমপি একটি কমিটি গঠন করে।

দু’দফা সময় বৃদ্ধির পর গত মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ছিল কমিটির। কিন্তু কমিটি আরও সাতদিন সময় চাইলে তিনদিন বাড়ানো হয়। বর্ধিত সেই সময়ের শেষ দিন ছিল রোববার। এবার আরও তিন দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, এডিসি হারুন গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে এডিসি হারুন এডিসি সানজিদা সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে যান। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান।

ওই সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সেখানে যোগ দেন এ দুই ছাত্রলীগ নেতাও। এক পর্যায়ে এডিসি হারুন পুলিশ এনে তাদের শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। পরে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এডিসি হারুনের নেতৃত্বে মারধর করা হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদকে।

ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি। এডিসি হারুনকেও করা হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত। তবে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদা পুরো ঘটনার দায় দিয়েছেন তার স্বামী মামুনকে। তিনি বলেছেন, তার স্বামীই প্রথমে হামলা চালান।

আরও পড়ুন:
হাসপাতালের সিকিউরিটি সুপারভাইজারের বর্ণনায় ‘এডিসি হারুনকাণ্ড’
তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা: ডিএমপি
এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
এডিসি হারুনের বিচারের দাবিতে ফুঁসছিল ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতন: এডিসি হারুন প্রত্যাহার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Student fined for broadcasting RAB campaign live

র‍্যাবের অভিযান লাইভ প্রচার করা ছাত্রের জরিমানা

র‍্যাবের অভিযান লাইভ প্রচার করা ছাত্রের জরিমানা বরিশাল আদালত। ফাইল ছবি
আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন বলেন, ‘আসামি মারুফ তার দোষ স্বীকার করেছে। তাই বিচারক তাকে জরিমানা ও প্রবেশনে জামিন মঞ্জুর করেছেন।’

বরিশালে র‌্যাবের অভিযান ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে মাধ্যমে লাইভ (সরাসরি) প্রচার করায় এক ছাত্রকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। ওই ছাত্রকে সামাজিক ও জনকল্যানমূলক কর্মকাণ্ড করতে নির্দেশ দিয়ে প্রবেশন কর্মকর্তার জিম্মায় জামিন দেয়া হয়েছে।

রোববার বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানান বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন।

অর্থদণ্ডে দণ্ডিত কিন্তু প্রবেশন জামিন পাওয়া ২০ বছর বয়সী মারুফ মুন্সী ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা এবং বরিশাল নগরীর বেসরকারী ইনফ্রা পলিটেকনিকের ছাত্র।

মামলার বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারী কাকন বলেন, ‘২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি র‌্যাব-৮ এর একটি দল জিয়া সড়ক মসজিদ গলিতে অভিযান করে। মারুফ তার ফেইসবুক পেজ ডিপ্রেশন ও চ্যানেল টিভি নামের ইউটিউব চ্যানেল থেকে তা সরাসরি প্রচার করে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে এ তথ্য জানতে পেরে র‌্যাব মারুফকে আটক করে।

‘এ ঘটনায় ২২ জানুয়ারি কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করে র‌্যাবের ডিএডি জিএম আনসার আলী। একই বছরের ৩০ জুন একমাত্র মারুফকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় কোতয়ালী মডেল থানার এসআই সাইদুর রহমান।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসামি মারুফ তার দোষ স্বীকার করেছে। তাই বিচারক তাকে জরিমানা ও প্রবেশনে জামিন মঞ্জুর করেছেন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Lawyers march abroad to demand Khaledas treatment and release

বিদেশে খালেদার চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রা

বিদেশে খালেদার চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রা সুপ্রিমকোর্টে রোববার খালেদার বিদেশে চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে পদযাত্রা করেছে আইনজীবীরা। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করার কথা বলে তামাশা করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে আপনাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে এবং তার মুক্তির দাবিতে রাজপথে পথযাত্রা করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে থেকে রোববার আইনজীবীদের মোর্চা ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের (ইউএলএফ) ব্যনারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

পদযাত্রাটি সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট দিয়ে শিক্ষাভবন, কদম ফোয়ারা, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান হয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেটের সামনে গিয়ে শেষ করে।

কয়েক শ আইনজীবীর অংশগ্রহণে এ পদযাত্রা থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন ইউএলএফের কেন্দ্রীয় আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এবং বার কাউন্সিলর সদস্য জয়নুল আবেদিন।

তিনি বলেন, ‘এই সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হত্যা করেছে। আমাদের বিচার বিভাগ বেগম খালেদা জিয়ার জন্য স্বাধীন হতে পারেনি। আজ প্রধানমন্ত্রী বলছেন স্যাংশনের ভয় পান না। কিন্তু আমরা দেশের মানুষ লজ্জা পাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক হয়েছে, এইদিন দিন না আরও দিন আছে। এইদিন নিয়ে যাবে আপনাদের পদত্যাগের কাছে।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ আইনজীবী বলেন, ‘অক্টোবরের মধ্যে আপনাকে বিদায় নিতে হবে। আপনি যত তাড়াতাড়ি দেশে এসে পদত্যাগ করবেন ততই দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।’

আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই দেশে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। অন্যথায় আইনজীবী ও জনতা এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’

আইনজীবী মহসিন রশিদ বলেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেয়া হলে আমরা জনতার সাথে আন্দোলন করে উনাকে মুক্ত করে আনব।’

বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করার কথা বলে তামাশা করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে আপনাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
PBI adds new dimension to efficiency in case investigation IGP

পিবিআই মামলা তদন্তে দক্ষতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে: আইজিপি

পিবিআই মামলা তদন্তে দক্ষতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে: আইজিপি মতবিনিময় সভায় আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবি: নিউজবাংলা
আইজিপি বলেন, মামলা তদন্তে পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, ফলে তদন্তের মান বাড়ছে। বর্তমানে ৯৫ ভাগ মামলার রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পিবিআই মামলা তদন্তে দক্ষতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

রোববার সকালে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন ও মামলা তদন্ত এবং সার্বিক কার্যক্রম সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, মামলা তদন্তে পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, ফলে তদন্তের মান বাড়ছে। বর্তমানে ৯৫ ভাগ মামলার রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে।

আইজিপি বহুল আলোচিত সাগিরা মোর্শেদ, নুসরাত জাহান রাফি ইত্যাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পিবিআইর সাফল্যের প্রশংসা করেন।

পুলিশ প্রধান বলেন, পিবিআই দক্ষতা, যোগ্যতা দিয়ে নিজেদের প্রাপ্যতা অর্জন করেছে। তারা উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে মামলা তদন্ত করছে। দীর্ঘদিন ধরে তদন্তে উঁচু মান বজায় রেখে জনগণের কাছে পিবিআই যে আস্থার জায়গা তৈরি করেছে, আগামীতে তা অব্যাহত রাখতে হবে।

সভার শুরুতে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার মামলা তদন্ত ও সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। তিনি তার বক্তব্যে বহুল আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটনের কথা উল্লেখ করেন। এ ছাড়া, পিবিআই প্রধান আদালতের সিআর মামলা তদন্তে সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি শিশু হত্যার কারণ অনুসন্ধানে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আরও পড়ুন:
দেশে স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে: আইজিপি
আইনের আলোকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে: আইজিপি
সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা পেলেন আইজিপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on Prothom Alo representative in Chabi for publishing the news

সংবাদ প্রকাশের জেরে চবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

সংবাদ প্রকাশের জেরে চবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা মারধরে আহত প্রথম আলোর চবি প্রতিনিধি মোশাররফ শাহ। ছবি: নিউজবাংলা
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘মোশাররফের কপালে চার সেলাই দিতে হয়েছে। তার হাতেও আঘাত আছে। এক্সরে করাতে হবে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসা জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।’

সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধির ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

চবির দ্বিতীয় কলা অনুষদের সামনে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ওই সাংবাদিকের নাম মোশাররফ শাহ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য।

মারধরকারীরা চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী ও সিএফসি গ্রুপের কর্মী বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ শাহ।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মোশাররফ শাহ বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমি উপাচার্যের কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম বক্তব্য নেওয়ার জন্য। এ সময় দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী আমাকে আটকায়। আমাকে লাঠিসোটা দিয়ে উপর্যুপরি মারধর করে আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে সেখান থেকে রব হলে নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দফা মারধর করে।’

তিনি বলেন, “মারধরের সময় নেতা–কর্মীরা আমাকে পরবর্তী সময়ে আর ছাত্রলীগ নিয়ে প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকি দেন। তাঁরা বলেন, ‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে। ছাত্রলীগকে নিয়ে কোনো নিউজ হবে না।’”

আহত মোশাররফকে শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বুক ও হাতে আঘাত থাকায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘মোশাররফের কপালে চার সেলাই দিতে হয়েছে। তার হাতেও আঘাত আছে। এক্সরে করাতে হবে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসা জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘আমি এই ঘটনা শুনেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি৷ যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমি ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়েছি। তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৬
নেত্রকোনায় চোরাকারবারির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী সাংবাদিক নিহত
এডিসি হারুনকাণ্ড: তদন্তের সময় বাড়ল আরও ৩ দিন
এডিসি হারুনকাণ্ড: আরও ৭ দিন সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি
এডিসি হারুনকাণ্ডে সব পক্ষেরই দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Aziz arrested for chaining the farmer for non payment

‘টাকা পরিশোধ না করায়’ কৃষককে শিকলবন্দি করা আজিজকে আটক

‘টাকা পরিশোধ না করায়’ কৃষককে শিকলবন্দি করা আজিজকে আটক নাটোরের গুরুদাসপুরে কৃষককে শিকল দিয়ে বাঁধার ঘটনায় আবদুল আজিজ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
নাটোরের এসপি তারিকুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠালে কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আবদুল আজিজকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক আসাদ আলীর স্ত্রী শাহানারা খাতুন বাদী হয়ে আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

নাটোরের গুরুদাসপুরে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ৫৫ বছর বয়সী আসাদ আলী নামের এক কৃষককে শিকলবন্দি করার ঘটনায় মুল অভিযুক্ত আবদুল আজিজকে আটক করেছে পুলিশ।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শনিবার রাতব্যাপী অভিযানের একপর্যায়ে তাকে আটক করা হয়।

আবদুল আজিজ বলেন, ‘অনেক দিন হলো পাওনা টাকা ফেরত চেয়েও সেই টাকা আসাদ আলী দিতে পারেনি। তাই তাকে নিয়ে এসে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে, যেন সে পালিয়ে যেতে না পারে।’

পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠালে কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আবদুল আজিজকে আটক করা হয়।

এসপি আরও জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক আসাদ আলীর স্ত্রী শাহানারা খাতুন বাদী হয়ে আবদুল আজিজের নামে থানায় মামলা করেছেন।

তিন বছর আগে নাটোরের গুরুদাসপুরের বাহাদুরপাড়া গ্রামের আবদুল আজিজের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ধার নেন আসাদ আলী। এরপর দুই বছরে ২০ হাজার টাকা সুদ ও আসলসহ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন তিনি। বাকি ৫০ হাজার টাকা চলতি বছরের শুরুতে দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু হঠাৎ অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়ায় বাকি টাকা আজিজকে দিতে পারেননি তিনি।

এরই জেরে শনিবার সকালে আবদুল আজিজ ও তার বাবা আফজাল হোসেনসহ কয়েকজন ব্যক্তি আসাদকে তার বাড়ি থেকে তুলে আনেন। পরে আজিজের বাড়ির বারান্দায় কোমরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। টাকা পরিশোধ করতে না পারলে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়া হয় তাকে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মোনায়ারুজ্জামান বলেন, ‘সন্ধ্যার পর খবর পেয়ে পুলিশ পাঠালে ঘটনাস্থলে কাউকেই পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
‘টাকা পরিশোধ না করায়’ কৃষককে শিকলবন্দি

মন্তব্য

p
উপরে