সার্বিয়া থেকে যাত্রা করে বাংলাদেশে আসার পথে গ্রিসে বিধ্বস্ত কার্গো বিমানটি কোনো অস্ত্র বহন করছিল না, বরং এতে প্রশিক্ষণ মর্টার শেল ছিল বলে জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর।)
রোববার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে আইএসপিআর।
এতে বলা হয়, ‘ডিজিডিপি (ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ ডিফেন্স পারচেজ) ক্রয় চুক্তির আওতায়, কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর জন্য কেনা প্রশিক্ষণ মর্টার শেল বহনকারী একটি বিমান গ্রিসে বিধ্বস্ত হয়েছে।’
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, ওই চালানে কোনো অস্ত্র ছিল না। চালানটি বীমার আওতাভুক্ত।
বিমানটি যে বাংলাদেশেই আসছিল সেটা নিউজবাংলাকে আগেই জানান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ওই ফ্লাইটটির ঢাকায় অবতরণের অনুমোদন ছিল। এটি সোমবার দুপুর ১২টায় শাহজালালে অবতরণের কথা ছিল।’
দুর্ঘটনার পরপরই বিধ্বস্ত কার্গো বিমানটিতে গোলাবারুদের চালান ছিল বলে জানান সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজসা স্টেফানোভিচ।
সার্বিয়ান মন্ত্রীর বরাত দিয়ে রোববার আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, রাশিয়ার তৈরি আন্তনভ এএন-১২ মডেলের বিমানটিতে সার্বিয়ার তৈরি ইলিউমিনিটিং মর্টার মাইন (আলোকচ্ছটাযুক্ত মর্টার শেল)সহ প্রায় ১১ টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল। ইউক্রেনের কোম্পানি মেরিডিয়ান লিমিটেডের কাছ থেকে ভাড়া করা বিমানটির গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ। বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানের আট আরোহীর সবাই মারা গেছেন।
জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারত হয়ে এই বিমানের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল বলেও জানান নেবোজসা স্টেফানোভিচ। তিনি বলেন, ‘বিমানের ক্রুদের প্রত্যেকেই ইউক্রেনের। এর চেয়ে আর বেশি তথ্য নেই আমার কাছে।’
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় কাভালা শহরে কার্গো বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইআরটি তাৎক্ষণিকভাবে জানায়, বিমানটিতে সব মিলিয়ে ১২ টনের মতো মালামাল ছিল। দুর্ঘটনাটি খুবই বিপজ্জনক।
এএফপি জানায়, ইউক্রেনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের ওই বিমানটির ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় পাইলট কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করাতে চেয়েছিলেন।
নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে বিস্ফোরণও ঘটে।
অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহনকারী বিমানটি যে এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে, তার দুই কিলোমিটারের মধ্যে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। সবাইকে ঘর থেকে বাইরে বের না হতে বলা হয়েছে।
রোববার সকালে ধ্বংসস্তূপের স্থানটি পরীক্ষা করতে পাঠানো হয় ড্রোন।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, স্থানটি নিরাপদ মনে না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকা পরিদর্শনে যাবেন না দেশটির সেনাবাহিনী, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল এবং পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্যরা।
গ্রিসের থেসালোনিকিতে ইউক্রেনের দূত ভাদিম সাবলুক দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। নিহতদের পরিচয় কর্তৃপক্ষকে দিয়ে তিনি জানান, বিমানটি বাংলাদেশে যাচ্ছিল।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত কিছু সংবাদমাধ্যম অনুমান করেছে, বিমানটি ইউক্রেনের উদ্দেশে অস্ত্র বহন করছিল। কিন্তু এ তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য।’
আরও পড়ুন:চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চলতি বছরের নভেম্বরে বালিতে অনুষ্ঠেয় জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
উইদোদো বলেন, ‘শি চিনপিং আসবেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনও আসবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।’
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, উইদোদোই প্রথম ব্যক্তি যিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের জি-২০ সম্মেলনে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেন।
ইউক্রেনে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলা এবং তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছার পর বালির সম্মেলনটিই হতে যাচ্ছে বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রথম কোনো জমায়েত।
সম্মেলনে যোগ দিলে ২০২০ সালের জানুয়ারির পর এটিই হবে শির প্রথম বিদেশযাত্রা। করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ওই বছরের শুরুতে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল চীন।
সে সময় থেকে একবারের মতো চীনের মূল ভূখণ্ড ছেড়েছিলেন শি। চীনের কাছে দেশটির বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংকে ফেরত দেয়ার ২৫তম বার্ষিকী ছিল চলতি বছরের পয়লা জুলাই। ওই দিন হংকংয়ে যান তিনি।
বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশগুলোর জোট জি-টোয়েন্টির বহুল প্রতীক্ষিত বালি সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে, তবে সম্মেলনে তিনি পুতিনের মুখোমুখি হবেন কি না, সেটি নিশ্চিত নয়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের আগে কিংবা সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে মুখোমুখি হতে পারেন বাইডেন ও শি।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই জাপানি তরুণদের মদ্যপানে অনীহা দেশটির কর্তৃপক্ষকে চিন্তায় ফেলেছে।
বর্তমান প্রজন্ম তাদের বাবা-মায়ের তুলনায় অনেক কম মদ পান করে। ১৯৯৫ সালে একজন জাপানি যেখানে বছরে গড়ে ১০০ লিটার মদ পান করতেন, ২০২০-এ এসে তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৭৫ লিটার।
জাপান টাইমস বলছে, ১৯৮০ সালে মোট সংগৃহীত ট্যাক্সের ৫ শতাংশ ছিল মদশিল্প থেকে, সেখানে ২০২০ সালে মদশিল্প থেকে ট্যাক্স সংগ্রহ করা হয়েছে মাত্র ১.৭ শতাংশ।
ফলে সেকের (রাইস ওয়াইন) মতো মদ থেকে যে পরিমাণ ট্যাক্স সংগ্রহ করত তা অনেক কমে এসেছে।
ট্যাক্স কমে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এমন পরিস্থিতে মদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া তরুণ প্রজন্মকে মদে আকৃষ্ট করতে ‘সেক ভাইভা’ নামে প্রচারাভিযান শুরু করেছে জাপানের ট্যাক্স বিভাগ।
কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, নতুন এই প্রচারাভিযানে তরুণসমাজ মদের প্রতি আগ্রহী হবে। যদিও মদ্যপানের ক্ষতিকর দিক থাকায় কেউ কেউ এর সমালোচনাও করেছেন।
‘সেক ভাইভা’ প্রচারাভিযানে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী জাপানিদের মদসংক্রান্ত ব্যাবসায়িক ধারণাগুলো তাদের সমবয়সীদের মধ্যে শেয়ার করতে হবে। তারা গ্রুপ হয়েও কাজটি করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে গ্রুপের সদস্য হতে হবে ৩ জনের বেশি।
পরিকল্পনা অনলাইনেই সাবমিশন করতে হবে এবং প্রতিযোগিতায় যোগদানের জন্য কোনো এন্ট্রি ফি রাখা হয়নি।
প্রতিযোগীদের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের ব্যাবসায়িক পরিকল্পনা পেশ করার সুযোগ পাবেন। নভেম্বরে চূড়ান্ত প্রস্তাব উপস্থাপনের আগে বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে সেরা প্রকল্পগুলো তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন:ল্যানসেটের মেডিক্যাল জার্নালে মানুষ থেকে কুকুরে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রাণী থেকেও বিচ্ছিন্ন থাকার জন্য একটি সতর্কতা জারি করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মাঙ্কিপক্স সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত বিভাগের প্রধান রোসামাউন্ড লিউইস জানিয়েছেন, মানুষ থেকে প্রাণীতে মাঙ্কিপক্স ছড়ানোর এটিই প্রথম ঘটনা।
ডব্লিউএইচওর জরুরি বিভাগের পরিচালক মাইক রায়ান বলছেন, মানুষ থেকে কুকুরে সংক্রমিত হওয়ার ঘটনাটি মোটেও অপ্রত্যাশিত নয়।
একই সঙ্গে রায়ান মনে করেন, ঘটনাটি শঙ্কার। ভাইরাস যদি অন্য প্রজাতিতে ছড়িয়ে যায়, তাহলে তা বিবর্তিত হয়ে অন্য প্রজাতিতে রয়ে যেতে পারে।
এটি এমন একটি ঘটনা, যার পুনরাবৃত্তি চাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
মহামারি বিশেষজ্ঞরা এর আগেই বলেছিলেন, এই ধরনের ঘটনা সম্ভব। অনেক জনস্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে সংক্রমিতদের ‘তাদের পোষা প্রাণী থেকে বিচ্ছিন্ন’ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ল্যানসেন্টের প্রতিবেদনের আগে এমন ঘটনার নজির দেখা যায়নি।
যদিও ডব্লিউএইচওর বিশ্বব্যাপী সংক্রামক ঝুঁকি প্রস্তুতির পরিচালক সিলভি ব্রায়ান্ড এখনও বিপদের কোনো কারণ দেখছেন না।
তিনি বলেন, এটি প্রথমবার। তার মানে কুকুর সংক্রমিত হতে পারে। এর অর্থ এই নয় যে কুকুরটি রোগ ছড়াতে পারে এবং অন্য কুকুরকে সংক্রমিত করতে পারে বা কুকুরটি সংক্রমিত হলে পরে তা মানুষকেও সংক্রমিত করতে পারে।
ল্যানসেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারিসের একটি অ্যাপার্টমেন্টে দুজন সমকামী পুরুষ তাদের এক ইতালীয় গ্রেহাউন্ডের সঙ্গে একসঙ্গে থাকতেন। তারা কুকুরের ওপর ক্ষত লক্ষ করার ১২ দিন পরে তাদেরও মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দেখা দেয়।
জেনেটিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কুকুরকে সংক্রমিত করা স্ট্রেনটি এবং সমকামী দম্পতিকে সংক্রমিত স্ট্রেন একই ছিল।
এরই মধ্যে দেশজুড়ে নতুন রোগী বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে মাঙ্কিপক্সকে গণস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে মাঙ্কিপক্সকে বিশ্বজুড়ে গণস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
সারা বিশ্বে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩৫ হাজারের বেশি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।
এ পর্যন্ত বিশ্বের ৯২টি দেশ থেকে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মাঙ্কিপক্স একটি জুনোটিক ভাইরাস; যার উপসর্গ গুটি বসন্তের মতো, তবে কম গুরুতর। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্রমিত প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে এটির বিস্তার ঘটে।
এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির ত্বক, ক্ষত বা ড্রপলেটের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।
মাঙ্কিপক্স অবশ্য নতুন কোনো রোগ নয়, আফ্রিকার দেশগুলোতে এর আগে কয়েকবার এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। ১৯৫০-এর দশকে প্রথম এ রোগ শনাক্ত হয় মধ্য আফ্রিকায়।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) তহবিল থেকে এ টাকা দেয়া হয়।
গণভবনে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ১০ কোটি টাকার চেক তু্লে দেন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
মাঙ্কি বা বানরের সঙ্গে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার তেমন কোনো সম্পর্ক না থাকলেও কিছু দেশে বানরকেই এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে আর কোনো উপায় না পেয়ে এবার ভাইরাসটির নাম বদলে দিতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের অবিতর্কিত নাম বাছাইয়ের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এ নিয়ে ওয়েবসাইটে দেয়া হচ্ছে পরামর্শ।
জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ফাদেলা চাইব- এ কথা জানিয়েছেন বলে মঙ্গলবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ফাদেলা চাইব বলেন, মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের নামকরণ আগেই হয়েছে। এখন অমর্যাদাকর নয় এমন একটি নাম খুঁজছি আমরা।
তিনি বলেন, কোনো জাতিগত গোষ্ঠী, অঞ্চল, দেশ বা প্রাণীর প্রতি যেন কোনো অপরাধ করা না হয়, সে জন্যই ভাইরাসটির নতুন নাম খোঁজা হচ্ছে।
সম্প্রতি মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের জন্য বানরকে দায়ী করে এই প্রাণী নিধনের খবর মিলেছে ব্রাজিলসহ অনেক দেশে। এরপরই ভাইরাসের নতুন নামকরণ নিয়ে ভাবতে শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
১৯৫৮ সালে ডেনমার্কে গবেষণার জন্য রাখা বানরের মধ্যে প্রথম শনাক্ত হয় এক ভাইরাস, যার নাম দেয়া হয় মাঙ্কিপক্স।
এত বছর ধরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ততটা গুরুতর না হলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি এই ভাইরাস নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দেয়।
গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে মাঙ্কিপক্সকে বিশ্বজুড়ে গণস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। সবশেষ করোনাসহ ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সাতবার বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
চিকেন পক্সে আক্রান্ত হলে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা এবং শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। চিকেন পক্স পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য। কয়েক দিনের মধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যায়। বর্তমানে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে গুটি বসন্ত ও চিকেন পক্স উভয়েরই মিল রয়েছে।
মাঙ্কিপক্সে প্রাণহানির সংখ্যা খুবই কম। এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ ঘটলেও তা সীমিত। কাঠবিড়ালি, গাম্বিয়ান ইঁদুর, ডর্মিসের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির বানরসহ কিছু প্রাণীর মধ্যে মাঙ্কিপক্স পাওয়া গেছে।
তবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া কঠিন। এর সংক্রমণ সাধারণত ফ্লুইড ট্রান্সফার, ঘা, দূষিত পোশাক বা দীর্ঘস্থায়ী মুখোমুখি যোগাযোগ কিংবা সহাবস্থানের মাধ্যমে ঘটে, যা শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
আরও পড়ুন:বিশ্ববাজারে আরও কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। সোমবার ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত তেল ৩ ডলার করে কমে ৯০ ডলারের নিচে নেমেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ চীনে চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ এবং ইরানের পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাবের পর দেশটি থেকে তেল রপ্তানি বেড়ে গেছে। এর ফলেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরেক দফা কমেছে।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারে দাম ৩ দশমিক ৪৯ ডলার বা ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৯৪ দশমিক ৬৬ ডলারে নেমেছে, যা গত শুক্রবারের চেয়ে দেড় শতাংশ কম।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে অপরিশোধিত তেলের দাম ৩ দশমিক ৩২ ডলার বা ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেলে দাম এখন ৮৮ দশমিক ৭৭ ডলার, যা ২ দশমিক ৪ শতাংশ আগের সেশন থেকে কম।
চীন সরকারের এক তথ্য বলছে, গত মাস থেকে দেশটির অর্থনীতি অপ্রত্যাশিতভাবে ধীর হয়ে এসেছে। এতে তেল শোধনাগারগুলোতে উৎপাদন দিনে ১ কোটি ২৫ লাখ ব্যারেলে নেমে এসেছে, যা ২০২০ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ন।
আইএসজি ব্যাংক তাদের পূর্বাভাসে বলছে, ২০২২ সালে চীনের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ হবে, যা আগে ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। সেই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
পাশাপাশি করোনাভাইসের কারণে চীনের মূল ভূখণ্ডে কমে গেছে কর্মসংস্থানও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবে ২০১৫ সালের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। ফলে ইরান থেকে তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে। আর সেটি উঠে গেলে ইরান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তেল আমদানি করতে পারবে।
এমন অবস্থায় বিশ্ববাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এবং তেলের দাম কমে গেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরমাণু চুক্তি বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপে তারা সোমবারই সাড়া দেবে। তবে পরমাণু চুক্তিটি এখানেই রফাদফা হতে পারে যদি যুক্তরাষ্ট্র তিনটি বিষয়ে ইরানের প্রস্তাব রাখে।
আরও পড়ুন:সার্চ ইঞ্জিন গুগলে কত কি না খুঁজে বেড়ায় মানুষ। গুগলও হতাশ করে না। প্রশ্ন যত উদ্ভটই হোক, গুগলের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে উত্তর দেয়ার। আর এ কাজ করতে গিয়ে বিপত্তিও ঘটে অনেক।
তবে এখন থেকে গুগলকে বাজে প্রশ্ন করে সহজে উত্তর পাওয়া যাবে না। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিষেবা উন্নত করতে ‘বৈশিষ্ট্যযুক্ত স্নিপেট’ যুক্ত হয়েছে এই সার্চ ইঞ্জিনে। ফলে বোকাসোকা প্রশ্নের উত্তর সহজে মিলবে না।
ধরা যাক গুগলকে আপনি প্রশ্ন করলেন, স্নুপি (কার্টুন চরিত্র) কখন আব্রাহাম লিঙ্কনকে হত্যা করেছিল? জবাবে গুগল এতদিন যেভাবেই হোক একটি বর্ণনা হাজির করত যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো সংযোগই নেই। এই দোষটা গুগলের নয়, এটি দায় আসলে অর্থহীন প্রশ্নটির।
এবার সেই অর্থহীন প্রশ্নকে শনাক্ত করে নিশ্চুপ থাকবে গুগল।
গুগলের অনুসন্ধানপ্রধান পান্ডু নায়ক বলেন, ‘আমরা আমাদের সিস্টেমগুলোকে এ ধরনের প্রশ্ন শনাক্তের উপযোগী করেছি। তবে এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে এটি কার্যকর নয়। আমরা ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটিয়েছি।’
২০১৭ সালে ভুয়া খবর প্রচারের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছিল গুগল।
একজন প্রশ্ন করেছিলেন, ওবামা কি অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করছেন? উত্তরে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট কৌতুক করে বলেছিল, ‘ওবামা আসলে ২০১৬ সালে তার মেয়াদ শেষে একটি কমিউনিস্ট অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
গুগল এখন থেকে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেবে অনেক ভেবেচিন্তে। এ ছাড়া ‘অ্যাবাউট দিস রেজাল্ট’ নামে একটি অপশনও চালু হচ্ছে। এটি ক্ষেত্রবিশেষে আজেবাজে প্রশ্নকারীদের সতর্ক করবে।
পান্ডু নায়ক বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে কোনো সহায়ক তথ্য পাওয়া যাবে না। আপনি সব সময় আপনার প্রশ্নের ফলাফল দেখতে পারেন, এমনকি সতর্কতা জারির পরও।’
সুতরাং পরের বার যখন গুগলকে জিজ্ঞাসা করবেন, কীভাবে ইলুমিনাতির সঙ্গে যোগাযোগ করব?
জবাবে ‘ধনী হতে চান? আজই আবেদন করুন এবং ইলুমিনাতিতে যোগ দিন’- এমন উত্তরের চেয়ে আরও ভালো কিছু আপনাকে জানাবে গুগল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য