বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ ও রামপাল উপজেলায় জোয়ারের পানিতে তলিয়েছে অন্তত ২৫টি গ্রাম।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদীসহ জেলার প্রায় সব নদ-নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়েছে। এ কারণে কিছু গ্রাম তলিয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মোড়েলগঞ্জ পৌর এলাকার কাপুড়েপট্টি সড়ক, কাঁচা বাজারসহ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের অন্তত ২০ গ্রাম এবং রামপাল উপজেলার গিলাতলা বাজার, বাঁশতলী, ভোজপাতিয়া, হুড়কা, রাজনগরসহ পেড়িখালি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা তলিয়েছে।
মোড়েলগঞ্জের পৌর এলাকার চা দোকানি জামাল শেখ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই দিন ধরে জোয়ারের পানিতে পৌর এলাকা ডুবে আছে। দুপুর হলেই পানি চলে আসে সব জায়গায়। চেয়ারের উপর বসে দোকান চালাচ্ছি।’
একই এলাকার হোটেল ব্যবসায়য় কালাম মোল্লা বলেন, ‘আমার হোটেলে একহাত পানি। কাস্টোমার এর মধ্যে বসতে চায় না। বেশ কয়েক বছর ধরে এমন অবস্থা চলছে। বছর বছর পানিও বাড়ছে। আমাদের এখানে বেড়িবাঁধ না দিলে আর হবে না।’
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মোড়েলগঞ্জের দুইশরও বেশি মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
রামপাল সদর ইউনিয়নের সবুর রানা বলেন, ‘জলযায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিন দিন রামপালের দাউদখালি নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আগে জোয়ারের পানি ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। এখন জোয়ারের পানিতে রামপালের সদর ইউনিয়নসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
‘রামপালে জোয়ারের পানিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত বেড়িবাঁধ না দেয়া হলে আগামিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।’
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদীসহ জেলার প্রায় সব নদ-নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়েছে। এমন অবস্থায় বেড়িবাঁধ না থাকায় মোড়েলগঞ্জ ও রামপালের বেশকিছু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে প্রকল্পের মাধ্যমে বেড়িবাঁধের কাজ করা হবে।’
আরও পড়ুন:মেহেরপুরে ছাত্রলীগ ও যুবদলের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গাংনীতে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের একটি দল ডিগ্রি কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে বাসস্ট্যান্ড বাজারে এসে বিএনপি অফিসে ইটপাটকেল ছুড়ে। এ সময় বিএনপি অফিসে থাকা নেতাদের মধ্যে যুবদল নেতা মেঘলাসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক জানান, সারা বিশ্বে আজ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। সমসাময়িক এ পরিস্থিতিকে পুঁজি করে স্বাধীনতা বিরোধীরা আন্দোলন করে দেশকে অকার্যকর দেশে পরিণত করতে চাই। সে পরিকল্পনা যাতে বাস্তবায়ন না হতে পারে সে লক্ষ্যে ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করল।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও যুবদলের সমর্থক কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেদের ধাওয়া করে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।’
এ হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা বলেন, ‘সারাদেশে আজ জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। আমাদের দলীয় সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে পার্টি অফিসে বসে আলোচনা করার সময় আমাদের ওপর অর্তকিতভাবে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। অফিসের ব্যানার ফেসটুন ভাঙচুর করে।’
আরও পড়ুন:অন্য দেশের তুলনায় ‘দেশের মানুষ বেহেশতে আছে’ বলে একদিন আগে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন সমালোচনার মুখে পড়ে তার ব্যাখ্যা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সিলেটে জেলা পরিষদের আয়োজনে শনিবার দুপুরে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, অন্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি এবং তাদের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি, এই কথা বলেছিলাম। কিন্তু আপনারা (সাংবাদিকরা) এক্কেবারে উল্টা!’
আগের দিনের মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বেহেশতের কথা আমি বলেছি, কম্পারেটিভ টু আদার কান্ট্রি (অন্য দেশের তুলনায়)। আর আপনারা সব জায়গায় লিখেছেন ‘বেহেশত বলেছেন’...মানে টুইস্ট করা হয়েছে। ...বলেন নাই যে আমাদের মূল্যস্ফীতি অন্য দেশের তুলনায় কম...।’
এর আগে শুক্রবার সকালে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে; একটি পক্ষ থেকে এমন প্যানিক ছড়ানো হচ্ছে। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।’
মন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঢেউ ওঠে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ নিয়ে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য জনগণের সঙ্গে তামাশা।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি ইংল্যান্ডে ১২ ভাগ, টার্কিতে ৬৭ ভাগ, পাকিস্তানে ৩৭ ভাগ, শ্রীলংকায় ১৫০ ভাগ, আর আমরা ৭ ভাগ। সেই দিক দিয়ে আমরা ভালো আছি।’
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে এ সময় তিনি বলেন, ‘ভারত সরকারের আমন্ত্রণে আগামী মাসের ৪-৫ তারিখ প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন। সেই সফরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়গুলো প্রধান্য পাবে। সেখানে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনায় আসবে।’
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ নদীগুলো খননের ব্যাপারে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ১০-১২ বছর বিরতির পর এ মাসের শেষের দিকে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সেই বৈঠকে ৬টি নদীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সবকটি নৌপথ আগের মতো সচল করার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।’
সিলেটের আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয় উজানের পাহাড়ি ঢলে। তাই ওইসব এলাকার বন্যার পূর্বাভাস যেন ভারত বাংলাদেশকে আগাম জানায় ও ড্যামগুলো উন্মুক্ত করার আগে বিষয়টি নিয়ে তথ্য দেয়, সে প্রস্তাবও ভারতকে দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা; তা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে সীমিত কর্মবিরতি পালনের পর আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন চা শ্রমিকরা। সে দাবি পূরণ না হওয়ায় সারা দেশের চা বাগানগুলোতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।
সংগঠনের ডাকে সাড়া দিয়ে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শনিবার সকাল থেকে একযোগে ধর্মঘট পালন করছেন দেশের ২৩১টি চা বাগানের চা শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ৩ আগস্ট আমরা মালিকদের কাছে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য ১ সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম; কিন্তু তারা তা কর্ণপাত করেননি। এর প্রতিবাদে আমরা গত চার দিন ধরে সারা দেশের সব চা বাগানে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছি। তারপরও মালিকপক্ষ আমাদের দাবি মেনে না নেয়ায় আমরা ধর্মঘটের মত কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।
‘প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে। অথচ বাংলাদেশের চা শ্রমিকরা ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন। দুই বছর পর পর শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। গত চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এরপর ১৯ মাস কেটে গেলেও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেননি।’
নিপেন পাল জানান, নতুন চুক্তি না হওয়ার কারণে শ্রমিকদের বেতনও বাড়ছে না। জুনে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ চা সংসদ নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব দেন শ্রমিক নেতারা। পরে চা সংসদ নেতারা মজুরি ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা করার প্রস্তাব দেন। তবে তা সন্তুষজনক না হওয়ায় তা প্রত্যাখান করেন শ্রমিক নেতারা।
এরপর এক মাস পেরোলেও মালিকপক্ষ আর কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। এতে গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা চার দিন প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ধর্মঘট পালন করেন শ্রমিকরা। এতেও মালিক পক্ষের সাড়া না পেয়ে শনিবার সকাল থেকে পূর্ণদিবস কর্মসূচি পালন শুরু করেন চা শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের স্বার্থে দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা কোনো অশান্তি চাই না। আমরা আমাদের অধিকার চাই। সব কিছুর দাম বাড়ার কারণে আমাদের শ্রমিকরা আর ঠিকে থাকতে পারছেন না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করে তাদেরকে কাজে ফিরিয়ে নিতে মালিকপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
সংগঠনটির অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে দেশের ২৩১টি চা বাগানের প্রায় দেড় লাখ চা শ্রমিক ধর্মঘট পালন করছেন।’
বিভিন্ন জেলার ধর্মঘটের চিত্র
হবিগঞ্জ
জেলার ২৪টি বাগানে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শুরু করেন শ্রমিকরা। পরে দুপুর ১২টার দিকে চুনারুঘাটে ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের চান্দপুর এলাকায় অবরোধে বসেন তারা। সড়কে অন্তত পাঁচ হাজার শ্রমিক অবস্থান নিয়েছেন। বিভিন্ন বাগান থেকে আসছেন আরও শ্রমিক। দুপুর পৌনে ২টার দিকেও অবরোধ চলছিল।
চান্দপুর বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাওতাল বলেন, ‘বাংলাদেশে চা শ্রমিকদের একটা বিশাল অংশ রয়েছে। এ দেশের ভোটার হয়েও তারা অবহেলিত। মৌলিক অধিকারও তাদের ভাগ্যে জুটে না। এ ছাড়া রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ১২০ টাকা মজুরি পায়। এভাবে আর আমরা চলতে পারছি না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’
মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের ভাড়াউড়া চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, চা শ্রমিকরা বাগানের নাট মন্দিরের সামনে জড়ো হয়েছেন। এ সময় কাজ বন্ধ রেখে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি পংকজ কন্দ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবিটি খুবই যৌক্তিক। বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে যাতে চা বাগানের মালিকপক্ষ আমাদের মজুরি বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করে।’
সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা আজ থেকে সর্বাত্নক ধর্মঘট পালন করছি। আগামী দুই দিন বাগানের সাপ্তাহিক ছুটি ও শোক দিবসের কারণে আন্দোলন স্থগিত থাকবে। আমরা আজ বৈঠকে বসে পরবর্তী করনীয় ঠিক করব।’
তবে শ্রমিকদের আন্দোলনে যাওয়া উচিত হয়নি বলে মনে করছেন চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট বিভাগীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী।
তিনি বলেন, ‘উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় আন্দোলনে যাওয়া শ্রমিকদের উচিত হয়নি। এটি শ্রম আইনেরও পরিপন্থী, চায়ের এই ভরা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকলে মালিক-শ্রমিক উভয়েরই ক্ষতি হবে। আমরা আশা করব, শ্রমিকরা দ্রুত কাজে ফিরবেন।’
সিলেট
সিলেট ভ্যালির আন্দোলনরত শ্রমিকরা সকাল থেকে লাক্কাতুরা এলাকায় বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় আধাঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে সড়ক শ্রমিকদের সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করে।
এরপর চা শ্রমিকরা মিছিল সিলেট নগরে চলে আসেন। নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এসে অবস্থান নেন তারা।
নগরের বিমানবন্দর সড়কের লাক্তাতুরা চা বাগানের সামনে বিক্ষোভকালে আলাপ হয় রবি গোয়ালার সঙ্গে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এখন এক কেজি চালের দাম ৭০, পেট্রলের লিটার ১৩০ টাকা। অথচ আমরা সারা দিন খেটে মাত্র ১২০ টাকা পাই। এই বাজারে ১২০ টাকা দিয়ে সংসার চলবে কী করে?’
রবির মতো একই প্রশ্ন মালনীছড়া চা বাগানের শ্রমিক রতন বাউরিরও। তিনি বলেন, ‘১২০ টাকা দিয়ে এখন চাল-ডালও কেনা যায় না। মাছ-মাংস তো আমরা খেতেই পারি না। আজকাল সবজিও কিনতে পারছি না। আর সংসারের বাকি খরচ তো রইলোই।’
আক্ষেপ করে বলেন, ‘দেশে সবকিছুর দাম বাড়ছে। কিন্তু আমাদের মজুরি বাড়ছে না। আমরা কি মানুষ না?’
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আমরা গত ৮ আগস্ট থেকে আন্দোলন করে আসছি। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি দাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার চা বাগানগুলোর মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করে বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর। কিন্তু মালিকপক্ষের কেউ বৈঠকে আসেননি। এতে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। ফলে শনিবার সকাল ৬টা থেকে দেশের সবগুলো চা বাগানের শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে এই চা শ্রমিক নেতা বলেন, ‘১২০ টাকা মজুরি দিয়ে কী হয়? মালিকপক্ষ বলে, তারা শ্রমিকদের রেশন দেয়। কী রেশন দেয়? শুধু আটা দেয়। আমাদের এগ্রিমেন্টে বলা আছে যে, ছয় মাস চাল, ছয় মাস আটা দেবেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিও রাখেন না। মাত্র ১২০ টাকা দিয়ে খাবার, চিকিৎসা, বাচ্চাদের লেখাপড়া কীভাবে সম্ভব?
৩০০ টাকা মজুরি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান রাজু গোয়ালা।
এ বিষয়ে চা বাগান মালিকপক্ষের বক্তব্য জানতে বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
শ্রম দপ্তরের শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাজ বন্ধ করে শ্রমিকেরা আন্দোলনে গেলে মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষেরই ক্ষতি হবে। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে একটা সমঝোতা বৈঠক করেছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ২৮ আগস্ট তাদের সঙ্গে বসতে সময় চেয়েছেন। আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখতে বলেছেন। কিন্তু চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সেটা মানেনি।’
এভাবে ভরা মৌসুমে হুট করে ধর্মঘট ডাকা আইনের পরপন্থী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন:খুলনা মহানগরীতে এক ইজিবাইকচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আলীর ক্লাব এলাকার দারুস সালাম মসজিদসংলগ্ন পরিত্যক্ত জমি থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
১৮ বছর বয়সী নিহতের নাম মো. নয়ন শেখ। তিনি ওই একই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ হাসান মৃধা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তার মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের পরিচয় তদন্ত না করে প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:শ্রাবণের বাতাসে দোল খাওয়া সোনালি আউশ ধান সংগ্রহে ব্যস্ত কৃষকরা। প্রথমবারের মতো জমিগুলোতে ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকদের পরিবারে বইছে আনন্দের ঢেউ।
বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুরের জমিতে শুক্রবার এ চিত্র দেখা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর বুড়িচং উপজেলায় আউশ আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ২১০ হেক্টর জমিতে। পতিত জমিতে আউশ আবাদ বৃদ্ধির নানা কার্যক্রমের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
তা ছাড়া প্রায় প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে প্রচলিত ব্রি ধান-৪৮-এর চেয়ে অধিক ফলনশীল ব্রি ধান-৮২, ব্রি ধান ৯৮ ও বিনা ধান-২১-এর বীজ। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিঘাপ্রতি ১৬ থেক ১৭ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে এসব ধান থেকে। তাই এ বছর আউশে বাম্পার ফলন প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় কৃষক আবদুল হান্নান বলেন, ‘আগে একটা ফসল পাইতাম। এহন ধানসহ তিনডা (তিনটি) ফসল পাই। কৃষি অফিস আমডারে দেহাশুনা করে। এই সাহসে ধান লাগাইছি। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া, ভালা ধান পাইছি।’
কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পানির ব্যবস্থাডা ঠিক থাকলে এহন থাইক্কা প্রতি বছরই তিনবার ধান পামু। একবার তিল সরিষা চাষ করমু।’
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ‘পাহাড়পুর ও বেলবাড়ি এলাকায় আড়াই শ বিঘা জমিতে মাত্র একবার ফসল হতো। এখন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় কৃষকরা এই জমিতে ধানসহ তেলজাতীয় ফসলও (তিল, সরিষা) পাচ্ছেন। নিঃসন্দেহে এই এলাকার জন্য এই ফসল সুফল বয়ে আনবে।’
উপজেলার সীমান্তবর্তী আনন্দপুর ও বেলবাড়ি এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লায় মাঠ দিবসের আয়োজন করে। প্রথমবারের মতো চাষ করা আউশের জমি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে ও কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসানসহ আরও অনেকে।
পতিত জমিতে আউশ আবাদ বৃদ্ধি কার্যক্রমটির পরিকল্পনা ও সমন্বয়কারী অতিরিক্ত কৃষি অফিসার বানিন রায় অতিথিদের বেলবাড়ি মাঠে প্রথমবারের মতো চাষ হওয়া ৭০ বিঘা জমির আউশের মাঠ ঘুরে দেখান।
কৃষিবিদ বানিন রায় স্থানীয় কৃষকদের পক্ষে পাগলি খালের ওপর স্লুইচ গেট ও খালের পার ঘেঁষে উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য রাস্তার দাবি জানান। এ দাবি বাস্তবায়িত হলে মাঠের ২০০ বিঘা জমিতে দুই ফসলের পরিবর্তে চার ফসল ও ৫০ বিঘা জমিতে বছরব্যাপী সবজি চাষ সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
পাহাড়পুর গ্রামের বেলবাড়ি মাঠে আউশ আবাদ বৃদ্ধির কার্যক্রমটি ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বুড়িচং দ্বারা বাস্তবায়িত। ব্রি কুমিল্লার গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদারকরণ কর্মসূচির আওতায় এর আগে ৪০ জন কৃষককে ব্রি ধান ৪৮ ও ব্রি ধান ৯৮ জাতের বীজ সহায়তা, ব্রি হাইব্রিড ধান ৭ জাতের ২টি প্রদর্শনী, ৬০ বিঘা জমির ২০ কেজি করে ইউরিয়া সার ও ৫৪ জন কৃষকের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সব কার্যক্রম তদারকি করেন উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. সাহেদ হোসেন।
মাঠ দিবসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন, বিএডিসি সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বুড়িচং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ছামিউল ইসলাম, ব্রি এর বিজ্ঞানীসহ দুই শতাধিক কৃষক-কিষানি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রশিদ।
আরও পড়ুন:নাটোরের সদরে দিনমজুর এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার কালিকাপুর আমহাটি এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে শনিবার সকাল ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৩২ বছরের নুরসাদ প্রামাণিক কালিকাপুরের রুপচান প্রামাণিকের ছেলে।
পরিবারের বরাতে পরিদর্শক জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বের হন নুরসাদ। রাতে বাসায় ফিরতে দেরি করায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করলেও তার সন্ধান মেলেনি।
শনিবার সকালে স্থানীয়রা আমহাটি এলাকায় রেললাইনের পাশে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মরদেহের মাথায় জখম রয়েছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
আরও পড়ুন:বরিশালের সন্ধ্যা নদীতে বাল্কহেড ডুবির চার দিন পর নিখোঁজ সুকানির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শুক্রবার বিকেলে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে নদীর খেজুরবাড়ি পয়েন্ট থেকে নিখোঁজ কালামের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলম চৌধুরী নিউজবাংলাকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত সুকানি মিলন হাওলাদার পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের নান্দুহার গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।
ওসি বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মিলনের খোঁজে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডে তল্লাশি চালায়। বিকেল ৪টার দিকে বাল্কহেডের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।’
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার রাত ৯টার দিকে উজিরপুরের মীরের হাটসংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘এমভি মর্নিং সান-৯’ লঞ্চে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায় বালুবাহী বাল্কহেডটি। এতে নিখোঁজ হন শ্রমিক কালাম ও সুকানি মিলন।
বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেটে যায় লঞ্চের তলাও। পরে লঞ্চটিকে উজিরপুরের বড়াকোঠা ইউনিয়নের চৌধুরীর হাট ঘাটে নোঙর করা হয়।
ঘটনার পর লঞ্চের যাত্রী জিয়াউর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা লঞ্চের ছাদে ছিলাম। লঞ্চটিও দ্রুতগতিতে চলছিল। এর মধ্যে দেখতে পাই আড়াআড়িভাবে আসা বালুবাহী একটা বাল্কহেড থেকে সেটার মাস্টার লাইট মেরে সিগন্যাল দিচ্ছিলেন।
এ সময় লঞ্চ ও বাল্কহেডটি প্রায় একই গতিতে চলছিল জানিয়ে এই যাত্রী বলেন, ‘একপর্যায়ে বাল্কহেডটি লঞ্চের মাঝখানে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।’
পরদিন মঙ্গলবার সকালে বানারীপাড়া উপজেলাধীন সন্ধ্যা নদীর খেজুরবাড়ি পয়েন্ট থেকে ৫৫ বছরের কালাম সাইজুদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য