কিশোরগঞ্জের হাওরে শখের বশে মাছ ধরতে গিয়ে মিঠামইন জোনাল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিখোঁজ হয়েছেন।
সোমবার বিকেলে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের ভাতশালা সেতুর আগে একটি বক্স কালভার্টের নিচে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
৩৫ বছর বয়সী এই কর্মকর্তার নাম হোসাইন হিমেল। তিনি মিঠামইন পল্লী বিদ্যুতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সহকারী এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরহাসান গ্রামের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের ছেলে।
মিঠামইন জোনাল অফিসের নিরাপত্তাকর্মী ভূপতি চন্দ্র দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হিমেল স্যার ঈদের ২-৩ দিন আগে বাড়িতে গিয়েছিলেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগে তিনি কুড়িগ্রামে বিয়ে করেছেন। ঈদের ছুটি কাটিয়ে গতকাল কর্মস্থলে ফেরেন।’
ভূপতি আরও বলেন, ‘আজকেও স্যারের হাতে মেহেদীর রং দেখে বললাম, স্যার কবে বিয়ে করেছেন? বলতেই মুচকি হেসে বললেন, ১২ তারিখে। এ কথা বলেই অফিসের পিয়ন রফিকুল ইসলাম রফিককে সঙ্গে নিয়ে ঝাঁকিজাল নিয়ে শখের বশে মাছ ধরতে বের হন তিনি। পরে শুনলাম স্যার নিখোঁজ।
মিঠামইন সদরের বাসিন্দা মো. হাদিস জানান, অলওয়েদার সড়কের ৪ নম্বর সেতুর নিচে দাঁড়িয়ে জাল ফেলার সময় পা পিছিলে পানিতে পড়ে যান হিমেল।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি কলিন্দ্র নাথ গোলদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আগামীকাল সকালে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।’
এদিকে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারী নিউজবাংলাকে বলেন, নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে জেলা সদর থেকে ৪ সদস্যের একটি ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে গেছে। সম্ভব হলে রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।
নওগাঁর মহাদেবপুরে হিজাব নিয়ে গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে সালাউদ্দীন আহমেদ নামে এক ইউটিউবারকে জেল হাজাতে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার বিকেলে নওগাঁ জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী তা নাকচ করে সালাউদ্দীনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নওগাঁর মহাদেবপুরের দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পালের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন সালাউদ্দীন। একই সময়ে আদালত ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও সহকারী শিক্ষক বদিউল আলমকে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করে।
এর আগে একই মামলায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ, দৈনিক নওরোজের মহাদেবপুর উপজেলা প্রতিনিধি কিউ এম সাঈদ টিটু ও মহাদেবপুর দর্পণ নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি সামসুজ্জামান মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির কমপক্ষে ১৮ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল ড্রেস পরে না আসার কারণে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আমোদিনী পাল তাদের শাসন করেন। পরে অভিযোগ ওঠে, আমোদিনী পাল হিজাব পরার জন্য তাদের শাস্তি দিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ৭টি সুনির্দিষ্ট কারণ ও সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আমোদিনী পাল হিজাবের কারণে নয়; নির্ধারিত স্কুলড্রেস না পরার কারণেই শিক্ষার্থীদের মারধর করেছিলেন।
একই দিনে বদিউল আলম নামে আরেক শিক্ষকও মারধর করেছিলেন শিক্ষার্থীদের। অথচ প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করেন। এই ঘটনা তদন্ত কমিটির কাছে উদ্দেশ্যমূলক মনে হয়েছে। শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের প্রহার করায় শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
গুজব ছড়ানোর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ধরনী কান্ত, শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব চলছিল। যা গুজব ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, গুজব ছড়ানোর পেছনে স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের নামও উঠে আসে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। কারাগারে পাঠানো সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ রয়েছে।
তবে হিজাব কাণ্ডের মিথ্যা তথ্য পরিবশেন ও গুজব ছড়ানো বিষয়ে সাংবাদিক সালাউদ্দীন আহমেদের ছোট ভাই এমরান আলী বলেন, ‘আমার ভাই কোনো মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেননি। তিনি সঠিক তথ্যই তুলে ধরেছেন। এই মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:নিরাপদ হলের দাবিতে দিনভর চলা বিক্ষোভ ৭ দিনের জন্য স্থগিত করেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সিটি মেয়রের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র তাহসীন আহম্মেদ।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে অধ্যক্ষের কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শাহীন জানান, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুরোধে শিক্ষার্থীরা ৭ দিনের জন্য বিক্ষোভ স্থগিত করেছে। এই ৭ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিকল্প স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। নতুন করে হল নির্মাণের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্বান্ত এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিক্ষোভকারীরা সকালে জানিয়েছিলেন, মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনটি করে আলাদা ছয়টি হল রয়েছে; যার প্রতিটি হলের অবস্থাই জরাজীর্ণ। প্রায় প্রতিনিয়তই হলগুলোর ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে অনেক সময় অনেক শিক্ষার্থী আহত হচ্ছেন।
অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেডিক্যাল কলেজের তিনটি ছাত্রাবাস ও তিনটি ছাত্রী নিবাসে মোট ১ হাজার ৪২৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক সিট রয়েছে। এর মধ্যে ২ নম্বর ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলা বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করেছে গণপূর্ত দপ্তর। ১ নম্বর ছাত্রী নিবাস সম্পূর্ন বসবাসের অনুপযোগী। ২ নম্বর ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলার ১৯টি কক্ষের ১৩৬ জন ও ১ নম্বর ছাত্রী নিবাসের ৮০টি কক্ষের ৩২০ জন এখন আসনবিহীন।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লিসা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রী হলের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় আমাদের। এখন নিরাপদ হল আমাদের দাবি।’
শিক্ষার্থী এহসান উল্লাহ বলেন, ‘ছেলেদের তিনটি ছাত্রাবাসের মধ্যে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের অবস্থা খুবই খারাপ। গত রাতেও আমাদের এক সহপাঠীর রুমের পলেস্তারা খসে পড়ে, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় সে। আমাদের একটাই দাবি, আমরা নিরাপদ হল চাই।’
তাহসিন আহম্মেদ বলেন, ‘হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। দ্রুত এই ছাত্রদের পুনঃ আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
আরও পড়ুন:২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি দোকানে ইলেকট্রনিকস পণ্য চুরির অভিযোগে মামলা করেন আতিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। ওই মামলায় মো. আমান, মো. সিদ্দিক ও ফারুক নামে তিনজনকে আসামি করা হয়।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ওই মামলাটির জামিন শুনানি হয়। শুনানিতে আসামি আমান আদালতে হাজির হয়ে জানান বাদীর সঙ্গে তার আপস হয়ে গেছে। যথারীতি মামলার বাদীকেও হাজির করেন তিনি।
এরপর শপথবাক্য পাঠ করে ওই বাদী জানান, আসামি আমান জামিনে গেলে তার কোনো আপত্তি নেই। এ সময় আদালতের বিচারক বাদীর নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তিনি যথাযথ উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। পরে তার স্বাক্ষর নিয়ে অভিযোগপত্রের সঙ্গে মেলানো হয়। কিন্তু স্বাক্ষরটি না মেলায় আদালতের সন্দেহ হলে বাদী দাবি করা ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
কিছুক্ষণ পরই আদালতে হাজির হন মামলার আসল বাদী আতিকুল ইসলামের আইনজীবী। তিনি আদালতকে জানান, কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আপসের দাবি করা ব্যক্তি মামলার বাদী নন।
এ অবস্থায় আটক ব্যক্তিকে আদালত জিজ্ঞেস করলে তিনি স্বীকার করেন যে মিথ্যা বাদী সেজে তিনি আসামি আমানের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন। তার প্রকৃত নাম মো. সালাম এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাক্কা মিয়ার ছেলে তিনি।
মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার অভিযোগে এ সময় সালাম ও আমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী।
মঙ্গলবার মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার ওই মামলায় সালাম ও আমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শামছুর রহমান মঙ্গলবার বিকেলে ওই রায় ঘোষণা করেন।
বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠিতে নির্যাতনের চার মাস পর হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া এক গৃহবধূর মরদেহ নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন তার স্বজনরা।
পৌর শহরের কলাবাগান এলাকার ৩৫ বছর বয়সী তাসলিমা বেগম বুধবার সকাল ৯টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।
স্বামী খোকন বিশ্বাসের অভিযোগ, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ির পাশের হায়দার খানের ছেলে সাইফুল খান, তার স্ত্রী রেশমা বেগম, রজ্জাক ভূইয়ার ছেলে নুর জামাল ও নাতি এলিন ভূইয়া এবং আবুল ভূইয়ার ছেলে শামীম ভূইয়া গত ১৫ এপ্রিল তাসলিমাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন। এতে তাসলিমার একটি রগ কেটে যাওয়াসহ নানা ধরনের শারীরিক ক্ষতি হয়। চার মাস ধরে বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা করানো হয়।
কিন্তু গত ১৬ আগস্ট তাসলিমার শরীরের অবস্থা হঠাৎ খারাপ হতে শুরু করলে তাকে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরদিন বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
বরিশাল থেকে ঝালকাঠিতে নিয়ে আসার পর মরদেহটি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন তাসলিমার স্বজনরা। হামলার চার দিন পর গত ১৯ এপ্রিল ঝালকাঠি সদর থানায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছিলেন তাসলিমার স্বামী খোকন।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর পরামর্শে মরদেহ নিয়ে পরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে থানা পুলিশের এমন আশ্বাসে দুপুরে মরদেহটি বাড়িতে নিয়ে জানাজা ও দাফনকাজ করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিরা কেউ এলাকায় নেই বলেও জানা গেছে।
সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, ‘মারধরের ঘটনার পর এপ্রিল মাসেই বাদী খোকন বিশ্বাসের অভিযোগ পেয়ে মামলা নিয়েছি। আইনিভাবে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:ডিমের ডজন দেড় শ টাকা। বাড়তে শুরু করেছে শাকসবজির দামও। বেশ কয়েক বছর ধরে গরিবের আমিষের চাহিদা পূরণ করে এসেছে যে তেলাপিয়া-পাঙাশ মাছ; দাম বেড়ে সেগুলোও এখন নাগালের বাইরে!
কুমিল্লার বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্ত শ্রেণিরও।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে গিয়ে এসব বিষয় নজরে এসেছে।
নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে যে পাঙাশ মাছ ১২০ টাকা বিক্রি হতো, তা এখন ২০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর অপেক্ষাকৃত বড় তেলাপিয়া মাছ কেজিপ্রতি ২২০ টাকার কমে মিলছে না।
এই বাজারেই দীর্ঘদিন ধরে মাছ বিক্রি করেন মো. ইউসুফ। তিনি জানান, মাস দুয়েক আগেও ১২০ টাকা কেজি দরে তারা পাঙাশ বিক্রি করেছেন। কিন্তু মাছের খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আকৃতিভেদে পাঙাশের মণ পাইকারিতে এখন ৪ হাজার ২০০ থেকে শুরু করে সাড়ে ৫ হাজার টাকায়ও কিনতে হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে তাই কয়েক দিনের মধ্যেই পাঙাশ মাছ কেজিতে বেড়ে গেছে ৬০/৭০ টাকা।
নগরীর টমসম ব্রিজ এলাকার মাছ ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বড় তেলাপিয়ার দাম চাই ২২০ টাকা কেজি। পরে দরকষাকষি করে ২০০ টাকায়ও বিক্রি করি।’
নগরীর বাদশা মিয়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সৈয়দ মিয়া বলেন, ‘আমরা খুচরা বিক্রেতারা যখন পাইকারদের কাছে মাছের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাই তখন পাইকাররা বলেন, তেলের দাম বেড়েছে, এ কারণে বেড়েছে গাড়ি ভাড়া।
‘আর মাছচাষিরা জানান, মাছের খাবারের দাম বেড়েছে। তাই মাছের বাজারের এই অবস্থা।’
অনেক দর-কষাকষির পর দুই কেজি পাঙাশ ৩০০ টাকায় কিনেছেন লামিয়া আক্তার। স্নাতকের এই শিক্ষার্থী জানান, হোস্টেলের বাজার করতে এসেছেন তিনি। ডিম, পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছই তাদের প্রধান খাবার। কিন্তু এগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন বিপাকে পড়েছেন।
ভ্যানচালক নওয়াব মিয়া বলেন, ‘তরকারির দাম বাড়ছে। এখন আধা কেজি কইরা কিনি। ছোট সাইজের তেলাপিয়া আর পাঙাশ দিয়া কোনো রকমে সংসার টানতাম। এখন এই দুইটারও দাম বেড়েছে। কী করবো, মাথায় আসছে না।’
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৫ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম বুধবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মনোরঞ্জন দাশ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান, তার ভাই আবদুল গাফফার, বলকিপার রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনি।
পিপি জানান, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটি এলাকায় অবস্থিত দুটি মসজিদে জুমার নামাজের পর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন।
সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে করা এই মামলায় আসামি করা হয় ৪ জনকে। পরে পুলিশের তদন্তে আসামি আবদুল মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
মনোরঞ্জন বলেন, ‘মামলার এক বছর পর ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। বিচার শুরুর পর চলতি বছরের ২৩ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।’
আসামিদের মধ্যে এম সাখাওয়াত হোসেন পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান পিপি।
আরও পড়ুন:কিশোরগঞ্জে সৎমেয়ের জামাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হবে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে এ রায় দেন।
আসামি ৬০ বছর বয়সী আবু বাক্কারের বাড়ি কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার তারাপাশা এলাকায়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু সাঈদ ইমাম নিউজবাংলাকে এসব নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী শারমীন আক্তারের সঙ্গে ওমর ফারুকের বিয়ে হয় ২০১৪ সালে। এর পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে নানা বিষয়ে তার কলহ চলত। বিষয়টি সৎবাবা আবু বাক্কারকে বিভিন্ন সময় তিনি জানিয়েছিলেন। এসব কারণে মেয়ের জামাইয়ের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন বাক্কার।
২০১৯ সালের ৩০ মে সকালে ওমর ফারুক স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি গেলে বাক্কারের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে দা দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন বাক্কার। সে রাতেই বাক্কারকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন মেয়ে শারমিন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য