চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় আগামী ২৪ জুলাই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত পরিবহন শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ ১১ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
সোমবার রাতে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ।
আগের দিন নগরীর বালুচরা এলাকার বিআরটিসি মার্কেটে সংগঠনটির চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান তিনি।
আলী আহমেদ বলেন, ‘বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে আমাদের অনেক প্রাইমমুভার এবং ট্রাকশ্রমিক হতাহত হয়েছেন। আহতরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। একই অবস্থা নিহতদের পরিবারগুলোরও। নিখোঁজ ব্যক্তিদের নিয়ে কেউ কিছু না বললেও তাদের পরিবারও খুব কষ্টে আছে।
‘আমাদের দাবি ছিল, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই ১১ দফা দাবিতে আগামী রোববার থেকে আমরা চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজারে ২৪ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
রোববার সকাল ৬টা থেকে পরদিন সকাল ছয়টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া; ডিপোতে কর্মরত অবস্থায় আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত, আহত ও নিখোঁজ প্রাইমমুভার এবং ট্রাক শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান; প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত শ্রমিক সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিধি অনুযায়ী সার্ভিস চার্জ আদায়।
এ ছাড়া রয়েছে শ্রম আইনের বিধি অনুযায়ী পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান; ক্যাটাগরি ভিত্তিতে সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান; ডোপ টেস্টের নামে শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করা; সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৯৮ ও ১০৫ ধারার অপপ্রয়োগ বন্ধ করা।
আরও রয়েছে পরিবহনে নো পার্কিং মামলার সঙ্গে প্রতিবন্ধকতা যোগ করে পুলিশের মামলা দেয়া বন্ধ করা; ট্রু (পরিবহন জব্দ)-এর নামে শ্রমিকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা, অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক নেতা মো. সোলায়মান ও জানে আলম এবং ট্রাকশ্রমিক নেতা শাহজাহানের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করা।
আরও পড়ুন:কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার হারেঞ্জা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ৩৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তির নাম লুৎফর রহমান রুক্তন। তিনি উপজেলার হারেঞ্জা গ্রামের বাসিন্দা। চার সন্তানের জনক তিনি।
এর আগে বিকেলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন লুৎফর। পরে রাতেই ওই তরুণীর মা হোসেনপুর থানায় লুৎফরকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন।
হোসেনপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান টিটু নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘২৭ বছর বয়সী ওই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী তরুণীকে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি মাকে ওই তরুণী ইশারায় সব বুঝিয়ে বলেন। এ ঘটনায় তার মা রাতেই মামলা করলে হারেঞ্জা এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:নাটোরে পুকুর থেকে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শহরের পৌর এলাকার মীরপাড়া দারুস সালাম জামে মসজিদের পেছনের পুকুর থেকে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওই বৃদ্ধার আনুমানিক বয়স ৬০ বছর। এখন পর্যন্ত তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পুকুরের পানিতে কেউ পড়ে গেছে এমন সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু সেখানে কাউকে দেখতে না পেয়ে ফিরে যান তারা। শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ওসি বলেন, ‘মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে কারণে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে না। তবে ওই বৃদ্ধা কোথা থেকে কীভাবে এখানে এলো তার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তকরণে কাজ করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:রাজশাহীর একটি বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ডিমের দাম ৬ টাকা কমানোর খবর জানা গেছে।
নগরের সাহেব বাজারে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছিল ৪৬ টাকা দরে। দুপুর ১২টার দিকে সাহেব বাজারে অভিযানে যান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দল। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট দেখে মুহূর্তেই ডিমের দাম ৬ টাকা কমে তড়িঘড়ি করে তালিকা বদলে লেখা হলো ৪০ টাকা।
তবে এ সময় মূল্য তালিকা ও বেশি দাম রাখার কারণে দুই ডিমের দোকানিকে জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়ের যৌথ নেতৃত্বে রাজশাহী মহানগরের খড়খড়ি, আশরাফের মোড় এবং নলখোলা মোড় ডিমের আড়ত ও পাইকারি দোকান এবং সাহেব বাজারের খুচরা ডিমের দোকান ও মুরগির মাংসের দোকানে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
‘এ সময় পাইকারি আড়তে সাদা ডিমের দাম হালি ৩৭-৩৮ টাকা, লাল ডিমের পাইকারি দর হালিতে ৩৮-৪০ টাকা পাওয়া যায়। তবে এই দর নিয়ে খুচরা বাজারে গেলে সেখানে ক্রেতারা অভিযোগ করেন, সকালেই এখানে ৪৬ টাকা হালি দরে লাল ডিম বিক্রি হয়েছে।’
সহকারী পরিচালক হাসান আরও বলেন, ‘তারা আগেই খবর পেয়েছিল কি না জানি না। আমরা বাজারে ঢোকামাত্রই ৬ টাকা দর কমে গেছে। আমরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমের দাম ৪০ টাকা হয়ে গেছে।
‘আমরা অন্তত ৩০টি দোকানে গিয়েছি, সবখানেই মূল্য তালিকা আছে। চকচকা মূল্য তালিকায় লেখা আছে ১৮ আগস্ট ২০২২ লাল ডিম ৪০ টাকা, সাদা ডিম ৩৮ টাকা। এটি অদ্ভুত একটি বিষয়। মনে হলো জাদুর মতো কাজ হলো।’
ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তা জানান, সাহেব বাজারের অভিযানে আল মদিনা ট্রেডার্সে মূল্য তালিকা না থাকায় এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মধু ঘর তাদের মূল্য তালিকায় ৪২ টাকা লিখে রাখলেও বিক্রি করছিল ৪৪ টাকা। একজন ভোক্তা হাতেনাতে তাকে ধরিয়ে দিলে ওই দোকানমালিককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জামাল উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘সকালেই ৪৬ টাকা হালি ডিম কিনেছি। এখন ম্যাজিস্ট্রেট আসার সঙ্গে সঙ্গেই দাম কমে গেল। এটা কী করে সম্ভব। ওরা বলে বেশি দামে কিনেছে সে কারণে বেশি দামে বিক্রি করছে। এখন তাহলে ৪০ টাকা করে কীভাবে বিক্রি করছে। আসলে সব শক্তের ভক্ত, নরমের যম। নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকলে আমরা একটু স্বস্তি পাই। ম্যাজিস্ট্রেট আসলে সব কিছুরই দাম কিছুটা কমে।’
ডিম ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান জীবনের দাবি, আসলে ম্যাজিস্ট্রেট আসার কারণে নয়, তারা দাম কমিয়েছেন নতুন রেট পাওয়ার কারণে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সকালে ৪৬ টাকা দামেই ডিম বিক্রি করছিলাম কারণ আগের দিনের দাম ছিল এটা। আমাদের কেনাও হয়েছিল বেশি দামে। দুপুরের দিকে আমরা যখন দিনের নতুন রেট পেলাম, তখনই সেটা ৪০ টাকা দামে বিক্রি শুরু করি। আজকেও আমরা ৪০ টাকা হালি দামেই বিক্রি করছি। আবার নতুন রেট পেলে দাম কম-বেশি হতে পারে।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় চার্জে থাকা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইন খুলতে গিয়ে তারে জড়িয়ে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
আদর্শ সদর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আবুল কাশেম উপজেলার ৫ নম্বর পাঁচথুবী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।
পাঁচথুবী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাছান রফি রাজু নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিবারের বরাতে তিনি বলেন, ‘আবুল কাশেম ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে আসেন। পরে গ্যারেজে গিয়ে চার্জ দেয়া অটোরিকশার লাইন খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন:যশোরের সীমান্ত এলাকা থেকে পাচারের সময় ১৭টি স্বর্ণের বারসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। শার্শার রুদ্র সীমান্ত থেকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তাকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
২১- বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান পিএসসি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বারের ওজন এক কেজি ৯৮৫ গ্রাম। বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।
আটক ৪৫ বছরের মোনতাজ হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের বাসিন্দা।
বিজিবি অধিনায়ক বলেন, ‘সকালে শার্শার রুদ্রপুর সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে বলে জানতে পারে বিজিবি। এ তথ্যের ভিত্তিতে রুদ্রপুর ক্যাম্পের একটি দল ওই এলাকার পাকা রাস্তার ওপর অভিযান চালায়।
‘অভিযানে স্বর্ণ চোরাকারবারি সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়। এ সময় তার শরীরে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ১৭ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। মোট ১ কেজি ৯৮৫ গ্রাম ওজনের এ সোনার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।’
সোনাসহ আটক মোনতাজকে শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান বিজিবি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের মার্কেটিং বিভাগের এক ব্যাচের সব শিক্ষার্থীকে সমান নম্বর দিয়েছেন এক শিক্ষক। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় হিল্লোল ফৌজদার নামের বিভাগীয় ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. সাইফুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘‘ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক হিল্লোল মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ‘ইন্ট্রোডাকশন টু বিজনেস’ কোর্সটির কোর্স শিক্ষক ছিলেন। এই কোর্সের ইন্টারনাল সর্বমোট ৪০ নম্বরের মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২২ জুলাই সব শিক্ষার্থীকে সমান ৩৭ নম্বর করে দিয়েছেন তিনি। তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।’’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবাইকে প্রেজেন্টেশনে ১০ নম্বর দেয়া হয়েছে। ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত না থাকলেও উপস্থিতিতে সবাইকে পূর্ণ ১০ নম্বর করে দেয়া হয়েছে।
‘এ ছাড়া দুটি মিড টার্ম মিলিয়ে সবাইকে ২০ নম্বরের মধ্যে ১৭ নম্বর করে দিয়েছেন আমাদের কোর্স শিক্ষক।’
এভাবে নম্বর দেয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করেন এই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘ক্লাসে উপস্থিত না থেকেও অনেক শিক্ষার্থী পূর্ণ ১০ নম্বর পেয়েছেন। এ ফলাফলের কারণে অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাসে আসতে নিরুৎসাহিত হবেন।’
এভাবে নম্বর দেয়ার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষক হিল্লোল ফৌজদার বলেন, পড়াশোনায় উৎসাহ দিতেই সবাইকে সমান নম্বর দেয়া হয়েছে। তার বর্ণনায়, ‘পড়াশোনায় কেউ যেন উৎসাহ না হারায়, এ জন্য সমান নম্বর দিয়েছিলাম। কিন্তু এভাবে সমালোচনা হবে বুঝতে পারিনি।’
পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের এই পদ্ধতিকে ঠিক মনে করছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করা হয়। সবাইকে সমান নম্বর দিলে পরীক্ষার মূল্যায়ন থাকে না। ফলে এ ধরনের মানবিকতা দেখানো উচিত হয়নি।’
আরও পড়ুন:বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে হবিগঞ্জে একটি হাসপাতালের লিফটে অন্তত ৪০ মিনিট আটকা থেকে উদ্ধার হয়েছেন রোগীসহ সাতজন। তাদের চিৎকারে হাসপাতালজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
লিফটে আটকে পড়াদের অভিযোগ, তাদের উদ্ধারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎকে কল দেয় ফায়ার সার্ভিস, তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কল রিসিভ করেননি।
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের লিফট দিয়ে নামার সময় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
লিফটে থাকা একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সাংবাদিক মোহাম্মদ নূরউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর লিফটের মধ্যে আমরা সাতজন আটকা পড়ি। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় জেনারেটরে জ্বালানি তেল নেই। উদ্ধার পেতে বিদ্যুৎ অফিসে কল দিলে তারা কোনো রেসপন্স করেনি।
‘পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে কল দিয়ে রেসপন্স পাননি। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অন্তত ৪০ মিনিট পর আটকে থাকা সাতজন উদ্ধার হই।’
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শিমুল মো. রফি বলেন, ‘জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়েই বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তবে তারা বরাবরের মতোই জরুরি ভিত্তিতে আমাদের ফোন রিসিভ করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে সব সময় দেরিতে রেসপন্স করে। ফোন ধরতে চায় না। যে কারণে আমরা জরুরি মুহূর্তে সমস্যার মুখোমুখি হই।’
হবিগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ অফিসকে ফোন দিয়েছি জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য। কিন্তু তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেনি। সরেজমিনে এসে আমাদের কথার সত্যতা যাচাই করতে একজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠিয়েছেন। বিদ্যুৎ অফিস চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোনো দুর্ঘটনা হলে তার দায়দায়িত্ব কার হতো?’
হাসপাতালের জেনারেটরে তেল নেই কেন এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. মুমিনুল ইসলাম জানান, ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাবার কারণে জেনারেটরের তেল শেষ হয়ে যায়। তাছাড়া জেনারেটর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায়, এতে জ্বালানি বেশি লাগে।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস যে অভিযোগ করছে, সেটা সঠিক হওয়ার কথা না। আমার কর্মকর্তাদের বলে রাখা হয়েছে সব সময় যেন তারা কল রিসিভ করেন। এ ছাড়া গতকাল হাসপাতালের লিফটের ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি।’
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানকে একাধিকবার কল ও এসএমএস করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য