× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
22 were killed on the highway on the return journey of Eid
google_news print-icon

ঈদের ফিরতি যাত্রায় মহাসড়ক ভয়ংকর, নিহত ২৬

ঈদের-ফিরতি-যাত্রায়-মহাসড়ক-ভয়ংকর-নিহত-২৬
বিভিন্ন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শনিবার ভোর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

কোরবানির ঈদ শেষে রোববার থেকে পুরোপুরি সচল হচ্ছে কর্মক্ষেত্র। আর তাই আগের দিন শনিবার সারা দেশ থেকে ঢাকামুখী যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ মহাসড়কে। ঈদের আগে-পরে কয়েক দিন সড়ক অনেকটা নিরাপদ থাকলেও শনিবার ভোর থেকে যেন শুরু হয়েছে মৃত্যুর মিছিল।

বিভিন্ন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে নিউজবাংলার জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী।

ময়মনসিংহ: জেলার ত্রিশালে ট্রাকের চাপায় শিশুসন্তানসহ স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আর ঘটনাস্থলেই নিহত নারীর গর্ভে থাকা সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় শনিবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা উপজেলার ত্রিশাল ইউনিয়নের রায়মনি এলাকার বাসিন্দা। তবে তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

ঈদের ফিরতি যাত্রায় মহাসড়ক ভয়ংকর, নিহত ২৬

ত্রিশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি ট্রাক ময়মনসিংহের দিকে আসছিল। বেলা সোয়া ৩টার দিকে ত্রিশালের কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় আসতেই সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক দম্পতিসহ তাদের সাত বছর বয়সী ছেলেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী নিহত হন।

এ সময় নিহত নারীর গর্ভে থাকা সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। আর দম্পতির আহত শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নবজাতক হাতে আঘাত পেলেও এখনও সুস্থ আছে।

সিরাজগঞ্জ: হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে উপজেলার খালকুলা দবিরগঞ্জ এলাকায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে বাস ও দুটি ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাসের তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তাৎক্ষণিক হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ওসি বলেন, ‘দুপুরের দিকে ঢাকাগামী একটি বাস খালকুলা দবিরগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় পেছনে থাকা আরও একটি ট্রাক এসে ধাক্কা দেয়।

‘এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নেয়া হয়েছে।’

পুলিশ আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

বগুড়া: কাহালুর দরগাহাটের কালিয়ারপুকুর এলাকায় শনিবার সকালে পিকআপের ধাক্কায় প্রাইভেট কারের চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন।

কাহালু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রুবেল রানা নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন আব্দুর রহমান, টগর, তানসেন আলী ও প্রাইভেট কারের চালক। তাদের মধ্যে আব্দুর রহমানকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। আহত শাকিলকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

টাঙ্গাইল: মির্জাপুরে বিকল ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন চার যাত্রী। আহত হয়েছেন বাসের আরও পাঁচ যাত্রী। উপজেলার ধুল্যা মুনসুর এলাকায় শনিবার ভোরে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনার পর মির্জাপুরে ফের প্রাণ হারান মাসহ দুই শিশু।

ঈদের ফিরতি যাত্রায় মহাসড়ক ভয়ংকর, নিহত ২৬

গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা টুটুল জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল এলাকার মাসুদ মিয়ার স্ত্রী ৩৫ বছরের পারভীন বেগম, তার ছেলে ১০ বছরের সুমন ও মেয়ে ৮ বছরের সাদিয়া।

ঝিনাইদহ: কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর এলাকায় শনিবার সকালে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারান ৮০ বছরের লোকমান হোসেন। উপজেলার খোসালপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।

কালীগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেজবাহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে বাড়ি থেকে সবজি নিয়ে আলমসাধুতে করে অন্যদের সঙ্গে উপজেলার বারোবাজার যাচ্ছিলেন কৃষক লোকমান। পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক আলমসাধুটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়েন লোকমান হোসেনসহ আরও চারজন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নেয়া হলে লোকমান মারা যান।

আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ওসি।

চট্টগ্রাম: ফটিকছড়িতে পিকআপ ভ্যানের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন নিহতের ছেলেসহ আরও তিনজন।

উপজেলার মির্জারহাট কোটবাড়িয়া এলাকায় শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শারমিন আক্তার ভুজপুর থানার শৈলকুপা এলাকার আবু তাহেরে স্ত্রী। আহতরা হলেন শারমিন আক্তারের ৯ বছর বয়সী ছেলে মোবারক হোসেন, ১২ বছর বয়সী ভাগনি শম্পা কলি এবং অটোরিকশার চালক।

ভুজপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন বলেন, ‘উপজেলার রামগড় সড়কে নারায়ণহাটমুখী একটি অটোরিকশাকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান চাপা দিলে চার যাত্রী আহত হন।

‘তাদের উদ্ধার করে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক শারমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’

ঈদের ফিরতি যাত্রায় মহাসড়ক ভয়ংকর, নিহত ২৬

গাজীপুর: পুবাইলে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোর ৪টায় পুবাইলের কলেজ গেট এলাকায় ট্রাকের চাপায় নিহত হন লেগুনার এক যাত্রী। আহত হন সাতজন।

অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুকুন্দিরবাগ এলাকায় দুই অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত হন এক যাত্রী।

নিহতরা হলেন শেরপুর জেলার মাঝপাড়া থানার গোলাম রাব্বানীর ছেলে মনিরুজ্জামান মনির ও নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার কেরানীনগর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন।

পুবাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম বলেন, শনিবার ভোরে কলেজ গেট এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক লেগুনাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই এক যাত্রী মারা যান। আহত অবস্থায় সাত যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকায় ভ্যানে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন একজন।

জলঢাকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে টেঙ্গনমারী-মীরগঞ্জ সড়কের কিসামত বটতলা বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে ভ্যানে সবজি নিয়ে টেঙ্গনমারী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন ৪৫ বছরের আজিজুল হক। এ সময় একটি ট্রাক যাওয়ার সময় ভ্যানটিকে ধাক্কা দিলে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান আজিজুল। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহত আজিজুলের বাড়ি জলঢাকা উপজেলার আরাজি কাঁঠালি বালাপাড়া এলাকায়।

হবিগঞ্জ: জেলার নবীগঞ্জে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন।

শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের রুস্তমপুর টোল প্লাজার সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন, নবীগঞ্জের আউশকান্দি ইউনিয়নের বেতাপুর গ্রামের আবুল হোসেন চৌধুরীর স্ত্রীর বকুল বেগম, ছাত্রদল নেতা এহিয়া চৌধুরী জাবেদ এবং দৌলপুর গ্রামের সিএনজি অটোরিকশার চালক রব্বান মিয়া।

ওসি জানান, মিতালি পরিবহনের একটি বাস সিলেট যাচ্ছিল। নবীগঞ্জের রুস্তমপুর টোল প্লাজার সামনে বাসটির সঙ্গে একটি সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হন।

আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর আরও দুই জন মারা যান।

রাজশাহী: জেলার মোহনপুরে বাসচাপায় জুয়েল হোসেন নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার স্ত্রী সুলতানা রুমা।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাঁকোয়া গ্রামে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের টার্নিং পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

৩১ বছর বয়সী জুয়েল হোসেনের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের কুরকুটি গ্রামে। তিনি বগুড়ার আদমদিঘি থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষে তারা কর্মস্থলে ফিরছিলেন।

গুরুতর আহত সুলতানা রুমাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, জুয়েল হোসেন মোটরসাইকেলে স্ত্রীকে নিয়ে নওগাঁ থেকে রাজশাহী ফিরছিলেন। মোহনপুরের সাঁকোয়া গ্রামে একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে জুয়েল ঘটনাস্থলে নিহত হন।

কেশরহাট তেল পাম্পের সামনে বাস রেখে বাসচালক পালিয়ে গেছেন। পরে মোহনপুর থানা পুলিশ বাসটি জব্দ করে থানায় নেয়।

মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, বাসটি থানায় নেয়া হয়েছে। চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩
প্রাইভেট কারে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
কারের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ বাইক আরোহীর
পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেল সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার
গাছের সঙ্গে বাইকের ধাক্কা, চালক নিহত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The price of fuel oil has dropped one penny 

লিটারে এক টাকা কমেছে জ্বালানি তেলের দাম 

লিটারে এক টাকা কমেছে জ্বালানি তেলের দাম 

ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম কমিয়েছে সরকার। সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা কমিয়ে আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নতুন এ দাম বুধবার দিনগত মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ডিজেলের বিক্রয়মূল্য প্রতি লিটার ১০৫ টাকা থেকে এক টাকা কমে ১০৪ টাকা, কেরোসিন ১০৫ টাকা থেকে এক টাকা কমে ১০৪ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা থেকে এক টাকা কমে ১২৫ টাকা, পেট্রোল ১২২ টাকা থেকে এক টাকা কমে ১২১ টাকায় পুনঃনির্ধারণ/সমন্বয় করা হয়েছে। যা ১ মে ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমা-বাড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

এ জন্য ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’র আলোকে মে মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিতে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে বলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বাড়িয়ে বর্তমান দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ মূল্য মার্চ ও এপ্রিল মাসেও বহাল ছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BJIMs Symposium on the occasion of World Free Media Day

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বিজেআইএমের সিম্পোজিয়াম

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বিজেআইএমের সিম্পোজিয়াম

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে একটি সিম্পোজিয়াম আয়োজন করছে বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)। এতে অংশ নেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক ও গবেষকরা। আগামী শনিবার (৩ মে) বিকাল ৩টায় ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার অডিটরিয়ামে এই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিজেআইএমের আহ্বায়ক স্যাম জাহান ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী মাজেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ আফটার দ্য মনসুন আপরাইজিং : দ্য মিডিয়া ল্যান্ডস্ক্যাপ’ শীর্ষক এই সিম্পোজিয়ামটি তিনটি সেশনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম সেশনে বিজেআইএম প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর অর্জনের একটি সারসংক্ষেপ ও পরিকল্পনার রূপরেখা উপস্থাপন করা হবে।

দ্বিতীয় সেশনে বিজেআইএমের একজন সদস্যের পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, রাজনীতি, কূটনীতি, ভবিষ্যৎ, আমলাতন্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে যে কোনো প্রশ্ন করা যাবে।

তৃতীয় সেশনে দেশের নেতৃত্বস্থানীয় সাংবাদিক, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্টদের নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা হবে। এতে অংশ নেবেন- প্রথম আলোর ইংরেজি বিভাগের প্রধান আয়েশা কবির, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)-এর প্রতিনিধি সেলিম সামাদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান প্রতিবেদক আব্বাস উদ্দিন, ইরাবতী ইংরেজির প্রতিবেদক মুক্তাদির রশিদ, ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাইমা ইসলাম, বাংলাদেশ সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান গবেষক এম আবুল কালাম আজাদ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ওমর ফারুক।

সিম্পোজিয়ামে সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ সর্বসাধারণ মানুষের যে কেউ অংশ নিতে পারবে। তবে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় আগ্রহীদের দ্রুত নাম, বয়স, পেশা ও যোগাযোগ নম্বরসহ [email protected]এ প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No discussion with the United Nations on the Humanities Corridor Press Secretary

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব ছবি: সংগৃহীত

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কক্সবাজার হয়ে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডর’-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, সরকার তথাকথিত মানবিক করিডর নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি।”

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হলো, জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে যদি মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়, তবে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে আগ্রহী থাকবে।’

তিনি জানান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) তথ্য অনুযায়ী রাখাইন রাজ্যে তীব্র মানবিক সংকট চলছে।

দুর্যোগকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশকে সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যার সাম্প্রতিক উদাহরণ ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারকে সহায়তা প্রদান করা।

প্রেস সচিব সতর্ক করে বলেন, ‘এছাড়াও, আমরা উদ্বিগ্ন যে এ ধরনের মানবিক সংকট দীর্ঘ হলে রাখাইন থেকে আরও মানুষের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে, যা আমরা সামাল দিতে পারব না।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বাস করে যে জাতিসংঘ-সমর্থিত মানবিক সহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে এবং শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর বাস্তবসম্মত একমাত্র পথ হলো বাংলাদেশ।

শফিকুল আলম বলেন, এই রুট ব্যবহার করে সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা প্রদানে সম্মত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তবে, রাখাইনে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে আমরা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করব।’

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিশ্বের বড় কোনো শক্তি এই করিডরের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে যে প্রতিবেদন করা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রপাগান্ডা বলে তিনি দাবি করেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে একের পর এক বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে আমরা দেখেছি, যা এখনো চলছে। এ ধরণের প্রচারণাও তার ব্যতিক্রম নয়।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Suicide not to prepare for the threat of war on a regular basis the chief adviser

প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা

প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করি যেখানে যুদ্ধের প্রস্তুতি না রাখাটা আত্মঘাতী। এ মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাহিনীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে ছিল বার্ষিক মহড়া। ‘আকাশ বিজয়’ নামে হয় এ বছরের বাৎসরিক মহড়া। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি যুদ্ধবিরোধী মানুষ। পৃথিবীতে যুদ্ধ হোক এটা আমরা কামনা করি না। যুদ্ধ প্রস্তুতি অনেক সময় যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। কাজেই যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়েও একটা ঘোরতর আপত্তি। কিন্তু এমন বিশ্বে আমরা বাস করি, প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে থাকে। তো সেখানে প্রস্তুতি না নিয়ে থাকা এটা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

‘কাজেই এই পরিস্থিতির মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি না নেয়াটা আত্মঘাতী। প্রস্তুতি নিতে হলে আধা-আধি প্রস্তুতির কোনো জায়গা নাই।’ বলেন তিনি।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে বিমান বাহিনী। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তৎপর থাকতে হবে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে আত্মনির্ভরতার প্রমাণ দিয়েছে বিমান বাহিনী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য সরকার সহযোগিতা করছে বাহিনীটিকে। পেশাগত কারিগরি সক্ষমতা বজায় রাখতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যুগোপযোগী বিমান বাহিনী গড়ে তুলতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, সকালে প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেয়া এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বন্যাকবলিত পরিবারের মাঝে পুনর্বাসনকৃত ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Air ambulance is being prepared for Khaleda Zia Foreign Advisor

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে আনতে বিএনপির অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরত আনতে বিএনপির পক্ষ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অনুরোধ নিয়ে কাজ করছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে। জানা যায়, খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তথাপি তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন খালেদা জিয়া। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Modis green signal in an army operation in response to the Kashmir attack

কাশ্মীর হামলার জবাবে সেনা অভিযানে মোদির ‘সবুজ সংকেত’

কাশ্মীর হামলার জবাবে সেনা অভিযানে মোদির ‘সবুজ সংকেত’ ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী হামলার পর সামরিক জবাবদিহির বিষয়ে সেনাবাহিনীকে ‘পদ্ধতি, লক্ষ্য ও সময় নির্ধারণে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে এনডিটিভি গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও প্রতিরক্ষাপ্রধান জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তা দিয়েছেন মোদি।

প্রধানমন্ত্রী মোদি আবারও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক জবাব দেওয়াই আমাদের জাতীয় সংকল্প’ এবং তিনি ভারতের সেনাবাহিনীর প্রতি ‘সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা’ রাখেন।

এই বৈঠকের কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ভারতীয় জনতা পার্টির আদর্শিক অভিভাবক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছন।

সূত্রের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের সবুজ সংকেত দিয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। তখন ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ পরিচালিত প্রশিক্ষণশিবিরে নিখুঁত বিমান হামলা চালিয়েছিল।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত সেই শিবিরগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

ছয় বছর পর এই হামলার সঙ্গে আবারও পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তাদেরই ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

এদিকে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও বলেছে, প্রাপ্ত প্রমাণ আবারও পাকিস্তানকেই ইঙ্গিত করছে।

এই প্রমাণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপান ও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের প্রতিনিধিদের দেখানো হয়েছে।

ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রথম ধাপে নয়াদিল্লি পাকিস্তানিদের জন্য জারি করা ভিসা বাতিল করে দিয়েছে। তবে পাকিস্তানি হিন্দু ও দীর্ঘমেয়াদি অনুমোদনপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য নয়। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেওয়া ভিসাও বাতিল করা হয়েছে।

গত রোববার সব কার্যকর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে, বিশেষ করে বিখ্যাত আটারি-ওয়াঘা চেকপয়েন্টে পাকিস্তানি নাগরিকদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। সেদিন থেকে প্রায় এক হাজার পাকিস্তানি নাগরিক ভারত ছেড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ব্যক্তিগতভাবে রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কূটনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে ভারত ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দাস পানি চুক্তিও স্থগিত করেছে। এই পানি বণ্টন চুক্তির অধীনে পাকিস্তান তার প্রাপ্য মোট পানির প্রায় ৮৫ শতাংশ পেত। এই চুক্তি স্থগিত করাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ ভারতের সব ভিসা বাতিল করেছে ও শত শত ভারতীয়কে বহিষ্কার করেছে। পাকিস্তান আরও কিছু দ্বিপক্ষীয় চুক্তি, যেমন ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তিও স্থগিত রেখেছে।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের এক শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে দেওয়া এক মন্তব্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেন, আগামী কয়েক দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পেহেলগামে হামলা নিয়ে নিজের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তার সরকার সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহ পরিকল্পনাকে সফল হতে দেবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসের আখ্যানের শেষ চিহ্নও মুছে ফেলার। ১৪০ কোটি মানুষের ইচ্ছাশক্তি সন্ত্রাসের প্রভুদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে।’

এরপর তিনি একাধিক শক্ত বার্তা দিয়েছেন, যাতে তিনি বলেন, ভারত সন্ত্রাসকে ভয় পায় না এবং এই ভয়াবহ হামলার পরিকল্পনাকারীসহ প্রত্যেক জড়িত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।

সূত্র: এনডিটিভি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main adviser

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘর বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘর বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ দেশের চারটি জেলার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ঘর বিতরণ করেছেন।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত মোট তিনশটি ঘর ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় বিতরণ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকরা সুবিধাভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।

অধ্যাপক ইউনূস ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি চারটি জেলায় অনুষ্ঠিত ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ফেনীতে ১১০টি, নোয়াখালীতে ৯০টি, কুমিল্লায় ৭০টি এবং চট্টগ্রামে ৩০টি ঘর সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।

প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে, বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেক দিয়েই সুষ্ঠু ভাবে প্রকল্প শেষ করায় প্রকল্পের সাথে যুক্ত সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক এবং সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই বিশেষ গৃহায়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

মন্তব্য

p
উপরে