× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Call and sell bus tickets
google_news print-icon

ডেকে ডেকে বাসের টিকিট বিক্রি

ডেকে-ডেকে-বাসের-টিকিট-বিক্রি
ঈদের দিন রাজধানী ছাড়তে গাবতলী বাস টার্মিনালের কাউন্টারে যাত্রীরা। ছবি: নিউজবাংলা
ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘ঈদের নামাজ পড়ে মাত্র এসে কাউন্টার খুললাম। সারাদিন ওভাবে যাত্রী হবে না। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত যাত্রী পাব বলে আশা করছি।’

‘এই বরিশাল, পটুয়াখালী, গোপালগঞ্জ, খুলনা। এই রাজবাড়ী, পাংশা…।’ রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে এভাবে যাত্রীদের ডাকছেন বিভিন্ন টিকিট কাউন্টারের লোকজন। অনেকে আবার কাউন্টারের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া যাত্রীদের টেনে ধরে জিজ্ঞাসা করছেন, ‘ভাই কোথায় যাবেন?’

মাত্র এক দিনের ব্যবধানে পাল্টে গেছে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোর চিত্র। শনিবারও যেখানে টিকিকেট জন্য মানুষ হাহাকার করেছেন, সেখানে ঈদের দিনে এভাবেই ডেকে ডেকে যাত্রী জোগাড়ের চেষ্টা করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

গত কয়েক দিনে রাস্তায় নানা ভোগান্তি পার করে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছেড়েছেন লাখো মানুষ। আবার অনেকে নানা কারণে ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে পারেননি। যারা আগে পারেননি তাদের অনেকেই রোববার বাড়ি ফিরছেন।

বরিশালগামী হানিফ পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘ঈদের নামাজ পড়ে মাত্র এসে কাউন্টার খুললাম। সারাদিন ওভাবে যাত্রী হবে না। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত যাত্রী পাব বলে আশা করছি।’

ঈগল পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে এখনো গাড়ি ছাড়ি নাই। কারণ, যাত্রী নাই। কয়েকজন পাইছি, আর কয়েকজন পেলে ট্রিপ ছাড়মু।’

রোববার সকাল থেকে গাবতলীর রাস্তা ফাঁকা। ভোর থেকে ট্রাক, বাস যে যেটা পেয়েছেন তাতে করেই বাড়ি ফিরেছেন।

সকাল থেকে কাউন্টার ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা কাউন্টারে আসা শুরু করছে। সকালে দুই-একটি কাউন্টার খোলা থাকলেও ঈদের নামাজের পর থেকে বেশ কিছু কাউন্টার খুলে।

সাকুরা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা সালাউদ্দিন বলেন, ‘রোজার ঈদে সকালে যাত্রীর চাপ থাকে। কিন্তু এই ঈদে বিকেলে যায় যাত্রীরা। অনেকে কোরবানির মাংস নিয়ে বাড়ি যায়। আবার অনেক সারা দিন কসাইয়ের কাজ করে রাতে গ্রামে যায়। এ কারণে বিকেল থেকে যাত্রী পাওয়ার যাবে।’

দক্ষিণাঞ্চলের বাস সুবর্ণ পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা খোকন চক্রবর্তী বলেন, ‘সকাল ৯টায় রাজবাড়ীর একটা ট্রিপ ছাড়ছি। যাত্রী অর্ধেকেরও কম ছিল। আজকে সারাদিন এরকমই যাত্রী হবে, অল্প অল্প। প্রতি বছরের মতো বিকেলে বাড়তে পারে।’

হানিফ পরিবহনের বাসে বরিশাল যাবেন ফয়সাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘সকালে নামাজ পড়ে বাড়ি যাচ্ছি। আমি একটু অসুস্থ ছিলাম, তাই ভিড়ের মধ্যে যাই নাই। আজকে নিরিবিলি যাচ্ছি।’

কাউন্টারে এসে মাগুরার বাস খুঁজছেন সিরাজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভাবছিলাম এই ঈদে বাড়ি যাব না। পরে বাড়ির মানুষের অনুরোধে যাওয়া লাগতেছে। সকালে নামাজ পড়লাম এলাকার মসজিদে। পরে নাশতা খেয়ে বের হইছি। একটা বাস পেলেই উঠে পড়ব।’

আরও পড়ুন:
ঈদের সকালে বাড়ি ফিরছেন তারা
এবার ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক: তথ্যমন্ত্রী
ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় জনস্রোতে: রেলওয়ে
বাড়তি ভাড়া আদায় সাড়ে ১১ হাজার, জরিমানা ৫০০
যাত্রা বাতিল নয়, চলবে পঞ্চগড় ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Ultra Marathon on Coxs Bazar Marine Drive begins on February 26

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে আলট্রা ম্যারাথন শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে আলট্রা ম্যারাথন শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি ‘কোস্টাল আলট্রা-২০২৫’-এর পোস্টার। ছবি: কোস্টাল আল্ট্রা বাংলাদেশ
কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় বা আলট্রা ম্যারাথন আয়োজনের মাধ্যমে দেশে স্পোর্টস ট্যুরিজমের প্রসার, ভ্রমণপিপাসু মানুষকে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সেই সাথে উপকূলের পরিবেশগত ভারসাম্য ও সমুদ্র তলদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই আলট্রা ম্যারাথনের আয়োজন করছে ‘কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ’। এ ধরনের ইভেন্টের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করাই সংগঠনটির অন্যতম উদ্দেশ্য।”

পর্যটন নগর কক্সবাজারের দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ ধরে আগামী ২০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আলট্রা ম্যারাথন ‘কোস্টাল আলট্রা-২০২৫’।

পরিচ্ছন্ন উপকূলের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন ও সামুদ্রিক ইকোসিস্টেম সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পর্যটন চর্চার বার্তা ছড়াতে এ ম্যারাথনের আয়োজন করা হচ্ছে।

‘সমুদ্র বাঁচাও, পৃথিবী বাঁচাও’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ইভেন্টটি আয়োজন করছে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কোস্টাল আল্ট্রা বাংলাদেশ’।

আয়োজকদের ভাষ্য, দেশে প্রথমবারের মতো ২০০ কিলোমিটার দূরত্বের আলট্রা ম্যারথন আয়োজন হতে চলেছে।

কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় বা আলট্রা ম্যারাথন আয়োজনের মাধ্যমে দেশে স্পোর্টস ট্যুরিজমের প্রসার, ভ্রমণপিপাসু মানুষকে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সেই সাথে উপকূলের পরিবেশগত ভারসাম্য ও সমুদ্র তলদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই আলট্রা ম্যারাথনের আয়োজন করছে ‘কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ’। এ ধরনের ইভেন্টের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করাই সংগঠনটির অন্যতম উদ্দেশ্য।”

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আলট্রা ম্যারাথন বা আলট্রা রান হচ্ছে এক ধরনের দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় প্রতিযোগিতা, যেখানে সাধারণত ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের দৌড়ের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে ছোট দূরত্বের আলট্রা ম্যারাথন হচ্ছে ৫০ কিলোমিটার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এ আলট্রা ম্যারাথনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।

আলট্রা ম্যারাথনে আয়োজক সংগঠনের বেঁধে দেওয়া যোগ্যতার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ সাপেক্ষে বাছাইকৃত দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ জন দৌড়বিদ অংশ নেবেন। তাদের সহায়তার জন্য ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।

অংশগ্রহণকারীরা ৫০ কিলোমিটার, ১০০ কিলোমিটার, ১০০ মাইল ও ২০০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে দৌড়ে অংশ নেবেন।

ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি লাগবে না। সব সেবা বিনা মূল্যে পাবেন অংশগ্রহণকারীরা।

আরও পড়ুন:
জয়বাংলা ম্যারাথনে মেডেল জিতলেন দৈনিক বাংলার দুই সাংবাদিক
মেরিন ড্রাইভ সড়কে দুর্ঘটনায় পর্যটকসহ নিহত ২
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন শুক্রবার
দেশের দীর্ঘতম আলট্রা ম্যারাথন ইভেন্ট শুরু কক্সবাজারে
সেনাবাহিনীর আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ম্যারাথনের লোগো উন্মোচন

মন্তব্য

বর্ণিল আয়োজনে ঢাবিতে বসন্তবরণ

বর্ণিল আয়োজনে ঢাবিতে বসন্তবরণ ‌‌‘জুলাই অভ্যুত্থান: আমার দ্রোহ-ভালোবাসার গান’ ব্যানারে ঢাবির কলা ভবনের সামনে ‘সমগীত বসন্ত উৎসব ১৪৩১’ দিয়ে শুরু হয় বসন্তের গান ও নৃত্য পরিবেশনা। ছবি: ইউএনবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় শুক্রবার ভোরে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’। 

আক্ষরিক অর্থে বিদায় না নিলেও ঋতুরাজ বসন্তের আগমন আনুষ্ঠানিক বিদায় জানিয়ে দিয়েছে মাঘের সন্ন্যাসী শীতকে। দেশে এসেছে ফাগুন; শুরু হয়েছে আগুনরাঙা মাসের প্রথম দিনটি উদযাপন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় শুক্রবার ভোরে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’।

‌‌‘জুলাই অভ্যুত্থান: আমার দ্রোহ-ভালোবাসার গান’ ব্যানারে ঢাবির কলা ভবনের সামনে ‘সমগীত বসন্ত উৎসব ১৪৩১’ দিয়ে শুরু হয় বসন্তের গান ও নৃত্য পরিবেশনা।

সমগীত আয়োজিত অনুষ্ঠানে লোকগীতির পাশাপাশি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সংগীতও পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

শুরুতে পাঠশালার নৃত্যশিল্পীরা নাচ পরিবেশন করেন। একই সঙ্গে পাহাড়ি ও চা বাগানের থিমে গানে অংশ নেন সমগীতের শিল্পীরা।

উপস্থিত কয়েকজন ইউএনবিকে জানান, সকালে উঠেই এখানে চলে এসেছেন বসন্ত উৎসব দেখতে। এরপর বইমেলায় যাবেন। দিনভর উৎসবটি উদযাপন করবেন।

উৎসবে আসা একজন বলেন, ‘বসন্ত আমাদের প্রাণের উৎসব। একই দিনে ফাগুনের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবস হওয়ায় দিনটি আরও বেশি উপভোগ করছি।’

আরও পড়ুন:
নিজ নিজ দায়িত্ব পালনই শহীদদের রক্তের ঋণ শোধের উপায়
টিএসসি মেট্রো স্টেশন ১৬ ডিসেম্বরসহ চারদিন বন্ধের সুপারিশ
টেকনাফের ওসি প্রত্যাহার চেয়ে ঢাবিতে মানববন্ধন
ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার ধরনবিষয়ক কমিটির কার্যক্রম শুরু
আওয়ামী লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prince Fifth Rahim Al Husseini Aga Khans debut

প্রিন্স পঞ্চম রাহিম আল-হুসেনি আগা খানের অভিষেক অনুষ্ঠান

প্রিন্স পঞ্চম রাহিম আল-হুসেনি আগা খানের অভিষেক অনুষ্ঠান অভিষেক অনুষ্ঠানটি পর্তুগালের লিসবনে অবস্থিত দিওয়ান অব দি ইসমাইলি ইমামাতে অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ক্রিয়েশন ওয়ার্ল্ড
ইসমাইলি সম্প্রদায়ের নেতারা বিশ্বের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ৫০তম উত্তরাধিকারী ইমামের প্রতি আধ্যাত্মিক আনুগত্যের শপথ নেন। বিশ্বের ৩৫টিরও বেশি দেশে ইসমাইলি সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের জামাতখানায় (সমাবেশের স্থান) সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি অনুসরণ করেন।

প্রিন্স পঞ্চম রাহিম আগা খানের অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি এ অভিষেক উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী শিয়া ইসমাইলি মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

অনুষ্ঠানটি পর্তুগালের লিসবনে অবস্থিত দিওয়ান অব দি ইসমাইলি ইমামাতে অনুষ্ঠিত হয়।

ইসমাইলি সম্প্রদায়ের নেতারা বিশ্বের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ৫০তম উত্তরাধিকারী ইমামের প্রতি আধ্যাত্মিক আনুগত্যের শপথ নেন। বিশ্বের ৩৫টিরও বেশি দেশে ইসমাইলি সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের জামাতখানায় (সমাবেশের স্থান) সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি অনুসরণ করেন।

ভাষণে পঞ্চম আগা খান তার প্রয়াত পিতা প্রিন্স চতুর্থ করিম আগা খানকে শ্রদ্ধা জানান এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি পর্তুগাল ও মিসরের সরকারগুলোকেও তার বাবার অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও কবরস্থানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ব্যবস্থা করার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এটি ছিল পঞ্চম আগা খানের জন্য আন্তর্জাতিক ইসমাইলি সম্প্রদায়ের কাছে প্রথম ভাষণ দেওয়ার সুযোগ। তার প্রারম্ভিক ভাষণে তিনি জীবনকে ইসমাইলি জামাতের আধ্যাত্মিক ও ভৌত কল্যাণের জন্য নিবেদিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি ইসমাইলি মুসলিম বিশ্বাসের নীতি, দুনিয়া ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে সঠিক সমতা বজায় রাখার গুরুত্ব এবং ধর্মীয় অনুশীলনের নিয়মিত অনুশীলনের কথা বলেন।

তার বার্তা শান্তি, সহিষ্ণুতা, অন্তর্ভুক্তি এবং অভাবী মানুষদের সাহায্য করার জন্য বৈশ্বিক ধারণাগুলোর ওপর প্রতিষ্ঠিত।

আরও পড়ুন:
৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The annual meeting of former students of Comilla Polytechnic

কুমিল্লা পলিটেকনিকের সাবেক শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা পলিটেকনিকের সাবেক শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত পিকনিকে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়াও সাবেক শিক্ষার্থীর সন্তানদের মধ্যে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন, তাদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আয়োজক কমিটির সব পৃষ্ঠপোষকদের ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
এ বছরের অনুষ্ঠানটি ‘আমরা সবাই একসাথে-এখন ও চিরকাল’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।

ঢাকার সাভারের আলাদিনস পার্কে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন সিপিআই এক্স স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বার্ষিক পিকনিক ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ বছরের অনুষ্ঠানটি ‘আমরা সবাই একসাথে-এখন ও চিরকাল’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি সিপিআই এক্স স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক নাজিমুজ্জামান হাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন প্যারাডাইজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল আমিন ভূঁইয়া, কুমিল্লা পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফা, শান্তি নিবাস প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কুমিল্লা পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি মো. আবুল কাশেম, সিপিআই ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান কবির প্রিন্স, ইঞ্জিনিয়ার সাদেকুল আমিন, পিকনিক কমিটির সচিব এমরান হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জাবেদ হোসেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান কনক, মো. মাসুদ রানা, ফেরদৌস, নেছার পাটোয়ারি, মিশকাত, মো. সাইদুল ইসলাম মিঠু, মো. শিহাব, কামরুল, প্রান্ত, তুষার ও সাইমুনসহ কুমিল্লা পলিটেকনিকের বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে দুপুরে যোগ দেন ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও কুমিল্লা পলিটেকনিকের ১৯৮৩-১৯৮৪ সেশনের ছাত্র প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন। তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

বিভিন্ন ইভেন্ট ও পুরস্কার বিতরণ

পিকনিকে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়াও সাবেক শিক্ষার্থীর সন্তানদের মধ্যে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন, তাদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আয়োজক কমিটির সব পৃষ্ঠপোষকদের ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করা হয়।

র‍্যাফেল ড্রর পুরস্কার বিতরণ

বার্ষিক মিলনমেলার অংশ হিসেবে আয়োজিত র‍্যাফেল ড্রর পুরস্কারগুলো ছিল আকর্ষণীয়। প্রথম পুরস্কার হিসেবে ওয়াশিং মেশিন, দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ৪৩ ইঞ্চি 4K Smart টিভি, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন, চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ইলেকট্রিক ওভেন এবং আরও ২০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার ছিল। র‌্যাফেল ড্র লটারি টিকিটের মূল্য ছিল ১০০ টাকা।

নতুন কার্যকরী কমিটি ঘোষণা

উৎসবের শেষে নির্বাচন উপকমিটি প্রস্তাবিত ২০২৫-২০২৬ সালের ৪১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি ও সাত সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়।

নতুন কার্যকরী কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন রেজাউল করিম রেজা। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গোলাম মোস্তফা (ভিপি) , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শাহজাহান কবির প্রিন্স এবং অর্থ সম্পাদক হিসেবে মাসুদ রানা নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যু তদন্তে কমিটি, সেনা কমান্ডার প্রত্যাহার
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা: আইএসপিআর
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
চেতনানাশক খাইয়ে সাতজনকে হত্যা করেন জাহাজের লস্কর: র‌্যাব 
মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় কুমিল্লায় পাঁচজন আটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gadkhali hopes to sell flowers worth Tk 1 crore on 7 days

৩ দিবসে গদখালীর ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা

৩ দিবসে গদখালীর ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা গদখালীর একটি জমি থেকে সংগৃহীত ফুল। ফাইল ছবি
গদখালী ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর জানান, উৎসবের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ফুলের দামও ততই বাড়ছে। বাজারদর ভালো পেয়ে ফুলচাষি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা খুশি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বসন্তবরণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী অঞ্চলের ফুলচাষিরা।

তিনটি দিবসকে সামনে রেখে নিজেদের খেতের ফুলগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

চাষিদের আশা, সামনের দিনগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে এবং তারা লাভবান হতে পারবেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী, নাভারণ ও পানিসারা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে নানা জাতের ফুল। এ অঞ্চলের কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছে গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, গাঁদা, লিলিয়াম, জিপসি, চন্দ্রমল্লিকাসহ অন্তত ১৩ ধরনের ফুল।

গদখালীতে বৃহস্পতিবার সকালে ফুলের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরেই চাষিরা বিভিন্ন যানবাহনে তাদের উৎপাদিত বাহারি সব ফুল নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বিক্রির জন্য দাঁড়িয়েছেন। হঠাৎ গরম পড়ায় ফুল ফুটে যাওয়া বাজারে ফুলের জোগানও বেশি। গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা ফুলের দাম কিছুটা কম হলেও ঊর্ধ্বমুখী গোলাপের দাম।

মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ফুলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। যে গোলাপ আগে বিক্রি হয়েছে পাঁচ টাকা দরে, গত বৃহস্পতিবার সে গোলাপ বিক্রি হয় আট থেকে ১০ টাকা দরে।

ফুল চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সামনের তিন দিবসে অন্তত ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে।

গত বৃহস্পতিবার বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয় ৮ থেকে ১০ টাকা। এ ছাড়া জারবেরা প্রতি পিস ৮ থেকে ১০ টাকা, রজনীগন্ধা স্টিক প্রতি পিস ৮ থেকে ১০ টাকা, জিপসি আঁটির প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাধা প্রতি হাজার ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, গ্লাডিওলাস রংভেদে ৮ থেকে ১২ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা প্রতি পিস ৩ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উৎসব যত ঘনিয়ে আসছে, ফুলের দাম ততই বাড়ছে।

ফুলচাষি পলাশ হোসেন বলেন, ‘১০ কাঠা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি। গত দুই দিন আগে গোলাপের দাম ছিল পাঁচ টাকা। আজ আট থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে।

‘আশা করছি সামনের দিনগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে এবং আমরা লাভবান হতে পারব।’

ফুলচাষি সোহান হোসেন বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে জারবেরা চাষ করেছি। এ বছর ফুলের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এখন ১০ থেকে ১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

‘আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ফুলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সামনের দিবসগুলোতে দাম আরও বাড়বে এবং লাভবান হতে পারব।’

কুষ্টিয়া থেকে ফুল কিনতে আসা ব্যবসায়ী শাকিল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ১৫ হাজার টাকার ফুল কিনেছি। গোলাপ ফুলটা বেশি কিনেছি। অন্যান্যবারের তুলনায় এ বছর বেশি লাভ হবে বলে আশা করছি।’

গদখালী ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর জানান, সারা বছর ফুল বিক্রি হলেও মূলত বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘিরে ফুল বেচাকেনা বেশি হয়। তিন দিবসকে ঘিরে গদখালী বাজারে ফুলের বেচাকেনা জমে উঠেছে।

তিনি জানান, উৎসবের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ফুলের দামও ততই বাড়ছে। বাজারদর ভালো পেয়ে ফুলচাষি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা খুশি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বসন্তবরণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গদখালী অঞ্চলে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করেন চাষিরা। প্রায় ছয় হাজার চাষি এ ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন:
আইনজীবী সাইফুল হত্যা: সুপ্রিম কোর্টসহ সব বারে বিক্ষোভ সমাবেশ
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইসলামি বক্তা সাইফুল্লাহ
চাঁদপুরে সন্ধ্যা ৬টা, যশোরে রাত ৮টা পর্যন্ত শিথিল কারফিউ
১৮৩ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
দুর্ঘটনায় পা হারানো জান্নাত পেয়েছে জিপিএ ফাইভ, হতে চায় চিকিৎসক 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The book fair will be inaugurated on February 1st

বইমেলা শুরু পহেলা ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

বইমেলা শুরু পহেলা ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। ছবি: নিউজবাংলা
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল তিন ঘটিকায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জ্ঞানভিত্তিক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বই এবং বইমেলা সহায়ক। আমরা আশা করি সকল সম্ভাবনায় আলোকিত হবে এবারের মেলা; আমাদের প্রাণের বইমেলা।’

আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৫।

ভাষাশহীদ, ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ, আহত ও অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‌‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম ও সচিব ড. মো. সেলিম রেজা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল তিন ঘটিকায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জ্ঞানভিত্তিক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বই এবং বইমেলা সহায়ক। আমরা আশা করি সকল সম্ভাবনায় আলোকিত হবে এবারের মেলা; আমাদের প্রাণের বইমেলা।’

তিনি বলেন, ‘এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে, তবে কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহির পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে।

‘এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট ৪টি প্রবেশ ও বাহির-পথ থাকবে।’

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ‘খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা-ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য খাবারের স্টলগুলোকে এবার বিশেষভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, “শিশুচত্বর মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

“বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন এবং শিশু-কিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য একটি স্টল থাকবে। ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাংকন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।”

এবারের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২৪ সালের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেয়া হবে।

২০২৪ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে।

এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ৪৩টি ও পুনর্মুদ্রিত ৪১টি বই।

বইমেলার সময়সূচি

পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত)। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

পলিথিনমুক্ত হবে এবারের বইমেলা

এবারের অমর একুশে বইমেলার আয়োজনকে জিরো ওয়েস্ট বইমেলায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আয়োজনস্থল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্থাপিতব্য সব স্টল, দোকান, মঞ্চ, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, ফাস্ট ফুড, কফি শপ, খাবার দোকান ইত্যাদি প্রস্তুতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার শতভাগ পরিহার করে পুনঃব্যবহারযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ, যেমন পাট, কাপড়, কাগজ ইত্যাদির ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।

স্টল সংক্রান্ত তথ্য

এবারের বইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১ হাজার ৯১৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি। মোট ইউনিট ১ হাজার ৮৪টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি এবং ইউনিট ছিল ৯৪৬টি)।

এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি (গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৭টি)।

লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

শিশুচত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি এবং ইউনিট ১২০টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৮টি এবং ইউনিট ১০৯টি)।

আরও পড়ুন:
বইমেলায় ‍দৃষ্টিহীনদের বাতিঘর স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা
জমে উঠেছে শেষ সময়ের বইমেলা
বইমেলা ২ দিন বাড়ল
ক্যাটালগ দেখে ‘পছন্দের’ বই সংগ্রহে বইপ্রেমীরা
প্রাণের বইমেলায় বিদায়ের সুর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kids Time Fair Energy Mascot Lion wins the hearts of children in music

কিডস টাইম ফেয়ার: গান-গল্পে শিশুদের মন জিতে নিল শক্তি মাসকট লায়ন

কিডস টাইম ফেয়ার: গান-গল্পে শিশুদের মন জিতে নিল শক্তি মাসকট লায়ন গত ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপেশ নাগ, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর সুরাইয়া সিদ্দিকা, মার্কেটিং ম্যানেজার পূর্বা চৌধুরী, লাইট অফ হোপের সিইও ওয়ালিউল্লাহ ভূইয়াঁ, কিডস টাইমের ফাউন্ডার তাহমিনা রহমান এবং অন্য কর্মকর্তারা। ছবি: গ্রামীণ ডানোন
এবারের উৎসবে গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের হেলদি কিডস জোনে আসা প্রতিটি শিশুই পেয়েছে আকর্ষণীয় হেলদি কিড ব্যাজ। ৪ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ছিল ভিন্নধর্মী মজার মজার অগমেন্টেড রিয়েলিটি গেম। যেমন: ট্যাব গেম, বিগ স্ক্রিন গেম।

শীতের সকালে শত শিশুর কোলাহলে মুখর শক্তি+হেলদি কিডস জোন। এমন সময় সামনে এলো ‘শক্তি মাসকট লায়ন’; গাইল ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’। চমকে উঠল অপেক্ষায় থাকা কৌতূহলী শিশু ও তাদের মা-বাবারা।

শক্তি মাসকট লায়ন তাদের বলল, ‘তোমরা কি আমার গল্প শুনতে চাও?’

উচ্ছ্বসিত শিশুরা সমস্বরে বলল, ‘চাই! চাই!’ এরপর চমৎকার একটি গল্প বলে কিডস টাইম ফেয়ারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠল চরিত্রটি।

একটি শিশুর গল্প বলে শক্তি মাসকট লায়ন; যার পছন্দের রং নীল, সবুজ আর হলুদ। প্রিয় খেলা ফুটবল ও দাবা। কিন্তু একটু খেললেই হাঁপিয়ে ওঠে সে। ব্যথা হতো পায়ে। আবার বুদ্ধি খাটিয়ে দিতে পারত না দাবার চাল।

একটু থেমে শক্তি মাসকট লায়ন বলে, ‘তোমরা কি জানতে চাও এরপর বাচ্চাটির সাথে কী হয়েছিল?’

গল্পে বুঁদ হওয়া শিশুদের চোখে-মুখে তখন আনন্দের ঝলকানি। তারা আবারও বলল, ‘চাই! চাই!’

শক্তি মাসকট লায়ন বলল, ‘বাচ্চাটি শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার বলেন, আয়রন, আয়োডিন, ভিটামিন এ ও জিংকের অভাব শিশুটির সুস্থতা ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত করছে। সে অল্পতেই ক্লান্ত হয়, মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। আর এ জন্য পুষ্টিকর সব খাবারের সঙ্গে খেতে বলা হয় শক্তি দই।’

গল্প শেষ হতেই চারিদিকে তুমুল হাততালি।

গত ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ জমকালো উৎসবে এভাবেই শিশুদের মন জিতে নেয় শক্তি মাসকট লায়ন। এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপেশ নাগ, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর সুরাইয়া সিদ্দিকা, মার্কেটিং ম্যানেজার পূর্বা চৌধুরী, লাইট অফ হোপের সিইও ওয়ালিউল্লাহ ভূইয়াঁ, কিডস টাইমের ফাউন্ডার তাহমিনা রহমান এবং অন্য কর্মকর্তারা।

এবারের উৎসবে গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের হেলদি কিডস জোনে আসা প্রতিটি শিশুই পেয়েছে আকর্ষণীয় হেলদি কিড ব্যাজ। ৪ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ছিল ভিন্নধর্মী মজার মজার অগমেন্টেড রিয়েলিটি গেম। যেমন: ট্যাব গেম, বিগ স্ক্রিন গেম।

এ ছাড়া ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ছিল ভার্চুয়াল গ্যালাক্সি ট্যুর। ফিজিক্যাল গেমের মধ্যে ছিল রিং টস, বল টস আর বেলুন পপ। ছিল জিনিয়াস কিড গেম।

অনবদ্য এ আয়োজনে প্রতিটি গেমেই ছিল দারুণ সব গিফট জেতার সুযোগ। হেলদি খাবারের জন্য ছিল হেলদি ফুড জোন। ছিল নিউট্রিশন কর্নার থেকে ফ্রি কনসালটেশন নেওয়ার সুযোগ।

খেলা, বিনোদন আর শিক্ষণীয় কার্যক্রমের এক অপূর্ব মিশেল এই কিডস টাইম ফেয়ার। প্রতিবারের মতো এবারও শিশু, অভিভাবক, শিক্ষক ও বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে এটি হয়ে ওঠে দুর্দান্ত উপলক্ষ।

নিজের সন্তানের সঙ্গে স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত কাটাবার সুযোগ হাতছাড়া করেননি অভিভাবকরা।

শিশুদের বিকাশে ২০১৮ সাল থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে কিডস টাইম ফেয়ার। শিশুদের জন্য কারুকাজ, অংকন, পুতুল প্রদর্শনী, মঞ্চ পরিবেশনা এবং অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টিং সেশনের মতো কার্যক্রম আয়োজন করা হয় এ ইভেন্টে।

শিশুদের সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রেখে আসছে এ ধরনের কার্যক্রম।

দেশে অপুষ্টি প্রতিরোধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেড। বিশেষ করে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর শক্তি+পণ্য আরও সহজলভ্য করার মাধ্যমে দেশে অপুষ্টির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে গ্রামীণ ডানোন, যা সামাজিক পর্যায়ে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কম্বল বিতরণ জেক্সকার
ট্রাক্টরের হালের ফালে পড়ে শিশুর মৃত্যু
সদরঘাটে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার মায়ের মৃত্যু, মেয়ে ঢামেকে 
বিপিএলের মাসকট ‘ডানা ৩৬’ উন্মোচন
টেকনাফে সৈকতে গোসলে নেমে শিশুর মৃত্যু, দুজন নিখোঁজ 

মন্তব্য

p
উপরে