লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী এলাকার একটি ডোবা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার চররমনী এলাকার চরমেঘায় শনিবার রাতে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
১০ বছরের সামিয়া আক্তার ও ৭ বছরের তাজমুল হোসেন সম্পর্কে ভাই-বোন। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকার নব্যার চরে।
জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিশুদের বাবা ও স্বজনরা। তাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে রোববার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিশুদের বাবা সুজন জানান, শনিবার বিকেলে তিন সন্তান নিয়ে নৌকায় বাড়ির পাশের একটি দোকানে যান কৃষক সুজন ঢালী। এরপর বড় সন্তানকে নিজের সঙ্গে রেখে ছোট সামিয়া ও তাজমুল হোসেনকে নৌকায় তুলে দেন বাড়ি যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা বাড়ি না পৌঁছালে খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে অনেক রাতে বাড়ির পাশের ডোবায় তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ আক্কাছ ব্যাপারী ও বিলকিস গংরা আমার দুই সন্তানকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দিয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, কৃষক সুজনের সঙ্গে সম্প্রতি তার প্রতিবেশী আক্কাছ ব্যাপারী ও বিলকিস গংদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে সুজনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল আক্কাছ ব্যাপারীসহ অন্যরা।
তবে অভিযুক্ত আক্কাছ ব্যাপারী বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধ থাকলেও শিশুদের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। ঘটনার মোড় অন্য দিকে ঘোরাতেই আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলছেন সুজন। তার সন্তানদের মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে আমি তেমন কিছুই জানি না।
ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ওই দুই শিশুর শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রাত ২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের কেউ হত্যা করেছে নাকি নৌকা থেকে পড়ে মারা গেছে, সে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন:নাটোরে কলেজ শিক্ষক খাইরুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী কলেজ ছাত্র মামুনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলা হতে পারে। আইনজীবী, চিকিৎসক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন তাদের দাম্পত্য কলহের কথা স্বীকার করেছেন। মামুন দাবি করেছেন যে শনিবার রাত ২টায় দাম্পত্য কলহের জের ধরে তিনি খাইরুনকে লাথি মেরে ঘরের বাইরে চলে যান। এরপর শিক্ষক খাইরুন নাহার বেশ কয়েকবার ফোন করলেও মামুন ফোন রিসিভ করেননি। এতে ক্ষোভে খাইরুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন।
‘মামুন সেদিন রাত ২টা ১৭ মিনিটি থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেছেন এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, রাত ২টা ১৭ মিনিটের দিকে মামুন বাসার বাইরে যাচ্ছেন।
‘আরেকটি ফুটেজ পাওয়া গেছে ওই বাসার দেড় কিলোমিটার দূরের জেলগেট এলাকার। তাতে কারারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে মামুনকে। এছাড়া সদর থানার সামনে সেলফি তোলা ও নিজের মোবাইলে দাম্পত্য কলহ নিয়ে আপেক্ষ প্রকাশ করে নিজেই ভিডিও করেন মামুন।’
পুলিশ সুপার জানান, সম্প্রতি তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। খাইরুনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলতেন মামুন। মামুনের সম্মতিতে খাইরুন তার আগের পক্ষের বড় ছেলেকে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য দুই লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে মামুন আর ওই টাকা দিতে দেননি। এমন নানা বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল।
রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়ায় নান্নু ম্যানশনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে খায়রুন নাহরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার চাচাত ভাই অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় মামুনকে গ্রেপ্তার দেখায়।
বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে মামুনকে জেলা দায়রা জজ আদালতে তোলা হয়। এ সময় মামুনের জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন। তবে এই আবেদন নাকচ করে মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে যে খাইরুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন। আর যদি আত্মহত্যা হয়ে থাকে তবে মামুনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হবে। এজন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
খাইরুনের মরদেহের ময়নাতদন্তকারী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সামিউল ইসলাম শান্ত জানান, খাইরুন নাহারের মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধে মৃত্যুর আলামত পাওয়া গেছে। তবে ভিসেরা রিপোর্ট এলেেএ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
খাইরুনের খালাতো ভাই নাইম হোসেন বলেন, ‘বিয়ের পর খাইরুন নিজের টাকায় মামুনকে মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। মামুন আবারও নতুন মডেলের মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এসব কারণে দুজনের মাঝে মনোমালিন্য হতে থাকে। খাইরুন আত্মহত্যা করলেও এর জন্য একমাত্র মামুনই দায়ী।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন বলেন, ‘মামুন হোসেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি পুলিশ। এ কারণে ৫৪ ধারায় তাকে আদালতে পাঠিয়েছে।’ তবে মামুনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা হতে পারে এমন ইঙ্গিত দেন তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ জানান, খাইরুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় তার চাচাতো ভাই নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খামার নাচকৈড় গ্রামের সাবের উদ্দিন অপমৃত্যু মামলা করেছেন। এরপর পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামুনকে আদালতে পাঠায়। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-প্রমাণে এটি আত্মহত্যা বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পর মূল বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এটি আত্মহত্যা হলে আত্মহত্যায় প্রচারণাকারী হিসেবে মামুন অভিযুক্ত হতে পারেন।
মামুনকে নিয়ে স্বজন ও এলাকাবাসী যা বলছেন
নাটোরের গুরুদাসপুরের পাটপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তাদের একজন মিঠুন আলী বলেন, ‘মামুন বিয়ে করার আগে নিজ বাড়ি থেকেই কলেজে যেত। এলাকায় তাকে সবাই ভাল ছেলে হিসেবেই জানত।’
মমতাজ বেগম নামে মধ্যবয়সী এক নারী জানান, মামুনকে ভালো ছেলে হিসেবেই তিনি জানেন। দেখা হলে আদব-কায়দার সঙ্গেই কথাবার্তা বলতেন।
বাবলু হোসেন নামে আরেকজন বলেন, ‘মামুনের বাবার নাম মোহাম্মদ আলী। এলাকায় সে বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি করতো। সবসময় ফিটফাট থাকত। ওর সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানি না।’
মামুনের মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা তো মামুন ও খাইরুনের বিয়েটা হাসিমুখেই মেনে নিয়েছিলাম। তারপর যে কী থেকে কী হয়ে গেল। আমার ব্যাটাকে ফিরিয়ে এনে দাও।’
আরও পড়ুন:ছুটির দিনে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, এতে যাদের যাদের গাফিলতি পাওয়া যাবে, সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
এমনকি ছুটির দিনে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশন বা সিজিজিসি কাজটি করছিল বলেও দাবি করেন সচিব।
রাজধানীর উত্তরায় সোমবার ওই প্রকল্পের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্টের একাংশ পড়ে প্রাইভেটকারের ৫ যাত্রী নিহত হওয়ার পর তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সড়ক সচিব।
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি।
আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘ছুটির দিনে ঠিকাদারের কাজ করার কথা না। তারা কোনো রকম নিরাপত্তাব্যবস্থা না নিয়েই কাজ করছিল। এভাবে উন্মুক্ত রেখে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। নিয়মানুযায়ী কাজ করতে হলে আগের দিন তারা একটি ওয়ার্ক প্ল্যান দেবে, তাদের কতজন লোক থাকবে, কতগুলো ক্রেন লাগানো হবে, কখন পুলিশকে জানাবে এসব থাকে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল ঠিকাদার এগুলো না করেই কাজটা করেছে। কোনো অবস্থাতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করে এ ধরনের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই।’
উত্তরার জসীমউদ্দীন রোডের মোড়ে প্যারাডাইজ টাওয়ারের সামনের সড়কে বিকেলে ফ্লাইওভারের বক্স গার্ডার ক্রেনে করে গাড়িতে তোলার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সে সময় রাস্তায় অসংখ্য যানবাহন চললেও সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা বা কাজ করা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়নি।
ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্টের একাংশ পড়ে গাড়িতে থাকা সাতজনের মধ্যে দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় করা প্রাথমিক তদন্তে গাফলতির এমন প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় মন্ত্রণালয়।
ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে জানতে চাইলে সড়ক সচিব আমিন উল্লাহ বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী আমরা… আমাদের চুক্তিতে যেমন থাকে জরিমানা করা হয়, কাজ টার্মিনেট করা হয় এবং তারা যেন আর কোনো কাজ করতে না পারে এ জন্য ব্ল্যাক লিস্ট করা হয়। চূড়ান্ত রিপোর্টটা আসুক। আমি আজকেই চিঠি ইস্যু করব, তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘এতো বড় ক্ষতির জন্য শুধু জরিমানা করা যাবে না। সর্বোচ্চ ব্যবস্থা যদি নেয়া হয় তার লাইসেন্স চলে যাবে। বাংলাদেশে তারা আর কোনো কাজ করতে পারবে না।’
এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের গাফলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।
সচিব বলেন, ‘আগে যারা নিরাপত্তায় ছিল তাদের আমরা টার্মিনেট করেছি। আমি যতটুকু জেনেছি আগের ঘটনাগুলোতে যারা গাফিলতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
‘কেউই দায় এড়াতে পারে না। একদিনে একটি তদন্ত হয় না। গতকাল ঘটনার পরপরই কিন্তু আমি সবাইকে ফোন করেছি। কোনো অবস্থাতেই অরক্ষিত অবস্থায় কাজ করার সুযোগ নেই। ঠিকাদার কেন করেছে সেটাই হলো প্রশ্ন। কে সে করল? কমকর্তা যারা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে।’
তিনি বলেন, ‘যে ক্রেনে তোলা হয়েছিল সেটি এর জন্য সক্ষম কিনা এটা তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিলে জানা যাবে। এটা কিন্তু সে উপরে তুলছিল না, এটা স্থানান্তর করছিল। একটা সে সরিয়েছেও। নিয়মিত মামলা হয়েছে। আমরা লাশগুলো আজকে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। সে সময় অন্য কোনো অপারেটর ছিল না।’
সড়ক সচিব বলেন, ‘একটা অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান কনসালটেন্ট। এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে কনসালটেন্ট থাকে কাজ বুঝিয়ে দিতে, তারা একটি ম্যাথডলজি দেয় কীভাবে করতে হবে। দেয়ার পরে ফেল করলে এক কথা। তারপরেও কনসালটেন্টকে বলেছি, তোমার খোঁজ নেয়ার কথা। সে বলেছে, বন্ধের দিন তো কাজ করার কথা না। তারা বলেওনি কাজ করার জন্য।
‘কালকে কাজ বন্ধ ছিল। যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের যারা সুপারভাইজার সেখানে ছিল, আজকেই তাদের সবাইকে শোকজ করব। কমিটি আমাকে আগামী ২ দিনের মধ্যে রিপোর্টটা দেবে।’
সড়ক সচিব আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, ‘তাদের (ঠিকাদার) কাছে আমি এখন লিখিত সিকিউরিটি কমপ্লায়েন্স চাইব। সেটি কনসালটেন্ট অনুমোদন করবে তারপর কাজ চালু হবে।’
আরও পড়ুন:চকবাজারের কামালবাগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৬ হোটেল কর্মচারীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বিকেলের মধ্যে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহগুলো তুলে দেয়া হবে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে। একে একে ৬টি মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করবে চকবাজার থানা পুলিশ।
হস্তান্তরের সময় মরদেহ বহন ও দাফনের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। এর আগে সোমবার রাতেই পরিবারের সদস্যরা নিহত ৬ জনের মরদেহ আলাদাভাবে শনাক্ত করেন।
চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক রাজীব সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ৬ মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কারণ পুঁড়ে যাওয়া মরদেহের ক্ষেত্রে অনেক সময় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। অবশ্য পরিবারের সদস্যরা মরদেহগুলো শনাক্ত করতে পেরেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো মরদেহের একাধিক দাবিদার পাওয়া যায়নি। তাই আমরা ময়নাতদন্তের পরই মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব। আর পরবর্তীতে নতুন কোনো দাবিদার এলে সেটা সমাধান করার জন্যই নিয়ম অনুযায়ী ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।
স্লিভলেস টপ পরা এক তরুণীকে নরসিংদী রেলস্টেশনে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার মার্জিয়া আক্তার শিলাকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার তাকে ছয় মাসের জামিন দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেম।
নরসিংদী রেলস্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে গত ১৮ মে সকালে ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন দুই তরুণ ও এক তরুণী। মেয়েটির পরনে ছিল জিন্স ও টপস। এ সময় স্টেশনে অবস্থানরত এক নারী ওই তরুণীকে হেনস্তা করেন। পরে তার সঙ্গে যোগ দেন আরও কয়েকজন।
ওই তরুণী দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে আশ্রয় নেন। পরে স্টেশন মাস্টারের মধ্যস্থতায় দুই বন্ধুসহ ওই তরুণীকে ঢাকাগামী ট্রেনে উঠিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনাটির একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরে নরসিংদী রেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমায়েদুল জাহেদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মার্জিয়াকে ৩০ মে শিবপুরের মুনছেপের চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন:৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের মামলায় প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২৯ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানি হওয়ার কথা ছিল। শুনানি পেছাতে আসামিপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ তারিখ ঠিক করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার এবং পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অবন্তিকা বড়াল, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা এবং শংখ ব্যাপারী।
এদের মধ্যে শংখ ব্যাপারী, সুকুমার মৃধা, অবন্তিকা বড়াল, অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে আছেন।
এর আগে ২৭ মার্চ এ মামলার পলাতক ১০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে বিভিন্ন কোম্পানির নামে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বের করে নেন। এই টাকা আর ফেরত না আসায় ওই চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।
প্রতিষ্ঠান চারটি হলো ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
টাকা বের করার আগে শেয়ার কিনে পি কে হালদার এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। তিনি দেশ ছাড়েন ২০১৯ সালের শেষ দিকে। আর এই আর্থিক কেলেঙ্কারি জানাজানি হয় ২০২০ সালের শুরুতে।
পলাতক থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, পি কে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজার ৭৯০ শতাংশ জমি কিনেছেন। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী এই সম্পদের মূল্য ৯৩৩ কোটি টাকা হলেও এই সম্পদের বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা।
এর মধ্যে নিজের নামে তিনি জমি কিনেছেন ৪ হাজার ১৭৪ শতাংশ। এর দাম দলিলে দেখানো হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩০ টাকা। অথচ এই সম্পদের বর্তমান মূল্য ২২৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে তার নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, পি কে তার নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদারের নামে উত্তরায় ১২ কোটি টাকা দামের একটি ভবন করেছেন। আর পূর্ণিমার ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রির নামে তেজগাঁও, তেজতুরী বাজার ও গ্রিন রোডে ১০৯ শতাংশ জমি কিনেছেন তিনি। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা।
পি কে হালদার তার কাগুজে কোম্পানি ক্লিউইস্টোন ফুডসের নামে কক্সবাজারে দুই একর জমির ওপর আটতলা হোটেল তৈরি করেছেন, যার মূল্য বর্তমানে ২৪০ কোটি টাকা। এ ছাড়া পি কের খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী এবং অনঙ্গ মোহন রায়ের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০৪ শতাংশ জমি কেনা হয়েছে, যার দাম ১৬৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও কানাডীয় ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদক প্রতিবেদনে বলেছে, পি কে হালদার ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তার ভাই প্রীতিশ হালদারের কাছে ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৬৪ কানাডীয় ডলার পাচার করেন, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ইউনুছ আলী আকন্দ।
সম্প্রতি ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনসহ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ইউনুছ।
রিটে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদসচিব, উপসচিব ও বিইআরসির চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট দেশে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়। এক লাফে ডিজেল ও কেরোসিনে বাড়ানো হয় লিটারে ৩৪ টাকা। নতুন করে ডিজেল ও কেরোসিন এখন ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ১১৪ টাকা করে।
অন্য দিকে অকটেনে প্রতি লিটারে বাড়ানো হয় ৪৬ টাকা। এখন প্রতি লিটার অকটেন ১৩৫ এবং পেট্রোল ৪৪ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। এই হিসাবে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয় ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ আর অকটেন-পেট্রোলে ৫১ শতাংশ।
বৈশ্বিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। জ্বালানি তেলের নতুন এই দাম কার্যকর হয় সেদিন রাতেই।
আরও পড়ুন:বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে কর্মীদের পুলিশের লাঠিপেটা এবং বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনায় আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মহররম আলীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে যুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনা ও তদন্তের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিআইজি বলেন, ‘বরগুনার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারিত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কী কী হয়েছে তার সব কিছুই তদন্ত করা হবে।
‘ছাত্রলীগের দুটি ধারার এক পক্ষ পুলিশের প্রশংসা করেছে, আরেক পক্ষ সমালোচনা করেছে। পুলিশ তার নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সব কিছুর তদন্ত করবে।’
এর আগে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর পদবঞ্চিত কয়েকজন হামলা চালায়। এ সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের মধ্যেই পুলিশ ছাত্রলীগের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে।
এ সময় বরগুনা-১ আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনার পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ, জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম এটম উপস্থিত ছিলেন।
জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম এটম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বের হন এমপি শম্ভু। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর কাছে লাঠিপেটার কারণ জানতে চান তিনি।
তখন মহররম আলী বলেন, ‘স্যার আমাদের গাড়ি ভেঙেছে ছাত্রলীগ। তাদের আমরা ফুলের টোকাও দিইনি। আমাদের গাড়ি ভাঙল কেন জবাব দিয়ে যেতে হবে।’
এ সময় এমপি বলেন, ‘কী করবেন? আটকে পেটাবেন? আপনারা ওদের ঠ্যাকাননি কেন?’ এর উত্তরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মামলা দেব।’
এ সময় সেখানে উপস্থিত আরেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান বলেন, ‘স্যার আমরা ঠ্যাকাইতে গেলে বলপ্রয়োগ করতে হবে, সেটি আপনাদের জন্য ভালো হবে না।’
এমপি ও ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে পুলিশের তর্ক-বিতর্কের সময় সেখানে উপস্থিত জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ মোল্লার বড় ভাই জসীম মোল্লা পুলিশের লাঠিপেটা নিয়ে এমপি শম্ভুর কাছে অভিযোগ করতে থাকেন।
একপর্যায়ে এমপির সামনেই জসীম মোল্লা পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ালে এএসপি মহররম তাকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরের অ্যাকশন হবে কিন্তু।’ জবাবে জসীম বলেন, ‘মামলা দেন, মারলেন কেন?’
এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এমপির সামনেই ডিবি পুলিশ জসীম মোল্লাকে পিটুনির পর আটক করে নিয়ে যেতে চান। এ সময় এমপি ফের বলেন, ‘মেরেছেন তো এবার ছেড়ে দেন।’ পরে পুলিশ জসীম মোল্লাকে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ‘পুলিশ বলেছিল গাড়ি ভাঙচুরকারীকে তারা চিনতে পেরেছে। আমি বলেছি, যে ভাঙচুর করেছে, তাকে দেখিয়ে দিন। আমি তাকে আপনাদের হাতে সোপর্দ করব। আসলে তাদের (পুলিশের) উদ্দেশ্যই ছিল ছাত্রলীগের ছেলেদের মারবে। আমি তাদের মার ফেরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেখানে এত পুলিশ আসছে, যে কমান্ড শোনার মতো কেউ ছিল না।’
এমপি শম্ভুর করা অভিযোগ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে কী ঘটেছে ডিআইজি স্যারের নেতৃত্বে আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এমপি সাহেব মুরব্বি মানুষ। তার সঙ্গে পুলিশের কেউ অশোভন আচরণ করে থাকলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহররম আলী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা কল রিসিভ করেননি। পরে সরকারি নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি।
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত পুলিশের ভূমিকার বিষয়টি তদন্তে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে সোমবার রাতে কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য