টানা কয়েক বছরের চেষ্টাতেও নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে কোরবানিতে উদ্বুদ্ধ করতে না পারায় হতাশ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তবে ব্যতিক্রম রাজধানীতে মিরপুর-৭ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত প্যান্ডেলে ছয় হাজার পশু কোরবানি হয়েছে। এই ওয়ার্ডের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন তিনি।
রাস্তার বদলে বাসার ভেতরে বা পাড়া-মহল্লায় একটি নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেয়ার অনুরোধ করেছেন মেয়র। এলাকাবাসী একটি জায়গা ঠিক করে করপোরেশনকে জানালে প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন আতিকুল।
ঈদের পর দিন সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন মেয়র।
কয়েক বছর ধরেই রাজধানীবাসীকে যেখানে সেখানে কোরবানির বদলে একটি নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের অনুরোধ করে আসছে নগর কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছু এলাকা নির্দিষ্ট করে দিয়ে করপোরেশনের খরচে মাংস বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য প্যান্ডেল স্থাপন, সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
মেয়র বলেন, ‘আমরা এ বছর তিনটি জায়গায় প্যান্ডেল করেছিলাম। একটি ছিল বারিধারায়, একটি ছিল নিকুঞ্জতে, বাকি সাতটি ছিল মিরপুর সাত নম্বর ওয়ার্ডে। বারিধারার প্যান্ডেলে মাত্র ১৩টি গরু কোরবানি হয়েছে, নিকুঞ্জতে প্রায় ২০টির মতো গরু কোরবানি হয়েছে।’
তবে মিরপুরের সাত নম্বর ওয়ার্ডবাসীতে মুগ্ধ হয়েছেন আতিকুল। বলেন, ‘সেখানে সাতটি প্যান্ডেলে প্রায় ৬ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে।’
ওয়ার্ডবাসীর এই এগিয়ে আসায় তাদের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের ঘোষণাও দেন মেয়র। বলেন, ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজ করার জন্য সাত নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ কোটি টাকার রাস্তার জন্য বরাদ্দ করা হবে। বিশেষ পুরস্কার পাবে তারা।’
এবার কেবল তিন জায়গায় প্যান্ডেল করার কারণও জানান মেয়র। বলেন, ‘আমরা গতবার ৫৪টা ওয়ার্ডে প্যান্ডেল করেছিলাম। এতে জনগণ সেভাবে সাড়া দেয়নি।
‘ঐতিহ্যগতভাবে আমরা কোরবানি যার যার বাসার সামনে দিই। আপনি কোরবানি দিন কিন্তু রাস্তার ওপরে কেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করব কোরবানি বাসার ভেতরে দিন, অথবা পাড়া-মহল্লায় নিজের একটা জায়গা করে নিন। আমাদের সঙ্গে আসুন, বসুন, আমাদের সঙ্গে আলাপ করুন প্যান্ডেলের সকল দায়িত্ব আমরা নেব। কিন্তু আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে যে আপনার ওই প্যান্ডেলের নিচে কোরবানি দেবেন।’
হবে আধুনিক জবাইখানা
আরেক প্রশ্নে আতিকুল জানান, গাবতলী হাটের পাশে একটি আধুনিক জবাইখানা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জবাইখানা আমরা সেভাবে ডেভেলপ করতে পারি নাই। জবাইখানা নিয়ে আমার চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে বলেছি, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে বলেছি, আমাদের মিরপুরে গাবতলী হাটের পাশে কীভাবে একটি আধুনিক জবাইখানা তৈরি করা যায়। ঈদের পর থেকে এটা নিয়ে কাজ শুরু করব।’
মোহাম্মদপুর, মিরপুরের জবাইখানাকে সেকেলে উল্লেখ করে সেগুলোরও উন্নয়নের কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন, গাবতলী পশুর হাটের পাশেই আধুনিক জবাইখানা করতে। এটি আমার জন্য বড় একটি দায়িত্ব হয়ে গেছে। এটির ওপর সর্বোচ্চ ফোকাস দিয়ে কাজ করতে হবে।’
বর্জ্য অপসারণে সাফল্য দাবি
ঘোষণা অনুযায়ী কোরবানির ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এবার পশুর বর্জ্য অপসারণ হয়েছে বলে দাবি করেন মেয়র আতিকুল।
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম ২৪ ঘণ্টায় না, ১২ ঘণ্টায় উত্তর সিটির বর্জ্য অপসারণ করব। আমরা যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম তা নগরবাসীর সহায়তায় গতকাল রাত ১০টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি। এ জন্য করতালি দিয়ে নগরবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘নগরবাসী এগিয়ে আসলে সবই সম্ভব। ঈদের আগের দিন সকাল থেকে ১১টা পর্যন্ত আমরা ৪ হাজার ২৬৭ ট্রিপে মোট ১৯ হাজার ২২৩ টন বর্জ্য অপসারণ করেছি।’
মেয়র বলেন, ‘আমরা সবাইকে নিয়ে আগে ক্যালকুলেশন করেছি প্রতিটি ওয়ার্ডে কী পরিমাণ বর্জ্য হবে, কতগুলো গাড়ি দরকার, কত শ্রমিক দরকার। উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে আমরা ৬ লাখ ৫০ হাজার বর্জ্য পলিব্যাগ দিয়েছি। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি ৩৫ কেজি পর্যন্ত ভার বহন করতে পারবে এই পলিব্যাগ।
‘আমরা ব্লিচিং পাউডার দিয়েছি প্রায় ৬০ টন। স্যাভলন দিয়েছি আনুমানিক ৯০০ ক্যান। একটি ক্যানে পাঁচ লিটার স্যাভলন থাকে। সিটি করপোরেশন থেকে আমরা ৬০০ যানবাহনের ব্যবস্থা করেছিলাম। দিন-রাত তারা কাজ করেছেন।’
রাজধানীতে তিন দিন ধরে কোরবানির যে প্রবণতা আছে, সেটি তৃতীয় দিনে না দেয়ার অনুরোধও করেন আতিকুল। বলেন, ‘আজকেও যারা কোরবানি দিচ্ছেন, কোরবানি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ময়লা নিয়ে যাচ্ছি।
‘আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, আপনারা যারা আগামীকাল কোরবানি দিতে চান, তারা আজকে কোরবানি দিয়ে দিলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়। আমরা নগরটাকে আজকের মধ্যেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারি।’
আরও পড়ুন:রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।
এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।
পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য