× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Crowds of Dhaka bound people at Sadarghat on holidays
google_news print-icon

ছুটির দিনে সদরঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়

ছুটির-দিনে-সদরঘাটে-ঢাকামুখী-মানুষের-ভিড়
ঈদের পর সদরঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ দিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের সবগুলো লঞ্চ ডেকে পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভিড়ে। ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়েও কিছু লঞ্চ ঢাকার এসে পৌঁছায়।

ঈদের ছুটি কয়েকদিন আগে শেষ হলেও ঢাকামুখী মানুষের ভিড় তেমন ছিল বললেই চলে। তবে শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে। রাজধানী ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে যাত্রীর চাপ অন্যদিনের তুলনায় বেড়েছে।

একদিকে যেমন মানুষ রাজধানীতে ফিরছেন, অন্যদিকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়াদের ভিড়ও দেখা গেছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ দিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের সবগুলো লঞ্চ ডেকে পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভিড়ে। ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়েও কিছু লঞ্চ ঢাকার এসে পৌঁছায়। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভিড় থাকলেও চাঁদপুর ও আশপাশের রুটগুলোর যাত্রী স্বাভাবিক ছিল।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সকাল থেকেই একে একে ভিড়তে থাকে বিভিন্ন রুটের লঞ্চ। দুপুরের পর থেকে গ্রিন লাইন-৩ ও সন্ধ্যার পর পারাবত- ৯, ১০, ১২ ও ১৮, মানামী, কুয়াকাটা-২, কীর্তনখোলা- ২ ও ১০, সুরভী- ৮ ও ৯, অ্যাডভেঞ্চার-১ ও ৯, সুন্দরবন-১২ লঞ্চসহ মোট ১৫টি লঞ্চ সদরঘাটে এসে পৌঁছায়।

ঢাকায় ফিরতে লঞ্চে মানুষের ঢল নেমেছে বলে জানিয়েছেন জাহাজ মালিক, স্টাফ ও কর্মকর্তারা।

মানামি লঞ্চের চালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার ঈদের আগে যেমন যাত্রী চাপ ছিল পরে তেমন ছিল না। আজ সরকারি ছুটির দিন তাই অনেকেই ঢাকা ফিরছে।’

রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা মো. আনোয়ার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী থেকে ফিরেছেন ঢাকায়। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এমভি এ আর খান লঞ্চের টিকিট পেয়েছি। তবে লঞ্চে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। ঠিকভাবে ঢাকায় আসতে পেরেছি এটাই অনেক।’

ছুটির দিনে সদরঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়

এদিকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশাল অঞ্চলগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমায় ঢাকার সদরঘাটের চেনা রূপ অনেকটাই হারিয়েছিল। তবে ঈদের ছুটির সঙ্গে ফিরেছে চেনা সেই ভিড়। তবে ঈদের পরে ঢাকার সদরঘাটে ভিড় বাড়লেও আগের মতো নেই।

বরিশাল, ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা লঞ্চগুলোর কর্মীরা যাত্রীদের ডাকাডাকি করছেন। মানুষ একে একে লঞ্চে উঠছেন। বেশ কয়েকটা লঞ্চের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ডেক ভর্তি করে বসে আছে মানুষ। কেউ আবার কেবিন নিয়ে দরদাম করছেন।

বিকেল সাড়ে ৫টায় হাতিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি ফারহান-৩ নামের লঞ্চ। ছেড়ে যাওয়ার আগে লঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ডাকাডাকি করছিলেন ওই লঞ্চের কর্মী আবুল হোসেন। তিনি জানান, গত কয়েকদিন থেকে আজ বেশি লোক বাড়ি যাচ্ছেন। যারা ঢাকায় ঈদ করেছেন তাদের অনেকেই এখন গ্রামে যাচ্ছেন।

ঢাকা থেকে মনপুরা, হাতিয়ার দিকে যাবে এমভি তাসরিফ। লঞ্চের কর্মী রাহাত মিনহাজ বলেন, ‘লঞ্চে এরই মধ্যে পাঁচ-ছয়শ মানুষ উঠেছে। আর এক ঘণ্টা পর লঞ্চ ছাড়বে। এর মধ্যে আরও মানুষ উঠবে।’

ভোলার চরফ্যাশন ও বেতুয়া যাবে এমভি টিপু-১৩। লঞ্চটিতে গিয়ে দেখা যায়, ডেকভর্তি মানুষ। ভোলাগামী যাত্রী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘কাপড়ের দোকানে কাজ করি। ঈদের আগের দিনও খোলা ছিল। তাই ভাবলাম ঈদ ঢাকায় করে যাই। তাড়াহুড়ো করে গিয়ে রাস্তায় ঈদ করার চেয়ে পরে যাওয়া ভালো।’

লঞ্চটির ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ডেকে বসে আছেন শত শত মানুষ। হাতিয়া যাবেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রহিমা বেগম। ঢাকায় ঈদ করেছেন তিনি। তার ছেলে সুজন মিয়া বলেন, ‘আমাদের আত্মীয়-স্বজন সবাই ঢাকায়। এজন্য ভিড় ঠেলে বাড়ি না গিয়ে ঢাকায়ই ঈদ করেছি। এবার একটু স্বস্তিতে বাড়ি গিয়ে ঘুরে আসি।’

এদিকে নৌপথেই স্বস্তি খুঁজবেন যাত্রীরা এই আশা ছিল লঞ্চ মালিকদের। তবে ঈদের পর তা আবার কমে যাওয়ায় হতাশ তারাও। ডলার কোম্পানির ২৪টি লঞ্চের মালিক ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের লঞ্চ আছে অনেক কিন্তু সেই অনুযায়ী যাত্রী নেই। তাই লঞ্চ কম ছাড়ছে। যেগুলো ছাড়ছে সেগুলোতে ভরে যাচ্ছে। ঈদের পর ও আমরা যাত্রী চাপ আশা রেখেছিলাম। কিন্তু পাইনি।’

লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের আগে যাত্রী চাপ বাড়ায় আশা পেয়েছিলাম। এখন সে আশা আর দেখছি না। সামনের দিনগুলিতে কি হয় দেখা যাক।’

বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের পর যাত্রী চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের নিয়মিত লঞ্চগুলোই চলাচল করছে। অতিরিক্ত কোনো লঞ্চের প্রয়োজন পড়ছে না। ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
শাটডাউনের শেষ ঘণ্টা বাজলেই লঞ্চ ছাড়ার প্রস্তুতি
সদরঘাট নেমেই ভাড়ার নৈরাজ্যে যাত্রীরা
৯ দিন পর লঞ্চের ভেঁপু, ঢাকা ছাড়ার যাত্রী নেই
বাড়িমুখী মানুষের চাপ সদরঘাটে
সকালের সদরঘাট ‘স্বাভাবিক’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Penalty for a lifetime of expulsion of three leaders and activists of the banned Chhatra League in Mabhaviprabi

মাভাবিপ্রবিতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ নেতা-কর্মীকে আজীবন বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি

মাভাবিপ্রবিতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ নেতা-কর্মীকে আজীবন বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) সামগ্রিক শৃঙ্খলা অবনতি, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় পাঠদান পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটানো এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধঘোষিত) ১৯ জন নেতা-কর্মী।

এদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও। অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনকে আজীবন, ১ জনকে ৫ সেমিস্টার, ৭ জনকে ৪ সেমিস্টার ও ৭ জনকে ৩ সেমিস্টার পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহা. তৌহিদুল ইসলাম রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় এই শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রিজেন্ট বোর্ডের ৪নং আলোচ্যসূচিতে ছিল বিষয়টি ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় ৪ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।

বাকি ১৫ জনকে তাদের অপরাধের ধরন ও গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন মেয়াদে শান্তি এবং বহিষ্কার আদেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র আরও জানায়, একটি বিশেষ ছাত্রসংগঠনের প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাখিলকৃত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪৭তম (জরুরি) রিজেন্ট বোর্ড সভায় ১৯ জন শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৮তম সভায় পুনর্গঠিত অধিকতর তদন্ত কমিটি কর্তৃক দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ এবং অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত এবং সুপারিশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে সাময়িক বহিষ্কার আদেশপ্রাপ্ত ১৯ জন শিক্ষার্থী দোষী প্রমাণিত হয়। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি মানিক শীল (ইএসআরএম), সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির (অর্থনীতি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাওন ঘোষ (অর্থনীতি) ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাদিক ইকবাল (পদার্থবিজ্ঞান)। সহসভাপতি রায়হান আহমেদ শান্তকে (পদার্থ বিজ্ঞানকে) ৫ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া চার সেমিস্টারে জন্য ৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- খালেকুজ্জামান নোমান (অর্থনীতি), সাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র (গণিত), মো. আব্দুল্লাহ সরকার উৎস (গণিত বিভাগ), মো. আবিদ হাসান মারুফ (গণিত), রানা বাপ্পি (রসায়ন বিভাগ), মো. যোবায়ের দৌলা রিয়ন (রসায়ন), নাহিদ হাসান (ব্যবস্থাপনা)।

আরও ৭ জনকে তিন সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- সুজন মিয়া (অর্থনীতি বিভাগ), জাহিদ হাসান (হিসাববিজ্ঞান), মো. নাঈম রেজা (অর্থনীতি), ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু (সিপিএস), মো. রিফাত হোসেন (হিসাববিজ্ঞান) বিভাগ, ইমরানুল ইসলাম (সিপিএস), মো. আনোয়ার হোসেন অন্তর (পদার্থবিজ্ঞান)।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন বলেন, নিয়মতান্ত্রিক তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ঊর্ধ্বতন পর্যদগুলোর অনুমোদনক্রমে ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Salika Champion in Magura Interpresscab Football Tournament

মাগুরা আন্তঃপ্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে শালিখা চ্যাম্পিয়ন

মাগুরা আন্তঃপ্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে শালিখা চ্যাম্পিয়ন

মাগুরা আন্তঃপ্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে মাগুরা প্রেসক্লাবকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শালিখা প্রেসক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

মাগুরা প্রেসক্লাব আয়োজিত সকল উপজেলার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কৃষিবিদ গ্রুপ ও ইম্পেরিয়াল রিয়েল স্টেট লিমিটেডের সহযোগিতায় ও মাগুরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে গত শনিবার মাগুরা স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মাগুরা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল।

মাগুরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা একটি ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। দিনব্যাপী এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে চার উপজেলার সাংবাদিকদের মধ্যে আনন্দঘন পরিবেশে যেন এক মিলনমেলা বসে ছিল স্টেডিয়াম।

এ খেলায় অংশ নেন ছোট-বড় নির্বিশেষে সকল বয়সের সাংবাদিকরা। প্রতি উপজেলা থেকে ২০ জন করে সাংবাদিক এ আয়োজনে অংশ নেন।

মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম ও টুর্নামেন্টের উদ্বোধক ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক কৃষিবিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল। এছাড়া মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাগুরা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক শাহিন আলম তুহিন, শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল, মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান টুটুল ও শালিখা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব মিয়া।

প্রথম সেমিফাইনালে মাগুরা প্রেসক্লাব ৪-০ গোলে শ্রীপুর প্রেসক্লাবকে পরাজিত করে। অপরদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শালিখা প্রেসক্লাব ১-০ গোলে মহম্মদপুর প্রেসক্লাবকে পরাজিত করে। খেলা শেষে সাংবাদিকদের এই ব্যতিক্রমী আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন , মাগুরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের এমন আয়োজন সত্যিই খুবই প্রশংসনীয়। সাংবাদিকরা যে শুধু কলমের মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে তাই নয় তারা খেলাধুলার মাধ্যমে যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে । আর এটা দেখে বাংলাদেশের সব জেলার সাংবাদিকদের এ ধরনের আয়োজনে অনুপ্রাণিত করবে। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের জন্য অতিথিরা মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিককে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপের পাশাপাশি চার উপজেলার প্রেসক্লাবের মাঝে শুভেচ্ছা ট্রফি তুলে দেন অতিথিরা। এছাড়া ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে সেরা প্রতিবেদনের জন্য মাগুরা প্রেসক্লাবের ৪ সাংবাদিককে সেরা সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

সেরা সাংবাদিক চারজন হলেন, এনটিভির মাগুরা স্টাফ করোসপন্ডেন্ট শফিকুল ইসলাম শফিক, নাগরিক টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মতিন রহমান, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাহিন আলম তুহিন এবং ডেইলি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জেলা প্রতিনিধি লিটন ঘোষ।

এছাড়া জুলাই-আগস্টের শহীদ ও প্রয়াত সাংবাদিকদের মাগফিরাত কামনায় মাগুরা প্রেসক্লাবে বাদ জোহর দোয়া মাহফিল ও মধ্যাহ্ন ভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় দুই শতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Floods in the north issued alert

উত্তরে বন্যার পদধ্বনি, পাউবো ও কৃষি বিভাগের সতর্কতা জারি

উত্তরে বন্যার পদধ্বনি, পাউবো ও কৃষি বিভাগের সতর্কতা জারি

উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরের নদনদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিন দিন উজানের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাসে নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নদীর তীরবর্তী মানুষের জানমাল ও কৃষি রক্ষায় সতর্ক করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রোববার উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিকেল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার দিনভর ডালিয়া পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাউবোর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগে এবং এর উজান ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে রংপুর বিভাগের তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। সেই সাথে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপ চর প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে বন্যার পূর্বাভাস জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি আবহাওয়া তথ্য ইউনিট সতর্কতা জারি করেছে। তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শংঙ্কায় সেখানকার পরিপক্ক সবজি দ্রুত সংগ্রহ করা, জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা এবং জলাবদ্ধতা পরিহারের জন্য জমির চারপাশে নিষ্কাশন নালা তৈরি করা, আমন ধানের জমির

নিষ্কাশন নালা পরিস্কার রাখা, আমন ধানের জমির আইল উঁচু করা, সেচ, সার ও বালাইনাশাক প্রয়োগ বন্ধ রাখা, কলা ও দন্ডায়মান সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করা, আখের ঝাড় বেঁধে দেয়া, গবাদিপশু ও হাঁসমুরগি থাকার জায়গা পরিস্কার ও শুকনো রাখা, পুকুরের চারপাশে উঁচু করে দেয়া, অতিরিক্ত পানিতে মাছ রক্ষায় চারপাশে জাল বা বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘিরে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমার পুরো ইউনিয়নই তিস্তা নদী বেষ্টিত। তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বিষয়টি আমি নদীর তীরবর্তী বসবাসকারীদের জানিয়ে দিয়েছি।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথেও যোগযোগ করা হয়েছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ৩ দিন তিস্তার পানি বৃদ্ধি পারে। এ তথ্য নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Balus business is running on the side of the road

সড়কের পাশে চলছে বালুর রমরমা ব্যবসা

সড়কের পাশে চলছে বালুর রমরমা ব্যবসা

মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নে জনবসতি এলাকায় সড়কের পাশে চলছে বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটা থেকে শুরু করে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক পরিবার গৃহহীন হওয়ার উপক্রম। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

পেয়ারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বালু বিক্রি করছে। এর ফলে স্থানীয় আঞ্চলিক সড়কগুলো বালুর স্তূপে অধিকাংশ সময় অবরুদ্ধ থাকে, যা পথচারী ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়, সড়কে বালুকাঁদা জমে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে হালকা যানবাহন, মটরসাইকেল, ইজিবাইক, মিনিট্রাক সহ ইঞ্জিনচালিত অন্যান্য যানবাহনেও ঘটে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে বর্ষাকালে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। এহেন সমস্যার ব্যাপারে উক্ত এলাকার

ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হক জমাদ্দার জানান, বালু স্তুপকৃত ঐ জমি নিয়ে আমাদের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী ও অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বাড়ির সামনে বালুর স্তূপ করে রেখেছে। এ কারণে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বালুর স্তূপ করে চলাচলের রাস্তা টুকু বন্ধ করে দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বালুর সাথে পানি মিশে কাঁদামাটি হয়ে যায় এবং পানি সরাসরি আমাদের ঘরে ঢুকে যায়। পানির কারণে আমাদের বাড়ি-ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

ওই এলাকার আরেক ভূক্তভোগী আ. আজিজ জমাদ্দার বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা ঐ সমস্যার কারণে স্কুলে যেতে বিড়ম্বনার শিকার হয়, কেননা রাস্তা পুরোটাই পানি ও বালুতে ভরা থাকে। আমরা আমাদের সমস্যার কথা একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, এরপর তারা উক্ত ব্যবসা সাময়িক বন্ধ রাখে, কিছুদিন পর তারা আবার তা পুণরায় চলমান করে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আদালতের কাছে আইনি প্রতিকার চেয়েছি।’

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা জনদূর্ভোগ সৃষ্টকারী অবৈধ ওই বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা বন্ধের জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এলাকার মানুষের দাবি বালুর ব্যাবসা বন্ধ করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে দেয়া হোক। এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।

স্থানীয়রা এখন তাকিয়ে আছেন আদালতের দিকে, যেখানে তাদের রয়েছে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির আস্থা, যা পেলে ভুক্তভোগীরা দুঃসহ উক্ত পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The sack of fertilizer seizure illegally stored from the house of women UP members in Amtali

আমতলীতে নারী ইউপি সদস্যের ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ

আমতলীতে নারী ইউপি সদস্যের ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের হেনা বুলবুলির ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে এ সার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলি গত ৩ বছর ধরে অবৈধভাবে সার মজুদ করে আসছেন। ওই সার তার স্বামী মজনু চৌকিদার ও ছেলে হাসান চৌকিদার এলাকার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

গত বুধবার তিনি (নারী ইউপি সদস্য) আমতলী থেকে দের’শ বস্তা ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার অবৈধভাবে ক্রয় করে উত্তর তক্তাবুনয়া গ্রামের বাড়ীতে মজুদ করেছেন। ওই সার থেকে তিনি গত তিন দিনে ৮৬ বস্তা সার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগ কৃষকদের। রোববার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী থানা পুলিশ ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান অভিযান চালিয়ে নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির ঘর থেকে ৬৪ বস্তা সার জব্দ করেছে। এর মধ্যে ৪১ বস্তা ইউরিয়া, ২৩ বস্তা টিএসপি ও এমওপি।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির স্বামী মজনু চৌকিদার ও তার ছেলে হাসান চৌকিদারের নামে সার বিক্রির লাইসেন্স নেই। তারা উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্র ডিলার নয়।

অবৈধ সার মজুদকারী ও বিক্রেতা হাসান চৌকিদার তার বাড়ীতে সার মজুদ রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার কীটনাশক বিক্রির লাইসেন্স আছে। তাই কীটনাশক বিক্রির পাশাপাশি সার বিক্রি করছি।

নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলি বলেন, আমার ছেলে কীটনাশকের ব্যবসা করে। ওই সঙ্গে সারও বিক্রি করে। আমার ছেলের নামে সার বিক্রির ক্ষুদ্র লাইসেন্স আছে।

আমতলী উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ৬৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী সদস্যের ঘর থেকে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত সার থানার আনা হচ্ছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রাসেল বলেন, ৬৪ বস্তা মজুদ সার নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির ঘর থেকে জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে সার মজুদ ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, নারী ইউপি সদস্যের স্বামী ও তার ছেলের নামে সার মজুদ ও বিক্রির কোন ক্ষুদ্র লাইসেন্স দেয়া হয়নি। তারা অবৈধভাবে সার মজুদ ও বিক্রি করে থাকেন।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে সার বিক্রির সুযোগ নেই।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Leave extortion and occupation the jail is waiting for you

চাঁদাবাজি ও দখলবাজি ছেড়ে দিন, জেলখানা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে

চাঁদাবাজি ও দখলবাজি ছেড়ে দিন, জেলখানা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ অপকর্ম বন্ধ করুন। এখনো সময় আছে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি ছেড়ে দিন। আপনাদের এসব অপকর্মের জন্য বিএনপির বদনাম হচ্ছে। তারেক রহমান আপনার অপকর্মের দায় কেন নেবেন। সামনে আমাদের অদৃশ্য শক্তির সাথে যুদ্ধ করতে হবে। সামনে ক্লিন অপারেশন শুরু হবে। সতর্ক থাকবেন। সাবধান হয়ে যান। হয়তো আগামীতে আপনার জন্য জেলখানা অপেক্ষা করছে। আপনাকে অপকর্মের জন্য জেলে যেতে হতে পারে।

রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেঘনা শিল্পনগরী প্রতাপের চর এলাকায় উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি আয়োজনে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাবিষয়ক’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, তৃণমূলই বিএনপির প্রাণ। তৃণমূল না থাকলে আমরাও থাকব না। কারও সঙ্গে হিংসা করবেন না। সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দেবেন না। কোনো অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আপনি কী বিনিময় পাওয়ার জন্য রাজনৈতিক করেছেন? তৃণমূলের সাথে ভাব দেখাবেন না। তাদের ভালোবাসা দিন, আদর করুন। নির্বাচন আসলে নতুন প্রার্থী আসতেই পারে। ঝগড়া করবেন না। এক টেবিলে বসে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীকের জন্য কাজ করুন।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজিব, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মহিলা কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দীনা, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, সেলিম হক রুমি, শাহজাহান মিয়া, মোতালেব হোসেন, শাফিরউদ্দিন মজনু, তাজুল ইসলাম সরকার, মো. মনিরুজ্জামান, সাদিকুর রহমান সেন্টু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার সকল ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Press conference to protest the attack on Murapara College Help Desk

মুড়াপাড়া কলেজের হেল্প ডেস্কে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মুড়াপাড়া কলেজের হেল্প ডেস্কে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মুড়াপাড়া সরকারি কলেজের হেল্প ডেস্কে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইসলামী ছাত্র শিবিরের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। রোববার বিকালে মুড়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্রশিবিরের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক ইমরান হাসান তুহিন। তিনি বলেন, ‘হেল্প ডেস্ক’ কার্যক্রমের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণির ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা হচ্ছিল। এ সময় শিক্ষার্থীদের সহায়তার কাজে ব্যস্ত অবস্থায় শিবিরকর্মীদের ওপর প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে আবরারুল হক, সাইদুল ইসলাম শান্ত, বিল্লাল মিয়া

সিফাত আহত হন এবং কলেজের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শিবির নেতারা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের কার্যক্রম ব্যাহত করতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভয়-ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিয়ে কোনো দলই টিকতে পারে না। ছাত্রশিবির সর্বদা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে এসেছে এবং আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা অবিলম্বে এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পাশাপাশি কলেজে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মলে উপস্থিত ছিলেন মুড়াপাড়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সাইনুল হাসান শান্ত, ইমরান হাসান, মো. শাহিন আকন্দ, মো. শুভ সরকার, আরাফাত হোসেন আরিফ আজারুল ইসলাম নাহিদ প্রমুখ।

মন্তব্য

p
উপরে