× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The use of motorcycles in the country is still very low
google_news print-icon

দেশে মোটরসাইকেলের ব্যবহার এখনও অনেক কম

দেশে-মোটরসাইকেলের-ব্যবহার-এখনও-অনেক-কম
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পারাপারের অপেক্ষায় মোটরসাইকেল। পরে অবশ্য সেতুতে নিষিদ্ধ করা হয় এই বাহন। ফাইল ছবি
বাংলাদেশে এখন প্রতি ৫৪ জনে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন একজন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ হার প্রতি ২০ জনে একজন। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় প্রতি চারজনে একজন।

সড়কে যানজট, দুর্ঘটনা কিংবা ট্রাফিক নিয়ম ভাঙার প্রশ্ন এলেই ‘যত দোষ, নন্দ ঘোষের’ মতো দায় চাপানো হয় মোটরসাইকেলের ওপর। অনেকেই মনে করছেন, সড়কে মোটরসাইকেলের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। অনেকে পরামর্শ দিচ্ছেন, দুই চাকার বিশেষায়িত বাহনটির বিক্রি ও চলাচল সীমিত করা হোক।

সম্প্রতি পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের প্রথম দিন একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা সম্প্রতি অনেক বেড়েছে। তবে প্রতিবেশী দেশসহ অন্য অনেক দেশের তুলনায় এ দেশে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখনও অনেক কম। সার্বিকভাবে এর উৎপাদন ও বিক্রিও তুলনামূলকভাবে কম।

জাপানের বহুজাতিক মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড ইয়ামাহার পরিচালিত এক বাজার জরিপ তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন প্রতি ৫৪ জনে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন একজন। অর্থাৎ এক শতাংশেরও নিচে। পাঁচ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল প্রতি ১৬১ জনে মাত্র একজন। অথচ মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর দিক থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ হার প্রতি ২০ জনে একজন। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় প্রতি চারজনে একজন। অর্থাৎ ভারতে ৫ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় ২৫ শতাংশ লোক মোটরসাইকেল ব্যবহার করে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) পরিচালিত গবেষণার তথ্যমতে, ভিয়েতনামে প্রতি ১ হাজার মানুষের বিপরীতে মোটরসাইকেল আছে ৩৫৮টি। এর বিপরীতে বাংলাদেশে প্রতি ১ হাজার মানুষের জন্য মোটরসাইকেল আছে মাত্র ৭টি।

বাংলাদেশে মোটরসাইকেল বিক্রির বার্ষিক পরিমাণও অনেক কম। ইন্দোনেশিয়ায় বছরে ৩৮ লাখ, ভিয়েতনামে ২৮ লাখ, পাকিস্তানে ২০ লাখ ও থাইল্যান্ডে ১৫ লাখ মোটরসাইকেল বিক্রি হয়। এর বিপরীতে বাংলাদেশে এ সংখ্যা এখনও ৬ লাখের কম।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে মোটরসাইকেলের ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্থানীয় উৎপাদনও। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৫ বছরে এখানে ব্যবহারকারী বেড়েছে প্রায় তিন গুণ (২ দশমিক ৯৮ গুণ)।

এই সময়ে চাহিদার ওপর দাঁড়িয়ে মোটরসাইকেলের স্থানীয় বাজারে বৈপ্লবিক অগ্রগতি হয়েছে। এখন দেশে সর্বনিম্ন ৭৭ হাজার টাকা থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে প্রায় সব ব্র্র্যান্ডের যেকোনো মডেলের মোটরসাইকেল পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চলতি বছরের মে মাসের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে এখন নিবন্ধিত মোটরসাইকেল আছে ৩৭ লাখ ১ হাজার ৭৮৬টি। এর মধ্যে শুধু ঢাকায় আছে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ১৩০টি।

সর্বশেষ আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ২৩ লাখের হিসাব আমলে নিলেও দেশে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর উল্লিখিত তথ্যের প্রমাণ মিলবে।

সম্প্রতি দেশে ভাড়ায় চালিত অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেল বৃদ্ধির কারণে এর ক্রয়-বিক্রয় এবং নিবন্ধনের হারও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। নিবন্ধিত প্রায় ৩০ লাখ মোটরসাইকেলের মধ্যে ২৫ শতাংশ চলাচল করছে ঢাকায়। চলতি বছরের মে পর্যন্ত ঢাকায় মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়েছে ৫২ হাজার ১২৪টি এবং সারা দেশে ২ লাখ ৮৮১টি।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, বিআরটিএর নিবন্ধন ছাড়াও দেশে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন অনেক মানুষ। এ সংখ্যা কম করে হলেও লাখ পাঁচেক হতে পারে।

বিআরটিএর কর্মকর্তারা জানান, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত সকল মোটরসাইকেল সচল আছে, এমন মনে করা যাবে না। সাধারণত মোটরসাইকেলের গড় আয়ুষ্কাল ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরা হয়। সেই বিবেচনায় একটা সময় পর তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তা ছাড়া নানা কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েও মোটরসাইকেল ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে সার্বিকভাবে ব্যবহারে প্রবৃদ্ধি থাকলেও সড়কে মোটরসাইকেল এখনও অনেক কম।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক হাদিউজ্জামান মনে করেন, উন্নত গণপরিবহন ছাড়া মোটরসাইকেলের ব্যবহার কমানো কঠিন। তবে মোটরসাইকেলের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

দেশে মোটরসাইকেলের ব্যবহার এখনও অনেক কম
ঈদের সময় ফেরিতে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে মোটরসাইকেল। ফাইল ছবি

স্ববিরোধী অবস্থানে সরকার

একদিকে মোটরসাইকেলের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে দেশে এর উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর তৎপরতা চলছে। শিল্প মন্ত্রণালয় চায় প্রতি বছর ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হারে মোটরসাইকেল উৎপাদন বাড়াতে। এভাবে ২০২৭ সালের মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বছরে ১০ লাখ ইউনিটে নিয়ে যেতে চায় সরকার। অপরদিকে এ খাতটির অগ্রগতি নিরবচ্ছিন্ন করতে বাজেটে নানাভাবে নীতিসহায়তা দিয়ে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অথচ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সড়কে বাহনটির অবাধ চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে দেশে মোটরসাইকেল শিল্পের সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত করছে।

দেশে ভারতের হিরো ও জাপানোর হোন্ডা ব্র্যান্ডের পরিবেশক ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ নিউজবাংলাকে বলেন, মোটরসাইকেল মোটেও বিলাস পণ্য নয়, বরং দ্রুত সময়ে সবার গন্তব্যে পৌঁছানোর নিরাপদ ও অত্যাবশ্যকীয় বাহন। তাই মোটরসাইকেলের প্রতি মানুষের আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে এবং চাহিদা বাড়ছে। বৈশ্বিক বাস্তবতা ও সময়ের এই চাহিদার কারণে চাইলেই এটির চলাচল বন্ধ করা যাবে না। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্তকে তিনি সাময়িক বলেও মনে করেন।

১০ কোম্পানির বিনিয়োগ

বর্তমানে দেশে সর্বনিম্ন ৮০ সিসি থেকে সর্বোচ্চ ১৬০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন ফোর স্ট্রোক ও টু স্ট্রোক মোটরসাইকেল স্থানীয়ভাবে বাজারজাত হচ্ছে। এ খাতে বাজার ধরতে এখন পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ১০ কোম্পানি বিনিয়োগে নেমেছে। এদের সম্মিলিত বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ২০ হাজার লোকের।

কোম্পানিগুলো যার যার সক্ষমতা অনুযায়ী ইতোমধ্যে দেশে মোটরসাইকেলের একটা স্থায়ী বাজার তৈরি করেছে। এখন চেষ্টা সেই বাজার অংশীদারত্বকে আরও বড় করার। এ জন্য ক্রেতা আকৃষ্ট করতে মোটরসাইকেলে যুক্ত করা হচ্ছে নিত্যনতুন প্রযুক্তি। মোটরসাইকেলের মডেল, ডিজাইন ও সিসিতে আনা হচ্ছে পরিবর্তন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অটোমোবাইল অ্যাসেম্বলার অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও দেশীয় ব্র্যান্ড ‘রানার’-এর উদ্যোক্তা হাফিজুর রহমান খান নিউজবাংলাকে বলেন, এখন পর্যন্ত দেশে মোটরসাইকেল শিল্পের যে অগ্রগতি, সেটি সরকারের নীতি সহায়তার ওপর ভর করেই হয়েছে।

মোটরসাইকেলের বাজার কত বড়

বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএএমএ) তথ্যমতে, ২০১৭ সালে দেশে প্রতিদিন ১ হাজারের বেশি মোটরসাইকেল বিক্রি হতো। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫২৩টিতে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে এর বাজার ছিল ৪ হাজার কোটি টাকার। সেটি ২০১৯ সালে বেড়ে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

সংগঠনটির তথ্যমতে, ২০১৪ সালে দেশে সবকটি ব্র্যান্ড মিলে মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার ইউনিট। ২০১৮ সালে সেই বিক্রি বেড়ে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ ইউনিটে দাঁড়ায়। আর ২০১৯ সালে এসে এই বিক্রি দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ ইউনিট।

এর মধ্যে বাজার অংশদারত্বের হিসাব অনুযায়ী ভারতীয় ব্র্যান্ড বাজাজের একক অংশীদারত্ব ছিল ৫৩ শতাংশ এবং টিভিএসের ১২ শতাংশ। এ ছাড়া ভারতীয় ও জাপানি ব্র্যান্ড হিরো হোন্ডার ১৫ শতাংশ এবং দেশীয় ব্র্যান্ড রানারের ৮ শতাংশ। বাকি ১২ শতাংশের বাজার ছিল দেশীয় ও বিদেশি অন্য ব্র্যান্ডগুলোর। তবে বাজার অংশীদারত্বে ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ইয়ামাহা, সুজুকি ও মাহেন্দ্রাও।

আরও পড়ুন:
মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবকের মৃত্যু
ঈদযাত্রায় বাইকের মুভমেন্ট পাস মিলবে যেভাবে
নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ফেরিতে বাইকারদের ভিড়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Governments commitment to protect human rights reiterated

মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত জেনেভায় মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তার্ক-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: নিউজবাংলা
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তার্ক-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সরকারের কার্যকর উদ্যোগের ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার অনেক কমেছে। তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যও সরকার তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে কাজ করছে।

বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও প্রসারে জাতিসংঘের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে সরকার।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তার্ক-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে আইনমন্ত্রী হাইকমিশনারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তার অফিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন।

সরকারের কার্যকর উদ্যোগের ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার অনেক কমেছে বলে আইনমন্ত্রী হাইকমিশনারকে জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার এই আইনের অপব্যবহার বন্ধের ব্যাপারে সজাগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এ সংক্রান্ত আইনের গুড প্রাকটিস নিয়ে সরকার আলোচনা করছে। আইনটি নিয়ে সরকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও পরামর্শ করছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকার তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি প্রস্তাবিত আইনের একটি খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। আইনটি নিয়ে সরকার অংশীজনদের নিয়ে পরামর্শ করছে।

বৈঠকে হাইকমিশনার জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের পঁচাত্তর বছরপূর্তি উপলক্ষে তার অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

আইনমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা সফল করতে জাতিসংঘের অধিকতর শক্তিশালী ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

বৈঠকে জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. সুফিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
অনেকে না জেনেই মানবাধিকারের ছবক দেন: আইনমন্ত্রী
নাগরিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা কমেছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার ভঙ্গ সরকারের: সুলতানা কামাল
দেশে গুম কি কমছে
জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধানের উদ্বেগের দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sculptor Shamim Shikder passed away

ভাস্কর শামীম শিকদার মারা গেছেন

ভাস্কর শামীম শিকদার মারা গেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাস্কর শামীম শিকদার। ছবি: সংগৃহীত
ঢাবির চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক শামীম শিকদার ১৯৯০ সালে টিএসসিতে 'স্বোপার্জিত স্বাধীনতা' এবং ফুলার রোড এলাকায় 'স্বাধীনতা সংগ্রাম' নির্মাণ করেন। 

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাস্কর শামীম শিকদার মারা গেছেন।

রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্বামী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

বাংলাদেশী ভাস্কর শামীম সিকদারের জন্ম ১৯৫২ সালে। তিনি একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের একজন অধ্যাপক ছিলেন। তিনি সিমেন্ট, ব্রোঞ্জ, কাঠ, প্লাস্টার অব প্যারিস, কাদা, কাগজ, স্টিল ও গ্লাস ফাইবার মাধ্যমে কাজ করেন। প্রখ্যাত কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা সিরাজ সিকদার তার আপন বড় ভাই।

ঢাবির চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক শামীম শিকদার ১৯৯০ সালে টিএসসিতে 'স্বোপার্জিত স্বাধীনতা' এবং ফুলার রোড এলাকায় 'স্বাধীনতা সংগ্রাম' নির্মাণ করেন।

এর আগে ১৯৭৪ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।

২০০০ সালে শামীম শিকদার একুশে পদক পান। তার স্বামীর নাম জাকারিয়া চৌধুরী, যিনি একজন কবি । তাদের দুই কন্যা সন্তানের নাম সুইটি ও শান্তি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shakib is the brand ambassador of Biman

বিমানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব

বিমানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি
কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে ব্র্যান্ডিং ইস্যুতে সাকিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে বিকেলে সাকিব বলাকায় পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। তার সৌজন্যে কেকও কাটা হয়।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ বিষয়ে বিমান ও সাকিবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে ব্র্যান্ডিং ইস্যুতে সাকিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকারের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, বিমানের পরিচালকবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে সাকিব আল হাসান বলাকায় এলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় সাকিবের সৌজন্যে একটি কেক কাটা হয়।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাকিব আল হাসান বিমান নিয়ে তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন। বলেন, ‘শৈশবে খেলার মাঠে মাথার উপর দিয়ে বিমান উড়ে গেলে এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করত।

‘বিমানের অসংখ্য ভালো দিক আছে। এগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে পারলে বিশ্বের অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বিমানের সক্ষমতা বাড়বে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ইস্যুতে বিমান কখনও আপোষ করে না। এ ধরনের ইতিবাচক বিষয়গুলো প্রচার হওয়া দরকার।’

মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বিমানের ব্র্যান্ডিং ও খেলাধুলা বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সাকিব আল হাসানকে ধন্যবাদ জানান।

শফিউল আজিম বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের কার্যক্রম আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা সততা, দক্ষতা ও উন্নত সেবার মাধ্যমে এভিয়েশন খাতে বিমানকে সুপ্রিতিষ্ঠিত করতে একযোগে কাজ করব।’

বিমান জানায়, সাকিব আল হাসান এক সময় বিমান ক্রিকেট টিমের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক চারজন সদস্য বর্তমানে বিমানে বিভিন্ন পদে কর্মরত। বিশ্ববিখ্যাত গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ, ১৬ বার জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিনেস বুকে নাম লেখানো জোবেরা রহমান লিনু এক সময় বিমানের হয়ে খেলতেন।

আরও পড়ুন:
পড়াশুনায় সর্বোচ্চ সার্টিফিকেট পাওয়ার স্বপ্ন সব সময়ই ছিল: সাকিব
সাকিবকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা হচ্ছে: বিসিবি
সাকিব আমাকে মারতে এসেছিল, কিছু বলিনি: ব্যারিস্টার সুমন
সাকিবকে দুবাইয়ে নিমন্ত্রণ জানানো আসামিকে নিয়ে কী জানা গেল
হঠাৎ বলাকায় সাকিব, কাটলেন কেকও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arab not arrested in Dubai Minister of State for Foreign Affairs

দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হননি আরাব: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হননি আরাব: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দুবাইয়ে থাকা পলাতক আসামি আরাব খান। ছবি: সংগৃহীত
শাহরিয়ার আলম বলেন, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান পালিয়ে থাকতে পারবেন না। আমি এটুকুই বলতে পারি যে, বাংলাদেশের আসামি কোনো বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে পালিয়ে থাকতে পারবে না। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুবাইয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হননি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ।

মঙ্গলবার দেশের একাধিক গণমাধ্যমে দুবাইয়ে আরাভ খানের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

শাহরিয়ার আলম বলেন, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান পালিয়ে থাকতে পারবেন না। আমি এটুকুই বলতে পারি যে, বাংলাদেশের আসামি কোনো বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে পালিয়ে থাকতে পারবে না। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুবাইয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।

আরাবকে নিয়ে আলোচনার শুরু যেখান থেকে

পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলাম আলোচনায় আসেন মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোল্ড জুয়েলারি শপ ‘আরাব জুয়েলার্স’ উদ্বোধন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ আলোচনা শুরু হয়। শপটির লোগো বানানো হয় ৬০ কেজি সোনা দিয়ে।

আরাবের এই জুয়েলারি শপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সাকিব আল হাসানের ভিডিওবার্তার পর বিষয়টি নজরে আসে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)।

সে সময় ডিবি মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘পুলিশ পরিদর্শককে হত্যা মামলার চার্জশিট হয়েছে অনেক আগেই। রবিউল চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি। জুয়েলারি শপ উদ্বোধনের ঘোষণার পর আইডেন্টিফাই করি, যে ব্যক্তি আরাব খান নামে আইডিটি পরিচালনা করছেন, তিনি পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তার ভারতীয় একটি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট আমাদের কাছে রয়েছে।’

রবিউলকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজিব আল মাসুদ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমরা তাকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিলাম। দুবাইতে তিনি অবস্থান করছেন, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে এখন আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেব।’

ফেরারি আসামি আরাব খানের মালিকানাধীন আরাব জুয়েলার্স উদ্বোধন হয় ১৫ মার্চ রাতে। দুবাইয়ে নিউ গোল্ড সোক হিন্দ প্লাজার ৫ নম্বর ভবনের ১৬ নম্বর দোকানটি তার।

সর্বশেষ সোমবার দুবাইয়ে থাকা আরাবের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন গ্রহণের কথা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
আরাবকে ফেরাতে ইন্টারপোলকে চিঠি
দুবাইয়ে খুনের আসামির বিষয়ে সাকিবকে কোন মাধ্যমে জানিয়েছিল পুলিশ
প্রয়োজনে সাকিব, হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ: ডিবি
সাকিবকে দুবাইয়ে ডাকা আরাবের বিরুদ্ধে ১২ মামলার খোঁজ
সাকিবকে দুবাইয়ে নিমন্ত্রণ জানানো আসামিকে নিয়ে কী জানা গেল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Ministers call again not to keep the land uncultivated

জমি অনাবাদি না রাখতে ফের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

জমি অনাবাদি না রাখতে ফের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সভাকক্ষে মঙ্গলবার একনেক-এর সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে এখনও অনেক জমি অলস পড়ে থাকে। সেসব জমি চাষের আওতায় আনতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি ঘের মালিকদের প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে।’

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং এর যথাযথ সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বিদেশে রপ্তানি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি ডাল, পেঁয়াজ ও সরিষার আবাদ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সংশ্লিষ্টদের গভীর মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, কোনো জমি যেন অলস পড়ে না থাকে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সভাকক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এসব নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, ‘কোনো জমি অলস না রেখে চাষের আওতায় আনার ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, সিলেট অঞ্চলে এখনও অনেক জমি অলস পড়ে থাকে। চাষাবাদ হচ্ছে না। সেসব জমি চাষের আওতায় আনতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উপকূলীয় অঞ্চলের চিংড়ি ঘের মালিকদের প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেন। বলেন, ঘের মালিকরা যেন ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে এবং ঘের থেকে বালু পরিষ্কার করতে পারে।

এছাড়া তিনি বিদেশি জাতের মাছের পরিবর্তে স্থানীয় জাতের মাছ চাষে বেশি মনোযোগ দেয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী যেকোনো প্রকল্পে ‘দারিদ্র্য বিমোচন’ শব্দটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার আপত্তির বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়ন শব্দটি বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে কোনো প্রকল্পের অধীনে কেবল অবকাঠামো নির্মাণ করাটাই সব সময় বুদ্ধিমানের কাজ নয়। জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য অবকাঠামো ও ভবনের অধীনে মেশিনারিজ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জনবল তৈরি এবং তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের দরকার রয়েছে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারি প্রকল্পে আমদানি করা যানবাহনের পরিবর্তে প্রগতি থেকে স্থানীয়ভাবে সংযোজিত যানবাহন ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেন।

উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগের প্রবণতা কমানো এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিজ সংস্থার নিয়মকানুন মেনে চলারও নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।

দেশের বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। মার্চে সেটি আরও বাড়তে পারে। তবে বোরোর বাম্পার ফলন হলে বৈশাখ থেকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।’

মান্নান বলেন, বাংলাদেশের মতো অর্থনীতিতে পণ্যের প্রবাহ মসৃণ নয়। এখানে কিছু অজানা ও অদৃশ্য সমস্যা রয়ে গেছে। আমাদের মতো ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

‘আমি মনে করি, বর্তমানে সার্বিক অর্থনীতি আগের তুলনায় অনেক ভাল। রেমিটেন্স, রপ্তানি ও কৃষি ফলনের অবস্থা যেভাবে আছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’

আসন্ন রমজানে মূল্যস্ফীতি কমানোর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে একসঙ্গে বেশি করে পণ্য কেনার প্রবণতা থাকে। আর তা ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার সুযোগ তৈরি করে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রবণতা রোধ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।’

মন্ত্রী জানান, সম্প্রতি ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধন করায় একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়। দুই প্রতিবেশী দেশ ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে ভারত থেকে পেট্রোলিয়াম বিশেষ করে ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া: প্রধানমন্ত্রী
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষম সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থাকায় বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার: প্রধানমন্ত্রী
জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
World community should take steps to end war in Ukraine PM

বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
‘আমরা এটি অনুসরণ করছি, তাই যখন আমরা কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘন বা আক্রমণ দেখি, আমরা অবশ্যই এর বিরোধিতা করি। যুদ্ধ এক পক্ষের দ্বারা সংঘটিত হতে পারে না, উভয় পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জোরালো পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। অব্যাহত এই যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ক্যাবল নিউজ নেটওয়ার্ক (সিএনএন) টিভিকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব মঙ্গলবার সকালে সম্প্রচার হয়েছে এবং দ্বিতীয় অংশটি রাতে প্রচারিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘আমি মনে করি যে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এই যুদ্ধ (ইউক্রেনে) বন্ধ করতে বিশ্বের এগিয়ে আসা উচিত।’

যুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে কোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাস করি আমরা। কোনো বিরোধ থাকলে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। আমরা কখনই কোনো ধরনের আগ্রাসন বা কোনো সংঘর্ষকে সমর্থন করি না।’

তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বিখ্যাত সাংবাদিক রিচার্ড কোয়েস্টের নেয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা ইউক্রেনের যুদ্ধ, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং ঋণ দেয়ার মাধ্যমে চীনের সৃষ্ট মরণফাঁদ ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে অনেক প্রশ্নের জবাব দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এটি অনুসরণ করছি, তাই যখন আমরা কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘন বা আক্রমণ দেখি, আমরা অবশ্যই এর বিরোধিতা করি। যুদ্ধ এক পক্ষের দ্বারা সংঘটিত হতে পারে না, উভয় পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি দেশের নিজস্ব ভূখণ্ডে (স্বাধীনভাবে) বসবাস করার এবং তাদের নিজস্ব অঞ্চল রক্ষার অধিকার রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তার দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সমর্থন করে এমন প্রতিটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বাড়ছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সকলের কাছাকাছি, চীন, যুক্তরাষ্ট্র বা ভারত। যারা আমাদের উন্নয়নে সহযোগিতা করছেন, আমরা তাদের সঙ্গে আছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার। তারা বিনিয়োগ করছে এবং কিছু নির্মাণকাজ করছে, ‘এটিই মূল কথা।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা কারো ওপর নির্ভরশীল নই।’

চীন থেকে ঋণ নেয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক। আমরা বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে বেশিরভাগ ঋণ নিয়ে থাকি। চীন থেকে আমাদের ঋণ খুবই কম। এটা শ্রীলঙ্কা বা অন্য কারো মতো নয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অকারণে সরকার কোনো ঋণ বা কোনো মেগা প্রকল্প নেয় না। কোনো মেগা প্রকল্প বা ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করি কোন প্রকল্প থেকে আমরা রিটার্ন পেতে পারি এবং আমরা সুবিধাভোগী হব।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বাংলাদেশের কী প্রয়োজন জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, তারা যেন তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ দেয়। শুধু তাই নয়, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপও শুরু করেছি। দুর্ভাগ্যক্রমে, তারা সঠিকভাবে সাড়া দিচ্ছে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ইতিমধ্যে চীন, আসিয়ান দেশ, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সাথে কথা বলেছে এবং মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে দেশটির ওপর চাপ দেয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করেছে।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, মিয়ানমার সরকার কারো কথাই শুনছে না। এটাই সমস্যা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশি (এক কোটি) মানুষের প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় দেওয়ার কথা বিবেচনা করে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা (১২ লাখ) বাংলাদেশের জন্য একটি ‘বড় বোঝা’ হয়ে উঠছে। কারণ দেশটিতে অতিরিক্ত জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের (রোহিঙ্গাদের) খাওয়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে তাদের (রোহিঙ্গাদের) খাওয়াতে হবে। আমাকে তাদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষম সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থাকায় বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার: প্রধানমন্ত্রী
জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
When the fast starts is decided on Wednesday

রোজা শুরু কবে, বুধবার জানা যাবে

রোজা শুরু কবে, বুধবার জানা যাবে প্রতীকী ছবি
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে এই বৈঠক হবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে।

১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য বৈঠকে বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে এই বৈঠক হবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তাতে জনাতে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ফোন নম্বরগুলো হলো- ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬, ০২-৪১০৫০৯১৭।

আরও পড়ুন:
রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়, যা জানা দরকার
রোজার শুরুতে সামান্য বাড়তে পারে গরম
ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, যা জানা জরুরি

মন্তব্য

p
উপরে